তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯৪৮
আগামী পহেলা বৈশাখ থেকে ভূমি মালিকদের স্মার্ট কার্ড ইস্যু করা হবে
--- ভূমিমন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ অগ্রহায়ণ (১৫ ডিসেম্বর) :
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, আগামী পহেলা বৈশাখ (১৪ই এপ্রিল ২০২৩) থেকে দেশব্যাপী ম্যানুয়াল ভূমি উন্নয়ন কর গ্রহণ বন্ধ হয়ে যাবে। এরপর থেকে কেবল অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর গ্রহণ করা হবে। অনলাইনে কর দেওয়ার পর অনলাইনেই কিউআর কোড সমৃদ্ধ দাখিলা (রশিদ) সংগ্রহ করতে পারবেন ভূমি উন্নয়ন করদাতা। ফলে ক্যাশলেস ই-নামজারির মতো সারা দেশে ক্যাশলেস ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা চালু হবে।
আজ সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপে’ এক প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ভূমিমন্ত্রী আরো বলেন, কোনো জমির মালিকানার প্রমাণক হিসেবে ‘সার্টিফিকেট অভ্ ল্যান্ড ওনারশিপ’ তথা সিএলও নামক একটি মাত্র দলিল ইস্যু করা হবে। সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী জমির মালিকের তথ্য, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের তথ্যসহ সামগ্রিক তথ্যাদি এবং ভূমির অবস্থানগত তথ্য যেমন জিও লোকেশনসহ জমির মৌজা ম্যাপের তথ্য এই একটি দলিলের সাহায্যে নিশ্চিত করা যাবে। মালিকানা প্রমাণের জন্য আলাদা আলাদা কয়েক ধরনের দলিলাদি যেমন ডিড রেজিস্ট্রেশন, খতিয়ান কিংবা মৌজা ম্যাপ বহনের প্রয়োজন হবে না - এতে সাধারণ মানুষের ঝামেলা বহুলাংশে কমে যাবে। একই সাথে ভূমির মালিকদের জন্য স্মার্ট কার্ডও ইস্যু করা হবে যেখানে কার্ড বাহকের মালিকানাধীন জমির তথ্যের ডিজিটাল সংস্করণ থাকবে এবং সকল সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী সেসব জমির পূর্বতন সকল তথ্যও এতে থাকবে।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার’ এবং ‘ভূমি ব্যবহার ও মালিকানা স্বত্ব’ আইনের খসড়া এমনভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে যেন এর আইনি প্রয়োগ ভূতাপেক্ষভাবে সর্বশেষ জরিপ পর্যন্ত কার্যকর হয়। অসাধু কার্যক্রম চালানোর জন্য অনেক ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিএসআরএফ’র সহ-সভাপতি মোতাহের হোসেন শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন; তিনি তাঁর বক্তব্যের এক পর্যায়ে ভূমি সেবা গ্রহণে নিজ সন্তোষজনক অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। সংলাপে বাংলাদেশ সচিবালয় বিটে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
নাহিয়ান/এনায়েত/মোশারফ/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/২২১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৯৪৭
বাংলাদেশ আজ মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত
--স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ অগ্রহায়ণ (১৫ ডিসেম্বর) :
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্ব, সরকারের দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা আর সকলের অংশগ্রহণে বিশ্বে বাংলাদেশ আজ মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এবং উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর আয়োজিত ‘মহান বিজয়
দিবস-২০২২’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন ৷
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে৷ ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিণত হবে বলেও জানান তিনি।
পাকিস্তান, ভারত, নেপালসহ পার্শ্ববর্তী অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বেশি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ, গ্যাস, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, কৃষিসহ সকল খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ওই অঞ্চলে অনেক শিল্প-কলকারখানা সৃষ্টি হচ্ছে ৷ সারা দেশে অর্থনৈতিক জোন করা হচ্ছে। এসব চালু হলে তৈরি হবে লাখ লাখ কর্মসংস্থান। বদলে যাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। দেশ পৌঁছে যাবে লক্ষ্যে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম এবং সভাপতিত্ব করেন এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিন। এ সময় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মোঃ তাজুল ইসলাম স্থানীয় সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় মেলার উদ্বোধন করে স্টল পরিদর্শন করেন।
#
রুবেল/এনায়েত/রফিকুল/লিখন/২০২২/১৯৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯৪৬
বাংলাদেশে তৈরি বাইসাইকেল এখন ইউরোপের দেলগুলোতে জনপ্রয়ি
--- বাণিজ্যমন্ত্রী
রংপুর, ৩০ অগ্রহায়ণ (১৫ ডিসেম্বর) :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশ এগেিয় চলছে। দেশে একের পর এক দেশি-বিদেশি কলকারখানা গড়ে উঠছে। দেশে এখন আর্ন্তজাতিক মানের পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে। তৈরিপোশাকের পাশাপাশি আইসিটি, চামড়া, পাট, প্লাস্টিক এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রপ্তানির ওপর বিশেষ গুরুত্বদেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের লাইট ইঞ্জনিয়ারিং পণ্য বাইসাইকেল ইউরোপীয়ন ইউনয়িনসহ উন্নত বিশ্বের অনেক দেশে বেশ জনপ্রিয়। এ সেক্টরের গুরুত্ব অনেক বেরে গেছে।
মন্ত্রী আজ রংপুর জেলার গঙ্গাচরা উপজেলায় আরএফএল গ্রুপের বাইসাইকেল ফ্যাক্টরি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন। দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। যে গতিতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সে গতি অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নতদেশে পরিণত হবে। এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ দেশে মানুষের চাহিদা পূরণে গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে এ গ্রুপের পণ্য বেশ জনপ্রিয়। দেশের র্অথনীতি মজবুত করতে এ গ্রুপ অবদান রাখছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে এ গ্রুপের কলকারখানা গড়ে তুলেছে, সে কারণে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। পণ্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা র্অজন করা যাচ্ছে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরীর সভাপতিতে¦ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ রংপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, রংপুর রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরির্দশক মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, রংপুরের জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনিন, রংপুর জেলা পুলিশ সুপার মোঃ ফেরদৌস আলী চৌধুরী এবং আরএফএল গ্রুপের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আরএন পাল।
উল্লেখ্য, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ রংপুর জেলার গঙ্গাচরা উপজেলায় ৭০ হাজার র্বগফুট কারখানায় বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৬০ কোটি টাকা। এটি প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের দ্বিতীয় বাইসাইকেল ফ্যাক্টরি। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপে উৎপাদিত বাইসাইকেল র্বতমানে ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, ডেনর্মাক, জার্মানী, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়ামসহ ১৫টি দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। ২০১৪ সালে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ হবগিঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জে প্রথম বাইসাইকেল ফ্যাক্টরি চালু করে।
এর আগে মন্ত্রী রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার ৫ নং বালাপারা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডি করপোরেশন অভ্ বাংলাদেশ (টিসিবি) এর মাধ্যমে দেশের এক কোটি নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ভরতুকি মূল্যে চিনি, মশুরডাল এবং সয়াবিন তেল এর মাসিক বিক্রয় র্কাযক্রমের উদ্বোধন করেন।
মন্ত্রী পরে কাউনিয়া উপজেলার সরকারি র্কমর্কতাদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কাউনিয়া উপজেলা শাখা ও কাউনিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সম্মেলনে যোগদান করনে।
#
বকসী/সিরাজ/এনায়েত/মোশারফ/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/২১১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯৪৫
পাট ও চিংড়ি শিল্পের শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা
কর্মসূচির আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে সরকার
--- শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ অগ্রহায়ণ (১৫ ডিসেম্বর) :
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, খুলনা অঞ্চলের পাট ও চিংড়ি শিল্পের কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে সরকার।
আজ খুলনায় শ্রম ভবন প্রাঙ্গণে নবনির্মিত জাতির পিতার ম্যুরাল ÔBangabandhu Statesman of the centuryÕ উদ্বোধন এবং রপ্তানিমুখী শিল্পের কর্মহীন হয়ে পড়া ও দুস্থ শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা বাস্তবায়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এবং সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল বক্তৃতা করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির সময় রপ্তানিমুখী শিল্পের কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় প্রায় ১০ হাজার শ্রমিককে ৯ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। রপ্তানিমুখী শিল্পের কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমিকদের সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জার্মান ফেডারেল সরকার ১৫শ’ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করে। তিনি বলেন, এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে শ্রম মন্ত্রণালয় সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন নীতিমালা -২০২২ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে রপ্তানিমুখী শিল্পের হাজার হাজার দুস্থ শ্রমিক উপকৃত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিসেম্বর বাঙালির একদিকে আনন্দের, অন্য দিকে শোকের। পাকিস্তানি সৈন্যরা স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার-আলবদর-আল শামস বাহিনীর সহযোগিতায় ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সারা দেশে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে এক কোটি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ভারত, ভুটান ও রাশিয়া আমাদের সহযোগিতার অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামো পুনর্গঠনের মাধ্যমে তিনি এ যাত্রা শুরু করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ফলে দেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা থমকে দাঁড়ায়। আজ জাতির পিতার দেখানো পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণের উন্নত সমৃদ্ধ জীবনমান উপহার দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
শ্রম দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পুলিশ কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান ভূঞা, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, ঢাকা শ্রম দপ্তরের পরিচালক আবু আশরীফ মাহমুদ, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রণজিৎ কুমার ঘোষ ও সাংবাদিক মল্লিক সুধাংশু বক্তৃতা করেন।
#
আকতারুল/সিরাজ/এনায়েত/মোশারফ/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/২০৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯৪৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সুষম উন্নয়ন নীতিতে বিশ্বাসী
--আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্
ঢাকা, ৩০ অগ্রহায়ণ (১৫ ডিসেম্বর) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুষম উণ্ণয়নের ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জাতির জন্য প্রশিক্ষিত ও তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসমৃদ্ধ যুব সমাজ উপহার দিতে প্রতিটি বাজেটে পর্যাপ্ত অর্থবরাদ্দ দিয়ে যাচ্ছে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়াস্থ সেরালে উপজেলার বিভিন্ন যুব সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। এসময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে যুব সমাজকে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত করেন। তিনি বলেন, যুব সমাজই যুগে যুগে দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে সাহসী ভূমিকা রেখে থাকে । তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সুষম উন্নয়ন নীতিতে বিশ্বাসী। বর্তমান সরকার বরিশালসহ দেশব্যাপী শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বনায়ন, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত খাতে সমন্বিত উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করছে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ স্থানীয় যুব সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদেরকে স্বনির্ভরতা অর্জনে উদ্যেগী হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি উপজেলার যুব সংগঠনগুলোকে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
#
আহসান/সিরাজ/মোশারফ/রফিকুল/লিখন/২০২২/১৬৪৬ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯৪৩
‘মায়ের কান্না’র স্মারকটি নিলেই বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকতেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
--- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ অগ্রহায়ণ (১৫ ডিসেম্বর) :
বিনাবিচারে নিহতদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের কান্না’র স্মারকলিপিটি নিজে অথবা তার অধিন কর্মকর্তারা গ্রহণ করলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকতেন বলেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্যাবল অপারেটরস এসোসিয়েশন অভ বাংলাদেশ (কোয়াব) এর সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মন্তী এসব কথা বলেন। ১৬ বছর পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কোয়াবের নবনির্বাচিত সভাপতি এ বি এম সাইফুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোশাররফ আলী এ সময় বক্তব্য রাখেন। সহ-সভাপতি রাশেদুল রহমান মালিক এবং আল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান নাসিম, অর্থ সম্পাদক সেলিম সারওয়ার, সদস্য ফরিদউদ্দিন, গোলাম মোস্তফা প্রমুখ সভায় যোগ দেন।
ড. হাছান বলেন, ‘গতকাল ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের দিন ‘মায়ের ডাকে’র যারা মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গেছেন, তারা আসলে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বিতর্কিত করেছেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে এভাবে বিতর্কিত করা তাদের সমীচীন হয়নি এবং তিনি সেখানে গেছেন সেটি শুনে ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান বিনাবিচারে এবং ক্যাঙ্গারু কোর্টের মাধ্যমে বিচার ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধাসহ যাদের ফাঁসি দিয়েছিল তাদের সন্তান-পরিজনদের সংগঠন ‘মায়ের কান্না’র জনা পঞ্চাশ মানুষ মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য সমবেত হয়েছিল। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তারা স্মারকলিপি দেওয়ার সুযোগ করে দেননি এবং সমবেতরা কথাও বলতে পারেননি। আমি মনে করি, মার্কিন রাষ্ট্রদূত যদি তাদের স্মারকলিপি নিতেন এবং তাদের দু’টি কথা শুনতেন তাহলে তারা সেখানে যাওয়া নিয়ে আজকে যে প্রচণ্ড সমালোচনা হচ্ছে সেটি হতো না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত সেদিন ছিল শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়েছিল। যে জাতি স্বাধীন হতে যাচ্ছে, সে জাতিকে পঙ্গু করার লক্ষ্যেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল। বুদ্ধিজীবী দিবসগুলোতে নানা অনুষ্ঠান থাকে, দেশের সাধারণ মানুষ এবং বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে সবাই শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে গিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। অনেক সময় বিদেশি রাষ্ট্রদূতরাও সেখানে গিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। সেই দিনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে গেলে অনেক ভালো হতো এবং স্বাধীনতা অর্জন করতে গিয়ে বাঙালি জাতির যে কষ্ট, ত্যাগ, বুদ্ধিজীবীদের আত্মদান সেটির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হতো।’
‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের দিনে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ‘মায়ের ডাক’ নামে সংগঠনের কো-অর্ডিনেটরের বাসায় যাওয়ার পরামর্শ কে দিয়েছে আমি জানি না, তবে যারাই পরামর্শ দিয়েছে তারা সঠিক পরামর্শ দেয়নি’ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তার নিজেরও দিবসটার দিকে লক্ষ্য রাখা দরকার ছিল। এছাড়া তিনি যে সেখানে যাবেন সেটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানে না, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেটিই বলেছেন। আর তিনি যাদের কাছে গেছেন তারা অর্থাৎ ‘মায়ের ডাক’ হচ্ছে সেই সংগঠন যারা গুমের অভিযোগ করছে। কিন্তু যারা গুম হয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে তাদের অনেককেই আবার খুঁজে পাওয়া গেছে, অনেকেই খুনের ও মাদক চোরাচালানের মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত-সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি যাদেরকে বিএনপি গুম হয়েছে বলে বেড়াচ্ছে।’
চলমান পাতা - ২
--- ২ ---
আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘আমরা যারা রাজনীতি করি, তাদের সামনে রাস্তায় যখন দশটা মানুষ দাঁড়ায়, আমাদের গাড়ি দাঁড়ায়। আমাদেরও নিরাপত্তাকর্মী থাকে, আমাদেরও নিরাপত্তার প্রচণ্ড ঝুঁকি আছে। আমি জীবনে কয়েক দফা মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েছি। কিন্তু মানুষ যখন কোনো জায়গায় কথা বলার জন্য দাঁড়ায় তখন আমাদের চলন্ত গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। এখানে গাড়ি চলন্ত ছিল না, তিনি যখন ঘর থেকে বের হচ্ছিলেন তখন তাকে স্মারকলিপি দেওয়া হচ্ছিল। অন্তত স্মারকলিপিটা যদি তার স্টাফের মাধ্যমেও নেওয়া হতো তাহলে আজকের সমালোচনাটা হতো না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ঘনিষ্ঠ উন্নয়ন সহযোগী, আমাদের উন্নয়ন অভিযাত্রায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও বিরাট ভূমিকা রয়েছে, তাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত উষ্ণ এবং আমি মনে করি এই ঘটনা আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলবে না। তবে যারা এই কাজটি করেছেন এবং করার চেষ্টা করেন তাদের এ থেকে বিরত থাকা উচিত। মার্কিন রাষ্ট্রদূতকেও আমি বিনীতভাবে অনুরোধ জানাবো, কেউ যদি এ ধরনের ভুল পরামর্শ দিয়ে তাকে একপেশে করার অপচেষ্টা চালায়, সেটির ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য।’
ক্ষমতায় যেতে পারলে বিএনপি কি কি করবে এ নিয়ে তাদের নেতৃবৃন্দের সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি যদি ক্ষমতায় যায় তারা কি করবেন সে নিয়ে তারা বলতেই পারেন, এটি বলা কোনো অপরাধ নয়। তবে বাংলাদেশের মানুষ তাদেরকে আর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে না। নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য যারা মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে, মানুষকে জিম্মি করে রাজনীতি করে, তাদের ডাকে তো মানুষ সাড়া দেয়নি এবং দেবেও না। তারা তো ১০ তারিখেই সরকার পতন ঘটাতে চেয়েছিল, কিন্তু সরকার পতন ঘটাতে এসে তারা নিজেদের পতন ঘটিয়ে চলে গেছে।’
কোয়াবের নবনির্বাচিত কমিটিকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর অভিনন্দন
এর আগে কোয়াবের নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী। তিনি বলেন, আপনাদের সাথে আমাদের মন্ত্রণালয় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে কারণ আপনারা আমাদের কাজের সহযোগী। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো কোয়াবের সদস্যরাই সারাদেশে ক্যাবলের মাধ্যমে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করে। ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডিজিটালাইজ করার জন্য আমরা কাজ করছি এবং আপনাদের পরামর্শ অনুযায়ী নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আশা করছি খুব সহসাই এ বিষয়ে আইনি জটিলতা কেটে যাবে এবং ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল করা আমাদের পক্ষে সম্ভবপর হবে।
কোয়াব নেতৃবৃন্দ উত্থাপিত দাবির প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, ‘ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা অননুমোদিতভাবে টেলিভিশন চ্যানেল প্রদর্শন করছে -এ বিষয়টি আগেও শুনেছি। যেহেতু আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ পেলাম, দ্রুত তদন্ত করে বেআইনিভাবে যদি কোনো কিছু করা হয়ে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
কোয়াব সভাপতি এ বি এম সাইফুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোশাররফ আলী মন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এবং বলেন, সম্প্রচারমন্ত্রীর বলিষ্ঠ পদক্ষেপের কারণেই তাদের বহু আকাক্সিক্ষত নির্বাচন সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
#
আকরাম/সিরাজ/মোশারফ/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/১৯১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৯৪২
নদী রক্ষার ক্ষেত্রে কোনো আপোশ নেই
--নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ অগ্রহায়ণ (১৫ ডিসেম্বর) :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নদীরক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন তারমধ্যে ‘টাস্কফোর্স’ অন্যতম। নদীরক্ষায় সরকার সতর্ক আছে। নদী তীর দখল ও দূষণরোধে কাজ করছে। দূষণের ক্ষেত্রে দূষণকারীদের বিরুদ্ধে মনিটরিং জোরদার করতে হবে। শিল্প মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিবে। অনেক শিল্প কারখানায় ইটিপি আছে কিন্তু সেগুলোর সঠিক ব্যবহার হয় না। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন নদী রক্ষায় কাজ করছে।
আজ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘‘দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর নাব্যতা এবং নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে পরামর্শ প্রদান, সুপারিশ প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের জন্য গঠিত ‘টাস্কফোর্স’ এর ৪র্থ বৈঠকে’’ এসব তথ্য জানানো হয়। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদী ও পরিবেশ রক্ষায় সরকার সচেষ্ট রয়েছে। নদী রক্ষায় নৌপরিবহন; পানিসম্পদ; স্থানীয় সরকার; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন; শিল্প মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা কাজ করে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন যার যার অবস্থান থেকেও কাজ করেছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে কিছুটা সমস্যা হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবকিছু স্বাভাবিক রাখতে পেরেছেন। নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য বর্তমান সরকারের সময়ে ৮০টি ড্রেজার সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫০টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়েছে। সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ি ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের কাজ চলমান রয়েছে।
সভায় জানানো হয়, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর উচ্ছেদকৃত তীরভূমিতে ‘সীমানা পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, পরিবেশ সংরক্ষণ, ওয়াকওয়ে, জেটিসহ আনুষাঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণের লক্ষ্যে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকার চারপাশের নদীসমূহের অবৈধ দখল ও দূষণরোধে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ২০১০ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে।
২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ২২ হাজার ৫৩৯টি স্থাপনা উচ্ছেদ এবং ৮৪১ দশমিক ৪৯ একর তীরভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। উল্লেখিত এলাকায় ভরাটকৃত ২ লক্ষ ঘনমিটার বালু/মাটি/রাবিশ এবং ১ দশমিক ৫ লাখ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। নদীতীর দখলের অভিযোগে বিভিন্ন জনের থেকে ৩৮ লাখ ৩৬ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং ২০১৯ সাল থেকে এপর্যন্ত তীরভূমি দখল করে রাখা পণ্য নিলামের মাধ্যমে ১৮ কোটি ৭২ লাখ ৪৮ হাজার টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় সরকরা মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভি, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরনসহ সংশ্লিষ্টরা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
#
জাহাঙ্গীর/সিরাজ/এনায়েত/মোশারফ/রফিকুল/আব্বাস/২০২২/২০৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৯৪১
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছয় দিনব্যাপী ‘ভিজিট বাংলাদেশ ২০২২’ শুরু
ঢাকা, ৩০ অগ্রহায়ণ (১৫ ডিসেম্বর) :
‘ভিজিট বাংলাদেশ’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি নিয়মিত আয়োজন। এর মাধ্যমে বিদেশি সাংবাদিক, গণমাধ্যম কর্মী, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদেরকে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, আর্থসামাজিক অগ্রগতি ইত্যাদি সরাসরি দেখার সুযোগ করে দিতে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়। করোনা মহামারির কারণে ২০১৯ সালের পর এই প্রথম ‘ভিজিট বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবারের ‘ভিজিট বাংলাদেশ ২০২২’ এ ১১টি দেশের ১৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি অংশ নিচ্ছেন। দেশগুলো হলো; আলজেরিয়া, বাহরাইন, বুলগেরিয়া, কম্বোডিয়া, চীন, ওমান, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্পেন ও ভিয়েতনাম। অনুষ্ঠানের প্রথম দিন আজ তাঁরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলমের সাথে সাক্ষাৎ করেন। মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী উভয়েই ‘ভিজিট বাংলাদেশ ২০২২’-এ অংশগ্রহণকারীদের বাংলাদেশে উষ্ণ অভ্যর্থনা এবং অনুষ্ঠানে অংশ নেবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তাঁরা অংশগ্রহণকারীদেরকে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদ&a