তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৪২
আগামীতে প্রতি উপজেলায় একযোগে যাত্রা উৎসব আয়োজন করা হবে
-- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, যাত্রা বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতির অমূল্য সম্পদ। আগে গ্রাম-গঞ্জে নিয়মিত যাত্রাপালা আয়োজিত হলেও নগর সভ্যতার আগ্রাসন, যান্ত্রিকতা, পৃষ্ঠপোষকতার অভাবসহ নানাবিধ কারণে এখন যাত্রাপালা তেমন একটা দেখা যায় না। তবে গ্রাম বাংলার এ লোকজ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। বিগত পাঁচ বছর ধরে সংস্থাটি নিয়মিত যাত্রাপালা উৎসব আয়োজন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার সারা দেশের ৪৩টি জেলায় আয়োজিত হচ্ছে ‘গণজাগরণের যাত্রাপালা উৎসব’। আগামীতে প্রতি উপজেলায় একযোগে যাত্রা উৎসব আয়োজন করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে একাডেমি আয়োজিত ২-২০ নভেম্বর ২০২৩ মেয়াদে দেশব্যাপী ‘গণজাগরণের যাত্রাপালা উৎসব’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে সংস্কৃতি চর্চার প্রচার, প্রসার ও বিকাশে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় যাত্রাপালাসহ শিল্প-সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে যাচ্ছে। আর এসব বাস্তবায়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। যার পেছনে মূল কারিগর হিসাবে কাজ করছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংস্কৃতিবান্ধব মহাপরিচালক ঋত্বিক নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকী। সংস্কৃতি চর্চাকে বেগবান করতে বর্তমান সরকারকে আবারও নির্বাচিত করার জন্য সংস্কৃতিকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় গেলে সংস্কৃতি চর্চা ব্যাহত হবে, মৌলবাদের উত্থান ঘটবে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন বাংলা একাডেমির পরিচালক আমিনুর রহমান সুলতান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ।
উল্লেখ্য, উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সর্বসাধারণকে সম্পৃক্ত ও অনুপ্রাণিত করতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দেশব্যাপী ১২০টি যাত্রাদলের পরিবেশনায় ৪৩টি জেলার ১০৫টি স্থানে এ যাত্রাপালা উৎসবের আয়োজন করেছে।
#
ফয়সল/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/২১১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৪১
শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা চালু-সহ গ্রহণযোগ্য মজুরি নির্ধারণে সরকার আন্তরিক
--- শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর):
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু-সহ গ্রহণযোগ্য মজুরি নির্ধারণে সরকার আন্তরিক।
প্রতিমন্ত্রী আজ শ্রম ভবনে তৈরি পোশাকশিল্প সেক্টরের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভাশেষে আয়োজিত প্রেসব্রিফিংয়ে একথা বলেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শাজাহান খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে গঠিত বোর্ড মজুরি বৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু করেছে। শীঘ্রই মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়া হবে। ইতোমধ্যে স্বার্থন্বেষী মহল এ বিষয়ে গুজব ছড়াচ্ছে। মজুরি বৃদ্ধির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে কোনো গুজবে শ্রমিকদের বিভ্রান্ত না হয়ে ধৈর্যধারণ করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
শাজাহান খান বলেন, বিএনপি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য মজুরি নির্ধারণ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে শ্রমিকদের ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা করছে। তিনি আরো বলেন, একটি গোষ্ঠী শান্ত ও নিরীহ শ্রমিকদের উসকানি দিয়ে গার্মেন্টস সেক্টরকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। কয়েকদিন ধরে বহিরাগতদের উসকানিতে কিছু পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা কাজ না করে কারখানা থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন, কারখানা ভাঙচুর করছেন, যা অনভিপ্রেত। আপনারা এমন কিছু করবেন না, যাতে এ শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ ক্রেতারা শিল্প থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে আর আপনারা কর্মহীন হয়ে পড়বেন। কোনোরকম উসকানিতে আপনারা প্ররোচিত হবেন না। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় শ্রমিক হত্যা ও নির্যাতনের ভয়াবহ অবস্থা তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
ফেরদৌস/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/২০৪০ঘণ্টা
Handout Number: 1540
Bangladesh donates medicine to Sri Lanka
Dhaka, November 2:
In a spirit of friendship and good neighborly relations as envisioned by Prime Minister Sheikh Hasina, Bangladesh has decided to send a significant quantity of medical supplies worth of Bangladesh Taka10 crores to Sri Lanka as a goodwill gesture. Foreign Minister Dr. A K Abdul Momen handed over a few boxes of medicine as a token to Ruwanthi Delpitiya, the Acting High Commissioner of Sri Lanka at an event held today in the Ministry of Foreign Affairs. The event was also attended by Foreign Secretary (Senior Secretary) Ambassador Masud Bin Momen and also high officials of the Ministry of Health and Family Welfare, the Essential Drugs Company Limited (EDCL) and the Ministry of Foreign Affairs.
Foreign Minister Dr. Momen, in his short remarks, termed the offer of medicine, as the expression of solidarity and friendship between Bangladesh and Sri Lanka. He added that under the leadership of Prime Minister Sheikh Hasina, Bangladesh always tries to assist any nation in difficulties, in particular in neighbour. He stated that the cornerstone of our gesture is genuine goodwill and friendship. Dr. Momen assured that Bangladesh stands ready to support Sri Lanka in all possible ways. He expressed satisfaction on the way Sri Lanka has recovered from the economic crisis last year.
The Acting High Commissioner expressed her sincere gratitude to Prime Minister Sheikh Hasina and the Government of Bangladesh for the support of supplying much needed medicine for the people of Sri Lanka. She mentioned that the medical assistance to Sri Lankan people is a testimony of the strong and long standing friendship between Bangladesh and Sri Lanka. She appreciated that Bangladesh donated medical supplies to Sri Lanka last year at a time when Sri Lanka was in the midst of an economic downturn which was a great help for the people of Sri Lanka.
The supply of much needed medicine would certainly manifest the capability of the pharmaceuticals industries in terms of its ability in producing high quality medicine. The medicines also demonstrate Bangladesh’s foreign policy resolve of maintaining friendly and cooperative relations with her neighbors.
Earlier, Bangladesh supported Sri Lanka by providing medicine worth nearly Taka 20 crores in May 2022. Bangladesh also donated medicine and other relief materials to Afghanistan, Libya, Syria, Turkey and Palestine in the recent months.
#
Masum Billah/Rafiqul/Salim/2023/19.50 Hrs.
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৩৯
স্মার্ট কন্স্যুলার সেবা সেবাগ্রহীতাদের সময় ও খরচ লাঘব করবে
-- পররাষ্ট্র মন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
স্মার্ট কন্স্যুলার সেবা সেবাগ্রহীতাদের সময় ও খরচ লাঘব করবে। এখন থেকে সেবাগ্রহীতারা সহজে এই গুরুত্বপূর্ণ সেবা পাবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আজ ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কন্স্যুলার লাউঞ্জে ‘Journey toward Smart Consular services’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, আগামীতে বিদেশে বাংলাদেশের সব মিশনে গুণগত সেবার মান আরো বাড়ানো হবে। এজন্য সার্ভার আপগ্রেডেশনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য কন্যা অটিজম ও মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের মর্যাদা নতুন উচ্চতায় আসীন হয়েছে।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, কন্স্যুলার সেবা স্মার্ট হবার কারণে সাধারণ মানুষ দালালদের খপ্পর হতে বাঁচবেন। তিনি বলেন, প্রবাসীদের সুবিধার্থে ইংল্যান্ড, সৌদি আরব, ইতালিসহ ৮টি দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা চালু করা হয়েছে।
মহাপরিচালক (আইসিটি) ড. সৈয়দ মুনতাসির মামুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সচিব (সামুদ্রিক বিষয়ক ইউনিট) রিয়ার এডমিরাল মোঃ খুরশেদ আলম, মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডি এম সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, মহাপরিচালক (কনস্যুলার) শাহ্ মোহাম্মদ তানভীর মনসুর ও এটুআই’র উপসচিব সালাহ উদ্দিন বক্তৃতা করেন।
উল্লেখ্য, স্মার্ট বাংলাদেশ স্লোগানকে সামনে রেখে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্মার্ট কন্স্যুলার সেবা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে এটুআই’র সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ কনস্যুলার ডকুমেন্টের সত্যায়নে বারকোডিং প্রথা চালু করেছে। এছাড়া দেশের সরকারি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় কাজে বিদেশে সফরের নিমিত্ত ভিসাপ্রাপ্তি ত্বরান্বিত করার জন্য নোট ভারবাল ও লেটার অভ্ ইন্ট্রোডাকশন অনলাইনভিত্তিক করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই বিদেশে গমনেচ্ছুক শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সেবাটি অনলাইন করা হবে।
#
মাসুম বিল্লাহ/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৩৮
হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়
ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ-২০২৪ ঘোষণা করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সম্মানিত হজযাত্রীগণ আগামী বছর প্রায় সাড়ে ৯২ হাজার টাকা কমে সরকারিভাবে হজে যেতে পারবেন। সাধারণ প্যাকেজ মূল্য ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা নির্ধারিত হয়েছে। এবছর সরকারিভাবে বিশেষ প্যাকেজসহ দু’টি প্যাকেজ করা হয়েছে।
আজ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভা শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান এ ঘোষণা দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবার বাড়তি সুবিধা দিয়ে বিশেষ প্যাকেজের ব্যবস্থা রয়েছে। বিশেষ প্যাকেজে হজে যেতে লাগবে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। হজসেবা নির্বিঘ্ন করতে আন্তরিকভাবে কাজ করবে মন্ত্রণালয়।’
উল্লেখ্য, বিজ্ঞপ্তি প্রচারের মাধ্যমে দ্রুতই হজযাত্রী নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরু হবে। আগামী ১ মার্চ হতে হজ ভিসা ইস্যু এবং ৯ মে হতে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। বাংলাদেশ থেকে আগামী বছর মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন, যার মধ্যে সরকারি মাধ্যমে ১০ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে ১ লাখ ১৭ হাজার জন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৪ সনের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
#
আসিফ/রফিকুল/শামীম/২০২৩/১৮৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৩৭
সাংবাদিকদের জন্য শেখ হাসিনার সহায়তা নজিরবিহীন
--- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের কল্যাণে ও গণমাধ্যমের বিকাশে যে ভূমিকা রেখেছেন তা নজিরবিহীন। তিনি বলেন, আমরা মনে করি সমালোচনা পথচলাকে শাণিত করে, কাজের জন্য সহায়ক এবং বাংলাদেশে গণমাধ্যমের যে স্বাধীনতা আছে সেটি উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য একটি দৃষ্টান্ত।
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সম্মেলনে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তৃতার পূর্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব দীপ আজাদের সঞ্চালনায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী এবং বিএফইউজের আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দ সভায় বক্তব্য দেন।
ড. হাছান বলেন, ‘গত পনেরো বছরে দেশে পত্রিকার সংখ্যা সাড়ে ৪শ’ থেকে ১২শ’ ৬০টিতে উন্নীত হয়েছে। বেসরকারি টেলিভিশন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়ে শুরু হয়েছিল এবং এর পর বিএনপি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমল শেষ হওয়া পর্যন্ত ১০টি ছিল। আজকে ৩৫টি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারে আছে আরো কমপক্ষে ৫টি খুব সহসা সম্প্রচারে আসবে। অনলাইন গণমাধ্যম কতো হাজার সেটি একটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়। এগুলোই প্রমাণ করে যে শেখ হাসিনা এবং তাঁর সরকার কতোটুকু গণমাধ্যমবান্ধব।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবনের একটি সময় সাংবাদিকতা করেছেন, আজকের এই চত্বরের জায়গা বঙ্গবন্ধুই জাতীয় প্রেসক্লাবকে দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা এখানেই দাঁড়িয়েই ২০১৪ সালে সাংবাদিকদের কল্যাণে একটি স্থায়ী তহবিলের কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন- ‘আমি কতোদিন বাঁচবো জানি না কিন্তু সাংবাদিকদের জন্য একটি স্থায়ী ব্যবস্থা করে দিতে চাই’। তাঁরই চিন্তাপ্রসূত, তাঁরই উদ্যোগে ‘সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এটি দেশের সমস্ত সাংবাদিক স্বীকার করে এবং বলে এই ট্রাস্ট তাদের একটি ভরসার স্থল হিসেবে দাঁড়িয়েছে।’
ড. হাছান বলেন, ‘একজন সাংবাদিক মারা গেলে কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে তার পরিবার ৩ লাখ টাকা অনুদান পায়, অসুস্থ সাংবাদিকরা অনুদান পান। আমরা ট্রাস্টের বিধিমালা সংশোধন করেছি, এখন থেকে অস্বচ্ছল সাংবাদিকদের মেধাবী শিক্ষার্থী সন্তানেরাও অনুদান পাবেন। সবাইকে অবাক করে করোনাকালে আমরা ট্রাস্ট থেকে সাংবাদিকদের এককালীন সহায়তা দিয়েছি। দেশব্যাপী ৭ হাজারের বেশি সাংবাদিক অনুদান পেয়েছে। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপালসহ উপমহাদেশের কোনো দেশে এটি হয়নি। এমন কি ইউরোপের কোনো দেশেও সাংবাদিকদের জন্য আলাদা কোনো বরাদ্দ ছিলো না, যেটি জননেত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন।’
মন্ত্রী এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, ‘বিএনপি সমাবেশের নামে ২৮ অক্টোবর কি করেছে আপনারা জানেন। সাংবাদিকরা কোনো দল করে না, তারা সংবাদ সংগ্রহের জন্য সেখানে গিয়েছিল এবং ৩২ জনের বেশি সাংবাদিক আহত হয়েছে, যার মধ্যে ২০ জনই বিএনপি বিটের। একজন সাংবাদিককে মাটিতে টেনে-হিঁচড়ে সাপকে যেভাবে মারা হয়, সেভাবে মারা হয়েছে, ভাগ্য ভালো তার মাথায় হেলমেট ছিলো। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’
তিনি বলেন, ‘আমি অনুরোধ জানাবো, সাংবাদিকদের যারা নির্যাতন করেছে আহত করেছে, পিটিয়েছে সেই দুষ্কৃতিকারী, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করুন, কলম ধরুন, পত্রিকার পাতায় লিখুন, টেলিভিশনে প্রতিবেদন পেশ করুন। তবে একইসাথে উদ্বেগ প্রকাশ করি যে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস এবং আরো যে সমস্ত সংগঠন আছে তারা একজন সাংবাদিক নিয়েও অনেক সময় বিবৃতি দেয়, আর ২৮ তারিখ ৩২ জনকে পেটানো হলো, এতো ঘটনা ঘটলো, কোনো বিবৃতি নেই। আমি সাংবাদিকদেরকে অনুরোধ করব, তাদের কাছে চিঠি লেখার জন্য যে তারা কেন নিশ্চুপ।’
ওয়েজবোর্ড নিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘৯ম ওয়েজবোর্ড প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন কিন্তু কিছু সংবাদপত্র মালিক মামলা করায় সেটি বন্ধ রয়েছে। মালিক পক্ষকে বিনীতভাবে অনুরোধ ৯ম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করা উচিত এবং কথায় কথায় ছাঁটাই উচিত নয়। আর ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করার প্রক্রিয়া শুরু করার ইতিমধ্যেই মন্ত্রণালয়ে ফাইল উপস্থাপনের জন্য বলেছি।’
#
আকরাম/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/১৭৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৩৬
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অক্টোবর মাসের বেতন ভাতার চেক হস্তান্তর
ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর):
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের (স্কুল ও কলেজ) শিক্ষক-কর্মচারীগণের অক্টোবর মাসের বেতন-ভাতার সরকারি অংশের ৮টি চেক অনুদান বণ্টনকারী অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক লিমিটেড, প্রধান কার্যালয়ে এবং জনতা ও সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, স্থানীয় কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শিক্ষক-কর্মচারীগণ আগামী ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শাখা ব্যাংক থেকে অক্টোবর মাসের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ উত্তোলন করতে পারবেন।
#
বিপুল/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/১৭৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৩৫
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর):
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ১৩ শতাংশ। এ সময় ৫৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৭৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৩ হাজার ৬৩৫ জন।
#
সুলতানা/রফিকুল/শামীম/২০২৩/১৭২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৩৪
জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টেকসই বাস্তবায়নধর্মী পরিকল্পনা আবশ্যক
--- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর):
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টেকসই বাস্তবায়নধর্মী পরিকল্পনা আবশ্যক। জ্বালানির আকার দিন দিন বড় হচ্ছে। বহুমুখী সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিক নিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ সচিবালয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নে জ্বালানি বিভাগ তৃতীয় হওয়ায় কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদনের বিষয়গুলো যতই চর্চার মধ্যে রাখা যাবে ততই কাজের গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশের কারণে ঋণের সুদ বেড়ে যাবে। ভালো প্রকল্পের জন্য যা কোনো বিষয়ই না। বাস্তবতার নিরিখে গৃহীত প্রকল্প দ্রুততার সাথে বাস্তবায়ন করতে হবে। অর্থনীতির আকার ও অর্থনীতির ধরণ পরিবর্তনের সাথে সাথে নিজেদেরকেও খাপ খাইয়ে নিতে হবে। আগামীতে সবার প্রযুক্তি সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা বাঞ্ছনীয়।
উল্লেখ্য, এপিএ বাস্তবায়নে ৫২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ১০০ এর মধ্যে ৯৯ দশমিক ৪৩ পেয়ে তৃতীয় হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭ম স্থান অর্জন করেছিল। ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরেও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিল।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ২০২২-২৩ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন করেছে ১০৩ দশমিক ৪ ভাগ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১০৩ দশমিক ৫২ ভাগ এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে ১০৪ দশমিক ২৭ ভাগ। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে বরাবরই ভালো করে আসছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোঃ নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ এনডিসি, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার এবং দপ্তর প্রধানসহ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
আসলাম/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/১৭১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৩৩
আগামী ৪ নভেম্বর মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
---সেতুমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৪ নভেম্বর শনিবার এমআরটি লাইন-৬ (মেট্রোরেল)-এর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ এবং ঢাকা মহানগরীর প্রথম র্পূব-পশ্চিম এমআরটি করিডোর ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৫): নর্দান রুটের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন বলে জানয়িছেনে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়রে সভাকক্ষে উপস্থিত সাংবাদকিদের ব্রিফকালে এসব কথা জানান।
মন্ত্রী আরো জানান, মেট্রোরেলের উদ্বোধন অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আগামী ৪ নভেম্বর, শনিবার উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও অংশের মেট্রো ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচল বন্ধ থাকবে। পূর্বের ন্যায় শুক্রবারও মেট্রো ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে ৫ নভেম্বর রবিবার থেকে প্রতিদিন মেট্রো ট্রেন মতিঝিল থেকে উত্তরা উত্তর র্পযন্ত সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উভয়দিকে চলাচল করবে। মতিঝিল থেকে আগারগাঁও অংশে শুধুমাত্র মতিঝিল, বাংলাদশে সচিবালয় এবং ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনে মেট্রো ট্রেন থামবে। Headway হবে ১০ মিনিট। সকাল সাড়ে ১১টার পর থেকে মতিঝিল হতে আগারগাঁও অংশে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, ২০২৮ সালের মধ্যে হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পাতাল এবং ৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার উড়ালসহ মোট ২০ কিলোমিটার র্দীঘ এমআরটি লাইন-৫: নর্দান রুট নির্মাণের লক্ষ্যে Feasibility Study ও Basic Design সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর র্পযন্ত Detailed Design এর অগ্রগতি ৯৪%। প্রকল্পটি মোট ১০টি প্যাকেজে বিভক্ত করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিভিন্ন প্যাকেজের চূড়ান্ত ডিজাইন ও আন্তর্জাতিক দরপত্র দলিল প্রণয়নের কাজ চলমান। হেমায়েতপুর ও ডিপো এক্সেস করিডোর নির্মাণের জন্য ৯৯ দশমিক ২৫ একর ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
এসময় সড়ক পরবিহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমান উল্লাহ নুরী, ঢাকা ম্যাস ট্রানজটি কোম্পানি লিমিডেট (ডিএমটিসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিকি, এমআরটি লাইন-৬ এর প্রকল্প পরিচালক মো: আফতাবউদ্দিন তালুকদারসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
ফয়জে/জামান/রবি/মাহমুদা/মাসুম/২০২৩/১৫১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৩২
বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করেন পার্বত্য মন্ত্রী
বান্দরবান, ০২ নভেম্বর ২০২৩:
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং গতকাল পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দেশের প্রথম পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়টি বান্দরবান পার্বত্য জেলার সুয়ালকে একশ একর জায়গার ওপর নির্মিত হয়েছ।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. এম. নুরুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, ভাইস চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফজলুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহ আলম, পৌর মেয়র মোহাম্মদ সামশুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ, বান্দরবান সরকারি কলেজের অধ্যপক প্রফেসর মো. নুরুল আবছার চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাতসহ সরকারী উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য মন্ত্রী বলেন, আমাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। দেশ ও জাতি গঠনে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। বর্তমান সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে খুবই আন্তরিক এবং সরকারের সদিচ্ছার কারণেই পার্বত্য এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে সার্টিফিকেট অর্জন করলে হবে না। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মত আমাদেরকেও প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে হবে, যাতে করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েরাও সমাজ, দেশ ও জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ৫৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে বাংলা, ইংরেজী, হোটেল ম্যানেজমেন্টসহ ৫টি বিষয়ে ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী এ বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করছে। শুধু তাই নয় দেশের প্রথম পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ছাত্রাবাস, শেখ কামাল ইনকিউবেশন সেন্টার, মিনি স্টেডিয়াম বোটানিক্যাল গার্ডেন হোস্টেল সুবিধাসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।
#
রেজুয়ান/জামান/রবি/কামাল/২০২৩/১০২০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৩১
জেলহত্যা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল জেলহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবস এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে। কারাগারের অভ্যন্তরে এ ধরনের বর্বর হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। আমি জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। জাতীয় চার নেতার অবদান ও আত্মত্যাগ বাঙালি জাতি চিরকাল শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড ছিল জাতির পিতাকে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ হত্যার ধারাবাহিকতা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও জাতীয় চার নেতার জঘন্য হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী পরাজিত শক্তি ও দেশ বিরোধীচক্র বাংলার মাটি থে