তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬০৭
পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ করতে না পারলে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে
---কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ মাঘ (৮ ফেব্রুয়ারি) :
পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ করতে না পারলে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক । মন্ত্রী আজ ভার্চুয়ালি ‘খাদ্য নিরাপত্তা ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। ইকোলজিক্যাল সোসাইটি অভ্ বাংলাদেশ এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, খাদ্য উৎপাদনে মাটি ও পানি হলো গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। এ দুটির গুণাগুণ ধরে না রাখতে পারলে এবং পরিবেশ ও প্রতিবেশ ভাল না রাখতে পারলে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। পরিবেশ ও প্রতিবেশ ধ্বংস হবে। কাজেই প্রকৃতি ও প্রতিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখেই কাজ করতে হবে। কোনভাবেই যাতে প্রকৃতি ও প্রতিবেশ নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষায় বর্তমান সরকার অত্যন্ত সচেতন ও সচেষ্ট রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান বিশাল জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে ক্রমহ্রাসমান স্বল্প জমি থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। সেজন্য, ফসলের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সার, কীটনাশকসহ কেমিক্যাল ব্যবহার করতে হবে। আমরা যতই বলি প্রাকৃতিক পরিবেশে অর্গানিকভাবে কৃষি উৎপাদন করব; কিন্তু বাংলাদেশ, ভারত ও চীনের মতো জনবহুল দেশে কেমিক্যাল ব্যবহার এড়ানো যাবে না। কারণ, স্বল্প জমি থেকে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে না পারলে, শুধু প্রাকৃতিকভাবে অর্গানিক পদ্ধতিতে দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। তবে কেমিক্যাল বা ইনঅর্গানিক উপাদানের ব্যবহার কীভাবে কমিয়ে আনা যায় ও পরিবেশ রক্ষা করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি এসময় কেমিক্যালের ব্যবহার কীভাবে কমিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে গবেষণা করে প্রযুক্তি ও সমাধান বের করার জন্য গবেষক ও বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানান।
ড. রাজ্জাক আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা, নিরাপদ ও পুষ্টিসম্মত খাবার- এই তিনটি নিশ্চিতে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। পুষ্টি নিশ্চিতে শুধু শাকসবজি নয়, প্রয়োজন মাছ, মাংস, দুধ, ডিম প্রভৃতি। একদিকে দেশের অধিকাংশ মানুষের আয় কম; অন্যদিকে অর্গানিক পদ্ধতিতে খাদ্য উৎপাদন করলে উৎপাদন খরচ বাড়বে, খাদ্যপণ্যের দামও বাড়বে। এতে দেশের সীমিত আয়ের মানুষ প্রয়োজনীয় পুষ্টিসম্মত খাদ্য কিনতে পারবে না। পশ্চিমা বিশ্বে অর্গানিক কৃষি সম্ভব। তাদের জমি বেশি, সম্পদ বেশি। মানুষের আয়ও বেশি। কিন্তু বাংলাদেশ অর্গানিক পদ্ধতিতে যে উৎপাদনশীলতা থাকবে তাতে কোনভাবেই খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।
সেমিনারে মুখ্য আলোচক ছিলেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও চ্যানেল আইয়ের পরিচালক শাইখ সিরাজ। ইকোলজিক্যাল সোসাইটি অভ্ বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক এম আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া, সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ রুহুল আমীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
#
কামরুল/রোকসানা/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২১৫৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬০৬
অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর স্বার্থে সরকার উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে
----ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
জামালপুর, ২৫ মাঘ (৮ ফেব্রুয়ারি) :
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অস্বচ্ছল, দরিদ্র, অসহায় ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর স্বার্থ ও জীবন মান উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। বয়স্ক, প্রতিবন্ধী, বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তা অসহায় ব্যক্তিদের কল্যাণে তিনিই প্রথম ভাতা চালু করেন। এসব ভাতাপ্রাপ্তি সহজ ও হয়রানিমুক্ত করতে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সরাসরি ভাতাভোগীদের নিকট পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা, চর গোয়ালিনী, গোয়ালেরচর ইউনিয়ন ও ইসলামপুর পৌরসভার (আংশিক) গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার উপবৃত্তির ব্যবস্থা করে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ব্যবস্থা করেছেন। কৃষকদের জন্য প্রণোদনা, ভর্তুকি ও সহজ কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করেছেন। জেলেদের বিশেষ সাহায্য প্রদান করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৭০ হাজার ভূমিহীন-গৃহহীনকে মুজিববর্ষে বিনামূল্যে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে।
ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম জামাল আব্দুন নাছের।
#
আনোয়ার/রোকসানা/পাশা/মাসুম/রফিকুল/আব্বাস/২০২১/২১১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬০৫
শরিফা খানকে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য এবং
হামিদা বেগমকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সচিব পদে নিয়োগ
ঢাকা, ২৫ মাঘ (৮ ফেব্রুয়ারি) :
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব শরিফা খানকে সরকারের সচিব পদে পদোন্নতি প্রদান পূর্বক পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগমকে পদোন্নতি প্রদান পূর্বক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে পদায়ন করা হয়েছে।
আজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
#
শিবলী/রোকসানা/পাশা/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/২১১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬০৪
পৌরসভাগুলোকে অটোমেশনের আওতায় আনা হবে
-- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ মাঘ (৮ ফেব্রুয়ারি) :
দেশের সকল পৌরসভার সার্ভিসসমূহকে অটোমেশনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
মন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন (খবব ঔধহম কবঁহ) -এর সাথে সাক্ষাৎকালে একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের ৩২৯টি পৌরসভায় প্রদেয় সব নাগরিক সেবা অটোমেশনের আওতায় আনতে সরকার কাজ করছে। এ সময় দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত অটোমেশন পদ্ধতি চালু করতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানে তাঁর দেশের আগ্রহের কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে। দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আগামীতে আরো দৃঢ় হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে দক্ষিণ কোরিয়ার চলমান সহযোগিতার বিষয় তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে সহযোগিতা আরো জোরদার করার আশ্বাস প্রদান করেন।
#
হায়দার/রোকসানা/মাসুম/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/২১০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬০৩
কলকাতায় ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের চলচ্চিত্র’ শিরোনামে আলোচনা অনুষ্ঠিত
কলকাতা, ৮ ফেব্রুয়ারি :
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে 'বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের চলচ্চিত্র' শিরোনামে তথ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সহযোগিতায় আজ এক বিশেষ আলোচনা আয়োজন করা হয়েছে কলকাতার প্রেস ক্লাবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ মুরাদ হাসান, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া। আরো উপস্থিত ছিলেন ভাষাবিদ ড. পবিত্র সরকার এবং পরিচালক ও অভিনেতা সৃজিত মুখার্জী।
প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, কলকাতায় বাংলাদেশ উপ দূতাবাসের সহযোগিতায় কলকাতার ঐতিহাসিক প্রেসক্লাবে এমন আয়োজনে অংশ নিতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। বিশেষ করে কলকাতার সেই ঐতিহাসিক প্রেস ক্লাব যা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সহযোগী। বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান হাজার ১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে যে জনসভায় বক্তব্য রেখেছিলেন তা ইতিহাসে সর্ববৃহৎ এবং বিশাল সমাবেশ। সেই সময় পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতি যে অকুণ্ঠ সমর্থন করেছিলেন তা আন্তরিকভাবে স্মরণ করছি। একই সাথে ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে গভীরভাবে স্মরণ করছি। ইন্দিরা গান্ধীর অবদান বাংলাদেশ চিরকাল মনে রাখবে। স্মরণ করছি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও দুই বাংলা তথা বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে। এছাড়া সেইসব শিল্পী-সাহিত্যিকদের স্মরণ করছি যারা আমাদের মাতৃভাষাকে সমৃদ্ধ করেছেন। আমি ৬ ফেব্রুয়ারির ব্রিগেডে বঙ্গবন্ধুর ভাষায় বলতে চাই, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক চিরকাল অটুট থাকবে। আমি একই সাথে বলতে চাই বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্পর্ক অটুট ছিল আছে এবং থাকবে। এই সময় ভারতের সহযোগিতায় বাংলাদেশ বিশ লাখ ভ্যাকসিন পেয়েছে এবং এই ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে তিন কোটি ভ্যাকসিন পাবে। আমি কলকাতাবাসীর কাছে আমাদের সাহিত্য সংস্কৃতি তুলে ধরছি, যা আগামীতে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া বলেন, দু’দেশের চলচ্চিত্র এখন যৌথভাবে কাজ করে অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বাংলাদেশের অনেক শিল্পীকে পশ্চিমবাংলাও চিনতে পারছে। এরপরে তিনি মহাভারতের দৌপ্রদীর পাঁচ স্বামীর উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন , আমার পড়া মতে অর্জুন যখন দৌপ্রদীকে লক্ষ্যভেদ করে মা কুন্তির সামনে নিয়ে আসেন তখন মা কুন্তী কোন কিছুই না দেখে পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে দ্রৌপদীকে ভাগ করে নিতে বলেন। সেই কারণেই দৌপ্রদীর পাঁচ স্বামী। আমরা রাজনৈতিকভাবে ভাগ হয়ে গেলেও আদতে আমারা বাঙালি, তাহলে আমারা কেন পানি ভাগ করে নিতে পারবো না? প্রেস ক্লাবে বসে আপনাদের মাধ্যমে দিদিকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) এই বিষয়ে আবেদন করতে চাই। আমরা যদি ভাগাভাগি করে নিতে পারি তাহলে আমাদের মধ্যে কোন বিভেদ থাকবে না। এটাতে দয়া করে কোন রাজনৈতিক রঙ দেবেন না এটা আমাদের অধিকারের কথা বললাম।
কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের প্রথম সচিব প্রেস ড. মোঃ মোফাকখারুল ইকবাল।
#
তুহিন/রোকসানা/পাশা/মাসুম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২১০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬০২
বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক হলেন সোহরাব হোসেন
ঢাকা, ২৫ মাঘ (৮ ফেব্রুয়ারি) :
স্থানীয় সরকার বিভাগের সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব সোহরাব হোসেনকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক পদে প্রেষণে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
আজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
#
শিবলী সাদিক/রোকসানা/পাশা/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/২০৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬০১
রাষ্ট্রপতির সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাক্ষাৎ
বঙ্গভবন, ২৫ মাঘ (৮ ফেব্রুয়ারি) :
নব প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের প্রথম উপাচার্য ড. জেড. এম পারভেজ সাজ্জাদ আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নে করণীয় বিষয়াদি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ নবনিযুক্ত উপাচার্যকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, কিশোরগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় দেশে, বিশেষ করে, হাওর অঞ্চলে উচ্চ শিক্ষার বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্নে প্রতিটি পরিকল্পনায় যাতে সুদূরপ্রসারী চিন্তার প্রতিফলন ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি বলেন, বিশ্ব দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম যাতে এগিয়ে যেতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এছাড়া বিভাগ নির্বাচনের ক্ষেত্রেও যুগের চাহিদাকে বিবেচনায় রাখতে হবে। অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে গুণগতমান এবং পরিবেশের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ পায় এবং দেশ ও মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারে সে বিষয়কে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন ও সচিব (সংযুক্ত) মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
ইমরানুল/রোকসানা/মাসুম/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/২০১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬০০
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২৫ মাঘ (৮ ফেব্রুয়ারি) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৩ হাজার ৭৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩১৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ জন-সহ এ পর্যন্ত ৮ হাজার ২২১ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯৩১ জন।
#
হাবিবুর/রোকসানা/মাসুম/মোশারফ/রেজাউল/২০২১/১৮৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৯৯
উপবৃত্তি কর্মসূচি প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তারে একটি মাইলফলক
-- মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ২৫ মাঘ (৮ ফেব্রুয়ারি) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি কর্মসূচি প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তারে একটি মাইলফলক। শিশুরাই জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজের আগামীর সৈনিক। তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে ভবিষ্যৎ জাতি গঠনের সোপান। আজকের শিশু বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ । ওদের হাত ধরেই বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে ওঠবে। তিনি শিশুদেরকে মানব সম্পদ হিসেবে তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস নগদের মাধ্যমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপবৃত্তি প্রদানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
দুর্গম প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে সভ্যতা পৌঁছে না সেখানে ও শিক্ষাকে ডিজিটালাইজড করার প্রক্রিয়া সরকার শুরু করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি সমৃদ্ধ জাতি বিনির্মাণের ধারাবাহিকতায় প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেছিলেন এবং তাঁর কন্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে যুগান্তকারী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছেন।
শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের পথপ্রদর্শক মোস্তাফা জব্বার শিক্ষক অভিভাবক-সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মেধাবী জাতি বিনির্মাণে প্রাথমিক শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের চলমান কর্মসূচি সফল করতে সম্মিলিত উদ্যোগে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় দ্বীপ, চর ও হাওর অঞ্চল-সহ দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করছে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের অর্থে আমরা ইতোমধ্যে দুর্গম প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৬ শত ৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ডিজিটাল শিক্ষার কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছি। শৈশবকালে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব প্রদানের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, শিশুদের প্রতি যত্নশীল হওয়ার মাধ্যমে একটি মেধাবী জাতি বিনির্মাণের বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির কারণেই শিক্ষাকে সচল রাখা ও মিটিং-সহ মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে উপবৃত্তি প্রদান করতে পারছি।’ পরে মন্ত্রী নগদের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ আফজাল হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মোঃ হাসিবুল আলম এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মোহাম্মদ মনসুর বক্তৃতা করেন।
#
শেফায়েত/রোকসানা/মাসুম/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৯৮
অবৈধ দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম পুনরায় শুরু করবে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়
ঢাকা, ২৫ মাঘ (৮ ফেব্রুয়ারি) :
সারা দেশের ছোট নদী, খাল ও জলাশয়ের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করবে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার আজ মন্ত্রণালয়স্থ কার্যালয়ে ৬৪ জেলা প্রশাসন ও সকল বিভাগীয় কমিশনারদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে এ বিষয়ে নানা দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
কবির বিন আনোয়ার বলেন, ‘তালিকা করে একাধিক পর্যায়ে ইতোমধ্যে ২৩ হাজার ৮০২টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ১ হাজার ২৭ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। করোনায় উচ্ছেদ কার্যক্রম ধীরগতি পেলেও অতি শীঘ্রই আবার তা শুরু করা হবে।’
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোকন উদ দৌলা,পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এ কে এম ওয়াহেদ উদ্দিন চৌধুরী, "৬৪ জেলার ছোট নদী-খাল পুনঃখনন" প্রকল্প পরিচালক মোঃ আসাফুদ্দৌলা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রাথমিকভাবে সারা দেশে ৪৫ হাজার ৯৫টি অবৈধ স্থাপনার তালিকা নিয়ে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়। ইতোমধ্যে উচ্ছেদ অভিযানে ৫২ দশমিক ৭৮ শতাংশ অগ্রগতি লাভ করে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। অবশিষ্ট ২১ হাজার ২৯৩টি স্থাপনা দখলমুক্ত করতে পুনরায় উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করবে মন্ত্রণালয়। উচ্ছেদকৃত জায়গায় বৃক্ষরোপণ করা হবে।
#
আসিফ/রোকসানা/মাসুম/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৮২৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৯৭
আইসিটি বিভাগের এডিপি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ২৫ মাঘ (৮ ফেব্রুয়ারি):
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ২০২০-২১ অর্থ বছরের জানুয়ারি ২০২১ মাসের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন পর্যালোচনা সভা আজ অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সভাপতি হিসেবে উক্ত সভায় অনলাইনে যুক্ত হন। সভায় আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরসহ বিভাগের অধীন বিভিন্ন সংস্থা প্রধানগণ এবং বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালকগন অনলাইনে যুক্ত হন।
সভায় আইসিটি বিভাগের চলতি অর্থবছরে গৃহীত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন পরিকল্পনা, মাস ভিত্তিক বাস্তব ও আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং জনবল নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভায় এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রাম, কানেক্টেড বাংলাদেশ শীর্ষক প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক রাজশাহী প্রকল্প, কালিয়াকৈর হাইটেক-পার্ক সহ অন্যান্য হাইটেক পার্ক উন্নয়ন প্রকল্প, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি স্থাপন ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রকল্প, মোবাইল গেইম অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন এর দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প, লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্প, উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করণ প্রকল্পসহ অন্যান্য সকল প্রকল্পের আর্থিক ও বাস্তব অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সংস্থা প্রধান ও প্রকল্প পরিচালকগন নিজ নিজ প্রকল্পের বাস্তবায়ন পরিকল্পনা ও সর্বশেষ অগ্রগতি সভায় তুলে ধরেন। প্রতিমন্ত্রী কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী গুণগতমান বজায় রেখে প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ করতে প্রকল্প পরিচালকগনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়াও আইসিটি বিভাগের অধীন হাইটেক পার্কসহ প্রকল্প সমূহের শূন্যপদে জনবল নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়। সভায় জানানো হয় প্রকল্পসমূহের ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ২৩ দশমিক ৮৯ ভাগ। প্রকল্প পরিচালকগণ প্রকল্প সমূহের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, চলতি (২০২০-২১) অর্থবছরে আইসিটি বিভাগের অধীন কারিগরিসহ মোট ২৭ টি প্রকল্পের জন্য এডিপিতে বরাদ্দ রয়েছে ১ হাজার ৪ শত ১৪ দশমিক ৭৯ কোটি টাকা।
#
শহিদুল/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/জসীম/মাসুম/২০২১/১৫০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৯৬
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২১ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে সরকার গৃহীত কর্মসূচি
ঢাকা, ২৫ মাঘ (৮ ফেব্রুয়ারি) :
প্রতিবছরের মতো এবারও ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালনের লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২১ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে গত ১৮ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এর সভাপতিত্বে দিবসের কর্মসূচি বিষয়ক এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক এসব কর্মসূচি গৃহীত হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর বিশেষ অবদানের বিষয়টি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে উপস্থাপন করা হবে। ২১ শে ফেব্রুয়ারি দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনসমূহে সঠিক নিয়মে, সঠিক রং ও মাপে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে জাতীয় অনুষ্ঠানের সাথে সংগতি রেখে বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনসমূহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আজিমপুর কবরস্থানে ফাতেহা পাঠ ও কোরআনখানির আয়োজনসহ দেশের সকল উপাসনালয়ে ভাষা শহীদদের রুহের মাগফেরাতের জন্য প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় কর্মসূচি প্রণয়ন ও চূড়ান্ত করবে।
বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক প্রতিটি সংগঠনের পক্ষ হতে সর্বোচ্চ ৫ জন প্রতিনিধি হিসেবে ও ব্যক্তিপর্যায়ে একসাথে সর্বোচ্চ ২ জন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন। শহিদ মিনারের সকল প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার জন্য বেসিন ও লিকুইড সাবান রাখা হবে। মাস্ক পরা ব্যতিরেকে কাউকে শহিদ মিনার চত্বরে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা এবং দিবসটি পালনে নিয়োজিত সকল প্রতিষ্ঠান ও সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষ্যে ঢাকা শহরের বিভিন্ন সড়কদ্বীপসমূহ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাজনক স্থানসমূহে বাংলাসহ অন্যান্য ভাষার বর্ণমালা সম্বলিত ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত করা হবে। একুশের বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার এবং ভাষা শহীদদের সঠিক নাম উচ্চারণ, শহীদ দিবসের ভাবগাম্ভীর্য রক্ষা, শহীদ মিনারের মর্যাদা সমুন্নত রাখা, সুশৃঙ্খলভাবে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, ইত্যাদি জনসচেতনতামূলক বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি গণমাধ্যমসমূহ প্রয়োজনীয় প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সংবাদপত্রসমূহে ক্রোড়পত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের বিষয়টি বিশেষভাবে উপস্থাপন করা হবে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ সংলগ্ন এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ এবং প্রয়োজনীয় ভ্রাম্যমান টয়লেট স্থাপন করা হবে। শহীদ মিনার সংলগ্ন এলাকার আশপাশে ধুলোবালি রোধকল্পে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করা হবে এবং রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হবে। এ ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে