তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৯০
সকল উপজেলায় উন্নতমানের টেকনিক্যাল স্কুল স'াপন করা হবে
-- শিড়্গামন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :
শিড়্গামন্ত্রী নুরম্নল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, দেশের সকল উপজেলায় একটি করে উন্নতমানের টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স'াপন করা হবে। যেসকল জেলায় সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট নেই, সেসব জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স'াপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ইনস্টিটিউট অভ্ ডিপেস্নামা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি)-এর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে ডিপেস্নামা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিড়্গাক্রমের পরীড়্গা ব্যবস'াপনা বিষয়ে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের করণীয় বিষয়ক ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দড়্গ মানুষ তৈরি করা দরকার। যে দড়্গতা বাসত্মবে প্রয়োগ করা যায়। দড়্গতাই চাকরি পাওয়ার উপায় বর্ণনা করে তিনি বলেন, দেশে বেসরকারি উদ্যোগে কারিগরি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে সরকার অনুমতি দিয়েছে। ফলে বেসরকারি পর্যায়ে দেশে ৪৫৭টি কারিগরি শিড়্গা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ শিড়্গার্থী কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিড়্গা গ্রহণ করছে।
কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিড়্গকদের মান উন্নয়ন বিষয়ে তিনি বলেন, ৪৫০ জন শিড়্গক সিঙ্গাপুরে প্রশিড়্গণ নিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। আরো ১১৫০ জন শিড়্গক বর্তমানে সিঙ্গাপুরে প্রশিড়্গণ গ্রহণ করছেন। চীনে প্রশিড়্গণের জন্য আরো ৫৮১ জন শিড়্গককে প্রেরণ করা হবে। সকল শিড়্গককে পর্যায়ক্রমে প্রশিড়্গণ দেয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, কারিগরি শিড়্গার উন্নয়নের জন্য এমাসেই ১২ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি স্বাড়্গর হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ অনুদান দেবে।
আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ পর্যনত্ম অনুষ্ঠিতব্য ডিপেস্নামা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পরীড়্গা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য তিনি সংশিস্নষ্টদের নির্দেশ দেন।
কারিগরি শিড়্গা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. মুসত্মাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শিড়্গা মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালনকারী অতিরিক্ত সচিব ড. অরম্ননা বিশ্বাস, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিড়্গা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস ও একেএম জাকির হোসেন ভূইয়া এবং আইডিইবি‘র সভাপতি এ কে এম এ হামিদ বক্তৃতা করেন।
#
আফরাজ/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৮৯
একাদশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম, মেক্সিকো
ইন্টারনেটের তিন বিষয়ে বৈশ্বিক ঐকমত্যের প্রসত্মাব তথ্যমন্ত্রীর
জেলিসকো (মেক্সিকো), ৯ ডিসেম্বর :
ইন্টারনেটের সার্বজনীনতা, এর গণতান্ত্রিক ব্যবস'াপনা এবং সাইবার নিরাপত্তা- এ তিন বিষয়ে বৈশ্বিক ঐকমত্য গড়ে তোলা এবং এর ভিত্তিতে তিনটি পৃথক আনত্মর্জাতিক চুক্তির প্রসত্মাবনা দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
গত ৬ থেকে ৯ ডিসেম্বর মেক্সিকোর জেলিসকোতে ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের একাদশ সম্মেলনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ও পেস্ননারি সেশনে বক্তৃতায় বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম (বিআইজিএফ) এর সভাপতি হাসানুল হক ইনু এ প্রসত্মাব উত্থাপন করেন।
সবদেশে সবার জন্য সুলভ ও নিরাপদ ইন্টারনেট এবং তার ব্যবস'াপনাকে কোনো একটি গোষ্ঠীর হাতে কেন্দ্রীভূত না রেখে গণতান্ত্রিক ও বহুমাত্রিক করে তোলার জন্য ইনুর প্রসত্মাবনা ফোরামের পরবর্তী আলোচনাগুলোতে গুরম্নত্ব পায় বলে জানিয়েছেন সম্মেলনে যোগদানকারী অপর বাংলাদেশি সদস্য বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও এন্ড কমিউনিকেশন্স-বিএনএনআরসি’র প্রধান নির্বাহী এএইচএম বজলুর রহমান।
এছাড়া সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেটের প্রসারে দশদফা দাবিও উত্থাপন করেন তথ্যমন্ত্রী। দশদফার মধ্যে রয়েছে ইন্টারনেটে সকলের প্রবেশাধিকার ও এর সুলভতা নিশ্চিত করা, মাতৃভাষায় বিষয়বস' প্রণয়ন, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা অড়্গুণ্ন রাখা, ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যবসা-বাণিজ্যের পথে বাধা অপসারণ, ই-অর্থনীতি সহায়ক আইন প্রণয়ন এবং ইন্টারনেটকে মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবি।
#
আকরাম/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৮৮
স্পিকারের সাথে জাতিসংঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল লক্ষ্মী পুরীর সাড়্গাৎ
ঢাকা, ২৫ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে বাংলাদেশে সফররত ইউএন উইমেন এর ইন্টারগভর্নমেন্টাল সাপোর্ট এন্ড স্ট্রাটেজিক পার্টনারশিপ বিষয়ক জাতিসংঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল লক্ষ্মী পুরী আজ তাঁর বাসভবনে সৌজন্য সাড়্গাৎ করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএন উইমেন এর কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ক্রিস্টিন হানটার (ঈযৎরংঃরহব ঐঁহঃবৎ) এবং প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট পলাশ কানিত্ম দাস উপসি'ত ছিলেন।
সাড়্গাৎকালে তাঁরা নারীর ড়্গমতায়ন, জেন্ডার সমতা, নারী উন্নয়ন, বাল্যবিবাহ নিরোধ, সংসদে নারীর অবস'ান, সরকারি সহায়তায় প্রাতিষ্ঠানিক সড়্গমতা অর্জন, রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জেন্ডার সংক্রানত্ম কার্যক্রম এদেশে সফলভাবে এগিয়ে চলেছে। তিনি এ সকল কাজে দেশের সাধারণ জনগণকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করার ওপর গুরম্নত্বারোপ করেন।
এসময় বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে লক্ষ্মী পুরী বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাস'্য, শিড়্গা, পরিবেশ, জ্বালানিসহ বিভিন্ন ড়্গেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক দি এজেন্ট অব চেইঞ্জ পুরস্কার প্রাপ্তির বিষয়টি উলেস্নখ করে বলেন, বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লড়্গ্যমাত্রা (এসডিজি) বাসত্মবায়নের ড়্গেত্রেও গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি জেন্ডার সংক্রানত্ম কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে স্পিকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
স্পিকার আরো বলেন, নারী নেতৃত্বের ড়্গেত্রে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন থেকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে এ কার্যক্রমকে বেগবান করতে সেমিনার, ওয়ার্কশপ, সিম্পোজিয়ামসহ জনসচেতনামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এড়্গেত্রে সংসদ সদস্যগণ তৃণমূল পর্যায়ে গুরম্নত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।
#
হুদা/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৮৭
পূর্ণাঙ্গ মানুষ তৈরিতে স্কাউট গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে
-- শিড়্গামন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :
শিড়্গামন্ত্রী নুরম্নল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, স্কাউটিং শিশু-কিশোর যুবকদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য একটি আদর্শ আন্দোলন। এ আন্দোলনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিশু-কিশোর যুবকরা হয়ে উঠে দেশ ও সমাজ গঠনের গুরম্নত্বপূর্ণ অংশ। তিনি বলেন, মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে রোভার স্কাউট গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোভার স্কাউট গ্রম্নপের সুবর্ণজয়নত্মী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৬৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোভার স্কাউট গ্রম্নপ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর সদস্যরা সুদীর্ঘ পথ পরিক্রমায় আত্মগঠন এবং দেশের দুর্যোগকালে গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। তিনি এ স্কাউট গ্রম্নপের প্রাক্তন ও বর্তমান সকল সদস্যকে সুবর্ণজয়নত্মী পালন করতে পারায় অভিনন্দন জানান। তিনি স্কাউট সদস্যদেরকে সমাজের উপযুক্ত কর্মী ও সমাজসেবক হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রম্নপের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারম্নজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বাংলাদেশ স্কাউটসের সভাপতি ও এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রধান জাতীয় কমিশনার ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রম্নপের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর এ কিউ এম মাহবুব এবং স্কাউট গ্রম্নপের উপদেষ্টা কে এম মহসিন বক্তৃতা করেন।
এর আগে শিড়্গামন্ত্রী টিএসসি মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রম্নপের সুবর্ণজয়নত্মী উৎসব উদ্বোধন করেন।
#
আফরাজ/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৭৩০ ঘণ্টা
Handout Number : 3786
Prime Minister Message on the International Human Rights Day
Dhaka, 9 December :
Prime Minister Sheikh Hasina has given the following message on the occasion of the International Human Rights Day.
''On the occasion of the International Human Rights Day, I, on behalf of the government and people of Bangladesh, reaffirm Bangladesh's unwavering commitment to upholding the human rights and fundamental freedoms of all people around the globe as enshrined in the Universal Declaration of Human Rights.
Bangladesh has always been at the global forefront in demonstrating its consistent engagement with human rights mechanisms and institutions and in living up to its national and international obligations to promote and protect human rights.
Drawing inspiration from our Constitution and the electoral commitments, our government has made relentless efforts during the last seven and a half years to uphold the human rights and fundamental freedoms of every citizen.
Commensurate with our Vision 2021 and Vision 2041, we remain committed to combating poverty, hunger, disease and illiteracy that constitute violation of human rights and dignity and create obstacles to the full enjoyment of human rights ' and social justice by certain number of our people.
We attach utmost priority to combating all forms of violence against women and children and would make sure that the perpetrators of such violence are brought to justice. We envisage building a society that is truly safe, secure and sustainable for our future generations. Our government safeguards the independence and free space enjoyed by our media and civil society as an article of faith.
With the overwhelming support of our people, we have lived up to our commitment to ensure justice for the victims of the heinous crimes against humanity and genocide committed during our Liberation War in 1971. In the same spirit, we reaffirm our pledge on this Human Rights Day to continue to support the just struggles for peace, justice, freedom and human rights of peoples anywhere in the world.
#
Asraful/Selim/Mosharaf/Abbas/2016/1808 Hoursতথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৮৫
জাতীয় ভ্যাট দিবস উপলড়্গে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৫ অগ্রহায়ণ( ৯ ডিসেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ‘জাতীয় ভ্যাট দিবস’ উপলড়্গে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে ১০ ডিসেম্বর ‘জাতীয় ভ্যাট দিবস-২০১৬’ এবং ০৯-১৫ ডিসেম্বর ‘জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ-২০১৬’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এই উপলড়্গে আমি দেশের সম্মানিত করদাতাসহ রাজস্ব আদায় ও ব্যবস'াপনার সাথে সংশিস্নষ্ট সকলকে আনত্মরিক শুভেচ্ছা জানাই।
বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমাগত প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বৈশ্বিক নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও এদেশের জিডিপি’র প্রবৃদ্ধির হার বিগত সাত বছর ধারাবাহিকভাবে ছয় শতাংশের ওপর বিদ্যমান। আমাদের মাথাপিছু আয় বাড়ছে, দারিদ্র্যের হার ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। দেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত করতে সরকার বাসত্মব ও জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। এই সকল উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে সম্মিলিত উদ্যোগের পাশাপাশি বিপুল অর্থের যোগান নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
অভ্যনত্মরীণ রাজস্বই মূলত অর্থনীতির প্রাণ। সরকারের বাজেট পরিকল্পনা বাসত্মবায়ন ও দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য রাজস্ব অনিবার্য উপাদান। দেশের রাজস্ব ভা-ার সমৃদ্ধ করতে মূলত মূসক (ভ্যাট), সম্পূরক শুল্ক, আমদানি শুল্ক ও আয়কর গুরম্নত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ভ্যাট প্রদানে জনগণকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি ভ্যাট প্রদান পদ্ধতি সরলীকরণ করার জন্য সরকার রাজস্বনীতি ও রাজস্ব ব্যবস'াপনাকে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় এনেছে। ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ পালনের মাধ্যমে দেশে একটি রাজস্ববান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হবে বলে আমার বিশ্বাস।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড রাষ্ট্রের সর্বড়্গেত্রে রাজস্ববান্ধব সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ আয়োজন করে প্রথাগত রাজস্ব প্রশাসনে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। আমি দেশ ও জনগণের স্বার্থে প্রত্যেক নাগরিককে যথাযথভাবে প্রযোজ্য ভ্যাট প্রদান করে তাঁদের আইনি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাই।
করতাদাগণ সঠিকভাবে ভ্যাট প্রদান করলেই ‘ভ্যাট দিচ্ছে জনগণ, দেশের হচ্ছে উন্নয়ন’ এই সেস্নাগান সার্থক হবে। সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করার উদ্যোগ অন্যদেরও রাজস্ব প্রদানে উৎসাহিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।
‘জাতীয় ভ্যাট দিবস-২০১৬’ ও ‘ভ্যাট সপ্তাহ-২০১৬’ সফল হোক, এ কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/১৭২৩ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৮৪
জাতীয় ভ্যাট দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৪ অগ্রহায়ণ (৮ ডিসেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ ডিসেম্বর জাতীয় ভ্যাট দিবস এবং ৯-১৫ ডিসেম্বর-২০১৬ জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ উপলড়্গে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে ১০ ডিসেম্বর ‘জাতীয় ভ্যাট দিবস, ২০১৬’ এবং ৯-১৫ ডিসেম্বর ‘জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ, ২০১৬’ দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলড়্গে আমি দেশের সম্মানিত করদাতা, ভ্যাট প্রশাসন, ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশিস্নষ্ট সকলকে আনত্মরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠন করেন। আওয়ামী লীগ সরকার সমৃদ্ধ রাজস্বভান্ডার তৈরির সুবিধার্থে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে শক্তিশালীকরণে যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। আমরা দেশের রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস'াপনাকে যুগোপযোগী করার লড়্গ্যে পুরো রাজস্ব প্রশাসনকে ঢেলে সাজিয়েছি। সমগ্র কর ব্যবস'াপনাকে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির আওতায় আনা হয়েছে। এতে রাজস্ব প্রদান ও রাজস্ব আহরণ উভয় কার্যক্রমই সহজ ও সরল হয়েছে এবং ক্রমান্বয়ে রাজস্ব আহরণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সময় ও অর্থের সাশ্রয় করে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর মূল্য সংযোজন কর ব্যবস'া প্রবর্তনের লড়্গ্যে নতুন ‘মূল্য সংযোজন কর আইন, ২০১২’ আগামী বছর বাসত্মবায়নের জন্য আমাদের সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
উন্নয়নের অক্সিজেন রাজস্ব। আত্মমর্যাদায় বলীয়ান স্বনির্ভর জাতির চাবিকাঠি হচ্ছে সমৃদ্ধ রাজস্বভা-ার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কাঙিড়্গত পরিমাণ অভ্যনত্মরীণ সম্পদ আহরণের মাধ্যমে জাতির এ লড়্গ্য অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আমি বিশ্বাস করি, করদাতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে ‘জাতীয় ভ্যাট দিবস, ২০১৬’ এবং ‘জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ, ২০১৬’ এর সফল বাসত্মবায়ন সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।
আসুন, সবাই মিলে সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাসত্মবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার আজন্ম লালিত স্বপ্ন ড়্গুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলি।
আমি ‘জাতীয় ভ্যাট দিবস, ২০১৬’ এবং ‘জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ, ২০১৬’ সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
নজরম্নল/মাহমুদ/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৭০০ ঘণ্টা