তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৮৮
কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন প্রদান সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য
ঢাকা, ১৮ শ্রাবণ (২ আগস্ট) :
আজ সিনোফার্মের প্রথম ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন নিয়েছেন ২ লাখ ১০ হাজার ৬৮১ জন। যার মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৩ জন, মহিলা ৯৩ হাজার ৯৩৮ জন। অদ্যাবধি সিনোফার্মের প্রথম ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন নিয়েছেন ২৬ লাখ ৮৪ হাজার ৩১২ জন। এদিকে, আজ সিনোফার্মের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৮ হাজার ৩১৬ জন। যার মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ১৪৮ জন ও মহিলা ৪ হাজার ১৬৮ জন। অধ্যাবধি দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫৮ হাজার ৭১৪ জন।
মডার্না ভ্যাক্সিনের আজ প্রথম ডোজ নিয়েছে ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। যার মধ্যে পুরুষ ৪৮ হাজার ৭৪৫ জন, মহিলা ৩১ হাজার ২৩৯ জন। অদ্যাবধি মডার্না ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৮ লাখ ৪৪ হাজার ২০৯ জন। মডার্না ভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ শুরু হয়নি।
এদিকে, অদ্যাবধি ফাইজার ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫০ হাজার ২৫৫ জন। আজ ফাইজার ভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৯১৮ জন। যার মধ্যে পুরুষ ৫৬৮ জন, মহিলা ৩৫০ জন। অধ্যাবধি দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণ করেছেন ৩ হাজার ১৬৮ জন।
এছাড়া, অ্যাস্ট্রোজেনেকা-কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিনের অদ্যাবধি প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে ৫৮ লাখ ২০ হাজার ৫৩ জনকে। আজ দ্বিতীয় ডোজ অ্যাস্ট্রোজেনেকা-কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিন গ্রহণ করেছেন ৭ হাজার ২৮ জন। যার মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৪৮১ জন এবং মহিলা ২ হাজার ৫৪৭ জন। অদ্যাবধি অ্যাস্ট্রোজেনেকা-কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে ৪৩ লাখ ৬ হাজার ৮৮৭ জনকে।
আজ বিকাল ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ভ্যাক্সিনের জন্য মোট নিবন্ধন করেছেন ১ কোটি ৬০ লাখ ৫৮ হাজার ৫২৬ জন।
#
মিজানুর/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২২০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৮৭
করোনা ভাইরাস মহামারিতে ঢাকা বিভাগে সরকারের মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত
ঢাকা, ১৮ শ্রাবণ (২ আগস্ট) :
করোনা ভাইরাস মহামারির প্রেক্ষিতে মানবিক সহায়তা হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। গতকালও ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় এ কার্যক্রম অব্যাহত ছিল।
নরসিংদী জেলায় ১১৫ দশমিক ৫০০ মে.টন চাল এবং ভিজিএফ কার্ডের ১ হাজার ৩৭৬ দশমিক ৫৯০ মে. টন চাল ত্রাণ হিসেবে বিতরণ করা হয়। এছাড়া ৩৩৩ কলের মাধ্যমে ১ হাজার ৬৬টি পরিবার ও ৫৩৩ জনকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
শরীয়তপুর জেলায় ৩৩৩ কলের মাধ্যমে ১২৬টি পরিবারকে ১২৬টি ত্রাণসামগ্রীর প্যাকেট বিতরণ করা হয়।
মুন্সীগঞ্জ জেলায় ত্রাণ হিসেবে নগদ ৭ লাখ টাকা এবং ৮৬ মে. টন চাল বিতরণ করা হয়। ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৬২৩ দশমিক ১৫০ মে. টন চাল বিতরণ করা হয়। ৩৩৩ কলের মাধ্যমে ৫৮টি পরিবার ও ২৩২ জনকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
কিশোরগঞ্জ জেলায় ত্রাণ হিসেবে ২৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা নগদ এবং ৩ লাখ ২১ হাজার মে. টন চাল বিতরণ করা হয়। এছাড়া ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ১১ লাখ ৩১০ মে. টন চাল বিতরণ করা হয়। ৩৩৩ কলের মাধ্যমে ৪৮২টি পরিবার ও ২ হাজার ৪১০ জনকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা তথ্য অফিসসমূহ ঢাকা বিভাগীয় তথ্য অফিসের মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছে।
#
আনোয়ার/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৮৬
জানুয়ারি-মার্চ, ২০২১ সময়ে বিডা’র নিবন্ধিত শিল্পের পরিসংখ্যান প্রকাশ
নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান ৩৩০টি এবং বিনিয়োগ প্রায় ১ লাখ ৩৯ হাজার মিলিয়ন টাকা
ঢাকা, ১৮ শ্রাবণ (২ আগস্ট) :
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) জানুয়ারি-মার্চ, ২০২১ সময়ে মোট ৩৩০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করেছে। নিবন্ধিত এ সকল প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাবিত মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৯৬ দশমিক ৭৫০ মিলিয়ন টাকা। কোভিড-১৯ এর প্রভাবে জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০ অপেক্ষা জানুয়ারি-মার্চ, ২০২১ সময়ে বিনিয়োগের পরিমাণ ৩৩ হাজার ৯২৬ দশমিক ৩৬৫ মিলিয়ন টাকা কম। তবে, গত বছরের তুলনায় এ সময়ে মোট শিল্প প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের সংখ্যা ৩৯টি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০ সময়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিবন্ধিত মোট ২৯১টি শিল্প ইউনিটের প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ১ লাখ ৭২ হাজার ৮১৩ দশমিক ১১৫ মিলিয়ন টাকা।
স্থানীয় বিনিয়োগ : বিবেচ্য এ তিন মাসে সম্পূর্ণ স্থানীয় বিনিয়োগের জন্য নিবন্ধিত ২৯৯টি শিল্প ইউনিটে প্রস্তাবিত অর্থের পরিমাণ ১ লাখ ৩১ হাজার ৪৪৩ দশমিক ৪৩৩ মিলিয়ন টাকা যা জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০ সময় অপেক্ষা ৩৮ হাজার ৮৩৫ দশমিক ৩০ মিলিয়ন টাকা বেশি। বিগত জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০ সময়ে স্থানীয় বিনিয়োগের জন্য নিবন্ধিত ২৩৯টি শিল্প ইউনিটে প্রস্তাবিত অর্থের পরিমাণ ছিল ৯২ হাজার ৬০৮ দশমিক ১৪৪ মিলিয়ন টাকা। সে অনুযায়ী জানুয়ারি-মার্চ, ২০২১ সময়ে স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের সংখ্যা ৩৯টি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং স্থানীয় বিনিয়োগ প্রস্তাব বৃদ্ধি পেয়েছে ৪১ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
বিদেশি বিনিয়োগ : একই সময়ে ১৭টি শতভাগ বিদেশি ও ১৪টি যৌথ বিনিয়োগের জন্য নিবন্ধিত শিল্পে অর্থাৎ বৈদেশিক বিনিয়োগ সম্বলিত মোট ৩১টি নিবন্ধিত শিল্প ইউনিটের প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৪৫৩ দশমিক ৩১৭ মিলিয়ন টাকা। বিগত জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০ সময়ে বৈদেশিক বিনিয়োগ সংবলিত মোট ৫২টি নিবন্ধিত শিল্পের প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৮০ হাজার ২০৪ দশমিক ৯৭১ মিলিয়ন টাকা। বিশ্বজুড়ে অতিমারি কোভিড-১৯ এর প্রভাবে জানুয়ারি-মার্চ, ২০২১ সময়ে যৌথ ও বিদেশি শিল্প প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের সংখ্যা কমেছে ২১টি এবং বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব কমেছে ৯০ দশমিক ৭০ শতাংশ।
প্রতিবেদনাধীন তিন মাসে স্থানীয় বিনিয়োগে কেমিক্যালস শিল্পখাতে সর্বাধিক বিনিয়োগ প্রস্তাব পাওয়া গিয়েছে, যা মোট স্থানীয় বিনিয়োগের ২৯ দশমিক ১৬ শতাংশ। এছাড়া সার্ভিস শিল্পখাতে ১৭ দশকি ০৪ শতাংশ, ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পখাতে ১৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং কৃষিভিত্তিক শিল্পখাতে ১৫ দশমিক ১৯ শতাংশ বিনিয়োগ প্রস্তাব পাওয়া গিয়েছে। আলোচ্য তিন মাসে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্থানীয় এবং বৈদেশিক) নিবন্ধিত সর্বমোট ৩৩০টি শিল্পে মোট ৫১ হাজার ৮১৭ সংখ্যক জনবলের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
#
ফাতিমা/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৮৫
টেকনাফে ৬০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার বিজিবি’র
ঢাকা, ১৮ শ্রাবণ (২ আগস্ট) :
বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অভিযানে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা মূল্যমানের ৬০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
বিজিবি’র এক প্রেস রিলিজে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে আজ ভোররাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ সাবরাং বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিআরএম-৪ হতে আনুমানিক ১ কিলোমিটার দক্ষিণে আড়িয়াখালী মাঠ চিংড়ির ঘের এলাকা দিয়ে মিয়ানমার হতে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে সাবরাং বিওপি’র একটি বিশেষ টহলদল দ্রুত বর্ণিত এলাকায় গমন করে কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে বেড়িবাঁধ ও আড়িয়াখালী মাঠের ভেতর আইলের আঁড় নিয়ে গোপনে অবস্থান গ্রহণ করে। আনুমানিক সাড়ে আটটায় টহল দল ১ জন দুষ্কৃতকারীকে নাফ নদী ও বেড়িবাঁধ পার হয়ে আড়িয়াখালী মাঠের উত্তর দিক দিয়ে ১টি প্লাস্টিকের বস্তা কাঁধে নিয়ে আড়িয়াখালী গ্রামের দিকে যেতে দেখে। টহলদল উক্ত ব্যক্তিকে দেখা মাত্রই তাকে চ্যালেঞ্জ করে খুব দ্রুত অগ্রসর হয়। দুষ্কৃতকারী দূর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই বহনকৃত বস্তাটি ফেলে দিয়ে মাছের ঘেরের আঁড় ব্যবহার করে খুব দ্রুত পার্শ্ববর্তী গ্রামে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে টহলদল বর্ণিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে ইয়াবা পাচারকারীর ফেলে যাওয়া ১টি প্লাস্টিকের বস্তা উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত বস্তাটির ভেতর হতে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা মূল্যমানের ৬০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হয়। ইয়াবা কারবারিকে আটকের নিমিত্তে বর্ণিত এলাকা ও পার্শ্ববর্তী স্থানে ১০টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোনো পাচারকারী কিংবা তার সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উক্ত স্থানে অন্য কোনো অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় ইয়াবা কারবারিকে শনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। তবে তাকে শনাক্ত করার জন্য ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উদ্ধারকৃত মালিকবিহীন ইয়াবাগুলো বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের স্টোরে জমা রাখা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনি কার্যক্রম গ্রহণ করে পরবর্তীতে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।
#
ফয়সল/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৯৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৮৪
টিকা নিয়ে অপপ্রচার ঠেকাতে প্রশাসনকে সজাগ থাকার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
সাপাহার (নওগাঁ), ১৮ শ্রাবণ (২ আগস্ট) :
জনসাধারণকে টিকা গ্রহণ ও মাস্ক পরিধানে সচেতন করতে গণমাধ্যমে আরো বেশি প্রচারণার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, দেশের মানুষের জন্য ২১ কোটি ডোজ কোভিড-১৯ টিকার বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। এর আওতায় দেশে করোনার টিকা আসছে।
মন্ত্রী আজ নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলা পরিষদ হলরুমে 'উপজেলার ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন ও করোনার ঊর্ধ্বগতি রোধকল্পে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে করণীয়' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শোকাবহ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ঘাতকের হাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার সকলের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করোনা ভাইরাস ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। করোনা মহামারি জয় করতে প্রত্যেককেই যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে। জনগণের মাঝে করোনা সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যমকে একযোগে কাজ করতে হবে। এ সময় তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ যাতে বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে সে বিষয়ে প্রশাসনকে সজাগ থাকারও আহ্বান জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল্যাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে উপেজলা চেয়ারম্যান মোঃ সাহজাহান হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রশিদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস সরকার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মুহা. রুহুল আমিন, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ তারেকুর রহমান সরকার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম শাহ চৌধুরী বক্তৃতা করেন।
মতবিনিময় সভায় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিগণ, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মীগণ এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডের করোনা প্রতিরোধে দায়িত্ব পালনকারী স্বেচ্ছাসেবকগণ অংশ নেন।
পরে তিনি করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সাপাহার উপজেলার সম্মুখসারির যোদ্ধাদের মাঝে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেন।
#
কামাল/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৮৩
টিকেসি’র সাথে টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি
টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম টেলিকম সেবার মনিটরিং ও মানোন্নয়নে অনন্য সাধারণ অবদান রাখবে
-- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ শ্রাবণ (২ আগস্ট) :
কানাডাভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান টিকেসি টেলিকম এর সাথে বিটিআরসি’র টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম ক্রয় সংক্রান্ত একটি চুক্তি আজ সম্পাদিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিকে চুক্তি স্বাক্ষরের ১৮০ দিনের মধ্যে টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। ঢাকায় বিটিআরসি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, টেলিকম মনিটরিং চুক্তির মধ্যদিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অগ্রযাত্রায় আরো একটি মাইলফলক স্থাপিত হলো। এই টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম টেলিকম সেবার মনিটরিং ও মানোন্নয়নে অনন্য সাধারণ অবদান রাখবে। তিনি বলেন, মোবাইল অপারেটরদের সেবার গুণগতমান নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন আছে। গুণগতমান রক্ষার কথা ছিল, আমরা সেগুলো মনিটরিং করে আসছি। কিন্তু প্রযুক্তির সহায়তা ছাড়া এই কাজটি সম্পাদন করা অসম্ভব। বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন ও ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার চালুর মাধ্যমে পৃথিবীতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, নতুন টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সিস্টেম চালুর ফলে টেলিকম খাতের দুর্বলতা খুঁজে বের করতে সম্ভব হবো। কলড্রপ, ডাটা নেটওয়ার্ক না পাওয়া, ডাটার মেয়াদ ব্যবহারকারীদের কমন যেসব সমস্যা আছে সেগুলো দ্রুত সমাধানের জন্যও মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
মোস্তাফা জব্বার গ্রাহক সাধারণের স্বার্থ বিবেচনা করে ডাটা প্যাকেজের মেয়াদ অতি সংক্ষিপ্তভাবে নির্দিষ্ট না করার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিটিআরসি ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতি নির্দেশনা দেন। একই সাথে তিনি মেয়াদের পরের উদ্বৃত্ত ডাটা ব্যবহারকারীকে পরে ব্যবহার করার সুযোগ দিতেও নির্দেশ দেন। টিএমএস প্রকল্পটি একটি প্রশংসিত ও দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী উদ্যোগ বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সিস্টেমটি বাস্তবায়িত হলে মোবাইল অপারেটরদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ এবং রিপোর্টিং প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় হবে। একইসাথে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য বাস্তব সময়ে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে। এতে ভয়েস ও ডাটা ট্রাফিক, নেটওয়ার্ক ব্যবহার এবং মান সম্পর্কিত তথ্য সর্বোপরি বিটিআরসি’র প্রাপ্য রাজস্ব সম্পর্কে নিয়মিত ও নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত হবে। ফলে বিটিআরসি’র নীতিনির্ধারণী ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি সাধিত হবে এবং সরকারের নিকট প্রতিবেদন পেশ ব্যবস্থা আরো দক্ষ এবং দ্রুত হবে।
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ আফজাল হোসেন, বিটিআরসি’র ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড অপারেশন্স বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ এবং টিকেসি টেলিকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সামির তালহামি বক্তৃতা করেন।
বিটিআরসি’র পক্ষে ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড অপারেশন্স বিভাগের পরিচালক মোঃ গোলাম রাজ্জাক ও টিকেসি টেলিকমের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সামির তালহামি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ৭৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে।
সভায় জানানো হয়, এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে গ্রামাঞ্চল, দ্বীপ, হাওড়-বাওড়, উপকূলীয় অঞ্চল ও দুর্গম এলাকার টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের প্রকৃত অবস্থা তাৎক্ষণিক যাচাই করা সম্ভব হবে। সরকারের বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং নানাবিধ অবকাঠামোগত ব্যবস্থা ও সেবার সঠিক মান উন্নয়নে সিস্টেমটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
#
শেফায়েত/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৮২
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৮ শ্রাবণ (২ আগস্ট) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫৩ হাজার ৪৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৫ হাজার ৯৮৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১২ লাখ ৮০ হাজার ৩১৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪৬ জন-সহ এ পর্যন্ত ২১ হাজার ১৬২ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১১ লাখ ৮ হাজার ৭৪৮ জন।
#
ফেরদৌস/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৮১
মমেক হাসপাতালে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৬৭৮ সিলিন্ডার
অক্সিজেন প্রদান করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ময়মনসিংহ, ১৮ শ্রাবণ (২ আগস্ট) :
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের করোনা রোগীদের জরুরি চিকিৎসা সেবার সুবিধার্থে এ পর্যন্ত ব্যক্তিগত উদ্যোগে ২ হাজার ৬৭৮ সিলিন্ডার অক্সিজেন প্রদান করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
আজ দুই লটে ৩৯৬ সিলিন্ডার অক্সিজেনসহ প্রতিমন্ত্রীর পক্ষ হতে এ পর্যন্ত সর্বমোট ২ হাজার ৬শ’ ৭৮ সিলিন্ডার অক্সিজেন মমেক হাসপাতালে সরবরাহ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনা রোগীদের জন্য প্রতিমন্ত্রীর এ মানবিক সহায়তা কার্যক্রম মহামারি শেষ না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
#
ফয়সল/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৮২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৮০
খুলনা বিভাগে করোনাকালীন অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ
ঢাকা, ১৮ শ্রাবণ (২ আগস্ট) :
কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যে আজ খুলনা বিভাগের ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলায় অসহায়, কর্মহীন ও বিভিন্ন শ্রেণির প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে সরকারি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ স্থানীয় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামে এক হাজার জন ইজিবাইক চালকের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। প্রতিজনকে ১০ কেজি করে চাল ও নগদ ৩০০ টাকা বিতরণ করা হয়। ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মোঃ মজিবর রহমান এ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু উপস্থিত ছিলেন ।
এছাড়া, মাগুরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয়ভাবে একশ’টি অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ হিসেবে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
#
দীপংকর/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৭৯
রোডম্যাপ ঠিক করেই সরকার ব্যাপক হারে টিকার ঘোষণা দিয়েছে
-- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ শ্রাবণ (২ আগস্ট) :
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, রোডম্যাপ ঠিক করেই সরকার ব্যাপক হারে টিকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে, বিএনপি পূর্বের ধারাবাহিকতায় এ নিয়েও বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করছে।
মন্ত্রী আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ছাড়া মাসে এক কোটি টিকা দেয়ার ঘোষণা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা’ মন্তব্যে নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘সরকার রোডম্যাপ ঠিক করেই এ ঘোষণা দিয়েছে। বিএনপি নেতারা টিকা নিয়ে বরাবরই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অ্যাস্ট্রাজেনেকার যে টিকা গবেষণায় অত্যন্ত সফল টিকা হিসেবে উঠে এসেছে, সেই টিকা নিয়েও তারা বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল যে, এই টিকা দিলে বরং মানুষের স্বাস্থ্যহানি হবে। পরবর্তীতে তারা নিজেরাই আবার সেই টিকা নিয়েছেন। সুতরাং তারা আগে থেকে বিভ্রান্তি ছড়ানোর ধারাবাহিকতায়ই এই কথাগুলো বলছেন। একজন দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতা হিসেবে বা একটি বড় রাজনৈতিক দলের মহাসচিব হিসেবে বিভ্রান্তি ছড়ানো কখনো সমীচীন নয়।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ জাফরুল্লাহর মন্তব্য ‘সরকারের ভুল নীতির কারণে দেশে মৃত্যুহার বেড়েছে’ এর জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ও উপমহাদেশের পরিস্থিতি তার অজানা থাকার কথা নয়। আপনারা জানেন যে, করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভেরিয়্যান্ট পৃথিবীর একশ’র বেশি দেশে ছড়িয়েছে। যে সমস্ত দেশে ৮০ ভাগ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে, সেখানেও এই ভেরিয়্যান্ট ছড়িয়েছে। অনেক দেশে, অনেক অঞ্চলে যেখানে সবকিছু মুক্ত করে দেয়া হয়েছিল সেখানে আবার নতুনভাবে স্বাস্থ্যবিধি আরোপ করা হয়েছে। এগুলো জাফরুল্লাহ সাহেব জেনেও মাঝেমধ্যে জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য কিছু কথাবার্তা বলেন। তার এই বক্তব্য বিভ্রান্তিমূলক ছাড়া অন্য কোনো কিছু না।
শুরু থেকেই করোনা মহামারি মোকাবিলায় সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে এসেছে এবং সে কারণে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে করোনার প্রথম ঢেউ আমরা অত্যন্ত সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি এবং দ্বিতীয় ঢেউও আমরা এখন পর্যন্ত অনেকটা মোকাবিলা করতে পেরেছি, উল্লেখ করেন ড. হাছান। তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই গণটিকাদান শুরু হয়েছে এবং সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, এ বছরের মধ্যে ১০ কোটি ডোজ টিকা আসবে এবং সম্ভব হলে প্রতিমাসে এককোটি মানুষকে টিকা দেয়া হবে। এগুলো জাফরুল্লাহ সাহেবরা জেনেও না জানার ভান করেন আর জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য নানা বক্তব্য রাখেন।
‘লকডাউনের মধ্যেই রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা খুলে দেয়া, শ্রমিকদের দুর্ভোগ, ব্যাপক করোনা সংক্রমণের আশংকা এবং এ নিয়ে কেন সচিব পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে’ সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকেই সরকারের কাছে দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে এবং এক্ষেত্রে সচিব বৈঠক করলেও সিদ্ধান্তটি কোনো ব্যক্তি বা সচিবের নয়। এটি সরকারেরই সিদ্ধান্ত। তবে গার্মেন্টস কারাখানার মালিকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ঢাকায় অবস্থানরত বা ঢাকার আশেপাশে যে সমস্ত শ্রমিক আছে তাদের দিয়ে তারা আপাতত শুরু করবেন। কোনো কোনো গার্মেন্টস মালিক সেটির ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন। তাদের পক্ষ থেকে ঢাকার বাইরের শ্রমিকদেরও কাজে যোগদান করার জন্য ফোন করা হয়েছে। এখানেই বিভ্রান্তিটা হয়েছে।’
মহামারিতে জীবন এবং জীবিকা দু’টির মধ্যেই সমন্বয় ঘটাতে হয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মনে রাখতে হবে, আমাদের অর্থনীতি অনেকটা গার্মেন্টসের ওপর নির্ভরশীল। কারণ রপ্তানি আয়ের ৮০ ভাগ এখান থেকে আসে। এটা অত্যন্ত স্পর্শকাতর সেক্টর। সময়মতো ডেলিভারি দিতে না পারা বা এক সপ্তাহ দেরি হলে অর্ডার বাতিল হয়ে যায়। এটি ব্যাপক আকারে হলে দেশ অর্থনৈতিক ঝুঁকির মধ্যে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই বিষয়টাও দেখতে হয় ব্যবসায়ী স্বার্থে নয়, দেশের স্বার্থে।
আইপি টিভি অনুমোদন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো আইপি টিভিকেই এখনো অনুমোদন দেয়া হয়নি। রেজিস্ট্রেশন দেয়ার জন্য আমরা দরখাস্ত আহ্বান করেছিলাম। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৬শ’র কাছাকাছি আবেদন পড়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে খুব সহসা এ মাসের মধ্যেই আমরা কিছু আইপি টিভি অনুমোদন দেবো। আপনারা জানেন, নীতিমালা অনুযায়ী কোনো আইপি টিভি সংবাদ পরিবেশন করতে পারে না। নানা আইপি টিভির বিরুদ্ধে অনেক সময় অভিযোগ আসে। সেই প্রেক্ষিতে সময়ে সময়ে আমাদের ব্যবস্থা নিতে হয়।’
#
আকরাম/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৭৮
সকলকে টিকার আওতায় আনতে জনসম্পৃক্ততা গুরুত্বপূর্ণ
-খাদ্যমন্ত্রী
নওগাঁ (পোরশা), ১৮ শ্রাবণ (২ আগস্ট) :
করোনা সংক্রমণ কমাতে টিকা কার্যক্রম বাড়ানো হচ্ছে।সকলকে টিকার আওতায় আনতে স্থানীয় জন সম্পৃক্ততা গুরুত্বপূর্ণ। এসময় তিনি যে সকল স্থানে লোক সমাগম বেশি হয় সে সকল ওয়ার্ডের জনগণকে প্রথম টিকা দেয়ার নির্দশনা দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
নওগাঁর পোরশা উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে 'উপজেলার ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন ও করোনার ঊর্ধ্বগতি রোধকল্পে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে করণীয়' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খাদ্যমন্ত্রী আজ এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী ভ্যাকসিন নিয়ে কোন ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, একসময় যারা টিকা নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছে তারা এখন টিকা নিচ্ছেন। টিকার সুফল পেতে হলে স্বাস্থ্যবিধিও মানতে হবে বলে তিনি এসময় উল্লেখ করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: নাজমুল হামিদ রেজা এর সভাপতিত্বে উপেজলা চেয়ারম্যান শাহ মঞ্জুর মোরশেদ চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মো: মাহবুব হাসান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন মোল্লা বক্তৃতা করেন।
মতবিনিময় সভায় উপজেলার বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মীগণ এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডের সেচ্ছাসেবকগণ অংশ নেন। পরে তিনি করোনা মোকাবিলায় সম্মুখসারির যোদ্ধাদের মাঝে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেন।
এর পরে তিনি পোরশার গোপালগঞ্জে আশ্রায়ন ২ প্রকল্প পরিদর্শন করেন ও নিবাসীদের মাঝে করোনাকালে প্রধানমন্ত্রী