তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯১৪
এশিয়া মিডিয়া সামিট সমাপ্ত
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সমঝোতা স্বাক্ষর
ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে):
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ১৮তম এশিয়া মিডিয়া সামিট-২০২৩।
আজ ইন্দোনেশিয়ার বালিতে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদসহ এশিয়া প্যাসিফিক ইনস্টিটিউট ফর ব্রডকাস্টিং ডেভেলপমেন্ট (এআইবিডি) সদস্য দেশগুলোর নেতৃবৃন্দ স্বাক্ষরিত এই স্মারকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল, বিভ্রান্তিকর এবং অসত্য তথ্যের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নানা উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছেন।
সমঝোতা স্মারকে তথ্যের যথার্থতা, স্বচ্ছতা এবং সততার মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্বশীল ব্যবহারে নাগরিকদের উদ্বুদ্ধ করার কথা রয়েছে। সেখানে বলা হয়, ভুল, বিভ্রান্তিকর এবং অসত্য তথ্যের প্রচার রোধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মালিক এবং অংশীজনদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্যও এআইবিডি সদস্যরা উদ্যোগ নেবেন।
সেই সাথে বাকস্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বিষয়ে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের নিজস্ব আইন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার, যথাযথ প্রক্রিয়া ও স্বচ্ছতার নীতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রয়োজনে যৌথ আঞ্চলিক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়েও ঐকমত্য হয়ে স্মারকে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের প্রতিনিধিরা।
মঙ্গলবার শুরু হওয়া এই সামিটে এশীয় প্রশান্ত অঞ্চলের ৪০টি দেশ ও অঞ্চলের পাঁচ শতাধিক প্রতিনিধি যোগ দিয়েছেন।
#
আকরাম/রাহাত/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/২১২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯১৩
স্কুলে শিশুদের জন্য ভীতি নয়, প্রীতির পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে
-- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে):
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, শিশুদের কেবল বইয়ের ভেতর বন্দি করে রাখা যাবে না। পড়া, পড়া আর পড়া শিশুদের জীবন থেকে নির্মল শৈশব কেড়ে নিচ্ছে। শৈশবের নির্মল আনন্দ বঞ্চিত হয়ে যেসব শিশুরা বেড়ে উঠছে তাদের স্বাভাবিক বিকাশ হচ্ছে না। এ জন্য বর্তমান সরকার যে শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করছে তা স্কুল ভীতির পরিবর্তে শিশুদের জন্য প্রীতির পরিবেশ সৃষ্টি করবে। প্রতিটি স্কুল হবে আনন্দের রঙিন ফুল।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মিলনায়তনে আন্তঃপিটিআই সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক এস এম আনসারুজ্জামান।
আলোচনা শেষে প্রতিমন্ত্রী ও সচিব প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
#
মাহবুবুর/রাহাত/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/২০২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯১২
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের সেবা গ্রহণের আহ্বান
ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে) :
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। প্রধান কার্যালয় ঢাকা মহানগরসহ দেশের ৮টি বিভাগীয় কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি প্রজাতন্ত্রে কর্মরত আনুমানিক ১৩ লাখ এবং অবসরভোগরত ৬ লাখসহ ১৯ লাখ সরকারি কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারবর্গের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড দেশের অসামরিক প্রশাসনে কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে নানাবিধ সহায়তা প্রদান করার জন্য সব সময় সচেষ্ট।
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের ওয়েবসাইট www.bkkb.gov.bd থেকে কল্যাণ বোর্ডের সেবা কার্যক্রম সম্পর্কে অতি সহজেই প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করার জন্য সকলকে কল্যাণ বোর্ডের পক্ষ থেকে আহ্বান করা হয়েছে।
#
মোহসিন/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/২০০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯১১
দারিদ্র্য বিমোচনে বিশ্বে বাংলাদেশ উদাহরণ
--- কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে) :
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৫ বছরে দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। চরম দারিদ্র্যের হার ছয় শতাংশেরও নিচে নেমে এসেছে, যা সারা বিশ্বেই প্রশংসিত হচ্ছে। দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ বিশ্বে উদাহরণ হয়ে উঠেছে।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) মিলনায়তনে অতি দরিদ্রদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পিকেএসএফের প্রকল্পের উদ্বোধনী ওয়ার্কশপে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি জামায়াত সরকার দেশের কৃষক ও কৃষির উন্নয়নে কিছুই করেনি। তারা কৃষকের ও সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে কাজ করেনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষক ও সাধারণ মানুষের উন্নয়নে কোনো আপস করেননি। বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করে কৃষিখাতে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছেন। করোনা পরিস্থিতি ও অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও গতবছর সারে ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছেন, যা পৃথিবীতে বিরল। তিনি আরো বলেন, কৃষিখাতে বিশাল ভর্তুকি ও সহযোগিতার ফলেই ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য দেশে উৎপাদন করা যাচ্ছে। তা না হলে প্রতিবছর চাল আমদানি করেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সিংহভাগ খরচ হয়ে যেতো।
এ সময় ইইউকে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে ড. রাজ্জাক বলেন, উপকূল, হাওর, চরাঞ্চলসহ প্রতিকূল এলাকায় এখনো জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি দারিদ্র্য রয়েছে। এসব প্রতিকূল এলাকায় ফসল ফলানো ঝুঁকিপূর্ণ। সেজন্য, এসব প্রতিকূল এলাকায় ফসল উৎপাদনে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। ইইউ-পিকেএসএফের প্রকল্প এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
ইইউকে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্ক বাড়ানোরও আহ্বান জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের এনজিওর সাথে কাজ করার প্রবণতা বেশি। দেশের সকল এনজিওতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আছে, বিষয়টি এমন নয়। কাজেই, এনজিওর কাজ কঠোরভাবে মনিটর করতে হবে।
অনুষ্ঠানে পিকেএসএফের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জামান আহমদের সভাপতিত্বে সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নমিতা হালদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোঃ সলিম উল্লাহ, রাষ্ট্রদূত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অভ্ ডেলিগেশন চার্লস হুইটলি, প্রকল্পের পরিচালক শরীফ আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
#
কামরুল/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/২০০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯১০
সারা দেশে প্রায় শতভাগ ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হচ্ছে অনলাইনে
-- ভূমিমন্ত্রী
ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে):
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, আগামী বছর থেকে ভূমি উন্নয়ন কর বাবদ প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হিসেবে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া সম্ভব হবে। এই অর্থের পরিমাণ ডিজিটাল ভূমি উন্নয়ন কর সিস্টেম স্থাপনের পূর্বে ভূমি কর বাবদ আদায়কৃত অর্থের প্রায় তিন গুণ বা ২০০ শতাংশেরও বেশি।
আজ রাজধানীর গুলশানের এক হোটেলে আয়োজিত বেসরকারি নীতি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে সম্পত্তি কর ব্যবস্থার পরিধি ও অবস্থা’ বিষয়ক এক নীতি সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় ভূমিমন্ত্রী জানান, গত ১৪ এপ্রিল থেকে শতভাগ ক্যাশলেস সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে সারা দেশে এখন প্রায় শতভাগ ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হচ্ছে অনলাইনে এবং এই এক মাসেই আদায় হয়েছে ৩২৬ কোটি টাকা। তিনি বলেন, ভূমিকর ব্যবস্থাকে আধুনিক করে গড়ে তোলার জন্য ভূমি উন্নয়ন কর আইনের খসড়া ইতোমধ্যে মন্ত্রিসভায় নীতিগতভাবে অনুমোদন পেয়েছে। খুব দ্রুত এই খসড়া জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়নের জন্য পাঠানো হবে। তিনি বলেন, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিকল্পনার কথা মাথায় রেখে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের বর্ষ দেশে প্রচলিত অর্থবছরে (জুন-জুলাই) করার প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়া আইনে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন সংলাপ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে সিপিডি ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ‘বাংলাদেশে সম্পত্তি কর ব্যবস্থার পরিধি ও অবস্থা’ শীর্ষক গবেষণা সমীক্ষা বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলের হেড অভ্ কো-অপারেশন মোরিজিও সিয়ান সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. নাসিরউদ্দিন আহমেদ, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অভ্ বাংলাদেশ (পিআরআই) এর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান হাবিব মনসুর এবং স্নেহাশিস মাহমুদ অ্যান্ড কোম্পানির পার্টনার স্নেহাশিস বড়ুয়া এফসিএ প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শতভাগ ম্যানুয়াল কর ব্যবস্থায় ২০১৯-২০ সালে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয় প্রায় ৬২১ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা উদ্বোধন করার পর সারা দেশে অনলাইন এলডি ট্যাক্স সিস্টেম রোল-আউটের সময়ে অর্থাৎ ২০২১-২২ সালে আদায় হয়েছে প্রায় ৮৬৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ, মোট করের প্রায় ৩০ শতাংশ ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনে আদায়েই কর বেড়েছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা।
#
নাহিয়ান/পাশা/রাহাত/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯০৯
এনডিডি শিশু ও ব্যক্তিদের কল্যাণে কেয়ারগিভারদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে
--সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে):
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, যথাযথ যত্ন পেলে এনডিডি শিশু ও ব্যক্তিরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে। তাদের কল্যাণে কেয়ারগিভারদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর ইস্কাটনস্থ বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের আয়োজনে ‘এনডিডি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের পরিচর্যায় তাদের পিতা-মাতা ও অভিভাবকদের করণীয়’ শীর্ষক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন।
নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ডা. মোঃ গোলাম রব্বানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
মন্ত্রী বলেন, এনডিডি শিশু ও ব্যক্তির অভিভাবকগণ তাদের অবর্তমানে সন্তানদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় থাকেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের এ চিন্তা দূর করেছেন। এনডিডি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের জন্য দেশের বিভাগীয় শহরে বহুমুখী সুবিধাসংবলিত স্থায়ী আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের কল্যাণে একাকালীন চিকিৎসা অনুদান, থেরাপি সেবা, বিমাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এনডিডি ব্যক্তিদের যত্ন বিষয়ে কেয়ারগিভারদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তি পর্যায়েও এনডিডি ব্যক্তিদের কল্যাণে কাজ করার জন্য মন্ত্রী আহ্বান জানান।
#
জাকির/পাশা/সঞ্জীব/লিখন/২০২৩/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯০৮
বাংলাদেশকে ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদনের হাব হিসেবে রূপান্তরে কাজ করছি
--- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশকে ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদনের হাব এবং রপ্তানিকারক দেশে রূপান্তরে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে উৎপাদিত মোবাইল শতকরা ৯৫ ভাগ দেশীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। ডিজিটাল ডিভাইস আমদানিকারক থেকে রপ্তানিকারক দেশে রূপান্তর করা সরকারের ডিজিটাইজেশনের স্বপ্নের অন্যতম লক্ষ্য ছিল।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় তার দপ্তর থেকে নারায়ণগঞ্জের মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনে ডিজিটাল প্লাটফর্মে সংযুক্ত থেকে ট্রান্সশান হোল্ডিংসের মোবাইল ফোন উৎপাদন কারখানা আই স্মার্ট ইউ ফ্যাক্টরি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন শিল্পে বাংলাদেশে বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ছোট খাটো কিছু সংকট বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে মোবাইল ফোন রপ্তানির একটি বড় বাজার হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। তবে বাংলাদেশে উৎপাদিত ডিজিটাল যন্ত্রের গুণগতমান নিশ্চিত করার পাশাপাশি গবেষণা ও উন্নয়নের প্রতি মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, সরকারের প্রযুক্তিবান্ধব নীতির ফলে দেশে বিশ্বমানের ১৫টি মোবাইল কোম্পানি মোবাইল ফোন কারখানা স্থাপন করেছে এবং আরো বেশ কয়েকটি কারখানা স্থাপন পাইপলাইনে আছে। মন্ত্রী বলেন, দেশে মোবাইল ফোনের অভিযাত্রা ১৯৮৯ সালে সীমিত আকারে শুরু হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে ২জি, ২০১৩ সালে থ্রিজি, ২০১৮ সালে ফোর-জি এবং ২০২১ সালে ফাইভ-জি প্রযুক্তির যুগে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকায় মোবাইল ফোনের ফোরজি নেটওয়ার্ক আমরা পৌঁছে দিয়েছি। দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌছে গেছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণ এবং তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগের উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি। দেশে ২০০৮ সালে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো যা বর্তমানে ৪১০০ জিবিপিএস এ উন্নীত হয়েছে।
এ সময় স্থানীয়ভাবে স্মার্টফোন উৎপাদন কারখানা চালুর জন্য ট্রান্সশান হোল্ডিংসের উদ্যোগের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, এটি স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সহায়তা করবে এবং এর মাধ্যমে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ উদ্যোগ আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলো।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ইকোনমি জোন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ, মেঘনা গ্রুপ অভ্ ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, ট্রান্সশন হোল্ডিংসের চেয়ারম্যান জর্জ জু এবং বাংলাদেশে চীনের দূতাবাসের ইকোনমি ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলর সং ইয়াং বক্তৃতা করেন।
#
শেফায়েত/পাশা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৯০৭
বিজিবি ও বিজিপি’র মধ্যে রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন শুরু
ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে):
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)-এর মধ্যে রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের দুই দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক বৈঠক আজ সকালে কক্সবাজারের টেকনাফে শুরু হয়েছে।
বিজিবি’র কক্সবাজার রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম-উস-সাকিব, বিজিবিএম, এএফডব্লিউসি, পিএসসি’র নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এবং মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের Police Brigadier General Htet Lwin কমান্ডার, নম্বর (১) এর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের মিয়ানমার প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ছাড়াও স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
সম্মেলনে মাদক পাচার, অবৈধ অনুপ্রবেশ, আন্তঃরাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ, সীমান্ত নিরাপত্তা, তথ্য বিনিময়, সমন্বিত টহল, পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হবে।
আগামী ২৫ মে যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শেষ হবে। সম্মেলন শেষে ঐদিন বিকালে মিয়ানমার প্রতিনিধিদল দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন।
#
শরীফুল/পাশা/রফিকুল/লিখন/২০২৩/১৭৫৭ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯০৬
শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত
ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে) :
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) শাহ রেজওয়ান হায়াত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০২২-২৩ শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
পুরস্কার প্রাপ্তিকে তিনি তাঁর অন্তহীন কাজের স্বীকৃতি মনে করেন এবং এটি তাঁকে আরো নিবেদিত প্রয়াসে নতুন নতুন উদ্যোগ নিতে অনুপ্রাণিত করবে বলে মহাপরিচালক জানান।
বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১৩ তম ব্যাচের সদস্য শাহ রেজওয়ান রংপুরের পিরগাছার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
পুরস্কার হিসেবে তিনি ১টি ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও ১ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ পাবেন।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ ফজলুর রহমান স¦াক্ষরিত পত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
#
তুহিন/পাশা/সঞ্জীব/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/১৭২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯০৫
আট মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ানোর রেকডের্র জন্য মোংলা বন্দরকে নৌমন্ত্রণালয়ের ধন্যবাদ
ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে) :
মোংলা বন্দরের চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং কার্যক্রম প্রায় সমাপ্তির পথে; কিছু কাজ বাকি রয়েছে। চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিংয়ের ফলে বন্দরে আট মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারছে; যা মোংলা বন্দরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ানোর ক্ষেত্রে রেকর্ড। পরবর্তিতে ৮ দশমিক ৫ মিটার এবং আগামী বছর ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ানোর লক্ষ্যে ড্রেজিং কাজ চলমান রয়েছে। মোংলা বন্দরে আট মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ানোর রেকর্ডের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থাসমূহের ২০২২-২৩ অর্থবছরের আরএডিপিভুক্ত জিওবি ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত সময়ের বাস্তবায়ন অগ্রগতি সংক্রান্ত পর্যালোচনা বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় জানানো হয়, মোংলা বন্দর হতে চাঁদপুর-মাওয়া-গোয়ালন্দ হয়ে পাকশী পর্যন্ত নৌরুটের নাব্যতা উন্নয়ন করেছে বিআইডব্লিউটএ। এর ফলে মোংলা বন্দর থেকে নৌপথে রূপপুর পারমাণবিক
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ভারী মালামাল পরিবহণের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য এ পর্যন্ত ৬৫টি জাহাজ মোংলা থেকে সহজেই আসতে পেরেছে। এজন্য বিআইডব্লিউটিএ-কেও ধন্যবদ জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মঞ্জয় কুমার বণিক, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম সোহায়েল (অনলাইনে), মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল গোলাম সাদেক (অনলাইনে), মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী, বাংলাদেশ স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফাসহ অন্যান্য সংস্থা প্রধানগণ সরাসরি ও অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
উল্লেখ্য, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ২০২২-২৩ অর্থবছরে আরএডিপিভুক্ত ৩৪টি, নিজস্ব অর্থায়নে চারটি এবং স্কিমের আওতায় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের বরাদ্দ বাবদ রয়েছে ৪ হাজার ৬৪৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
#
জাহাঙ্গীর/পাশা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/১৭৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৯০৪
স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সাথে জাতিসংঘের মানবাধিকার
এবং অতি দারিদ্র্য বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধির সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে):
আজ স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলামের সাথে মন্ত্রণালয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার এবং অতি দরিদ্র বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি Oliver De Schutter সাক্ষাৎ করেন। এ সময় মন্ত্রী জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধিকে রোহিঙ্গা ইস্যুসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে অবহিত করেন। মন্ত্রী এ সময় জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরো সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মিয়ানমারকে অর্থনৈতিকসহ নানা ধরনের চাপ প্রয়োগ করলে প্রত্যাবাসন সফল হবে। তিনি প্রতিবছর পনেরো হাজারের অধিক রোহিঙ্গা শিশু বাংলাদেশে জন্ম নিচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, এ সমস্যা শুধু বাংলাদেশের একার নয়, প্রত্যাবাসন সফল না হলে তা বৈশ্বিক সমস্যায় পরিণত হবে।
অলিভার ডি স্কাটার বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, দরিদ্রতা হ্রাসসহ অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, উন্নত বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশের আরো বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
নগরায়নের ফলে শহরে জনসংখ্যার ঘনত্ব বেড়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সবার জন্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি দেশ। অবকাঠামো উন্নয়ন, শতভাগ বিদ্যুতায়ন এবং ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর অনেক দেশের জন্য অনুকরণীয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সক্ষমতা অর্জনে সমাজের নানা স্তরের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সারা দেশে সুষম উন্নয়নের জন্য সরকার চেষ্টা করছে কিন্তু অর্থনৈতিক নানা অনুষঙ্গ মাথায় রেখে আমাদেরকে প্রজেক্ট নিতে হয়। সময়ের সাথে সারা দেশের জনগণ অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুফল সমানভাবে পাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নয়নের পথে কিছু অসংগতি থাকলেও ধীরে ধীরে তা কাটিয়ে উঠবে বাংলাদেশ।
মোঃ তাজুল ইসলাম এ সময় বাংলাদেশে বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ এবং দক্ষ শ্রমিক আছে উল্লেখ করে বিভিন্ন অর্থনৈতিক জোনে বিদেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানান। বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের গুণাবলি এবং দৃঢ়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ছাড়া বাংলাদেশের এই অগ্রগতি অর্জন কখনো সম্ভব হতো না।
জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলে আরো উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কর্মকর্তা সাকসী রাই এবং পরামর্শক পল ডরনান।
জাতিসংঘের মানবাধিকার এবং অতি দারিদ্র্য বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি অলিভার ডি স্কাটারের সাথে আলোচনার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় ডেঙ্গু প্রতিরোধে নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবার সচেতনতার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন জরুরি। সমসাময়িক অনেক দেশের তুলনায় আমাদের ডেঙ্গু পরিস্থিতি অপেক্ষাকৃত ভালো উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডেঙ্গুতে কোন মৃত্যুই কাম্য নয়। এ সময় তিনি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচন বিষয়ে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন।
#
হেমায়েত/পাশা/সঞ্জীব/রফিকুল/লিখন/২০২৩/১৭২২ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৯০৩
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে মোঃ মশিউর রহমানের যোগদান
ঢাকা, ১০ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে):
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আজ মন্ত্রণালয়ের বিদায়ী সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম এবং নবাগত সচিব মোঃ মশিউর রহমান এনডিসি’র সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
এ উপলক্ষ্যে নবনিযুক্ত সচিব মোঃ মশিউর রহমান এনডিসিকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং সহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। মন্ত্রী নবনিযুক্ত সচিবের নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম আরো গতিশীল ও বেগবান হবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মোঃ মশিউর রহমান এনডিসি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১০ম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা। তিনি ২০২১ সালের ১৭ আগস্ট পল