তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৯০
অর্থমন্ত্রী ও এআইআইবি ভাইস প্রেসিডেন্ট বৈঠক
ঢাকা, ৩ মাঘ (১৭ জানুয়ারি):
এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) বিনিয়োগ অপারেশন অঞ্চল ১- দক্ষিণ এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. উর্জিত প্যাটেলের সাথে আজ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ঢাকায় সোনারগাঁ হোটেলে বৈঠক করেন। অর্থমন্ত্রী ড. উর্জিত প্যাটেলকে বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকে স্বাগত জানান।
অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের ধারাবাহিক অগ্রগতি উল্লেখ করে বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে আমাদের জিডিপি ছিল মাত্র ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০৯ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করতে আমাদের সময় লাগে প্রায় ৩৮ বছর। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। আমাদের জিডিপি এখন ৪৬৫ বিলিয়ন ডলার। যেখানে গত বছর ৩৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে আমরা ছিলাম ৪১তম বৃহত্তম অর্থনীতি দেশ। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হলো ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট উন্নত দেশে পরিণত হওয়া। এই ক্ষেত্রে, আমাদের উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সম্পদের পর্যাপ্ত সংকুলান নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য বরাবরের মতো আমরা বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা কামনা করি।
অর্থমন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশকে ১ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তার জন্য এআইআইবিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বিশ্ব এখন একটি সংকটকাল অতিক্রম করছে এবং আমাদের অর্থনীতিও এর ব্যতিক্রম নয়। আমাদের আরো বাজেট সমর্থন প্রয়োজন। তিনি Secured Overnight Financing Rate (SOFR) এর বর্তমান অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বিবেচনা করে এআইআইবি ঋণের শর্তাবলী পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেন। পাশাপাশি একটি ক্যাপ চালু করা, স্প্রেড পুনর্নির্ধারণ করা এবং ম্যাচুউরিটির সময়কাল বাড়ানো এবং বিশ্বব্যাংককে অনুসরণ করে প্রতিশ্রুতি ফি মওকুফ করার বিষয়ে অনুরোধ জানান। তিনি আরো বলেন, এআইআইবি ও গ্রিন ক্লাইমেট ফাইন্যান্স এবং এসডিজির লিঙ্কড বন্ডের ওপর গুরুত্ব দিতে পারে।
এ সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
গাজী/মোশারফ/লিখন/২০২৩/২০৩৮ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৯০
অর্থমন্ত্রী ও এআইআইবি ভাইস প্রেসিডেন্ট বৈঠক
ঢাকা, ৩ মাঘ (১৭ জানুয়ারি):
এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) বিনিয়োগ অপারেশন অঞ্চল ১- দক্ষিণ এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. উর্জিত প্যাটেলের সাথে আজ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ঢাকায় সোনারগাঁ হোটেলে বৈঠক করেন। অর্থমন্ত্রী ড. উর্জিত প্যাটেলকে বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকে স্বাগত জানান।
অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের ধারাবাহিক অগ্রগতি উল্লেখ করে বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে আমাদের জিডিপি ছিল মাত্র ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০৯ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করতে আমাদের সময় লাগে প্রায় ৩৮ বছর। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। আমাদের জিডিপি এখন ৪৬৫ বিলিয়ন ডলার। যেখানে গত বছর ৩৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে আমরা ছিলাম ৪১তম বৃহত্তম অর্থনীতি দেশ। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হলো ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট উন্নত দেশে পরিণত হওয়া। এই ক্ষেত্রে, আমাদের উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সম্পদের পর্যাপ্ত সংকুলান নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য বরাবরের মতো আমরা বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা কামনা করি।
অর্থমন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশকে ১ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তার জন্য এআইআইবিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বিশ্ব এখন একটি সংকটকাল অতিক্রম করছে এবং আমাদের অর্থনীতিও এর ব্যতিক্রম নয়। আমাদের আরো বাজেট সমর্থন প্রয়োজন। তিনি Secured Overnight Financing Rate (SOFR) এর বর্তমান অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বিবেচনা করে এআইআইবি ঋণের শর্তাবলী পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেন। পাশাপাশি একটি ক্যাপ চালু করা, স্প্রেড পুনর্নির্ধারণ করা এবং ম্যাচুউরিটির সময়কাল বাড়ানো এবং বিশ্বব্যাংককে অনুসরণ করে প্রতিশ্রুতি ফি মওকুফ করার বিষয়ে অনুরোধ জানান। তিনি আরো বলেন, এআইআইবি ও গ্রিন ক্লাইমেট ফাইন্যান্স এবং এসডিজির লিঙ্কড বন্ডের ওপর গুরুত্ব দিতে পারে।
এ সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
গাজী/মোশারফ/লিখন/২০২৩/২০৩৮ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৯
বিএনপির ‘শান্তিপূর্ণ’ আন্দোলনের নমুনা হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ
--তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ৩ মাঘ (১৭ জানুয়ারি) :
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘বিএনপি যে অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্যের পথ থেকে বের হয়নি, সেটির বহিঃপ্রকাশ তারা চট্টগ্রামে দেখিয়েছে। ঢাকায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলছেন তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে চান। আর অপরদিকে চট্টগ্রামে তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের নমুনা হচ্ছে পুলিশের ওপর হামলা, গাড়িঘোড়া ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ।’
আজ সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতর সম্মেলন কক্ষে মোনায়েম সরকার সম্পাদিত ‘আবদুল গাফফার চৌধুরী স্মারক গ্রন্থ এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। শতাধিক গ্রন্থপ্রণেতা বিশিষ্ট রাজনীতিক ও বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চের মহাপরিচালক মোনায়েম সরকারের সভাপতিত্বে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান শরীফ, প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া, বাংলা টিভির চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ, আগামী প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধিকারী ওসমান গণি, গ্রন্থটির সহ-সম্পাদক ড. দিনাক সোহানী ও অপূর্ব শর্মা বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘আমরা বারবার বলে আসছি, বিএনপি দেশে অশান্তি সৃষ্টির জন্যই সভা সমাবেশগুলো করছে। সেই সমাবেশের নামে যেহেতু তারা আবার অগ্নিসংযোগ শুরু করেছে, পুলিশের ওপর হামলা করছে এবং সে কারণে জনজীবন নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে, অতএব ভবিষ্যতে তাদের সমাবেশের ক্ষেত্রে আরো সতর্ক থাকতে হবে। তারা সমাবেশের কথা বলে আবার কি করে সেটি নিয়েও ভাবতে হবে, সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
‘বিএনপির রাজনীতি জনমুখী নয়, বিদেশিমুখী’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা রাতের অন্ধকারে বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে ছুটে যাওয়া, তাদের পদলেহন করা এই নীতি গ্রহণ করেছে। তবে এ সব করে কোনো লাভ হয়নি সেটি তারা বুঝেছে যখন অতি সম্প্রতি মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এসে বলে গেছেন যে বাংলাদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর কাজের গুণগত উন্নতি হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীকে সহায়তা করতে চায়, প্রশিক্ষণ দিতে চায়। এতে তাদের মাথাটা খারাপ হয়ে গেছে। ফলে এখন তারা আবোল-তাবোল বকা শুরু করেছে।’
বিএনপির ওপর দমন নিপীড়নের অভিযোগ খণ্ডন করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার বিএনপির ওপর দমন নিপীড়ন চালাচ্ছে না। বিএনপিকে বলবো তারা যখন ক্ষমতায় ছিল, কী করেছিল সেটা দেখতে পেছনে তাকানোর জন্য। তারা অপারেশন ক্লিনহার্টের নামে ২০০২ সালে ডজন ডজন মানুষ হত্যা করেছিল, আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরআই অফিসের মালামাল লুট করে সিল করে দিয়েছিল।’
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘বিএনপি আমাদের সমাবেশগুলোতে ভয়াবহ গ্রেনেড ও বোমা হামলা চালিয়ে বহু মানুষকে হতাহত করেছিল, আমাদের পার্টি অফিসের সামনে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছিল, রাসেল স্কয়ারে জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিমসহ বহু নেতা-কর্মীকে লাঠিপেটা করেছিল। কিন্তু তাদের কোনো অফিস তো সরকার বন্ধ করেনি, তাদের কোনো সমাবেশে হামলা হয়নি, ফখরুল-আব্বাস-মোশাররফ সাহেবদের গায়ে তো কোনো আঁচড়ও পড়েনি।’
এর আগে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহ্মুদ ‘আবদুল গাফফার চৌধুরী স্মারক গ্রন্থ’ প্রণয়নের জন্য সম্পাদক মোনায়েম সরকারকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় প্রয়াত আবদুল গাফফার চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে মন্ত্রী বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতিসংঘের মাধ্যমে ২১ ফেব্রুয়ারি আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে অভিষিক্ত। আমাদের দুই প্রবাসী সালাম এবং রফিক এ বিষয়ে যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তা দ্রুততম সময়ে রাষ্ট্রের পক্ষে জাতিসংঘে পাঠিয়েছিলেন বিধায় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’- আব্দুল গাফফার চৌধুরীর এই কালজয়ী গানটি বিশ্বময় নিজ নিজ ভাষায় গাওয়া হয়।'
সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আব্দুল গাফফার চৌধুরী শুধু গান রচনার মধ্যেই তাঁর সৃজনশীল কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ রেখেছেন তা নয়। তিনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন। স্বাধিকার আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতার চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে দেশকে যখন পশ্চাৎপদ করা হচ্ছিল, তখন আব্দুল গাফফার চৌধুরী কলম ধরেছেন।’
‘যে বা যারাই ক্ষমতায় থাকুক, যখনই কোনো অসংগতি দেখেছেন, সেটির ব্যাপারে আব্দুল গাফফার চৌধুরী কলম ধরেছেন, এমনকি আমাদের সরকারকে পরামর্শ দিতে গিয়ে কলম ধরেছেন, প্রয়োজনে আমাদের সমালোচনাও করেছেন’ বলেন ড. হাছান। তিনি বলেন, ‘একজন কলমযোদ্ধা তেমনই হওয়া উচিত। তিনি তেমনই একজন মানুষ ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর এক বছরের মাথায় এই বইটি সম্পাদনা করার জন্য আমি মোনায়েম সরকারকে শ্রদ্ধা জানাই, সম্মান জানাই। বইয়ের সম্পাদনা পরিষদে যারা ছিলেন, তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। সুলতান শরীফ ভাইয়ের বয়স ৮৩ বছর। এখানে আসার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। মোনায়েম সরকার দেখতে তরুণ কিন্তু বয়স মাত্র ৮০।’
বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চের সহায়তায় আগামী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ৪১৬ পৃষ্ঠার ‘আবদুল গাফফার চৌধুরী স্মারক গ্রন্থ’টিতে প্রায় ৮০টি নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, গাফফার চৌধুরীর কবিতা ও গল্প রয়েছে।
#
আকরাম/এনায়েত/সঞ্জীব/রফিকুল/মাহমুদ/রেজাউল/২০২৩/১৯৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৮
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৩ মাঘ (১৭ জানুয়ারি) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৪২ শতাংশ। এ সময় ২ হাজার ১৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৪১ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬২ জন।
#
কবীর/সিরাজ/সঞ্জীব/রফিকুল/মাহমুদ/রেজাউল/২০২৩/১৭৫৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৭
উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে পার্বত্য অঞ্চল
--- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ৩ মাঘ (১৭ জানুয়ারি) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চল এখন আর পিছিয়ে পড়া জনপদ নয়। পার্বত্য অঞ্চল এখন দেশের সম্পদ। সমতলের মতোই পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ এখন দেশের উন্নয়নে সমানভাবে ভূমিকা রাখছে।
আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি সফলভাবে সম্পন্ন হওয়া পার্বত্য মেলা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, পার্বত্য তিন জেলা পরিষদ ও অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত সুন্দর, সফল ও আকর্ষণীয়ভাবে মেলার কাজ সম্পন্ন করেছেন। এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। পার্বত্য জেলা পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের কোমর তাঁতের কাপড়, পুঁথির মালা, কুটির শিল্প, হস্তশিল্প খুবই সুন্দর ও সূক্ষ্ম। এগুলোর মান যথেষ্ট ভালো। এর ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য আপনারা পরিকল্পনা নেন। মিশ্র ফল বাগান, তুলা চাষ ও আখ চাষের ওপর কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। মন্ত্রী বলেন, এবারের পার্বত্য মেলা দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে উপভোগ করেছেন।
সভায় তিন পার্বত্য জেলায় ৩টি কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ, টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের কার্যক্রম, মিশ্র ফল চাষ এবং মসলা চাষ প্রকল্প, টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্প, তুলা চাষ বৃদ্ধি ও কৃষকদের দারিদ্র্য বিমোচন, কফি ও কাজুবাদাম চাষের মাধ্যমে দারিদ্র্য হ্রাসকরণ ও সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ (২য় পর্যায়) প্রসঙ্গে আলোচনা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগমের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সত্যেন্দ্র কুমার সরকার, অতিরিক্ত সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজুয়ান/এনায়েত/সঞ্জীব/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২৩/১৯৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৮৬
সরকারের লক্ষ্য ২০৪১ নাগাদ সম্পূর্ণ ডিজিটাল পেপারলেস অফিস ও ক্যাশলেস সোসাইটি নিশ্চিত করা -- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৩ মাঘ (১৭ জানুয়ারি):
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আধুনিক প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে স্বল্প খরচ, স্বল্প সময় ও দুর্নীতি মুক্ত উপায়ে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় সরকারি
সেবাসমূহ পৌঁছে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের লক্ষ্য ২০৪১ সাল নাগাদ সম্পূর্ণ ডিজিটাল পেপারলেস অফিস ও ক্যাশলেস সোসাইটি নিশ্চিত করা। এর মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্যোগে “সাপোর্টিং ট্রান্সপারেন্ট
ই-গভর্নেন্স পলিসি ইন বাংলাদেশ, শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট সরকার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত ও তাদের সহমর্মী করে তুলতে চায় সরকার। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে একটি স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমি গড়ে তোলা হবে বলে তিনি জানান।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে চারটি পিলারের ওপর ভিত্তি করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা হয়েছে। চার পিলারের মধ্যে অন্যতম ই-গভর্নেন্স থেকে স্মার্ট গভর্নেন্স গড়ে তুলতে সরকার কাজ শুরু করেছে । সেবা ডিজিটাল রূপান্তরের ফলে সেবাগ্রহিতাদের সময়, ভিজিট ও খরচই শুধু কমেনি, একই সাথে ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারের ব্যয় ও দুর্নীতি কমেছে। মৌলিক সফটওয়্যারগুলো প্রস্তুত থাকার কারণে করোনাকালীন নিজেদের উদ্ভাবিত সমাধান দিয়েই প্রায় সবকিছু সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের অংশীদারিত্ব ছাড়া লক্ষ্য পূরণ সম্ভব ছিল না উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী গত ১৪ বছরে সরকারি সেবাগুলোর ডিজিটাল উন্নয়নের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ রূপান্তরের লক্ষ্যে স্মার্ট সরকার গঠনে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা তুলে ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে আমরা আশাবাদী। তাদের সঙ্গে মিলেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সরকার গড়ে তুলতে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে আমরা এগিয়ে যাবো।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশের হেড অভ্ ডেলিগেশন চার্লস হোয়াইটলি। বাংলাদেশের ডিজিটাল প্রস্তুতি নিয়ে উপস্থাপনা পেশ করেন গোপা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড, কনসালটেন্ট
ড. সাদিক হাসান, দেবাশীষ নাগ এবং জন একহ্যানভ।
#
আলম/সিরাজ/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/লিখন/২০২৩/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৫
একনেকে ১০ হাজার ৬৪০ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন
ঢাকা, ৩ মাঘ (১৭ জানুয়ারি) :
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রায় ১০ হাজার ৬৪০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১১টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৭ হাজার ৮২৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক অর্থায়ন ২ হাজার ৮৮০ কোটি ১৮ টাকা।
প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক-এর চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক-এর সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো: পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার শ্রীমাই নদীতে Multipurpose Hydraulic Elevator Dam নির্মাণ’ প্রকল্প; ‘বরিশাল জেলার কারখান, বিঘাই এবং পায়রা নদীর ভাঙ্গন হতে শেখ হাসিনা সেনানিবাস এলাকা রক্ষা (১ম পর্যায়)’ প্রকল্প এবং ‘ঢাকা জেলার দোহার উপজেলাধীন মাজিরচর থেকে নারিশাবাজার হয়ে মোকসেদপুর পর্যন্ত পদ্মা নদী ড্রেজিং ও বাম তীর সংরক্ষণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় ছোট দ্বীপ এবং নদীর চরের জন্য অভিযোজন উদ্যোগ’ প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘মাতারবাড়ী কয়লা নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ (সওজ অংশ) (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প; ‘কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং ‘কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলা সদর হতে করিমগঞ্জ উপজেলার মরিখালি পর্যন্ত উড়াল সড়ক নির্মাণ’ প্রকল্প; নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘Establishment of Global Maritime Distress and Safety System & Integrated Maritime Navigation System (EGINS) (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘বাংলাদেশের ২৫টি শহরে অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশন (জিওবি-এআইআইবি)’ প্রকল্প এবং ‘Climate Change Adapted Urban Development Phase II (CCAUD)-Khulna’ প্রকল্প; বিদ্যুৎ বিভাগের ‘ঘোড়াশাল ৪র্থ ইউনিট রি-পাওয়ারিং (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প।
পরিকল্পনা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান; কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক; তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম; শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক; বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজি’র মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সিনিয়র সচিব ও সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
হারুন/শাম্মী/রবি/আসমা/২০২৩/১৫৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৮৪
প্রত্যন্ত অঞ্চলেও জনগণের জীবনমান সুরক্ষিত করেছে সরকার
- স্পিকার
ঢাকা, ৩ মাঘ (১৭ জানুয়ারি):
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে আজ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অন্তোনিয়েতে মোনসিও সাইয়েহ-র নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতকালে তাঁরা বাংলাদেশের উন্নয়ন, সাম্প্রতিক বৈশ্বিক সংকট, উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উত্তরণে আইএমএফ-এর সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তন, বিদ্যুৎ খাতে ভরতুকি ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টায় করোনা ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক দেশের অর্থনীতি হিমশিম খেলেও বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। দেশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নের পাশাপাশি শতভাগ বিদ্যুতায়ন, মাতৃস্বাস্থ্য সুরক্ষা, মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান, প্রায় এক কোটি মেয়ে শিক্ষার্থীদের মোবাইলে অর্থ প্রেরণের মাধ্যমে বৃত্তি প্রদান, নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, ডেল্টাপ্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। সরকার দারিদ্র্য দূরীকরণ ও খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নেয়ার পাশাপাশি হতদরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সামাজিক সুরক্ষা জালের আওতা বর্ধিতকরণ এবং টিসিবি ও ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে তাদের মাঝে খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস বিতরণের মতো নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও জনগণের জীবনমান সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে বর্তমান সরকার।
বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতির প্রশংসা করে ডিএমডি অন্তোনিয়েতে মোনসিও সাইয়েহ বলেন, আইএমএফ দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী। ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও উচ্চ আয়ের দেশে উত্তরণে আইএমএফ বাংলাদেশকে তার সহায়তা অব্যহত রাখবে। সমগ্র বিশ্ব কোভিড-১৯ এর অভিঘাতের কারণে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে, পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কঠিন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মতো উদীয়মান অর্থনৈতিক দেশগুলো মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত চাপ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংক্রান্ত নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এসকল সমস্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় আইএমএফ পাশে থাকবে বলে দৃঢ় আশ্বাস প্রদান করেন তিনি। বর্তমান সংকটকালীন সময়ে আইএমএফ বাংলাদেশকে যে ঋণ সহায়তা দিতে যাচ্ছে তা যথাসময়ে পরিশোধের সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। এক্ষেত্রে, প্রয়োজনে বিদ্যমান আইনের সংশোধন কিংবা নতুন আইন প্রণয়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন স্পিকার ।
এসময় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব, সরকারি হিসাব ও সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সাথে ভবিষ্যতে আইএমএফ প্রতিনিধিদলের সভা ও সেমিনার আয়োজনের অনুরোধ জানান স্পিকার । তিনি বলেন, আইএমএফ বাংলাদেশকে যে সহযোগিতা প্রদান করছে সে বিষয়ে সংসদ সদস্যদের আইএমএফ-এর রিসোর্স পারসন দ্বারা ওরিয়েন্টেশনের মাধ্যমে অবহিত করলে সংসদ সদস্যগণ বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। এসময় বাংলাদেশ সফরের জন্য প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন স্পিকার ।
এসময় আইএমএফ এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বাংলাদেশ ও ভুটানের আবাসিক প্রতিনিধি জয়েন্দু দে এবং সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
তারিক/পরীক্ষিৎ/শাম্মী/ইমা/২০২৩/১৪৫০ ঘণ্টা