Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ জুলাই ২০১৭

তথ্যবিবরণী ১৭ জুলাই ২০১৭

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৮৫০

উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে শহিদ মতিউর রহমানের পিতার
 মৃত্যুতে তোফায়েল আহমেদের শোক

ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই) :  

উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে শহিদ মতিউর রহমানের পিতা আজাহার আলী মল্লিক আজ উত্তরার একটি হাসপাতালে বয়সজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না-----রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। তার মৃত্যুতে উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের নেতা বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি মরহুমের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সময় মতিউর রহমান পুরান ঢাকার নবকুমার ইনস্টিটিউটের ১০ম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সেদিন তিনি মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন এবং পুলিশের গুলিতে শহিদ হোন। সে সময় মতিউরের লাশের পাশে দাঁড়িয়ে তার বাবা আজাহার আলী মল্লিক জনতার উদ্দেশ্যে বলেছিলেন ‘আমার ছেলে শহিদ হয়েছে-দুঃখ নেই, শহিদের রক্ত যেন বৃথা না যায়’। মতিউর রহমানের রক্ত বৃথা যায়নি। সেই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন এবং বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।

মতিউরের বাবা আজাহার আলী মল্লিক দীর্ঘদিন বয়সজনিত কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার মৃত্যুর খবর পেয়েই বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ হাসপাতালে ছুটে যান, খোঁজ খবর নেন এবং উপস্থিত পরিবারের সদস্যদের সান্ত¦না দেন।
#
বকসী/মাহমুদ/আলী/আব্বাস/২০১৭/২১১০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ১৮৪৯
 
ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুদের ওপর জরিপ সম্পন্ন
                                         --- শ্রম প্রতিমন্ত্রী
 
ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই) :
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক (চুন্নু) বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্যে কোন কোন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে কত সংখ্যক শিশু শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছে তা নিরূপনের জন্য জরিপ কার্যক্রম চালানো হয়েছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে  কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের কাজ চলছে। 
তিনি আজ রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে আজিমুর রহমান কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত এসডিজির আলোকে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন সংক্রান্ত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
গৃহকর্মকে ঝুঁকিপূর্ণ খাত হিসেবে ঘোষণার জন্য বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের দাবির প্রেক্ষিতে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার ৩৮ টি খাতকে ঝুঁকিপূর্ণ খাত হিসেবে ঘোষণা করেছে। এর বাইরে গৃহকর্মকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আলাদাভাবে গৃহকর্মী সুরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। ভবিষ্যতে গৃহকর্মী সুরক্ষা বিষয়ে আইন প্রণয়ন করা হবে। 
তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে শিশুশ্রম আরো কমে আসবে। তিনি বলেন, সরকার শ্রম আইন সংশোধন করেছে। এ সংশোধনীতে শিশুদের জন্য হালকা কাজের সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হবে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ শ্রম আইন সংশোধনের জন্য ১৫ সদস্যের ত্রিপক্ষীয় টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এ কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিবে।
সেমিনারে শিশু অধিকার ফোরামের চেয়ারপার্সন মো. এমরানুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য মোঃ ইসরাফিল আলম, জেবুন্নেছা আফরোজা,  কবি কাজী রোজী, কামরুন নাহার, মো. শামসুল আলম দুদু, হুসনা আরা লুৎফা, মো. নুরুল ইসলাম এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের কো অর্ডিনেটর আবদুল্লাহ আল মামুন বক্তৃতা করেন। 
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুজ্জামান ভূঁইয়া।
#
 
আকতার/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/২০৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৮৪৮

পরিবার পরিকল্পনায় নারী পুরুষের যৌথ উদ্যোগ জরুরি
      ---পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী

ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই) :  

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, পরিবার পরিকল্পনায় নারী-পুরুষের যৌথ উদ্যোগ জরুরি। পরিকল্পিত পরিবার গঠনে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে শুধুমাত্র শহরকেন্দ্রিক না থেকে প্রত্যন্ত, দুর্গম, বস্তি ও শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকায় সচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। এক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়াতে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ এবং  গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ সর্বস্তরের অগ্রসর জনগোষ্ঠীর প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

তিনি আজ ঢাকায় প্রথম আলো কার্যালয়ে ‘পরিবার পরিকল্পনা : জনগণের ক্ষমতায়ন, জাতির উন্নয়ন’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ইউনিসেফ এর সহযোগিতায় দৈনিক প্রথম আলো এই বৈঠকের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পি, পাওয়ার এন্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার এর নির্বাহী পরিচালক হোসেন জিল্লুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. কাজী মোস্তফা সারোয়ারসহ বিভিন্ন সহযোগী ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সংস্কৃতিকর্মী বক্তৃতা করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,পরিকল্পিত পরিবার গঠনের জন্য আমরা শুধুমাত্র নারীর উপর দায়িত্ব চাপিয়ে দেই। কিন্তু এক্ষেত্রে পুরুষদেরও সমান কর্তব্য রয়েছে। আমাদের এই ক্ষুদ্র দেশে বিশাল জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে সবাইকে কাজ করতে হবে। নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন ও উপজেলা হাসপাতালে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, নিরাপদ প্রসবের জন্য মায়েদেরকে হাসপাতালে আনার উদ্যোগ নেওয়াই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এ কাজে আমাদেরকে সফল হতেই হবে। পাশাপাশি বাল্যবিবাহ রোধে সচেতনতা কার্যক্রম বাড়ানোর উপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
#
পরীক্ষিৎ/মাহমুদ/শেফায়েত/আব্বাস/২০১৭/২০১৪ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ১৮৪৭
 
সাপ্তাহিক ভিত্তিতে বিডা’র ১ম নির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত  
 
ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই) :    
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এর অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্তসমূহ দ্রুত বাস্তবায়ন ও বেগবান করার মাধ্যমে দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে বিডা’র বিগত নির্বাহী সভায় প্রতি মাসের পরিবর্তে প্রতি সপ্তাহে সোমবার বিডা’র নির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। 
সে অনুযায়ী সাপ্তাহিক ভিত্তিতে বিডা’র ১ম নির্বাহী সভা আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর দিলকুশাস্থ বিডা’র বোর্ডরুমে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মোঃ আমিনুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। বিডা’র নির্বাহী সদস্য মোঃ আলতাফ হোসেন ও নাভাস চন্দ্র মন্ডলসহ বিডা’র সংশ্লিষ্ট পরিচালক, উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালকবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কোন রকম পরিবর্তন ও পরিমার্জন ছাড়াই বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৮ম সভার কার্যবিবরণী সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয় এবং নির্বাহী পরিষদের বিগত ৮ম সভার সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
সভায় বিডা’র অনিষ্পন্ন বিষয়সমূহ যথা : সাংগঠনিক কাঠামো ও সংশ্লিষ্ট জব ডেসক্রিপশন অনুমোদনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগের ব্যবস্থা গ্রহণ, বিদেশে বাংলাদেশের বিনিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালা দ্রুত বাস্তবায়নে ব্যবস্থা গ্রহণ, দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তাদের এষড়নধষ ঠধষঁব ঈযধরহ-এ সম্পৃক্তকরণে খরহশধমব উবাবষড়ঢ়সবহঃ চৎড়মৎধস বাস্তবায়নের আওতায় নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সহায়তা নিয়ে প্রশিক্ষণ মডিউল চূড়ান্তকরণ এবং সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে  দ্রুত এ সংক্রান্ত একটি সভা আহ্বান, রেমিটেন্স, রয়্যালটি, টেকনিক্যাল নো-হাউ ও অন্যান্য টেকনিক্যাল ফিস প্রত্যাবাসন বিষয়ক প্রস্তাবসমূহ অনুমোদন, পারমিশন ফি ফান্ড হতে ব্যয় সমন্বয়, বিভাগীয় পর্যায়ে বিনিয়োগ ভবন নির্মাণ, ঈড়ংঃ ড়ভ উড়রহম ইঁংরহবংং, ঋউও ইত্যাদি বিষয়ে  প্রকাশনার জন্য টাস্কফোর্স গঠন প্রভৃতি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। 
#
ফয়সল/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৮৪৬
 
  বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অতি দরিদ্রদের ঘর নির্মাণে ত্রাণমন্ত্রীর আশ্বাস
 
কুড়িগ্রাম, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই) :    
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম বলেছেন, বন্যাপ্রবণ এলাকার অতি দরিদ্রদের জন্য এবং নদীভাঙন কবলিত মানুষদের জন্য সরকার ঘর নির্মাণ করে দিবে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষের ঋণের কিস্তি 
১ বছরের জন্য স্থগিত বা ক্ষেত্র বিশেষে মওকুফ করার জন্য তিনি এনজিওদের প্রতি আহ্বান জানান।
উত্তরাঞ্চলের বন্যাপ্লাবিত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণের চতুর্থ দিনে আজ তিনি কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী ও উলিপুরের চর এলাকায় ১২০০ লোকের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। এ সময় তিনি মানুষের দুঃখ-কষ্টের কথা শুনেন। কষ্ট লাঘব না হওয়া পর্যন্ত সরকার তাদের পাশে থাকবে বলে মন্ত্রী আশ^াস দেন। মন্ত্রী বলেন, বন্যা প্লাবিত মানুষের জন্য ত্রাণের অভাব নেই। তবে সকল ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে ত্রাণ দিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সরকার পরিকল্পিতভাবে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছে যাতে প্রত্যেক মানুষ ত্রাণসামগ্রী পায়। সংসদ সদস্য রুহুল আমিন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শাহ্ কামাল, জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোঃ ফেরদৌস খান, স্থানীয় কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গতকাল রাতে তিনি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা সভা করেন। মন্ত্রী এ সময় বলেন, সরকার বন্যাপ্লাবিত জেলাসমূহের মধ্যে এ যাবৎ ৬ হাজার ১০০ মেট্রিক টন চাল, ১ কোটি ৫৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৩৯ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ করেছে। প্রয়োজনে আরো খাদ্যশস্য বরাদ্দ করবে। প্রতি জেলায় ঘণ্টায় ২ হাজার লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন পানি বিশুদ্ধকরণ মোবাইল গাড়ি প্রেরণ করেছে। গত মার্চ মাসে আগাম বন্যায় ফসলহানির কারণে এর বাইরে সিলেট অঞ্চলের জেলাসমূহে প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার পরিবারকে ভিজিএফ দেয়া হয়েছে যা চলমান রয়েছে।
আলোচনা সভায় মন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকদের চাহিদা মতো প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য ও আর্থিক বরাদ্দ দেয়া হবে। একটি লোকও যাতে খাবারের কারণে কষ্ট না পায় তার সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যেতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের ত্রাণ বিতরণে সমন্বয় ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটি জেলার বন্যা পরিস্থিতি সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিনিয়ত বন্যা ও ত্রাণ কার্যক্রমের খোঁজখবর নিচ্ছেন। মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রতি জেলায় উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা সংযুক্ত করা হয়েছে জেলা পর্যায়ে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, সমন্বয় ও ত্রাণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় সহযোগিতা করতে। মেডিকেল দলসমূহকে প্রতিদিন বন্যাকবলিত এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো নিয়মিত পরিদর্শন করার অনুরোধ করেন মন্ত্রী। 
#
 
ওমর ফারুক/মাহমুদ/শেফায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/ ১৮২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৮৪৫
দেশের বস্ত্র খাতকে আরো প্রতিযোগিতা সক্ষম ও দক্ষ ভাবে গড়ে তোলা হবে
           পাট প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই) :    
বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে বস্ত্রখাতের অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করতে হলে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং এর স্টেকহোল্ডারগণকে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে। দেশের বস্ত্র খাতকে আরো প্রতিযোগিতা সক্ষম ও দক্ষ ভাবে গড়ে তোলার জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সবধরনের সেবা দিতে প্রস্তুত। 
প্রতিমন্ত্রী আজ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্টেকহোল্ডারগণের মধ্যে এক মতবিনিময় সভায় একথা বলে ।
সভায় বস্ত্রখাতের সার্বিক উন্নয়নের জন্য এবং বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য যেসকল কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা আবশ্যক তার সুপারিশমালা বস্ত্রখাতের বেসরকারি খাত হতে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করার জন্য প্রতিমন্ত্রী পরামর্শ প্রদান করেন। 
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব কৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য, বিটিএমসি’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আহমেদ জাকারিয়া (বীর প্রতীক), বস্ত্র পরিদপ্তরের পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার প্রধানগণসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
#
সৈকত/অনসূয়া/গিয়াস/জসীম/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৪০৮ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ১৮৪৪ 
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই ) :     
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৮ জুলাই জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৭ উদ্যাপন উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“প্রতি বছরের মতো এবারও জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৭ উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি দেশের সকল মৎস্যচাষি ও  মৎস্যজীবীসহ মৎস্যখাত সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য ‘মাছচাষে গড়বো দেশ, বদলে দেব বাংলাদেশ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
মৎস্যখাত সরকারের একটি অন্যতম অগ্রাধিকারভুক্ত খাত। দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বিগত সাড়ে আট বছরে আওয়ামী লীগ সরকার এখাতে পরিকল্পিত উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। এর ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্যখাতের ভূমিকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখাতে অধিকতর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা প্রাকৃতিক জলাশয়ের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, পরিবেশবান্ধব ও উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর মৎস্যচাষ ব্যবস্থাপনার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। যার ফলে দেশের মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩৮ লাখ ৭৮ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের মৎস্য আহরণে আমাদের স্থান বিশ্বে চতুর্থ। 
আমরা দেশে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় মৎস্য নীতি ১৯৯৮’ প্রণয়ন করেছি। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জলমহালে সমাজভিত্তিক মাছচাষ ব্যবস্থাপনা, মাছের আবাসস্থল উন্নয়ন, প্লাবনভূমিতে মৎস্যচাষ ও অভয়াশ্রম স্থাপনসহ অবকাঠামো উন্নয়নে ২০১৬-১৭  অর্থবছরে ৩৩২ কোটি টাকার ২২টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে মৎস্য আহরণক্ষেত্র, মৎস্যসম্পদের মজুদ নির্ণয় ও সহনশীল আহরণমাত্রা নির্ধারণের লক্ষ্যে ‘আর ভি মীন সন্ধানী’ নামে একটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন গবেষণা ও জরিপ জাহাজ ক্রয় করা হয়েছে।
পরিবেশবান্ধব ও লাগসই প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও মুক্ত জলাশয়ে মৎস্য সংরক্ষণ করে এখাতের কাক্সিক্ষত উন্নয়ন সম্ভব। এছাড়া, মাছ ও চিংড়ি চাষের পাশাপাশি বিভিন্ন অপ্রচলিত মৎস্য, কুঁচিয়া ও কাঁকড়ার উৎপাদন বৃদ্ধি ও রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে। 
আমি আশা করি, মৎস্যসম্পদ উন্নয়ন, মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি ও গুরুত্ব সম্পর্কে সর্বস্তরের জনগণকে সচেতন করার মাধ্যমে দেশে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্যে আমিষের চাহিদা পূরণে সংশ্লিষ্ট সকলকে আরো নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহ্বান জানাই।
আমি জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৭ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/সাহেলা/সুবর্ণা/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১০৪৪ ঘণ্টা 
 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৮৪৩
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই) :  
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :   
“প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৭ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি দেশের সকল মৎস্যচাষি, মৎস্যজীবী, সম্প্রসারণ কর্মী ও ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য খাতের অবদান ও গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের আপামর জনসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমিষের চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্যবিমোচনসহ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে মৎস্যসম্পদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মাছের গুরুত্ব উপলব্ধি করে এককালে বাঙালির পরিচয় ছিল ‘মাছে ভাতে বাঙালি’। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে মাছের চাহিদাও বাড়ছে। মাছের আন্তর্জাতিক বাজারও সম্প্রসারিত হচ্ছে। মৎস্যসম্পদের যথাযথ সংরক্ষণ ও স্বাস্থ্যসম্মত সরবরাহ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে আধুনিক ও পরিকল্পিত উপায়ে মৎস্যচাষ, আহরণ ও পরিচর্যার বিকল্প নেই। আমাদের দেশীয় জাতের মাছ আজ নানা কারণে বিলুপ্ত হতে চলেছে। তাই সুস্বাদু দেশীয় জাতের মাছের সংরক্ষণও বংশবিস্তারেও গুরুত্ব দিতে হবে। 
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বিশাল সমুদ্র এলাকায় নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে সামুদ্রিক সম্পদের বিপুল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। মৎস্যসহ সামুদ্রিক সম্পদের কাক্সিক্ষত উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্লু-ইকনমির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। আধুনিক জরিপ জাহাজ মীন সন্ধানী’র মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে গবেষণা ও জরিপ কার্য পরিচালনার কাজ হাতে নেয়ায় আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এবছর মৎস্য সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘মাছচাষে গড়বো দেশ, বদলে দেব বাংলাদেশ’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে আমি মনে করি।
সরকার বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্য-আয়ের দেশে উন্নীত করার লক্ষ্যে মৎস্যসম্পদ উন্নয়নসহ জনহিতকর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্য অর্জনে অপার সম্ভাবনাময় মৎস্যখাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। মৎস্যখাতের সার্বিক উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সকলে নিষ্ঠার সাথ কাজ করে যাবেন-এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।     
আমি ‘ জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৭’ এর সাফল্য কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
#
আজাদ/অনসূয়া/সুবর্ণা/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১০৪০ ঘণ্টা
 
Todays handout (6).docx