তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৮৮০
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়া ৮০ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ পুনঃসংযোগ সম্পন্ন
ঢাকা, ১৪ জ্যৈষ্ঠ (২৮ মে):
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) এর ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিচ্ছিন্ন হওয়া ৮০ শতাংশ গ্রাহকের মধ্যে বিদ্যুৎ পুনঃসংযোগ সম্পন্ন হয়েছে।
রিমালের তাণ্ডবে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৩ কোটি ৩ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ২ কোটি ৪২ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ পুনঃসংযোগ প্রদান করা হয়। রাত ১০টার মধ্যে ৮৫ শতাংশ পুনঃসংযোগের কাজ শেষ হবে। অবশিষ্টাংশ পর্যায়ক্রমে পুনঃসংযোগ করা হবে।
বুধবার সকালের মধ্যে ৯০ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ পুনঃসংযোগ সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করে আরইবি।
#
আসলাম/পাশা/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৮৭৯
লাল-সবুজের পতাকার সম্মান বৃদ্ধি করতে হবে
-- ধর্মমন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ জ্যৈষ্ঠ (২৮ মে):
ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতাটি যেন সত্যিকার অর্থেই আন্তর্জাতিক মানের হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। লাল-সবুজের পতাকার সম্মান বৃদ্ধি করতে হবে।
আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ সম্মেলন কক্ষে ‘প্রথম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা বাংলাদেশ-২০২৪’ উদ্বোধনকালে ধর্মমন্ত্রী একথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের সকল বড় বড় দেশ থেকে প্রতিযোগিরা যেন এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারে সেদিকে বিশেষভাবে সচেষ্ট থাকতে হবে। প্রতিযোগিতার বিচারকগণকেও আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে। প্রতিযোগিতার মূল্যায়ন কাজটি যেন শতভাগ ন্যায়ানুগ হয়, আমানতদারীর সাথে হয় এদিকে সর্বোচ্চ দৃষ্টি রাখতে হবে। মূল্যায়ন প্রক্রিয়া যেন কোনোভাবেই পক্ষপাতদুষ্ট না হয়, এটি নিয়ে কেউ যেন নেতিবাচক মন্তব্য করতে না পারে এটা খেয়াল রাখতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের দেশের কুরআনের হাফেজগণ প্রতিবছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ১ম, ২য়, কিংবা ৩য় স্থানসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হচ্ছে। এর ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে। সরকারিভাবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন দেশব্যাপী কুরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা আয়োজন করে থাকে। এ আয়োজন আরো তৃণমূল পর্যায় থেকে ব্যাপক পরিসরে ও অধিক ফলপ্রসূভাবে আয়োজন করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।
ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর খেদমতে সরকারের নানা কর্মসূচি তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীনোত্তর বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার ও প্রসারের দ্বার উন্মোচন করেছিলেন। পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর খেদমতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে নির্মাণ কাজ শেষে ৩০০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ বেনজির আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মাহবুব হোসেন, জামিয়া ইকরা বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা আরিফ উদ্দিন মারুফ, আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংস্থা সভাপতি আল্লামা ক্বারী আবু রায়হান ও মহাসচিব শায়েখ সাদ সাইফুল্লাহ মাদানী প্রমুখ।
পরে এই প্রতিযোগিতার সাফল্য কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
#
আবুবকর/পাশা/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৮৭৮
কৃষিমন্ত্রীর সাথে বেলারুশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদলের বৈঠক
ঢাকা, ১৪ জ্যৈষ্ঠ (২৮ মে):
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুস শহীদের সাথে আজ মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে বেলারুশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রথম ডেপুটি চেয়ারম্যান Sergei Kalechits-এর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে।
প্রতিনিধিদলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেলারুশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আন্তর্জাতিক শাখার পরিচালক Alexei Lesnoy, ভারতস্থ বেলারুশ অ্যাম্বাসির সিনিয়র কনস্যুলার Vitaly Mirutko, বাংলাদেশস্থ বেলারুশ অ্যাম্বাসির কনস্যুলার Aniruddha Kumar Roy, Trade Coordinator Abdus Salam Xitu এবং BTA ব্যাংকের চেয়ারম্যান Sultan Marenov। সভায় বাংলাদেশের পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক মোঃ মনসুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব জিএম ইফতেখার প্রমুখ।
আলোচনায় বেলারুশের আকু (ACU)-তে যোগদান, নিষেধাজ্ঞার কারণে অপরিশোধিত সারের মূল্য পরিশোধ এবং বেলারুশ ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে মতবিনিময় হয়। দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার করার আশা ব্যক্ত করা হয়।
#
কামরুল/পাশা/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৮৭৭
শিশুদের ভবিষ্যৎ সুন্দর করে গড়তে সকলকে এক সাথে
কাজ করার আহ্বান মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর
পেনাং (মালয়েশিয়া), ১৪ জ্যৈষ্ঠ (২৮ মে):
শিশুদের ভবিষ্যৎ সুন্দর করে গড়তে সকলকে এক সাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)।
আজ মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল কনফারেন্স অন আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট ২০২৪, আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তব্যকালে প্রতিমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক পরিবর্তনের কারণে নতুন নতুন চাহিদা দেখা দিচ্ছে। জাতিসংঘের শিশু অধিকার কমিটির সুপারিশ বিবেচনা নিয়ে বাংলাদেশ ২০১১ সালে জাতীয় শিশু নীতি আপডেট করে যা প্রথম ১৯৯৪ সালে গৃহীত হয়েছিল। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শিশুর সুরক্ষা এবং শিশুর অধিকার নিশ্চিত করতে শিশু আইন-১৯৭৪ প্রণয়ন করা হয়। যা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, গবেষণায় দেখা যায়, প্রাক শৈশব বিকাশে বিনিয়োগ অসাধারণ অর্থনৈতিক সুবিধা এনে দেয়। বিশ্বব্যাপী এটি স্বীকৃত যে প্রাক শৈশব বিকাশ একটি স্মার্ট বিনিয়োগ। বলা হয় যত আগে বিনিয়োগ ভবিষ্যতে তত বেশি রিটার্ন।
সিমিন হোসেন বলেন, বর্তমানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ইউনিসেফ এবং বাংলাদেশ ইসিসিডি নেটওয়ার্কের প্রযুক্তিগত সহায়তায়, ECCD কর্ম পরিকল্পনার ওপর একটি সমীক্ষা পরিচালনা করছে এবং ব্যাপক এর বাস্তবায়নের অবস্থা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য, পুষ্টি, সুরক্ষা এবং শিক্ষার মতো শিশুদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করা তাদের সামগ্রিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে তারা তাদের সম্পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছাতে পারে। অপর্যাপ্ত শিশু যত্ন, পুষ্টি, নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার কারণে বাংলাদেশের অনেক শিশু তাদের পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছাতে পারে না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মা এবং দুর্বল ও অসহায় পরিবারের শিশুদের সহায়তার জন্য একটি মা ও শিশু সুবিধা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। প্রতিটি সুবিধাভোগী গর্ভাবস্থায় এবং জন্মের পরে পুষ্টি এবং শিশু যত্নের জন্য তাদের অতিরিক্ত খাদ্যের প্রয়োজন মেটাতে ৩৬ মাসের জন্য একটি মাসিক নগদ সাহায্য পান। ২০২২-২৩ সালে এই প্রোগ্রামটি ১ দশমিক ২৫ মিলিয়ন নারী ও শিশুকে কভার করেছে। এটি এখন গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের পাশাপাশি শিশুদের সহায়তার জন্য সমগ্র বাংলাদেশে এর পরিধি বৃদ্ধি করছে।
সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক এনজিও, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ ৫০০ জনের অধিক অতিথি অংশগ্রহণ করেন।
#
নূর/পাশা/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৮৭৬
গাজায় গণহত্যা নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র তৈরির মাধ্যমে ডয়েচে ভেলের
মানবাধিকারের অঙ্গীকার প্রমাণের আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর
ঢাকা, ১৪ জ্যৈষ্ঠ (২৮ মে):
গাজায় গণহত্যা নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র তৈরি ও প্রচারের মাধ্যমে ডয়েচে ভেলে (উড) (জার্মানির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আন্তর্জাতিক সম্প্রচার সংস্থা)-কে মানবাধিকারের প্রতি তার অঙ্গীকার এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রমাণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য কমিশন বাংলাদেশ-এর সম্মেলন কক্ষে ‘অনগ্রসর, প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত নাগরিকের তথ্য অধিকার’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
তথ্য কমিশন বাংলাদেশ, ইউএস এইড, দি কার্টার সেন্টার যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে।
এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিকট অতীতে ডয়েচে ভেলে মানবাধিকার নিয়ে একটি রিপোর্ট করেছে, যেখানে শ্রীলংকা, যে দেশ কিছু দিন আগেও গৃহযুদ্ধ মোকাবিলা করেছে তার সাথে বাংলাদেশকে তুলনা করা হয়েছে। আমি এটির সমালোচনা করবো না। মানবাধিকার নিয়ে যে কোনো সংস্থার অঙ্গীকারের আমি প্রশংসা করি। শুধু আমি আহ্বান জানাবো ডয়েচে ভেলের যদি মানবাধিকারের প্রতি এত অঙ্গীকার থাকে সেটার প্রমাণ তারা দিক। গাজাতে মানবাধিকারের যে লঙ্ঘন হচ্ছে, গণহত্যা হচ্ছে সেটার ওপর আরেকটি প্রামাণ্যচিত্র তারা বানিয়ে দিক। তার মাধ্যমে মানবাধিকারের প্রতি তাদের অঙ্গীকার প্রমাণ করুক এবং একইসাথে তাদের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কতটুকু আছে সেটাও তারা প্রমাণ করুক। আর যদি সেটা তারা করতে না পারে তাহলে আমরা ধরে নেবো ডয়েচে ভেলের প্রামাণ্যচিত্র একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রামাণ্যচিত্র হয়েছে। একটা বিশেষ মহল বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এটি করেছে। যারা প্রকৃত অর্থে আমাদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনের সমস্যা এবং তাদের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলে না। বাংলাদেশকে পৃথিবীর সামনে খাটো করে দেখানোর যে অপচেষ্টা করে, তার অংশ হিসেবে এই প্রামাণ্যচিত্র হয়েছে।
তিনি বলেন, এ দেশের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার অবিশ্বাস্য। বঙ্গবন্ধু কন্যার শক্ত নেতৃত্বে আমরা যখন এগিয়ে যাচ্ছি, আমরা যখন বিশ্বমঞ্চে আমাদের অবস্থান বদলানোর চেষ্টা করছি, তখন এক ধরণের আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ষড়যন্ত্র আমরা লক্ষ্য করি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের হতদরিদ্র মানুষদের জন্য, বিশেষ করে ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প করে তাদের আশ্রয়ণের ব্যবস্থা করেছেন। তাদের মানবাধিকারের ব্যবস্থা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের যে বাংলাদেশ, সেখানে ধর্ম, বর্ণ এবং লিঙ্গ নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকার থাকবে। সেটি সংবিধানে নিশ্চিত করা আছে, আইনগতভাবে করা আছে, এখন রাজনৈতিকভাবেও সেটি নিশ্চিত করা আছে। সামাজিকভাবেও তার বাস্তবায়ন আমরা সব জায়গায় দেখতে চাই। এজন্যই তথ্য অধিকার আইন করা হয়েছে।
বেদে সম্প্রদায়ের মানুষদেরও প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়ন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করেছেন, তাদের ভোটাধিকারের ব্যবস্থা করেছেন- যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
চলমান পাতা - ২
--- ২---
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে অবহেলিত জনগোষ্ঠীর, ভূমিহীনদের মানবাধিকার সংরক্ষণ, তাদের ভোটাধিকার সংরক্ষণ এবং ভোট প্রদানের মাধ্যমে তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংরক্ষণ করায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার কাজ করছে। তবে এই বিষয়গুলো রাজনৈতিক ফোরামে উঠে আসে না। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মানবাধিকারের সুরক্ষা এক সময় অবহেলিত হয়েছিল, সব সময় তাদের বঞ্চনা ছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা সেগুলোর সমাধান করেছেন।
তিনি যোগ করেন, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তথ্য অধিকার আইন পাশ হয়। এ আইন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসন ও গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকার প্রমাণ করে। এ আইনের দুইটি পক্ষ আছে। একটি পক্ষ হচ্ছে যারা তথ্য দেবেন, আরেকটি পক্ষ হচ্ছে যারা তথ্য নেবেন। তথ্য কমিশন দুপক্ষকেই তথ্য অধিকার আইনের বিষয়টি বোঝানোর জন্য নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। যারা সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করছেন তাদের একটা জিনিস বুঝতে হবে যে তথ্যের মালিক জনগণ। জনগণের তথ্য চাওয়ার অধিকার এ আইন নিশ্চিত করেছে। জনগণের পক্ষ থেকে যদি গণমাধ্যম তথ্য চায়, সেই তথ্য দিতে হবে। যারা তথ্য দেবেন তাদের এ বোধের জায়গাটা তৈরি হওয়া দরকার। একইসাথে যারা তথ্য নেবেন তারা অনেক সময় এ তথ্যের যথাযথ ব্যবহার করে না। তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে অধিকার চর্চা করতে গিয়ে অনেক সময় অনধিকার চর্চা হয়ে যায়।
তথ্যকে শক্তি উল্লেখ করে এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, তথ্যের দু’টি দিক আছে। তথ্য যদি সঠিক হয় তাহলে সেটি শক্তিশালী। এটি যদি সঠিক না হয়, তাহলে ধ্বংসাত্মক হতে পারে। সামাজিকভাবে যে অপতথ্যগুলো আমাদের দেশের সাধারণ মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে, সেগুলো নিয়ে আমরা অনেকে চিন্তা করি না, কথা বলি না। শুধু রাজনৈতিক অপতথ্য না, সামগ্রিকভাবেই অপতথ্য ধ্বংস ডেকে আনে। আর সঠিক তথ্য মানুষকে ক্ষমতায়িত করে। এ কারণে সঠিক তথ্য পাওয়া নিশ্চিত করার সাথে সাথে অপতথ্য রোধে আমাদের কাজ করা দরকার।
তিনি বলেন, তথ্য অধিকার হচ্ছে মানবাধিকার। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে এ সমাজে এটি আমরা নিশ্চিত করতে চাই। কারণ এই সমাজ যত জবাবদিহিমূলক হবে, স্বচ্ছ হবে, আমরা তত এগিয়ে যাবো। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি ছাড়া স্মার্ট সমাজ অসম্ভব, টেকসই উন্নয়ন অসম্ভব। পরিবেশ-প্রতিবেশ মাথায় রেখে সকল মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে একসাথে এগিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে প্রকৃত অর্থে টেকসই উন্নয়ন ও স্মার্ট সমাজ তৈরি হবে। এটি মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন, এটি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। দেশের সকল মানুষকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মধ্যে এনে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। না হলে আমাদের উন্নয়ন টেকসই হবে না।
প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, ইউএস এইড এর অফিস পরিচালক অ্যালেনা তানসে, তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক ও মাসুদা ভাট্টি। কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন তথ্য কমিশনের সচিব জুবাইদা নাসরীন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন দি কার্টার সেন্টারের চিফ অভ্ পার্টি সুমনা সুলতানা মাহমুদা। কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জোবাইদা নাসরিন।
পরে প্রতিমন্ত্রী তথ্য কমিশনের তথ্য অধিকার নিউজ লেটার-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
#
ইফতেখার/পাশা/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৮০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৮৭৫
ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ এর প্রভাবে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার ক্ষয়-ক্ষতির প্রেক্ষিতে গৃহীত কার্যক্রম
ঢাকা, ১৪ জ্যৈষ্ঠ (২৮ মে):
ঘূর্ণিঝড় রিমাল-এর প্রভাবে প্রায় ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভৌগলিক এলাকায় ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) কর্তৃক সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ ও এর ক্ষয়-ক্ষতি প্রতিকারের দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। সরেজমিন পর্যবেক্ষণে ক্ষয়-ক্ষতি ও গৃহীত কার্যক্রম তথ্য:- ঘূর্ণিঝড় রিমাল-এর প্রভাবে আরইবি'র বিতরণ ব্যবস্থার পুনঃস্থাপন সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য:-বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ৩ লাখ ৯ হাজার ৭০২, রিকভারির পরিমাণ- ১ কোটি ৩১ লাখ ৩৬ হাজার ৭০২, রিকভারি অবশিষ্ট- ১ কোটি ৭১ লাখ ৭৩ হাজার; ৩৩ কেভি ফিডার- ক্ষতি-৭৬৬, রিকভারি-৪৫৫, রিকভারি অবশিষ্ট- ৩১১; ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র ক্ষতি ১১০৫, রিকভারি- ৬৫৪, রিকভারি অবশিষ্ট- ৪৫১; ১১ কেভি ফিডার- ক্ষতি ৬২৩৫, রিকভারি- ২৩৮৪, রিকভারি অবশিষ্ট- ৩৮৫১; বৈদ্যুতিক খুটি- ক্ষতি ৩৮৩৩, রিকভারি- ২৫৬৭, রিকভারি অবশিষ্ট- ১২৬৬; বিতরণ ট্রান্সফরমার ক্ষতি- ২৮১৮, রিকভারি- ১৬৯৬, রিকভারি অবশিষ্ট- ১১২২; তার ছেড়া স্প্যান (কি.মি.)- ৩০৫৬, রিকভারি- ১৩৬৩, রিকভারি অবশিষ্ট- ১৬৯৩; ইন্সুলেটর ক্ষতি ২৪২৫৮, রিকভারি- ৭৭২৫, রিকভারি অবশিষ্ট-১৬৫৩৩; মিটার ক্ষতি ৫৯৩৯৯, রিকভারি- ৩০৯৩৩, রিকভারি অবশিষ্ট- ২৮৪৬৬। প্রাথমিক তথ্যানুসারে ১০৩ দশমিক ৩৩ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
উল্লেখ্য, সমিতি, আরইবি’র ঠিকাদার ও জনবলসহ ৩০ হাজারের অধিক জনবল মাঠে কাজ করছে। আজ সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ ৫০% গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। রাতের মধ্যে ৬০% এবং ২৯/০৫/২০২৪ তারিখের মধ্যে সকল ৩৩ কেভি ও ১১ কেভি লাইন চালুর মাধ্যমে ৮০% গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ করার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। বাকি গ্রাহকদের সার্ভিস ড্রপ ও মিটার বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করতে হবে বিধায় পরবর্তীতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)-এর মোট গ্রাহক সংখ্যা ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ১৫৪, বর্তমান বিদ্যুতায়িত গ্রাহক সংখ্যা ১৪ লাখ ৩ হাজার ৫২৬, রিকভারি অবশিষ্ট ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬২। প্রাথমিক তথ্যানুসারে ওজোপাডিকো’র ক্ষয়-ক্ষতি ৫ কোটি ৭ লাখ ৮১ হাজার ৭০২ দশমিক ১৫ টাকা।
বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ দ্রুত স্বাভাবিক করার জন্য কাজ চলমান রয়েছে।
#
আসলাম/পাশা/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৯৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৮৭৪
আগামীকাল ঢাকায় আসছেন আইএমও’র মহাসচিব
ঢাকা, ১৪ জ্যৈষ্ঠ (২৮ মে):
ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও)-এর মহাসচিব আর্সেনিও এন্টোনিও ডোমিনগেজ ভেলাসকো (Arsenio Antonio Dominguez VelascoArsenio Antonio Dominguez Velasco) ঢাকায় আসছেন কাল। তিনি আগামীকাল রাতে ঢাকায় এসে পৌঁছবেন।
আইএমও’র মহাসচিব ৩০ মে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে সম্মান প্রদর্শন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। একই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সাথে সাক্ষাৎ করবেন। দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করবেন। বিকেলে তিনি নৌপরিবহন অধিদপ্তর পরিদর্শন করবেন। সেখানে এস্টাবলিশমেন্ট অভ্ গ্লোবাল মেরিটাইম ডিসট্রেস এন্ড সেইফটি সিস্টেম এন্ড ইন্টিগ্রেটেড মেরিটাইম নেভিগেশন সিস্টেম (ইজিআইএমএনএস) প্রকল্পের বিষয়ে তাঁকে অবহিত করা হবে।
পরবর্তীতে তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন। সেখানে ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ভিটিএমআইএস), মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, সিঙ্গেল বয়া মুরিং ও অন্যান্য বন্দরের ওপর তাঁকে ব্রিফ করা হবে। মহাসচিব সেদিন বিকেলে চট্টগ্রামে শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ড পরিদর্শন করবেন।
এছাড়া আইএমও’র ১০তম মহাসচিব চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমি পরিদর্শন করবেন। সেখানে বাংলাদেশে মেরিটাইম শিক্ষা ব্যবস্থার উপর তাঁকে ব্রিফিং করা হবে। চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমি, মেরিন ফিশারিজ একাডেমি এবং ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের ক্যাডেটরা চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে তাঁকে ‘গার্ড অভ্ অনার’ প্রদান করবেন। ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি ও ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ল’ ইনস্টিটিউট-এর গ্রাজুয়েট ছাত্র কর্তৃক তাঁকে সংবর্ধনা দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গতবছরের ১ ডিসেম্বর আইএমও নির্বাহী পরিষদে নির্বাচনে বাংলাদেশ ২০২৪-২৫ সালের জন্য ক্যাটেগরি-‘সি’ তে জয়লাভ করেছে। আইএমও জাতিসংঘের শিপিং সংক্রান্ত সর্বোচ্চ বিশেষায়িত সংস্থা। এটি শিপিং সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং জাহাজ দ্বারা সামুদ্রিক ও বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ প্রতিরোধের দায়িত্ব নিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করে থাকে। আইএমও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে সহায়তা করে। বৈশ্বিক সামুদ্রিক শিল্প ও সরকারের সকল নিয়ন্ত্রক আর্থিক, আইনগত ও কারিগরি সহযোগিতার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ১৭৬টি সদস্য রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত একটি মর্যাদাপূর্ণ সংস্থা।
#
জাহাঙ্গীর/পাশা/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৮৭৩
আগামী বাজেটে মূল্যস্ফীতি রোধে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে
--- অর্থ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ জ্যৈষ্ঠ (২৮ মে):
আগামী বাজেটে মূল্যস্ফীতি রোধে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। তিনি বলেন, বিশ্ব জুড়ে মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রাস্ফীতির সমস্যা রয়েছে, বাংলাদেশ তার বাইরে নয়। কৃষিজাত পণ্য ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সার, বীজ ও সেচের বিদ্যুতে সর্বোচ্চ ভরতুকি দেয়া হয়। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য শেখ হাসিনার সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও দুর্যোগ পূর্ব প্রস্তুতিতে বিশ্বে রোল মডেল। দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের কৃষক, উদ্যোক্তা ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং তাদের সহায়তায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও কৃষি মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আগামী বাজেটে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা থাকছে বলে তিনি জানান।
আজ ঢাকায় পিকেএসএফ আয়োজিত প্রমোটিং এগ্রিকালচারাল কমার্শিয়ালাইজেশন অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজেস (পেইস) প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পিকেএসএফ কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে টেকসই পন্থায় দারিদ্র্যদূরীকরণে কাজ করছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে অর্থনেতিক মুক্তির কথা আমাদের বলেছিলেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে পিকেএসএফ কাজ করছে। পেইস প্রকল্পটির সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি, দারিদ্র্যদূরীকরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। এ প্রকল্পের উদ্ভাবনীমূলক কার্যক্রম, অর্জন, সাফল্য ও অভিজ্ঞতা অভিনব উন্নয়ন কৌশল ও উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রণয়নে সহায়ক হবে।
ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ; যেখানে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পাবে এবং চরম দারিদ্র্যের অবসান হবে। পিকেএসএফ দারিদ্র্যবিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকারের যে অঙ্গীকার রয়েছে, তা অর্জনে বরাবরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু গ্রামভিত্তিক বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রশিক্ষণ ও গবেষণার লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় ২ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদানের মাধ্যমে বগুড়ায় পল্লী উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন।
পিএসএফ’র চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইফাদ বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. আর্নড হ্যামেলিয়ার্স। স্বাগত বক্তব্য দেন পিকেএসএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার এবং অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফজলুল কাদের প্রকল্প বিষয়ে উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে পিকেএসএফ’র কর্মকর্তা, উন্নয়ন সহযোগী, বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও উদ্যোক্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
আলমগীর/পাশা/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৯৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৮৭২
নাগাসাকিতে বাংলাদেশের অর্থায়নে নির্মিত ‘শান্তি স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন
নাগাসাকি, ২৮ মে:
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আজ জাপানের নাগাসাকি শহরের পিস পার্কে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত ‘শান্তি স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন করেন। স্থপতি অনিন্দ্য পন্ডিত কর্তৃক নকশাকৃত ৩ মিটার উচু এ স্মৃতিস্তম্ভটি কালো গ্রানাইট ও সাদা মার্বেল পাথর দিয়ে নির্মিত। বাংলাদেশ দূতাবাস টোকিওর সহযোগিতায় স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপূর্ত অধিদপ্তর।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নবীরুল ইসলাম এবং নাগাসাকির মেয়র শিরো সুজুকি উপস্থিত ছিলেন।
এসময় গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে সার্বিক সহযোগিতার জন্য নাগাসাকির মেয়রসহ এ প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত বাংলাদেশ ও জাপানের সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানের আগে ১৯৪৫ সালে নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলার সময়ের সাথে মিলিয়ে বেলা ১১ টা ২ মিনিটে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
স্মৃতিস্তম্ভ উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে গণপূর্তমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের কেন্দ্রস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক একটি পারমাণবিক বোমামুক্ত, শান্তিপূর্ণ বিশ্বের অন্বেষণে জাপানের জনগণকে ও বিশ্বে শান্তির সংস্কৃতির বার্তা পৌঁছে দেয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার নাগাসাকি পিস পার্কে শান্তি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের প্রস্তাব দেয়।
#
রেজাউল/ফাতেমা/রবি/সাজ্জাদ/মাসুম/২০২৪/১৪২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৮৭১
দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা ও অন্ধত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্বে থাকবে বাংলাদেশ
- এন্টিগায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সেন্ট জনস (এন্টিগা এন্ড বারবুডা), ২৮ মে:
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা এবং অন্ধত্বের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে বাংলাদেশ নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করতে থাকবে।
মন্ত্রী গতকাল ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র এন্টিগা এন্ড বারবুডার রাজধানী সেন্ট জনসে জাতিসংঘ আয়োজিত ‘ক্ষুদ্র দ্বীপ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের চতুর্থ সম্মেলনে’র অফিসিয়াল সাইডলাইন ইভেন্ট ‘সর্বজনীন চক্ষুসেবা’ শীর্ষক আলোচনায় এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
‘আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অভ এ