তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৩১
কলকাতায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
কলকাতা (২১ ফেব্রুয়ারি) :
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদায় আজ মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে।
একুশের প্রথম প্রহরে উপ-হাইকমিশন চত্বরে ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন উপ-হাইকমিশনর জকি আহাদ। এরপর শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতের পর বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন আয়োজিত প্রভাতফেরি শুরু হয়। প্রভাতফেরি সোহরাওয়ার্দী এভিনিউয়ে বাংলাদেশ গ্রন্থাগার ও তথ্যকেন্দ্র থেকে শুরু হয়ে উপ-হাইকমিশন চত্বরে এসে শেষ হয়। কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাদের পরিবারের সদস্যগণ, কলকাতায় অবস্থানরত বাংলাদেশের নাগরিকবৃন্দ, কলকাতার ভাষাপ্রেমী এবং বিভিন্ন নাট্য সংগঠনের সভ্যবৃন্দ প্রভাতফেরিতে অংশগ্রহণ করেন।
প্রভাতফেরি শেষে উপ-হাইকমিশনে অবস্থিত শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পার্ঘ্য অপর্ণ করা হয়। এরপর মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনানো হয়।
বিকেলে উপ-হাইকমিশনে এক বহুভাষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কলকাতায় বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট প্রতিনিধিগণ এতে নিজ নিজ ভাষায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করেন। এদের মধ্যে ছিল ফ্রান্স, রাশিয়া, নেপাল, ভূটান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির কনস্যুলেট। উক্ত অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন স¦াধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী শাহীন সামাদ এবং কলকাতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
#
মোফাকখারুল/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/২০৩৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৩০
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয়
ফুটবল টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্ব শুরু আগামীকাল
ঢাকা, ৯ ফাল্গুন (২১ ফেব্রুয়ারি) :
আগামীকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছেলেদের জন্য ৭ম বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৬ এবং মেয়েদের জন্য ৬ষ্ঠ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৬ এর জাতীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত পর্বের খেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ দু’টি টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্যায়ের খেলায় ৭টি বিভাগের চ্যাম্পিয়ন ১৪টি দল অংশগ্রহণ করবে। প্রতিটি খেলা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে সকাল ৯টায় এ টুর্নামেন্ট দু’টির জাতীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত খেলার উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তাবৃন্দসহ মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ দপ্তরসমূহের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এ বছর বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৪ হাজার ২৬০টি ও অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড় ১০ লাখ ৯২ হাজার ৪২০ জন এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৪ হাজার ১৯৬টি ও অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়ের সংখ্যা ১০ লাখ ৯১ হাজার ৩৩২ জন। এ প্রতিযোগিতায় ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু হয়ে উপজেলা, জেলা ও বিভাগ হয়ে জাতীয় পর্যায়ে চলে এসেছে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সম্মেলন কক্ষে আগামীকাল দুপুর ২টায় উদ্বোধন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
আগামী ২ মার্চ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এ টুর্নামেন্ট দু’টির ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফাইনাল খেলায় উপস্থিত থেকে চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলের মধ্যে ট্রফি বিতরণ করবেন।
#
রবীন্দ্রনাথ/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫২৯
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে মহান শহিদ দিবস উদ্যাপিত
নিউইয়র্ক (২১ ফেব্রুয়ারি) :
আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়।
মিশনের বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৩০ মিনিট থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহর পর্যন্ত আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের শুরু হয় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের স্বাগত ভাষণের মধ্য দিয়ে। এরপর বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে স্থাপিত অস্থায়ী শহিদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে ভাষা শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে দেয়া রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। রাত সাড়ে দশটার পর শুরু হয় শহিদ দিবস উপলক্ষে উন্মুক্ত আলোচনা।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও কলামিস্টসহ বিভিন্ন পেশার বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাঙালির উপস্থিতিতে নিউইয়র্ক সময় ২১শে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে মিশনস্থ অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহিদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়। রাত ১২টা ১মিনিটে মিশনে স্থাপিত শহিদ মিনারে স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেনের নেতৃত্বে মিশনের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তারপর কনস্যুলেট জেনারেল অফিস, সোনালী এক্সচেঞ্জ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শেখ হাসিনা মঞ্চ ইন্ক, শেখ রাসেল শিশু-কিশোর সংস্থা, গোপালগঞ্জ জেলা সমিতিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এবং উপস্থিত প্রবাসী বাঙালিগণ শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে দেওয়া স্বাগত ভাষণে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। বীর বাঙালি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার লাল সূর্য।
তিনি প্রবাসী বাঙালিদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা বাংলাদেশের শুভেচ্ছা দূত। পারিবারিক ও সামাজিকভাবে মাতৃভাষা বাংলার চর্চা এবং বাংলা সংস্কৃতি লালন ও ধারণের মাধ্যমে আপনারা প্রবাসে মহান একুশের চেতনাকে আরো ছড়িয়ে দিতে পারেন।
উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে উঠে আসে ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, ভাষা শহিদদের গৌরবগাঁথা, একুশের চেতনা ও আবহমান বাঙালি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিভিন্ন দিক। বক্তাগণ মহান একুশের চেতনাকে ধারণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ ও জাতির উন্নয়নকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সুধিজনদের বক্তৃতায় নতুন প্রজন্মকে মহান ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে আরো ব্যাপকভাবে জানতে এবং এরই আলোকে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতে উদ্বুদ্ধ করা হয়।
#
মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫২৮
কারা সপ্তাহ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৯ ফাল্গুন (২১ ফেব্রুয়ারি) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারা সপ্তাহ ২০১৭ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“ ‘কারা সপ্তাহ ২০১৭’ উদ্যাপন উপলক্ষে আমি কারা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কারাবন্দিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
কারাগার একটি নিরাপত্তামূলক প্রতিষ্ঠান। কারাগার সংশোধনাগার হিসেবে ‘বন্দির হাতকে কর্মীর হাতে’ রূপান্তর করে থাকে। বন্দিদের সাজা কার্যকর করার পাশাপাশি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের চারিত্রিক সংশোধন এবং স¦াভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ কারা বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স¦াধীনতার পর ৪টি কেন্দ্রীয় কারাগার, ১৩টি জেলা কারাগার এবং ৪২টি উপ-কারাগার নিয়ে কারা বিভাগ গঠন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার উপ-কারাগারগুলোকে জেলা কারাগার হিসেবে ঘোষণা করে।
২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর আমরা দেশের কারাগারগুলোর উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করি। আমরা কারাগারকে বন্দি সংশোধনাগার হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। গত ৮ বছরে আমরা নতুন ১৩টি কারাগার নির্মাণ করেছি। নতুন আরো ৮টি কারাগার নির্মাণের কাজ চলছে। ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারকে কেরাণীগঞ্জে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ কারাগারকে আরো আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত করে গড়ে তোলা হয়েছে। আমরা কারা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও বন্দিদের জন্য প্রশিক্ষণ স্কুল চালু করেছি। কারাগারসমূহে কুটির শিল্প ও বেকারি স্থাপন করা হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন ও অফিসার্স মেস নির্মাণ এবং আইসিটি ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়েছে।
আমাদের সরকার ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ‘কারা প্রশিক্ষণ একাডেমি’ স্থাপন, ‘কারা নিরাপত্তা আধুনিকায়ন প্রকল্প’, ‘মহিলা কারারক্ষীদের আবাসন নির্মাণ প্রকল্প’ এবং ‘ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগার সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ প্রকল্প’ গ্রহণ করে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে।
আমি আশা করি, কারা বিভাগ কঠোর নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার মাধ্যমে বন্দিদের নিরাপদ আটক নিশ্চিত করবে। কারাবন্দিদের বাসস্থান, খাদ্য, চিকিৎসা, আত্মীয়-স¦জন, বন্ধু-বান্ধব ও আইনজীবীর সাথে সাক্ষাৎ নিশ্চিত করাসহ তাদের প্রতি মানবিক আচরণ সমুন্নত রাখতে আরো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
আমি বাংলাদেশ কারা বিভাগের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও ‘কারা সপ্তাহ -২০১৭’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশে চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৭৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫২৭
কারা সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৯ ফাল্গুন (২১ ফেব্রুয়ারি) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ কারা সপ্তাহ ২০১৭ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“কারা সপ্তাহ ২০১৭ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি কারা বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
অপরাধমুক্ত সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে নিরাপত্তা ও সংশোধনমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কারাগার বিশ্বব্যাপী পরিচিত। কারাগার বন্দিদের শাস্তি কার্যকর করার পাশাপাশি সংশোধন কেন্দ্রও বটে। অপরাধীরাও মানুষ। তাদের যথোপযুক্ত শিক্ষা এবং বিভিন্ন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। বন্দিজীবন শেষে সমাজে সুনাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ও পুনর্বাসিত করার লক্ষ্যে কারাগার সংশোধনাগার হিসেবে কাজ করে। বর্তমান কারা ব্যবস্থাপনা বন্দিদেরকে নিরাপত্তা সহকারে কারাগারে আটক রেখে সংশোধন ও পুনর্বাসনের লক্ষ্যে কাজ করে সেবার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ভবিষ্যতে এ ধারা আরো ত্বরান্বিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।
কারা অধিদপ্তরকে আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর, জনবান্ধব ও সংশোধনমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার খুবই আন্তরিক। এ ক্ষেত্রে পেশাগত দক্ষতা ও উৎকর্ষ কাজে লাগিয়ে কারা প্রশাসন বন্দিদের অধিকার সমুন্নত রাখার পাশাপাশি নিরাপত্তা ও সংশোধনমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
আমি ‘কারা সপ্তাহ-২০১৭’ উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৭৩০ঘণ্টা