Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২nd মে ২০২১

তথ্যবিবরণী ২ মে ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২০৮০

 

বরিশাল বিভাগে সরকারের কোভিড-১৯

মোকাবেলায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চলমান

 

ঢাকা, ১৯ বৈশাখ (২ মে) :

 

          বরিশাল বিভাগে সরকারের কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ঢেউ পরিস্থিতি মোকাবেলায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

 

          করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে বিধিনিষেধকালে সরকারের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের আওতায় পটুয়াখালী জেলায় এ পর্যন্ত ৩ লাখ ১৫ হাজার ১৩৭টি পরিবারকে ১৪ কোটি ১৮ লাখ ১১ হাজার ৬৫০ টাকা নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। গত ৩০ এপ্রিল পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কর্তৃক এ্যাড. আবুল কাশেম স্টেডিয়ামে ৪০ জন হতদরিদ্রের মাঝে ১০ কেজি করে চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি তেল, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি লবণ, ৫০০ গ্রাম ছোলা, ৫০০ গ্রাম মুড়ি ও ১টি করে সাবান বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া গত ১ মে বরিশাল জেলায় শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামে বরিশাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা ও বিভাগীয়  ক্রীড়া সংস্থা বরিশালের সহযোগিতায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৪০ জন খেলোয়াড় ও ৫০ জন স্টাফদের মাঝে দেড় লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান হয়েছে। এ সময় প্রধান অতিথি  হিসেবে জেলা প্রশাসক ও  বরিশাল জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি জসীম উদ্দীন হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

 

          ঝালকাঠি জেলায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩৮৮টি পরিবারকে ২ কোটি ৮ লাখ ১২ হাজার ৫০টাকা নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বরগুনা জেলায় এ পর্যন্ত ১ লাখ ৫ হাজার জনকে ১ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ৩৩৩ এ কলের মাধ্যমে ৭ জনকে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছ। এছাড়া বরগুনার বেতাগী উপজেলার জন কল্যাণ পরিষদ একশ’ হতদরিদ্র পরিবারকে চাল, আলু, তেল, পেঁয়াজ, চিনি, সেমাই, ছোলা ও বুট বিতরণ করা হয়েছে।

 

          পটুয়াখালী জেলার প্রতি উপজেলায় প্রতিজনকে ৪৫০ টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণ চলমান রয়েছে। ভোলা জেলায় এ পর্যন্ত ৪৮৬টি পরিবারকে ৩ লাখ ৫৮ হাজার টাকা এবং ৩৩৩ এ কলের মাধ্যমে ৩২ জনকে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

 

          জেলাসমূহের জেলা তথ্য এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

 

#

 

জাহাঙ্গীর/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২২২৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২০৭৯

 

সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে নেত্রকোনায় কৃষকের ধান কেটে দিলো কৃষকলীগ

 

নেত্রকোনা, ১৯ বৈশাখ (২ মে) :

 

          প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশব্যাপী সাধারণ কৃষকের ধান কেটে দেয়া কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি, জেলা কমিটি  ও উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ আজ  নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার ছোট কৌলাতি গ্রামের কৃষক মোঃ রুহুল আমিন নুরুলের কলা ভাঙ্গা বিলের ১২০ শতাংশ জমির পাকা ধান কেটে দিয়েছেন। এ উপলক্ষে নেত্রকোনা জেলা ও বারহাট্টা উপজেলা কৃষকলীগ কৌলাতি গ্রামে ধান কাটা উৎসবের আয়োজন করে।

     

          নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনের সংসদ সদস্য, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু’র নেতৃত্বে কৃষকের ধান কেটে দেওয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আকবর আলী চৌধুরীসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

     

          ধান কাটা অনুষ্ঠানে কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহামারি করোনা সংকটের মধ্যেও কৃষকের পাশে থেকে ধান কেটে গোলায় তুলে দেয়ার মাধ্যমে কৃষকলীগ প্রমাণ করেছে, বাংলাদেশ কৃষকলীগ প্রকৃতপক্ষেই কৃষকদের সংগঠন। তিনি কৃষকলীগের বর্তমান নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও এডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি’র নেতৃত্বে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আজ সকলের জন্য মডেল রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে উপনীত হয়েছে।

 

#

 

জাকির/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২২২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২০৭৮

 

সিলেট বিভাগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা প্রদান

 

ঢাকা, ১৯ বৈশাখ (২ মে) :

 

          সিলেট বিভাগের দু’টি জেলায় করোনা ভাইরাস মহামারিতে দুর্গত ও অসচ্ছল পরিবারের মাঝে সরকার মানবিক সহায়তা হিসেবে ৯ হাজার ৭৩৮টি পরিবারের মধ্যে ৪৮ লাখ ৬৫ হাজার ২০০ টাকা বিতরণ করেছে।  

 

          সিলেট জেলার ৭ হাজার ১৮২টি দরিদ্র পরিবারকে নগদ ৩৫ লাখ ৮৭ হাজার ২০০ টাকা এবং হবিগঞ্জে ২ হাজার ৫৫৬টি অসচ্ছল পরিবারকে ১২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা নগদ বিতরণ করা হয়।

 

 #

 

আলমগীর/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২১৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২০৭৭

 

দেশের আট বিভাগে ৮ হাজার ৮৭৩টি কোভিড জেনারেল বেড এবং

৫৬৫টি কোভিড ডেডিকেটেড আইসিইউ বেড খালি হয়েছে

 

ঢাকা, ১৯ বৈশাখ (২ মে) :

 

            করোনার সময়ে দেশের ৮ বিভাগের হাসপাতালগুলোর মধ্যে এই মুহুর্তে মোট ৮ হাজার ৮৭৩টি কোভিড জেনারেল বেড এবং ৫৬৫টি কোভিড আইসিইউ বেড খালি হয়েছে।

 

            হাসপাতালগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দেশের ৮ বিভাগে এই মুহুর্তে মোট কোভিড ডেডিকেটেড শয্যা সংখ্যা ১২ হাজার ৩৪৭টি এবং মোট আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ১ হাজার ৯২টি। এগুলোর মধ্য থেকে বহু সংখ্যক রোগী চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ায় এখন উল্লিখিত বেডগুলো খালি হয়েছে।

 

            উল্লেখ্য, আট বিভাগের মধ্যে ঢাকা মহানগর হাসপাতালগুলোতে মোট জেনারেল বেড সংখ্যা ৫ হাজার ৬২৬টির মধ্যে খালি রয়েছে ৩ হাজার ৭৯৯টি, মোট আইসিইউ ৭৭৩টির মধ্যে খালি রয়েছে ৪২০টি। এই হাসপাতালগুলোর মধ্যে সরকারি ১৩টি এবং বেসরকারি ১৩টি হাসপাতাল রয়েছে।

 

            ঢাকা মহানগরের ১৩টি কোভিড ডেডিকেটেড সরকারি হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা গত পরিসংখ্যান লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৭০৫টি বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ২৮০টি, মোট আইসিইউ ২০টির মধ্যে কোনো বেড এখন খালি নেই।

 

            বিএসএমএমইউ এর মোট  ২৩০টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ১৩০টি, মোট আইসিইউ ২০টি বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ৫টি, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের মোট ৩০০টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ৭২টি, মোট আইসিইউ বেড ১০টির মধ্যে কোনো বেড খালি নেই, মুগদা জেনারেল হাসপাতালের মোট ৩৬০টি জেনারেল বেডের মধ্যে বর্তমানে খালি রয়েছে ২৫২টি, মোট আইসিইউ বেড ১৯টির মধ্যে খালি আছে মাত্র ২টি, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের মোট ১৬৯টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি আছে ১১৬টি এবং মোট ২৬টি আইসিইউ বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ১০টি, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের মোট ১৭৪টি সাধারণ বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ১০০টি এবং মোট ১৬টি আইসিইউ বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ৮টি, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মোট ২৮৮টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ২০৩টি এবং মোট ১০টি আইসিইউ বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ২টি, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের মোট ৮১টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ৭৪টি এবং ৬টি আইসিইউ বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ৩টি, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের মোট ৪৮৫টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ৩৯৩টি এবং মোট ১৫টি আইসিইউ বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ৮টি। সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের মোট ১০টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ৮টি, এন.আই.সি.ভি.ডি হাসপাতালের মোট ১৩৭টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ১২৩টি, টিবি হাসপাতালের মোট ২০০টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ১৮৩টি এবং মোট ৫টি আইসিইউ বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ৪টি, ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের মোট ২০০টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ১৩১টি এবং মোট ১০০টি আইসিইউ বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ২৫টি। এন.আই.ডি.সি.এইচ মহাখালীর মোট ১১৪টি জেনারেল বেড রয়েছে, এন.আই.কে.ডি.ইউ শ্যামলির মোট ১৫টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ১৪টি।

 

#

 

মাইদুল/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২১৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২০৭৬

 

সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটা কিশোরগঞ্জের মসুয়ায় স্মৃতি

জাদুঘর  গড়ে তোলার আহ্বান টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর

 

ঢাকা, ১৯ বৈশাখ (২ মে) :

 

          ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলার মসুয়া গ্রামে তার পৈতৃক ভিটাটি সত্যজিৎ রায়ের স্মৃতি সংরক্ষণে একটি স্মৃতি জাদুঘর ঘর গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। 

 

          বৃহ্ত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ ঢাকায় ভারতীয় উপমহাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার বৃহ্ত্তর ময়মনসিংহের কীর্তিমান প্রবাদপুরুষ সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এ সময় সত্যজিৎ রায় স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণের জন্য দ্রুত সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।

 

          অনুষ্ঠানে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর এসএম মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক সচিব আবদুস সামাদ, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ,  চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাহমুদ সাজ্জাদ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

 

          মন্ত্রী বলেন, সত্যজিৎ রায় কেবল বাংলা চলচ্চিত্রেই নয়, দুনিয়ার সব চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠজনদের একজন। তিনি গ্রাফিক্স ডিজাইনসহ বাংলা টাইপোগ্রাফি বা হরফমালা সৃষ্টির অসাধারণ কাজ করে গেছেন। সত্যজিতের পিতামহ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী এবং বাবা সুকুমার রায় দুজনেরই জন্ম হয়েছিল  বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলার মসূয়া গ্রামে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অতীতকে সংরক্ষণ করতে না পারলে আমরা আমাদের গৌরবোজ্জ্বল অতীত খুঁজে পাব না। আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের স্মৃতি, তাদের ইতিহাস তুলে ধরতে না পারলে জাতি হিসেবে সামনে যেতে পারব না। বৃহত্তর ময়মনসিংহের অনেক স্মৃতি আছে। সেই স্মৃতি রক্ষা করা অনিবার্য। তিনি বলেন, জঙ্গল বাড়ির ঈসা খাঁ, মুক্তাগাছার মহারাজা কিংবা বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতীর  স্মৃতিসহ অনেক স্মৃতি আছে যা সংরক্ষণ করা জরুরি।

 

          টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুলের স্মৃতি রক্ষায় সাংস্কৃতিক ফোরামসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমরা জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে তাঁর স্মৃতিকে যেমন অম্লান করে রাখতে পেরেছি তেমনি সত্যজিৎ রায়ের স্মৃতি বিজড়িত মসুয়াকে সকলে মিলে অমর করে রাখতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

         

#

 

শেফায়েত/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০৪৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২০৭৫

 

রাজশাহী বিভাগে করোনাকালীন সরকারি সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত

 

ঢাকা, ১৯ বৈশাখ (২ মে) :

 

            রাজশাহী বিভাগে করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকারের ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ বিভাগের বিভিন্ন জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা ও ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় গরিব, অসহায়, দুঃস্থ দিনমজুরসহ হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

 

            রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

 

            রাজশাহী জেলায় কোভিড-১৯ মোকাবেলায় নগদ অর্থ সহায়তা খাতে এ পর্যন্ত ৫০ হাজার ১০০ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ২ কোটি ৫১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৯০ পরিবারের মাঝে ৭ কোটি ১  লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

 

            নওগাঁ  জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা খাতে ২ কোটি  ২১ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তার অংশ হিসেবে ১ কোটি  ৯৫ লাখ ১০ হাজার ২০০ টাকা এবং ৩০৫ মেট্রিক টন চাল  বিতরণ করা হয়েছে, যার ফলে উপকৃত হয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৪৮৯ জন।

 

            নাটোর জেলায় করোনা মোকাবেলায় সরকার কর্তৃক মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জিআর (ক্যাশ)খাতে বিভিন্ন হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ১ লাখ ১৯ হাজার ৬০০ জনের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় ভিজিএফ সহায়তা (নগদ) খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৪৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪০০ টাকা  দুস্থ, অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া শিশু খাদ্য ও গো খাদ্য হিসেবে  মোট ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা অচিরেই বিতরণ করা হবে।

 

            বগুড়া  জেলায় জিআর (ক্যাশ) খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৯১ লাখ ৫০ হাজার  টাকা ১ লাখ ৫৪ হাজার ২০০ জনের মাঝে এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৯ কোটি  ৮৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫০  টাকা  ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৮৪ জন উপকারভোগীর মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া, গো খাদ্য হিসেবে ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা অচিরেই বিতরণ করা হবে।

 

            এছাড়া, জয়পুরহাট জেলায় জিআর (ক্যাশ) সহায়তা খাতে গতকাল ১২ লাখ ৯০ হাজার টাকা ২ হাজার   ৮০০ পরিবারের  মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

 

            বিভাগের অন্যান্য জেলাতেও ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

 

#

 

মারুফ/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২০৭৪

 

ঢাকা বিভাগে সরকারের মানবিক সহায়তা কাযক্রম অব্যাহত

 

ঢাকা, ১৯ বৈশাখ (২ মে) :

 

          করোনা ভাইরাস মহামারির প্রেক্ষিতে মানবিক সহায়তা হিসেবে  সরকারের পক্ষ হতে দেশব্যাপী ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। গতকাল ১ মে ২০২১ তারিখে  ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় মানিকগঞ্জ জেলায় ১ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ২০ হাজার ৩০০টি পরিবার ও ১ লাখ ১ হাজার ৫০০ জনকে নগদ অর্থ সহায়তা  হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। নরসিংদী জেলায়  ১ কোটি ৮৬ লাখ ৫০ হাজার  টাকা  ৬৭ হাজার ২২৭টি পরিবার ও ১ লাখ ৭৭ হাজার ৪৫৫ জন ব্যক্তিকে নগদ অর্থ  সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হয়েছে।

 

          রাজবাড়ি  জেলায় ৭৬ লাখ ৯০ হাজার ৫০০ টাকা ১১ হাজার ৬৭৮টি পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। ঢাকা জেলায় ২ লাখ ৮০ হাজার ৫৯৩ টাকা ৩৩৫টি পরিবার ও ১ হাজার ৭৭৫  জন ব্যক্তির  মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে।

 

          মুন্সিগঞ্জ জেলায় ৪৭ লাখ ৫০ হাজার  টাকা ১ হাজার ৫০০টি পরিবার ও ৩৮ হাজার  জন ব্যক্তিকে এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ২৩ লাখ ৪ হাজার ৯০০ টাকা ৫ হাজার ১২২টি পরিবার ও ২ লাখ ৩৬ হাজার ১৪০ জন ব্যক্তিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

 

          কিশোরগঞ্জ জেলায় ৬ লাখ ৩৬ হাজার  ১০০ টাকা নগদ সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। টাঙ্গাইল জেলায় ৫ লাখ ১ হাজার  ৪০০ টাকা নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।  ৩৩৩ এর মাধ্যমে ১৯ হাজার  টাকা নগদ অর্থ সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হয়েছে।

 

          নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৭ লাখ ২ হাজার  ৩০০ টাকা ১৬ হাজার ২৭৪টি পরিবার এবং ৮ লাখ ১৩ হাজার ৭৭৪ জন ব্যক্তিকে নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ১৫ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা ৩৫ হাজার ৫০০টি পরিবার ও ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ জন ব্যক্তিকে  আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। শরীয়তপুর জেলার ৫০০ প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

           

          সংশ্লিষ্ট  জেলার  জেলা তথ্য অফিসসমূহ ঢাকা বিভাগীয় তথ্য অফিসের মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছে।

 

#

 

আনোয়ার/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২১৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২০৭৩

চট্টগ্রাম বিভাগে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে ত্রাণ বিতরণ চলমান

ঢাকা, ১৯ বৈশাখ (২ মে) :

          চট্টগ্রাম বিভাগে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন প্রান্তিক ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকারের বিভিন্ন ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে চলমান রয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা ও ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় গরিব, অসহায়, দুঃস্থ দিনমজুরসহ হতদরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

          চট্টগ্রাম জেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১১ হাজার ২৯২ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ৬৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার সুফল ভোগ করেছে ৫৬ হাজার ৪৬০ জন দুঃস্থ, কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮ কোটি ২৩ লাখ ৬৩ হাজার ৯৫০ টাকা। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৬৫ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ১৫ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে এ জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৮৯০টি পরিবার।

          কক্সবাজার জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার মধ্যে ৭১ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫০ টাকা এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তার অংশ হিসেবে বরাদ্দকৃত ৭ কোটি ৮৬ লাখ ২৭ হাজার ১৫০ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত  ৭৯ লাখ ৯৪ হাজার ২৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ৭২৬টি প্রান্তিক পরিবার। তাছাড়া এ জেলায় ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৪৫৯টি পরিবার।

          রাঙ্গামাটি জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১ কোটি ৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ২১ হাজার পরিবার ও ৮১ হাজার জন প্রান্তিক কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জেলায় বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪১ লাখ ৭৫ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে এ যাবৎ ২১ হাজার পরিবারের মাঝে ৯৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ১০ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ১০ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

          খাগড়াছড়ি জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা (জিআর ক্যাশ) খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ১৭ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৮৮৮টি কর্মহীন পরিবারের মাঝে ৬৩ লাখ ৯২ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে এ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ কোটি ৪৯ লাখ ২৫ হাজার ১৫০ টাকা। তাছাড়া জেলাটিতে শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৯ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

          বান্দরবান জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ইতোমধ্যে ৪১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ৮ হাজার ২১৪টি দুঃস্থ পরিবারের সদস্যদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণের জন্য জেলাটিতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে আরো ২ কোটি ৬৫ লাখ ৮৬ হাজার ৯০০ টাকা।

          লক্ষ্মীপুর জেলায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকার কর্তৃক মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার মধ্যে এ যাবৎ বিভিন্ন হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় ভিজিএফ সহায়তা (নগদ) অর্থ খাতে বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৭৬ হাজার ৫৫০ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে দুঃস্থ, অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

          নোয়াখালী জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে ২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার মধ্যে এ পর্যন্ত ১২ হাজার হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ৬০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা (নগদ) খাতে এ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫০ টাকা। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৬৯টি পরিবার। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ১০ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ১০ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

          ফেণী জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ২৭ লাখ টাকার মধ্যে ৬৫ হাজার ২৫০ টাকা ১০০টি দুঃস্থ অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৬৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ২ লাখ ৬৫ হাজার ৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার সুফল লাভ করেছে ৩৬ হাজার ৮০০টি প্রান্তিক হতদরিদ্র পরিবার। তাছাড়া এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় (নগদ অর্থ) খাতে ৬ লাখ টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

          কুমিল্লা জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকার মধ্যে ১ কোটি ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৮ কোটি ৬০ লাখ ১৩ হাজার টাকার মধ্যে ৫৯ লাখ ৬৫ হাজার ২০০ টাকা মোট ৩৬ হাজার ৬টি দরিদ্র পরিবারের মাঝে এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে। জেলাটিতে শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য নগদ অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে ৪২ লাখ টাকা। তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১ হাজার ৯০০ পরিবার।

          চাঁদপুর জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে যার মধ্যে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ৪৭ হাজার ২০০টি হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে জেলায় ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৪ কোটি ৫৫ লাখ ৫১ হাজার ২৫০ টাকা ১ লাখ ১ হাজার ২২৫টি দুঃস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় (নগদ অর্থ) খাতে ৮ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় (নগদ) খাতে আরো ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

          ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তার অংশ হিসেবে বরাদ্দকৃত ৬ কোটি ১১ লাখ ১৯ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত  ৬১ লাখ ২১ হাজার ৮০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে মোট ১৬ হাজার ৪৩৭টি প্রান্তিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।

          উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট জেলা তথ্য অফিসারদের মাধ্যমে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস হতে প্রাপ্ত তথ্যসূত্রে এসব জানা গেছে।

#

ফয়সল/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ২০৭২

 

উন্নয়নে সবাইকে অংশীদার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

                                            -- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

 

বিরল (দিনাজপুর), ১৯ বৈশাখ (২ মে) :

 

          নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরী বলেছেন, যাকে যে দায়িত্ব দেয়া প্রয়োজন তাকে সে দায়িত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নে সবাইকে অংশীদার করেছেন। তিনি শুধু করোনা মোকাবিলা নয়, আর্তমানবতার সেবা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে যাকে যেখানে দায়িত্ব দিলে দেশটা এগিয়ে যাবে তাকে সেখানে সে দায়িত্ব দিয়েছেন। উন্নয়নের ক্ষেত্রে তিনি একটা ইউনাইটেড বাংলাদেশ তৈরি করেছেন। অতীতের কোনো প্রধানমন্ত্রী বা সরকারপ্রধান এটা করে নাই।

 

          প্রতিমন্ত্রী আজ দিনাজপুরের বিরলে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায়  এসব কথা বলেন।

 

          খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে নিয়ে কাজ করছেন। সেনাবাহিনী মানেই ব্যারাকে থাকবে, যুদ্ধের প্রস্তুতি নেবে এমন নয়, প্রধানমন্ত্রী তাদেরকেও উন্নয়নের কাজে লাগাচ্ছেন। উন্নয়নে সবাই অংশীদার হবে। পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি সবার ব্যাংক আছে, কল্যাণ সংস্থা আছে। এতে উন্নয়ন গতিশীল হচ্ছে।

 

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা করোনার সময়ে জীবন বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছেন।  সরকারের অনেক উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা করোনায় জীবন দিয়েছেন। তাদের শ্রেষ্ঠ সন্তান ঘোষণা দেয়া উচিত। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একটা রাজনৈতিক এজেন্ডা আছে। দেশের উন্নয়ন ও জনগণের মান উন্নয়নে এ ইশতেহার দেয়া হয়েছে। এ ইশতেহার বাস্তবায়ন হচ্ছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

 

          প্রতিমন্ত্রী তাঁর নির্বাচনী এলাকা বিরল উপজেলায় অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, অক্সিজেন সেবা, করোনা চিকিৎসা সংক্রান্ত দিক-নির্দেশনা দেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরো উন্নয়ন এবং মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রাখার নির্দেশনা দেন।

 

          উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিনাত রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সবুজার সিদ্দিক সাগর, বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিমসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

 

#

 

জাহাঙ্গীর/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৯২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২০৭১

 

রংপুর বিভাগে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত

 

ঢাকা, ১৯ বৈশাখ (২ মে) :

 

        কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

 

          পঞ্চগড় সদর উপজেলায় গতকাল সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায়  ৬ হাজার ৩৩৮টি পরিবারের মাঝে ৪৬ লাখ ৫০ হাজার  নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায় ৫৫৬ টি পরিবারের মাঝে ২ লাখ ৫০ হাজার নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

 

          দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩ হাজার ৫০০ গরিব-দুঃস্থ অসহায় মানুষকে জনপ্রতি নগদ  ৫শত টাকা দিয়েছে উপজেলা পরিষদ।

 

          রংপুর জেলা স্কুল মাঠে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ২০০ জন সংবাদপত্র হকারকে নগদ পাঁচশত টাকা করে দিয়েছে জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয়।

 

          কুড়িগ্রাম জেলার রাজীবপুর উপজেলায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত  ৪৫০টি পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চালসহ ডাল, চিনি, তেল, সাবান, চিড়া, লবণ ও নুডুলস বিতরণ  করা হয়। এছাড়া ফুলবাড়ি উপজেলায় ৫০০ পরিবারকে একই ধরনের খাদ্য উপকরণ প্রদান করা হয়।

 

          ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন আজ শহরের শহিদ মোহাম্মদ আলী স্টেডিয়ামে ৪০০ পরিবহণ শ্রমিকের প্রত্যেকের মাঝে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি মসুর ডাল ও ১ কেজি লবণ বিতরণ করেছে। এছাড়া গতকাল ২৮২ জন দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে চাল, মসুর ডাল, লবণ, সয়াবিন  তেল, চিনি, চিড়া ও নুডুলস প্রদান করা হয়েছ

2021-05-02-16-33-5cff7f84bb0342143b12ad893b8d3294.docx