তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৪৫
গৃহহীন হরিজনদের পুনর্বাসনে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে
-- ভূমিমন্ত্রী
ঈশ্বরদী, ৫ পৌষ (১৯ ডিসেম্বর) :
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, গৃহহীন হরিজনদের গুচ্ছগ্রামে পুনর্বাসনসহ সরকারি খাসজমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ করে দেশের সকল গৃহহীনকে পুনর্বাসন করা হবে। তিনি বলেন, দলিত, হরিজন ও অন্যান্য শ্রেণিপেশার গৃহহীন জনগোষ্ঠীর সকল সুযোগসুবিধা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিক রয়েছেন।
মন্ত্রী আজ ঈশ্বরদীতে বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার নবনির্বাচিত সদস্যদের পরিচিতি ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার সভাপতি লক্ষ্মণ কুমার বাঁশফোর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. খলিলুর রহমান, ঈশ্বরদী উপজেলা চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান মিন্টু, উপজেলা প্যানেল চেয়ারম্যান মেহজাবিন শিরীন পিয়া এবং বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের মহাসচিব নির্মল চন্দ্র দাস বক্তব্য রাখেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, সকলের সমান অধিকার ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করে দেশে বৈষম্যমূলক আচরণ প্রথম বন্ধ করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, পেশাগত দিক দিয়ে দলিত হরিজন ছেলেমেয়েরা এখন আর বৈষম্যের শিকার হচ্ছে না। চাকরিতে হরিজন ও দলিত শ্রেণির জন্য কোটাসহ হরিজনদের জন্য পরিচ্ছন্নতা কর্মীর চাকরি সংরক্ষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।
মন্ত্রী ঈশ্বরদীতে হরিজন কলোনি উচ্ছেদ করা হবে না বলে আশ্বস্ত করেন। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হরিজন সম্প্রদায়সহ সকলের সন্তানকে বিদ্যালয়ে যাওয়া নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান তিনি।
#
রেজুয়ান/আফরাজ/মোশারফ/সেলিম/২০১৫/১৯১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৪৪
বাংলাদেশকে নব্য পাকিস্তান বানানোর চক্রান্ত এখনো অব্যাহত রয়েছে
-- শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ পৌষ (১৯ ডিসেম্বর) :
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, বাংলাদেশকে নব্য পাকিস্তান বানানোর চক্রান্ত এখনো অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে যে অপশক্তি বাংলাদেশের উন্নয়নের চাকাকে পেছনের দিকে ঘুরিয়ে দিতে চেয়েছিল, একই অপশক্তি এখনো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাণনাশের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্রের নামে যারা গণহত্যা চালায়, একাত্তরের গণহত্যাকারীদের মতো তাদেরও বিচার হওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শিল্পমন্ত্রী আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে একথা বলেন। মহান বিজয়ের মাসের স্মরণে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্ল¬াহ মনি, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সচিব বিএমএম মোজহারুল হক, ভারতীয় হাইকমিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক ও তথ্য) রাজেশ উইকি এবং মৈত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবীর কুশারী বক্তব্য রাখেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একাত্তরে বাংলাদেশের হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ সকল ধর্মাবলম্বী জনগণ এবং ভারতীয় সেনাদের সম্মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার শুধু এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়নি, পশ্চিমা হানাদার বাহিনীকে বিতাড়নের জন্য অস্ত্র ও প্রশিক্ষণসহ সর্বাত্মক সহায়তা দিয়েছে। এসময় ভারতের সাধারণ জনগণ শরণার্থী বাঙালিকে নিজেদের অন্ন ভাগ করে খাইয়েছে। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দু’বার বিশ্ব ভ্রমণ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত সৃষ্টির পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন রক্ষায় কার্যকর অবদান রেখেছিলেন। বাংলাদেশের জনগণের চরম দুঃসময়ে ভারত সরকার ও জনগণ যে বন্ধুত্বের পরিচয় দিয়েছে, তা ইতিহাসের একটি বিরল ঘটনা।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান মৈত্রীবন্ধন রক্ত ও আত্মাহুতির মধ্য দিয়ে সূচিত হয়েছে। তিনি বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ বাঙালি শহিদানের পাশাপাশি ১১ হাজার ভারতীয় সৈন্য রক্ত ও জীবন উৎসর্গ করেছিল। মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকারের অকুণ্ঠ সমর্থন এবং ভারতীয় সেনাদের আত্মত্যাগকে বাংলাদেশের জনগণ চিরকাল গভীর কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ রাখবে বলে তিনি উল্লে¬খ করেন।
পরে মন্ত্রী রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এসময় অন্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
#
জলিল/আফরাজ/মোশারফ/সেলিম/২০১৫/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৪৩
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সঠিকভাবে চিত্রায়িত নয় এশিয়া ও আফ্রিকা
-- তথ্যমন্ত্রী
মারাকাশ (মরক্কো), ১৯ ডিসেম্বর :
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, উন্নয়নের জন্য একই ধরনের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আগুয়ান এশিয়া ও আফ্রিকার মানুষের মানসিক মিল এ দু’মহাদেশের ভৌগোলিক দূরত্বকে জয় করেছে। সেসাথে এশিয়া ও আফ্রিকা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সঠিকভাবে চিত্রায়িত নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
মন্ত্রী গতকাল মরক্কোর মারাকাশ নগরীতে দেশটির সরকারের মুখপাত্র ও যোগাযোগমন্ত্রী মুস্তফা আল খালফি (গঁংঃধঢ়যধ ঊষ কযধষভর) এর সাথে বৈঠককালে একথা বলেন। মারাকাশে ইসলামী দেশগুলোর সংস্থা-ওআইসি আয়োজিত ১৭ ডিসেম্বর থেকে তিনদিনব্যাপী আফ্রিকান মিডিয়া ফোরামে যোগদানের পাশাপাশি এ বৈঠকে মিলিত হন দু’দেশের মন্ত্রী।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আফ্রিকার প্রতিফলনের দিকে দৃষ্টি রেখে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রেই আফ্রিকা যেমন সঠিকভাবে চিত্রায়িত নয়, তেমনটা বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও ঘটে। সাম্প্রতিককালে পদ্মাসেতুর বিষয়ে এমনটা ঘটেছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাংকের অসহযোগিতা সত্ত্বেও নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজ শুরুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ তার সক্ষমতা প্রমাণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আফ্রিকাও অচিরেই তাদের সক্ষমতার প্রমাণ দেবে।
বৈঠকে মুস্তফা আল খালফিকে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ তথ্যপ্রবাহ, গণমাধ্যম এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং এক্ষেত্রগুলোতে বাংলাদেশ আফ্রিকার উন্নয়ন সহযোগী হতে ইচ্ছুক।
মরক্কোর যোগাযোগমন্ত্রী এসময় বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের সাথে তার দেশের সরকারি বার্তা সংস্থা, টেলিভিশন ও বেতারের যোগাযোগ বৃদ্ধি ও তথ্য আদান প্রদানে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেন।
বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ভূয়সী প্রশংসা
এদিকে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ফিলিস্তিনের সংস্কৃতি ও উপপ্রধান মন্ত্রী জিয়াদ আবু আমর (তরধফ অনঁ অসৎ)। আফ্রিকান মিডিয়া ফোরামে যোগদানের পাশাপশি জিয়াদ আবু আমর তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু’র সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ প্রশংসা করেন। এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পাশাপাশি গণমাধ্যম যেভাবে ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে, তা সত্যিই হৃদয়কে ছুঁয়ে দেয়।
হাসানুল হক ইনু ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে মুসলিম বিশ্বের মধ্যে ফিলিস্তিনের সর্বাগ্র সমর্থন বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম হারুন-অর-রশীদ এবং তথ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব ড. মোল্লা মাহমুদ হাসান বৈঠকগুলোতে উপস্থিত ছিলেন।
২৩ ডিসেম্বর তথ্যমন্ত্রী দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
#
আকরাম/আফরাজ/মোশারফ/সেলিম/২০১৫/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৪২
প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়
--ডেপুটি স্পিকার
ঢাকা, ৫ পৌষ (১৯ ডিসেম্বর) :
প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়, তারা দেশের সম্পদ। জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন করতে পরিবার ও সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া।
ডেপুটি স্পিকার আজ রাজধানীর এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এ আহ্বান জানান। নিউট্রিশন ও অটিজম রিসার্চ সেন্টার (নার্ক) ‘ডায়েট ফর অটিজম’ বিষয়ক এ সেমিনারের আয়োজন করে।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে চাই দৃঢ় মনোবলের অধিকারী সৎ, সাহসী ও দেশপ্রেমিক প্রাজ্ঞ নেতৃত্ব। বাংলাদেশ আজ তেমনই একজন প্রজ্ঞাময়ী যোগ্য প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলছে। এ নেতৃত্ব অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ শীঘ্রই উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধীদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য অনেক কাজ করছে। প্রতিবন্ধীদেরকে সুযোগসুবিধা প্রদানের বিষয়ে বর্তমানে থানা পর্যায়ে এ সংক্রান্ত কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া তাদের সুরক্ষার জন্য আইন প্রণয়নও প্রক্রিয়াধীন আছে। পরিবার, প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজনসহ সমাজের সকলকে প্রতিবন্ধীদের সহযোগিতার আহবান জানান ডেপুটি স্পিকার। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীরা আন্তর্জাতিকভাবে ক্রীড়াঙ্গনে অনেক সাফল্য অর্জন করেছেন। তিনি জাতীয় লেভেলে অটিজম সক্রান্ত একটি ডাটাবেইজ করার পরামর্শ প্রদান করেন।
নার্কের নির্বাহী পরিচালক পুষ্টিবিদ তামান্না শারমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নার্কের চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে অধ্যাপক মুজাহেরুল হক, অধ্যাপক ড. এম আবদুর রহমান, ড. কামরুন নাহার, ড. কামাল আহমেদ এবং অধ্যাপক শারমীন ইয়াসমিন বক্তৃতা করেন।
#
আফরাজ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৫/১৯০৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭৪১
সুষ্ঠু সমাজ বিনির্মাণে ছাত্রদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত¦পূর্ণ
--স্পিকার
ঢাকা, ৫ পৌষ (১৯ ডিসেম্বর) :
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ছাত্ররাই দেশের ভবিষ্যৎ এবং একটি সষ্ঠুু সমাজ বিনির্মাণে তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ছাত্রছাত্রীদেরকে সমাজ বিনির্মাণের কারিগর হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।
স্পিকার আজ ঢাকায় নবকুমার ইনস্টিটিউশন সংলগ্ন মাঠে নবকুমার ইনস্টিটিউশনের শতবর্ষপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
স্পিকার ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, নিজের মেধা ও মননকে পরিশীলিত করতে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে সম্পৃক্ত হতে হবে। শুধু ভালো ছাত্র হিসেবে নয় বরং যথাযথ আদর্শ ও মূল্যবোধে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া শিক্ষাজীবন শেষে কর্মক্ষেত্রেও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। তিনি এসময় প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোলার আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, নবকুমার ইনস্টিটিউশনের ছাত্রছাত্রীরা গণঅভ্যুত্থান ও মহান স্বাধীনতা আন্দোলনে গৌরবজনক ভূমিকা রেখেছে। সেই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে সকল ছাত্রছাত্রীকে মুক্তিযুুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। স্পিকার বলেন, নবকুমার ইনস্টিটিউশন ঐতিহ্য ও সুনাম ধারণ করে দেশের জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। সেই সুনামকে ধরে রাখতে তিনি ছাত্রশিক্ষকসহ সকলকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহবান জানান।
খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আনিসুজ্জামান, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর খালেদা একরাম, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন এবং নবকুমার ইনস্টিটিউশন ও ড. শহীদুল্লাহ কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হালিম বক্তব্য রাখেন।
#
শিবলী/আফরাজ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৫/১৭৩০ ঘণ্টা