Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১st অক্টোবর ২০১৫

তথ্যবিবরণী ১/১০/২০১৫

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর :  ২৮৪৪

দুর্ঘটনায় আহত এইচ এন আশিকুর রহমানের বাসভবনে ডেপুটি স্পিকার

ঢাকা, ১৬ আশ্বিন (১ অক্টোবর) :
    ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া দুর্ঘটনায় আহত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমানকে দেখতে আজ তাঁর বনানীর বাসভবনে যান। ডেপুটি স্পিকার তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং আশু অরোগ্য কামনা করেন। এসময় আশিকুর রহমানের স্ত্রী রেহানা আশিকুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। 
    গত ২৫ সেপ্টেম্বর রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ফরিদপুর ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে মাইক্রোফোনে ইলেকট্রিক শক লেগে এইচ এন আশিকুর রহমানসহ পাঁচজন আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদেরকে সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সিএমএইচ এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট ও ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে আশিকুর রহমানকে আজ তাঁর বনানীর বাসভবনে আনা হয়। 
#

স¦পন/মিজান/মোশাররফ/নবী/রফিকুল/সেলিম/২০১৫/২২১০ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর :  ২৮৪৩

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষক-কর্মচারীদের
  সেপ্টেম্বর মাসের বেতন-ভাতার চেক ব্যাংকে হস্তান্তর

ঢাকা, ১৬ আশ্বিন (১ অক্টোবর) :
    বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের (স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা) শিক্ষক-কর্মচারীদের চলতি বছরের সেপ্টেম্বর  মাসের বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশের ১২টি চেক অনুদান বণ্টনকারী অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক লিমিটেড এর প্রধান কার্যালয়ে এবং জনতা ও সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর স্থানীয় কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে।
    আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শাখা ব্যাংক হতে শিক্ষক-কর্মচারীগণ তাদের স¦ স¦ ব্যাংক একাউন্ট নম্বরের মাধ্যমে সেপ্টেম্বর  মাসের বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ উত্তোলন করতে পারবেন।
    উল্লেখ্য, আগস্ট মাসের বেতন-ভাতার এমপিও কপি বা ভাউচার সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না পৌঁছানোর কারণে অথবা অন্য কোনো কারণে যে সকল প্রতিষ্ঠান বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করতে পারেনি সে সকল প্রতিষ্ঠান বর্তমান মাসের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা উত্তোলন করতে পারবে।


#
শফিকুল/মিজান/নবী/রফিকুল/সেলিম/২০১৫/২০০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২৮৪২

 

বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে জাপানের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের বৈঠক

 

ঢাকা, ১৬ আশ্বিন (১ অক্টোবর) :

 

          বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, জাপান বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী  দেশ। দু’দেশের মধ্যে ব্যবসাবাণিজ্য দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে দু’দেশের মধ্যে প্রায় আড়াই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হচ্ছে। জাপান বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত পণ্য রপ্তানির সুযোগ দিচ্ছে। গত এপ্রিল থেকে ওভেন এবং নিটওয়্যার পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করেছে। এর ফলে জাপানে বাংলাদেশের পণ্যরপ্তানি আরো বৃদ্ধি পাবে।

 

          মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে সফররত জাপানের পার্লামেন্টারি ভাইস-মিনিস্টার অভ্ ইকনমি, ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ইয়োশিহিরো সেকি (ণড়ংযরযরৎড় ঝবশর) এর নেতৃত্বে ২৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সাথে মতবিনিময়ের পর সাংবাদিকদের উদ্দেশে এ কথা বলেন।

 

          বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে জাপানের ২৯টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ রয়েছে। বাংলাদেশ জাপানকে গাজীপুর অথবা নারায়ণগঞ্জে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য জমি বরাদ্দ দিতে প্রস্তুত। বিনিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশ জাপানকে প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে।

 

          জাপানের পার্লামেন্টারি ভাইস-মিনিস্টার সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশ জাপানের ঘনিষ্ট বন্ধু রাষ্ট্র। বাংলাদেশে জাপানের অনেক বিনিয়োগ রয়েছে। জাপানের আরো অনেক ব্যবসায়ী বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। জাপান সরকার বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে আগ্রহী। চলমান সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি করতে জাপান সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

 

          দু’দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে ছিলেন - বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াটানাবে (গধংধঃড় ডধঃধহধনব), জাইকা, কামিগুমি কোং লি., কানবি পিটি লি., হান্দো মটর কোং লি., মারুবিনি করপোরেশন, সুমিতোমো মিটসুই করপোরেশন,  মিটসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ লি., রি-টিম করপোরেশন ও জেটরো এর প্রতিনিধিগণ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তিন অতিরিক্ত সচিব মো. শওকত আলী ওয়ারেছি, জহির উদ্দিন আহমেদ ও মনোজ কুমার রায়।

#

 

বকসী/মিজান/নবী/রফিকুল/সেলিম/২০১৫/১৯০০ ঘণ্টা     তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২৮৪১

আগামীকাল জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উদ্যাপন করা হবে 

ঢাকা, ১৬ আশ্বিন (১ অক্টোবর) :
জাতীয় পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের শিল্প, কৃষি ও সেবাসহ বিভিন্নখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে আগামীকাল “জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস” উদ্যাপন করা হবে। এ উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। উল্লেখ্য, এবছর জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে, “রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে প্রয়োজন বর্ধিত উৎপাদনশীলতা”।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২ অক্টোবর সকাল ৮টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনসংলগ্ন সড়ক থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হবে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সুষেণ চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে এতে শিল্প মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, শিল্পকারখানার মালিক, শ্রমিক ও কর্মচারীরা অংশ নিবেন। 
এছাড়া, এনপিও’র  উদ্যেগে সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে “রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে প্রয়োজন বর্ধিত উৎপাদনশীলতা” শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। 
দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন। এছাড়া, দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশন টকশো সম্প্রচার করবে। জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ হবে। পাশাপাশি মোবাইলফোন অপারেটররা ক্ষুদে বার্তা প্রেরণ করে উৎপাদনশীলতা বিষয়ে জনগণকে সচেতন করবে।
দিবস উপলক্ষে এনপিও প্রচারসামগ্রী, বুকলেট, বর্ণিল স্যুভেনির ও পোস্টার প্রকাশ করেছে। 
#

জলিল/মিজান/রফিকুল/জয়নুল/২০১৫/১৮৪০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                           নম্বর : ২৮৪০

সমন্বয়সভায় শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষাখাতের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ

ঢাকা, ১৬ আশ্বিন (১ অক্টোবর) :
    শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ দেশের শিক্ষাখাতের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।
    শিক্ষামন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়সভায় সভাপতিত্বকালে এ নির্দেশ দেন।
    মন্ত্রী প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার বিবেচনার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে, তবে শিক্ষাখাতের অগ্রযাত্রা ধরে রাখার জন্য অত্যাবশ্যক প্রকল্পের জন্য অর্থের অভাব হবে না।
    সভায় জানানো হয়, চলতি অর্থবছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৫২টি নতুন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের মধ্যে ১৭টি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৫টি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য দ্রুত পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণের জন্য শিক্ষামন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন। নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ, কারিগরি শিক্ষার প্রসার, মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়নে এসব প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। 
    সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং  মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উইং, অধিশাখা, শাখা ও দপ্তরের কার্যক্রমের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।
    শিক্ষামন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরতদের দ্রুত পদোন্নতি প্রদান, অমীমাংসিত মামলাসমূহের দ্রুত নিষ্পত্তি, শূন্যপদে নিয়োগ, প্রশ্নপত্র প্রণয়নে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরাসহ সুষ্ঠুভাবে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা পরিচালনায় আরো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। মন্ত্রী দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে শিক্ষা পরিবারের টিমস্পিরিট বজায় রাখার জন্য কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেন।
    সভায় এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র পাল জানান, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এসব বই আগামী পয়লা জানুয়ারি সারাদেশে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া সম্ভব হবে।
    মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালনরত অতিরিক্ত সচিব ড. অরুণা বিশ্বাস, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব, বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান ও প্রকল্প পরিচালকগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
#
সাইফুল্লাহ/মিজান/রফিকুল/সেলিম/২০১৫/১৮০০ ঘণ্টা     
 তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২৮৩৯

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বেসরকারি সংস্থাগুলোকে দ্রুত এগিয়ে আসা প্রয়োজন
                                                          -- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৬ আশ্বিন (১ অক্টোবর) :
    বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বেসরকারি সংস্থাগুলোকে দ্রুত এগিয়ে আসা প্রয়োজন। সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বর্জ্যসমূহকে সম্পদ ও শক্তিতে পরিণত করার উদ্যোগ অব্যাহত রাখা হবে।  
    প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বিদ্যুৎভবনে “বর্জ্য থেকে জ¦ালানি উৎপাদন-বাংলাদেশে সমস্যা ও সম্ভাবনা” (ডধংঃব ঃড় ঊহবৎমু-ঙঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃু ধহফ ঈযধষষবহমবং রহ ইধহমষধফবংয) শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। 
    প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষণ ও এর বহুল ব্যবহারে জনগণকে উদ্বুুদ্ধ করতে হবে। উদ্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে কাজ করার এখনই উত্তম সময়। অনেক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
    ¯্রডোর সভাপতি তাপস কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ইউএনডিপি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর পলিন ট্যামেসিস (চধঁষরহব ঞধসবংরং) ও বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম বক্তব্য রাখেন। 
#

 আসলাম/মিজান/রফিকুল/জয়নুল/২০১৫/১৮১৫ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২৮৩৮

৯ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে সকলের সহযোগিতা কামনা

ঢাকা, ১৬ আশ্বিন (১ অক্টোবর) :
    জাতীয় মাছ ইলিশের প্রজনন মৌসুম চলছে। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ আহরণ, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ এবং বিক্রি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে। ইলিশ সংরক্ষণ এবং এর উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে জেলেসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
    ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য মা ইলিশ সংরক্ষণ জরুরি। মা ইলিশ যাতে নির্বিঘেœ ডিম ছাড়তে পারে সেজন্য আগের বছর প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা ১১ দিন বন্ধ থাকলেও ডিম ছাড়ার পর মা মাছ সমুদ্রে যাবার সময় ধরা পড়ত। ফলে এবছর ইলিশ আহরণ বন্ধের সময়সীমা ৪ দিন বাড়িয়ে ১৫ দিন করা হয়েছে।
    ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণ বন্ধ, জলদস্যুতা নিয়ন্ত্রণ, অবৈধপথে ইলিশের পাচাররোধ এবং জেলেরা যাতে মশারিজাল, বেড়জাল, কারেন্টজাল এবং বেহেন্দিজালের ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ইতোমধ্যে বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী, জেলাপ্রশাসন এবং মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাদের আরো কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
    এছাড়া, মংলাবন্দর ১ নং বয়া থেকে পটুয়াখালির রাঙাবালি উপজেলার সোনারচর পয়েন্ট পর্যন্ত এবং বঙ্গোপসাগরের ৪ নং বয়া এলাকার সুন্দরবনসংলগ্ন সামুদ্রিক এলাকায় নিয়মিত টহল জোরদার করার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
    দেশে মোট মাছের উৎপাদনে ইলিশের অবদান প্রায় ১১ শতাংশ। একক প্রজাতি হিসেবে যা সর্বোচ্চ। জিডিপিতে ইলিশের অবদান এক শতাংশ। ইলিশ আহরণে দেশের ৫ লাখ লোক সরাসরি এবং ২০-২৫ লাখ লোক পরোক্ষভাবে জড়িত। 
#

 আকতারুল/মিজান/রফিকুল/জয়নুল/২০১৫/১৮০৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                           নম্বর : ২৮৩৭

২২ জেলায় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা ১৬ অক্টোবর

ঢাকা, ১৬ আশ্বিন (১ অক্টোবর) :

    সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জন্য সৃষ্ট সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০১৪ এর লিখিত পরীক্ষা আগামী ১৬ অক্টোবর সকাল ১০টা হতে ১১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। ৪৪৭টি  কেন্দ্রে ৩ লাখ ৪৩ হাজার ২৫৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিবেন।

    এ পরীক্ষা দেশের ২২ জেলায় একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। জেলাগুলো হলো- চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, খুলনা, জামালপুর, নেত্রকোনা, নরসিংদী, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী ও লালমনিরহাট। 
    
    ২ অক্টোবর থেকে প্রার্থীদের মোবাইলে ম্যাসেজ প্র্রেরণ করা হবে এবং ৩ অক্টোবর থেকে প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে যঃঃঢ়://ফঢ়ব.ঃবষবঃধষশ.পড়স.নফ ওয়েবসাইট হতে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে সংগ্রহ করতে পারবেন।

    লিখিত পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদেরকে প্রবেশপত্র ছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনো বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোনো কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মোবাইলফোন ও ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, ইলেকট্রনিক ঘড়ি বা যে কোনো ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ইত্যাদি সঙ্গে রাখতে পারবেন না। যদি কোনো পরীক্ষার্থী এসব  দ্রব্য সাথে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করেন তাকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কার করা হবে। 

    ওএমআর শিট পূরণের নির্দেশনাবলী এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য িি.িফঢ়ব.মড়া.নফ  ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
    
    অন্যান্য জেলাসমূহের পরীক্ষা পর্যায়ক্রমে পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত হবে এবং তারিখ, সময় ও যাবতীয় তথ্য পরবর্তীতে জানানো হবে। 

#

রবীন্দ্রনাথ/মিজান/মোশাররফ/রফিকুল/সেলিম/২০১৫/১৭৩০ ঘণ্টা     

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ২৮৩৫

৭০তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

নিউইয়র্ক, ১৬ আশ্বিন (১ অক্টোবর) :
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বিস্তারিত নি¤œরূপ :

“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
সম্মানিত সভাপতি,
আসসালামু আলাইকুম এবং ঠবৎু এড়ড়ফ গড়ৎহরহম ঃড় ুড়ঁ ধষষ।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় আমি আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
 
বিগত এক বছর সাধারণ পরিষদে অসাধারণ নেতৃত্ব প্রদানের জন্য আমি মান্যবর ঝধস কঁঃবংধ-কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। 

জনাব সভাপতি,

শুধু জাতিসংঘ নয়, সামগ্রিক অর্থে সারাবিশ্বের জন্য এ বছরটি আমূল পরিবর্তনের বছর। এ বছরই বিশ্ব সংস্থার ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। ‘আমাদের নিয়তি একইসূত্রে গাঁথা’ আমাদের পূর্বসূরীদের এই বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে এই বিশ্বসংস্থার গোড়াপত্তন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন ও মানবাধিকারের অগ্রগতির জন্য জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। সত্তর বছর ধরে জাতিসংঘ মানব সম্প্রদায়ের জন্য আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক হয়ে আছে। 

টেকসই উন্নয়নের জন্য এই বছরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আদ্দিস আবাবায় অনুষ্ঠিত উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন শীর্ষক শীর্ষ-সম্মেলন এবং নিউ ইয়র্কে সদ্যসমাপ্ত ২০১৫-পরবর্তী উন্নয়ন শীর্ষ সম্মেলন গোটা বিশ্বের জনগণের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। এ বছরের শেষে প্যারিসে আমরা একটি অর্থবহ জলবায়ু চুক্তিতে উপনীত হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আমরা আশা করছি দারিদ্র্য নিরসন, জলবায়ু পরিবর্তন সীমিত রাখা এবং ধরিত্রীকে সুরক্ষার মাধ্যমে আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিশ্চিত হবে।    

জনাব সভাপতি,
বিশ্বে মানব সভ্যতার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে আজ আমরা সবচেয়ে বড় দুটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছি। যার প্রথমটি হচ্ছে সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস জঙ্গিবাদ। বিশ্বশান্তি ও উন্নয়নের পথে এটি প্রধান অন্তরায়। সন্ত্রাসীদের কোন ধর্ম নেই। সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সকল রাষ্ট্রকে একযোগে কাজ করতে হবে। 

আমি নিজে সন্ত্রাস এবং সহিংস জঙ্গিবাদের শিকার। আমার পিতা বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, তিন ভাই এবং অন্যান্য নিকট আত্মীয়দের ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আমি নিজেও কমপক্ষে ১৯ বার সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছি। আমার সরকার সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ, সহিংস জঙ্গিবাদ এবং মৌলবাদের প্রতি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে বিশ্বাসী। বাঙালি জাতির গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে যারা লিপ্ত রয়েছে, সেসব চরমপন্থী ও স্বাধীনতা-বিরোধী শক্তির মোকাবিলায় আমরা সদা-তৎপর। 

-২-
দ্বিতীয়ত, জলবায়ু পরিবর্তন একটি মারাত্মক উন্নয়ন হুমকি হিসেবে আবির্র্ভূত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ কার্যকরভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব না হলে, আমাদের উন্নয়ন প্রচেষ্টা এগিয়ে নেওয়া কোনভাবেই সম্ভব হবে না। নতুন উন্নয়ন এজেন্ডায় পরিস্কারভাবে বলা হয়েছে আমাদের এই ধরিত্রী, এর প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য এবং জলবায়ু সংরক্ষণের জন্য সকল কার্যক্রম বাস্তবায়নে সকলের দৃঢ় প্রত্যয় থাকতে হবে। আমাদের সামনে সামান্যই সুযোগ অবশিষ্ট আছে। এ বিশ্বকে নিরাপদ, আরও সবুজ এবং আরও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে আমাদের অবশ্যই সফলকাম হতে হবে।  

জনাব সভাপতি,
আমরা মনে করি, টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা এবং শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে - ঝঅঅজঈ, ইওগঝঞঊঈ এবং ইঈওগ-ঊঈ –এর মত আঞ্চলিক সংস্থা প্রতিষ্ঠায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করে চলেছে। এছাড়া, বাংলাদেশ, ভূটান, ভারত এবং নেপালের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য আমরা অবকাঠামো উন্নয়নের পদক্ষেপ নিয়েছি।    

আমরা লক্ষ্য করছি অভিবাসন এবং মানব চলাচল আজ নতুনভাবে ইতিহাস এবং ভৌগলিক পরিসীমা নির্ধারণে নিয়ামক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০৩০ উন্নয়ন এজেন্ডায় উন্নয়নের জন্য অভিবাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপযোগ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অভিবাসনের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে সহযোগিতা প্রয়োজন। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে, উৎস এবং গন্তব্য দেশ হিসেবে আমরা ২০১৬ সালে এষড়নধষ ঋড়ৎঁস ড়হ গরমৎধঃরড়হ ধহফ উবাবষড়ঢ়সবহঃ (এঋগউ)-র নেতৃত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। 

জনাব সভাপতি,
বিগত কয়েক বছরে শান্তিরক্ষা এবং শান্তি নির্মাণ জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অন্যতম প্রধান শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ গর্বিত। এ পর্যন্ত আমাদের সাহসী শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যগণ বিশ্বের ৪০টি দেশের ৫৪টি মিশনে নিয়োজিত হয়েছেন। আমরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সর্Ÿোচ্চ সংখ্যক নারী পুলিশ সদস্য নিয়োজিত করার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছি। জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশের অবদান জাতিসংঘের শান্তি অন্বেষায় আমাদের বিশ্বস্ত অংশীদার করেছে।  

জনাব সভাপতি,
বিগত প্রায় ১৫ বছর যাবত আমাদের উন্নয়ন পরিকল্পনার এটি বৃহদাংশ এবং এর বাস্তবায়ন এমডিজিকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে। এমডিজির সার্বিক অগ্রগতি আমাদের আরও বৃহদাকার, বলিষ্ঠ এবং উচ্চাভিলাষী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে অনুপ্রাণিত করেছে। এসডিজিতে যে উচ্চাশা প্রতিফলিত হয়েছে তা বাস্তবায়নে আমাদের সরকারি ও ব্যক্তিখাত সহ অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক তহবিলের যোগান অবশ্যই বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য উন্নত দেশগুলোর পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাঁদের এঘও-এর শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ ঙউঅ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে এবং শূন্য দশমিক ২ শতাংশ হারে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে প্রদান জরুরি। পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলোর পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার ও বিস্তার এবং অভিযোজনের যে সকল চ্যালেঞ্জ রয়েছে তার দ্রুত সমাধান প্রয়োজন। এ ধরণের প্রযুক্তি এবং সক্ষমতা হস্তান্তর ব্যতীত অনেক উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়ন অনার্জিত থেকে যাবে বলে আমার আশঙ্কা।  
 
-৩-
জনাব সভাপতি,
চার দশকেরও বেশি আগে, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁর প্রথম বক্তৃতায় ‘‘শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থান, সামাজিক ন্যায়বিচার, দারিদ্র্য, ক্ষুধা, বঞ্চনা ও আগ্রাসনমুক্ত একটি বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার” স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁর সেই উদাত্ত আহ্বান আজও আমাদের জাতীয় উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক পরিম-লে সম্পৃক্ততার পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা বর্তমানে এমন এক বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে এগুচ্ছি যেখানে দারিদ্র্য, অসমতা এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতির পরিবর্তে সামাজিক ন্যায়বিচার এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এর আগে আমি ‘রূপকল্প-২০২১’ উপস্থাপন করেছিলাম। এর মাধ্যমে আমরা একটি মধ্যম-আয়ের, জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি অর্থাৎ ’ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে চাই। উন্নয়নের পথে যেভাবে আমরা দৃপ্ত পদক্ষেপে অগ্রসর হচ্ছি, তাতে আমি বিশ্বাস করি, অচিরেই আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারব। 

জনাব সভাপতি,
বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমরা সীমিত সম্পদ দ্বারা বিশ্বের অন্যতম দ্রুততম দারিদ্র্য হ্রাসকারী দেশ হিসেবে নিজেদের পরিচিত করতে সক্ষম হয়েছি। দারিদ্র্যের হার ১৯৯১ সালে যেখানে ৫৬.৭ শতাংশ ছিল, বর্তমানে তা ২২.৪ শতাংশে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই এমডিজি-১,২,৩,৪,৫ এবং ৬ অর্জন করেছে অথবা অর্জনের ক্ষেত্রে সঠিক পথেই এগুচ্ছে। বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও গত ৬ বছরে জিডিপি’র গড় প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ। ২০০৫-০৬ থেকে ২০১৪-১৫ পর্যন্ত রপ্তানি আয় এবং প্রবাসীদের রেমিটেন্স প্রেরণের পরিমাণ ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় সাড়ে ৭ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে চলতি অর্থবছরে ২৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ইউএনডিপি’র নি¤œ মানবসম্পদ উন্নয়নের দেশ থেকে মধ্যম সারিতে উন্নীত হয়েছে এবং বিশ্ব ব্যাংকের মান অনুযায়ী নি¤œ আয়ের দেশ থেকে নি¤œ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে।

আমরা মনে করি, বিপুল সংখ্যক যুব সম্প্রদায়কে মানবসম্পদে পরিণত করার জন্য বিনিয়োগ করা হলে তা ভবিষ্যতে সুফল বয়ে আনবে। এজন্য আমার সরকার শিক্ষা এবং সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার উপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেছে। আমরা ৬ষ্ঠ থেকে ¯œাতক পর্যন্ত ১ কোটি ৩৪ লাখ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও উপবৃত্তির আওতায় এনেছি। ঝরে পড়া রোধে মেয়েদের উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষাকে সম্পূর্ণ অবৈতনিক করা হয়েছে। এ বছরের প্রথমদিনেই আমরা সারাদেশে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত ৩২৬.৩৫ মিলিয়ন পাঠ্যবই বিনামূল্যে বিতরণ করেছি। ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১.৫৯ বিলিয়ন পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে। সমগ্র বিশ্বে এ ধরণের উদ্যোগ সম্ভবত এটাই প্রথম। আমরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৫ হাজার ২৭৫টি ডিজিটাল কেন্দ্র স্থাপন করছি। এগুলো থেকে জনগণ ২ শোর বেশি সেবা গ্রহণ করছেন। গ্রামাঞ্চলে স্থাপিত তথ্যপ্রযুক্তির সাথে সংযুক্ত প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। 

উৎপাদনমুখী সম্পদে নারীর প্রবেশাধিকার এবং জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে তাঁদের প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের ফলাফল দৃশ্যমান হচ্ছে। একইভাবে আমরা আমাদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন এবং সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে অগ্রাধিকারভিত্তিতে সেগুলো সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছি। অটিজম ও অন্যান্য বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের অধিকার আদায়ে জাতিসংঘে আমরা নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করছি। আমাদের একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টারই ফলেই এটা সম্ভব হচ্ছে। 

 
-৪-
জনাব সভাপতি,
এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্র্জনের ক্ষেত্রে আমরা যেভাবে কাজ করেছি, তা দৃষ্টান্ত হিসেবে গ্রহণ করে বাংলাদেশ এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও তার প্রয়োগ ঘটাতে চাই। এসডিজি ফ্রেমওয়ার্ককে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে বর্তমানে আমরা ২০১৬-২০২০ মেয়াদী নতুন জাতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করছি। একটি টেকসই, শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধশালী সমাজ প্রতিষ্ঠায় আমাদের যে আকাক্সক্ষা সেখানে কেউ যাতে পিছিয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। সমাজে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতিষ্ঠিত না হলে আমরা টেকসই উন্নয়নও নিশ্চিত করতে পারব না। এজন্য আমরা শান্তি সমুন্নত রাখতে সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে বদ্ধপরিকর। এই চেতনা থেকেই আমরা দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি। যারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, ধর্ষণ এবং গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে। আমার সরকার ধর্মীয় সম্প্রীতি এবং সহনশীলতা বজায় রাখার ব্যাপারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। যুগ যুগ ধরে এই চর্চা আমাদের সামাজিক কাঠামোরই অংশ হয়ে উঠেছে।

সম্প্রতি আমরা আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারত এবং মিয়ানমারের সঙ্গে স্থল এবং সমুদ্র সীমানা সমস্যা সংক্রান্ত সমস্যাগুলির শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছি। গত ৩১ জুলাই মধ্যরাতে আমরা ভারতের সাথে ১৬২টি ছিটমহল বিনিময় করেছি। যার মাধ্যমে প্রায় ৫০ হাজার রাষ্ট্রবিহীন ছিটমহলবাসী তাঁদের পছন্দের রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে পেরেছেন। তাঁদের দীর্ঘদিনের মানবেতর জীবনের অবসান হয়েছে। এ কাজটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার মাধ্যমে আমরা সমগ্র বিশ্বের কাছে কূটনৈতিক সাফল্যের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সমর্থ হয়েছি। 

একই চেতনায় আমি আহ্বান জানাচ্ছি, আসুন আমরা সবাই মিলে আমাদের সামষ্টিক অঙ্গীকার অনুযায়ী এমন একটি শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ উন্নত বিশ্ব গড়ে তুলি যেখানে দারিদ্র্য এবং অসমতা, সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গিবাদ, জলবায়ু পরিবর্তন ও সংঘাত, এবং বিদ্বেষ ও বৈষম্য থাকবে না। আসুন, আমরা আমাদের নৈতিক সাহস এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সন্তান এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ও নিরাপদ জীবন ও উজ্জ্বল ভবিষ্যত রেখে যাওয়ার সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করি।

জনাব সভাপতি, আপনাকে ধন্যবাদ।

খোদা হাফেজ।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
জাতিসংঘ দীর্ঘজীবী হোক।”
#

 নুরএলাহি/অনসূয়া/শাহআলম/শুকলা/মিজান/লাভলী/২০১৫/১৬২০ ঘণ্টা

 
তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ২৮৩৪

জাতীয় স্যানিটেশন মাস অক্টোবর ২০১৫ উদ্বোধন

ঢাকা, ১৬ আশ্বিন (১ অক্টোবর) :
‘সকলের জন্য স্যানিটেশন, নিশ্চিত হোক উন্নত জীবন’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ থেকে শুরু হয়েছে ‘জাতীয় স্যানিটেশন মাস অক্টোবর ২০১৫’। স্যানিটেশন মাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম। বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আকরাম আল হোসাইনের সভাপত্বিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মো. দেল্ওয়ার হোসেন, ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি জাকারিয়া আকবেরিমি ও মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বলেন সুস্থভাবে বাঁচার জন্য স্যানিটেশনের বিকল্প নেই। তিনি বলেন সুন্দর পরিবেশ গড়তে যত না অর্থের প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি প্রয়োজন পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি। স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহারের বিষয়ে সকলের মধ

Todays handout (9).doc