Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩০ জুলাই ২০১৬

তথ্যবিবরণী 30/7/2016

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২৩৯৬

ঢাকা-সিলেট রুটে বাস সার্ভিস উদ্বোধন

ঢাকা, ১৫ই শ্রাবণ (৩০শে জুলাই):

    সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পরিবহণ এবং সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। যানজট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বড় বড় সেতু, মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করা, মেট্রোরেল, উড়াল সড়ক, উড়ালসেতু নির্মাণ করে যানজট কমবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর ফুটপাত পথচারীদের চলাচলের জন্য ফিরিয়ে দেয়া না হবে এবং ছোট আকারের পরিবহণ নিয়ন্ত্রণ করা না যাবে।

    মন্ত্রী আজ ঢাকায় মহাখালী বাস টার্মিনালে ঢাকা-সিলেট রুটে চলাচলের জন্য আরামদায়ক এবং অভিজাত বাস সার্ভিস উদ্বোধনকালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক এবং স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

    সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী ২০২০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা বর্তমানের চেয়ে অর্ধেকে নামিয়ে আনতে সরকারের টার্গেট অর্জনে পরিবহণ মালিক-শ্রমিকসহ সকল অংশীজনের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

    নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, নৌ দুর্ঘটনার সংখ্যা ক্রমশ কমে আসছে। মন্ত্রণালয় গৃহীত ব্যবস্থার ফলে ২০১৬ সালে কোনো নৌ দুর্ঘটনা ঘটবে না বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।  

    এনা পরিবহণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)’র  চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি এবং শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

    পরে মন্ত্রী এনা পরিবহণের কোরিয়া থেকে আমদানিকৃত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ছয়টি বাস ঢাকা-সিলেট রুটে যাত্রী পরিবহণের জন্য উদ্বোধন করেন।

#

নাছের/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৯৩০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ২৩৯৫
উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ত্রাণের অভাব নেই
                                                          ---ত্রাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ই শ্রাবণ (৩০শে জুলাই) :
    দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম বলেছেন, উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ত্রাণের অভাব নেই। প্রত্যেক জেলায় চাহিদার চেয়েও বেশি খাদ্যশস্য, নগদ টাকা  ও ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। জেলা পর্যায় থেকে নতুন চাহিদা আসার সাথে সাথেই বরাদ্দ দেয়ার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরকে খাদ্যশস্য ও নগদ অর্থ দেয়া আছে। এ পর্যন্ত মন্ত্রণালয় থেকে ১৩ হাজার মেট্রিক টন চাল, নগদ ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা ছাড় করা হয়েছে। এর বাইরে ত্রাণ সামগ্রীর ৮ হাজার প্যাকেট ও পর্যাপ্ত পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট প্লাবিত জেলাসমূহে পাঠানো হয়েছে।
    তিনি আজ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনকালে এ তথ্য জানান। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. শাহ্ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
    মন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত বন্যা প্লাবিত ১৬ জেলার ৫৯ উপজেলার ৩০৯ ইউনিয়নের ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৪৯৬টি পরিবারের ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬১৫ জন মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব মানুষকে আশ্রয় দেয়ার জন্য ৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এখানে ৭ হাজার ৩৭৫ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রয়োজনে আরও আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হবে এবং বন্যার পানি নেমে না যাওয়া পর্যন্ত তাদের সেখানে থাকা-খাওয়া ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। বন্যা প্লাবিত এলাকায় এখন পর্যন্ত ৩৬৪টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। সংবাদকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত বন্যায় বিভিন্ন কারণে ১৪ জন লোক মারা গেছেন। এর মধ্যে রংপুুরে ১ জন, কুড়িগ্রামে ২ জন, গাইবান্ধায় ৪ জন এবং জামালপুরে ৭ জন।
    জনাব মায়া বলেন, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে প্রত্যেক জেলার ত্রাণ তৎপরতা মনিটরিং করার জন্য জেলাভিত্তিক একটি করে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। এরা প্রতিদিনের বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন, ত্রাণ তৎপরতায় অংশগ্রহণ করবেন এবং প্রতিদিনের প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবেন। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন সরকার প্লাবিত এলাকার প্রত্যেকটি অভাবী মানুষকে চাহিদামতো ত্রাণ সহায়তা, নগদ অর্থ, আশ্রয় ও চিকিৎসা দিতে চায়। এসব কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পরিচালনার জন্য সরকার এ মনিটরিং টিম গঠন করেছে।
    উত্তরাঞ্চলের পানি দক্ষিণে নেমে আসার সাথে সাথে মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ি, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, চাঁদপুর, লক্ষীপুর ও বরিশালসহ নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয় এসব এলাকার বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। তিনি বলেন, বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। ইতোমধ্যে উত্তরাঞ্চলের পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমার সাথে সাথে তাদের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট মেরামত ও পুনর্বাসনের পদক্ষেপ নেয়া হবে।
    বন্যা প্লাবিত এলাকার মানুষদের দুর্দশা লাঘবে সরকারের পাশাপাশি দলমত নির্বিশেষে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
#
ওমর ফারুক/আফরাজ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/১৯১৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ২৩৯৪

শিক্ষার্থীদের আচার-আচরণ মনিটরিং করতে হবে
                                        -- শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ই শ্রাবণ (৩০শে জুলাই):

    শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে নিয়মিত  যোগাযোগের ওপর জোর দিয়ে বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে অননুমোদিতভাবে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী হামলা ও জঙ্গি তৎপরতায় লিপ্ত হচ্ছে বলে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় দেখা যাচ্ছে।  তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত উপস্থিতি, আচার-আচরণ, চলাফেরা মনিটরিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এ ধরনের বিপথগামিতা রোধ করা সম্ভব।

    মন্ত্রী আজ ঢাকার সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে কারিগরি শিক্ষকদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তৃতায় একথা বলেন।

    জনাব নাহিদ বলেন, গতানুগতিক সনদসর্বস্ব লেখাপড়া থেকে বেকারত্বের হতাশাগ্রস্ত তরুণদের অসামাজিক কর্মকা-ে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কারিগরি শিক্ষায়  বেকার সৃষ্টির  কোনো আশঙ্কা নেই। আর তাই বর্তমান সরকার যুগোপযোগী কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক প্রসারে কাজ করে যাচ্ছে।

    মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী কর্মকা-ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হতে দেখা যাচ্ছে।  এ প্রেক্ষিতে দেশের সাত হাজার কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা বিধানে বিশেষ নজরদারি রাখার জন্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।    

    শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইনস্টিটিউট অভ্ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ এর সভাপতি এ কে এম এ হামিদ এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক  মো. মিজানুর রহমান বক্তৃতা করেন।  অনুষ্ঠানে সরকারি ও  বেসরকারি ডিপ্লোমা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট  থেকে প্রায় পাঁচশ’ প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কারিগরি শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার  প্রেক্ষিতে তাদের প্রতিষ্ঠানে গৃহীত বিভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে ধরেন।
    
#

সাইফুল্লাহ/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৮৩০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২৩৯৩

জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ
                                  -- ভূমিমন্ত্রী

পাবনা, ১৫ই শ্রাবণ (৩০শে জুলাই):

    ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস থেকে জাতিকে মুক্ত করতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। জঙ্গিদের যেখানেই পাবেন সেখান থেকে টেনে বের করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি ।

    আজ পাবনায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

    মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি পাড়ায়, মহল্লায়, ওয়ার্ডে জঙ্গি নির্মূল সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তুলতে হবে। ধর্মের নামে যারা সন্ত্রাসী কর্মকা- চালাচ্ছে, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, হোটেল রেস্তোরাঁয় হত্যাকা- চালাচ্ছে তাদের বিচার এ মাটিতেই হবে। এদেশের মাটি থেকে জঙ্গিবাদ চিরতরে উৎখাত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের সোচ্চার হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

    সন্তানরা যাতে অনৈতিক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কাজে জড়িত হতে যাতে না পারে সেদিকে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

    সভায় অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য  গোলাম ফারুক প্রিন্স, মকবুল হোসেন ও আজিজুল হক আরজু এবং জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল রহিম লালসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#


রেজুয়ান/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৭৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ২৩৯২

জঙ্গিবাদীরা সা¤্রাজ্যবাদী শক্তির অনুপ্রবেশ ঘটাতে চাইছে
                                          --- পর্যটন মন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ই শ্রাবণ (৩০শে জুলাই) :
    বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ধর্মান্ধ, উগ্রবাদী গোষ্ঠী জঙ্গিবাদের আন্তর্জাতিকীকরণের মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দিতে চায়, মুক্তবুদ্ধি ও মুক্ত জ্ঞানচর্চার বিকাশ রুদ্ধ করতে চায় এবং  সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতে চায়। তাই এদের অশুভ তৎপরতাসহ যেকোন ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিয়ে স্বাধীনতা গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
    মন্ত্রী আজ বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে বাংলাদেশ গণশিল্পী সংস্থার ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
    মন্ত্রী বলেন, উগ্রবাদীরা বিভাজনের মাধ্যমে সামাজিক সাম্য ধ্বংস করতে চাইছে, মানুষের মূল্যবোধ ও মানবিক অনুভূতিকে গলা টিপে ধরেছে, রক্তাক্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাঙালির অর্জনগুলোকে শেষ করে দিতে চাইছে। এর বিরুদ্ধে আর একটি মুক্তিসংগ্রামে সবাইকে শামিল হতে হবে।  
    খ ম সাঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, খায়রুল আলম সবুজ, অধ্যাপক মলয় ভৌমিক, সুরকার ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী সুজেয় শ্যাম এবং লেখক ও গবেষক রেজা শামসুর রহমান।
জঙ্গিবাদ ও মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে তরুণদের সচেতন থাকতে হবে
    বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী রাশদ খান মেনন বলেছেন, জঙ্গিবাদ ও মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে তরুণদের সচেতন থাকতে হবে। কেননা মাদকাশক্তি যেমন তরুণের মেধা, সৃজনী শক্তি ও  অনুভূতি নিঃশেষ করে দেয় জঙ্গিবাদও তরুণকে বিপথগামী করে। তারুণ্যকে নির্মমতা ও নৃসংতার দিকে ঠেলে দেয়।
    মন্ত্রী আজ রাজধানীর পল্টন গার্লস কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।  অন্যান্যের মধ্যে এতে বক্তব্য রাখেন কলেজের গভর্নিং বোর্ডের সভাপতি আলহাজ ই¯্রাফিল এবং কলেজের প্রিন্সিপাল
ড. মর্তুজা আলী ম-ল।
#
তুহিন/আফরাজ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/১৭৪০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২৩৯১

সেকায়েপ প্রকল্পের পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির সম্মাননা বিতরণ

ঢাকা, ১৫ই শ্রাবণ (৩০শে জুলাই) :
    শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, সমাজকে সত্যিকারের জ্ঞানে আলোকিত করে জঙ্গিবাদসহ সকল অপশক্তি প্রতিরোধ করা সম্ভব। আলোকিত সমাজে কখনো এই ধরনের অপশক্তি ঠাঁই পাবে না। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কার্যক্রম এক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে।

    আজ ঢাকায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র পরিচালিত সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি এন্ড অ্যাকসেস এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (সেকায়েপ)-এর পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি’র সেরা সংগঠক সম্মাননা পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা বলেন।  

    মন্ত্রী গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ও শোলাকিয়া ঈদের জামাতে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি এদেশের অগ্রগতি, সমৃদ্ধি কখনো মেনে নিতে পারেনি। এ অপশক্তি তাদের হীন উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য শান্তির ধর্ম ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে যুব সমাজকে বিভ্রান্ত ও বিপথগামী করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

    তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। সারাদেশে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে সব ধরনের অপশক্তি ও অপসংস্কৃৃতি প্রতিহত করা সম্ভব বলে সরকার বিশ্বাস করে।

    শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস এম ্ওয়াহিদুজ্জামান এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি প্রফেসর আবদুল্লাহ আবু সায়ীদও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। সেকায়েপ প্রকল্প পরিচালক ড. মাহমুদুল-উল-হক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

    অনুষ্ঠানে ঢাকা বিভাগের পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির ১৫৩ জন সংগঠককে পুরস্কৃত করা হয়। উল্লেখ্য বর্তমানে সারাদেশে ২৫০টি উপজেলায় ১১ হাজার ৮০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেকায়েপ’র সহায়তায় পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির সংগঠকদের উৎসাহিত করতে ২০১৩ সন থেকে সেরা সংগঠকদের পুরস্কৃত করা হচ্ছে।
#
সাইফুল্লাহ/আফরাজ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/১৭৫৩ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ২৩৮৯

জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১৫ই শ্রাবণ (৩০শে জুলাই) :
    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০১৬ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
    ‘‘প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারাদেশে ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০১৬’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
    বৃক্ষ, পরিবেশ ও প্রকৃতি জীব জগতের পরম বন্ধু। বৃক্ষ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি মানুষের জীবন ও জীবিকা নির্বাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বেঁচে থাকার অতি প্রয়োজনীয় উপাদান অক্সিজেন আসে বৃক্ষ থেকে। তাছাড়া খরা, অতিবৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস প্রতিরোধে বৃক্ষের ভূমিকা অপরিসীম। গাছ ছাড়া পৃথিবীতে বসবাস করাই সম্ভব নয়। মানুষের জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বৃক্ষের অবদান অনস¦ীকার্য। এ পরিপ্রেক্ষিতে এ বছরের বৃক্ষরোপণ অভিযান উপলক্ষে গৃহীত প্রতিপাদ্য ‘জীবিকার জন্য গাছ, জীবনের জন্য গাছ’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
    সুজলা, সুফলা শস্য-শ্যামলা আমাদের এই প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশ। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, খাদ্য, জ্বালানি, বাসস্থান, আধুনিক জীবনের জন্য কাঠভিত্তিক আসবাবপত্রের চাহিদা পূরণ, নতুন নতুন কলকারখানা স্থাপন ও সময়ের চাহিদা পূরণে কাঠের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দেশের বনাঞ্চল হ্রাস পাচ্ছে। এর ফলে আমাদের পরিবেশের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। দেশের বনভূমি বৃদ্ধির পাশাপাশি পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখতে আমি বৃক্ষরোপণ অভিযানকে সার্থক ও সফল করার জন্য বৃক্ষরোপণে অংশ নিতে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই।
    ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০১৫’ এবং বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও উন্নয়নে অবদান রাখার স¦ীকৃতিস্বরূপ যারা ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন-২০১৬’ প্রাপ্ত হয়েছেন আমি তাঁদেরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। আমার বিশ্বাস এ অর্জন দেশের আপামর জনগণকে বৃক্ষ রোপণ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে উৎসাহিত করবে। নতুন ও আগামী প্রজন্মের জন্য সুন্দর ও নিরাপদ বাসযোগ্য পরিবেশ রেখে যেতে একযোগে কাজ করি-এটাই হোক এবারের জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০১৬ এর অঙ্গীকার।
    আমি জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০১৬ এর সাফল্য কামনা করি।
    খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/আফরাজ/সঞ্জীব/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/১৭০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২৩৯০

জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ১৫ই শ্রাবণ (৩০শে জুলাই):
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০১৬ উদযাপন উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
    ‘‘প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বৃক্ষরোপণ, সংরক্ষণ ও পরিচর্যা বিষয়ে দেশের জনগণকে আগ্রহী ও সচেতন করে তুলতে সারাদেশে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০১৬ উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
    জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার এবারের প্রতিপাদ্য ‘জীবিকার জন্য গাছ, জীবনের জন্য গাছ’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
    জীবন ও জীবিকার জন্য বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা বাঁচার জন্য অক্সিজেন পাই বৃক্ষ হতে। গাছ বায়ুম-লের কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে এবং নিজ দেহে জমা রেখে পৃথিবীর কার্বন চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে। মানুষের  মৌলিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি পরিবেশের উন্নয়ন ও দারিদ্র্যবিমোচনে অনাদিকাল  থেকে বৃক্ষ অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে।
    বনায়ন একটি উৎপাদনশীল ক্ষেত্র। জনগণকে সম্পৃক্ত করে সৃষ্ট সামাজিক বনায়ন দরিদ্র জনগণের জীবিকার দ্বার উন্মোচিত করেছে। পরিবারের আয় বৃদ্ধি করেছে। সামাজিক বনায়নের সাথে সম্পর্কিত পরিবারগুলো দিন দিন স¦াবলম্বী হয়ে উঠছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও দারিদ্র্যবিমোচনের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নির্মল পরিবেশ সৃষ্টিতেও সামাজিক বনায়ন তাৎপর্যপূর্ণ অবদান  রেখে চলেছে।
    বাংলাদেশ  বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ  দেশগুলোর অন্যতম। জলবায়ু পরিবর্তনের মূলে রয়েছে অধিক মাত্রায় কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ। বৃক্ষ বায়ুম-লের তাপমাত্রা হ্রাস করে জীবের জন্য বসবাস উপযোগী ধরণী সৃষ্টি করে। ঝড়-ঝঞ্ঝা ও জলোচ্ছ্বাসের তীব্রতা হ্রাস করে জীবন ও সম্পদ রক্ষা করে। দূষণমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির চালিকাশক্তিও বৃক্ষ। তাই বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সমৃদ্ধ সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তোলা একান্তভাবে প্রয়োজন।
    আমাদের সরকার জলবায়ুর পরিবর্তন রোধ, পরিবেশের উন্নয়ন এবং সম্পদ সৃজনে বৃক্ষের অবদান অনুধাবন করে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এ লক্ষ্যে সারা দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় বৃক্ষমেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এ কার্যক্রমকে সার্থক করে তুলতে বাড়ির আঙিনা ও চারপাশ, পতিত ও প্রান্তিক ভূমি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জলাশয়, খাল ও রাস্তার পাশে বৃক্ষরোপণ করে সবুজায়নের এ মহৎ উদ্যোগে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য আমি সবাইকে উদাত্ত আহ্বান জানাই।
    এ বছর যাঁরা ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০১৫’, ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন ২০১৬’ এবং  যে সকল উপকারভোগী সামাজিক বনায়নে লভ্যাংশ পেয়েছেন আমি তাঁদের সকলকে অভিনন্দন জানাই। বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় তাঁদের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে আমার প্রত্যাশা।
    আমি জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও  বৃক্ষমেলা ২০১৬ এর সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী  হোক।’’
#
মিনা/আফরাজ/মোশারফ/সেলিম/২০১৬/১৭০১ ঘণ্টা  

 

Todays handout (9).doc