তথ্যববিরণী নম্বর : ১৯৩৫
সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড ও নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসার নির্দেশ
ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে):
সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং ডায়াগনোস্টিকসমূহে কোভিড ও নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ বিভিন্ন দেশের কোভিড-১৯ চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা পর্যালোচনা করে একই হাসপাতালে কোভিড এবং নন-কোভিড রোগীদের হাসপাতালের ভিন্ন ভিন্ন অংশে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান নিশ্চিত করার জন্য পরামর্শ প্রদান করেছেন।
এমতাবস্থায়, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণের পরামর্শ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবমতে কোভিড এবং নন কোভিড রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৫০ শয্যা ও তদূর্ধ্ব শয্যাবিশিষ্ট সকল সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড এবং নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য পৃথক ব্যবস্থা চালুর নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
২৪ মে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের এক পত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
#
সিরাজুল/আনোয়ার/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২০/২১৩৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৩৩
লকডাউন শিথিল করা মানে অপ্রয়োজনে বাইরে নয়
---তথ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে):
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ জনগণকে যত দূর সম্ভব ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, 'অদৃশ্য একটি ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করছি। আমার সুরক্ষা আমার কাছে। এটি নিজে অনুধাবন করতে না পারলে জোর করে সুরক্ষা দেয়া কঠিন। লকডাউন শিথিল করা মানে এই নয় যে, অপ্রয়োজনে ঘোরাঘুরি করবো, অকারণে বের হবো বা জনসমাগম করবো।'
আজ চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন আয়োজিত সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এ সকল কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, অহেতুক ঘর থেকে বের হয়ে ঘোরাঘুরি করায় করোনারোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে বেড়েছে। সবাইকে চিন্তা করতে হবে আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশ। এখানে জীবন-জীবিকা দুটিই রক্ষা করতে হবে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে যেখানে এখনো ডজন ডজন মানুষ প্রতিদিন মৃত্যুবরণ করছে, সেখানেও অনেক জায়গায় লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। আমার সুরক্ষা যদি আমি না নিই তাহলে কাউকে তো জোর করে নেওয়ানো সম্ভব নয়।
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক সমস্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন, যেকারণে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা অনেক দেশের মতো ভেঙ্গে পড়েনি। পাকিস্তানেও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ভেঙ্গে পড়েছিল। সেখানে ডাক্তারদের এরেস্ট করতে হয়েছে হাসপাতাল চালু রাখার জন্য। বাংলাদেশে সেরকম পরিস্থিতি হয়নি।'
দেশের যেসকল ডাক্তার সাহসিকতার সাথে করোনা আক্রান্তদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'অনেকে অহেতুক সরকারের সমালোচনা করেন। আমাদের ব্যবস্থাপনা যদি ভালো না হতো, তাহলে শনাক্ত রোগীর মৃত্যুর হার অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশেও বেশি হতো।' যুক্তরাজ্য যেখানে মেডিকেল সায়েন্স অনেক উন্নত সেখানেও শনাক্ত রোগীর ১৪ পার্সেন্ট, বেলজিয়ামে শনাক্ত রোগীর ১৫ পার্সেন্ট, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ৩.২, পাকিস্তানে ২ এর বেশি। বাংলাদেশে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে মৃত্যুর হার এখন ১ পয়েন্ট ৪ পার্সেন্ট, জানান তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনায় অনেকে ধন্যবাদ না দিলেও বিশ্ব সম্প্রদায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। মানুষের স্বাস্থ্যসুরক্ষা ও জীবনরক্ষায় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন, তার ফলেই ১৭ কোটি মানুষের এই উন্নয়নশীল দেশে দু’মাসের বেশি সময় প্রায় সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ হলেও সরকারের খাদ্য ও ত্রাণ সহায়তায় এখনো একজন মানুষও অনাহারে মৃত্যুবরণ করেনি। প্রায় সাত কোটি মানুষ নানাভাবে সরকারের সহায়তার আওতায় এসেছে।'
তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, করোনাভাইরাসের মধ্যে সাংবাদিকরা সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যে কাজ করছেন। ইতোমধ্যে দেড়শতাধিক সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তিনজনের বেশি সাংবাদিক মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, ওয়াসিকা আয়েশা খানম এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকসহ স্বাস্থ্য বিভাগ, পুলিশ ও সেনাবাহিনীসহ সরকারি বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিবৃন্দ।
#
আকরাম/আনোয়ার/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২০/২১২২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৩৪
চট্টগ্রামের ৪ হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল ঘোষণা
চট্টগ্রাম, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে):
চট্টগ্রামের ৪ হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল ঘোষণার কথা জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য ড. হাছান মাহ্মুদ।
মন্ত্রী আজ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আয়োজিত সমন্বয় সভায় সভাপতি হিসেবে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বলেন, 'সরকার ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের ইম্পেরিয়েল হাসপাতাল, হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, রেলওয়ে হাসপাতাল এবং ইউএসটিসির বঙ্গবন্ধু হাসপাতাল -এ চারটি হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করেছে। প্রয়োজন হলে আরো হাসপাতাল অধিগ্রহণ করা হবে।'
এসব হাসপাতালের বাইরে চট্টগ্রামে আইসোলেশন ইউনিট স্থাপনের জন্যও সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এজন্য নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেসরোডে অবস্থিত সিটি কমিউনিটি হলে তিনশ’ বেডের একটি আইসোলেশন ইউনিট স্থাপন করা হবে। এরপরও প্রয়োজন হলে চট্টগ্রামের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সংবলিত কমিউনিটি হলগুলোকে আইসোলেশন ইউনিটে রূপান্তর করা হবে।
এছাড়া চট্টগ্রাম শহরে করোনা ভাইরাসের স্যাম্পল কালেকশনের জন্য দ্রুত আরো ১১টি বুথ স্থাপন করা হবে, জানান মন্ত্রী।
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, চট্টগ্রাম পৌনে এককোটি মানুষের শহর। চট্টগ্রামের আশপাশের জেলা ও উপজেলা মিলে প্রায় আড়াই কোটি মানুষকে চট্টগ্রামে যেসকল মেডিকেল ফ্যাসিলিটিজ আছে সেগুলোতেই স্বাস্থ্যসেবা দিতে হচ্ছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে দু’হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং সংক্রমণও দ্রুত বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে করণীয় নির্ধারণে এ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, আজকের সমন্বয় সভায় বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি, প্রশাসনের প্রতিনিধি ও পুলিশের প্রতিনিধিসহ ৮ সদস্যের কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। এই কমিটি এসব হাসপাতালগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে চালু করার জন্য কী কী প্রয়োজন সেগুলো নির্ধারণ করে ঠিক করবেন। হাসপাতালগুলো আজ থেকেই সরকার অধিগ্রহণ করতে শুরু করবে।
কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে আজকেই হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল অধিগ্রহণ করা হবে। আগামীকাল অথবা পরশুদিনের মধ্যেই বাকি সব হাসপাতাল অধিগ্রহণ করা হবে। রেলওয়ে হাসপাতাল সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত বলে রেলওয়ের প্রতিনিধি সভায় জানিয়েছেন। এছাড়া সভায় শিপব্রেকার্স এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, তাদের ১০০ বেডের হাসপাতালটিও করোনা রোগীদের চিকিৎসায় তারা দিতে পারবেন। এছাড়া নগরীর পার্কভিউ হাসপাতাল করোনা ইউনিট চালু করেছে।
#
আকরাম/আনোয়ার/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২০/২১২৬ ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ১৯৩২
সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতি
সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত
ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে):
উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সর্তক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্যে ও অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১ থেকে ২ ফুট অধিক উচ্চতায় বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
#
আফতাব/আনোয়ার/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২০/২০৫১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৩১
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে
---শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে):
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে লাভজনক করতে ঢেলে সাজানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারিত করতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে নতুন গতি এসেছে।
আজ ঢাকায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত সচিব কে এম আলী আজমের দায়িত্ব গ্রহণ এবং বিদায়ী সচিব মোঃ আবদুল হালিমের কর্মজীবনের সমাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিল্পমন্ত্রী একথা বলেন। নবনিযুক্ত সচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে সভায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, করোনার পরিস্থিতিতে অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কলকারখানাসমূহ চালু রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, এ সময় চাহিদা অনুসারে বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরও সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে জীবন ও জীবিকার মাঝে সমন্বয় রেখে সরকার কাজ করছে। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি পণ্যের যে অবস্থান তৈরি হয়েছে সেটি ধরে রাখার জন্য সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান শিল্পমন্ত্রী।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কল-কারখানাগুলোকে লাভজনক করতে সরকার বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ সকল উদ্যোগের ফলে অলাভজনক কারখানাগুলো ধীরে ধীরে ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে লাভজনক হয়ে উঠছে। চালু কারখানাগুলোকে লাভজনক করার পাশাপাশি বন্ধ কারখানাগুলো চালু করার বিষয়ে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সভায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ অর্জনের পথে দেশের শিল্পখাতকে এগিয়ে নিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা প্রদান করেন।
#
মাসুম/আনোয়ার/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২০/১৮৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৩০
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে):
ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৬৪ জেলায় ইতোমধ্যে ১ লাখ ৮২ হাজার ৬৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া শিশু খাদ্য-সহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ১০৪ কোটি ৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত এ সাহায্য দেশের সকল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী আজ দেশে নতুন করে আরো ১ হাজার ৫৪১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৮ হাজার ২৯২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ জন-সহ এ পর্যন্ত ৫৪৪ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজার ১৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত সর্বমোট ২৪ লাখ ৫৪ হাজার ৭৩৭টি পিপিই সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে মোট বিতরণ করা হয়েছে ২০ লাখ ৬৬ হাজার ৩৩৪টি এবং মজুত আছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪০৩টি।
সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬২৬টি প্রতিষ্ঠান এবং এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের সেবা প্রদান করা যাবে ৩১ হাজার ৮৪০ জনকে।
#
তাসমীন/আনোয়ার/সঞ্জীব/আব্বাস//২০২০/১৮১১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯২৯
স্বাস্থ্য অধিদফতরের কারিগরি নির্দেশনা
করোনা মোকাবিলায় ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারে করণীয়
ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) :
#
পরীক্ষিৎ/রেজ্জাকুল/মিজান/২০২০/ ১৫১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯২৮
স্বাস্থ্য অধিদফতরের কারিগরি নির্দেশনা
করোনা মোকাবিলায় কুরিয়ার সার্ভিসের করণীয়
ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) :
#
পরীক্ষিৎ/রেজ্জাকুল/মিজান/২০২০/১৫০০ ঘণ্টা
Handout Number : 1927
Prime Minister Message on 'International Day of United Nations Peacekeepers-2020
Dhaka, 13 Jaistho (27 May):
Prime Minister Sheikh Hasina has given the following Message on the occasion of International Day of UN Peacekeepers-2020:
"I am happy to know that the 'International Day of United Nations Peacekeepers-2020' is being observed in Bangladesh on 29 May as elsewhere in the world. On this occasion, I proudly recall the impressive role of Bangladesh in the UN peacekeeping operations, and extend my heartiest congratulations and felicitations to all Bangladeshi peacekeeping members.
I remember with profound respect of those peacekeepers who have sacrificed their lives for the world peace and made the country's flag brighter in the globe. I solemnly pray for the salvation of their departed souls and convey my wholehearted sympathy to their bereaved family members.
Bangladesh became the member of the United Nations on 17 September 1974. On 25 September 1974, the Greatest Bangalee of all times. Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman in his historic speech in Bangla at the UNGA expressed firm commitment of Bangladesh's continued support to establishing peace all over the world. Since then Bangladesh has been maintaining good relations with all friedly and peace-loving countries in the world and taking part actively in all programmes under the UN in promoting and protecting global peace.
Bangladesh today has become one of the largest troops contributing nations in the UN peacekeeping missions. The unique contribution of our peacekeepers in the UN missions and multinational forces has brightened the image of the nation and made Bangladesh a dignified country in the world. At the same time, it played an important role in strengthening diplomatic ties with the powerful nations of the world.
Moreover, Bangladeshi peacekeepers have won the trust and confidence of the people through restoring peace in war-ravaged countries with their high standard of professionalism, efficiency and dedication. The pride and dignity that Bangladesh has gained today as an actively participating country in promoting peace around the world is the outcome of outstanding professionalism, courage, bravery and skills or our peacekeepers.
On behalf of the government and the people of Bangladesh, I reitcratc my full support to the UN for the protection and promotion of world peace. The government will continue its efforts to ensure that Bangladeshi peacekeepers can respond to the call o the UN eith more confidence. I haop that the peacekeepers will establish Bangladesh as a powerful peace-building country in the world through their experise, professionalism and dedication in the UN Peacekeeping operations and will further brighten the country's image in the world.
I wish the 'International Day of United Nations Peacekeepers-2020' a grand success. I also wish success and well-being of all peacekeepers.
Joi Bangla, Joi Bangabandhu
May Bangladesh Live Forever".
#
Emranul/Parikshit/Rezzakul/Mizan/2020/1440 hours
Handout No : 1926
President's Message on the International Day of UN Peacekeepers-2020
Dhaka, 13 Jaistho (27 May):
President Md. Abdul Hamid has given the following Message on the occasion of International Day of UN Peacekeepers-2020:
"I welcome the initiative of observing the ‘International Day of UN Peacekeepers - 2020’ in Bangladesh as elsewhere of the world. On this auspicious occasion, I would like to convey my heartiest congratulations and felicitations to all members of the UN peacekeepers including Bangladesh. I pay my deep homage to the valiant members of UN peacekeepers who made supreme sacrifices for upholding world peace.
In pursuing our diplomatic objectives, the government has been consistent in upholding the principle of ‘Friendship to all, malice towards none’ as enunciated by Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman. Bangladesh has now been emerged as a country of peace and communal harmony around the world. The peacekeepers of Bangladesh have been able to attain credibility by dint of their highest standard of professionalism, devotion and bravery since their first engagement to UN peacekeeping operations in 1988. The outstanding contribution of our peacekeepers has upheld the image of Bangladesh at international arena.
Bangladesh is one of the largest troops contributing nations in UN peacekeeping missions. Utmost sincerity along with professionalism of our peacekeepers has been playing a vital role in achieving the glory. I hope Bangladeshi peacekeepers, performing their duties with honesty, devotion and professionalism; will be able to continue this trend in establishing world peace, harmony and amity in the days to come.
I wish the observance of ‘International Day of United Nations Peacekeepers-2020’ a grand success.
Joy Bangla.
Khoda Hafez, May Bangladesh Live Forever".
#
Azad/Parikshit/Rezzakul/Mizan/2020/1430 Hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯২৫
আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২০ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২০’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২০’ পলিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা আমি গর্বভরে স্মরণ করছি এবং শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশের সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেই সকল শান্তিরক্ষীদের- যাঁরা বিশ্বশান্তির জন্য অকাতরে জীবন বিসর্জন দিয়ে বিশ্বের দরবারে দেশের পতাকাকে উজ্জ্বলতর করেছেন। আমি তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে এবং ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলায় প্রদত্ত তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে বিশ্বের সর্বত্র শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনের বিষয়ে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তখন থেকেই বাংলাদেশ বিশ্বের শান্তিপ্রিয় ও বন্ধুপ্রতিম সকল দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের অধীনে পরিচালিত সকল শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে আসছে।
বাংলাদেশ আজ সর্বাধিক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশসমূহের অন্যতম। জাতিসংঘ মিশন এবং বহুজাতিক বাহিনীতে শান্তিরক্ষীদের অনন্য অবদান বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে এবং এদেশকে বিশ্বের বুকে একটি মর্যাদাসম্পন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। একইসঙ্গে বিশ্বের অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে শক্তিশালী দেশসমূহের সঙ্গে আমাদের দেশের পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীগণ পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠা প্রদর্শন করে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে ঐ সকল দেশের জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন। বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে শান্তিরক্ষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী দেশ হিসেবে যে গৌরব ও মর্যাদা লাভ করেছে, তা আমাদের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য পেশাদারিত্ব, সাহস, বীরত্ব ও দক্ষতারই অর্জিত ফসল।
বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের প্রতি আমি আমার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছি। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীগণ যাতে আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিতে পারেন, সে জন্য সরকারের সকল প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। আমি আশা করি, শান্তিরক্ষী সদস্যগণ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে তাঁদের দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠা দ্বারা বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি শক্তিশালী শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবেন এবং সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে আরও উজ্জ্বল করবেন।
আমি ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২০’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি এবং সকল শান্তিরক্ষীর সাফল্য ও মঙ্গল কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরানুল/পরীক্ষিৎ/রেজ্জাকুল/মিজান/২০২০/১৪৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯২৪
আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে):
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২০ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২০’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষে আমি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের সকল শান্তিরক্ষীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বিশ্বশান্তি রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আত্মোৎসর্গকারী বীর শান্তিরক্ষী সদস্যদের আমি পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।
‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান