তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৭৮
পরমাণু শক্তি কমিশনে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ ম)ে :
আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের ড. আনোয়ার হোসেন মিলনায়তনে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
মন্ত্রী বলেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন একজন একনিষ্ঠ দেশপ্রেমিক ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানের উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়- এ বিশ্বাস নিয়ে ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান উন্নয়নের জন্য আজীবন চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। তাঁর মেধা, মনন ও সৃজনশীলতা দিয়ে জনগণের কল্যাণে তিনি কাজ করে গেছেন। তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলেই আজ বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় ব্যাপক উন্নয়ন ও গবেষণার দ্বার প্রসারিত হয়েছে।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আনোয়ার হোসেন ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নঈম চৌধুরী। এছাড়াও এম এ ওয়াজেদ মিয়ার বর্ণাঢ্য জীবনের উপর সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করেন কমিশনের বৈজ্ঞানিক তথ্য বিভাগের পরিচালক মোঃ খোরশেদ আলম।
অনুষ্ঠানে মোনাজাতের মাধ্যমে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। এসময় কমিশনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
কামরুল/ফারহানা/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৭৭
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রস্তুতি সভায় তথ্যমন্ত্রী
শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সাংস্কৃতিক ঘাটতি পূরণ
ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ ম)ে :
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, অতীতের সামরিক-সাম্প্রদায়িক সরকারেরা দেশকে অন্ধকারের অতলে ঠেলে দিয়েছিল, সংস্কৃতি ও নৈতিকতা মার খেয়েছিলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ আবারো গণতন্ত্র ও উন্নয়নের পথে হাঁটছে, সংস্কৃতি ও নৈতিকতার ঘাটতি পূরণ করছে। আর চলচ্চিত্র হচ্ছে সেই ঘাটতি পূরণের অন্যতম হাতিয়ার।
আজ ঢাকায় সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আগামী ৮ জুলাই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিমূলক সভায় আয়োজক পরিষদের প্রধান উপদেষ্টার বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। আয়োজিক পরিষদের বিশেষ উপদেষ্টা তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের উপস্থিতিতে সভাটি পরিচালনা করেন তথ্যসচিব আবদুল মালেক।
এবারের পুরস্কারটি এমন সময় দেয়া হচ্ছে যখন বাংলাদেশ উন্নয়নশীলদের কাতারে পা রেখেছে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সফল উৎক্ষেপণের মাধ্যমে দেশের মহাকাশ যুগ শুরু হয়েছে বর্ণনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এবারের অনুষ্ঠান হবে অনন্য। প্রতিবারের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে সার্থক করবে, বলেন তিনি।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ব্যতিক্রমী, আধুনিক, রুচিসসম্মত ও মানসম্পন্ন আয়োজনই আমরা প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে চাই। তথ্যসচিব বলেন, সকল উপ-কমিটি পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কাজটি সুন্দর করবে।
প্রধান তথ্য অফিসার কামরুন নাহার, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আবুয়াল হোসেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এস এম হারুন-অর-রশীদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও চলচ্চিত্র) মোঃ আজহারুল হক, চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর হোসেনসহ তথ্য মন্ত্রণালয় ও এর সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় অংশ নেন।
#
আকরাম/মাহমুদ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৭৬
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ প্রাপ্তির ৪৪ বছর পূর্তি উদ্যাপন
এবং ‘বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক’ প্রদান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ প্রাপ্তির ৪৪ বছর পূর্তি উদ্যাপন এবং ‘বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক’ প্রদান উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৪৪ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে জুলিও কুরি বঙ্গবন্ধু শান্তি সংসদ ‘বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক’ প্রদান করছে জেনে আমি আনন্দিত।
জাতির পিতা ছিলেন বিশ্বের মুক্তিকামী, নিপীড়িত, মেহনতি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা। শান্তি, সাম্য, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন। জেল-জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেছেন। তাঁর অতুলনীয় সাংগঠনিক দক্ষতা, রাষ্ট্রনায়কোচিত প্রজ্ঞা, মানবিক মূল্যবোধ, ঐন্দ্রজালিক ব্যক্তিত্ব বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ করে। তাঁর নির্দেশে বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়। তিনি গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদকে রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে ঘোষণা করেন। বিশ্ব রাজনীতিতে তিনি একটি নতুন দর্শন প্রতিষ্ঠা করেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংঘাতময় পরিস্থিতি উত্তরণে তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন করেন। বিশ্বশান্তি পরিষদের শান্তি পদক কমিটি জাতির পিতার কর্মের স্বীকৃতিপত্রে এ বিষয়গুলো উল্লেখ করে তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৩ সনের ২৩ মে তাঁকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদকে ভূষিত করে। এটি ছিল বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মান প্রাপ্তি।
বঙ্গবন্ধু ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বৈরিতা নয়’ এবং ‘সকল বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান’কে পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় সব সময় জাতির পিতার নীতি ও আদর্শকে অনুসরণ করেছে। আমরা শান্তির জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাকে করণীয় হিসেবে গ্রহণ করেছি, যা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তিতে আমাদের সাহায্য করেছে।
আমি আশা করি, ‘জুলিও কুরি বঙ্গবন্ধু শান্তি সংসদ’ এর উদ্যোগ বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ অর্জনের জাতীয় ইতিহাসকে সংরক্ষণ ও গণমানুষের কাছে তুলে ধরতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী সমৃদ্ধ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব।
আমি জুলিও কুরি বঙ্গবন্ধু শান্তি সংসদ আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুুলিও কুরি শান্তি পদক’ প্রাপ্তির ৪৪ বছর পূর্তি উদ্যাপন এবং ‘বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক’ প্রদান অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৭৫
প্রতিটি বাড়িকে উৎপাদনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তোলা হবে
--- এলজিআরডি মন্ত্রী
ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ) :
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হচ্ছে ‘একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প’। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২০ সালের মধ্যে গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি বাড়িকে উৎপাদনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই) মিলনায়তনে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের ‘উপজেলা সমন্বয়কারী সম্মেলন ২০১৮’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রকল্পের পরিচালক আকবর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব এস এম গোলাম ফারুক। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি)-এর মহাপরিচালক মুহম্মদ মউদুদউর রশীদ সফদার, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই)-এর প্রধান প্রকৌশলী মোঃ রশিদুল হক ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (আরডিএ) মহাপরিচালক এম এ মতিন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে। দেশের অতি দরিদ্র জনগণকে স্বাবলম্বী করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবার যাতে উৎপাদনমুখী হিসেবে পরিণত হয় সে লক্ষ্যে এ প্রকল্প উপহার দিয়েছেন। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সুবিধা প্রতিটি দরিদ্র পরিবারে পৌঁছে দিতে সরকার পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি আরো বলেন, প্রকল্পের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ মেধা, যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে আত্মীকৃত হবেন। এ জন্য সরকার আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের শতভাগ সুবিধা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নির্দেশনা দেন।
পরে মন্ত্রী ‘উপজেলা সমন্বয়কারী সম্মেলন ২০১৮’-এর উদ্বোধন করেন।
#
জাকির/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৭৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৭৪
শীঘ্রই ঢাকায় বিধবা ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে
--- সমাজকল্যাণমন্ত্রী
ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ) :
সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই প্রথম ১৯৭৪ সালে দেশে সরকারিভাবে ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থার প্রচলন করেন। তাঁর মেয়ে আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথম ক্ষমতায় এসে অসহায় মানুষের জন্য নানা রকম ভাতার প্রচলন করেন। বিধবা ভাতা ঢাকার বাইরে বর্তমানে চালু থাকলেও ঢাকায় এটি কি কারণে নেই তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শীঘ্রই ঢাকায় বিধবা ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।’
আজ ঢাকায় মতিঝিলের এজিবি কলোনির কমিউনিটি সেন্টারে শহর সমাজসেবা কার্যালয়-২, রমনা, ঢাকা আয়োজিত বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতা বই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিভাগীয় সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক তপন কুমার সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটির কর্পোরেশনের ৮, ৯, ১০ ও ১১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগণসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
ভাতা গ্রহণে গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বা চেয়ারম্যানেরা উৎকোচ গ্রহণ করেন এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে মেনন বলেন, ‘পূর্বে কি হয়েছে তা জানি না কিন্তু আমি এই মন্ত্রণালয়ে থাকাকালীন দেশের কোনো প্রান্তে এরকম দুর্নীতির খবর এলে কঠোর ব্যবস্থা নেব।’ মন্ত্রী অসহায় মানুষদের কাছ থেকে টাকা না নিতে সকল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও চেয়ারম্যানদের সতর্ক করে দেন।
অনুষ্ঠান শেষে সমাজকল্যাণমন্ত্রী রমনা ও মতিঝিল থানা থেকে আগত অসহায়, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের হাতে ভাতা বই তুলে দেন।
#
মাইদুল/মাহমুদ/পারভেজ/জয়নুল/২০১৮/১৭৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৭৩
কৃষি খাসজমি বন্দোবস্ত ও ডিসিআর ভূমিহীন কৃষককে দিতে হবে
- ভূমিমন্ত্রী
ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ ম)ে:
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেন, কৃষি খাসজমি বন্দোবস্ত ও ডিসিআর অবশ্যই ভূমিহীন কৃষক পাবে। এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্টদের সরেজমিনে তদন্তপূর্বক প্রকৃত ভূমিহীনের নামে ডিসিআর প্রদানের নির্দেশ দেন।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আজ জাতীয় কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা নির্বাহী কমিটির ৩৪তম সভায় সভাপতির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ভূমিসচিব আ. জলিল এবং বিভাগীয় কমিশনারসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
কৃষি খাসজমিতে চাষাবাদের মৌসুমে ভূমিদস্যুরা কৌশলে ডিসিআর খাজনা কেটে কৃষক ঘরে ফসল তোলার আগেই জমিতে হানা দিয়ে কৃষকদেরকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালায়। এতে কৃষকরা আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, খাসজমির ডিসিআর কাটার আগেই ভূমি অফিস থেকে সরেজমিনে জমির বর্তমান অবস্থা জেনে তারপর বন্দোবস্ত বা ডিসিআর দিতে হবে। এক্ষেত্রে যদি ঐ জমি কোনো ভূমিহীন কৃষক চাষাবাদ করে থাকেন তবে ডিসিআর ঐ ভূমিহীনকেই দিতে হবে। সভায় কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত নীতিমালা ১৯৯৭ অনুসারে ৯৯ বছর মেয়াদী বন্দোবস্ত গ্রহীতা বা তার বৈধ ওয়ারিশগণ অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণ পাওয়ার বিষয়টি কৃষিখাসজমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ১৯৯৭ এ সংযোজনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৯৭ সালের পূর্বে যে সকল বন্দোবস্তকৃত কৃষিখাসজমি নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর হস্তান্তরযোগ্য ছিল, সে সকল কৃষি জমির বন্দোবস্ত গ্রহীতা অথবা বৈধ হস্তান্তরের ভিত্তিতে সর্বশেষ মালিকগণ যথারীতি ক্ষতিপূরণ পাবেন মর্মে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে বলে সভায় অবহিত করা হয়।
#
রেজুয়ান/রিফাত/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৮/১৫৩২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৭২
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক
ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ ম)ে:
জাতীয় সংসদের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৩০তম বৈঠক কমিটির সভাপতি মোঃ একাব্বর হোসেনের সভাপতিত্বে আজ সংসদভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
[[[
কমিটির সদস্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, এ কে এম এ আউয়াল
(সাইদুর রহমান), রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, নাজমুল হক প্রধান, মো. মনিরুল ইসলাম এবং নাজিম উদ্দিন আহমেদ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে সড়ক গবেষণাগারের সার্বিক কার্যক্রম এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের রাজশাহী জোনের আওতাধীন চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের সর্বশেষ অবস্থা ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন ও আলোচনা করা হয়।
সড়ক গবেষণাগারের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে যারা বসবাস করছে এবং সরকারি গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে তাদেরকে দ্রুত অপসারণের জন্য সরেজমিন খোঁজখবর নিয়ে কমিটি আগামী বৈঠকে রিপোর্ট প্রদানের সুপারিশ করে।
বৈঠকে নিরাপদ সড়ক ও দুর্ঘটনা রোধকল্পে প্রস্তাবিত ‘‘সড়ক পরিবহন (খসড়া) আইন ২০১৭’’ দ্রুত প্রস্তুত এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের রাজশাহী জোনের আওতাধীন চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের সর্বশেষ অবস্থা সরেজমিন পরিদর্শনের জন্য মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
#
নীলুফার/রিফাত/জসীম/আসমা/২০১৮/১৫০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৭১
শিক্ষামন্ত্রীর শান্তিনিকেতনে গমন
ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে)ঃ
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আজ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত শান্তিনিকেতনে যাওয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। আগামীকাল শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিত ‘বাংলাদেশ ভবন’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেবেন। এ ভবনটি উদ্বোধন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ২৫ মে শুক্রবার ভারত সফর করবেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এসময় উপস্থিত থাকবেন।
শিক্ষামন্ত্রী ‘বাংলাদেশ ভবন’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সার্বিক প্রস্তুতি তদারক করতে অগ্রগামী দলের সদস্য হিসেবে সেখানে গেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মো. হানজালা গতকাল একই উদ্দেশ্যে শান্তিনিকেতনে গেছেন।
বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নির্মিত এ ভবনটি উদ্বোধনের সময় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ উপস্থিত থাকবেন।
#
আফরাজুর/রিফাত/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৮/১৫২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৭০
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন জারি
পাঁচটি জেলার নামের ইংরেজি বানান বাংলা উচ্চারণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণকরণ
ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে)ঃ
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২ এপ্রিল ২০১৮ অনুষ্ঠিত নিকারের সিদ্ধান্তের আলোকে পাঁচটি জেলার নামের ইংরেজি বানান বাংলা উচ্চারণের সংগে সামঞ্জস্যপূর্ণকরণ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম -এর ইংরেজি বানান ঈযরঃঃধমড়হম এর পরিবর্তে ঈযধঃঃড়মৎধস, কুমিল্লার ক্ষেত্রে ঈড়সরষষধ এর পরিবর্তে ঈঁসরষষধ, বরিশালের ক্ষেত্রে ইধৎরংধষ এর পরিবর্তে ইধৎরংযধষ, যশোরের ক্ষেত্রে ঔবংংড়ৎব এর পরিবর্তে ঔধংযড়ৎব এবং বগুড়ার ক্ষেত্রে ইড়মৎধ এর পরিবর্তে ইড়মঁৎধ রূপে সংশোধন করা হয়েছে।
সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ, অধিদপ্তর/দপ্তর/পরিদপ্তর, জেলা ও উপজেলাসহ বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহে এবং বাংলা ও ইংরেজি অভিধানে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনার লক্ষ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
#
মশিউর/রিফাত/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৮/১৫২৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৬৯
করপোরেট পার্টনার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করল এবিএল এবং টিভিএস অটো
ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে) :
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এটলাস বাংলাদেশ লিঃ (এবিএল) এর সাথে করপোরেট পার্টনার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে টিভিএস অটো বাংলাদেশ লিঃ। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আজ এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী আমীর হোসেন আমুর উপস্থিতিতে এটলাসের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আ ন ম কামরুল ইসলাম এবং টিভিএস এর পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার রায় সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশে মোটরসাইকেল কেন্দ্রিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। এ সমঝোতার ফলে দেশে শিক্ষিত বেকারদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ অবারিত হবে। যোগাযোগের ক্ষেত্রেও এটি ইতিবাচক অবদান রাখবে এবং বাংলাদেশে গুণগতমানের মোটরসাইকেলের বাজার প্রসারিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী দুই বছর মেয়াদী এ এটলাস বাংলাদেশ লিঃ এবং টিভিএস অটো বাংলাদেশ লিঃ করপোরেট পার্টনার হিসেবে কাজ করবে। টিভিএস থেকে এটলাস বাংলাদেশ লিঃ বছরে ১৫ থেকে ২০ হাজার মোটর সাইকেল সিকেডি বা সম্পূর্ণ বিযুক্ত অবস্থায় ক্রয় করে তা এটলাসের নিজস্ব কারখানায় সংযোজনপূর্বক সরবরাহ করবে। ফলে প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক অগ্রগতির পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ভ্যাট ও ট্যাক্সবাবদ প্রায় ১৫ কোটি টাকা জমা হবে। এছাড়া বাজার চাহিদা বিবেচনায় শীঘ্রই এটলাস বাংলাদেশ লিঃ এবং টিভিএস অটো বাংলাদেশ লিঃ যৌথভাবে বাংলাদেশে মোটরসাইকেলের গুরুত্বপূর্ণ খুচরা যন্ত্রাংশ উৎপাদনের বিনিয়োগের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করবে।
এসময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, পরিচালক (অর্থ) কামাল উদ্দিন, টিভিএস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জে একরাম হোসেন, উপদেষ্টা মো. আনছার আলী খানসহ শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিএসইসি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
#
জলিল/রিফাত/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৮/১৫১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৬৮
মিয়ানমারে ‘সেফ জোন’ তৈরির আহ্বান জানালেন মাসুদ বিন মোমেন
নিউইয়র্ক, ২৪ মে ২০১৮:
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ আহুত ‘সশস্ত্র সংঘাতকালে অসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা’ বিষয়ক এক উন্মুক্ত আলোচনা সভা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ২২ মে আয়োজিত হয়। সভায় বক্তব্য প্রদানকালে মিয়ানমারে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের জন্য ‘সেফ জোন’ তৈরির পুনরায় আহ্বান জানালেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে প্রদত্ত ভাষণে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য জাতিসংঘ বা সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক অংশীজনদের তত্ত্বাবধানে ‘সেফ জোন’ তৈরির আহ্বান জানিয়েছিলেন।
উন্মুক্ত আলোচনায় রাষ্ট্রদূত মাসুদ পাঁচদফা সুপারিশ উপস্থাপন করেন। এগুলো হলো: ১) জাতিসংঘ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সশস্ত্র সংঘাতের কৌশলগত বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। এক্ষেত্রে জাতিসংঘ ফিল্ড ম্যানেজমেন্টকে সহিংসতার অগ্রীম সতর্ক বার্তাসহ অসমারিক নাগরিকদের সম্ভাব্য হুমকির বিষয়গুলো অনুভব করার সামর্থ্যরে উন্নয়ন ঘটানো বাঞ্চনীয়। ২) মানবিক সাহায্য প্রদানকারী কর্মী এবং অসামরিক নাগরিকদের প্রয়োজনে বিভিন্ন ত্রাণ-সামগ্রী সরবরাহেরক্ষেত্রে বাধাহীন ও নিরাপদ পথ অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সংঘাতের বাইরে রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে। ৩) কোনো দেশে পাঠানো অস্ত্র ও গোলাবারুদ যাতে অসামরিক নাগরিকদের ওপর সৃষ্ট সহিংস অপরাধের কাজে এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনসমূহ লঙ্ঘনেরক্ষেত্রে ব্যবহৃত না হয় সে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে নিশ্চিত করতে হবে এবং এক্ষেত্রে তাদের দায়বদ্ধতা থাকতে হবে। ৪) নারী ও শিশুর ওপর সহিংসতা না করার যে বৈশ্বিক রীতি রয়েছে তা কার্যকর করা অত্যাবশ্যক। রোহিঙ্গাদের মানবিক বিপর্যয়েরক্ষেত্রে যৌন সহিংসতায় অনেক শিশুর জন্ম হয়েছে। সশস্ত্র সংঘাতে হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তি, কারাগারে আটক ব্যক্তি এবং যৌন সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুদের পরিবার ও সম্প্রদায়ের ভীতি মোকাবিলার বিষয়টিকে আমলে নিতে হবে। ৫) আন্তর্জাতিক মানবিক আইন ও মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘনেরক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা নিরূপণ ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক যাতে অসমারিক নাগরিকদের ওপর সহিংস অপরাধ করেও তার দায় থেকে পার পেয়ে যাওয়ার সংস্কৃতি বন্ধ হয়।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের চলতি এপ্রিল মাসের সভাপতি পোলান্ড এই উন্মুক্ত আলোচনার আয়োজন করে। এতে সদস্য ও পর্যবেক্ষক দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিসহ প্রায় ৮৫জন প্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন।
#
রিফাত/জসীম/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৮/১১১২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৬৭
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ মে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
বাংলা সাহিত্যের বিস্ময়কর এক প্রতিভা জাতীয় জাগরণের কবি কাজী নজরুল ইসলাম। মানবতা ও সাম্যের কবি নজরুল, আমাদের প্রাণের কবি। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী কবি নজরুল একাধারে ছিলেন গল্পকার, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, সম্পাদক ও অনুবাদক। অনন্যসাধারণ লেখনীর মাধ্যমে কবি আমাদের সাহিত্য, সংগীত ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন। বাংলা সাহিত্যে তাঁর রচনার বিদ্রোহী চেতনার যেমন অসামান্য রূপায়ণ ঘটেছে তেমনি প্রেম-প্রকৃতি ও নৈসর্গিক সৌন্দর্যবোধ প্রতিফলিত হয়েছে।
তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িকতা ও জাতীয়তাবোধের মূর্ত প্রতীক। অত্যাচার, নিপীড়ন ও শোষণের বিরুদ্ধে ছিলেন উচ্চকন্ঠ। তাঁর শিকল ভাঙ্গার গানে জেগে উঠেছিল ঝিমিয়েপড়া বাঙালি জাতি। বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে তাঁর লেখনী এ উপমহাদেশের মানুষকে উজ্জীবিত করেছিল। সংগ্রাম করে প্রগতির পথে এগিয়ে চলার সাহস যুগিয়েছিল।
কবি নজরুল তাঁর প্রত্যয়ী ও বলিষ্ঠ লেখনীর মাধ্যমে এদেশের মানুষকে মুক্তিসংগ্রামে অনুপ্রাণিত করেছেন, জাগ্রত করেছেন বাঙালি জাতীয়তাবোধ। বিদ্রোহী কবির অগ্নিঝরা কবিতা ও গান আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ছিল অনন্ত প্রেরণার উৎস।
বাংলাদেশের প্রকৃতি, মানুষ ও মানুুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা নজরুলকে গভীরভাবে আকর্ষণ করেছিল। এদেশের মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ও প্রীতিপূর্ণ আত্মিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবি নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করেন এবং তাঁকে সপরিবারে বাংলাদেশে এনে নাগরিকত্ব প্রদান করেন। জাতির পিতা অসুস্থ নজরুলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। শৌর্য-বীর্য ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের মন্ত্রে উজ্জীবিত কবির গান ‘চল্ চল্ চল্’ বাংলাদেশের রণসঙ্গীত।
আমি আশা করি, নতুন প্রজন্ম নজরুল চর্চার মাধ্যমে নিজেদের সমৃদ্ধ করে দেশপ্রেম ও সততা দিয়ে অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে।
আমি কবির ১১৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/রিফাত/জসীম/সুবর্ণা/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৮/১২৩৭ ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ১৫৬৬
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামরে জন্মর্বাষকিী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতরি বাণী
ঢাকা, ১০ জ্যষ্ঠৈ (২৪ ম)ে :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামদি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামরে ১১৯তম জন্মর্বাষকিী উপলক্ষে নম্নিোক্ত বাণী প্রদান করছেনে :
"জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামরে ১১৯তম জন্মর্বাষকিীতে আমি তাঁর স্মৃতরি প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।
বাংলা সাহত্যি-সংগীতে কাজী নজরুল ইসলামরে অবদান অনস্বীর্কায। তাঁর লখোয় অন্যায়, অসত্য, নর্যিাতন, পরাধীনতার গ্লানি ও শৃঙ্খলা মোচনরে দীপ্ত উচ্চারণ যুগ যুগ ধরে মানুষকে সাহসী হওয়ার অনুপ্ররেণা যুগয়িছে।ে নজরুলরে বলষ্ঠি লখেনীতে প্রকাশ পয়েছেে পরাধীনতা, সাম্রাজ্যবাদ, সাম্প্রদায়কিতা, কুসংস্কার, র্ধমান্ধতা, শোষণ-বঞ্চনার বরিুদ্ধে তাঁর দৃঢ় অবস্থান। র্ধম-র্বণরে র্উধ্বে উঠে তনিি গয়েছেনে মানবতার জয়গান। পাশাপাশি তাঁর রচতি গজল, রাগ-রাগণিী আজও মানব হৃদয়কে দোলা দয়ে। নজরুল কবেল সংগ্রাম ও সাম্যরে কবি নয়, তারুণ্য ও যৌবনরে কব,ি জাতীয় জাগরণরে কব।ি
র্সবকালরে র্সবশ্রষ্ঠে বাঙালি জাতরি পতিা বঙ্গবন্ধু শখে মুজবিুর রহমান নজরুলরে প্রতি প্রগাঢ় অনুরাগ ও ভালোবাসার বহঃিপ্রকাশ হসিবেে তাঁকে সপরবিারে বাংলাদশেে এনে বসবাসরে ব্যবস্থা করনে। নজরুল যে অসাম্প্রদায়কি, বষৈম্যহীন, শোষণমুক্ত ও শান্তপর্িূণ সমাজ প্রতষ্ঠিার স্বপ্ন দখেতনে, তা বাস্তবায়নে আমাদরে সকলরে সম্মলিতি প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হব।ে আমি বশ্বিাস কর,ি আমাদরে র্কম, চন্তিা ও মননে কবরি অবনিশ্বর উপস্থতিি বাঙালি জাতরি প্রাণশক্তকিে চরিকাল জাগরতি রাখব।ে
আমি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামরে ১১৯তম জন্মর্বাষকিী উপলক্ষে আয়ােজতি সকল অনুষ্ঠানরে র্সাবকি