Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২১st ফেব্রুয়ারি ২০১৮

তথ্যবিবরণী ২১/০২/২০১৮

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ৫৭৯

মুম্বাইয়ে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন
মুম্বাই, ৯ ফাল্গুন (২১ ফেব্রুয়ারি) :
বাংলাদেশ উপহাইকমিশন মুম্বাইয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং ভাবগম্ভীর পরিবেশে তাজ প্রেসিডেন্ট হোটেলে অমর একুশে এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে। 
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটি ভিডিওচিত্র আকারে উপস্থিত দর্শকম-লির জন্য প্রদর্শিত হয়। এরপর আলোচকগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে আলোচনাপর্ব শুরু হয়। আলোচকগণ প্রত্যেকেই নিজ নিজ মাতৃভাষার সংরক্ষণ এবং প্রচারের প্রতি বিশেষ গুরুত্বআরোপ করেন। মুম্বাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার মোঃ লুৎফর রহমান তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের শহিদ দিবসের মর্মস্পর্শী ও গৌরবোজ্জল ইতিহাস তুলে ধরেন। এ সময় তিনি  আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে অমর একুশের স্বীকৃতির পটভূিম ব্যাখ্যা করেন। 
আলোচনা পর্ব শেষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। জাপান ও ভিয়েতনামের কনসাল জেনারেল, কলাম্বিয়ার অনারারী কনসাল জেনারেলের সহধর্মিণী এবং বাংলাদেশি প্রবাসী নাগরিক নুসরাত পাই স্ব স্ব মাতৃভাষায় কবিতা আবৃত্তি করেন। এরপর ‘আনাম প্রেম’ শিল্পগোষ্ঠীর সদস্যবৃন্দ তাঁদের পরিবেশনায় বাংলা ভাষায় কবিতা পাঠ, সিন্ধী ও আগরি ভাষায় প্রাচীন সংগীত পরিবেশন এবং কলি  (জেলে) সম্প্রদায়ের জীবনবৃত্ত, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং উৎসবকে নৃত্য ও গীতের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন। শিল্পীরা তাঁর বিভিন্ন পরিবেশনার মাধ্যমে মাতৃভাষা সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্র সরকারের প্রটোকল প্রধান শ্রী রাজাগোপাল দেভারা। অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন-মুম্বাই বিশ^বিদ্যালয়ের ভাষাতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. অবিনাশ পা-ে, সোমাইয়া বিদ্যাবিহার ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. কনকলতা তিওয়ারি এবং একই ইনস্টিটিউটের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পরিচালক ড. সত্যেন্দ্র কুমার উপাধ্যায়, কনসাল জেনারেল, কূটনৈতিক, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, প্রবাসী বাংলাদেশি এবং উপহাইকমিশনের সদস্যবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।  
#
নাফিসা/নাইচ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/২১১০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর :  ৫৭৮ 
 
নবীন প্রজন্মকে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে হবে 
                                                  -- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
 
কেশবপুর (যশোর), ৯ ফাল্গুন (২১ ফেব্রুয়ারি) :   
 
নবীন প্রজন্মকে ভাষা আন্দোলনসহ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে হবে। আন্তর্জাতিক জরিপে প্রমাণিত হয়েছে যে বাংলা পৃথিবীর অন্যতম মিষ্টি ভাষা। বিদেশের কবি সাহিত্যিকরা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সমৃদ্ধিতে মুগ্ধ।
 
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক আজ যশোরের কেশবপুরে  আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহিদ দিবস ২০১৮ উপলক্ষে কেশবপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন। 
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিজের স্বত্বা ও পরিচয় ধরে রাখার শিক্ষা দেয় একুশে ফেব্রুয়ারি। বাংলাকে মনেপ্রাণে ধারণ করতে হবে; কিন্তু বিশ্বায়নের প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে অন্য ভাষাও শিখতে হবে।
 
#
 
মাসুম/নাইচ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮৪০ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ৫৭৭
 
সরকার শিক্ষার সকল স্তরে তথ্যপ্রযুক্তি সম্পৃক্ত করে মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন করছে
                                                                                 --- প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাঁ
 
গংগাচড়া (রংপুর), ৯ ফাল্গুন (২১ ফেব্রুয়ারি) :
এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেছেন, সরকার শিক্ষার সকল স্তরে তথ্যপ্রযুক্তি সম্পৃক্ত করে মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন করছে। কারণ শিক্ষা জাতির সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির চাবিকাঠি। 
প্রতিমন্ত্রী আজ রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার কেজি কুতুবগণেশ উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুর রহমান বক্তব্য রাখেন।  
রাঙ্গাঁ বলেন, সুশিক্ষা ছাড়া কোনো জাতির উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নয়। তিনি শিক্ষক সমাজকে জাতির বিবেক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, সরকারের সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং সবার জন্য শিক্ষার লক্ষ্যসমূহ অর্জনে প্রণীত জাতীয় পরিকল্পনা কার্যক্রম বাস্তবায়নে সার্বিক সহায়তার আহ্বান জানান। ইতোমধ্যে সারাদেশে ২৪ হাজার প্রতিষ্ঠানে আইসিটি সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে বলে তিনি বলেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী গংগাচড়া উপজেলা অডিটোরিয়ামে মহান ভাষা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও কুঠিপাড়া চেংমারী উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। 
#
আহসান/নাইচ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/২০৪০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ৫৭৬

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শহিদ দিবস 
ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন

নিউইয়র্ক (যুক্তরাষ্ট্র), ৯ ফাল্গুন (২১ ফেব্রুয়ারি) :  
 
আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন করা হয়।
মিশনের বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহর পর্যন্ত আয়োজিত এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন  এতে স্বাগত বক্তব্য দেন। এরপর বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে স্থাপিত অস্থায়ী শহিদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে ভাষা শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অতঃপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। 
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক সফররত বাংলাদেশের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, মুন্নুজান সুফিয়ান, ইসরাফিল আলম, ফখরুল ইমাম, আনোয়ারুল আবেদীন খান, জেবুন্নেছা আফরোজ ও রোখসানা ইয়াসমিন ছুটি।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যাবসায়ী ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাঙালির উপস্থিতিতে ২১শে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে মিশনস্থ অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহিদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়। “আমার ভাইয়ের রক্ত রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি” গানের সাথে সাথে রাত ১২টা ১ মিনিটে মিশনে স্থাপিত শহিদ মিনারে সংসদ সদস্যগণ ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের নেতৃত্বে মিশনের কর্মকর্তা কর্মচারীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এবং উপস্থিত প্রবাসী বাঙালিগণ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
মাসুদ বিন মোমেন মহান ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ও ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাঙালি জাতি উপনীত হয় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে। বাংলাদেশ  পেল লাল সবুজের পতাকা। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। জাতির পিতা ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রথম বাংলায় ভাষণ দেন। বিশ্বসভায় উচ্চকিত হয় বাংলা ভাষা।
প্রবাসী বাঙালিদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আসুন, প্রবাসের সকল বাঙালি একুশের চেতনাতলে একতাবদ্ধ হই। বাংলাভাষার মর্যাদা ঊর্ধ্বে তুলে ধরি। পরিবার এবং সমাজে বাংলার শুদ্ধ চর্চা অব্যাহত রাখি। দেশ ও জাতির উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি।’
#
নাইচ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯৪০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ৫৭৫
 
জাপানে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
টোকিও, জাপান, (২১ ফেব্রুয়ারি) :
জাপানের টোকিও বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদায় মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। আজ অনুষ্ঠানে ভাষা শহিদদের স্মরণে ইকেবুকুরো নিশিগিচি পার্কে অবস্থিত শহিদ মিনার বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। প্রথমে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার নেতৃত্বে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তাগণ ও তোশিমা সিটি মেয়র ইউকিওতাকানো পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং পরে প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক ও অন্যান্য অতিথিগণ প্রভাতফেরির মাধ্যমে শহিদ মিনার বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। পরে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মাতৃভাষা ও মাতৃভূমির মর্যাদা রক্ষায় সকলকে আরো বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
পরে দূতাবাস প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রদূত আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন এবং উপস্থিত সকল কর্মকর্তা কর্মচারী ও আগত অতিথিসহ জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। অতঃপর ভাষা শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং তাঁদের আত্মার মাগফেরাত ও বাংলাদেশের সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়। এছাড়া দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে উপস্থিত দেশি বিদেশি নাগরিকদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শহিদ দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। পরে রাষ্ট্রদূত স্বাগত বক্তব্য রাখেন। ভাষা আন্দোলনের পটভূমি ও তাৎপর্য তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং জাতিধর্মনির্বিশেষে সবাইকে দেশের উন্নয়নে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে অমর একুশে উপলক্ষে সমবেত কণ্ঠে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গানটি পরিবেশন করা হয়। এছাড়া ভাষা আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র,  প্রদর্শন করা হয়। টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেন স্টাডিজ এর অধ্যাপক ড. কিয়োকো নিওয়া, এনএইচকে’র সাবেক সিনিয়র প্রডিউসার কাজুহিরো ওয়াতানাবে এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতিনিধিগণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। কিয়োকো নিওয়া বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতি, সাহিত্য, ইতিহাস, ঐতিহ্য ইত্যাদি বিষয়ের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে জাপানিরা বাংলা ভাষা শিখছে। 
#
 
শিপলু জামান/নাইচ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৯৩৫ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ৫৭৪
 
পেট্টোকেমিক্যাল খাতের উন্নয়নে কুয়েতের অভিজ্ঞতা উভয় দেশকে সমৃদ্ধ করবে
                                                                               --- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
 
ঢাকা, ৯ ফাল্গুন (২১ ফেব্রুয়ারি) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, পেট্টোকেমিক্যাল খাতের উন্নয়নে কুয়েতের অভিজ্ঞতা উভয় দেশকে সমৃদ্ধ করবে। বাংলাদেশের শ্রমিকরা কুয়েতের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের সাথে সাথে দেশে রেমিটেন্স পাঠিয়ে অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে।
প্রতিমন্ত্রী ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ওয়েস্টিন হোটেলে কুয়েতের ৫৭তম জাতীয় দিবস ও ২৭তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 
১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম ওআইসি সম্মেলনের প্রাক্কালে বঙ্গবন্ধু ও কুয়েতের আমিরের গভীর সম্পর্কের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, কুয়েতে বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞ ও পেশাজীবীদের আরো অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতসহ ব্যাবসাবাণিজ্যে কুয়েতি বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে। তিনি বলেন, সংস্কৃতিমনা উভয় জাতি একসাথে কাজ করলে মুসলিম উম্মা আরো সমৃদ্ধ হবে। 
বাংলাদেশে নিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত আদেল মোহাম্মদ এ এইচ হায়াত রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, যথাসময়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে। ১৯৭৪ সাল থেকে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও দারিদ্র্যমোচনে কুয়েত বাংলাদেশের পাশে আছে। কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী ও উচ্চপর্যায়ের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ ভ্রমণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো প্রগাঢ় করছে। অর্থনৈতিক সহযোগিতা, নিরাপত্তা বিষয়ক শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বিষয়ে ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ডেপুটি স্পিকার মোঃ ফজলে রাব্বি মিয়া, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
 
আসলাম/নাইচ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৯৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ৫৭৩    

চতুর্থ গ্লোবাল বিজনেস সামিট শুরু ২৩ ফেব্রুয়ারি

ঢাকা, ৯ ফাল্গুন (২১ ফেব্রুয়ারি) :   

নয়াদিল্লীতে ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে এশিয়ান টাইমস্ চতুর্থ গ্লোবাল বিজনেস সামিট-২০১৮। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লীর হোটেল তাজ প্যালেসে এটি আয়োজন করা হয়েছে। টাইমস্ গ্রুপের আমন্ত্রণে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এতে অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। মন্ত্রী আট সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। 

সম্মেলনে ভারতের অর্থমন্ত্রী অৎঁহ ঔধরঃষবু, রেলওয়ে ও কয়লাবিষয়ক মন্ত্রী চরুঁংয এড়ুধষ, ভারত সরকারের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অৎারহফ ঝঁনৎধসধহরধহ এবং ব্যাবসায়িক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নীতি নির্ধারক, সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ব্যাবসায়িক ও শিল্প উদ্যোক্তারা এ সম্মেলনে অংশ নেবেন।  
.
সম্মেলনে ব্যাবসাবাণিজ্য ও শিল্পখাতে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সহায়তার উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন। পাশাপাশি তারা নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার, অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি এবং শিল্পখাতে যৌথ বিনিয়োগের বিষয়ে মতবিনিময় করবেন। 

#

জলিল/নাইচ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৭৪০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ৫৭২

কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে স্পিকার
রাষ্ট্রভাষা বাংলার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলো এক ঝাঁক তরুণ

ঢাকা, ৯ ফাল্গুন (২১ ফেব্রুয়ারি) :
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একুশের প্রথম প্রহরে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
স্পিকার আজ শহিদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন এবং শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে নীরবতা পালন করেন।
শারমীন চৌধুরী বলেন, ভাষার জন্য জীবন দান বিশ্বে বিরল। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য এক ঝাঁক তরুণ যুবক বায়ান্নতে তাঁদের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁদের বুকের টগবগে তাজা রক্তে রাঙানো আমাদের বাংলা বর্ণমালা। ঐতিহাসিক এ দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে, এটা বাঙালি জাতির জন্য গর্বের। 
শুদ্ধ বাংলার চর্চা, বাংলা ভাষার ব্যবহার ও প্রসারে সচেষ্ট থেকে রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলা ভাষার অহংকারকে ধারণ করে সকলকে এগিয়ে যেতে তিনি উদাত্ত আহ্বান জানান।
#

তারিক/নাইচ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৮৪৫ঘণ্টা

Todays handout (7).docx