তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৯২
বাংলাদেশের উন্নয়নে এবং যেকোনো দুর্যোগে তুরস্ককে পাশে পেয়েছে বাংলাদেশ
-- ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ জ্যৈষ্ঠ (৯ জুন) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, তুরস্ক বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে এবং যেকোনো দুর্যোগে তুরস্ককে পাশে পেয়েছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে রোহিঙ্গা সংকট উত্তরণে তুরস্কের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয় ।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে TIKA (তার্কিশ ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এন্ড কোঅর্ডিনেশন এজেন্সি) কর্তৃক কক্সবাজারস্থ শরণার্থী কমিশনারের কার্যালয়ে সরবরাহকৃত গাড়ির চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত Mustafa Osman Turan দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সরকারের সাফল্যের প্রশংসা করেন । এ দেশের উন্নয়নে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে রাষ্ট্রদূত প্রতিমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন । বিশেষ করে মিয়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে তাদের ভূমিকা পূর্বের মতোই অব্যাহত থাকবে বলে প্রতিমন্ত্রীকে জানান।
এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোহসীন, অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মোহাম্মদ নাসিম, রঞ্জিত কুমার সেন, আলী রেজা মজিদ, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, বেগম রওশন আরা,শরণার্থী কমিশনার শাহ্ মোহাম্মদ রিজওয়ান হায়াত এবং TIKA'র প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর Ismail Gundogdu উপস্থিত ছিলেন।
#
সেলিম/নাইচ/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২২২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৯১
ময়মনসিংহ বিভাগে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত
ঢাকা, ২৬ জ্যৈষ্ঠ (৯ জুন) :
ময়মনসিংহ বিভাগে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
ময়মনসিংহ বিভাগের আওতাধীন ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা জেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ শাখা হতে পাঠানো পৃথক পৃথক বিবরণীতে এ সংক্রান্ত তথ্য জানানো হয়েছে।
ময়মনসিংহ জেলায় ত্রাণ সহায়তা হিসেবে বরাদ্দকৃত ৮ কোটি ৮০ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৯৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপকারভোগীর সংখ্যা ৮৭ হাজার ৫৯০টি পরিবারের ৪ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯৫০ জন মানুষ। ময়মনসিংহ মহানগর এলাকার জন্য ত্রাণ হিসেবে বরাদ্দকৃত ১০ লক্ষ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৫ লক্ষ টাকা ১ হাজার ২৫০টি পরিবারের ৬ হাজার ২৫০ জন মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
এ জেলায় ভিজিএফ (আর্থিক সহায়তা) হিসেবে বরাদ্দকৃত ৩৯ কোটি ২ লক্ষ টাকার পুরোটাই বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপকারভোগী ৮ লক্ষ ৬৭ হাজার ১২৮টি পরিবারের ৪৩ লক্ষ ৩৫ হাজার ৬৪০ জন মানুষ।
ময়মনসিংহ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ১৩ লক্ষ টাকা নগদ অর্থের মধ্যে ৬ লক্ষ টাকা ৯০০ টি পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ময়মনসিংহ মহানগরী এলাকায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ১৫ লক্ষ টাকা নগদ অর্থের পুরোটাই ৩ হাজার ৭৫০টি পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ জেলায় গোখাদ্যের জন্য বরাদ্দকৃত ১৩ লক্ষ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৪ লক্ষ টাকা ৩৮৩ জন গৃহস্থের মাঝে বিতরণ করা হয়। উল্লেখ্য, ৩৩৩ এর মাধ্যমে মোট উপকারভোগী পরিবার ৬১৫টি।
নেত্রকোনা জেলায় ত্রাণ সহায়তা হিসেবে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৪৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপকারভোগীর সংখ্যা ৫৫ হাজার ৫০১ টি পরিবারের ২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৫০৫ জন মানুষ।
এ জেলায় ভিজিএফ (আর্থিক সহায়তা) হিসেবে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ২৯ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার পুরোটাই বিতরণ করা হয়েছে । ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৭৩৪টি পরিবারের ৫ লক্ষ ৮৮ হাজার ৬৭০ জন মানুষের মাঝে এ অর্থ বিতরণ করা হয়। এছাড়া, শিশু খাদ্য হিসেবে ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়, যার মধ্যে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ১৫০০।
গোখাদ্য হিসেবে বরাদ্দকৃত ১০ লক্ষ টাকার মধ্যে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়। ৩৫০ জন গৃহস্থের মাঝে গোখাদ্যের এ অর্থ বিতরণ করা হয়। উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত ৩৩৩ এর মাধ্যমে জেলায় মোট সেবা গ্রহীতার পরিবার সংখ্যা ১৮০টি।
#
মাহমুদুল/পাশা/নাইচ/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৯০
সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রধানতম ভিত্তি
-- মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ২৬ জ্যৈষ্ঠ (৯ জুন) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভিত্তি। এরই ফল স্বরূপ জনগণ সেবা নিতে আসবে না বরং সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে- সেবা প্রাপ্তি সহজ হবে । অন্যদিকে ডিজিটাল সংযুক্তি হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের মহাসড়ক।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীন সংস্থাসমূহের উদ্ভাবন প্রদর্শণ উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ন সচিব দেওয়ান মোঃ হুমায়ুন এবং আইসিটি বিভাগের যুগ্ন-সচিব সেলিনা পারভেজ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীন সংস্থাসমূহের প্রধানগণ স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত ডিজিটাল প্রযুক্তি উপস্থাপন করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, জাতি হিসেবে বাঙালি চিরকাল উদ্ভাবক ও সৃজনশীল জাতি। তা না হলে তলাবিহীন ঝুড়ি খ্যাত বাংলাদেশ আজকের এই অবস্থায় আসতে পারতো না। তিনি বলেন, জাতির পিতা তাঁর সাড়ে তিন বছরের শাসনের মাধ্যমে যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়েও সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের উন্নয়নের বীজ বপন করে তা চারা গাছে রূপান্তর করে গেছেন। তারই সুযোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ১৬ বছরে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আজ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। মন্ত্রী সৃজনশীলতা ও ডিজিটাল কানেক্টিভিটির মহাসড়ক সামনে রেখে অগ্রযাত্রা আরও বেগবান করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা তৈরি করার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীন অধিদপ্তর ও সংস্থাসমূহের ডিজিটাল উদ্ভাবন প্রদর্শন করা হয়। সবগুলো প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল ইনোভেশন দেখে মন্ত্রী উদ্ভাবকদের প্রশংসা করেন। তারা তাদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি অন্যরাও কাজে লাগাতে পারে সে ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। প্রদর্শনীতে টেলিটক, বিটিআরসি এবং সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানিকে উদ্ভাবনের জন্য সেরা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা উদ্ভাবনকে জাতীয় অগ্রগতির হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগাতে এবং উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহারে টেকসই কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
#
শেফায়েত/পাশা/নাইচ/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২০৫৮ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৮৯
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে সারা বিশ্বে
-- ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ জ্যৈষ্ঠ (৯ জুন) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, ভৌগলিক অবস্থান, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব, ঘনবসতি ইত্যাদি কারণে বাংলাদেশকে প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো প্রাকৃতিক ও মানব সৃষ্ট দুর্যোগের মোকাবিলা করতে হয়। সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' মোকাবিলায়ও সরকারের ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল। দারিদ্র্য বিমোচনসহ সামাজিক নিরাপত্তা অর্জনে জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে করেছে সমৃদ্ধ । দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে সারা বিশ্বে ।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায়' বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে "দুর্যোগে পূর্বাভাসভিত্তিক সাড়াদান কৌশল' নির্ধারণে আয়োজিত দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোহসীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কি-নোট পেপার উপস্থাপন করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রণজিৎ কুমার সেন ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ ঝুকি-হ্রাস ও দুর্যোগ মোকাবিলা বিষয়ক কার্যক্রমকে সমন্বিত, লক্ষ্যভিত্তিক ও শক্তিশালী করা এবং সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় কার্যকর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০১২, জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০১৫, জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ২০১৬-২০২০, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০১১, মৃতদেহ ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা-২০১৬, দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলী (এসওডি) ২০১৯ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ দলিল প্রণীত হয়েছে । এর মাধ্যমে বিভিন্ন পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে প্রতিবন্ধী, নারী, বয়স্ক ব্যক্তি ও শিশুসহ দুর্গত জনগোষ্ঠীর চাহিদা নিরূপন ও বাস্তবায়ন । ২০১৫-২০৩০ সাল মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য প্রণীত হয়েছে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)।
এনামুর রহমান বলেন, জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে দুর্যোগ পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ, আসন্ন দুর্যোগের কবল থেকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণের জন্য বেতার, টেলিভিশন এবং স্থানীয়ভাবে দুর্যোগ প্রবণ এলাকায় মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচারণার পাশাপাশি দ্রুত ও অধিকতর কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে ইন্টারেক্টিভ ভয়েস রেসপন্স (ওঠজ) চালু করা হয়েছে । মোবাইল ফোন নম্বর থেকে ১০৯০ (টোল ফ্রি) নম্বরে ডায়াল করে দুর্যোগের আগাম বার্তা পেয়ে জনগণ পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে । এ বার্তাকে আরো অধিকতর জনবান্ধব করার লক্ষ্যে কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে স্থানীয় ভাষায় বার্তা প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোহসীন বলেন, দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে দুর্যোগ সহনীয় টেকসই নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় পরিকল্পিতভাবে কাঠামোগত ও অকাঠামোগত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। স্বাধীনতার পর উপকূলীয় অধিবাসীদের জান-মাল ও সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি লাঘব করার লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে প্রায় ৭৪ হাজার সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক উপকূলীয় এলাকায় কাজ করছেন । সিপিপি বিশ্বব্যাপী সেরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের একটি হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। দুর্যোগ প্রস্তুতি, প্রশমন ও ব্যবস্থাপনার সাথে সাথে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে বিকশিত হয়েছে।
#
সেলিম/পাশা/নাইচ/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৮৮
দেশীয় মাছ রক্ষায় প্রজনন সময় নির্ধারণ করে নিষিদ্ধকাল আরোপ করা হবে
-- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব
ঢাকা, ২৬ জ্যৈষ্ঠ (৯ জুন) :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ বলেছেন, “দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছ রক্ষায় প্রজননকাল নির্ধারণ করে ঐ সময় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হবে। তবে নিষিদ্ধকাল হবে স্বল্প সময়ের জন্য। এক্ষেত্রে সবচেয়ে কম সময় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে সবচেয়ে ভালো ফলাফল পেতে হবে। এজন্য একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হবে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে প্রয়োজনে উপজেলাভিত্তিক পাইলটিং এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছ সংরক্ষণে সম্মিলিতভাবে কাজ করার বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে জনসম্পৃক্ততাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
আজ রাজধানীর মৎস্য ভবনে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) আয়োজিত ‘বাণিজ্যিক গুরুত্বসম্পন্ন দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছের প্রজননকাল নির্ধারণ ও সংরক্ষণ’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. এ এইচ এম কোহিনুর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব বলেন, “দেশের মৎস্য খাতের প্রবৃদ্ধি অভাবনীয়। আমরা দেশের যে কয়টি বিষয়ে সফলতার কথা বলি, গর্বের কথা বলি মৎস্য খাত তার মধ্যে অন্যতম। জলাশয় কমে যাওয়াসহ নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বর্তমানে দেশে মাছের উৎপাদন প্রায় ৪৬ লক্ষ মেট্রিক টন।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ বলেন, “দেশীয় মাছের প্রজননকাল নিয়ে মৎস্য অধিদপ্তর কাজ করছে। দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণে নতুন প্রকল্পও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তাছাড়া জনগণকে সচেতন করতে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মাছের অভয়াশ্রম সংরক্ষণ ও বিএফআরআই উদ্ভাবিত মাছের চাষ প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য মৎস্য অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে।”
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, “গবেষণার ফলাফল মাঠে সম্প্রসারণ করা না গেলে গবেষণার কোন মূল্যই নেই। এজন্য বিএফআরআই এর সব গবেষণায় মৎস্য অধিদপ্তরকে সম্পৃক্ত করা হবে। তাছাড়া জনগণকে সম্পৃক্ত করতে না পারলে কোন গবেষণায় সাফল্য পাওয়া যাবে না।”
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ এবং সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম। কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, যুগ্ম সচিব ড. মোঃ মশিউর রহমান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের উপপরিচালক শেফাউল করিম, মৎস্য অধিদপ্তর ও বিএফআরআই-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক এবং মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালা শেষে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত ‘বিলুপ্তপ্রায় মাছের প্রজনন ও চাষ প্রযুক্তি নির্দেশিকা’ নামক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব।
#
ইফতেখার/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৯৪৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৮৭
শিক্ষা আইন চূড়ান্ত, শিগগিরই মন্ত্রিপরিষদে যাচ্ছে
-- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ জ্যৈষ্ঠ (৯ জুন) :
শিক্ষা আইনের খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে, শিগগিরই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আজ ‘চাইল্ড পার্লামেন্টে সেশন ২০২১’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষা আইন দীর্ঘদিন ধরে করার চেষ্টা করছি। আমরা সেই শিক্ষা আইনের খসড়াটি করোনাকালেই চূড়ান্ত করেছি। এখন মন্ত্রিপরিষদের যাবে। এরপর আরো কয়েকটি প্রক্রিয়া আছে সেগুলো সম্পন্ন করে পার্লামেন্টে যাবে। সংসদে পাস হয়ে গেলে আমরা আইনটি বাস্তবায়ন করতে পারবো।’
চাইল্ড পার্লামেন্টে অনলাইন শিক্ষাসহ শিক্ষায় বাংলাদেশের নেওয়া পদক্ষেপের বিভিন্ন তথ্য উঠে আসে। চাইল্ড পার্লামেন্টে বিভিন্ন প্রস্তাবনা ও সমস্যা সমাধানের বিষয় তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
চাইল্ড পার্লামেন্টে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অন্যের জরিপ নয় নিজেরা জরিপ করে প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরতে হবে। সমস্যা সমাধানের জন্য সুপারিশ করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক চাইল্ড পার্লামেন্টে উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
#
খায়ের/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৯৩৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৮৬
ঢাকা বিভাগে বিভিন্ন জেলায় মানবিক ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত
ঢাকা, ২৬ জ্যৈষ্ঠ (৯ জুন) :
করোনা ভাইরাস মহামারির প্রেক্ষিতে মানবিক সহায়তা হিসেবে সরকারের পক্ষ হতে দেশব্যাপী ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
গতকাল ৮জুন ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। ঢাকা জেলায় ৩ লাভ টাকা নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
রাজবাড়ি জেলায় ১ কোটি ২৪ লাখ ৯৪ হাজার ৮০৭ টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮০০ টাকা ১ লাখ টাকা শিশু খাদ্য এবং ১ লাখ টাকা গোখাদ্য হিসেবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
নরসিংদী জেলায় ২ কোটি ৪৯ লাখ ২ হাজার ৫০ টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৬ কোটি ১৯ লক্ষ ৪৬ হাজার ৫৫০ টাকা, শিশু খাদ্য হিসেবে ৬ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ জেলায় ১ কোটি ৮৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৪ কোটি ২১ লাখ ৩ হাজার ৩৫০ টাকা এবং শিশু খাদ্য হিসেবে ৪ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হয়েছে।
টাংগাইল জেলায় ৩ কোটি ৫৪ লাখ ১১ হাজার ৪০০ টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ১২ কোটি ২ হাজার ৮ শত ৫০ টাকা এবং শিশু খাদ্য হিসেবে ১২ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
শরীয়তপুর জেলার ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা শিশু খাদ্য হিসেবে প্রদান করা হয়।
কিশোরগঞ্জ জেলায় ৬ কোটি ১০ লাখ টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৪ কোটি ৯৫ লাখ ১৩ হাজার ৯৫০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা তথ্য অফিসসমূহ ঢাকা বিভাগীয় তথ্য অফিসের মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছে।
#
আনোয়ার/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৮৫
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২৬ জ্যৈষ্ঠ (৯ জুন) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২০ হাজার ৫৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২ হাজার ৫৩৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ১৭ হাজার ৮১৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ জন-সহ এ পর্যন্ত ১২ হাজার ৯৪৯ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫৬৯ জন।
#
দলিল/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৮৪৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৮৪
ভূমি রাজস্ব আদালতে অনলাইন শুনানি শুরু
পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকে ভূমি মামলার শুনানিতে অংশ নেওয়া যাবে
ঢাকা, ২৬ জ্যৈষ্ঠ (৯ জুন) :
আজ বুধবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভূমি রাজস্ব বিষয়ক আদালতে অনলাইন শুনানি ব্যবস্থা চালুর উদ্বোধন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এ সময় বলেন, হাতের মুঠোয় ভূমিসেবা এখন আর কেবল স্লোগান নয়, বাস্তবতা। ভূমি রাজস্ব বিষয়ক আদালতে অনলাইন শুনানি ব্যবস্থা চালুর ফলে মানুষের হয়রানি ও ভোগান্তি কমানোর পাশাপাশি সময় সাশ্রয় নিশ্চিত করা যাবে।
ভূমিমন্ত্রী আরো বলেন, দক্ষ, স্বচ্ছ, জবাবদিহি ও জনবান্ধব ভূমি ব্যবস্থাপনার অভিলক্ষ্যকে সামনে রেখে একটি প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক ও টেকসই ভূমি রাজস্ব বিষয়ক বিচারিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যেই অনলাইন শুনানি ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে ঘরে বসেই ভূমি মামলার শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন দেশের নাগরিকরা।
এসময় সবাইকে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে রেজিস্ট্রেশন করার আহ্বান জানিয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী আশা প্রকাশ করেন খুব শীঘ্রই অনলাইনে এলডি ট্যাক্স সিস্টেমসহ আরও বেশ কিছু ভূমিসেবা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। তিনি এ সময় বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর ফল আজকের বাস্তবের ডিজিটাল বাংলাদেশ।
এ সময় অনুষ্ঠানের সভাপতি ভূমি সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ জানান, এনআইডি নম্বর ও মোবাইল ভ্যারিফিকেশন-এর মাধ্যমে মামলার শুনানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া ভূমিমন্ত্রী পরিকল্পনা অনুযায়ী সারা দেশে বিভিন্ন শপিং মল, স্টেশনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দ্রুত কিয়স্ক বুথ স্থাপনে কথা জানান তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা কামাল, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ তসলীমুল ইসলাম এনডিসি, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার দাস, মুহাম্মদ সালেহউদ্দীনসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। এছাড়া বাংলাদেশের সকল বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় অংশীজন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এসময় চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মাঠ পর্যায়ে ভূমি আদালতে অনলাইন শুনানির ইতিবাচক প্রভাবের ব্যাপারে তাঁদের আশার কথা ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক ও টেকসই ভূমি রাজস্ব বিষয়ক ব্যবস্থা গড়ে তুলতেই ভূমি সংক্রান্ত আদালতগুলোর বিচারিক কাজে অনলাইন শুনানি চালু করেছে সরকার। এ সম্পর্কিত একটি পরিপত্র জারি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ১১ নং আইন) অনুসরণ করে দেশের সকল ভূমি রাজস্ব বিষয়ক আদালতের বিচারিক কার্যক্রমে বিদ্যমান ব্যবস্থার পাশাপাশি অনলাইন শুনানি নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই সেবা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন - এই তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া অবশিষ্ট ৬১ জেলায় শুরু হচ্ছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) কর্তৃক পরিচালিত ভূমি রাজস্ব বিষয়ক, সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার ও সেটেলমেন্ট অফিসার কর্তৃক পরিচালিত সেটেলমেন্ট/ জরিপ সংক্রান্ত, ভূমি আপীল বোর্ড পরিচালিত আপিল সংশ্লিষ্ট এসব কোয়াসি জুডিশিয়াল আদালতের বিচারিক কার্যক্রমে অনলাইন শুনানি চালু করা হয়েছে।
নামজারি, জমাভাগ, বিবিধ মামলা, মিসকেস, সেটেলমেন্ট, রেকর্ড সংশোধন, আপত্তি, আপিল ইত্যাদি ধরনের মামলা অনলাইনে শুনানি কার্যক্রমর অন্তর্ভুক্ত থাকবে। অনলাইনে শুনানি ব্যবস্থাপনা কাঠামোর ওয়েবসাইট এড্রেস acl-dc-db.fihs.school। এই ওয়েবসাইটে গিয়ে একজন নাগরিক তাঁর প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানের মাধ্যমে অনলাইনে মামলা শুনানির জন্য অনুরোধ করতে পারবেন ।
#
নাহিয়ান/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৮৪২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৮৩
বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ট্রাস্টি বোর্ডের ৫৪ তম সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ২৬ জ্যৈষ্ঠ (৯ জুন) :
বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ট্রাস্টি বোর্ডের ৫৪তম সভা আজ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনু্ষ্ঠিত হয়। মন্ত্রী বাংলাদেশ সচিবালয়স্থ তাঁর অফিস কক্ষ হতে সভায় যোগদান করেন। সভায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে গৃহীত প্রকল্পের ধরন পরিবর্তনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, পরিবেশ, বন জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি, বিশিষ্ট পানি সম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাতসহ বোর্ডের অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ দূষণকারী পলিথিন ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পাটের তৈরি ব্যাগ উদ্ভাবনে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এলক্ষ্যে সরকার জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উদ্ভাবককে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রদান করেছে। কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে এখনো পাট হতে বাজারজাত করণের মতো বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি। উদ্ভাবক ২০২২ সালের জুনের মধ্যেই এটা করতে সক্ষম বলে মত প্রক