তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৩২
দেশের প্রতিটি জেলায় ট্রেন যাবে
-- মুজিবুল হক
ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :
রেলপথ মন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেছেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার। বর্তমান সরকারের মেয়াদে রেলওয়েতে ইতিমধ্যে ৬৮টি উন্নয়ন প্রকল্প সম্পন্ন করা হয়েছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ‘রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সেবা সপ্তাহ-২০১৮’ উপলক্ষে রেলপথ মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠন করেন। তার পরিকল্পনায় রেলে ব্যাপক উন্নয়ন করা হচ্ছে। ইলেকট্রিক ট্রেন চালুর পাশাপাশি দ্রুতগতির ট্রেন চালুর সমীক্ষা চলছে। পদ্মা সেতু রেল লিংক স্থাপন কাজ দ্রুত চলছে। যমুনা নদীতে রেলব্রিজ নির্মাণকাজ শুরু হচ্ছে। দেশের প্রতিটি জেলায় ট্রেন যাবে। ‘সব জেলায় রেল যাবে, জনগণ সেবা পাবে’ সেøাগানে কাজ করছে সরকার।
রেলপথ সচিব মোঃ মোফাজ্জেল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কাজী মোঃ রফিকুল আলম।
এর আগে মন্ত্রী এবং রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ট্রেনযাত্রীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এছাড়া যাত্রীদের মধ্যে চকোলেট ও সচেতনমূলক প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়।
#
শরিফুল/মাহমুদ/জাহাঙ্গীর/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৩১
বাজার তদারকি
৯৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ১২ হাজার টাকা জরিমানা
ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, রাজশাহী, বাগেরহাট, ফেনী, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মুন্সীগঞ্জ, ময়মনসিংহ, ভোলা, কুমিল্লা, খুলনা, নেত্রকোণা, বান্দরবান, ফরিদপুর, ঝালকাঠি, বরিশাল, সিলেট, গাইবান্ধা, টাঙ্গাইল, বগুড়া, হবিগঞ্জ, নোয়াখালী, শরীয়তপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, পটুয়াখালী, কুষ্টিয়া ও মৌলভীবাজারে গতকাল বাজার তদারকি করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মোবাইল দলের সাথে প্রধান কার্যালয়ের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগরীর শাহজাহানপুর এলাকায় পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে মজিবর ফ্রুটকে এক হাজার টাকা ও সিরাজ ফ্রুট স্টোরকে এক হাজার টাকাসহ মোট দুই হাজার টাকা এবং ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগরীর ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুর এলাকায় বাজার তদারকি পরিচালনা করা হয়। বাজার তদারকিকালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরির অপরাধে পিজ্জা স্কয়ারকে ৮০ হাজার টাকা ও স্কাই রেস্টুরেন্টকে ২৫ হাজার টাকা, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে চাঁদপুর এন্টারপ্রাইজকে ১০ হাজার টাকা, তুহিন সুপার স্টোরকে ১০ হাজার টাকা, মজিবর স্টোরকে ১০ হাজার টাকা ও হক ব্রেড এন্ড ফুড প্লাজাকে ২০ হাজার টাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রির অপরাধে জনতা ফার্মেসীকে ২০ হাজার টাকা ও আমেরিকান বার্গার ক্যাফেকে ২০ হাজার টাকা, ওজনে কারচুপির অপরাধে আল্লাহর দান মিষ্টির দোকানকে আট হাজার টাকা এবং প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করার অপরাধে কিং চনপেচতিওনের্যকে ২০ হাজার টাকাসহ মোট ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী ৩২টি জেলায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্যপণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবাগ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্য, অবহেলা দ্বারা সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ঘটানো, পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৮৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪শ’ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় ও পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে দু’টি প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং দু’জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫ শতাংশ হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
গত ৩ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে ৩৫টি বাজার তদারকি ও দু’টি অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ৯৮টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৬ লাখ ১২ হাজার ৪শ’ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। আদায়কৃত জরিমানা হতে দু’জন অভিযোগকারীকে ৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান ও জেলা পুলিশ, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ক্যাব এসব তদারকি কার্যে সহায়তা প্রদান করেন।
#
আফরোজা/মাহমুদ/সঞ্জীব/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯০৭ ঘণ্টা তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৩০
বাংলাদেশের নাগরিকরা চীনে অন অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা পাবে
ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :
এখন থেকে বাংলাদেশের নাগরিকরা চীনে অন অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা পাবে। বাংলাদেশের সাধারণ পাসপোর্টধারী নাগরিকদেরকে Visa on Arrival প্রদানের জন্য বাংলাদে‡ki অনুরোধের প্রেক্ষিতে ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত ৩০ নভেম্বর নোট ভার্বাল প্রেরণ করে জানিয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিকরা চীনে Port Visa/Visa on Arrival myweav cv‡e। জরুরি মানবিক প্রয়োজনে কারো চীনে গমনের প্রয়োজন হলে, জরুরি কাজে বা ব্যবসার প্রয়োজনে চীনে যাওয়ার জন্য কারো আমন্ত্রণপত্র থাকলে, মেরামত কাজের জন্য অথবা অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে, চাইনিজ ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে ট্যুরিস্ট হিসেবে চীনে গমন করলে সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দরে 'Port Visa' i জন¨ আবেদন K‡i wfmv jvf Kiv hv‡e। চীনের 'Port Visa' cÖwZevi ভ্রমণের শর্তে ৩০ দিনের মেয়াদে প্রদান করা হq।
এছাড়া বর্তমানে সকল প্রকারের পাসপোর্টধারীদের জন্য মালদ্বীপের সাথে বাংলাদেশের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি কার্যকর রয়েছে। অফিসিয়াল, ডিপ্লোম্যাটিক উভয় পাসপোর্টধারীদের জন্য সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, কোরিয়া, মিয়ানমার, চিলি, লাওস, বেলারুশ, কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, কুয়েত, রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, তুরস্ক, ভারত ও চীনের সাথে বাংলাদেশের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি কার্যকর আছে। শুধু ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্টধারীদের জন্য জাপান, থাইল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি রয়েছে। এছাড়া ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশি নাগরিকদেরকে ভিসা ব্যতীত স্বল্পমেয়াদে ভ্রমণের সুবিধা প্রদান করে থাকে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।
#
শরীফ/মাহমুদ/রফিকুল/রেজাউল/২০১৮/১৭৫৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২২৮