তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৮৮
পরিকল্পিতভাবে অল্প জমিতে অধিক লোকের বসতি গড়তে হবে
-- গৃহায়ন মন্ত্রী
ঢাকা, ২৯ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) :
পরিকল্পিত নগরায়নের মাধ্যমে অল্প জমিতে অধিক বসতি গড়ে তুলতে হবে। একইভাবে অফিস ব্যবহারের ক্ষেত্রেও জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সুউচ্চ ভবন নির্মাণ করে অধিক অফিসের সংস্থান করার বিকল্প নেই।
আজ জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশররফ হোসেন এ কথা বলেন। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় ভবনের জন্য স্থাপত্য নকশা প্রতিযোগিতার বিষয়ে স্থপতি ইনস্টিটিউট অভ্ বাংলাদেশের সাথে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান খন্দকার আখতারুজ্জামান ও স্থপতি ইনস্টিটিউট অভ্ বাংলাদেশের সভাপতি আবু সাঈদ এম আহমেদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে আবাসন সমস্যার সমাধান করতে হচ্ছে। একইভাবে খাদ্য উৎপাদনের দিকেও দৃষ্টি দিতে হচ্ছে। এ অবস্থায় কৃষি জমি নষ্ট না করে আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্ব দিতে হচ্ছে। ফলে অল্প জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ করে অধিক লোকের বসতি গড়ে তোলার বিকল্প নেই। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ সারা দেশে যে পরিকল্পিত আবাসন গড়ে তুলছে সে কার্যক্রমকে আরো জোরদার করতে হবে। এর ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নাগরিক সুবিধা গড়ে উঠবে এবং নগরমুখী জন¯্রােত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি উপজেলা পর্যায়ের বাস্তবায়নাধীন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের একটি আবাসিক এলাকার নকশা প্রণয়নের আগ্রহ ব্যক্ত করলে মন্ত্রী সে বিষয়ে সম্মতি দেন।
সেগুনবাগিচায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের পাঁচ বিঘা জমিতে ২০তলা ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে স্থাপত্য নকশা প্রণয়ন করা হবে। এজন্য স্থপতি ইনস্টিটিউটের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হলো। এ প্রতিযোগিতার নকশা মূল্যায়নের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি জুরি বোর্ড থাকবে। বিজয়ী তিনটি নকশাকে পুরস্কৃত করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির ও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
কিবরিয়া/আফরাজ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৬/১৮৩০ঘণ্টা
Handout Number : 3487
Sheikh Hasina attends COP22 in Morocco
Dhaka, November 13:
Prime Minster Sheikh Hasina will attend the High-Level Segment of the twenty-second session of the Conference of the Parties (COP22) to be held in Marrakech, Morocco on 15-16 November 2016. King Mohammed VI of Morocco has especially invited Prime Minister for this event. Prime Minister will be accompanied by a high profile delegation comprising Minister of Water Resources, Minister of Environment & Forests and Foreign Minister, as well as high officials of the government.
The COP22 is described as the COP of action as it would focus on the implementation modalities of the Paris Agreement. This Summit assumes special significance in view of the fact that it is the first Summit after Paris Agreement came into force. This will provide us with the right platform to reiterate our commitments and negotiate towards achieving a robust, balanced and meaningful action plan to address climate change impacts under the framework of Paris Agreement.
Bangladesh is one of the most vulnerable countries to climate change adversities. The country has been playing significant role in global climate change negotiations including the adoption of Paris Agreement. It is one of the first countries that have ratified this Agreement. Bangladesh has been able to draw global attention because of her strong position on the issues like adaptation, loss and damage, finance and technology transfer. In her national statement at the Marrakech Summit, Prime Minster is expected to re-emphasize Bangladesh’s resolve and determination in this regard, highlighting the initiatives and measures undertaken by the government in tackling the menaces of climate change.
Prime Minister of Bangladesh is expected to attend a luncheon hosted by King Mohammed VI of Morocco. She is expected to have interactions with various world leaders during the Summit.
Bangladesh delegation led by Prime Minster will leave Dhaka for Morocco tomorrow and expected to return home on 16 November 2016.
#
Kamruzzaman/Afraz/Sanjib/Joynul /2016/1840hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৮৬
ঢাকার চারপাশে নদী তীরের ১৩টি স্থাপনা দ্রুত অপসারণ করা হবে
ঢাকা, ২৯ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) :
ঢাকার চারপাশে নদী তীরে স্থাপিত অবৈধ ১৩টি স্থাপনা দ্রুত অপসারণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। নদীর তীরভূমি যাতে কেউ ভরাট বা নতুন স্থাপনা তৈরি না করতে পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
আজ নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত নদীর নাব্যতা রক্ষার্থে গঠিত টাস্কফোর্সের ৩৩তম সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। নৌপরিবহণ মন্ত্রী ও টাস্কফোর্সের সভাপতি শাজাহান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ এবং সংসদ সদস্য সানজীদা খানমসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, নদীর সীমানা পিলার নিয়ে আপত্তি নিরসনে ভূমি ও জরিপ অধিদপ্তর থেকে নকশা সংগ্রহ করে সেগুলো জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো হবে। নকশা সংগ্রহের জন্য নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় আগামী সাত দিনের মধ্যে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে অর্থ বরাদ্দ দেবে। জেলা প্রশাসকরা জরিপ কাজ শেষে যেসব আপত্তিকর সীমানা পিলার আছে সে বিষয়ে এক মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন।
সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয়, নদীর তীরবর্তী এলাকা যাতে নতুন করে ভরাট ও দখল না হয় সেজন্য একটি পরিপত্র জারি করা হবে। পুনরায় জরিপ কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশ বহাল থাকবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সভায় জানানো হয়, বিআইডব্লিউটিএ নদী তীরের জমির খাজনা দেয়; আবার সেসব জমির খাজনা অনেক ব্যক্তি মালিকও দিচ্ছে। এজন্য স্থানীয় ভূমি অফিসে নির্দেশ দেওয়া হবে যাতে তারা ব্যক্তি মালিক হিসেবে জমির দাবিদারদের কাছ থেকে খাজনা না নেয়। নদীর সীমানা পিলার অনেক জায়গায় ব্যক্তি স্বার্থে অপসারণ করা হয়েছে। আবার পিলারের উপরে দেওয়া লোহার পাইপ কেটে নেয়া হয়েছে। সেজন্য আরো শক্তিশালী সীমানা পিলার ও পিলারের উপরের অংশ আরসিসি দিয়ে নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় জানানো হয়, জনগণকে সচেতন করতে নদীর তীরে মিছিল, সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন করার পাশপাশি আগের মতই প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার করা হবে। নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর ভবিষ্যতে দখল রোধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনগণকে নিয়ে কমিটিও গঠন করা হবে।
#
জাহাঙ্গীর/আফরাজ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/১৮৩১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৮৫
যুক্তরাষ্ট্র থেকেই জরুরি নথিপত্রে স্বাক্ষর করছেন আইনমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র, ১৩ নভেম্বর :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা নিয়ে সেখান থেকেই তিনি জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রে স্বাক্ষর করছেন। ইতোমধ্যে তিনি জেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালা, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক অধ্যাদেশ সংক্রান্ত নথিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। এছাড়া তিনি আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফাইলে স্বাক্ষর করেছেন।
উল্লেখ্য, আইনমন্ত্রী তাঁর ছোট ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য ৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। আগামী ২০ নভেম্বর তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
#
রেজাউল/আফরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৬/১৭২৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৮৪
জেএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী ৫ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ
ঢাকা, ২৯ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) :
শিক্ষা মন্ত্রণালয় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের জেএসসি পরীক্ষা ২০১৬-এর বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও পরিশোধনের দায়িত্ব পালনে অযোগ্যতা ও অবহেলার কারণে সংশ্লিষ্ট পাঁচ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেছে।
শিক্ষকরা হলেন : প্রশ্ন প্রণয়নকারী ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুল ওহাব এবং প্রশ্ন পরিশোধনকারী- কুমিল্লা জিলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক রিক্তা বড়–য়া, কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজের সহকারী অধ্যাপক নাদিরা ইয়াসমিন, চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাছিমা খানম ও নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শামিম আক্তার।
তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে দুর্গম স্থানে বদলিসহ বিভাগীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
শিক্ষা বোর্ডের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও বাজারে প্রকাশিত গাইড বই থেকে প্রশ্ন করায় এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
#
ঢালী/আফরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৬/১৭১১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৪৮৩
কর্ণফুলি টানেল নির্মাণের সাইট পরিদর্শনে সেতুমন্ত্রী
ঢাকা, ২৯ কার্তিক ( ১৩ নভেম্বর)
সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী আজ পতেঙ্গার ওয়েস্ট পয়েন্টে কর্ণফুলি টানেল নির্মাণের সাইট পরিদর্শন করেন। এসময় কর্ণফুলি টানেল নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী ইফতেকার কবির উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে মন্ত্রী ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত অভিযোগসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তি করতে জেলা প্রশাসন ও প্রকল্প কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। তিনি এসময় সমবেত জনসাধারণের সাথে মতবিনিময় করেন।
মতবিনিময়কালে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও চীনের রাষ্ট্রপতি’র যৌথভাবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্যদিয়ে কর্ণফুলি টানেলের নির্মাণ কাজের সূচনা হয়েছে। তিনি বলেন, জি-টু-জি ভিত্তিতে চীন সরকারের অর্থায়নে কর্ণফুলি টানেলের নির্মাণকাজ যথাসময়ে শেষ করার লক্ষ্যে কাজ করছে সেতু বিভাগ। ইতোমধ্যে কর্ণফুলি টানেল নির্মাণের লক্ষ্যে পরামর্শক নিয়োগের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চারলেন বিশিষ্ট কর্ণফুলি টানেল হবে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ। দুপ্রান্তের সংযোগ সড়ক এবং একটি এক কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারসহ প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় নয় কিলোমিটার। শিল্ড ড্রাইভেন মেথডে নির্মিতব্য টানেলটি হবে দ’ুটি টিউবে দুইলেন করে চারলেনের।
উল্লেখ্য, টানেলটি নির্মিত হলে চীনের সাংহাইয়ের মতো চট্টগ্রাম হবে ওয়ান সিটি টু টাউন। এতে ব্যবসাবাণিজ্য সম্প্রসারণ ও অর্থনৈতিক কর্মকা-ের গতিশীলতা বাড়বে। নদীর ওপারে ইপিজেড স্থাপনের ফলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির পাশাপাশি নগরায়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এশিয়ান হাইওয়ের সাথে সংযোগসহ টানেলটি যুক্ত করবে প্রস্তাবিত মিরসরাই-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ, প্রস্তাবিত ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে এবং প্রস্তাবিত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পকে।
#
নাছের/অনসূয়া/দীপংকর/আলী/গিয়াস/রফিকুল/শামীম/২০১৬/১৫৪২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৮২
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে ২ জন প্রতিনিধি মনোনিত
ঢাকা, ২৯ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) :
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৬ এর ৬ ধারার ১(৩) উপধারা মোতাবেক কর্তৃপক্ষের গভর্নিং বোর্ডে বিশেষায়িত চেম্বারের ২ (দুই) জন প্রতিনিধি হিসেবে চট্টগ্রাম চেম্বার অভ্ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম ও বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অভ্ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সেলিমা আহমেদকে সরকার মনোনয়ন দিয়েছে।
#
সাফিউল/অনসূয়া/দীপংকর/গিয়াস/আসমা/২০১৬/১৪৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৮১
জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হচ্ছে ইলিশ
ঢাকা, ২৯ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) :
বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ‘ইলিশ’ ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে নিবন্ধন পাচ্ছে। এ লক্ষ্যে আজ মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শিল্প মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এনডিসি’র কাছে আজ শিল্প মন্ত্রণালয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ আরিফ আজাদ এ আবেদনপত্র জমা দেন।
আবেদন গ্রহণ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জিআই পণ্যসহ মেধাসম্পদের মালিকানা সুরক্ষায় ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে। জিআই পণ্যের মালিকানা স্বত্ব ও নিবন্ধনের লক্ষ্যে বিশ্ব মেধাস¤পদ সংস্থার (ডব্লিডআইপিও) সহায়তায় ইতোমধ্যে ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য জিআই পণ্যকেও নিবন্ধন দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আজিজুল ইসলাম, পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস্ অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) রেজিস্ট্রার মো. সানোয়ার হোসেনসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রথম ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে জামদানিকে নিবন্ধন দেয়ার সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এর পরপরই ইলিশকে নিবন্ধনের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হলো। এর ফলে বাংলাদেশের জিআই পণ্যের সুরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এর সুফল পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
#
জলিল/অনসূয়া/দীপংকর/গিয়াস/রফিকুল/আসমা/২০১৬/১২৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৮০
সাইফুল হাসিব বিএসটিআইয়ের নতুন মহাপরিচালক
ঢাকা, ২৯ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) :
জাতীয় মান সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) এর নতুন মহাপরিচালক হিসেবে যোগদান করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল হাসিব। আজ তিনি বিএসটিআইতে যোগদান করেন।
এর আগে তিনি প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের পরিচালকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং মাঠ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইংরেজি সাহিত্যের মেধাবী ছাত্র মো. সাইফুল হাসিব ১৯৮২ সালে বিসিএস রেগুলার ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। ১৯৮৪ সালে তিনি চাকরিতে যোগদান করেন। চাকরি জীবনে তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ এবং কোর্স সম্পন্ন করেন।
#
মঈনুদ্দীন/আফরাজ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৭৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৭৯
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৯ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’-এর এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডায়াবেটিসের ওপর দৃষ্টি দিন: অন্ধত্ব এড়াতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন’। এ প্রতিপাদ্য থেকে এটা স্পষ্ট যে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের প্রতি আমাদের বিশেষ নজর দিতে হবে এবং ডায়াবেটিসের ওপর দৃষ্টি দেয়ার পাশাপাশি নিজের চোখেরও যতœ নিতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের কারণে হৃদপি-, কিডনিসহ অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেমন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনি চোখের নানা রোগসহ মানুষ অন্ধও হয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি চোখের যতœ নেওয়া ও নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করার জন্য সকলকে সচেতন করতে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি যে সব কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তা ডায়াবেটিস এবং এর জটিলতা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
আওয়ামী লীগ সরকার দেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করে। রাজশাহী ও চট্টগ্রামে আরও দু’টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আমরা ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৪৫টি নতুন মেডিকেল কলেজ, ২০টি ডেন্টাল কলেজ, ৩৭টি নার্সিং কলেজ, ২২টি নার্সিং ইনস্টিটিউট, ১৭৩টি মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছি। হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা, সাধারণ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা এবং বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয়েছে। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত কমিউনিটি ক্লিনিক এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা বিস্তৃত করা হয়েছে।
আমি ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাই।
আমি ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
মনিরুন/অনসূয়া/সাহেলা/গিয়াস/রেজ্জাকুল/রফিকুল/শামীম/২০১৬/১১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৭৮
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৯ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ১৪ নভেম্বর ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। বাঙালি জাতির জন্য দিনটি বিশেষভাবে গর্বের এ কারণে যে বাংলাদেশের উদ্যোগের ফলেই দিবসটি ‘জাতিসংঘ দিবস’ এর মর্যাদা লাভ করছে।
বিশ্বজুড়েই ডায়াবেটিস এক নীরব মহামারী। আমি জানতে পেরেছি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এ রোগটি দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডায়াবেটিস বৃদ্ধির হার রোধ করা না গেলে এ রোগের প্রাদুর্ভাব আমাদের মতো উন্নয়নশীল একটি দেশের টেকসই উন্নয়নের পথে বড় অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নগরায়ণের কারণে মানুষের জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসের ব্যাপক পরিবর্তন এবং কায়িক পরিশ্রমের অভাবেই ডায়াবেটিসের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। এ অবস্থায় ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে আরও উদ্যোগ গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিস সুনিয়ন্ত্রণে না রাখলে হৃৎদপি-, কিডনি ও চোখসহ বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমনকি তা মৃত্যুর কারণও হতে পারে। ডায়াবেটিসের কারণে বিশেষভাবে চোখের নানান জটিলতা ছাড়াও আক্রান্ত ব্যক্তি অন্ধ হয়ে যেতে পারে। সে কারণে অন্ধত্ব এড়াতে নিয়মিত চোখ পরীক্ষার জন্য মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডায়াবেটিসের ওপর দৃষ্টি দিন: অন্ধত্ব এড়াতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
ডায়বেটিসমুক্ত দেশ গড়তে আমি ডায়াবেটিস সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির পাশাপাশি দেশের গণমাধ্যমসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
আমি ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/অনসূয়া/গিয়াস/রফিকুল/তানিয়া/২০১৬/১১৪০ ঘণ্টা