Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৯ নভেম্বর ২০১৭

তথ্যবিবরণী 29.11.2017

তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩২৪৯

        ভিয়েতনামে প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাঁর নেতৃত্বে  ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সফর

ঢাকা, ১৫ অগ্রহায়ণ (২৯ নভেম্বর) :

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁর নেতৃত্বে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং ‘দারিদ্র্য দূরীকরণ ও আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ) এর কার্যক্রম সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পের ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ২৪ নভেম্বর থেকে ভিয়েতনামের হ্যানয় এবং আশপাশের পল্লী উন্নয়ন, সমবায় ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শন করছেন।

পরিদর্শনকালে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাঁ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কর্তৃক গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য হ্রাসে চলমান পিডিবিএফ, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, দুগ্ধ খাতের উন্নয়ন ও পল্লী জনপদসহ বিভিন্ন প্রকল্পের সুফল তুলে ধরেন।

ভিয়েতনামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিগণও দেশটির পল্লী উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য, পুষ্টি ও দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ কর্মকৌশল বিষয়ে আলোকপাত করেন। তারা তাদের গবেষণাকর্ম দ্বারা কিভাবে বাংলাদেশকে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিকভাবে উপকৃত করা যায় সেসব বিষয়ও তুলে ধরেন।

প্রতিনিধিদলটি আগামী ২ ডিসেম্বর ঢাকায় ফিরে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

#

আহসান/মাহমুদ/আলী/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০৪০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ৩২৪৭

মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত

উখিয়া (কক্সবাজার), ১৫ অগ্রহায়ণ (২৯ নভেম্বর) :

    কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে বেসরকারি উৎস থেকে প্রাপ্ত ত্রাণ সরকারি উদ্যোগে বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

         উখিয়ায় স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষে আজ ২৫ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ৩৬ ট্রাকের মাধ্যমে ৫০ মেট্রিক টন ত্রাণ জমা দিয়েছে। প্রাপ্ত এসব ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৫ হাজার ৫৮ প্যাকেট শুকনো খাবার, ২ শত ৪৪ প্যাকেট শিশুখাদ্য, ২ হাজার ৫ শত প্যাকেট রান্না খাবার, ১৫ হাজার ২ শত ১০ পিস গৃহস্থালিসামগ্রী, ৭ শত ৯২ পিস পোশাক। এসব ত্রাণ আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
 
#

সাইফুল/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ৩২৪৬

মিয়ানমার নাগরিকদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন চলছে

উখিয়া (কক্সবাজার), ১৫ অগ্রহায়ণ (২৯ নভেম্বর) :

    কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭টি ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ এগিয়ে চলছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে।

আজ কুতুপালং-১ ক্যাম্পে ৪ শত ৪৫ জন পুরুষ ও ৪ শত ৪ জন নারী মিলে ৮ শত ৪৯ জন, কুতুপালং-২ ক্যাম্পে ৯ শত জন পুরুষ ও ৮ শত ৮২ জন নারী মিলে ১ হাজার ৭ শত ৮২  জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ৪ শত ৪০ জন পুরুষ ও ৫ শত ৫৮ জন নারী মিলে ৯ শত ৯৮ জন, থাইংখালী-১ ক্যাম্পে ১ হাজার ৩ শত ৬৯ জন পুরুষ ও ১ হাজার ৮ শত ৬৮ জন নারী মিলে ৩ হাজার ২ শত ৩৭ জন, থাইংখালী-২ ক্যাম্পে ৯ শত ৪ জন পুরুষ ও  ৭ শত ৮৮ জন নারী মিলে ১ হাজার ৬ শত ৯২ জন,  বালুখালী ক্যাম্পে  ১ হাজার ১ শত ৩ জন পুরুষ ও ১ হাজার ৬ শত ৫৩ জন নারী মিলে ২ হাজার ৭ শত ৫৬ জন, শামলাপুর ক্যাম্পে ৭১ জন পুরুষ ও  ৯৪ জন নারী মিলে ১ শত ৬৫ জন এবং পুরোদিনে ৭টি কেন্দ্রে মোট ১১ হাজার ৪ শত ৭৯ জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে।

আজ পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোট ৭ লাখ ২ হাজার ৩ শত ৯৭ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে।

সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক আজ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৩ শত ৭৩ জন এতিম শিশু সনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ হাজার ৩ শত ৯৫ জন ছেলে এবং ১৮ হাজার ৯ শত ৭৮ জন মেয়ে। বাবা-মা কেউ নেই এমন এতিম শিশুর সংখ্যা ৭ হাজার ৭ শত ৭১ জন।

    উল্লেখ্য, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) রিপোর্ট মোতাবেক আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিকের সংখ্যা ৬ লাখ ৩৫ হাজার ২ শত। তবে অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বাড়ছে।
#

সাইফুল/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০২০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর :  ৩২৪৫

অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনে একযোগে কাজ করতে হবে
                 -- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ অগ্রহায়ণ (২৯ নভেম্বর) :  
    
    সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মূললক্ষ্য অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহকে এগিয়ে আসতে হবে। স্বাধীনতার সুফল সমাজের সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে হলে রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সংস্কৃতিকর্মী সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

    মন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আমরা সূর্যমুখী’র ৪২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত কথামালা, রেহানা বানু শিক্ষাবৃত্তি ২০১৭ প্রদান ও দিঠি আনোয়ারের একক গানের সন্ধ্যা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

    মন্ত্রী বলেন, যে লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল একটি অশুভ শক্তি তা নস্যাৎ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। এ অশুভ শক্তির অপতৎপতা প্রতিরোধ করতে হলে সংস্কৃতিচর্চাই হতে পারে মোক্ষম অস্ত্র। তিনি বলেন, আমরা সূর্যমুখী সংগঠনটির নাম ফুলের নামে হলেও তাঁদের চলার পথ সবসময় কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। তিনি সংগঠনটির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এর পাশে ছিলেন, এখনো আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। তিনি সংগঠনটির ৪২ বছরপূর্তিতে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

    মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সমন্বয়ক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল (সি এ জি) মাসুদ আহমেদ, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম এবং সংগীত ব্যক্তিত্ব ফাতেমা তুজ জোহরা।

#

ফয়সল/মাহমুদ/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৯৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ৩২৪৪

ইকোনমিক টাইমস্ এশিয়া ব্যবসায়ী সম্মেলনে বক্তৃতাকালে শিল্পমন্ত্রী
 বাংলাদেশ উৎপাদনমুখী শিল্পায়নের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে
ঢাকা, ১৫ অগ্রহায়ণ (২৯ নভেম্বর) :  
এশিয়ার অর্থনীতির চালিকাশক্তি চীন, ভারত ও আশিয়ান অঞ্চলের দেশগুলোর কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত বাংলাদেশ বর্তমানে উৎপাদনমুখী শিল্পায়নের প্রাণকেন্দ্রে (গধহঁভধপঃঁৎরহম ঐঁন) পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের উদ্যোগ বাংলাদেশকে টেকসই ও জ্ঞানভিত্তিক শিল্পায়নের পথে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি হাইটেক শিল্পপার্ক স্থাপনের কর্মসূচি এদেশে দক্ষ ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পখাত গড়ে তুলতে সহায়তা করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।  
ভারতের টাইমস্ গ্রুপ আয়োজিত ইকোনমিক টাইমস্ এশিয়া ব্যবসায়ী সম্মেলনে (ঞযব ঊপড়হড়সরপ ঞরসবং অংরধহ ইঁংরহবংং খবধফবৎ ঈড়হপষধাব/অইখঈ) সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে আজ এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ নাজিব বিন আব্দুল রাজাক (গড়যধসসধফ ঘধলরন ইরহ অনফঁষ জধুধশ) এবং ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী রণিল উইক্রেমেসিংহ (জধহরষ ডরপশৎবসবংরহমযব) যৌথভাবে এর উদ্বোধন করেন।  
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী মোস্তপা মোহামেদ (গঁংঃধঢ়ধ গড়যধসবফ), ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী সুরেশ প্রভু (ঝঁৎবংয চৎধনযঁ), শ্রীলংকার বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গবেষণা বিষয়কমন্ত্রী সুশীল প্রেমাজয়ান্তা (ঝঁংরষ চৎবসধলধুধহঃযধ), মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত আতিকুল্লাহ আত্ফামাল (অঃরয়ঁষষধয অঃরভসধষ), তাইওয়ানের বহি:বাণিজ্য উন্নয়ন কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ড. চুয়াং সু হং (উৎ. ঈযঁধহম ঝঁড় ঐধহম), কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রপতির উপমন্ত্রী ওউক প্রেচিয়া (ঙঁশ চৎধপযবধ) ও মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত চার্লস জোসে (ঈযধৎষবং ঔড়ংব) বক্তব্য রাখেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, শিল্পায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে দ্রুত একটি অর্থনৈতিক রূপান্তর ঘটেছে। কৃষিনির্ভর অর্থনীতি থেকে বাংলাদেশ ক্রমেই একটি যন্ত্রচালিত, উৎপাদনমুখী, বৈচিত্র্যময় ও মূল সংযোজনকারী অর্থনীতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জাতীয় প্রবৃদ্ধির প্রায় ৮০ ভাগ উৎপাদনমুখী ও সেবাশিল্পখাত দখল করেছে। বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক কর্মকা-ে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের ছাপ ক্রমেই জোরদার হচ্ছে বলে তিনি জানান।  
মন্ত্রী আরো বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বিনিয়োগের জন্য বর্তমানে বাংলাদেশে সবচেয়ে উপযোগী পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মাঝেও বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে জিডিপি, রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে। এদেশে বিনিয়োগে দেশি-বিদেশি সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রচলিত আইন ও শুল্ক কাঠামো বিদেশি বিনিয়োগের সর্বোত্তম সুরক্ষা দিচ্ছে। বর্তমান সরকার সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী বলে উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশের উদীয়মান জাহাজনির্মাণ ও রিসাইক্লিং, রাসায়নিক সার, অটোমোবাইল, হালকা প্রকৌশল, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, ওষুধ, সিরামিক, প্লাস্টিক, আইসিটি, সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ, পর্যটন, চিকিৎসা সরঞ্জাম, নবায়ণযোগ্য জ্বালানি এবং টেলিযোগাযোগখাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, সম্মেলনে বিশ্বের ২০টি দেশের ব্যবসায়ীক নেতা, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী, ব্যাংকার, শিক্ষাবিদ, থিংকট্যাংক, বিশ্বব্যাংক, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক আর্থিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও সুশীল সমাজের ৪ শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন।  
#
জলিল/মাহমুদ/আলী/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮৪০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ৩২৪৩  
 
জানুয়ারি থেকে ফোরজি সেবা চালু হচ্ছে
                         ---তারানা হালিম
 
ঢাকা, ১৫ অগ্রহায়ণ (২৯ নভেম্বর) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, আগামী জানুয়ারি মাস থেকে দেশে চালু হচ্ছে চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) টেলিযোগাযোগ সেবা। তিনি আজ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন। 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোবাইল ফোন অপারেটরদের আপত্তিগুলো নিষ্পত্তি করে ফোরজি লাইসেন্সিং গাইডলাইন এবং তরঙ্গ নিলাম গাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন। এই অনুমোদনের ফলে আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে দেশে ফোরজি সেবা চালুর পথে আর কোন বাধা থাকছে না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাথে অপারেটররা যে ২৩টি বিষয় বিবেচনার জন্য অনুরোধ করেছিল তার মধ্যে ২২টি সম্পূর্ণভাবে এবং ২৩ নম্বরটি আংশিকভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। ফোরজি লাইসেন্স আবেদন ফি আগে ছিল ৫ লাখ টাকা এখনও তাই আছে। লাইসেন্স এক্যুইজেশন পূর্বে ছিল ১৫ কোটি, সেটি এখন কমিয়ে ১০ কোটি টাকা করা হয়েছে। বার্ষিক লাইসেন্স ফি সাড়ে সাত কোটি থেকে কমিয়ে ৫ কোটি টাকা, রেভিনিউ শেয়ারিং ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ব্যাংক গ্যারান্টি ১৫০ কোটি টাকাই রাখা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, কনভার্সন ফি ১৮০০ ও ৯০০ মেগাহার্টজের তরঙ্গ একই ধাপে রূপান্তর করলে ৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আংশিক রূপান্তর করলে তা হবে ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার। প্রাথমিকভাবে ফোরজির ডাটা স্পিড ২০ এমবিপিএস (মেগাবাইট পার সেকেন্ড) রাখা হয়েছে। বিটিআরসি সময়ে সময়ে স্পিড পরিবর্তন করতে পারবে বলে বিধান রাখা হয়েছে। এটি আগে ছিল ১০০ এমবিপিএস। অপারেটরদের কল রেকর্ডস সংরক্ষণের সময়সীমা কমিয়ে তিন বছরের পরিবর্তে দুই বছর করা হয়েেেছ। ভ্যাট ও ট্যাক্সের বিষয়ে অপারেটরদের অনুরোধে তা বিটিআরসিতে প্রদানের বাধ্যবাধকতা না রেখে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিশোধ করার সুযোগ রাখা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
 
এনায়েত/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৯৫০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ৩২৪২  
 
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীর সাথে সুদানের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
 
ঢাকা, ১৫ অগ্রহায়ণ (২৯ নভেম্বর) :
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী মুহাঃ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিকের সাথে আজ সচিবালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে সুদানের এ্যাগ্রিকালচারাল ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার সালেহ উদ্দিন হাসান আহমেদ গামার নেতৃত্বে সুদানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সদস্যবৃন্দ সাক্ষাৎ করেন। এসময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, বিজেএমসি’র চেয়ারম্যান ড. মাহমুদুল হাসান, বিজেএমসি’র উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে দু’দেশের বস্ত্র ও পাট শিল্পের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও এর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। 
সুদানের প্রতিনিধিগণ বলেন, বাংলাদেশ ও সুদানের বন্ধুত্বের সম্পর্ক শুধু অর্থনৈতিকই নয়, ঐতিহাসিকও বটে। সুদান আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ তাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। দু’দেশের নিয়মিত বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে এ সম্পর্ক আরো জোরদার হচ্ছে। সেজন্য তারা বস্ত্র ও পাটখাতে বাংলাদেশের সাথে ব্যবসায় বাণিজ্য সম্প্রসারণ ঘটাতে চায়।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বস্ত্র ও পাটশিল্পের প্রতি খুবই আন্তরিক। তাঁর আন্তরিকতায় ও গতিশীল নেতৃত্বে আজ বিশ্ববাজারে বস্ত্রখাতে ‘বাংলাদেশ’ একটি ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। এ খাতকে আরো সক্ষম ও আধুনিক করতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। এছাড়াও পাটের অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বৃদ্ধি ও আর্ন্তজাতিক বাজারে পাটের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি পাটকলসমূহ দ্রুতই লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। 
প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্লোডেন ফাইবার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাক হুসাইন, গ্লোডেন ফাইবার লিমিটেডের সত্ত্বাধিকার সৈয়দ মোঃ নাঈমসহ অন্য সদস্যবৃন্দ।
#
 
সৈকত/মাহমুদ/সেলিম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/২০২০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ৩২৪১  
 
বাংলাদেশ দ্রুত মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হচ্ছে
                                       --- স¦াস্থ্যমন্ত্রী
 
ঢাকা, ১৫ অগ্রহায়ণ (২৯ নভেম্বর) :
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে চলেছে। গত কয়েকবছরে দারিদ্র্যবিমোচন, যোগাযোগ অবকাঠামো, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ, কৃষি, তথ্য ও প্রযুক্তিখাতের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে বাংলাদেশ তার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফল হবে বলে তিনি এসময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ^ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট কিথ হ্যানসেন (কবরঃয ঐধহংবহ), এনেট্টে ডিক্সন (অহহবঃঃব উরীড়হ)-এর সাথে দুটি পৃথক বৈঠকে তিনি একথা বলেন। ওয়াশিংটনে বিশ^ব্যাংকের উদ্যোগে চলমান ‘নলেজ শেয়ারিং ইভেন্ট ২০১৭’ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। 
সহিংসতার কারণে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সে দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে ‘মাদার অভ্ হিউম্যানিটি’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়, খাদ্য ও চিকিৎসা দেওয়ার যে উদ্যোগ নিয়েছেন তার প্রশংসা করে বিশ^ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সাহায্যে তাদের সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ^াস প্রদান করেন। এসময় খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের মাঝে চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের সফল পদক্ষেপ নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তাঁরা।
মোহাম্মদ নাসিম এ সময় স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের অর্জন তুলে ধরে বলেন, বড় বড় শহরগুলোতে বিশ^মানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি উপজেলা, ইউনিয়ন এমনকি গ্রাম পর্যায়ের তৃণমূল দরিদ্র মানুষের জন্য মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। গ্রামের ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম আজ সারা বিশে^ উদাহরণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে যেখানে সাধারণ মানুষ বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং ৩২ রকমের ঔষধ পাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্যতথ্য সংরক্ষণ হচ্ছে এবং প্রয়োজনে রাজধানীর চিকিৎসকদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে চিকিৎসা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে সরকার। তিনি ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে সরকার গৃহীত কর্মসূচিগুলোর সফল বাস্তবায়নে বিশ^ব্যাংকের সহায়তা কামনা করেন।
বিশ^ব্যাংকের কর্মকর্তারা এসময় স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের সাফল্য বিশেষ করে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে এখাতে তাঁদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
বিশ^ব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক মোশাররফ হোসেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ফয়েজ আহম্মেদ, অর্থ মন্ত্রণালয় ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ বাংলাদেশ সরকার ও বিশ^ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।  
#
 
পরীক্ষিৎ/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/২০১৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩২৪০

জ্বালানি খাতের বিনিয়োগ নীতিমালা সুষম করতে এনার্জি চার্টার গুরুত্বপূর্ণ
                        -- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

আশগাবাদ (তুর্কেমেনিস্তান), ২৯ নভেম্বর :  

    বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি খাতের বিনিয়োগ নীতিমালা সুষম করতে আন্তর্জাতিক এনার্জি চার্টার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বহুজাতিক নীতিমালা তৈরি ও সমন্বয় করতেও এ সংস্থার সহায়ক ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।

    প্রতিমন্ত্রী আজ তুর্কেমেনিস্তানের রাজধানী আশাগাবাদে আন্তর্জাতিক এনার্জি চার্টারের ২৮তম সভার মিনিস্টেরিয়াল সেশনে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জলবিদ্যুতের জন্য বাংলাদেশ-ভূটান-ইন্ডিয়া-নেপাল নেটওয়ার্ক কার্যকর করতে বাংলাদেশ কাজ করছে। তাপি (ঞঅচও-ঞঁৎশসবহরংঃধহ-অভমযধহরংঃধহ-চধশরংঃধহ-ওহফরধ) পাইপলাইন প্রকল্প বা অঝঊঅঘ গ্রিডে অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আঞ্চলিক বন্ধন মজবুত করতে এনার্জি চার্টার অতুলনীয় অবদান রাখতে পারে। ঝুঁকিবিহীন সুষম জ্বালানি  সরবরাহে এ সংস্থার সহযোগিতা নিয়ে টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থাপনা তৈরি করা সম্ভব। এ সময় বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের উন্নতিকল্পে প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সহযোগিতা কমনা করে প্রতিমন্ত্রী  বলেন, তহবিল গঠন, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও রেগুলেটরি ক্লাইমেট সৃজন করে অভিজ্ঞতা বিনিময়ে এনার্জি চার্টার সকলের জন্য একটি প¬াটফরম তৈরি করে দিতে পারে।

    ২৮তম সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের প্রধান ও তাদের প্রতিনিধি, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক  সংস্থাসমূহের প্রতিনিধিগণ  অংশগ্রহণ করেছেন। অন্যান্যের মধ্যে সম্মেলনের সভাপতি মাকসাত এম বাবায়েভ (গধশংধঃ গ ইধনধুবা) ও মহাসচিব ড. অরবান রুসনাক (উৎ. টৎনধহ জঁংহধশ) বক্তব্য রাখেন।

    পরে প্রতিমন্ত্রী আন্তর্জাতিক এনার্জি চার্টারের মহাসচিব ড. আরবান রুসনাকের সাথে এক সভায় মিলিত হন।
 
#

আসলাম/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৭৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩২৩৯

রহনপুর সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ১৫ অগ্রহায়ণ (২৯ নভেম্বর) :  
    
    চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট-গোমস্তাপুর-রহনপুর সড়কে নবনির্মিত রহনপুর সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এসময় তিনি জানান, সওজ চাঁপাইনবাবগঞ্জের অধীনে পঁয়ত্রিশ মিটার দীর্ঘ এবং সোয়া দশ মিটার প্রস্থের এ সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় চার কোটি দশ লাখ টাকা। তিনি বলেন, সেতুটি নির্মাণের ফলে এলাকাবাসীর যাতায়াত নিরাপদ ও সহজতর হয়েছে।

    পরে মন্ত্রী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরইসলামাবাদ ও চরতেরশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়ের নবনির্মিত একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করেন। এছাড়া তিনি বৃহত্তর রাজশাহী জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার ইসলামপুর-শাহজানপুর ইউপি সড়কে মরা পদ্মা নদীর উপর খাকচাপাড়ায় প্রায় ১৩২ ফুট দীর্ঘ সেতু নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং গণপূর্ত বিভাগের আওতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ভবন থেকে পুরাতন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন ও জেলা জজ আদালত ভবন পর্যন্ত ওভারব্রিজ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন।

    এসময় সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ বিশ্বাস, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, নির্বাহী প্রকৌশলী-গণপূর্ত ও নির্বাহী প্রকৌশলী-সওজসহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

#

ওয়ালিদ/মাহমুদ/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮০০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৩২৩৮ 

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাক্স্বাধীনতা রক্ষার ব্যবস্থা থাকবে
                                                    ----আইনমন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ অগ্রহায়ণ (২৯ নভেম্বর) :  
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জনগণের বাক্স্বাধীনতা রক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া বাক্স্বাধীনতা রক্ষার জন্য যেসব ‘চেক এন্ড ব্যালান্স’ দরকার সেগুলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছাড়াও সম্প্রচার আইনেও থাকতে পারে। তিনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা যেভাবে আছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তা সেভাবে থাকছে না।
আজ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া প্রণয়ন নিয়ে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এসময় অধঃস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধির খসড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খসড়াটি সুপ্রিম কোর্ট থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে। এটি অতিসত্বর রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে এবং এটা আজকেও পাঠানো হতে পারে।
আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সম্প্রতি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য যে উদ্যোগ চলছে তাকে নিরাপদ করতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সেই প্রয়োজনীয়তা থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনেই এটি উত্থাপন করার আশা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ডিজিটাল জগতের নিরাপত্তা, প্রসার ও বিকাশে সাহায্য করবে। তিনি সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করে বলেন, জনগণের সাংবিধানিক সকল মৌলিক অধিকার এবং সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতির সঙ্গে সম্পর্ক রেখে অন্যান্য আইন যেভাবে প্রণয়ন করা হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনও সেভাবে প্রণয়ন করা হচ্ছে। তিনি মনে করেন, এই আইন ডিজিটাল সমাজ গড়তে এবং ডিজিটাল সমাজের নিরাপত্তা বিধান করতে সাহায্য করবে।
তথ্যমন্ত্রী জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে খসড়া মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হবে তার সাথে আইসিটি আইনের ৫৪, ৫৫, ৫৬, ৫৭ ও ৬৬ ধারা বিলুপ্তির প্রস্তাব করা হবে। ডিজিটাল অপরাধ মোকাবিলা করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে এবং তা ১৬ কোটি নাগরিকের নিরাপত্তার জন্য করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধের ধরন দেখে বিভিন্ন স্তরের সাজার প্রস্তাব করা হয়েছে। সম্প্রচার আইনে সাংবাদিক তথা গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য ব্যবস্থা রাখা হবে।
সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যামসুন্দর শিকদার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
#

রেজাউল/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৮৪০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৩২৩৭  

সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে বুড়িগঙ্গার নাব্যতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব
                                         --- গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ অগ্রহায়ণ (২৯ নভেম্বর) :  
আজ নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রয়াত সাংবাদিক এম ওমর ফারুকের পরিবারকে ফোরামের পক্ষ থেকে তিন লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এ চেক মরহুম ওমর ফারুকের স্ত্রীর হাতে তুলে দেন। 
এ উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব কনফারেন্স লাউঞ্জে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, অদূরদর্শী পরিকল্পনার কারণে তেজগাঁও শিল্প এলাকা এখন ঢাকার কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। সে সময়ের পরিকল্পনাবিদগণ হয়তো চিন্তাই করেননি যে ঢাকা শহরের এমন সম্প্রসারণ ঘটবে। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু নদী পরিবেষ্টিত ঢাকাকে নান্দনিক পরিকল্পনায় আনা সম্ভব ছিল। বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌকায় বসে লু আই কান শেরেবাংলা নগরের এত সুন্দর ও নান্দনিক নকশা প্রণয়ন করেন, অথচ সেই বুড়িগঙ্গা এখন দুর্গন্ধময়। বালু ও তুরাগ নদীর একই অবস্থা। ঢাকা শহরে স্যুয়ারেজ লাইন না থাকায় বাসা-বাড়ির মনুষ্যবর্জ্য ওয়াসার ড্রেনে ফেলা হচ্ছে। সেগুলো এবং কলকারখানার বর্জ্য নদীর পানিকে দূষিত করছে। 
মন্ত্রী বলেন, ইউরোপের টেমস নদী, বোফোর্স নদী, দক্ষিণ কোরিয়ার কান নদীও একসময় দুর্গন্ধময় ছিল। সেসব নদী সংস্কার করে নান্দনিক করা হয়েছে। সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ করে এখনও বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। নগরের সাথে পরিচ্ছন্নতার একটি নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান। এ বিষয়ে নাগরিক সচেতনতা গড়ে তোলা প্রয়োজন। নগর উন্নয়ন নিয়ে সাংবাদিকরা তাদের লেখা জোরদার করলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজতর হয়।
নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি অমিতোষ পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ডিইউজে’র সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, রাজউকের নগর উপপরিকল্পনাবিদ আশরাফুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন, বাংলা ট্রিবিউনের হেড অভ্ নিউজ হারুন উর রশীদ, ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মতিন আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
#

কিবরিয়া/মাহমুদ/সেলিম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৩

Todays handout (9).docx