Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩০ এপ্রিল ২০২১

তথ্যবিবরণী ২৯ এপ্রিল ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২০৩৩

 

দেশের আট বিভাগে ৮৩৩৫টি কোভিড জেনারেল বেড এবং

৪৫৯টি ডেডিকেটেড আইসিইউ বেড খালি

 

ঢাকা, ১৬ বৈশাখ (২৯ এপ্রিল) :

 

          করোনার সময়ে দেশের ৮ বিভাগের হাসপাতালগুলোর মধ্য থেকে এই মুহুর্তে মোট ৮ হাজার ৩৩৫টি কোভিড জেনারেল বেড এবং ৪৫৯টি কোভিড আইসিইউ বেড খালি হয়েছে।

 

          হাসপাতালগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দেশের ৮ বিভাগে এই মুহুর্তে মোট কোভিড ডেডিকেটেড শয্যাসংখ্যা ১২ হাজার ৩৬৫ টি এবং মোট আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ১০৮৪ টি। এগুলোর মধ্য থেকে বহু সংখ্যক রোগী চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ায় এখন উল্লিখিত বেডগুলো খালি হয়েছে।

 

          উল্লেখ্য, আট বিভাগের মধ্যে ঢাকা মহানগর হাসপাতালগুলোতে মোট জেনারেল বেড সংখ্যা ৫ হাজার ৬৪৪টির মধ্যে খালি রয়েছে ৩ হাজার ৪১৩টি, মোট আইসিইউ ৭৬৯টির মধ্যে খালি রয়েছে ৩২৮টি। এই হাসপাতালগুলোর মধ্যে সরকারি ১৩টি এবং বেসরকারি ১৩টি হাসপাতাল রয়েছে।

 

          ঢাকা মহানগরের ১৩টি কোভিড ডেডিকেটেড সরকারি হাসপাতালের শয্যাসংখ্যার পরিসংখ্যান লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৭০৫টি বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ২৪৫টি, মোট আইসিইউ ২০টির মধ্যে কোনো বেড এখন খালি নেই। বিএসএমএমইউ এর মোট  ২৩০টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ১১৫টি, মোট আইসিইউ ২০টি বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ৪টি, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের মোট ৩০০টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ৪৬টি, মোট আইসিইউ বেড ১০টির মধ্যে কোন বেড খালি নেই, মুগদা জেনারেল হাসপাতালের মোট ৩৬০টি জেনারেল বেডের মধ্যে বর্তমানে খালি রয়েছে ২৩০টি, মোট আইসিইউ বেড ১৯টির মধ্যে খালি আছে মাত্র ১টি, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের মোট ১৬৯টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি আছে ১০৭টি এবং মোট ২৬টি আইসিইউ বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ৪টি, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের মোট ১৭৪টি সাধারণ বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ৯৫টি এবং মোট ১৬টি আইসিইউ বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ৫টি, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মোট ২৮৮টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ১৮৩টি এবং মোট ১০টি আইসিইউ বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ১টি, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের মোট ৯৪টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ৭৪টি এবং ৬টি আইসিইউ বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ১টি, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের মোট ৪৮৫টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ৩৬৪টি এবং মোট ১৫টি আইসিইউ বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ১০টি। সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের মোট ১০টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ৮টি, এন.আই.সি.ভি.ডি হাসপাতালের মোট ১৩৭টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ১২১টি, টিবি হাসপাতালের মোট ২০০টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ১৮৭টি এবং মোট ৫টি আইসিইউ বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ৪টি, ডিএনসিসি হাসপাতালের মোট ২০০টি জেনারেল বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ৭৬টি এবং মোট ১০০টি আইসিইউ বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ১৮টি।

 

#

 

মাইদুল/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২১৫০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর :  ২০৩২

 

১০ মে'র মধ্যে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের আহবান শ্রম প্রতিমন্ত্রীর

 

ঢাকা, ১৬ বৈশাখ (২৯ এপ্রিল) :

 

          ১০ মে এর মধ্যে গার্মেন্টসসহ সকল সেক্টরের শ্রমিকদের ঈদুল ফিতরের বোনাস এবং এপ্রিল মাসের বেতন-ভাতা  পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।

 

          প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বিজয় নগরের শ্রম ভবনের সম্মেলন কক্ষে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ কমিটি টিসিসি কমিটির ৬৭তম সভা এবং আরএমজি টিসিসি কমিটির ৮ম সভার সভাপতির বক্তৃতায় মালিকদের প্রতি এ আহ্বান  জানান।

 

          মালিক এবং শ্রমিক নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে  করোনা ভ্যাকসিন প্রদানে শ্রমিকদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার দাবি প্রেক্ষিতে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি শ্রমিকদের ভ্যাকসিন প্রদানে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়ে পত্র প্রেরণ করবেন। দেশের অর্থনীতির উন্নয়নের স্বার্থে করোনা মহামারির এই দুর্যোগকালে শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কলকারখানার উৎপাদন অব্যাহত রেখেছেন। প্রতিমন্ত্রী কোনো কারখানার শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন বকেয়া থাকলে সেগুলোও ঈদের আগেই প্রদান এবং  সুবিধামতো জোনভিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে মালিকদের পরামর্শ প্রদান করেন।

 

          শ্রম প্রতিমন্ত্রী শ্রমিকদের কঠোর স্বাস্থ্যবিধি পালনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতায় সকলে নিরাপদ থাকতে পারবো। সকলের সহযোগিতায় করোনা মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নিতে পারবো।

 

          টিসিসি সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আবদুস সালাম, অতিরিক্ত সচিব ড. রেজাউল হক, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জয়নুল আবেদীন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোঃ আব্দুল লতিফ খান, শিল্প পুলিশের ডিআইজি মোঃ মাহবুবুর রহমান,  বিজিএমইএ এর সিনিয়র সহ সভাপতি এস এম মান্নান কচি, সহসভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, নাছির উদ্দীন, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান, আইবিসির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শ্রমিক নেতা সালাউদ্দীন স্বপন, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি এবং আইএলও প্রতিনিধি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থার প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

 

#

 

আকতারুল/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৯৫০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২০৩১

 

সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ ৭ হাজার ৫৪৯ জনের ভ্যাকসিন গ্রহণ

 

ঢাকা, ১৬ বৈশাখ (২৯ এপ্রিল) :

 

          গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে মোট ১ লাখ ৭ হাজার ৫৪৯ জন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে প্রথম ডোজে  ১০ জন এবং দ্বিতীয় ডোজে ১ লাখ ৭ হাজার ৫৩৯ জন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। প্রথম ডোজে  ৭ জন পুরুষ এবং ৩ জন মহিলা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। দ্বিতীয় ডোজে  ৬৬ হাজার ১০১ জন পুরুষ এবং ৪১ হাজার ৪৩৮ জন মহিলা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।

 

          এ নিয়ে সারা দেশে গত ২৭ জানুয়ারি থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বমোট ভ্যাকসিন গ্রহীতার সংখ্যা ৮৬ লাখ ২৫ হাজার ৩৫০ জন। এদের মধ্যে প্রথম ডোজে ৩৬ লাখ ৮ হাজার ৭৬৭ জন পুরুষ এবং ২২ লাখ ১০ হাজার ৮৮৯ জন মহিলা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। দ্বিতীয় ডোজে ১৮ লাখ ২১ হাজার ২৪ জন পুরুষ এবং ৯ লাখ ৮৪ হাজার ৬৭০ জন মহিলা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।                        

 

          উল্লেখ্য, ২৯ এপ্রিল ২০২১ বিকাল ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সরকার কর্তৃক তৈরিকৃত সুরক্ষা অ্যাপে মোট ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫৬ জন ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেছেন।

 

#

 

মিজানুর/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২১৩০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২০৩০

 

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে ১০ কোটি টাকা দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর

প্রতি ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কৃতজ্ঞতা

 

ঢাকা, ১৬ বৈশাখ (২৯ এপ্রিল) :

 

          করোনা মহামারির এসময়ে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ কোটি টাকা দেয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে'র দেশব্যাপী সকল ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। 

 

          আজ লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ এ কৃতজ্ঞতা জানায়। এর আগে করোনাকালীন সহায়তা হিসেবে সারাদেশে ৩ হাজার ৩শ’ ৫০ জন সাংবাদিকের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদানের কথাও বিজ্ঞপ্তিতে স্মরণ করা হয়। একইসাথে সাংবাদিকদের এই সহায়তা পাওয়ার বিষয়ে আন্তরিক সহযোগিতা করায়  তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদকে ধন্যবাদ জানায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

 

          তারা বলেন, আগের মতো এবারও সাংবাদিকবান্ধব মানবিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের আবেদন বিবেচনায় নিয়ে করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের এই দুঃসময়ে ১০ কোটি টাকা প্রদান করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। 

 

          প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সহায়তাকে নজিরবিহীন আখ্যা দিয়ে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ ছাড়া ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটানসহ উপমহাদেশের কোথাও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কোনো সরকার প্রধানের এ ধরনের মমত্ববোধের নজির নেই। 

 

          বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মজিদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন- ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন- সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন- কেইউজে সভাপতি মুন্সী মাহবুব আলম সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক সায়েদুজ্জামান সম্রাট, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন- জেইউজে সভাপতি ফারাজি আহমেদ সাঈদ বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক এইচ আর তুহিন, বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়ন- বিএইউজে সভাপতি আমজাদ হোসেন মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক জেএম রউফ, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন- আরইউজে সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হক, ময়মনসিংহ সাংবাদিক ইউনিয়ন- এমইউজে সভাপতি আতাউল করিম খোকন, সাধারণ সম্পাদক মীর গোলাম মোস্তফা, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়ন- সিবিইউজে সভাপতি আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেল, নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়ন- এনইউজে সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক  আমির হোসেন স্মিত, কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন- জেইউকে সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক  জামিল হাসান,  খোকন এক যুক্ত বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এসকল কথা বলেন।

#

 

আকরাম/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০২০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর :  ২০২৯

 

প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি বাড়ানোর তাগিদ শিল্পমন্ত্রীর

 

ঢাকা, ১৬ বৈশাখ (২৯ এপ্রিল) :

 

          শিল্প মন্ত্রণালয়ের চলমান ‌প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, প্রকল্পে যেখানে ধীরগতি রয়েছে, সেখানে গতি আনতে হবে। এক্ষেত্রে সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। সরকার কোভিড-১৯ কালে স্বাস্থ্য ও কৃষিখাতের মতো শিল্পখাতকেও অগ্রাধিকারের তালিকায় রেখেছে, তাই আমাদের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে এ খাতের অগ্রগতি ধরে রাখতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সাবধানতা অবলম্বন করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। করোনাকালে লকডাউনে ভার্চুয়ালি সভা করে প্রকল্পের কাজের তদারকি বাড়াতে হবে।

 

          শিল্পমন্ত্রী আজ ২০২০-২০২১ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা  সভায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন। শিল্প সচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও কর্পোরেশনের প্রধানরা এবং বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালকরা ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।

 

          সভায় জানানো হয়, সারের সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার জন্য ১৩টি বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে পাঁচটি বাফার গোডাউন হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি আটটি বাফার গোডাউনের কাজ চলতি বছরের মধ্যেই শেষ হবে। এছাড়া সার সংরক্ষণ ও বিতরণ সুবিধার জন্য বিভিন্ন জেলায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। ২০২০-২০২১ অর্থবছরের সমাপ্তির জন্য ১৩টি প্রকল্পের তালিকা করা হয়েছে। এ সকল প্রকল্প জুন ২০২১ সালের মধ্যে শেষ হবে। উন্নয়ন প্রকল্পের প্রশিক্ষণ, সভা, সেমিনার ও আলোচনামূলক কার্যক্রম অনলাইন বা ভার্চুয়ালি পরিচালনা করতে সভায় নির্দেশা প্রদান করা হয়। এছাড়া বিসিআইসি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন অস্থায়ীভিত্তিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য গুদাম ও বিএসইসি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন গাজী ওয়্যার লিঃ কে শক্তিশালী ও আধুনিকায়নকরণ শীর্ষক প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি উপস্থাপন করা হয়।

 

          সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, অস্থায়ীভিত্তিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য গুদাম, সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার জন্য বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ অতিদ্রুত শেষ করতে হবে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন করপোরেশনের সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করে সেগুলোর সমাধান করতে হবে। করোনা মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে কাজ করতে হবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে।

 

#

 

জাহাঙ্গীর/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০৫০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর: ২০২৮

রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৩০ এপ্রিল থেকে ৬ মে

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ‘বিশেষ সেবা সপ্তাহ’

ঢাকা, ১৬ বৈশাখ (২৯ এপ্রিল) :

            পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সরকারি দপ্তরসমূহে ‘বিশেষ সেবা সপ্তাহ’ পালনের অংশ হিসেবে ৩০ এপ্রিল থেকে ৬ মে ২০২১ পর্যন্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তরসমূহে ‘বিশেষ সেবা সপ্তাহ’ পালন করা হবে। ‘বিশেষ সেবা সপ্তাহ’ পালনের জন্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল দপ্তর ও সংস্থা স্ব স্ব সেবা নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে পবিত্র রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ জনসাধারণের প্রত্যাশিত সেবা নিশ্চিত ও নির্বিঘ্ন রাখার লক্ষ্যে সকল মন্ত্রণালয়কে বিশেষ সেবা সপ্তাহ পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়।

            বাণিজ্য মন্ত্রণালয় করোনা মহামারিকালে পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বাজারে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে বাজার মনিটরিং কার্য্ক্রম জোরদার করা হয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য বন্দরসমূহসহ সকল পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অটুট রাখার লক্ষ্যে সমন্বয় কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। 

            টিসিবি ‘বিশেষ সেবা সপ্তাহ’ উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য-সামগ্রী অধিক পরিমাণ জনগণের মধ্যে বিতরণের ব্যবস্থা নেবে। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পণ্য বরাদ্দের পরিমাণ বৃদ্ধিসহ ট্রাকসেল বিক্রয় কার্যক্রম বৃদ্ধি করবে। কোভিড-১৯ বিস্তার রোধকল্পে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ এবং সেবা সপ্তাহ উল্লেখপূর্বক ট্রাকসেলে বিশেষ ব্যানার ব্যবহার করবে।

            জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ ও সরবরাহ, ন্যায্যমূল্যে ক্রয়-বিক্রয় এবং মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী শুক্র ও শনিবারসহ সাতদিন বাজার তদারকি কার্যক্রম জোরদার করবে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে দোকান ও প্রতিষ্ঠানে পণ্যের মূল্য তালিকা টানানো ও প্রদর্শন করার বিষয়টি জনস্বার্থে নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি বাজার তদারকি ও অভিযান পরিচালনাকালে সচেতনতামূলক কর্মকান্ড জোরদার করবে। বাজার অভিযান পরিচালনাকালে হ্যান্ডমাইকের মাধ্যমে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে সচেতনামূলক কার্যক্রম পরিচালনা এবং ‘মাস্ক পরিধান করুন, সুস্থ থাকুন’  এই স্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পথচারীর মধ্যে মাস্ক বিতরণ  এবং স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করবে।

            বিশেষ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো হতে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে রপ্তানির বিপরীতে ইস্যুকৃত সকল সার্টিফিকেট অব অরিজিন (সিও), জিএসপি, সাপটা, সাফটা, আপটা আবেদনের তারিখের মধ্যে সেবা প্রদানের জন্য হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হবে। এছাড়া রপ্তানি বিষয়ক যে কোন পরামর্শ প্রদানের  জন্য ‘পরামর্শ ডেস্ক স্থাপন’ করা হবে।

            যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর সিংগেল প্রসেস প্রক্রিয়ায় কোম্পানি রেজিস্ট্রেশনে সেবা গ্রহীতাদের অনলাইনে আবেদন পূরণে সহায়তা করবে এবং ২ দিনের মধ্যে মর্টগেজ নিবন্ধন (অনলাইন) কাজ সম্পন্ন ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইমেইল-এ সার্টিফিকেট প্রদান করবে। শেয়ার ট্রান্সফার সংক্রান্ত পেন্ডিং রিটার্ন রেকর্ডভুক্তকরণে ক্র্যাশ কর্মসূচি গ্রহণ এবং দীর্ঘ দিনের পেন্ডিং রিটার্ন নিষ্পত্তিকরণের জন্য ক্র্যাশ প্রোগ্রাম গ্রহণ করবে। ভিডিও পোর্টাল উন্মুক্ত করবে এবং ওয়ানস্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে সার্টিফাইড কপি  প্রদান করবে।

            বাংলাদেশ চা বোর্ড চলতি মৌসুমে দেশে চায়ের উৎপাদন স্বাভাবিক রাখার জন্য দেশের সকল চা বাগানে ভর্তুকি মূল্যে সার বিতরণে সহায়তা প্রদান কার্যক্রম এবং অন-লাইন চা রপ্তানি লাইসেন্স প্রদান অব্যাহত রাখবে। ২০২১-২০২২ নিলাম বর্ষের নিলাম কার্যক্রম চট্টগ্রাম ও শ্রীমঙ্গলে ৩ মে ২০২১ তারিখে শুরু হবে এবং ‘দুটি পাতা একটি কুড়ি’ এবং ‘চা সেবা’ অ্যাপস দু’টির মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায় চায়ের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সেবা প্রদান অব্যাহত রাখবে। চলতি মৌসুমে দেশে চায়ের উৎপাদন স্বাভাবিক রাখার জন্য চা বাগানের মৃত্তিকা পরীক্ষা, চায়ের নমুনা পরীক্ষা এবং পেষ্টিসাইড অ্যানালাইসিস করে চা উৎপাদন সংশ্লিষ্টদের উপদেশ প্রদান অব্যাহত রাখবে এবং চায়ের উৎপাদন স্বাভাবিক রাখার জন্য চা বাগানসমূহে  স্বাস্থ্যবিধি মেনে চা উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে।

#

বকসী/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৯৪০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর: ২০২৭

 

করোনা মোকাবেলায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার

                            -- পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

 

বরিশাল, ১৬ বৈশাখ (২৯ এপ্রিল) :

 

          পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, করোনা মোকাবেলায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার করোনার প্রভাবে কর্মহীনদের কষ্টলাঘবে লাখ লাখ  পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে। তবে সবাইকে নিজেদের স্বাস্থ্য নিজেদেরকেই সুরক্ষিত রাখতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে আমাদের করোনা মোকাবেলা করতে হবে।

 

          আজ বরিশাল সদর উপজেলা মিলনায়তনে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে ডায়রিয়া রোগীদের আইভি স্যালাইন ও কর্মহীনহীনদের ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

          বরিশালের জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনিবুর রহমান, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাহমুদুল হক খান মামুনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

          পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বরিশাল সদর জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীদের ১০০০ আইভি স্যালাইন, ১০০০ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ১০০ হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়৷ এছাড়া করোনায় কর্মহীন ১০০ পরিবারের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিতরণ করা হয়।

 

#

 

আসিফ/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৯৪০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর :  ২০২৬

 

৩৫ লাখ পরিবারকে আগামী ২ মে থেকে ইএফটি এর

মাধ্যমে অর্থ সহায়তা সরাসরি প্রেরণ করা হবে

 

ঢাকা, ১৬ বৈশাখ (২৯ এপ্রিল) :

 

          করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবজনিত কর্মহীনতা ও আয়ের সুযোগ হ্রাসের কবল থেকে দেশের ৩৫ লাখ অতিদরিদ্র পরিবারকে সুরক্ষা দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।

 

          অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আজ জানানো হয়, চলমান করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫ লাখ নিম্নআয়ের পরিবারকে পরিবার প্রতি ২৫০০ টাকা করে মোট ৮৮০ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। আগামী ২ মে ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। এ ৩৫ লাখ পরিবারকে ইএফটি এর মাধ্যমে তাদের নির্দিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে বা ব্যাংক একাউন্টে অর্থ সহায়তা সরাসরি প্রেরণ করা হবে।

 

          উল্লেখ্য, ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে যে সকল নিম্নআয়ের লোকজন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং কর্মহীন হয়ে পড়েছিল তাদেরকে সহায়তার জন্য ‘নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান’ কর্মসূচি চালু করা হয়েছিল। ২০২০ সালে করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫ লাখ নিম্নআয়ের পরিবারকে পরিবারপ্রতি ২,৫০০ টাকা করে ৮৮০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা সরাসরি উপকারভোগীর মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে বা ব্যাংক একাউন্টে প্রদান করা হয়েছিল।

 

          অতিদরিদ্র, কর্মহীন নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠী যাতে এ কার্যক্রমের আওতায় আসে সে লক্ষ্যে বরাদ্দ প্রদানের ক্ষেত্রে দুর্যোগপ্রবণ, অতিদরিদ্র এলাকা এবং জনসংখ্যার অনুপাত বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে, দিনমজুর, কৃষক, শ্রমিক, পরিবহণ শ্রমিক ইত্যাদি পেশার নিম্নআয়ের লোকজন যাতে এ আর্থিক সহায়তা পায় তা নিশ্চিত করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রকৃত দরিদ্র ব্যক্তি চিহ্নিত করা হয়েছে যাতে কেবল প্রকৃত অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠী এ অর্থ পায়।

 

#

গাজী তৌহিদুল/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৯৫০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর: ২০২৫

 

৫জি ব্যবহার করে কৃষি ও শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হবে

                                              -- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৬ বৈশাখ (২৯ এপ্রিল) :

 

          ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ৫জি শুধু উচ্চগতির ডিজিটাল সংযোগই নয় এটি ডিজিটাল যুগের আধুনিক প্রযুক্তির মেরুদণ্ড। ২০২১ সালের মধ্যে ৫জি যুগে প্রবেশে বাংলাদেশ সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে। এটি ব্যবহার করে জীবনের সকল ক্ষেত্রে; কৃষি ও শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন করে একটি নতুন যুগ তৈরি করবে। তিনি বলেন, কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশকে ডিজিটাল যুগে নেতৃত্ব দেবার উপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।

 

          মন্ত্রী আজ ঢাকায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে হুয়াওয়ে আয়োজিত হুয়াওয়ে ক্যারিয়ার কংগ্রেস ২০২১, বাংলাদেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও ঝুয়াং ঝ্যাংজুন, ওয়াইন্ড স্পেস কনসালটিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্কট ডব্লিউ মাইন হ্যান, আইটিইউ এর এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তা আমির রিয়াজ বক্তৃতা করেন।

 

          ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী, ২০১৮ সালে দেশে ৫জি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হুয়াওয়ের সহযোগিতার প্রশংসা করে বলেন, এটি ছিলো আমাদের জন্য খুব বড় একটা অভিজ্ঞতা। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে ২০২১ সালের মধ্যে ৫জি চালুর লক্ষ্য নির্ধারণ করে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি পৃথিবীর কাছে অনুকরণীয় একটি কর্মসূচি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় গত ১২ বছরে বাংলাদেশ ডিজিটাল সংযোগ প্রতিষ্ঠায় যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটিয়েছে। কোভিডকালে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তা দেশের জনগণ উপলব্ধি করেছে। এই কর্মসূচির কারণে বৈশ্বিক অতিমারিতেও মানুষের জীবনযাত্রা থেমে থাকেনি। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় মানুষের ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দ্বিগুণ চাহিদা বেড়েছে । তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক সংযোগ স্থাপন প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। শতকরা ৯৮ ভাগ মোবাইল নেটওয়ার্ক ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে।

 

          মোস্তাফা জব্বার বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব কিংবা ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের যুগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে উদ্ভাবন। যে যত বেশি উদ্ভাবন করবে সে তত বেশি লাভবান হবে। তিনি উদ্ভাবন ও তার বাস্তবায়নে করণীয় সম্ভাব্য সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস ব্যক্ত করেন।

 

#

 

শেফায়েত/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৯২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর :  ২০২৪

 

বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হতো না

                                 -- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৬ বৈশাখ (২৯ এপ্রিল) :

 

          জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর কারণেই আমরা কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা পেয়েছি। তাঁর জন্ম না হলে স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হতো না।

 

          আজ বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘মুজিবনগর সরকার, মুক্তিযুদ্ধ ও তরুণ প্রজন্ম’ শীর্ষক আলোচনা সভায়  ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

 

          তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল একটাই - তা হলো এদেশের স্বাধীনতা অর্জন। তিনি তাঁর অদম্য, সাহসী ও দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে এদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলেন। তাঁর আপোষহীন মনোভাব ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই এদেশের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হয়েছিল।

 

          তিনি আরো বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে দেশের উন্নয়নে কাজ করছে। জাতির পিতার আদর্শে কাজ করে যেতে পারলে দেশকে দ্রুতই উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব। তাই  আমাদের তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর নীতি- আদর্শে অনুপ্রাণিত করে গড়ে তুলতে হবে। 

 

          বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোঃ রোকনুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডঃ মোঃ ছাদেকুল আরেফিন সম্মানিত অতিথি এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড.  মোঃ খোরশেদ আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

 

#

 

শিবলী/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৮৫০ ঘণ্টা

 

 

Handout                                                                                         &

2021-04-29-16-16-2a38c31f7fbd29f83769f571a67bdcd4.docx