Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১০ August ২০২০

তথ্যবিবরণী ১০ আগস্ট ২০২০

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর: ২৯৮৭

 

বাঙালি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বনেতা

                                             --তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) : 

            তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, 'বাঙালি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাংলাদেশের নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন বিশ্বনেতা। বাঙালি জাতি তাদের হাজার হাজার বছরের ইতিহাসে তাঁর নেতৃত্বেই স্বাধীনতা অর্জন করে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে, সেকারণেই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, আমাদের জাতির পিতা।'

            আজ রাজধানীর তেজগাঁও বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া স্টুডিওতে তাদের উদ্যোগে নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়’ প্রামাণ্যচিত্রের উদ্বোধনী প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন।

            মন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশের পর হাজার হাজার বছর আমাদের কোনো রাষ্ট্র ছিলো না। অনেকেই চেষ্টা করেছেন কিন্তু বাঙালির স্বাধীনতা আনতে পারেননি। বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলার ভাষাও বাংলা ছিলো না। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই বাঙালি জাতির স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।

            শুধু স্বাধীনতাই নয়, মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্রকে ধ্বংসস্তুপ থেকে তুলে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, 'ভারতের আশ্রয় থেকে ফেরা এক কোটি সম্বলহীন মানুষ, দেশের ভেতরে আরো দুই কোটি উদ্বাস্তু মানুষ, ভগ্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা আর শূন্য বৈদেশিক রিজার্ভের দেশকে তিনি যখন সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই যারা এদেশের অভ্যুদয় চায়নি, স্বাধীনতা চায়নি, সেই চক্র স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় তাঁকে সপরিবারে হত্যা করে।' এই হত্যাকাণ্ড শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার উদ্দেশ্যে নয়, এটি ছিল বাঙালি জাতির স্বাধীনতাকে হত্যার ষড়যন্ত্র, বলেন ড. হাছান।  

            ১৯৭৫ সালের দিকে তাকিয়ে এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, '১৯৭৫ সালে যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়, তখন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, যা আমরা ৪০ বছর পর, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অতিক্রম করেছি। সেবছর দেশ খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ  ছিলো, অনেক পরিসংখ্যান মতে সেবছর দেশে ১০ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অগ্রগতির সেই ধারায় দেশ আজ উন্নয়নে মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যেতো।'

            বঙ্গবন্ধু তাঁর স্বপ্নপূরণ করে যেতে পারেননি, কিন্তু তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে, বলেন মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

            প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বনেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্য এক অনন্য দলিল। 

            এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া স্টুডিও’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবীর।

#

আকরাম/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২০/২১০৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ২৯৮৬

লেবাননে বাংলাদেশের মানবিক সহায়তা হস্তান্তর

বৈরুত, লেবানন :

             লেবাননে বিস্ফোরণে হতাহতের জন্য মানবিক সাহায্য হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের প্রেরিত ৯ টন খাদ্য সামগ্রী, ২ টন ওষুধ ও ওষুধ সামগ্রী-সহ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি পরিবহন বিমান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৪ উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১২জন ক্রু-সহ আজ লেবাননের রফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, বৈরুতে অবতরণ করেছে।

            লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আল মুস্তাহিদুর রহমান, পিএসসি লেবানন সরকারের মনোনীত স্থানীয় প্রতিনিধির নিকট বাংলাদেশ সরকারের উক্ত সহায়তা সামগ্রী হস্তান্তর করেন। এ সময় লেবাননের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, ইউনিফিলের কর্মকর্তাবৃন্দ ও  দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

            উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট ২০২০ তারিখে লেবাননের রাজধানী বৈরুতের বৈরুত পোর্টে দু’টি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বৈরুত পোর্ট-সহ বৈরুত এবং এর ১০ কিলোমিটার পরিসীমায় ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। উক্ত বিস্ফোরণে প্রায় ১৬০ জনের বেশি লোক নিহত হয়, ৬ হাজারের অধিক লোক আহত হয় এবং গৃহহারা হয় প্রায় তিন লক্ষাধিক লোক। লেবাননের জলসীমায় ইউনিফিলের (টঘওঋওখ) অধীনে পাহারারত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ, বিএনএস বিজয় উক্ত বিস্ফোরণে আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং উক্ত জাহাজের ২১ জন কর্মকর্তা  ও নাবিক আহত হয়। এছাড়া এ পর্যন্ত উক্ত বিস্ফোরণে ৫জন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয় এবং আহত হয় প্রায় ১০০ জনেরও বেশি।

#

বৈরুত/পাশা/রাহাত/মোশারফ/জয়নুল/২০২০/২১১০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ২৯৮৫

 

মানসম্মত কাজ নিশ্চিতে কোনো বাধার কাছে নতিস্বীকার করা যাবে না

                                                                                  -- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :

            দেশের উন্নয়নে অবকাঠামো ও নির্মাণ প্রকল্পে গুণগতমান নিশ্চিত করতে সাহসিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন কোনো বাধার কাছে নতিস্বীকার করা যাবে না।

            মন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ে কর্মরত প্রকৌশলীদের নিয়ে আয়োজিত এক অনলাইন সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

            মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলীদের উদ্দেশে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, কাজের গুণগতমান সবসময় নিশ্চিত করতে হবে। নিম্নমানের কাজ, অনিয়ম-দুর্নীতি কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না বলে সতর্ক করেন মন্ত্রী। অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে যেই জড়িত থাকুক না কেন তাদেরকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।

            মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর মাঠ পর্যায়ে যাবতীয় উন্নয়নমূলক কাজের গুণগতমান নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ৬৪টি জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে মান নিয়ন্ত্রণ ল্যাবরেটরি স্থাপন করেছে। তিনি বলেন, ঠিকাদার কাজের জন্য যে সকল নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করবেন সেগুলো টেস্ট করার জন্য এখন আর ঢাকায় আসতে হয না। সুতরাং ঠিকাদারের কাজের গুণগতমান এখন খুব সহজেই নির্ণয় করা যায়।

            মন্ত্রী এ সময় গ্রামীণ রাস্তাঘাট নির্মাণের সময় যাতে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার না হয় সেজন্য মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলীদের নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়া ঠিকাদারদের নিম্নমানের কাজের জন্য তাদের শাস্তির আওতায় আনতে একটি গাইডলাইন প্রস্তুত করতে সংশ্লিদের নির্দেশ দেন।

            উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ অবশ্যই টেকসই, মানসম্পন্ন ও উৎপাদনশীল হতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী কাজে গতি আনতে প্রত্যেক কাজের জন্য বছরের শুরুতেই একটি ওয়ার্ক প্ল্যান বা কর্মপরিকল্পনা তৈরির ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

            স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী, অতিরিক্ত প্রকৌশলী এবং জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী-সহ মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলীগণ সভায় অংশ নেন।

#

হায়দার/পাশা/রাহাত/মোশারফ/জয়নুল/২০২০/২০৫৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ২৯৮৪

 

নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করতে পূর্ত প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশ

 

ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :  

 

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল প্রকল্পের কাজ সঠিক গুণগতমান বজায় রেখে সমাপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। আজ রাজধানীর মালিবাগে সরকারি আবুজর গিফারী কলেজের বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।

 

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ না করতে পারলে খরচ বেড়ে যায়। এছাড়া যে উদ্দেশ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে সে উদ্দেশ্য পূরণে বিলম্ব হয় এবং মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেক প্রকল্পের কাজ কিছুটা বিঘ্নিত হলেও আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা থাকলে নির্ধারিত সময়েই তা শেষ করা সম্ভব। তিনি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও সততার সাথে কাজ করার নির্দেশনা প্রদান করেন।

 

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সকলের ঐক্যবদ্ধ ও আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকলে অনেক কঠিন কাজও সহজে করা সম্ভব হয়। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আন্তরিকতা ও সততার সাথে কাজ করতে হবে। তাহলেই নিরাপদ, সাশ্রয়ী এবং টেকসই অবকাঠামো গড়ে তুলতে সরকারের প্রচেষ্টা সফল হবে।

 

পরিদর্শনকালে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শহিদ উল্লাহ খন্দকার, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলম এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

     #

রেজাউল/পাশা/রাহাত/রফিকুল/আব্বাস/২০২০/২১০৮ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ২৯৮৩

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে খেলাধুলা আয়োজন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করা যাবে

                                                                             ---যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :  

 

করোনা পরিস্থিতির কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া দেশের সকল পর্যায়ের খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সীমিত আকারে চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালুকরণ প্রসঙ্গে আজ সচিবালয়ে এক জরুরি সভা শেষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল  বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ার প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছে। আমাদের দেশেও করোনা সংক্রমণের হার নিম্নমুখী।  এ প্রেক্ষিতে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নির্ধারিত ১০টি শর্ত প্রতিপালনপূর্বক সকল পর্যায়ের খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সীমিত আকারে চালুর  সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে । প্রতিমন্ত্রী এ সময় সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নিতে অনুরোধ করেন।      

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক সীমিত আকারে খেলাধুলা আয়োজন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালুর বিষয়ে আরোপিত শর্তাবলী হলো -

  • খেলাধুলা শুরুর আগে খেলার মাঠ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালুর পূর্বে, মহামারি প্রতিরোধক সরঞ্জাম যেমন মাস্ক, গ্লাভস, জীবাণুনাশক এবং নন-কন্ট্যাক্ট ইনফ্রারেড থার্মোমিটার সংরক্ষণ করে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কাজের পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। তদারকি ও বাস্তবায়নের দায়িত্বের জন্য একজনকে নির্দিষ্ট করলে ভাল হয়। সংশ্লিষ্ট সকল কর্মীদের স্বাস্থ্য বিধি প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে।
  • সীমিত আকারে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ও খেলাধুলার আয়োজন করা যেতে পারে।
  • খেলোয়াড়, প্রশিক্ষক, ম্যানেজমেন্ট কমিটি এবং খেলাধুলা সংশ্লিষ্ট সকলের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখতে হবে ক্যাম্প শু্রুর পূর্বে, প্রয়োজনবোধে সবার কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা যেতে পারে।
  • খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণকালীন ক্যাম্পে অবস্থানের সময় স্বাস্থ্য বিধি মেনে থাকার ব্যবস্থা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্য সম্মত খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজার রেখে খাবার গ্রহণ ও খাবারের ব্যবহৃত থালা বাসন পরিস্কার ও জীনাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে। সম্ভব হলে ডিসপোজেবল প্লেট ব্যবহার করাই ভাল। ধুমপান নিরুৎসাহিত করতে হবে। খেলোয়াড়দের ঘুম, বিশ্রাম এবং মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি নজর রাখতে হবে। ডিজিটাল/অনলাইনের মাধ্যমে পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে যোগাযোগের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে।
  • খেলা ও প্রশিক্ষণের সময় ব্যক্তিগত পানির বোতল ও তোয়ালে ব্যবহার করতে হবে। ব্যক্তিগত সরঞ্জাম এবং জামাকাপড় নিজস্ব ব্যাগে রাখতে হবে। টিস্যু, রুমাল বা অন্যান্য ব্যবহৃত উপকরণ যেমন প্লাস্টার, ব্যান্ডেজ ইত্যাদি তাৎক্ষণিকভাবে উপযুক্ত পাত্রে (মুখবন্ধ ময়লার পাত্র) ফেলে দিতে হবে।
  • অধিক জন সমাগম না করে সীমিত আকারে খেলাধুলার আয়োজন করা যেতে পারে। মাঠে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সময় দর্শকদের সারিবদ্ধভাবে পরস্পর হতে এক মিটারেরও বেশি দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। মাঠে প্রবেশের পর নির্দিষ্ট দূরত্ব (১মিটার) বজায় রেখে বসার ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি দুইজন দর্শকদের মাঝে এক সিট খালি রাখতে হবে।
  • খেলার মাঠের প্রবেশ পথে খেলোয়াড়, প্রশিক্ষক, ম্যানেজমেন্ট কমিটি এবং বহিরাগত দর্শনার্থীদের (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) শরীরের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে যাদের শরীরের তাপমাত্রা ৯৮.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলে তাদের মাঠে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে নিকটস্থ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে পাঠাতে হবে।
  • খেলোয়াড়, প্রশিক্ষক/কোচ এবং ম্যানেজমেন্ট কমিটির মধ্যে কোভিড-১৯ এর সন্দেহভাজন কোনো রোগী থাকলে তাৎক্ষিণকভাবে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
  • খেলার মাঠের আবর্জনা প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে এবং আবর্জনা সংরক্ষণকারী পাত্র প্রতিদিন জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
  • স্টেডিয়ামে আগত সকলকে স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন করার জন্য সহজে দৃশ্যমান হয় এমন স্থানে বিলবোর্ড, রেডিও, ভিডিও ও পোস্টারের মাধ্যমে সচেতনতামূলক বক্তব্য প্রচার করার ব্যবস্থা করতে হবে।

উক্ত সভায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আখতার হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

     #

আরিফ/পাশা/রাহাত/রফিকুল/আব্বাস/২০২০/ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ২৯৮২

বাংলাদেশ বেতারে প্রাথমিক শিক্ষা পাঠদান সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু হবে ১২ আগস্ট

ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :  

কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ধারাবাহিকতা রক্ষায় সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনের পাশাপাশি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়  বাংলাদেশ বেতারের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা পাঠ "ঘরে বসে শিখি" সম্প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আগামী ১২ আগস্ট প্রাথমিক শিক্ষা পাঠদান সম্প্রচারের কার্যক্রম শুরু হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন এ সম্প্রচার কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।

 

বাংলাদেশ বেতার এবং ১৬টি কমিউনিটি রেডিও এর মাধ্যমে সারা দেশে একযোগে ১২ আগস্ট থেকে প্রতি সপ্তাহে রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪:০৫-৪:৫৫টা পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা পাঠদান সম্প্রচার করা হবে। রেডিও এবং মোবাইল ফোনের রেডিও অপশনের মাধ্যমেও এ অনুষ্ঠান শোনা যাবে।

 

উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। কয়েক দফা বাড়িয়ে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।

     #

রবীন্দ্রনাথ/পাশা/রাহাত/রফিকুল/আব্বাস/২০২০/১৮২০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২৯৮১

 

শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে আরো ভালো সেবা দিতে হবে

                                                         -- ভূমি সচিব

 

ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :

          ভূমি সচিব মোঃ মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারী বলেছেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকীর এ মাসে শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে তাঁর আদর্শকে বুকে ধারণ করে আমাদের আরো ভালোভাবে কাজ করার মাধ্যমে সেবা দিতে হবে।

          আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান প্রদত্ত মাস্ক ও সাধারণ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিতরণ করার সময় ভূমি সচিব এসব কথা বলেন। যথাযথ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে কয়েক ভাগে এসব স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

          ভূমি সচিব এ সময় বঙ্গবন্ধুর অমর অনুশাসন সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, আমরা যারা সরকারি চাকরি করি তাদের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু বলেছেন, ‘সমস্ত সরকারি কর্মচারীকেই আমি অনুরোধ করি, যাদের অর্থে আমাদের সংসার চলে, তাদের সেবা করুন। যাদের জন্য যাদের অর্থে আজকে আমরা চলছি, তাদের যাতে কষ্ট না হয়, তার দিকে খেয়াল রাখুন।’

          ভূমি সচিব আরো বলেন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে ভূমি মন্ত্রণালয়ের একটি গুণগত উত্তরণ ঘটেছে, আমরা জাতিসংঘ পুরস্কার পেয়েছি। ভালো কাজের মাধ্যমে আমাদের এ স্বীকৃতি ধরে রাখতে হবে এবং বর্তমান পরিস্থিতি থেকেও আরো উত্তরণ করতে হবে।

          এ সময় ভূমি সচিব সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি বিধি মোতাবেক অফিস করার পরামর্শ দেন।

#

নাহিয়ান/পাশা/রাহাত/মোশারফ/জয়নুল/২০২০/১৯০০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২৯৮০

মুজিববর্ষ উপলক্ষে ১০ লাখ বৃক্ষ রোপণ করছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়

ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট):

          মুজিববর্ষ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ সংস্থাসমূহের অফিস প্রাঙ্গণ, আওতাধীন জমি  এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের খাল-নদী তীর ও অন্যান্য ফাঁকা জায়গায় বনজ, ফলদ ও ঔষধি গাছ রোপণের কর্মসূচি নিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। আজ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কর্মসূচির কথা জানানো হয়।

          এ সময় পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বনায়ন ও সবুজ বেষ্টনীর লক্ষ্যে ১ কোটি চারা রোপণ কর্মসূচি চালু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশে মোট বনভূমি ২৫ শতাংশে উন্নীত করার নির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুশাসন পালনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৫৯টি বিভাগের অধীনে মোট ১০ লাখ বৃক্ষ রোপণ করা হবে। প্রত্যেক এলাকার সংসদ সদস্য-সহ স্থানীয় প্রশাসন, সংবাদ মাধ্যমের সদস্য, সুশীল সমাজ, স্কাউটস এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কর্মসূচির গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি গাছ সারা জীবনে কমপক্ষে ২ দশমিক ৫ লাখ টাকার ভূমিক্ষয় রোধ করে। উপকূলীয় এলাকায় দেখা যায়, সকল দুর্যোগে যেখানে গাছ আছে সেখানে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়। এছাড়া, বাঁধ টেকসই করতে বৃক্ষরোপণের কোনো বিকল্প নেই।

          পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, নির্ধারিত ১৫-২০ দিনের মধ্যেই ১০ লাখ চারা রোপণের লক্ষ্য আমরা পূরণ করতে পারবো। এই কর্মসূচি সফল করতে ইতোমধ্যে তৃণমূল পর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

          এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, আমরা বন বিভাগের সাথে আলোচনা করে জেলা পর্যায়ে ভূ-প্রকৃতি, পরিবেশ প্রতিবেশ বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে নির্ধারিত প্রজাতির চারা রোপণ করবো। কাল থেকে শুরু হয়ে মাসব্যাপী চালু থাকবে এ কর্মসূচি। এছাড়া আগামী ১১-১৪ আগস্ট এবং ২৭-৩০ আগস্ট এই দিনগুলোতে সকলকে সম্পৃক্ত করে উৎসবমুখর পরিবেশে কাজ করা হবে।

#

আসিফ/পাশা/রাহাত/মোশারফ/জয়নুল/২০২০/১৮৫০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ২৯৭৯

কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাসসংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :  

 

          ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৬৪ জেলায় ইতোমধ্যে ২ লাখ ১১ হাজার ১৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া শিশুখাদ্য-সহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ১২২ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা নগদ বিতরণ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত এ সাহায্য দেশের সকল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে।

 ‌         স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী আজ দেশে নতুন করে আরো ২ হাজার ৯০৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৬০ হাজার ৫০৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯ জন-সহ এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৩৮ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৮৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৫০ হাজার ৪৩৭ জন।

 

          সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান এবং এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের সেবা প্রদান করা যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে।

#

তাসমীন/পাশা/রাহাত/রফিকুল/আব্বাস/২০২০/১৮২০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর: ২৯৭৮

 

১৪ আগস্ট বাদ জুমা এবং ১৫ আগস্ট বাদ জোহর দেশের সকল মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত

 

ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) : 

 

আগামী ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও  জাতীয় শোক দিবস ২০২০ উপলক্ষে  দেশের সকল মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করার অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। আজ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ করা হয়।

 

      বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ১৪ আগস্ট শুক্রবার বাদ জুমা এবং ১৫ আগস্ট শনিবার বাদ জোহর সামাজিক দূরত্ব  নিশ্চিতপূর্বক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শাহাদাতবরণকারী তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যবৃন্দ-সহ সকল শহিদের রূহের মাগফেরাত কামনায় সারা দেশের সকল মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করার জন্য মসজিদের খতিব, ইমাম ও মসজিদ কমিটি-সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।

                                                      #


আনিস/পাশা/রাহাত/রফিকুল/আব্বাস/২০২০/১৭৪০ ঘণ্টা  

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর: ২৯৭৭

 

মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকারের পরার্মশ

 

ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :  

 

          সকলের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতকরণের জন্য এ সম্পর্কে নিম্নলিখিত নির্দেশনাসমূহ অনুসরণে সরকার অনুরোধ করেছে :

 

       

  • সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট অফিসে আগত সেবা গ্রহীতাগণ বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহার করবেন। সংশ্লিষ্ট অফিস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।

 

  • সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল-সহ সকল স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে আগত সেবা গ্রহীতাগণ আবশ্যিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করবেন। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।

 

  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির ও গীর্জা-সহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট পরিচালনা কমিটি বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
  • শপিংমল, বিপণিবিতান ও দোকানের ক্রেতা-বিক্রেতাগণ আবশ্যিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করবেন।  স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও মার্কেট ব্যবস্থাপনা কমিটি বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
  • হাট-বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাগণ মাস্ক ব্যবহার করবেন। মাস্ক পরিধান ব্যতীত ক্রেতা-বিক্রেতাগণ কোনো পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করবেন না। স্থানীয় প্রশাসন ও হাট-বাজার কমিটি বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
  • গণপরিবহণের (সড়ক, নৌ, রেল, আকাশপথ) চালক, চালকের সহকারী ও যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। গণপরিবহণে আরোহণের পূর্বে যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সংশ্লিষ্ট  কর্তৃপক্ষ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মালিক সমিতি বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
  • গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি-সহ সকল শিল্প কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও মালিকগণ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
  • হকার, রিক্সা ও ভ্যানচালক-সহ সকল পথচারীর মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিশ্চিত করবেন।
  • হোটেল ও রেস্টুরেন্টে কর্মরত ব্যক্তি এবং জনসমাবেশ চলাকালীন আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধান করবেন। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মালিক সমিতি নিশ্চিত করবেন।
  • সকল প্রকার সামাজিক অনুষ্ঠানে আগত ব্যক্তিদের মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান  নিশ্চিত করবেন।
  • বাড়িতে করোনা উপসর্গ-সহ কোনো রোগী থাকলে পরিবারের সুস্থ সদস্যগণ মাস্ক ব্যবহার  করবেন।

         

#

ওসমানী/পরীক্ষিৎ/জসীম/আসমা/১৫৪৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ২৯৭৬ 

 

ভ্যাকসিন আগে পাওয়াই

2020-08-10-21-33-9226332b1d06565942f6b168f59cf7f3.docx