তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৯৮
ওয়াশিংটনে শেখ রাসেলের জন্মদিন পালিত
ওয়াশিংটন ডিসি (যুক্তরাষ্ট্র), ১৮ অক্টোবর :
: শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শহিদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে। মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ ও ভার্জিনিয়া স্টেট আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১৭ অক্টোবর সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিটে কেক কেটে এই জন্মদিনের উৎসব পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ সভাপতি এম নবী বাকী, সিনিয়র সহ সভাপতি শিব্বীর আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক হারুনূর রশীদ, ভার্জিনিয়া স্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি আই রাসেল, সদস্য জেবা রাসেল, মিরাজ হোসেন, মেট্রো ওয়াশিংটন যুবলীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সর্বজিৎ দাস তুর্য প্রমুখ।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যের মতো নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলকেও ঠাণ্ঠা মাথায় খুন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে ১৫ আগস্টের শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
#
শিব্বীর/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২২৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৯৭
বাংলাদেশ দূতাবাস, বার্লিনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘শেখ রাসেল দিবস- ২০২২’ পালন
বার্লিন (জার্মানি), ১৮ অক্টোবর :
জার্মানির বার্লিনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস আজ ১৮ অক্টোবর যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল-এর ৫৯তম জন্মদিন স্মরণে ‘শেখ রাসেল দিবস’ পালন করা হয়েছে। রাষ্ট্রদূত মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর উপস্থিতিতে ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক’ এই প্রতিপাদ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
দিবসের শুরুতে সকলকে নিয়ে শেখ রাসেল-এর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রদূত পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দূতাবাস প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের মিনিস্টার, কাজী মুহম্মদ জাবেদ ইকবাল এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর কাজী তুহিন রসুল।
এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেল স্মরণে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত শেখ রাসেলের সততা, বুদ্ধিদীপ্ততা ও নেতৃত্বের গুণাবলির পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সাধারণ জীবনযাপনের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এই আদর্শ ধারণ করে নতুন প্রজন্ম বেড়ে উঠবে। তিনি আরো বলেন, শেখ রাসেলের হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর নিকৃষ্টতম ঘটনা। তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু আছে তাঁর পবিত্র স্মৃতি। রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন যে, প্রতি বছর ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস পালনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের কর্ণধার শিশু -কিশোরদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ রাসেলের স্মৃতি অম্লান থাকবে। এভাবে বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুকে শেখ রাসেলের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে, যেন তারাই গড়ে তুলতে পারে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।
এরপর শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয় এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলসহ সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির জন্য শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
#
তৌহিদ/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২২৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৯৬
মাছ চুরি রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ঘের মালিকদের
সম্মিলিতভাবে কাজ করার নির্দেশ শ্রম প্রতিমন্ত্রীর
খুলনা, ২ কার্তিক (১৮ অক্টোবর) :
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, রাতের আঁধারে বিষ প্রয়োগ করে ঘেরের মাছ চুরি প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ঘের মালিক-শ্রমিক সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
আজ খুলনা সার্কিট হাউজের সভাকক্ষে খুলনা সিট করপোরেশন এলাকার ঘের মালিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী অন্যতম খাত চিংড়িকে বিষ প্রয়োগ করে চুরি এবং জেলি পুশসহ সকল অপকর্ম রোধ করে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।
খুলনা মহানগর পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, যেকোনো প্রকারেই ঘেরে বিষ প্রয়োগ, চুরি বন্ধ করা হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তৎপরতা ও মনিটরিং বৃদ্ধি এবং প্রতি সপ্তাহে অগ্রগতি রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেন। আগামী ২৩, ২৫ এবং ২৭ অক্টোবর এলাকাভিত্তিক এ বিষয়ে সমাবেশ করা হবে। সভায় অর্ধশতাধিক ঘের মালিক তাদের ঘেরের মাছ চুরিসহ নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোঃ মনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পুলক কুমার মণ্ডল, দৌলতপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আলী, খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান, মহানগরীর পাঁচ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ এবং ঘের মালিকগণ অংশগ্রহণ করেন।
#
আকতারুল/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২২৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৯৫
বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন কলকাতায় উদ্যাপিত হলো
বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠপুত্র শহিদ শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকী
কলকাতা (ভারত), ২ কার্তিক (১৮ অক্টোবর) :
বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর কনিষ্ঠপুত্র শহিদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের বাংলাদেশ গ্যালারিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বাণী পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষ্যে অনাথ ও দুস্থ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয় খাবার।
আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা শহিদ শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর শহিদ শেখ রাসেলের জীবনের উপর এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়া কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম এবং প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) মোঃ শামসুল আরিফ যথাক্রমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। আলোচনা সভায় মিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ কলকাতার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু গবেষক সৌগত চট্টোপাধ্যায় বলেন, জন্ম হয়েছিল এক অশান্ত সময়ে যে সময় পরিণত করে তুলেছিল শহিদ শেখ রাসেলকে তার বয়সের তুলনায় অনেক বেশি। পারিবারিক পরম্পরায় তিনি সেই বয়সেই যেন বার্টান্ড রাসেলের দর্শনকে ছুঁয়ে এগিয়ে চলছিলেন। কিন্তু মৃত্যুর শারীরিক যন্ত্রণার আগে তার প্রিয়জনের রক্ত দেখানোর যন্ত্রণা থেকেও তাকে নিস্তার দেওয়া হয়নি। আগামীর শিশুদের একটা আনন্দময় পৃথিবী দেওয়াই হোক শেখ রাসেল দিবস পালনের লক্ষ্য।
প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন পিতার অর্জনকে অনন্য উচ্চতায় আসীন করার মাধ্যমে পিতৃত্বের দায়শোধের অনন্য উপমা সৃষ্টি করেন তখন বলাই বাহুল্য পিতার সবচেয়ে আদরের সর্বকনিষ্ঠ, বুদ্ধিদীপ্ত, অদম্য শিশু রাসেল পিতার অর্জনকে কত উচ্চতায় নিতে পারতেন, ঘাতকরা সেটা বুঝেছিল। তাইতো ১৫ই আগস্টের সর্বশেষ শহিদের নাম শেখ রাসেল।
উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, শেখ রাসেল একটি স্বপ্নের নাম, যে স্বপ্ন আজকের বাংলাদেশ। একটি ছোট ছেলে, যাকে নিয়ে সবার আশা ছিলো যে, সে বড় হয়ে দেশ গড়বে, তাকে সে সুযোগ দেয়া হয়নি। নির্মম বুলেট শুধু তাকেই কেড়ে নেইনি, কেড়ে নিয়েছিলো বাংলাদেশের স্বপ্নকেও, কিন্তু বাঙালিকে দাবায় রাখা যায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালি সেই স্বপ্ন পূরণের পথে, বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে চলছে, এগিয়ে যাবে।
কবিতা আর গানে শহিদ শেখ রাসেলের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানায় কলকাতায় অধ্যায়নরত বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শহিদ শেখ রাসেলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
#
রঞ্জন/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২১৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৯৪
শেখ রাসেলের মতো যেন আর কোনো শিশুকে জীবন দিতে না হয়
-- পররাষ্ট্র মন্ত্রী
ঢাকা, ২ কার্তিক (১৮ অক্টোবর) :
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। শুধু একটা বাড়ি নয়, তিনটি বাড়ি থেকে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের খুঁজে খুঁজে হত্যা করা হয়েছিল। এমনকি শিশু শেখ রাসেলকেও হত্যা করা হয়। এরকম নির্মম হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে ঘটেছে বলে জানা নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা পৃথিবীতে এ ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড দেখতে চাই না। আজকে আমাদের প্রতিজ্ঞা হওয়া উচিত- আমরা এমন এক পৃথিবী গড়ে তুলবো যেখানে শেখ রাসেলের মতো যেন আর কোনো শিশুকে জীবন দিতে না হয়।’
শেখ রাসেল দিবস - ২০২২ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, পৃথিবীতে যত শিশু আছে, সব শিশুর অধিকার, তাদের জীবনের অধিকার, তাদের বয়সে যেসব অধিকার পাওয়ার কথা সেগুলো নিশ্চিত করা এবং সেই পরিবেশ সৃষ্টি করার দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি বলেন, এমন পৃথিবী আমরা রেখে যেতে চাই যেখানে শিশুরা নিঃসংকোচে জীবনযাপন করতে পারবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তাঁর কনিষ্ঠ পুত্রের নাম ব্রিটিশ দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের নামানুসারে রেখেছিলেন। বিশ্বশান্তি রক্ষায় সোচ্চার, শান্তির সংগ্রামী বার্ট্রান্ড রাসেলের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু। বার্ট্রান্ড রাসেলের নামানুসারে পুত্রের নাম রেখে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অঙ্গীকার স্পষ্টভাবেই ফুটে উঠেছে।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা “আমাদের ছোট রাসেল সোনা” বইয়ের অংশবিশেষ উদ্ধৃত করে বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পনের আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেট কেড়ে নিল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র, মাত্র এগারো বছরের ছোট্ট রাসেলকে। মা, বাবা, দুই ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী, চাচা সবার লাশের পাশ দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে সবার শেষে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করল রাসেলকে। ওই ছোট্ট বুকটা কি তখন ব্যথায় কষ্টে বেদনায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল? যাদের সান্নিধ্যে স্নেহ-আদরে হেসে খেলে বড় হয়েছে তাদের নিথর দেহগুলো পড়ে থাকতে দেখে ওর মনের কী অবস্থা হয়েছিল- কী কষ্টই না ও পেয়েছিল! কেন, কেন, কেন আমার রাসেলকে এত কষ্ট দিয়ে কেড়ে নিল? আমি কি কোনোদিন এই "কেন"র উত্তর পাব?’ শাহরিয়ার আলম বলেন, “বঙ্গবন্ধুকন্যার এই আকুতিভরা প্রশ্নের জবাব কে দেবে? কেউ দিতে পারেনি। হয়তো কেউ দিতেও পারবে না।”
স্বাগত বক্তব্যে পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘শেখ রাসেল জন্মের পরে ছয় বছর পর্যন্ত পিতার আদর, ভালোবাসা, স্নেহ-মমতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন যে শিশুটি, তাকেই কি না ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটে প্রাণ হারাতে হলো।’ তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে যুগে যুগে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে কিন্তু এমন নির্মম, নিষ্ঠুর এবং পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড কোথাও ঘটেনি। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, শহিদ শেখ রাসেল হতে পারেন আগামী দিনের শিশুদের প্রেরণা। জাতির পিতা ও রাষ্ট্রপতির পুত্র হয়েও যে সাধারণ জীবনযাপনের মধ্য দিয়ে তার পথচলা শুরু হয়েছিল, সাধারণ মানের স্কুল, সাদামাটা জীবনযাপন, আর দশটা সন্তানের মতই রাস্তায় সাইকেল চালিয়ে ঘুরে বেড়ানো এবং পারিবারিক শিষ্টাচার ও আদব কায়দার যে উদাহরণ তিনি রেখে গেছেন তা আগামী দিনের শিশুদের চলার পথের বিরাট এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।’
অনুষ্ঠানে শেখ রাসেলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভারতীয় শিশু অধিকার কর্মী ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী’র প্রেরিত ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শেখ রাসেল দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে স্থাপিত শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। এরপর শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষ্যে থিম সংগীত পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষাংশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-সহ ১৯৭৫ এর পনের আগস্টে শাহাদাতবরণকারী সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
#
মোহসিন/রাহাত/এনায়েত/মোশারফ/আরাফাত/সেলিম/২০২২/২০২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৯৩
যুবলীগ একাই বিএনপিকে মোকাবিলা করতে যথেষ্ট
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২ কার্তিক (১৮ অক্টোবর) :
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ লাগবে না, যুবলীগ একাই বিএনপিকে মোকাবিলা করতে যথেষ্ট। আমরা এখনো মোকাবিলার ঘোষণা দেইনি। আমরা যদি মোকাবিলার ঘোষণা দিয়ে নামি তাহলে তারা পালানোর পথ পাবে না।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠপুত্র শহিদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
হাছান মাহ্মুদ বলেন, যুবলীগ আওয়ামী লীগের ভ্যানগার্ড। তাই যুবলীগের নেতাকর্মীদের বলবো সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন, যখন নির্দেশ আসবে তখনই জনগণকে নিয়ে এই সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করতে হবে।
যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে সুবর্ণা মুস্তাফা এমপি বিশেষ অতিথি, শেখ রাসেলের চাচাতো ভাই শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এমপি সম্মানিত অতিথি হিসেবে ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। ২০১৩-১৪-১৫ সালে এমন বিশৃঙ্খলা করেছিল যে, গাছও তারা উপড়ে ফেলেছিল। মানুষের ওপর তো বটেই, গাড়ি, গবাদিপশু এমন কি মুরগির ওপরও তারা হামলা চালিয়েছিল। তাতে সরকার পতন হয়নি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার সেই আন্দোলন, নৈরাজ্য মোকাবিলা করেছে। আমরা জানি কীভাবে সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করতে হবে, যখন মোকাবিলা করার প্রয়োজন হবে আমরা থাকবো।’
আওয়ামী লীগ নেতা ড. হাছান তাঁর বক্তৃতার শুরুতেই বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টের সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘আজ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট যখন শেখ রাসেলকে হত্যা করা হয় তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর। যখন ৩২ নম্বরে একে একে সবাইকে হত্যা করা হচ্ছিল তখন তিনি শেখ রাসেল ৩২ নম্বরের কর্মচারী রমা যিনি এখনো বেঁচে আছেন, তার হাত ধরে দাঁড়িয়েছিল। শেখ রাসেল যখন বলছে- আমি মায়ের কাছে যাবো, তখন তাকে ছিনিয়ে নিয়ে মায়ের কাছে নেওয়ার কথা বলে ঘাতকরা সেদিন শেখ রাসেলের মতো ছোট্ট শিশুকে হত্যা করেছিল।’
হাছান বলেন, ‘যুবলীগ প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনি ও তাঁর সহধর্মিণী বেগম আরজু মনির লাশ যখন মেঝেতে পড়েছিল, ফজলে শামস পরশের বয়স তখন ৫ বছর এবং তাপসের বয়স সাড়ে তিন বছর। পরশ মা-বাবা হারানো কিছুটা বুঝতে পারলেও তাপস যিনি দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সুযোগ্য মেয়র, মায়ের লাশ ধরে ধরে ধাক্কা দিয়ে দিয়ে বলছিল- মা ওঠো ওঠো। মা-বাবা যে তার চিরদিনের জন্য হারিয়ে গেছে তা সে বুঝতে পারেনি। সেদিন মানবতার বিরুদ্ধে এতো নির্মম অপরাধ সংগঠিত হয়েছিল। আর সেই অপরাধের প্রধান কুশীলব ছিল খন্দকার মুশতাক, আর তার প্রধান সহযোগী ছিল খুনি জিয়াউর রহমান।’
‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর খুনিদের বিচার বন্ধ করে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি হলো যখন জিয়াউর রহমান প্রধান সেনাপতি, আর জিয়া ক্ষমতা দখল করার পর পার্লামেন্টে প্রথম অধিবেশনে তার নির্দেশে খুনিদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করা হলো’ বর্ণনা করেন তিনি।
আহত বিস্ময়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একজন ডাকাতও যদি খুন হয়, একজন খুনিকেও যদি কেউ খুন করে তারপরও সেটার বিচার হয়। কিন্তু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, যিনি জাতিকে স্লোগান শিখিয়েছেন- ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’, ‘তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা-মেঘনা-যমুনা’, ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’, যে নেতা হ্যামিলনের বংশীবাদকের মতো বাঙালিকে সেই স্লোগান শিখিয়ে এক সাগর রক্ত পাড়ি দিয়ে পাঁচ হাজার বছরের বাঙালি জাতির ইতিহাসে বাঙালির রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, তাঁর হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে না! শেখ রাসেলের হত্যার বিচার হবে না, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের হত্যার বিচার হবে না, শেখ কামাল, শেখ জামালের, তাঁর নববধূকে হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে না! এভাবে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিল জিয়াউর রহমান আর আজকে তার তৈরি দল বিএনপি মানবাধিকারের কথা বলে!'
বিশেষ অতিথি সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে দেশের যুবসমাজসহ সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশবিরোধী খুনিচক্রকে প্রতিহত করাই আজকের শপথ।’
শেখ রাসেলের বাল্যকালের খেলার সাথী শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বাষ্পরুদ্ধ কন্ঠে বঙ্গবন্ধুর সাথে ১৫ আগস্ট নিহত হওয়া তার কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের বাল্যকালের স্মৃতিচারণ করেন।
সভাপতির বক্তৃতায় পরশ বলেন, বিশ্ববরেণ্য দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের নামানুসারে পিতা বঙ্গবন্ধু তাঁর কনিষ্ঠপুত্রের নাম রেখেছিলেন বড় আশা করে। কিন্তু খুনি ঘাতকেরা পিতা-মাতার সাথে পুত্রদেরও হত্যা করেছে। এই নির্মম ঘটনার শুধু হত্যাকারী নয়, সকল ষড়যন্ত্রকারীরও বিচার এ জাতির দাবি।
সাধারণ সম্পাদক নিখিল বলেন, আমরা শহিদ শেখ রাসেলের জন্মদিনে তার হত্যাকারীদের পৃষ্ঠপোষক দল বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানাই। কারণ, তা না হলে তাদের ষড়যন্ত্র থামবে না, দেশে শান্তি আসবে না।’
সভায় শেখ রাসেল স্মরণে মঞ্চপর্দায় গান ও আবৃত্তি সম্প্রচার অনুষ্ঠানকে আবেগঘন রূপ দেয়।
#
আকরাম/রাহাত/এনায়েত/মোশারফ/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/২০২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৯২
বাংলাদেশকে আধুনিক উন্নত দেশ গঠন করে শেখ রাসেল হত্যার প্রতিশোধ নিতে হবে
--- বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২ কার্তিক (১৮ অক্টোবর) :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশকে আধুনিক উন্নত দেশ গঠন করে শেখ রাসেলের হত্যার প্রতিশোধ নিতে হবে। শেখ রাসেলের জন্মদিনে হোক আমাদের এ প্রতিজ্ঞা।
আজ ঢাকায় টিসিবি ভবন অডিটরিয়ামে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত শেখ রাসেল দিবস-২০২২ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার উদ্দেশ্য তাদের সফল হয়নি। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে না নেয়া। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার কিছু সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশ বেতারের নাম পরিবর্তন করে রেডিও বাংলাদেশ এবং আমাদের স্বাধীনতার সেøাগানকে বদলে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রতিহত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা উন্নত দেশ গঠনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সবাইকে নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য বঙ্গবন্ধু সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন। ১৯৭৫ সালের পনেরো আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে সে স্বপ্ন পূরণ করতে দেয়নি আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সেই পরাজিত শক্তি। এ হত্যা শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা নয়, তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে চেয়েছিল। শিশু রাসেলের কোনো দোষ ছিল না, তারপরও তাকে হত্যা করা হয়েছে। শেখ রাসেলের মধ্যে বিপুল সম্ভাবনা ছিল। তারা সেই সম্ভাবনাকে বিকশিত হতে দেয়নি।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে শেখ রাসেলের জীবনের ওপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে শেখ রাসেল দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে আয়োজিত রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স¦রচিত কবিতা পাঠ করেন বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোঃ জাফর উদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড টেরিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সচিব) মাহফুজা আখতার।
#
বকসী/রাহাত/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/আরাফাত/জয়নুল/২০২২/২০৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৯১
যথাযোগ্য মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সাথে ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২২’ উদ্যাপন করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়
ঢাকা, ২ কার্তিক (১৮ অক্টোবর) :
ভূমি মন্ত্রণালয় যথাযোগ্য মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সাথে ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২২’ উদ্যাপন করেছে। আজ ভূমি সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শহিদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২২’ উদ্যাপনের কর্মসূচি শুরু করে ভূমি মন্ত্রণালয়। এরপর ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভূমি সচিবের সভাপতিত্বে শেখ রাসেল দিবস শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সময় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ভূমি সচিব বলেন, এই অঞ্চলের মানুষের অধিকার আন্দোলনের সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া ও স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখানোর কারণে যে সময়ে পাকিস্তানি পেটোয়া বাহিনীর কর্মকাণ্ডে জাতির পিতার পরিবার কঠিন অনিশ্চয়তা ও অন্ধকারের মধ্য দিয়ে গমন করছিল, ঠিক সেই সময়ে তাঁর পরিবার আলোকিত করে ১৯৬৪ সালের আজকের এই দিনে জন্ম নিয়েছিলেন ছোট্ট শিশু শেখ রাসেল। তিনি আরো বলেন, শেখ রাসেল ছিলেন খুব মেধাবী, নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক।
সচিব বলেন, বাঙালি জাতির স্বাধীনতার রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের ত্যাগের জন্য তাঁদের কাছে জাতি চিরকৃতজ্ঞ। জাতির পিতার পরিবার ও সদস্যগণের জীবন দর্শন থেকে আমাদের সবার শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের পরিবারের ছোট ছোট সদস্য ও শিশুদের শহিদ শেখ রাসেলেকে হৃদয়ের মণিকোঠায় লালন করতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। শিশু শেখ রাসেলের স্মৃতিময় আলেখ্য, তাঁর দৃঢ়চেতা মনোভাব ও অপরিসীম সাহসিকতা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করতে শেখাতে হবে আমাদের সন্তানদের। যেন আজকের প্রজন্মের শিশুরা শেখ রাসেলের দীপ্ত প্রত্যয়কে হৃদয়ে ধারণ করে আগামী দিনের উন্নত বাংলাদেশকে পরিচালিত করতে পারে এবং দিতে পারে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব।
#
নাহিয়ান/রাহাত/এনায়েত/মোশারফ/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/২১১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৯০
এক রাসেল লোকান্তরে, লক্ষ রাসেল ঘরে ঘরে
--- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২ কার্তিক (১৮ অক্টোবর) :
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারকে নিশ্চিহ্ন করতে ঘাতকরা শেখ রাসেলকে নৃশংস ও নির্মমভাবে হত্যা করে কিন্তু তারা সফল হয়নি। আজকে এক রাসেল থেকে লাখ লাখ রাসেলের জন্ম হয়েছে। রাসেলের নাম ছড়িয়ে পড়েছে দিগ্দিগন্তে। তিনি বলেন, শেখ রাসেল দিবসের অঙ্গীকার হলো সকল শিশুর জন্য মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা।
আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯ তম জন্মদিন ও ‘শেখ রাসেল দিবস’ উপলক্ষ্যে ঢাকা পিটিআই মিলনায়তনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান। বক্তৃতা করেন গভঃ ল্যাবরেটরি স্কুলে রাসেলের সহপাঠী অধ্যাপক গীতাঞ্জলি বড়ুয়া, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সৈয়দ মামুনুল আলম।
আলোচনা শেষে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং জন্মদিনের কেক কাটা হয়।
#
তুহিন/রাহাত/এনায়েত/সঞ্জীব/রফিকুল/মাহমুদ/আরাফাত/জয়নুল/২০২২/২০৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৮৯
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২ কার্তিক (১৮ অক্টোবর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৮৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এ সময় ৪ হাজার ১২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪০৮ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ৪০৬ জন।
#
কবীর/পাশা/সঞ্জীব/রফিকুল/মাহমুদ/আরাফাত/রেজাউল/২০২২/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৮৮
শেখ রাসেল তাঁর দশ বছরের জীবনে কষ্ট, বেদনা এবং সহনশীলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন