Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২২nd ফেব্রুয়ারি ২০২৪

তথ্যবিবরণী ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর ː  ৩১৭১

বিশ্বে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিচিত করে তুলুন 

-- ইমেরিটাস প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী

বরিশাল, ৯ ফাল্গুন (২২ ফেব্রুয়ারি):

          নিজেদের জ্ঞান, উদ্ভাবন ও কর্মদক্ষতা দিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের কাছে পরিচিত করে তুলতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষদের উদ্ভাবনী প্রতিভা বিশ্বে অতুলনীয়। এদেশের ৪৪ লাখ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর জন্য গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে তাঁরা বাংলাদেশের হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করবেন এবং এদেশের মানুষের কৃতিত্বেই অনাগত ভবিষ্যতে বাংলাদেশ নতুন উচ্চতায় উঠবে।

আজ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।

          বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০২৪। এসব আয়োজনের মধ্যে ছিল স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, পুষ্পস্তবক অর্পণ, আনন্দ র‌্যালি, মুক্তমঞ্চে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

          সকালে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার সাথে জাতীয় পতাকা এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। প্রধান অতিথি ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন ঘোষণার পর ক্যাম্পাসের ছয় দফা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর দিবসটি উপলক্ষ্যে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

          বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল সদস্য অধ্যাপক ড. গুলশান আরা লতিফ এবং বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির। তাঁদের বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে সঠিক পথে পরিচালিত হওয়া, মাদকাসক্তিসহ অন্যান্য অপরাধে সম্পৃক্ত না হওয়া, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে দক্ষ হয়ে ওঠার জন্য জ্ঞানার্জনে মনোযোগী হওয়া এবং সর্বত্র নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরিতে সচেষ্ট হওয়ার মতো শিক্ষণীয় নানা বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হয়। পাশাপাশি অতিথিদের বক্তব্যে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে থাকা শিক্ষাবিদ ও নীতিনির্ধারকদেরও অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করা হয়।

          বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া অদূর ভবিষ্যতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি মডেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত করে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর অগ্রগতি কামনা করেন।

#

রাফিদ/ফয়সল/শফি/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২১৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর :  ৩১৭০

 

            চা পাতার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চা বোর্ড আন্তরিকভাবে কাজ করছে 

                                     -- চা বোর্ডের চেয়ারম্যান


ঢাকা, ৯ ফাল্গুন (২২ ফেব্রুয়ারি):

 

চা পাতার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চা বোর্ড আন্তরিকভাবে কাজ করছে। উত্তর অঞ্চলের চায়ের ন্যায্য মূল্য পেতে গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদন করার পাশাপাশি চা আইন, ২০১৬ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। কেউ আইন ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

আজ চা বোর্ডের আয়োজনে ও পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ আশরাফুল ইসলাম এসব কথা বলেন। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় পঞ্চগড়ে চা উৎপাদনের বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যৎ করণীয় ও চা আইন, ২০১৬ বিষয়ে আলোচনা হয়।

 

কর্মশালায় উত্তরবঙ্গের সম্ভাবনাময় চা শিল্পকে বাঁচাতে ১০০ কোটি টাকা প্রণোদনার সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া কর্মশালায় প্রণোদনার পাশাপাশি নিলাম মার্কেটে প্রতি কেজি তৈরি চা পাতার মূল্য সর্বনিম্ন ১৭০ টাকা নির্ধারণ, কালোবাজারে অবৈধভাবে চা পাতা বিক্রি বন্ধসহ বেশ কিছু বিষয়ে সুপারিশ করা হয়। কর্মশালায় চা বোর্ডের কর্মকর্তা, চা বাগানের মালিক, কারখানা মালিক, ক্ষুদ্র চা চাষি, সাংবাদিকসহ চা সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

অর্জুন/ফয়সল/শফি/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২১৩০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ৩১৬৯

 

দেশের প্রতিটি পরিবারকে স্বনির্ভর হতে সহায়তা করছে সরকার

                                                          - পরিবেশমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৯ ফাল্গুন (২২ ফেব্রুয়ারি) :

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, দেশের প্রতিটি পরিবারকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সহায়তা করছে সরকার। প্রতিটি নাগরিক যাতে যথাযথ অধিকার ও সম্মানের সাথে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তরুণদের স্বাবলম্বী করতে ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এটি ভূমিকা রাখছে। সরকারের এ কর্মসূচি সফল করতে হবে।

আজ সবুজবাগ বৌদ্ধ মন্দির অডিটোরিয়ামে 'ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি, নিজের ভবিষ্যৎ নিজে গড়ি' স্লোগানে ঢাকা-৯ নির্বাচনি এলাকার অন্তর্গত খিলগাঁও, সবুজবাগ, মুগদা থানায় বসবাসরত বেকার যুবক-যুবতীদের আত্মকর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় আয়োজিত কর্মসূচির উদ্বোধনকালে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় প্রথমে ঢাকা-৯ নির্বাচনি এলাকার তিন থানার ৭৫ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। সফলভাবে সমাপ্তকারীদের ল্যাপটপ প্রদান করা হবে। তবে ল্যাপটপ গ্রহণকারীদের ১০ জন তরুণকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। মন্ত্রী বলেন, পরে পর্যায়ক্রমে ১ হাজার জন তরুণকে ফ্রিল্যান্সিংয়ে তিন মাসের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। প্রশিক্ষণে ডিজিটাল মার্কেটিং এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

তিনি বলেন, ঢাকা-৯ সকল ক্ষেত্রে সকল এগিয়ে থাকবে। পরিবেশ মন্ত্রণালয়কেও এক নম্বর মন্ত্রণালয়ে পরিণত করা হবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ মোস্তফা কামাল, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্ত রঞ্জন দাস, নকরেক আইটির সিইও ফ্রিল্যান্সার সুবীর নকরেক প্রমুখ।

#

 

দীপংকর/ফয়সল/শফি/রফিকুল/শামীম/২০২৪/২০৫০ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর: ৩১৬৮

 

সরকার মানবসম্পদ উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করেছে

                         -- আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্

 

আগৈলঝাড়া (বরিশাল), ৯ ফাল্গুন (২২ ফেব্রুয়ারি):

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, বর্তমান সরকার দেশকে সমৃদ্ধিশালীকরণে সুষ্ঠু শিক্ষা কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেছে। কেননা, শিক্ষা জাতির সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির চাবিকাঠি। 

 

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার সেরালে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।  

 

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নানাবিধ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ ও দেশকে এগিয়ে নিতে মানসম্মত শিক্ষাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পুনর্গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের সংবিধানে ‘রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি’ অংশে শিক্ষার কথা বলা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে ড. কুদরত ই-খুদাকে সভাপতি করে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। ১৯৭৩ সালে ভঙ্গুর অর্থনীতির মধ্যেও বঙ্গবন্ধু দেশের দরিদ্র প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সন্তানদের জন্য শিক্ষার সম-অধিকার নিশ্চিত করেন। 

 

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, শিক্ষক ও কর্মচারীদেরকে সরকারের বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে মানসম্মত শিক্ষাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক সমস্যাবলি সমাধানে সহায়তার আশ্বাস দেন। 

 

#

 

আহসান/ফয়সল/শফি/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২০৪৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর: ৩১৬৭

 

এখন থেকে সরকারের নির্দিষ্ট শর্ত মেনে বেসরকারি মেডিকেল,

ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালাতে হবে

                                                         --স্বাস্থ্যমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৯ ফাল্গুন (২২ ফেব্রুয়ারি):

 

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘এখন থেকে সরকারের নির্দিষ্ট শর্ত মেনে বেসরকারি মেডিকেল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালাতে হবে। এর কারণ, আমরা লক্ষ্য করছি, কিছু অসাধু মানুষ সরকারের কোনোরকম নিয়মের তোয়াক্কা না করে শুধু ব্যবসায়িক স্বার্থের জন্য যত্রতত্র নামমাত্র হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলে মানুষের জীবন নিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। নিয়মের বাইরে গিয়ে এগুলো আর চলতে পারবে না। এখনো ১২০০ টির বেশি প্রাইভেট স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নিবন্ধন নেই। এদের কাছে ভালো ডাক্তার নেই, নার্স নেই, টেকনিশিয়ান নেই। তাহলে এরা হাসপাতাল চালাচ্ছে কী দিয়ে? এরা রোগী পাচ্ছে কীভাবে? এগুলো আমাদেরকে ভাবতে হবে। আমি স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ইতোমধ্যেই এরকম প্রায় ১০০০ টি অনিবন্ধিত স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং এরকম অনিবন্ধিত অন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোও বন্ধ করার কাজ চলমান রয়েছে। আর, আজকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে পরিচালক (প্রশাসন) কর্তৃক স্বাক্ষরিত দশটি বিশেষ নির্দেশনাসহ একটি অফিস আদেশ করে দিয়েছি। এই অফিস আদেশ প্রত্যেকটি প্রাইভেট মেডিকেল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে অবশ্যই মেনে হাসপাতাল চালাতে হবে। এটির অমান্য হলেই নিবন্ধন বাতিলসহ কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে।’

 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন আজ এক বিশেষ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

 

অফিস আদেশ

 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের নির্দেশে জারিকৃত ডাঃ আবু হোসেন মোঃ মঈনুল আহসান পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) কর্তৃক স্বাক্ষরিত বেসরকারি মেডিকেল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পালনীয় শর্তাবলির অফিস আদেশটি সকলের জ্ঞাতার্থে নিচে দেওয়া হলো:

 

এতদ্বারা সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসমূহ পরিচালনার ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত শর্তাবলি আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলোঃ

 

(১) বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিকের লাইসেন্সের কপি উক্ত প্রতিষ্ঠানের মূল প্রবেশ পথের সামনে দৃশ্যমান স্থানে অবশ্যই স্থায়ীভাবে প্রদর্শন করতে হবে;

 

(২) সকল বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় তথ্যাদি সংরক্ষণ ও সরবরাহের জন্য ০১ (এক) জন নির্ধারিত দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা/কর্মচারী থাকতে হবে এবং তার ছবি ও মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে;

 

(৩) যে সকল প্রতিষ্ঠানের নাম ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতাল হিসেবে আছে কিন্তু শুধুমাত্র ডায়াগনস্টিক অথবা হাসপাতালের লাইসেন্স রয়েছে তারা লাইসেন্স প্রাপ্ত ব্যতিরেকে কোনোভাবেই নামে উল্লিখিত সেবা প্রদান করতে পারবে না;

 

(৪) ডায়াগনস্টিক সেন্টার/প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির ক্ষেত্রে যে ক্যাটেগরিতে লাইসেন্স প্রাপ্ত শুধুমাত্র সে ক্যাটেগরিতে নির্ধারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ব্যতীত কোনোভাবেই অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাবে না এবং ক্যাটেগরি অনুযায়ী প্যাথলজি/মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমিস্টি ও রেডিওলজি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করতে হবে।

 

(৫) বেসরকারি ক্লিনিক/হাসপাতালের ক্ষেত্রে লাইসেন্স এর প্রকারভেদ ও শয্যা সংখ্যা অনুযায়ী সকল শর্তাবলি বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে;

 

(৬) হাসপাতাল/ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়োজিত সকল চিকিৎসকের পেশাগত ডিগ্রির সনদসমূহ, বিএমডিসি’র হালনাগাদ নিবন্ধন ও নিয়োগপত্রের কপি অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে;

 

(৭) হাসপাতাল/ক্লিনিক এর ক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের অপারেশন/সার্জারি/প্রসিডিউর এর জন্য অবশ্যই রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসককে সার্জনের সহকারী হিসেবে রাখতে হবে;

 

(৮) কোন অবস্থাতেই লাইসেন্স প্রাপ্ত/নিবন্ধিত হাসপাতাল ও ক্লিনিক ব্যতীত চেম্বারে অথবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ্যানেসথেশিয়া প্রদান করা যাবে না। বিএমডিসি স্বীকৃত বিশেষজ্ঞ অবেদনবিদ (Anesthetist) ছাড়া যে কোনো ধরনের অপারেশন/সার্জারি/ Interventional Procedure করা যাবে না;

 

(৯) সকল বেসরকারি নিবন্ধিত/লাইসেন্স প্রাপ্ত হাসপাতাল/ক্লিনিকে Labor Room Protocol অবশ্যই মেনে চলতে হবে এবং

 

(১০) নিবন্ধিত/লাইসেন্স প্রাপ্ত হাসপাতাল/ক্লিনিকে অপারেশন থিয়েটারে অবশ্যই Operation Theatre Etiquette মেনে চলতে হবে।

 

#

 

মাইদুল/ফয়সল/শফি/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২০৫০ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যববিরণী                                                                                                       নম্বর : ৩১৬৬

শিক্ষা ক্ষেত্রে রাশিয়ার বৃত্তি বৃদ্ধি এবং ডিগ্রির পারস্পরিক

গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিতে চুক্তির বিষয়ে সম্মত বাংলাদেশ ও রাশিয়া

ঢাকা, ৯ ফাল্গুন (২২ ফেব্রুয়ারি):

          উচ্চ শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় রাশিয়ার বৃত্তি বৃদ্ধি এবং দুই দেশের ডিগ্রির পারস্পরিক গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে চুক্তি করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও রাশিয়া।

          আজ শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং রাশিয়ান ফেডারেল এজেন্সি অন হিউম্যানিটারিয়ান

কো-অপারেশন উইথ ফরেন কান্ট্রিস এর ডেপুটি হেড পাবেল শেফসভ (Pavel Shevtsov)-এর মধ্যে এক দ্বিপাক্ষিক সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

          আজ সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর অফিসে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

          প্রতিনিধিদলে আরো অন্তর্ভুক্ত ছিলেন রাশিয়ান এম্বাসির কাউন্সিলর পাবেল দুবইচেনকফ (Pavel Dvoychenkov), রাশিয়ার সিনারজি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট খাশিভ আলী খান ব্যসলানোবিচ, রাশিয়ান ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি উইথ বাংলাদেশ-এর প্রেসিডেন্ট মি. সাত্তার মিয়া প্রমুখ।

#

খায়ের/ফয়সল/শফি/সঞ্জীব/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২০৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৩১৬৫

বাংলাদেশ-তুরস্কের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে

                                             - বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী

ঢাকা, ৯ ফাল্গুন, (২২ ফেব্রুয়ারি) :

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ ও তুরস্কের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্রমেই শক্তিশালী হয়েছে, যা গত কয়েক বছরে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও সংহতির ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত দুই দেশের মধ্যকার বন্ধুত্ব ঐতিহাসিকভাবেই গভীর।

আজ রাজধানীর বারিধারার কূটনৈতিক জোনে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন (Ramis Sen) এর বাসভবনে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কারণেই আমরা দুই দেশ বহুমুখী কর্মকাণ্ড ও বিনিময়ে যুক্ত হয়েছি। পাশাপাশি আমরা একে অপরের বিপদের সময় সমর্থন নিয়ে পাশে দাঁড়াই। এখানে স্মরণযোগ্য যে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তুরস্কের গাজিয়ানতেপ প্রদেশ ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাৎক্ষণিকভাবে একটি সার্চ এবং রেসকিউ টিম এবং চিকিৎসা সহায়তাসহ মানবিক সহায়তা প্রেরণ করেন। এটি আমাদের বন্ধুত্ব এবং পারস্পরিক সমর্থনের একটি প্রতীক মাত্র।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং মানবিক উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। আমরা এখন ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও স্মার্ট দেশে পরিণত করার জন্য কাজ করছি।

ফারুক খান বলেন, বাংলাদেশ এবং তুরস্কের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি ইতোমধ্যেই এক বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। আমরা আশা করি নিকট ভবিষ্যতে এটি খুব দ্রুতই দুই বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে।

মন্ত্রী বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান, আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং বর্তমান সরকারের উদার ও বিনিয়োগবান্ধব নীতির কারণে বাংলাদেশ ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। ইপিজেড ও ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জায়গা প্রদান, ট্যাক্স হলিডে সুবিধা প্রদান, মূলধন ও মুনাফার সম্পূর্ণ প্রত্যাবর্তন এবং সার্বভৌম গ্যারান্টি বাংলাদেশকে বিনিয়োগকারীদের স্বর্গে পরিণত করেছে। তুরস্কের বিনিয়োগকারীরা চাইলে সেই সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। আমি তাদেরকে বাংলাদেশে পর্যটন, হাইটেক পার্কসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছি।

#

তানভীর/ফয়সল/শফি/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৯২০ঘণ্টা

 

তথ্যববিরণী                                                                                         নম্বর : ৩১৬৪

প্রতিভা হারিয়ে যেতে দিতে চাই না

                      --- যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী

ঢাকা, ৯ ফাল্গুন (২২ ফেব্রুয়ারি):

          যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল আহসান বলেছেন,  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়ে গেছেন। দেশকে স্বাধীন করেই তিনি ক্ষান্ত হননি, দেশের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নেও নানা যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য ১৯৭২ সালেই তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘বাংলাদেশ ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা’, যা আজকের ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ’। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এই প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে প্রতিবছর দেশের তৃণমূল পর্যায় থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় (বালক-বালিকা) বাছাই করার জন্য অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের তুলে আনতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের খেলোয়াড়দের প্রতিভা হারিয়ে যেতে দিতে চাই না।

          মন্ত্রী আজ এনএসসি’র শহিদ শেখ কামাল অডিটোরিয়ামে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের উদ্যোগে অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি ২০২৩-২৪ এর সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

          মন্ত্রী বলেন, জাতীয় পর্যায়ে ১১টি ইভেন্টে বাছাইকৃত ১৬৪ জন খেলোয়াড়কে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের তত্ত্বাবধানে ২১ দিনের উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এ প্রশিক্ষণে খেলোয়াড়দের ইভেন্টভিত্তিক মেধাতালিকা তৈরি করে তাদের প্রত্যেককে আজ সার্টিফিকেট প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিটি ইভেন্টে মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী ৫ জন খেলোয়াড়কে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ফেডারেশনে দীর্ঘমেয়াদি উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। আমি বিশ্বাস করি, এখান থেকেই জাতীয় দলের খেলোয়াড় তৈরি হবে, যারা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।

          এ সময় মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ কামালকে আধুনিক ফুটবলের রূপকার হিসেবে আখ্যায়িত করে তার ক্রীড়া ও সংস্কৃতির প্রতি যে বিশেষ অনুরাগ ছিল সে বিষয়ে বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, দেশের ক্রীড়াঙ্গনে শহিদ শেখ কামালের ভূমিকা ছিল অনবদ্য।

          উল্লেখ্য, জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশনের তত্ত্বাবধানে দেশব্যাপী জেলা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার মাধ্যমে হ্যান্ডবল, ভলিবল, বাস্কেটবল, কাবাডি, ভারোত্তোলন, সাইক্লিং, জিমন্যাস্টিক্স, জুডো, দাবা, বক্সিং, ক্রিকেট এ ১১টি ইভেন্টে ইভেন্টভিত্তিক প্রতিভাবান খেলোয়াড় বাছাই করা হয়েছে।

          জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মোস্তফা কামাল মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ। এ সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

#

আরিফ/ফয়সল/শফি/সঞ্জীব/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২০১০ ঘণ্টা

 

তথ্যববিরণী                                                                                         নম্বর : ৩১৬৩

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সৌদি ও মিশরের রাষ্ট্রদূত এবং অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

ঢাকা, ৯ ফাল্গুন (২২ ফেব্রুয়ারি):

          পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদের সাথে আজ মন্ত্রণালয়ে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইওসেফ বিন ঈসা আল-দুহাইলান (Issa Bin Yousef Bin Isa Al-Duhailan), মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন আহমেদ ফাহমী (Omar Mohie Eldin Ahmed Fahmy) এবং অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নার্দিয়া সিম্পসন (Nardia Simpson) সাক্ষাৎ করেন।

           সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা পূর্বক এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এক সময় সৌদি আরবের সাথে শুধুমাত্র জনশক্তি রপ্তানি আর হজের সম্পর্ক ছিল। এখন এই সম্পর্ককে আমরা বিনিয়োগ সম্পর্কে রূপ দিতে চাই। সৌদি আরবের সরকার এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য ইকোনমিক জোনে সৌদি আরবকে ৩০০ একর জমির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তারা আরো ৩০০ একর জমি চেয়েছে। বৈঠকে তাদের মধ্যপ্রাচ্যব্যাপী পরিবেশ পরিকল্পনা ‘সৌদি গ্রিন ইনিশিয়েটিভ’-এ বাংলাদেশি কৃষিবিদসহ অন্যদের ভূমিকা রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, জানান হাছান।

           সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদ বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে।

          চলতি বছর মিশরের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে, শিগগিরই এটি উদ্‌যাপিত হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মিশর তাদের দেশে পাট চাষ করতে চায়, এ বিষয়ে তারা বাংলাদেশের সহায়তা চেয়েছে। আমরা বলেছি, এ বিষয়ে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।

          অস্ট্রেলিয়ার সাথে আলোচনার বিষয়ে মন্ত্রী জানান, আইসিটি, চামড়া খাতে বিনিয়োগের বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার সাথে আলাপ হয়েছে। তারা এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।

          মন্ত্রী বলেন, আমাদের বড় উন্নয়ন অংশীদার অস্ট্রেলিয়াকে ইকোনমিক জোনগুলোতে বিনিয়োগের জন্য  আহ্বান জানিয়েছি। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির বিষয়েও আলাপ হয়েছে।

#

আকরাম/ফয়সল/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৯৫৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৩১৬২

রাষ্ট্রপতি রচিত ‘এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ গ্রন্থের ইংরেজি সংস্করণ

 ‘Bangladesh will Go a Long Way’ প্রকাশিত

 

বঙ্গভবন, ৯ ফাল্গুন (২২ ফেব্রুয়ারি) :

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন রচিত ‘এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ গ্রন্থের ইংরেজি সংস্করণ ‘Bangladesh will Go a Long Way’ প্রকাশিত হয়েছে।

আগামী প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ও প্রকাশক ওসমান গনি এবং বইটির সম্পাদনা-সমন্বয়ক ড. এম আবদুল আলীম আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে বইটি হস্তান্তর করেন। বইটি অনুবাদ করেন দুলাল আল মনসুর।

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন তাঁর রচিত গ্রন্থের ইংরেজি সংস্করণ ‘Bangladesh will Go a Long Way’ প্রকাশ করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন, বইটির মাধ্যমে পাঠকসমাজ বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ, আওয়ামী লীগের ইতিহাস, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব, পদ্মা সেতুর কাল্পনিক দুর্নীতি, সমসাময়িক রাজনীতি, আর্থসামাজিক বাস্তবতা ও দিন বদলের পালাসহ বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পর্কে জানতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, পাঠকপ্রিয়তা পেলে তাঁর এ প্রচেষ্টা সার্থক হবে এবং ভবিষ্যতে লেখালেখির জন্য আরো আগ্রহ ও অনুপ্রেরণা পাবেন।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্ত) মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং অনুবাদক দুলাল আল মনসুর উপস্থিত ছিলেন।

#

রাহাত/ফয়সল/শফি/সঞ্জীব/রফিকুল/শামীম/২০২৪/১৮৩৩ঘণ্টা

তথ্যববিরণী                                                                                                 নম্বর : ৩১৬১

বিএনপি রোজা-রমজান-ঈদ কোনোটাই মানে না

                                                 --- পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা, ৯ ফাল্গুন (২২ ফেব্রুয়ারি):

          পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, বিএনপি রোজা-রমজান-ঈদ কোনোটাই মানে না। তারা এখন রমজানের মধ্যে কর্মসূচি দেওয়ার কথা ভাবছে, ঈদের দিনও কর্মসূচি দেয় কি না সেটিই দেখার বিষয়।

          আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ‘বিএনপি রমজানে কর্মসূচি দেওয়ার কথা ভাবছে’ এমন প্রশ্নে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

          মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি যে ভুল করেছে সে জন্য তাদের দলটা ‘ধপাস’ করে পড়ে গেছে। এখন তারা কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারবে কি না সেটি বিষয়। আর এই ভুলের জন্য নেতারা কর্মীদের তোপের মুখে পড়েছে, রমজানে কর্মসূচি দিলে তারা জনগণের তোপের মুখে পড়বে।

          এ সময় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত গাজায় যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো দেওয়ায় প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, গাজায় নারী-শিশুদের নির্বিচারে হত্যাই শুধু নয়, সেখানে পানি-বিদ্যুৎসহ সকল ‘বেসিক সাপ্লাই লাইন’ পরিকল্পিতভাবে ব্যাহত করা হচ্ছে, হাসপাতালে অভিযান-হামলা চালানো হচ্ছে, চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে এবং এটি আন্তর্জাতিক আইন-কানুনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কে

2024-02-22-16-28-70213b5316914284fc8180e32042168f.docx