Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৬ মার্চ ২০১৮

তথ্যবিবরণী 25/03/2018

তথ্যবিবরণী                                                              নম্বর :  ৯৮০
 
লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে গণহত্যা দিবস পালন 
 
লন্ডন (যুক্তরাজ্য), ২৫ মার্চ :
 
লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদায় গণহত্যা দিবস পালন করেছে। দিবসটি পালনের অংশ হিসেবে হাইকমিশনে আজ সকাল ১১টায় দিবসটির তাৎপর্য বিষয়ে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহ্রিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বাংলা প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। 
 
আলোচনা অনুষ্ঠানে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শুনানো হয়।
 
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক নিরীহ বাঙালিদের ওপর বর্বরোচিত, নৃশংস এবং নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কথা স্মরণ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যে স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি তার জন্য ত্রিশ লক্ষাধিক মুক্তিযোদ্ধার রক্ত এবং দুই লক্ষাধিক মা-বোনকে ইজ্জত দিতে হয়েছে। অনেক মূল্যে পাওয়া এ স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্যার্জনে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি এ দিবসের প্রকৃত ঘটনা স্বাগতিক দেশে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ অন্যতম আলোচক হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন। 
 
হাইকমিশনার মোঃ নাজমুল কাওনাইন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গ, গণহত্যায় নিহতদের ও মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতা বাঙালি জাতির ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। আর এ অর্জন করতে গিয়ে আমাদের ত্রিশ লক্ষাধিক মুক্তিযোদ্ধা আত্মোৎসর্গ করেছেন ও দুই লক্ষাধিক মা-বোন ইজ্জত দিয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দিবসটিকে গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা, দিবসের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য বিষয়ে আলোকপাত করেন। 
#
 
সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১০.০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                          নম্বর :  ৯৭৯
দক্ষিণ কোরিয়ায় গণহত্যা দিবস পালিত
সিউল (কোরিয়া), ২৫ মার্চ :
আজ ২৫ মার্চ সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও কিয়ংহি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ কমিউনিটির যৌথ আয়োজনে ইয়ংইনে অবস্থিত কিয়ংহি বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে গণহত্যা দিবস পালন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ছাড়াও কোরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিগণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদসহ বেশকিছু বিদেশি অতিথি অংশগ্রহণ করেন। 
সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর পবিত্র কোরআন, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক থেকে পাঠ করা হয়। পরে মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।  সেই সাথে মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। সূচনা বক্তব্যে দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) দিবসটির প্রেক্ষাপট এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এর স্বীকৃতির বিষয়ে আলোকপাত করেন। দূতাবাসের কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর দেয়া  বাণী পড়ে শোনান। এরপর ২৫ মার্চের কালোরাতের ওপর ‘ঞধষব ড়ভ ঃযব উধৎশবংঃ ঘরমযঃ’  শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়, যা উপস্থিত সকলকে ভীষণভাবে নাড়া দেয়। 
গণহত্যা দিবসের পটভূমি ও তাৎপর্যের ওপর আলোচনা পর্বে অংশ নিয়ে উপস্থিত অতিথিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদ এবং সম্ভ্রম হারানো ২ লাখ মা-বোনের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে যার যার অবস্থান থেকে  সচেতনতা সৃষ্টির ব্যাপারেও তারা অঙ্গীকার করেন ।
কিয়ংহি বিশ্ববিদ্যালয়ের  অধ্যাপক ইয়ং-জে মুন বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে এমন ভয়াবহ গণহত্যা সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। অনুষ্ঠানে এসে তিনি বাংলাদেশের গণহত্যা সম্পর্কে ধারণা পেলেন বলে জানান।  একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জনাব চুং স্যন হং তার বক্তব্যে বাংলাদেশ এবং কোরিয়ার ইতিহাসের সাদৃশ্যের দিকটি তুলে ধরেন ।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদ এবং নির্যাতিতা ২ লাখ মা-বোনের  প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের গণহত্যা সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের যেসব সংবাদ বিশ্ব মতামতকে প্রভাবিত করেছিল, সে বিষয়গুলো তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন, গণহত্যা নিয়ে পাকিস্তানের মিথ্যাচার অব্যাহত রয়েছে। তা প্রতিহত করা এবং সেই সাথে ২৫ মার্চ সহ ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদের আত্মার শান্তির জন্য এই স্বীকৃতি প্রয়োজন। এই লক্ষ্যে তিনি উপস্থিত  সকলকে এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানান।
এছাড়া গণহত্যা দিবস সম্পর্কে  সচেতনতা তৈরির জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে একাত্তরের গণহত্যার কিছু স্থিরচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং গণহত্যার ওপর ইধহমষধফবংয এবহড়পরফব জবারংরঃবফ শীর্ষক পুস্তিকাটির ১৫০ কপি উপস্থিত অতিথিদের মাঝে বিতরণ করা হয়। আলোচনা পর্ব শেষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। শেষে আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
#
সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২১২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                          নম্বর :  ৯৭৮
 
গণহত্যা দিবস উপলক্ষে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল
 
ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :
 
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন উপলক্ষে আজ গণযোগাযোগ অধিদপ্তরে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। 
 
আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ জাকির হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের পরিচালক মাহবুবে জামিল, পরিচালক মোঃ জসীম উদ্দিন ও মোঃ শাহেনুর মিয়া, উপপরিচালক গাজী জাকির হোসেন, কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোঃ নুরুল আমিন এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ রোকনুজ্জামান। 
 
সভাপতির বক্তব্যে মহাপরিচালক বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাঙালি জাতির জীবনে এক বিভীষিকাময় বেদনাবিধুর রাত। এমন হত্যাকা- পৃথিবীর ইতিহাসে এক ঘৃণ্যতম গণহত্যার নজির হয়ে আছে। গণহত্যা দিবস অচিরেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
 
এর আগে গণহত্যার ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।  আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের সকলস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
 
#
 
জাকির/সেলিম/ফারহানা/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০২০ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                  নম্বর : ৯৭৭
 
মুম্বাই উপ-হাইকমিশনে গণহত্যা দিবস পালিত
 
মুম্বাই (ভারত), ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :
 
ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস গণহত্যার ভয়াবহতা স্মরণ এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এর বিচারের দাবি নিয়ে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন মুম্বাই যথাযোগ্য মর্যাদায় গণহত্যা দিবস পালন করে। 
 
অনুষ্ঠানটিতে উপ-হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাদের পরিবারবর্গ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীর গণহত্যার ওপর নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের প্রথম চলচ্চিত্র ‘স্টপ জেনোসাইড’ প্রদর্শিত হয়।  উপস্থিত সকলেই গণহত্যার বীভৎসতা দেখে বর্বরতম এ হত্যাকা-ের আন্তর্জাতিক বিচার দাবি করেন। 
 
ডেপুটি হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্যে ২৫শে মার্চ গণহত্যার শিকার শহিদদের আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং দেশে-বিদেশে এ গণহত্যার বিষয়টির বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালাতে উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানান। 
 
#
 
নাফিসা/সেলিম/ফারহানা/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০২০ ঘণ্টা
 
 
তথ্যবিবরণী                                                                  নম্বর : ৯৭৬
 
মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ক্ষমা করা যায় না 
                          -- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী
 
ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :
 
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, মানবতার বিরুদ্ধে যারা অপরাধ করে, তাদের পৃথিবীর কোথাও ক্ষমা করা হয় না। বাংলাদেশেও তাদের ক্ষমা করা হবে না। প্রায় পৌনে একশত বছর আগে ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। ঐ যুদ্ধের অপরাধীদের জার্মানি, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইতালি যেখানেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে, ধরে এনে বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে।
 
মন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতীয় গণহত্যা দিবস ২০১৮ উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত শিল্পী মিন্টু দে’র ‘৭১ এর বর্বরতা’ শীর্ষক স্থাপনাশিল্প প্রদর্শনী, আলোক প্রজ্বলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
 
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ এবং শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শিল্পী মিন্টু দে।
 
মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা শুধু ঢাকা শহরেই নয়, ১৯৭১ এর এদিনে তারা সারাদেশে গণহত্যা ও নির্যাতন চালিয়েছিল। হানাদার বাহিনীর নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতার উদাহরণ টেনে মন্ত্রী বলেন, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরীর স্বামী অধ্যাপক ডাঃ আলীম চৌধুরী ছিলেন একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ। হানাদার বাহিনী শুধু তাঁকে হত্যা করেনি, হত্যার পূর্বে তাঁর চোখ উপড়ে ফেলেছিল। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে গণহত্যার এ ইতিহাস জানা জরুরি। জানা জরুরি এ জন্য যে, আমরা শুধু তাদের ঘৃণা করব, বরং তাদের এ মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বাঙালি জাতির ঘৃণা ও অভিশাপ যেন তাদের ওপর চিরকাল বর্ষিত হয়। মন্ত্রী আরো বলেন, ওদের গণহত্যার মূল উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি জাতিকে চিরতরে ধ্বংস করে দেয়া, ওদের ক্ষমা করা যায় না।
 
 
#
 
ফয়সল/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                  নম্বর : ৯৭৫
 
আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ই-চালান সেবা চালু করেছে সরকার
 
ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :
 
সেবা গ্রহীতার হয়রানি কমাতে ও আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ই-চালান সেবা চালু করেছে সরকার। প্রাথমিকভাবে  ই-চালানের মাধ্যমে শুধু পাসপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও জাতীয় পরিচয় পত্র ফি প্রদান করা যাবে। পর্যায়ক্রমে সরকারের সকল সেবা এর আওতাভুক্ত হবে ।
 
আজ  অর্থ বিভাগের সভাকক্ষে এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি  ই-চালান ফরম যাতে সর্বসাধারণের কাছে সহজবোধ্য হয় এরকম তথ্য সন্নিবেশের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
 
অর্থ  বিভাগের তথ্যে জানানো হয়, সরকারি সেবায় ফি ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে গ্রহণ ও দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় সরকারের কোষাগারে অর্থ যথাসময়ে জমা হয় না। চালানের মাধ্যমে কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে কত টাকা জমা আছে বা লেনদেন চলমান রয়েছে তার কোনো সঠিক রিপোর্ট থাকে না। তাই অর্থনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের সরকারি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হয়। এটি এমন একটি সিস্টেম যার মাধ্যমে গ্রাহক পাসপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও জাতীয় পরিচয়পত্র বিষয়ে সেবা পেতে চাইলে গ্রাহক শুধু অনলাইনে টাকা জমা দেবে। সেই টাকা তাৎক্ষণিকভাবে সরকারি কোষাগারে জমা হয়ে যাবে ।
 
অর্থ  বিভাগের তথ্যে আরো জানা যায়, ম্যানুয়াল চালান পদ্ধতির কারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক রাজস্ব আহরণের হিসাব ও সরকারের হিসেবে মধ্যেও একটা পার্থক্য রয়ে যায়। এ পার্থক্য প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকাও হয়েছে। এ প্রকল্পটি আরো বিস্তৃতভাবে বাস্তবায়িত হলে এ পার্থক্যও আর থাকবে না।
 
অর্থ বিভাগের নির্দেশনায় ও তত্ত্বাবধানে এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের সহায়তায়  ইলেকক্ট্রনিক চালান  সিস্টেম  তৈরি করা হয়। যঃঃঢ়://বপযধষষধহ.মড়া.নফ এই ওয়েব ঠিকানায় প্রবেশ করে এসব সেবার ফি জমা দেয়া যাবে।
 
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মোঃ আবুল কালাম আজাদ এবং অর্থ বিভাগের  সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী।
 
#
 
শাহেদ/সেলিম/ফারহানা/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ৯৭৪
 
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ ও বিপক্ষ বলে কোনো শক্তি থাকতে পারে না
                                                -- তারানা হালিম
 
ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :
তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের এত বছর পর এখনও বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ও বিপক্ষে বলে একটি শব্দ রয়েছে। এটি কেন থাকবে তা বোধগম্য নয়। রাজনৈতিক মতাদশের পার্থক্য থাকতে পারে একজন মানুষ তাঁর নিজস্ব ব্যক্তিগত স্বাধীনতার কারণে যেকোনো দলকে সমর্থন করতে পারে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে পক্ষে ও বিপক্ষ বলে কোনো শক্তি থাকতে পারে না। সকলেই হবেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। 
 
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরে আয়োজিত ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। 
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, আলসামস্ আলবদরদের যখন দেশে বিচার হচ্ছে তখনও একটি চক্র তাদের নামের সামনে শহিদ লিখে। তারা কিসের শহিদ, যারা বাংলাদেশে ৩০ লাখ শহিদ সৃষ্টি করেছে, দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে, মা বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে, তাদের নামের সামনে শহিদ শব্দটি লাগিয়ে যারা শহিদদের অপমান করে তাদের স্বাধীন বাংলাদেশে থাকতে দেয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, অনেক পত্র পত্রিকায় সুকৌশলে মধ্যপন্থা অবলম্বন করে পাকিস্তানের ক্রোড়পত্র ছাপানো হচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশে পাকিস্তানের ক্রোড়পত্র যাওয়ার কথা নয়, যারা দিয়েছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। 
 
তারানা হালিম বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য আন্তজার্তিক অপরাধসমূহ (ট্রাইব্রুনালস) আইন ১৯৭৩ প্রণয়ন করেছিলেন। সেই আইনের আওতায় অনেকের বিচার সম্পন্ন হয়েছিল। যারা মনে করেন যুদ্ধাপরাধীদের সাধারণ ক্ষমা করে গেছেন বঙ্গবন্ধু সেটি ভুল এবং ভ্রান্ত তথ্য । একটি মহল প্রচারের কৌশল হিসেবে এটিকে অপপ্রচার চালাচ্ছে, ১৯৭১ সালে যারা ঘরবাড়ি, অগ্নীসংযোগ লুটতরাজ, দর্শন ও হত্যার মধ্য লিপ্ত ছিল তারা কখনই সাধারণ ক্ষমার আওতাভুক্ত ছিল না। অর্থাৎ যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, আলসামস্ আলবদরদের কখনই এ ক্ষমা প্রদান করা হয় নাই। 
 
চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইসতাক হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ জাকির হোসেন বক্তৃতা করেন। এর আগে গণহত্যার ওপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। 
 
পরে প্রতিমন্ত্রী গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় তথ্য অধিদফতর আয়োজিত ২৫ মার্চের গণহত্যার ওপর প্রদর্শীত আলোকচিত্র পরিদর্শন করেন। 
 
#
এনায়েত/সেলিম/রফিকুল/রেজাউল/২০১৮/২০১৫ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                  নম্বর :  ৯৭৩
 
শেখ হাসিনার স্বপ্ন উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা
                    -- গণপূর্ত মন্ত্রী
 
ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সে স্বপ্ন তিনি বাস্তবায়ন করে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। সে লক্ষ্য অর্জনে তিনি কাজ করছেন। তাই বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। 
আজ গণপূর্ত অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন একথা বলেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ায় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অর্জন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জ শীর্ষক এ আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, সরকার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। সরকারের রূপকল্পে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যআয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে উত্তরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ১শ’ বছরে বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে তারও লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলাই সরকারের মূল লক্ষ্য।
গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীতে আরো এগিয়ে যাবে। এই এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে কাজের যথাযথ মানও বজায় রাখতে হবে। উন্নত দেশের উপযোগী কাজ ও সেবা প্রদানের জন্য সকলকে সচেতন থাকতে হবে। বিভিন্ন দপ্তরের কর্মক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গণপূর্ত অধিদপ্তর মাত্র ১৩ মাসে ২০তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ শেষ করতে পেরেছে। সাবেক গৃহসংস্থান অধিদপ্তরের উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, এক সময়ে এ অধিদপ্তর খ- খ- জমি বরাদ্দ দিয়ে ঢাকা শহরকে বস্তিনগরীতে পরিণত করছিলো। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে শেখ হাসিনার সরকার এ অধিদপ্তরকে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষে রূপান্তরিত করে। এ সংস্থা এখন দেশের সকল শ্রেণির মানুষের বাসস্থান গড়ে তোলার দায়িত্ব পালন করছে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকারের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে সরকারের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মোঃ আবুল কালাম আজাদ, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম, প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির, রাজউকের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রহমান, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান খন্দকার আখতারুজ্জামান, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আখতার হোসেন, আবাসন পরিদপ্তরের পরিচালক মোঃ এমদাদুল হক, হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক মোঃ আবু সাদেক এবং নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক ড. খুরশীদ জাবিন হোসেন তৌফিক বক্তৃতা করেন।
এর আগে একটি ভিডিও উপস্থাপনার মাধ্যমে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অর্জন, চলমান কর্মসূচি এবং তা কীভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে সে বিষয় তুলে ধরা হয়।
#
কিবরিয়া/সেলিম/সঞ্জীব/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯৩০ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                  নম্বর :  ৯৭১
 
বিশ্ব পানি দিবস সেমিনারে তথ্যমন্ত্রী
প্রয়োজন উজানের দেশগুলোর সাথে ইতিবাচক কূটনীতি
 
ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :
 
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বাংলাদেশের উজানে অবস্থিত ভারত, নেপাল ও ভুটানের সাথে ইতিবাচক কূটনীতির মাধ্যমে আন্তঃদেশীয় নদীগুলোর সুষম জলবণ্টন সম্ভব। 
 
মন্ত্রী আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ঢাকা স্কুল অভ্ ইকনোমিকস (ডিএসই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে নদী ব্যবস্থাপনায় নতুন পথের সন্ধান’ বিষয়ক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। সদ্য (২২ মার্চ) উদ্যাপিত বিশ^ পানি দিবস উপলক্ষে এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংস্থা ডিএসই’র সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জামান।
 
বাংলাদেশ নদীবিধৌত দেশ হওয়া সত্ত্বেও আন্তঃদেশীয় নদীর পানি বণ্টন এবং দেশীয় নদ-নদীগুলোর দখল-দূষণজনিত সমস্যা মোকাবিলার চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি প্রয়োজন নদ-নদীকে দখল-দূষণমুক্ত রাখা, ভূগর্ভস্থ পানি সংরক্ষণ এবং জোয়ার ব্যবস্থাপনা (টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট-টিআরএম) এর মাধ্যমে নদীর পাড় রক্ষা ও তীরবর্তী জমিতে সেচ ব্যবস্থাপনা।
 
প্রকৌশলী হাসানুল হক ইনু এসময় পানির অপচয় রোধ, পাহাড় ও উপকূলে পানির সঠিক ব্যবস্থাপনা, দূষিত পানি শোধন করে নিরাপদ সুপেয় পানি সরবরাহসহ কৃষি ও কলকারখানায়  প্রয়োজনীয় পানি যোগান দিতে ২০১৩ সালে প্রণীত পানি নীতি  হালনাগাদ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। 
 
সেমিনারে ‘ম্যানেজমেন্ট অভ্ ওয়াটার রিসোর্সেস ইন বাংলাদেশ : এক্সপ্লোরিং দ্য আনেক্সপ্লোরড’ বিষয়ক তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন ঢাকা স্কুল অভ্ ইকনোমিক্সের প্রশিক্ষক ড. এ কে এম নজরুল ইসলাম এবং ড. সালমান সুলতান। সেমিনার শেষে সুমাইয়া বিনতে চৌধুরী, এ কে এম আতিকুর রহমান এবং সানজিদা আফরোজের হাতে যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ‘ওয়াটার লিডার ২০১৮’ পুরস্কার তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী। 
#
 
আকরাম/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৯৭০
 
এইচএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় শিক্ষামন্ত্রী
প্রশ্নপত্রের অনেকগুলো সেট ছাপা হবে
ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :
আসন্ন উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষা-২০১৮ সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় মনিটরিং এবং আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা আজ সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সভায় সভাপতিত্ব করেন। 
আসন্ন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে গৃহীত বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়ে সভায় আলোচনা হয়। প্রশ্নপত্র বিতরণ, সংরক্ষণ ও পরীক্ষা গ্রহণের সার্বিক প্রস্তুতি এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ানো রোধ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়। 
সভায় শিক্ষামন্ত্রী আসন্ন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে শিক্ষক, অভিভাবক ও গণমাধ্যমসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে বিপথগামী না হয়, সেজন্য সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। অভিভাবকদের আরো সচেতন হতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্নপত্রের অনেকগুলো সেট ছাপা হবে। কত সেট প্রশ্নপত্র ছাপা হবে কেউ জানবে না। সকল শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা শুরুর আধাঘণ্টা আগে অবশ্যই তাদের নিজ নিজ আসনে বসতে হবে। ৩০ মিনিট আগে নিজ নিজ আসনে বসা বাধ্যতামূলক। অনিবার্য কারণে কেউ দেরিতে আসলে রেজিস্টারে তার নাম-ঠিকানা, রোল নম্বর নিবন্ধন করে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে হবে। তিনি আরো বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস বা ফাঁসের গুজবের কার্যক্রম দেখে প্রতীয়মান হয়, তাদের  লক্ষ্য সরকার, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থাকে বিতর্কিত করা। এর মধ্যে পরিকল্পিত উদ্দেশ্য রয়েছে। 
সভায় জানানো হয়, আগামী ০২ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু হয়ে ১৪ মে পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। সকল বোর্ডে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৮টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ১টি কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও ১টি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে পরীক্ষা পরিচালিত হবে। 
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন সভায় জানান, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে কোন সেটে পরীক্ষা নেয়া হবে, তা পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোকে জানানো হবে।
সভায় কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মাহাবুবুর রহমান, বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানগণ, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কেবিনেট ডিভিশন, বিটিআরসি, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
আফরাজুর/সেলিম/ফারহানা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৮/২০১৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ৯৬৯
 
বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ 
                   -- বাণিজ্যমন্ত্রী
 
ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :
 
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। বাঙালি বীরের জাতি, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে জানে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। জাতির পিতা শুন্য হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। ৩ বছর ৭ মাস দেশ পরিচালনা করে বঙ্গবন্ধু দেশের উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর উন্নয়নের পথ ধরে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ। 
 
আজ ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘এলডিসিভুক্ত দেশ হতে বাংলাদেশের উত্তরণ ঃ নৌপরিবহন সেক্টরে অর্জিত সাফল্য, চলমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। 
 
তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাতিসংঘ, বিশ^ব্যাংক, এডিবিসহ বিশে^র সকল উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশের উন্নতির প্রশংসা করছে। বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু একটি রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে উন্নতি খুঁজে পায় না। অথচ তারা দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছিল। মানুষের কল্যাণে গড়ে তোলা ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পদ্মা সেতু, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্প, কর্ণফুলি টানেল, মেট্রোরেল নির্মাণের মতো বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলছে।
 
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, দেশের ৩৫ ভাগ মানুষ পানি পথে যাতায়াত করে। নদীপথ অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিশৃঙ্খল অর্থনীতিকে সুশৃঙ্খল করেছেন। দেশের অর্থনীতি এখন সঠিক পথেই পরিচালিত হচ্ছে। দেশের দরিদ্র ও হত দরিদ্র মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে। মানুষ এখন কর্মমুখী হয়েছে। মানুষের আয় বৃদ্ধির সাথে সাথে জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বাংলাদেশ আজ এলডিসি থেকে উন্নয়নশী দেশে পরিণত হয়েছে। 
 
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীরউত্তম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আব্দুস সামাদ।
#
 
বকসী/সেলিম/রফিকুল/রেজাউল/২০১৮/১৮৪৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ৯৬৮
 
সড়ক পথে দুর্ঘটনা কমে এসেছে
             -- নৌপরিবহন মন্ত্রী
 
ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :
 
জার্মানির তৈরি 'ম্যান' বাস ও ট্রাক বাংলাদেশে বাজারজাতকরণের কার্যক্রম আজ ঢাকায় শুরু হয়েছে। পাওয়ার ভিশন লিমিটেড বাংলাদেশে 'ম্যান' বাস ও ট্রাকের পরিবেশক।
 
নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান আজ  ঢাকায়  রেডিসন হোটেলে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েতউল্লাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী এবং পাওয়ারভিশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবুর রহমান।
 
শাজাহান খান বলেন, বাংলাদেশের মানুষের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের রুচি ও প্রত্যাশায় পরিবর্তন এসেছ। নতুন নতুন  উন্নতমানের গাড়ি দেশে আসছে। তিনি বলেন, সড়ক পথে উন্নয়ন হচ্ছে, বিভিন্ন স্থানে ফোরলেন হচ্ছে। মালিক, শ্রমিক ও যাত্রীদের সহযোগিতায় সড়ক পথে দুর্ঘটনা কমে এসেছে।
 
#
 
জাহাঙ্গীর/সেলিম/রফিকুল/রেজাউল/২০১৮/১৮৪০ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৯৬৭
 
সরকার দেশের পরিবেশ উন্নয়নে নির<
Todays handout (9).docx