তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৮৭
জাতির পিতার জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম হতো না
-- ডেপুটি স্পিকার
ঢাকা, ১২ চৈত্র (২৬ মার্চ) :
ডেপুটি স্পিকার মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম নয় একটি ইতিহাস, একটি স্বাধীনতা, একটি সার্বভৌম বাংলাদেশ। জাতির পিতার জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম হতো না, পেতাম না স্বাধীনতা। বিশ্বের বুকে মাথাউঁচু করে বলতে পারতাম না আমি বাঙালি, বাংলাদেশ আমার প্রিয় মাতৃভূমি।
আজ বাংলাদেশ শিশু একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৬তম জন্মদিন এবং জাতীয় শিশুদিবস উপলক্ষে দশদিনব্যাপী বাংলাদেশ শিশু একাডেমি বইমেলা ২০১৫ এর অষ্টম দিনের অনুষ্ঠানমালা, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৫ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে একথা বলেন।
স্বাধীনতার এ মাসে সকল শিশুদের স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস অনুশীলন করে জাতির পিতার অদর্শকে বুকে ধারণ ও লালন করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আত্মনির্ভরশীল বাঙালি হয়ে গড়ে ওঠার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালক মোশ্ররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, অভিনয় শিল্পী রোকেয়া প্রাচী এবং সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন।
#
স¦পন/ফায়জুল/আলম/রফিকুল/জয়নুল/২০১৫/২১০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৮৫
গুগলে ৪ লাখ বাংলাশব্দ যুক্ত করার উদ্যোগ
ঢাকা, ১২ চৈত্র (২৬ মার্চ) :
স্বাধীনতা দিবসে গুগল অনুবাদে ৪ লাখ বাংলাশব্দ যোগ করার কার্যক্রম বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে দেশব্যাপী এগিয়ে চলছে। সারাদেশে মোট ৮১টি জায়গায় চলছে গুগলে মায়ের ভাষাসমৃদ্ধ করার কাজ। পাশাপাশি সারাবিশ্বে বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী যে যে দেশে এবং স্থানে অবস্থান করছে, সেখানেও চলছে গুগলে শব্দ যোগ করার কার্যক্রম।
আজ ঢাকায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেছেন, “আমরা ৫২’র ভাষা আন্দোলন দেখিনি, ৭১’র মহান স্বাধীনতা যুদ্ধও দেখিনি, তাই নিজেদেরকে অনেক সময় বঞ্চিত মনে হয়। কিন্তু এখন আমাদের সামনে সুযোগ এসেছে সেই বঞ্চনা দূর করার। আমরা বাংলাভাষার জন্য প্রত্যেকে যে যার অবস্থান থেকে শব্দ যোগ করে বাংলাভাষাকে বিশ্বের দুয়ারে পৌঁছে দেব। ইন্টারনেটে বাংলাকে করবো আরো সমৃদ্ধ”
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, “গুগলে বাংলাভাষার কন্টেন্ট খুবই দুর্বল। আমরা ৭ম ভাষাভাষী দেশ হলেও গুগলে আমরা ৬৫তম অবস্থানে আছি। আশা করি এ উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাভাষাকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যাব।”
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম, বিসিসির যুগ্মসচিব মোঃ হারুনুর রশিদ, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) -এর সাধারণ সম্পাদক ও জিডিজি বাংলার প্রধান উপদেষ্ঠা মুনির হাসান ও জিডিজি বাংলার কমিউনিটি ম্যানেজার জাবেদ সুলতান পিয়াস উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বিসিসির অনুষ্ঠানে প্রায় ৫শ’জন ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করে।
#
নাছের/ফায়জুল/নবী/আলম/রফিকুল/জয়নুল/২০১৫/২০৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৮৪
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপিত
চট্টগ্রাম, ১২ চৈত্র (২৬ মার্চ) :
আজ যথাযথ মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আয়োজনে পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস।
দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কূচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন।
এ সময় পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, কারারক্ষী, স্কাউট, গার্লস গাইড, নৌস্কাউট ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, সরকার প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতি গড়ে তুলেছে, দুর্নীতি কমিয়ে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কর্মসূচি চালু করেছে, স্বাস্থ্য, নারীশিক্ষা, শিশুমৃত্যুর হার, জন্মহার, অপুষ্টি প্রভৃতি সামাজিক সূচক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে এনেছে। তিনি বলেন, সরকারের সংস্কারমূলক কর্মসূচির সুফলতার কারণে বাংলাদেশ” নেক্সট -১১ অর্থনৈতিক শক্তিরূপে অভিহিত হয়েছে।
পরে তিনি কুচকাওয়াজ প্রদর্শনীতে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সময় মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবদুল জলিল ম-ল, ডিআইজি মোঃ সফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার একেএম হাফিজ আকতারসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকতাগণ উপস্থিত ছিলেন।
দিবসের অন্যান্য অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে কোর্ট হিলে ৩১ বার তোপধ্বনি, একই সময়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, হাসপাতাল এতিমখানা জেলখানা শিশুপরিবার ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশুকেন্দ্রসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এছাড়া মহিলাদের ক্রীড়ানুষ্ঠান, সিনেমা হলসমূহে বিনাটিকিটে ছাত্রছাত্রীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ও উম্মুক্ত স্থানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন, জেলা ও উপজেলা সদরে স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের সমাবেশ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা টি টুয়েন্টি ক্রিকেটম্যাচ, কাবাডি ও হাডুডু খেলার আয়োজন, প্রীতিফুটবল প্রতিযোগিতা, শিশুপার্ক জাদুঘর ও চিড়িয়াখানা শিশুদের জন্য সকাল-সন্ধ্যা উম্মুক্ত রাখা ও বিনাটিকিটে প্রদর্শনীর ব্যবস্থাকরণ, শিশু কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার শীর্ষক আলোচনা সভা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এ দিবসে জাতির শান্তি ও অগ্রগতি এবং মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
#
সাইফুল/ফায়জুল/আলম/রফিক/সেলিম/২০১৫/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৮৩
মহান স¦াধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০১৫ উপলক্ষে
১০ টাকা মূল্যমানের স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম
ও ৫ টাকা মূল্যমানের ডাটাকার্ড প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ডাকবিভাগ
ঢাকা, ১২ চৈত্র (২৬ মার্চ) :
বাংলাদেশ ডাকবিভাগ মহান স¦াধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০১৫ উপলক্ষে ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট, ১০ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম ও ৫ টাকা মূল্যমানের ডাটাকার্ড প্রকাশ করেছে। এ বিষয়ে একটি বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ গণভবনে এ স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ ফয়জুর রহমান চৌধুরী, ডাকবিভাগের মহাপরিচালক মোঃ নাসির উদ্দীন ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (ডাক সার্ভিস) প্রবাস চন্দ্র সাহা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
ফায়জুল/আলম/রফিকুল/সেলিম/২০১৫/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৮২
খুলনায় যথাযথ মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত
খুলনা, ১২ চৈত্র (২৬ মার্চ) :
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও সন্ত্রাসমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার নিয়ে খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০১৫ পালন করা হয়।
মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে গল¬ামারী শহিদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। প্রত্যুষে কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সকাল হতে রাত পর্যন্ত শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা ও রং বেরঙের পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হয়।
সকাল সাড়ে আটটায় খুলনা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদ। পরে সেখানে বিভিন্ন বাহিনী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের সমাবেশ, কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে¬¬¬¬¬ ও শরীরচর্চা প্রদর্শন করা হয়।
নগরীর সিনেমা হলসমূহে ও দৌলতপুর শহিদ মিনারসহ বিভিন্ন উন্মুক্তস্থানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ও দুর্নীতিবিরোধী তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংসদসদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, সংসদসদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদ, পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি, জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ ও পুলিশ সুপার মোঃ হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জাতির সামনে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরে সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। এসময় তাঁরা মুক্তিযোদ্ধাদের সকল সেবাপ্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার দিতে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে মোট চারশো মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশুকেন্দ্রসমূহে দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বাদজোহর কালেক্টর মসজিদসহ নগরীর মসজিদে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
বেলা ২টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত স্থানীয় নৌবাহিনীর জাহাজ খুলনাস্থ বিআইডবি¬¬¬উটিএ রকেটঘাটে জনসাধারণের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ সংশি¬ষ্ট ভবনসমূহে আলোকসজ্জা করা হয়।
বেলা সাড়ে তিনটায় পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে মহিলাদের ক্রীড়ানুষ্ঠান এবং চারটায় খুলনা স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন বনাম কেসিসি একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেল সাড়ে ৬টায় শহিদ হাদিস পার্কে “সুখী, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার” শীর্ষক আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের আয়োজনে জেলা স্টেডিয়ামে দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ ছবিপ্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে খুলনা বেতার বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পৃথক পৃথক কর্মসূচির আয়োজন করে। উপজেলাগুলোতেও অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হয়।
#
জিনাত/ফায়জুল/আলম/রফিকুল/জয়নুল/২০১৫/১৮২৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৮১
যথাযোগ্য মর্যাদায় রাজশাহীতে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত
রাজশাহী, ১২ চৈত্র (২৬ মার্চ) :
যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে রাজশাহীতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৫ পালিত হয়েছে ।
২৬ মার্চ প্রত্যূষে জেলা পুলিশ লাইনে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা হয়। সকাল সাড়ে ছয়টায় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা শহিদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করে।
সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, বেসরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকালে হেতম খাঁ বড় মসজিদে কোরানখানি, দোয়া ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সকালে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে বিভাগীয় কমিশনার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজের অভিবাদনগ্রহণ এবং শারীরিক কসরৎ প্রত্যক্ষ ও পুরস্কার বিতরণ করেন। এসময় রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি, আরএমপি পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসকসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে শিল্পকলা একাডেমিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়।
জাতির অব্যাহত সুখ, শান্তি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বাদজোহর সকল মসজিদে বিশেষ মোনাজাত ও অন্যান্য উপাসনালয়ে সুবিধামতো সময়ে বিশেষপ্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে সকল হাসপাতাল, কারাগার, শিশুসদন, শিশু দিবাযতœকেন্দ্রসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
বিকেলে উপহার সিনেমাহলে বিনাটিকিটে ছাত্রছাত্রীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। রিভারভিউ কালেক্টরেট স্কুলে মহিলাদের ক্রীড়ানুষ্ঠান ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক একাদশ বনাম মুক্তিযোদ্ধা একাদশ এবং মেয়র একাদশ বনাম বিভাগীয় কমিশনার একাদশ প্রীতিফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমিতে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার শীর্ষক আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। লক্ষ্মীপুর মোড় ও আলুপট্টি মোড়ে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। এদিন প্রবেশমূল্য ছাড়া জাদুঘর, পার্ক, চিড়িয়াখানা শিশুদের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
রাতে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে আলোকসজ্জা করা হয়।
#
মিজান/ফায়জুল/আলম/রফিকুল/জয়নুল/২০১৫/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৮০
নাশকতাসৃষ্টিকারীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ
গড়ে তোলার আহ্বান নৌপরিবহণ মন্ত্রীর
নবাবগঞ্জ, ১২ চৈত্র (২৬ মার্চ) :
নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আপামর জনসাধারণ স্বাধীনতাযুদ্ধে যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তেমনিভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নাশকতাসৃষ্টিকারীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
মন্ত্রী আজ নবাবগঞ্জ হাইস্কুল মাঠে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেনের সভপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য সালমা ইসলাম এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান বক্তব্য রাখেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের উন্ন্য়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি মহল হরতাল অবরোধের নামে হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
এর আগে মন্ত্রী নবাŸগঞ্জে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের র্যালিতে নেতৃত্ব দেন। র্যালিটি শহিদমিনার থেকে শুরু হয়ে নবাবগঞ্জ পাইলট হাইস্কুল মাঠে এসে শেষ হয়।
সকালে মন্ত্রী উপজেলা পরিষদপ্রাঙ্গণে শহিদমিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
#
জাহাঙ্গীর/ফায়জুল/নবী/রফিকুল/জয়নুল/২০১৫/১৭৫০ঘণ্টা