Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২০

তথ্যবিবরণী ২৭ ডিসেম্বর ২০২০

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৫০৯৬

বোরো ধানের উৎপাদন বাড়াতে কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সাথে কাজ করার নির্দেশ কৃষিমন্ত্রীর

ঢাকা, ১২ পৌষ (২৭ ডিসেম্বর) :

            বোরো ধান, তেল, ডালসহ মসলাজাতীয় ফসল এবং অপ্রচলিত ফসলের উৎপাদন বাড়াতে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ফসলের আবাদের এলাকা বাড়ানোর সাথে সাথে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। শুধু গতানুগতিক কাজের মধ্যে আটকে না থেকে সৃজনশীল হয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। কফি, কাজুবাদাম, ড্রাগনফল প্রভৃতি অপ্রচলিত অর্থকরী ফসলের চাষ ছড়িয়ে দিতে হবে। কোন্ ফসল কোন্ কোন্ জায়গায় ভালো উৎপাদন হয় তা চিহ্নিত করতে হবে। 

            কৃষিমন্ত্রী আজ রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ‘কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ'  প্রকল্প এ কর্মশালার আয়োজন করে। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিসচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত চাল রয়েছে। কিন্তু প্রতিদিন চালের দাম কেন বাড়ছে তার কারণ খতিয়ে দেখা দরকার। এ বিষয়ে কর্মকর্তাদেরকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিখাতের উন্নয়ন ও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় এ বছর কৃষিখাতে রেকর্ড পরিমাণ প্রণোদনা দিয়েছে সরকার। যার ফলে করোনার সময়েও কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আসাদুল্লাহ'র সভাপতিত্বে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল, প্রকল্প পরিচালক খাইরুল আলম প্রিন্স প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

#

কামরুল/সাহেলা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/২১১৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৫০৯৫

রাষ্ট্রপতির কাছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ

ঢাকা, ১২ পৌষ (২৭ ডিসেম্বর) :

          রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের নিকট আজ বঙ্গভবনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে কমিশনের এক প্রতিনিধিদল কমিশনের ‘বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৯’ পেশ করেন।

          সাক্ষাৎকালে ইউজিসি চেয়ারম্যান গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার অগ্রগতিসহ কমিশনের সার্বিক কর্মকাণ্ড এবং বার্ষিক প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। করোনাকালে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে শিক্ষা কার্যক্রম যাতে অব্যাহত রাখতে পারে সেজন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২ হাজার ১৫০ জন শিক্ষার্থীকে মোবাইল কেনার জন্য ঋণ প্রদান করা হয়েছে বলে ইউজিসি চেয়ারম্যান রাষ্ট্রপতিকে জানান।

          রাষ্ট্রপতি বলেন, শিক্ষা কোনো বাণিজ্যিক পণ্য নয়। তাই শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে আপোস করার কোনো সুযোগ নেই। গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ অনিয়মের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, যোগ্য প্রার্থীরা যাতে নিয়োগ পায় তা নিশ্চিত করতে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে এগিয়ে যেতে পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও এর গুণগত মান নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন রাষ্ট্রপতি। সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো অনিয়ম দূরীকরণে জোরালো ভূমিকা রাখার জন্য ইউজিসি-কে পরামর্শ দেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি ইউজিসি-র সার্বিক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

          রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

#

ইমরানুল/নাইচ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/২০৪৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ৫০৯৪

চিলমারীতে শীতার্তদের মঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

চিলমারী (কুড়িগ্রাম), ১২ পৌষ (২৭ ডিসেম্বর) :

          প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন আজ তাঁর নির্বাচনী এলাকা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় শীতার্ত দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে উপহার হিসেবে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। শীতার্ত বৃদ্ধ নারী-পুরুষ ও অসহায় শিশুদের মাঝে তিনি কম্বল, চাদরসহ অন্যান্য শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।

          শীতবস্ত্র বিতরণকালে শীতার্ত মানুষের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শীতে যাতে কষ্টে দিনাতিপাত করতে না হয় এ জন্য সরকার সবসময় আপনাদের পাশে আছে। এ শীতে আপনারা অমানবিক কষ্ট করবেন, তা মেনে নেয়া যায় না। শ্রদ্ধাবোধ, সম্মান ও সহমর্মিতা নিয়ে এসেছি আপনাদের পাশে দাঁড়াতে। তিনি বলেন, শীতের এই তীব্রতা বেশি কাবু করে নিম্ন আয়ের মানুষকে।

          এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন চিলমারী উপজেলার বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

          পরে প্রতিমন্ত্রী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, চিলমারী উপজেলা অফিস ভবনের উদ্বোধন করেন।

#

রবীন্দ্রনাথ/নাইচ/মোশারফ/জয়নুল/২০২০/২০২০ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ৫০৯৩

গণমাধ্যম হলো দেশ ও সমাজের আয়না

                          -- তথ্য প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১২ পৌষ (২৭ ডিসেম্বর) :

          তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে আর বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে এ উন্নতি অবলোকন করছে, যখন মাথাপিছু আয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভসহ বিভিন্ন সামাজিক অগ্রগতির সূচকে প্রতিবেশী দেশসমূহকে পেছনে ফেলে দিয়েছে ঠিক তখনই ৭১’র পরাজিত সাম্প্রাদায়িক অপশক্তি বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার পথকে রুদ্ধ করতে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে, অপপ্রচারের জবাব দিতে গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ গণমাধ্যম হলো দেশ ও সমাজের আয়না।

          তিনি আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে দৈনিক জনতার আদালত পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র, গণমানুষ ও গণমাধ্যম অঙ্গাঙ্গীভাবে সম্পৃক্ত। এর যে কোনো একটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে অপরগুলোও অক্ষত থাকতে পারে না। তাই বর্তমান সরকার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখতে গণমাধ্যমকে শক্তিশালী করতে সচেষ্ট। পাশাপাশি গণমাধ্যমকেও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে জনমত  সৃষ্টিতে কাজ করতে হবে।

          পত্রিকার সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদক উন্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স ম গোলাম কিবরিয়া, কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।

#

তুহিন/নাইচ/মোশারফ/জয়নুল/২০২০/২০১০ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ৫০৯২

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে

                                                                     -- ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১২ পৌষ (২৭ ডিসেম্বর) :

        ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করে যেতে হবে।

          আজ ইসলামিক ফাউন্ডেশন আগারগাঁওস্থ প্রধান কার্যালয়ে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি মিলনায়তনে ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকাসক্তি, যৌতুক ও বাল্যবিবাহসহ সামাজিক সমস্যা নিরসনে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

       ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রকৃত ঈমানদার সেই ব্যক্তি যে নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামের প্রচার ও প্রসারে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল একটি শোষণমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া। বঙ্গবন্ধুর সেই উদ্দেশ্যকে সফল করতে হলে সবাইকে নিজের কাজের প্রতি দায়িত্বশীল হতে হবে। 

       অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ। অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নবনিযুক্ত বোর্ড অভ্ গভর্নরসের গভর্নর এ এফ এম ইয়াহিয়া চৌধুরী (অবঃ অতিঃ সচিব), মোঃ শাহজাহান সিদ্দিকি বীর বীক্রম (অবঃ সচিব), মাওলানা কাফিলুদ্দীন সরকার, মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমীন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আলতাফ হোসেন চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব ও প্রকল্প পরিচালক ফারুক আহম্মেদসহ বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক ও কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

#

আনোয়ার/নাইচ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/ ২০০০ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৫০৯১

গোপালগঞ্জে কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের পূর্তকাজ উদ্বোধন করেছেন কৃষিমন্ত্রী

চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে

ঢাকা, ১২ পৌষ (২৭ ডিসেম্বর) :

গোপালগঞ্জে কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের পূর্তকাজ উদ্বোধন করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের (বারি) আওতায় এ গবেষণা কেন্দ্রের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থা প্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

উদ্বোধনী বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী বলেন, গোপালগঞ্জ উন্নয়নের দিক দিয়ে কিছুটা বঞ্চিত। তার কারণ হলো ১৯৭৫ এর পরে সামরিক ও স্বৈরাচারী শাসকরা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান হওয়ার কারণে ঐ সময়ে গোপালগঞ্জে উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর  গোপালগঞ্জের উন্নয়নের চেষ্টা করছেন। কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, এই কৃষি গবেষণা কেন্দ্রটি স্থাপিত হলে গোপালগঞ্জসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ভূমির প্রকৃতি ও জলবায়ু অনুযায়ী কৃষি প্রযুক্তি ও ফসলের জাতের উদ্ভাবন প্রভৃতি বিষয়ে গবেষণা কাজ ত্বরান্বিত হবে। এখানে গবেষণা শুরু হলে দক্ষিণাঞ্চল অনেক উপকৃত হবে। বাংলাদেশের একেক জেলার ভূ-প্রকৃতি একেক রকম; সে জন্য এলাকাভিত্তিক গবেষণা হওয়া দরকার; সে লক্ষ্যেই এই গবেষণা কেন্দ্রটি স্থাপন করা হচ্ছে।

পরে ধান-চালের দামের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন,  এই বছর কয়েক দফা লাগাতার বন্যা ও ৫ মাসব্যাপী অতি বৃষ্টিতে আউশ ও আমন ধানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান নষ্ট হয়েছে। ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ লাখ মেট্রিক টন ধান কম উৎপাদন হওয়ায় চালের দাম কিছুটা বেশি। বিশেষ করে কৃষক পর্যায়ে ধানের দাম অনেক বেশি। এই ঘাটতি মেটাতে সরকার ৫ থেকে ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করবে। কারণ এই ঘাটতি না মেটাতে পারলে মিলার, আড়াতদার ও চাল ব্যবসায়ী যারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করে তারা চালের দাম বাড়ানোর সুযোগ পাবে। ইতিমধ্যে, এই ভরা মৌসুমেও নানান কারসাজি করে মিলাররা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

ড. রাজ্জাক বলেন, সরকার চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে শতকরা ২৫ ভাগ করা হয়েছে। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি প্রাইভেট সেক্টরকেও চাল আমদানির সুযোগ দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে আমদানি করা চাল বাজারে আসা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, ওএমএসের আওতায় চাল বিক্রির কার্যক্রম চলছে।  চালের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে, দ্রুত আমদানি করে এই ঘাটতি মেটাতে পারলে এবং বাজারে সরবরাহ বাড়াতে পারলে চালের মূল্য স্বাভাবিক হয়ে আসবে  এবং নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতায় আসবে। দেশের প্রতিটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা দিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ভবিষ্যতেও যাতে খাদ্য নিয়ে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, আগামী বোরো মৌসুমে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সর্বাত্মক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ বাড়ানো হবে এবং ২ লাখ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড ধান চাষের কার্যক্রম চলছে। ইতোমধ্যে উৎপাদন বাড়াতে প্রায় ৭৬ কোটি টাকার হাইব্রিড ধানবীজ বিনামূল্যে কৃষকদের দেওয়া হয়েছে। আশা করি আগামী মৌসুমে বোরোর বাম্পার ফলন হবে।      

এর পরে মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৬৮টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট          ২ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে শতকরা ২২ ভাগ। যেখানে জাতীয় গড় অগ্রগতি প্রায় শতকরা ১৮ ভাগ। 

#

কামরুল/নাইচ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/২০০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                          নম্বর : ৫০৯০

ভ্যাক্সিন প্রদানে সরকারের যথাযথ প্রস্তুতি রয়েছে

                                            -- স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১২ পৌষ (২৭ ডিসেম্বর) :

            স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘জানুয়ারি শেষে অথবা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই দেশে ভ্যাক্সিন আসবে। আগামী ৬ মাসে পর্যায়ক্রমে দেশে ৩ কোটি ভ্যক্সিন আসবে। এই ভ্যাক্সিন মানুষের কাছে সুষ্ঠুভাবে বিতরণের জন্য সরকারের যথাযথ প্রস্তুতি রয়েছে।’

            মন্ত্রী আজ মহাখালীস্থ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে ২টি ভ্যাক্সিন ল্যাব পরিদর্শন শেষে প্রেস ব্রিফিংকালে এসব কথা জানান।

            এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘ভ্যাক্সিন প্রদানের জন্য আমাদের প্রশিক্ষিত জনবল রয়েছে, ভ্যাক্সিন রাখার স্টোর প্রস্তুত করা হয়েছে, নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখতে কোল্ডবক্স ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করা হয়েছে। কিভাবে ভ্যাক্সিন দেয়া হবে তার জন্য একটি গাইডলাইনও প্রস্তুত করা হয়েছে। যারা ভ্যাক্সিন প্রদানে সরকারের সমালোচনা করছে তারা সঠিক তথ্য না জেনেই কথা বলছে।’

            ভারতে সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে ভ্যাক্সিন নেয়ার পাশাপাশি বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক কো-ভ্যাক্স ভ্যাক্সিন পাওয়া প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী মে-জুন মাসের দিকে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের জন্য কো-ভ্যাক্স ভ্যাক্সিন পাঠানো হবে। চলমান অক্সফোর্ড ভ্যাক্সিনের পাশাপাশি কো-ভ্যাক্স ভ্যাক্সিন চলে এলে দেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষেরই ভ্যাক্সিন প্রাপ্তি ঘটবে।’

            ১৮ বছরের নিচে, প্রেগন্যান্ট মহিলা ও বিদেশে থাকা নাগরিকদের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বর্তমানে ১৮ বছরের নিচে রয়েছে প্রায় ৩৭ ভাগ মানুষ, ৩০ লাখের মতো মহিলা গর্ভবর্তী এবং প্রায় কোটি মানুষ বিদেশে থাকায় অক্সফোর্ড ও কো-ভ্যাক্স ভ্যাক্সিন দিয়ে দেশের প্রায় সব মানুষেরই ভ্যাক্সিন প্রাপ্তি ঘটবে। তবে, এসব কিছুর পরও মানুষকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করা অব্যাহত রাখতে হবে।’

            ব্রিফিংকালে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গ কর্তৃক সম্প্রতি প্রকাশিত জরিপে বাংলাদেশের সাফল্য উল্লেখ করে জানান, ‘কোভিড মোকাবেলায় বাংলাদেশ যে সফল হয়েছে সেকথা এখন কেবল আমরা নই, খোদ আমেরিকার সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গ গত ৪-৫ মাসের বিশ^ব্যাপী কোভিড জরিপ শেষে বাংলাদেশকে কোভিড মোকাবেলায় ২০তম হিসেবে ও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এক নম্বর দেশ হিসেবে কৃতিত্ব দিয়েছে। এটি আমাদের জন্য বিরাট স্বীকৃতি। এই জরিপে খোদ আমেরিকাই রয়েছে ৪০তম অবস্থানে, ইউকে রয়েছে ৩৯তম অবস্থানে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারত, পাকিস্তান, ভুটান, শ্রীলংকা, মিয়ানমার এই দেশগুলোরও উপরে রয়েছে। এই কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার, এই কৃতিত্ব দেশের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের, এই কৃতিত্ব মিডিয়াসহ সকল করোনা যোদ্ধাদের।’

            এর আগে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরির ভ্যাক্সিন উইং ও ড্রাগ টেস্টিং উইংয়ের Art of Excellence of Testing facility পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন। ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরির ড্রাগ টেস্টিং উইং মার্চ, ২০২০ সালে WHO (World Health Organiæation) Prequalification অর্জন করায় এবং বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত হওয়ায় ও আমেরিকান অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড (ANAB) কর্তৃক ISO/IEC 17025:2017 Accreditation সনদ পাওয়ায় অভিনন্দন জানান।

            পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ মাহাবুবুর রহমানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ সময় ল্যাবে কর্তব্যরত গবেষকদের কাছে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার খোঁজ-খবর নেন এবং পরামর্শ প্রদান করেন।

#

মাইদুল/নাইচ/মোশারফ/জয়নুল/২০২০/১৯৫০ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ৫০৮৯

সকল বাঁধ প্রকল্পে বৃক্ষরোপণ চলমান থাকবে

                       -- পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১২ পৌষ (২৭ ডিসেম্বর) :

          পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সকল বাঁধ প্রকল্পে বৃক্ষরোপণ চলমান থাকবে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে সাতক্ষীরায় দেখা গেছে যেসব এলাকায় বনায়ন ছিলো সেখানে নদী তীর ভাঙন কম হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতিও কম হয়েছে। তাছাড়া আম্ফানে সুন্দরবন বাংলাদেশে প্রতিরক্ষা হয়ে কাজ করেছে।

          আজ ঢাকার গ্রিনরোডস্থ পানি ভবনে মুজিববর্ষ উপলক্ষে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়িত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক এসব কথা বলেন।  

          বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা থেকে রক্ষায় বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় মনে করে, নদীভাঙন থেকে মানুষকে বাঁচাতে বৃক্ষরোপণ করতেই হবে।

          উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী "জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি- ২০২০" -উদ্বোধনের মাধ্যমে সারাদেশে ১ কোটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় দশ লক্ষ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করে। গত এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মোট ১০ লক্ষ ৮৪ হাজার ৬১০ টি গাছ রোপিত হয়েছে। 

          প্রসঙ্গত, সর্বোচ্চ বৃক্ষরোপণের তালিকায় সারাদেশে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে বরিশাল জোন, খুলনা জোন এবং চট্টগ্রাম জোন। পওর বিভাগীয় তালিকায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে বরগুনা পওর বিভাগ, বাগেরহাট পওর বিভাগ এবং খুলনা পওর বিভাগ-২। 

          এর আগে অনুষ্ঠানের সভাপতি সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও বোর্ডের সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য শেষে বিজয়ীদের মাঝে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়। 

          এ সময় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোকন উদ দৌলা, অতিরিক্ত সচিব মন্টু কুমার বিশ্বাস, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এ এম আমিনুল হক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোঃ হাবীবুর রহমান-সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

#

আসিফ/নাইচ/মোশারফ/রেজাউল/২০২০/১৮৪৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                      নম্বর : ৫০৮৮

বেগম জিয়ার অদক্ষতার কারণে বিনামূল্যে সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ পায়নি বাংলাদেশ

                                                                        -- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

ঢাকা, ১২ পৌষ (২৭ ডিসেম্বর) :

            স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশে বিনামূল্যে সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের সু্যোগ আসলেও তৎকালীন সরকারের অদূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে তা বাস্তবে রূপ নেয়নি।

            মন্ত্রী আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সকল উপজেলা পরিষদে নবনির্মিত কমপ্লেক্স ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করে পঞ্চম অথবা ষষ্ঠ তলায় চার হাজার বর্গফুট ফ্লোর এরিয়া ব্যবহার বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সাথে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

            স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, দেশে এক সময় সাবমেরিন ক্যাবল বিনা পয়সায় স্থাপনের সুযোগ তৈরি হলেও তৎকালীন সরকারপ্রধান বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, এটির সংযোগ হলে দেশের নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হবে এবং তথ্য পাচার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার অদূরদর্শিতার কারণে এই সুযোগ থেকে দেশ এবং দেশের মানুষ বঞ্চিত হয়েছে। এমনকি এই উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। কিন্তু ঐ সময়ে পৃথিবীর অনেক দেশ সাবমেরিনে যুক্ত হয়ে এখন তার সুফল নিচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

            মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সময়ে তথ্য ও প্রযুক্তির সুফল অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে পরিণত হয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় এ খাতে বাংলাদেশ অনেক সম্ভাবনাময়ী। তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে এবং লক্ষ্যমাত্রা ২০২১, ২০৩০ এবং ২০৪১-এ পৌঁছাতে হলে সরকারের সকল প্রতিষ্ঠানকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। তিনি জানান একত্রে কাজ করার উদাহরণ হিসেবে আইসিটি বিভাগের সাথে স্থানীয় সরকার বিভাগের আজকের এই চুক্তি নতুন দিগন্তের উন্মোচন করবে।

            স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশ গার্মেন্টস শিল্প অথবা অন্য কোনো শিল্প দিয়ে শুরু করলেও আজ সকল দেশ তথ্যপ্রযুক্তিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আমাদেরকে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে সমানতালে চলতে হবে, তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে। এ প্রসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমেরিকা আজকে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ হওয়ার ম্যাজিক হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উন্নয়ন। এটা অনুধাবন করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর সুযোগ্য পুত্র আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, যা এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের উদ্ভাবনী শক্তিতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের ইমেজ এখন বিশ্বে অনেক উপরে উঠেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যখন তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে বিতর্ক হয় তখন রেফারেন্স হিসেবে বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করা হয় বলেও মন্তব্য করেন মোঃ তাজুল ইসলাম।

            বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহ্‌মেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে যখন সরকার গঠন করেন তখন এদেশে ডিজিটাল সেবা বলে তেমন কোনো কিছু ছিলো না। কিন্তু বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে সরকারের সব সেবা প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে।

            স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ ও আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

            উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক প্রতিটি উপজেলায় নবনির্মিত উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের তথ্য ও যোগাযোগ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন Establishing Digital Connectivity (EDC) প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে প্রতিটি উপজেলায় নেটওয়ার্ক সুইচরুম, উপজেলা নেটওয়ার্ক, অপারেশন সেন্টার, উপজেলা আইসিটি সার্ভিস ডেস্ক ও উপজেলা আইসিটি ট্রেনিং ল্যাব স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

#

হায়দার/নাইচ/মোশারফ/রেজাউল/২০২০/১৯৪৪ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ৫০৮৭

দেশে কোনো মানুষই গৃহহীন থাকবে না

                            -- পরিবেশ মন্ত্রী

মৌলভীবাজার, ১২ পৌষ (২৭ ডিসেম্বর) :

          পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশে কোনো মানুষই আর গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের সকল গৃহহীনদের জন্য গৃহের ব্যবস্থা করছে।

          আজ মুজিববর্ষ উপলক্ষে কাবিটা কর্মসূচির আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের দুর্যোগ সহনীয় গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার নির্মিতব্য ৫০টি পাকা ঘর নির্মাণের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন ।

          পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসজনিত  মহামারিকালে সমগ্র বিশ্ব বিপর্যস্ত হলেও বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রম থেমে থাকেনি। অসহায়, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মন্ত্রী এ সময় সমাজের বিত্তবান মানুষদের প্রতি আহ্বান জানান।

          পরিবেশ মন্ত্রী এবং জেলা প্রশাসক গৃহ নির্মাণের সার্বিক ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল গৃহের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

#

দীপংকর/নাইচ/মোশারফ/রেজাউল/২০২০/১৮১২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর: ৫০৮৬

আরএমপিতে অপারেশন কন

2020-12-27-21-29-007bea9f6957e9b25bf2553812be1f94.docx