তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭২৯
ঢাকায় সমন্বিত পর্বত উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সংস্থা-ইসিমোড- এর সেমিনার অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :
পার্বত্য চট্টগ্রামের টেকসই উন্নয়নে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা চিহ্নিত করার লক্ষ্যে আজ রাজধানীর একটি হোটেলে “ঝঁংঃধরহধনষব উবাবষড়ঢ়সবহঃ রহ ঈযরঃঃধমড়হম ঐরষষ ঞৎধপঃং : ওহপষঁংরাব এৎড়ঃিয ধহফ ধ চৎড়ংঢ়বৎড়ঁং ঝড়পরবঃু” শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ‘সমন্বিত পর্বত উন্নয়নের আন্তর্জাতিক সংস্থা’ ইসিমোড যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী প্রধান অতিথি হিসেবে সেমিনারের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও যোগ্য নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তির পর অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তির পরিবেশ তৈরি হয়। সূচিত হয় বহু প্রতীক্ষিত উন্নয়নের অগ্রযাত্রা। সরকার ইতোমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০০১ সংশোধন করেছে। বর্তমান সরকার এ চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে অত্যন্ত আন্তরিক ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, বৈশ্বিক উঞ্চায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে অতিবৃষ্টি, খরা, ভূমিধস, ভূমিক্ষয়, হঠাৎ বন্যা বেড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে নদী এবং পাহাড়ের কৃষির উৎপাদনশীলতা ব্যাপক হারে হ্রাস পাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্যমন্ডিত সংস্কৃতি এবং জীবনধারা রক্ষায় দেশি ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে এগিয়ে আসার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
ইসিমোড এর চেয়ারম্যান ও মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো বক্তব্য রাখেন ইসিমোডের ভাইস চেয়ারম্যান ড. মার্গারেট কেটলি কার্লসন এবং ইসিমোড এর মহাপরিচালক উধারফ গড়ষফবহ.
ইসিমোড এর ৮টি সদস্য রাষ্ট্র চীন, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ ছাড়াও অষ্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, নরওয়ে, সুইডেন, কানাডা, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ডসহ ২০টি দেশের ৪২ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করন।
পার্বত্য চট্টগ্রামের টেকসই উন্নয়নে চ্যালেঞ্জসমূহ চিহ্নিতকরণে এ সেমিনারে পল্লি কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন এর সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জামান এর সভাপতিত্বে সেশনে প্যানেলিস্ট হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর এডভান্সড স্টাডিজ এর নির্বাহী পরিচালক ড. আতিক রহমান, ইসিমোড এর মহাপরিচালক উধারফ গড়ষফবহ, ব্যারিস্টার রাজা দেবাশীষ রায়, আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য গৌতম কুমার চাকমা এবং পরামর্শক কীর্তি নিশান চাকমা। সভায় মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসিমোড এর অর্থনীতিবিদ ড. গোলাম রসূল।
#
জুলফিকার/সেলিম/মোশারফ/জয়নুল/২০১৬/২১২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭২৮
মালয়েশিয়ায় ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিটে তোফায়েল আহমেদ
ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিতিব্য বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০১৬-এ প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করতে বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আজ মালয়েশিয়া গেছেন। মালয়েশিয়ান বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসায় উৎসাহিতকরণ, বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এ সামিটের আয়োজন করা হয়েছে। কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন ও বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথোরিটির সহযোগিতায় বাংলাদেশ ইকনমিক জোন অথোরিটি, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন অথোরিটি এবং এফবিসিসিআই’র যৌথ উদ্যোগে এ সামিট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঢাকাস্থ মলয়েশিয়ার হাইকমিশন প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিচ্ছে।
সামিটের উদ্বোধন অনুষ্ঠান ৫ ডিসেম্বর বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রি মিনিস্টার দাতো মুস্তপা বিন মোহাম্মেদ, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, ঢাকায় মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার নূর আশিকিন মোহা. তাইয়েব, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার এন্ড কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি-এর প্রেসিডেন্ট মো. আলমগীর জলিল এবং মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার শহিদুল ইসলাম বক্তব্য রাখবেন। সামিটে বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। মালয়েশিয়ার শিল্প উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাগণ মতবিনিময় করবেন।
সফরকালে তোফায়েল আহমেদ মালয়েশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
মন্ত্রী ৬ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
#
বকসী/সেলিম/মোশারফ/জয়নুল/২০১৬/ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭২৭
ঝচঈচউ প্রকল্পের আওতায় যুব উন্নয়ন সাব-কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :
ইউএনএফপিএ এর অর্থায়নে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ঝঃৎবহমঃযবহরহম চধৎষরধসবহঃ’ং ঈধঢ়ধপরঃু রহ ওহঃবমৎধঃরহম চড়ঢ়ঁষধঃরড়হ ওংংঁবং রহঃড় উবাবষড়ঢ়সবহঃ (ঝচঈচউ) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় গঠিত ‘যুব উন্নয়ন সাব-কমিটি’র ৩য় সভা আজ জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে যুব উন্নয়ন সাব-কমিটি পূর্ববর্তী সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সাথে পরামর্শ সভার বাস্তবায়ন কৌশল নিয়ে আলোচনা ও করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত আলোচনা করা হয়।
কমিটি যথাশীগ্র সম্ভব সকল সংসদ সদস্যকে যুব উন্নয়ন সম্পর্কিত বিষয়ে জনসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে যথাযথ ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেওয়ার সুপারিশ করে।
বৈঠকে ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আলোকে যুব উন্নয়ন সম্পর্কিত খাত-ভিত্তিক পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়ার সুপারিশ করা হয়। কমিটি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সাথে যুবনীতি পর্যালোচনা করার উদ্যোগের প্রচেষ্টা হিসাবে একটি পরামর্শ কর্মশালা আয়োজন করার সুপারিশ করে।
বৈঠকে এসপিসিপিডি বার্ষিক পরিকল্পনা ২০১৬-তে গৃহীত যুব উন্নয়ন সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার সুপারিশ করে।
যুব উন্নয়ন সাব-কমিটির আহ্বায়ক এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য বেগম সানজিদা খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন ফখরুল ইমাম এবং বেগম শিরীন আখতার ।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
হালিম/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/১৮২৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭২৬
কার্য উপদেষ্টা কমিটির এয়োদশ বৈঠক
ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :
দশম জাতীয় সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির ত্রয়োদশ বৈঠক আজ জাতীয় সংসদভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
কমিটির সদস্য ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, হুসেইন মুহম¥দ এরশাদ, আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, রাশেদ খান মেনন, আ স ম ফিরোজ এবং আনিসুল হক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, দশম জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ অধিবেশন আগামী ১২ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখ পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন বিকেল ৪টায় অধিবেশন শুরু হবে। তবে প্রয়োজনে এ সময়সীমা স্পিকার বাড়াতে বা কমাতে পারবেন।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ড. মো. আবদুর রব হাওলাদার ও সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
#
মোতাহের/সেলিম/মোশারফ/জয়নুল/২০১৬/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭২৫
রেলকর্মীর সাহসিকতায় সম্মাননা প্রদান
ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :
গত ২১ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া স্টেশন সংলগ্ন লেভেল ক্রসিং গেটে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে রেললাইনের উপর শুয়ে পড়া পথচারী মামুনকে বাঁচানো কর্তব্যরত অস্থায়ী গেটম্যান বিল্লাল হোসেন মজুমদারকে আজ সংবর্ধিত করলো রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ে ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, নিজের জীবন বাজি রেখে যে অন্যকে বাঁচালো সে শুধু রেলওয়ের নয় বরং দেশের গর্ব। রেলওয়ের লোকজন এভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে থাকে। মানুষের জীবন বাঁচিয়ে তিনি সকলের দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
বিল্লাল হোসেন মজুমদার একজন অস্থায়ী গেটম্যান। তিনি স্থায়ীকরণের দাবি করলে মন্ত্রী বয়সের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে বলেন, বিশেষ বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপতি বরাবর আবেদন করা হবে অথবা তার ছেলে মেয়ের মধ্য থেকে যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
রেলপথ মন্ত্রী এসময় রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে বিল্লাল হোসেন মজুমদারের হাতে নগদ এক লাখ টাকা, পায়জামা, পাঞ্জাবি, টুপি ও লুঙ্গি তুলে দেন।
উল্লেখ্য, বিল্লাল হোসেন মজুমদার যে মুহুর্তে পথচারী মামুনকে রেললাইনের উপর থেকে তুলে নেয় তার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ট্রেনটি অতিক্রম করে চলে যায়। এভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পথচারী মামুনকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন।
এ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে রেলপথ সচিব মো. ফিরোজ সালাহ উদ্দিন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
শরিফুল আলম/অনসুয়া/দীপংকর/সাহেলা/গিয়াস/রফিকুল/আসমা/২০১৬/১৬৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭২৪
পহেলা জানুয়ারি ছাত্রছাত্রীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দেয়া হবে
-শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পহেলা জানুয়ারি ছাত্রছাত্রীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দেয়া হবে। ইতোমধ্যে প্রায় ৮০/৯০ শতাংশ স্কুলে বই পৌঁছে গেছে। অবশিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পুস্তক যথাসময়ে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকার মাতুয়াইলে পাঠ্যপুস্তক ছাপার কাজে নিয়োজিত তিনটি প্রেস পরিদর্শনশেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ২০১০ সাল থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতি বছরই এ কার্যক্রম বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০০৯ সালে বাংলাবাজার থেকে পাঠ্যপুস্তক ছাপার কাজ শুরু হয়। সকল শিশুর স্কুলে যাওয়া এবং বইপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য এ কার্যক্রম চলছে। প্রতিবছর সময়মত এত বিপুলসংখ্যক ছাত্রছাত্রীর হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দেয়া বিশ্বে অতুলনীয় উদাহরণ। তিনি বলেন, এ কাজে যাতে কোনো গলদ না থাকে, সেজন্য আমরা নিয়মিত কাজ তদারক করছি।
তিনি বলেন, গত বছর বই ছাপা হয়েছিল ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ ৪৭ হাজার ৯৭২টি। এবার ছাপা হয়েছে ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ২৮৫টি। গত বছরের তুলনায় এবার ২ কোটি ৮৪ লাখ ৩৪ হাজার ২৭৩টি বই বেশি ছাপা হচ্ছে। তিনি বলেন, ছাপার কাগজের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য এবার ইন্সপেক্টর নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কাগজের রোল পরীক্ষা করার পর ভিতরে আনার অনুমতি দেয়া হয়। অনুমতি ছাড়া কোন কাগজ বাইরে থেকে ছাপাখানায় ঢুকতে দেয়া হয় না। আগের অভিজ্ঞতার আলোকে কাগজের রোলগুলো সামনে রাখা আছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এবার ৫টি ভাষায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যপুস্তক ছাপানো হয়েছে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন এবার ব্রেইল পদ্ধতিতেও বই ছাপা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগে ছোট ছোট প্রেসে বই ছাপা হতো। বর্তমানে বিপুল পরিমাণ বই ছাপার কারণে বড় ধরনের ছাপাখানা গড়ে উঠেছে। ৩ বছর আগেও এত বড় আকারের প্রেস ছিল না। পাঠ্যপুস্তক ছাপাকে কেন্দ্র করে এ শিল্পের বিকাশ হয়েছে। বড় আকারের প্রেস স্থাপন করা হয়েছে। এ শিল্পে প্রচুর লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। বর্তমানে উন্নত মানের অটোমেটিক মেশিনে ছাপা ও বাঁধাইয়ের কাজ সম্পন্ন হচ্ছে।
পরিদর্শনকালে শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমদ ও রুহী রহমান, জাতীয় কারিকুলাম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)-এর চেয়ারম্যান নারায়ন চন্দ্র সাহা এবং সদস্য ড. রতন সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী মতিঝিলে এনসিটিবি কার্যালয়ে ময়মসসিংহের ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক নিহত হওয়ার ঘটনায় জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী এক্য ফ্রন্টের তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।
#
আফরাজুর/অনসুয়া/দীপংকর/সাহেলা/গিয়াস/রফিকুল/শামীম/২০১৬/১৬১৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭২৩
ঢাকার যানজট নিরসনে দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দ্রুতগতির রুট নির্মাণ
ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :
প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মহানগরীর যানজট নিরসনে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে মহাখালী পর্যন্ত দ্রুতগতির বাস সার্ভিস বা বিআরটি রুট নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থায়নে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। আগামী মাসে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে ঢাকায় আসছে বিশ্বব্যাংকের একটি ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং মিশন।
আজ মন্ত্রণালয়ে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাথে বাংলাদেশ সফররত বিশ্বব্যাংকের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সভাশেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, বাস র্যাপিড ট্রানজিট রুট-৩ হবে বিমানবন্দর হতে কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল পর্যন্ত। এ প্রকল্পটি ৩টি পর্যায়ে বাস্তবায়িত হবে। প্রথম পর্যায়ে বিমানবন্দর হতে মহাখালী পর্যন্ত, ২য় ও ৩য় পর্যায়ে যথাক্রমে মহাখালী থেকে গুলিস্তান এবং গুলিস্তান থেকে ঝিলমিল পর্যন্ত। প্রয়োজনীয় অর্থায়নের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংক ১ম পর্যায়ের কাজ দ্রুত শুরু করতে চায় বলে তিনি জানান।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক বিআরটি রুট-৩ নির্মাণে ইতোমধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই এবং বিস্তারিত নকশা প্রণয়নের কাজ শেষ করেছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম হতে কক্সবাজার হয়ে টেকনাফ পর্যন্ত ২২৫ কিলোমিটার সড়ক চারলেনে উন্নীত করতে প্রয়োজনীয় অর্থায়নে বিশ্বব্যাংককে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাংক এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের অপারেশনস ম্যানেজার রাজশ্রী এস. পারালকারের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্যগণ হলেন দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিবহণ ও আইসিটি’র প্রাকটিস ম্যানেজার কারলে গঞ্জালেজ কার্ভাজল সিনিয়র আরবান ট্রান্সপোর্ট স্পেশালিস্ট শিজ সাকাকি ও সিনিয়র ট্রান্সপোর্ট স্পেশালিস্ট আশিষ ভদ্র এবং ঢাকা অফিসের প্রোগ্রাম লিডার লিয়া কারোল সিঘার্ট ।
এসময় ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক মো. কায়কোবাদ হোসেন, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক জলিল ও মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ঢাকা মহানগরীর জন্য প্রণীত দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনার আওতায় ইতোমধ্যে বিমানবন্দর হতে জয়দেবপুর পর্যন্ত বিআরটি রুট-৪ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
#
আবু নাছের/অনসুয়া/দীপংকর/সাহেলা/গিয়াস/রফিকুল/শামীম/২০১৬/১৬০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭২২
সায়মা ওয়াজেদকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব গৃহীত
ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :
বাংলাদেশের অটিজম সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিশিষ্ট মনোবিজ্ঞানী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলের সদস্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্যা কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেনকে ইউনেস্কো গত ১৪ অক্টোবর ‘ইন্টারন্যাশনাল জুরি অভ্ দ্য ইউনেস্কো-আমির জাবের আল-আহমেদ আল-জাবের আল-সাবাহ প্রাইজ ফর ডিজিটাল এমপাওয়ারমেন্ট ফর পারসনস উইথ্ ডিজেবিলিটিজ’-এর সভাপতি পদে দুই বছর মেয়াদে নিযুক্ত করেছে। এ নিযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতর হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সুযোগ্যা কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেনকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে ২৪ নভেম্বর মন্ত্রিসভায় একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রিসভার অভিনন্দন প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সায়মা ওয়াজেদ হোসেনসহ প্রতিবন্ধী বিষয়ে জনহিতকর কর্মে আত্মনিবেদিত পাঁচজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তি-সমন্বয়ে গঠিত এই জুরি উন্নত ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সমাজের মূলধারায় প্রতিবন্ধীদের অন্তর্ভূক্তি এবং জীবনমান উন্নয়নে নিয়োজিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কার প্রদানের লক্ষ্যে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করবে।
অভিনন্দন প্রস্তাবে আরো জানানো হয়, দক্ষিণ এশিয়াসহ সারাবিশ্বে কার্যকরভাবে অটিজম সচেতনতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকায় তাঁর অবদান অপরিসীম। তিনি অটিস্টিক শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সহায়তা প্রদানে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্বব্যাপী অটিজম-সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব অনুধাবন এবং তা নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহনে তাঁর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ উল্লিখিত বিচারক প্যানেলে সভাপতি পদে নিযুক্ত করা হয়েছে বলে মন্ত্রিসভা মনে করে।
অটিজমের মত জনহিতকর কর্মে আত্মনিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁর মা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিচর্যা, দিক্-নির্দেশনা ও অনুপ্রেরণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সায়মা ওয়াজেদ হোসেনের এ নিযুক্তি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের সম্মানজনক অবস্থানকে আরো উন্নত ও সুসংহত করেছে বলে মন্ত্রিসভা অভিমত ব্যক্ত করে। মন্ত্রিসভা মনে করে, এ সম্মান বাংলাদেশ ও বাঙ্গালি জাতির জন্য গৌরবের।
#
দীপংকর/অনসূয়া/সাহেলা/গিয়াস/আসমা/২০১৬/১৫৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭২১
সরকারের গ্রামমুখী অর্থনীতির কারণে গ্রামের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে
-ত্রাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপানা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম বলেছেন, সরকারের গ্রামমুখী অর্থনীতির কারণে গ্রামের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে। গ্রামে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া গ্রামের প্রচুর লোক বিভিন্ন দেশে শ্রমশক্তি হিসেবে কাজ করায় গ্রাম পর্যায়ে অর্থের ব্যাপক লেনদেন হচ্ছে। এর ফলে সরকারি বেসরকারি ব্যাংকগুলো গ্রামের দিকে ঝুঁকছে।
মন্ত্রী আজ চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার সুজাতপুর বাজারে ফার্মার্স ব্যাংকের শাখা উদ্বোধনকালে একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, কৃষকদের ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারের জন্য সরকার ১০ টাকায় ব্যাংকের একাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করেছে। সরকারি অন্যান্য আরো কিছু সুবিধা ব্যাংকের মাধ্যমে সরাসরি প্রদানের উদ্যোগ রয়েছে সরকারের। সেই হিসেবে গ্রামাঞ্চলে ব্যাংকের শাখা খোলা প্রান্তিক লোকদের ব্যবসা বাণিজ্য প্রসার ও সরকারের সুবিধা গ্রহণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। গ্রামাঞ্চলের আইনশৃঙ্খলার অবনতি প্রতিরোধে প্রত্যেক মহল্লায় প্রতিরোধ কমিটি গঠনের ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. মো. আতাহার উদ্দিন ও মনিরুল ইসলাম, মতলব উত্তর উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ মঞ্জু, ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম জজ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
[
ওমর ফারুক/অনসুয়া/দীপংকর/সাহেলা/গিয়াস/রেজ্জাকুল/রফিকুল/শামীম/২০১৬/১৪৪৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭১৯
হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর ৫৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর ৫৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
উপমহাদেশে গণতন্ত্রের ইতিহাসে হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী এক অনন্য নাম। তিনি ছিলেন প্রতিভাবান রাজনৈতিক সংগঠক, আইনজ্ঞ, বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভা ও গণপরিষদের সদস্য এবং অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীসহ তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বপালনকালে শ্রমজীবীসহ এতদঞ্চলের অবহেলিত মুসলিম সম্প্রদায়ের স্বার্থরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কলকাতায় মেহনতি ও শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থে তিনি স্বল্পসময়ের মধ্যে নাবিক, রেলকর্মচারী, পাটকল ও সুতাকল কর্মচারী, রিক্সাচালক, গাড়িচালকসহ নানা শ্রেণিপেশার মেহনতি মানুষের স্বার্থরক্ষায় বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে তোলেন।
হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী ছিলেন বিচক্ষণ ও প্রজ্ঞাবান রাজনৈতিক সংগঠক। তিনি ব্রিটিশ ভারতে মুসলমানদের সংগঠিত করতে ১৯২৬ সালে ইন্ডিপেন্ডেন্ট মুসলিম পার্টি, ১৯৩৭ সালে ইউনাইটেড মুসলিম পার্টি গঠন করেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগ (পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ) প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের কাছে মুসলিম লীগের শোচনীয় পরাজয়ের পেছনেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
সোহ্রাওয়ার্দী আমৃত্যু সাংবিধানিক শাসন প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, বিকাশ ও এতদঞ্চলের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে যে অবদান রেখে গেছেন জাতি তা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। তাঁর জীবন ও কর্ম আগামী প্রজন্মকে গণতান্ত্রিক চিন্তা-চেতনা ও জনগণের সার্বিক কল্যাণে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আমার বিশ্বাস।
আমি হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/অনসূয়া/দীপংকর/সাহেলা/গিয়াস/আসমা/২০১৬/১২৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৭২০
হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর ৫৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর ৫৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী উপমহাদেশের মুসলমানদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক স¦ার্থরক্ষার সংগ্রামে আজীবন কাজ করেছেন। তাঁর দক্ষ পরিচালনায় গণমানুষের সংগঠন আওয়ামী লীগ আরও বিকশিত হয়। তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গঠিত হয় জাতি রাষ্ট্র বাংলাদেশ।
তিনি জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি বিকাশে সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন। গণতন্ত্রের প্রতি ত্যাগ ও সংগ্রামের জন্য তাঁকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসন ও গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় তাঁর মতো মহান নেতার জীবন ও আদর্শ আমাদের প্রতিনিয়ত প্রেরণা জোগায়।
আমি হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আশরাফুল/অনসূয়া/দীপংকর/সাহেলা/গিয়াস/রফিকুল/আসমা/২০১৬/১২৩০ ঘণ্টা