তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৫
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় শীর্ষে বাংলাদেশ
নিউইয়র্ক (যুক্তরাষ্ট্র), জানুয়ারি ১০ :
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ ২০১৪ সালে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের
৯ হাজার ৪শ’ জন শান্তিরক্ষী বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের ১০টি শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত আছেন।
বিশ্বশান্তি রক্ষা ও স্থিতিশীলতা জোরদারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়প্রত্যয় এবং এ লক্ষ্যে জাতিসংঘের আহ্বানের প্রতি তাঁর দ্রুত ও ইতিবাচক সাড়া দেয়ার কারণেই এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।
বাঙালি শান্তিপ্রিয় জাতি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত ১৯৭২ সালের সংবিধানে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় জাতিসংঘকে সর্বাত্মক সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে। এরই আলোকে বর্তমান সরকার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অংশগ্রহণকে জোরদার করেছে।
বাংলাদেশ বর্তমানে অন্যতম শীর্ষ পুলিশ ও নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশও। বাংলাদেশ এ পর্যন্ত বিশ্বের ৩৯টি দেশের ৫৪টি শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়েছে। এসব মিশনে ১ লাখ ২৭ হাজারের বেশি শান্তিরক্ষী অংশগ্রহণ করেছেন।
বিশ্বশান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে “ব্লু হেলমেট” হিসেবে সমাদৃত হচ্ছে।
বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা মানবকল্যাণে সাড়া দেয়ার পাশাপাশি শান্তিরক্ষীদের বিশ্ব সম্প্রদায়ে কাজ করার মতো দক্ষতা অর্জন করেছেন। তারা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছেন। যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
বাংলাদেশের রয়েছে বিশ্বমানের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। তাঁরা “মডেল শান্তিরক্ষী” হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।
গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সম্মেলনে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও রুয়ান্ডার সাথে যৌথভাবে “শান্তিরক্ষায় উচ্চ পর্যায়ের শীর্ষ সম্মেলন” আয়োজন করেছে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকার প্রধানগণ অংশগ্রহণ করেছেন।
বাংলাদেশ শান্তিরক্ষায় সকল অংশীদারির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আগামী ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি ঢাকায় “সেক্রেটারি জেনারেল’স হাইলেভেল ইনডিপেনডেন্ট প্যানেল অন ইউএন পিস অপারেশনস” এর এশীয় আঞ্চলিক কনসালটেশনের প্রথম সভার আয়োজন করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের হাইলেভেল প্যানেল সভাপতি, নোবেল বিজয়ী এবং তিমোর লেসবের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস হোরটা যৌথভাবে প্যানেল সদস্যদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ২০ জন প্যানেল সদস্যের পাশাপাশি ৩১টি দেশের প্রতিনিধিরাও এতে অংশ নেবেন।
বাংলাদেশ শান্তিরক্ষায় নতুন প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি সামান্থা পাওয়ারের এক সাম্প্রতিক বক্তব্যে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রার কথা প্রতিধ্বনিত হয়েছে।
বাংলাদেশের উদ্যোগের প্রশংসা করে সামান্থা বলেছেন, “বাংলাদেশ ইতোমধ্যে শান্তিরক্ষার ক্রম অগ্রসরমান কার্যক্রমকে স্বীকৃতি দিয়ে বিবদমান এলাকায় বেসামরিক জনগণের নিরাপত্তার বিষয়টি যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করে তা শান্তিরক্ষীদের প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্ত করেছে”।
#
ফায়জুল/নবী/মোশারফ/সেলিম/২০১৫/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৪
পাবনা বনমালী শিল্পকলা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন ভূমিমন্ত্রী
পাবনা, ২৭ পৌষ (১০ জানুয়ারি) :
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, শিল্প ও সংস্কৃতিতে আরো একধাপ এগিয়ে গেল উত্তরের জনপদ। তিনি গতকাল পাবনা শহরে বনমালী শিল্পকলা কেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকলে একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে নিয়ে প্রতিষ্ঠিত এ কেন্দ্রটি বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটাবে। তিনি বলেন, বনমালী শিল্পকলা কেন্দ্রের নবযাত্রার মধ্যদিয়ে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অন্ধকার ঘুচাতে এর বিকাশ দিগন্তে প্রসার ঘটাবে, পাবনার মানুষকে আলোকিত করবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৬ দফায় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন তথা বাঙালি শিল্পসংস্কৃতি বিকাশের সুযোগের কথা উল্লেখ ছিল। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তবুদ্ধি চর্চা, শিল্পসংস্কৃতি বিকাশের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। তিনি এ অনুকূল পরিবেশের মধ্যে দেশের শিল্পসংস্কৃতি চর্চা অব্যাহত রেখে এর সুনাম দেশে বিদেশে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, সারা ভারতীয় উপমহাদেশে শিল্প, সাহিত্য, কাব্য, সংস্কৃতিতে পাবনা একসময় সমৃদ্ধ ছিল। এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন আকাক্সিক্ষত বনমালী ইনস্টিটিউটকে শিল্পকলা কেন্দ্রে রূপান্তর করার। বনমালী ইনস্টিটিউট আজ থেকে নতুন আঙ্গিকে, নতুন রূপে আশাব্যঞ্জকভাবে চলা শুরু করেছে। এ শিল্পকলা কেন্দ্রের ইতিহাস অতি প্রাচীন। তাড়াশ জমিদার রায় বাহাদুরের দু’পুত্র রাধিকা ভূষণ রায় ও ক্ষিতিশ ভূষণ রায় তাদের জীবদ্দশায় আজ থেকে শতবর্ষ আগে বনমালী ইনস্টিটিউটকে জায়গাটি দান করেন। সেই থেকে শিল্প, সংস্কৃতির বিকাশে বনমালী ইনস্টিটিউটের পদযাত্রা। ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক ও কলাকৌশলের কেন্দ্র ছিল বনমালী ইনস্টিটিউট। কালের বিবর্তনে হাটি হাটি পা পা করে চলা এ প্রতিষ্ঠানটিকে নবউদ্যমে প্রাণ সঞ্চারে সাহায্যের হাত প্রসারিত করেন পাবনার কৃতীসন্তান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মির্জা আজিজুল ইসলাম, দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার শাহাবুদ্দিন চুপ্পু সর্বোপরি যিনি সংস্কৃতি অঙ্গনকে আলোকিত করতে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন সেই অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু। তাদের প্রচেষ্টায় দীর্ঘদিনের অসম্পূর্ণতা আজ নতুন ইতিহাস রচনা করেছে। মন্ত্রী বলেন, শিল্প শুধু নৃত্য, গীত, সঙ্গীতই নয়, শিল্প একটি ব্যাপক বিষয়। মানব সভ্যতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো শিল্পসংস্কৃতি। নতুন ভাবব্যঞ্জনা নিয়ে আজ থেকে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা অনুভব করছি।
পরে মন্ত্রী অতিথিদের ক্রেস্ট বিতরণ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের স্বত্বাধিকারী অঞ্জন চৌধুরী পিন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার শাহাবুদ্দিন চুপ্পু, পাবনা জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দিন এবং পুলিশ সুপার মিরাজউদ্দিন আহম্মেদ বক্তৃতা করেন।
প্রবীণ নেতা এডভোকেট গোলাম হাসনাইন, স্কয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান স্যামুয়েল এইচ. স্বপন চৌধুরী, পাবনা জেলা পরিষদের প্রশাসক এম. সাইদুল হক চুন্নু এবং পাবনা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজুয়ান/ফায়জুল/মোশারফ/সেলিম/২০১৫/১৭৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৩
শিক্ষকের নিবিড় পরিচর্যায় শিশুর প্রাথমিক শিক্ষার ভিত রচিত হয়
-- প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ
খুলনা, ২৭ পৌষ (১০ জানুয়ারি) :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, শিক্ষকের নিবিড় পরিচর্যায় যে শিশুর প্রাথমিক শিক্ষার ভিত রচিত হয় তাই তার পরবর্তী জীবনের দিকনির্দেশনা দেয়। জাতি গঠনে শিক্ষকের মর্যাদা তাই সকলের উপরে।
প্রতিমন্ত্রী আজ খুলনা প্রেসক্লাবে কালের কন্ঠের ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের সাথে কালের কন্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সম্পর্কটি যেন একটি ঐতিহাসিক যোগসূত্র। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শিক্ষকের মর্যাদাকে সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার জন্মলগ্নেই শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেন। এক্ষেত্রে সমাজের তৃণমূল থেকেই তিনি শুরু করেন পরিবর্তন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে তৃণমূলে থেকে যারা নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে নীরবে কাজ করে পরিবর্তনে ভূমিকা রেখেছেন তেমনই একজন গুণী ব্যক্তি হলেন বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে তাঁকে সম্মাননা জানানো হয়। ৪১ বছরের শিক্ষকতা জীবনে তিনি বহু ছেলেমেয়েকে শিক্ষার আলো দিয়ে শুধু আলোকিতই করেননি বরং বৃক্ষ রোপণেও রেখেছেন বড় ভূমিকা। এমন ব্যক্তি তাঁর বিরল দৃষ্টান্তের মাধ্যমে যাতে অন্যদেরকেও অনুপ্রাণিত করতে পারেন সেজন্য প্রতিমন্ত্রী এধরণের সম্মাননার গুরুত্ব তুলে ধরেন। কালের কন্ঠ এমন আরো গুণিজনের খোঁজ পেতে নিবিড় অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ অব্যাহত রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কালের কন্ঠের খুলনা ব্যুরো প্রধান গৌরাঙ্গ নন্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং খুলনা জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ বক্তৃতা করেন। খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি মকবুল হোসেন মিন্টু, বিএমএ খুলনা শাখার সহসভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলম এবং দৈনিক পূর্বাঞ্চলের কার্যনির্বাহী সম্পাদক আহমদ আলী খান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
#
জিনাত/ফায়জুল/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৭০০ ঘণ্টা