Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৯ নভেম্বর ২০২৩

তথ্যবিবরণী ৯ নভেম্বর ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ১৬৩০

জুড়ীতে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক নির্মাণের ফলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে

                                                                                                                       --- পরিবেশমন্ত্রী

ঢাকা, ২৪ কার্তিক (৯ নভেম্বর) :

          পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক নির্মাণের ফলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। সাফারি পার্ক নির্মাণের ফলে দেশ বিদেশের পর্যটক আসবে, কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে এবং সর্বোপরি এলাকার মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হবে।  তিনি বলেন, সাফারি পার্ক এলাকায় বসবাসরতদের সুরক্ষা দিয়েই এখানে সাফারি পার্ক নির্মাণ করা হবে।

          আজ একনেক সভায় মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলায় একটি সাফারি পার্ক নির্মাণের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, মৌলভীবাজার (১ম পর্যায়)’ প্রকল্পটি অনুমোদনের পর তাঁর সরকারি বাসভবন হতে নির্বাচনি এলাকার জনগণের উদ্দেশ্যে এক ভিডিও বার্তায় পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, একনেক সভার মন্ত্রিবর্গ ও সদস্যগণ, পরিবেশ সচিব, বন অধিদপ্তর-সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এ সাফারি পার্কে বাংলাদেশের বিপদাপন্ন ও বিপন্ন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লাঠিটিলার বনভূমিকে জবরদখলমুক্ত করে বন্যপ্রাণী বিশেষ করে হাতি, মেছো বিড়াল, বনরুই, খাটলেজি বানর, আসামি বানর, গন্ধগকুল, মায়া হরিণ, চশমাপরা হনুমান, ভল্লুক, সজারু ইত্যাদির বসবাস উপযোগী প্রাকৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। হাতি উদ্ধার কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে অসহায় এতিম ও উদ্ধারকৃত মহা-বিপন্ন হাতি চিকিৎসা  প্রদান করা হবে।  বিপদাপন্ন প্রজাতির বাঘ, গন্ডার, সিংহ, কুমির, ঘড়িয়াল, প্যারা হরিণ, সাম্বার হরিণ, নীলগাই, ভল্লুক ইত্যাদি বন্যপ্রাণীর জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল গড়ে তোলা হবে।

          বনমন্ত্রী বলেন, আহত ও উদ্ধারকৃত বন্যপ্রাণী চিকিৎসার নিমিত্তে বন্যপ্রাণী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ে জনগণের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা হবে।  জলচর ও পরিযায়ী পাখির আবাসস্থল উন্নয়নের জন্য পুকুর ও লেক খনন এবং বন্যপ্রাণীর জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আবাসস্থল উন্নয়নের জন্য ফলের গাছ, তৃণভূমি ও বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করা হবে।  বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ প্রজাতির সংরক্ষণের জন্য ১ লাখ চারা রোপণ, ভূমিক্ষয় রোধে পাহাড়ের ঢালে ও পাদদেশে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা হবে। এছাড়া, এখানে নেচার হিস্ট্রি মিউজিয়াম ও প্রকৃতিবৃক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। তিনি আরো জানান, মাধবকুণ্ড ইকোপার্কে দুই কিলোমিটার বেশি কেবল কার স্থাপনের প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

#

দীপংকর/সঞ্জীব/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/২০১৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ১৬২৯

 

একনেক সভায় ৩৯ হাজার ৯৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ৪৪টি প্রকল্প অনুমোদন

 

ঢাকা, ২৪ কার্তিক, (৯ নভেম্বর):  

 

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আজ প্রায় ৩৯ হাজার ৯৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয় সংবলিত ৪৪টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ২৯ হাজার ৯৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ৭ হাজার ৫৭৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১ হাজার ৫৬১ কোটি ১৬ লাখ টাকা।

 

প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক-এর চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ ঢাকার শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।

 

অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো: গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্প যথাক্রমে “ঢাকার শেরেবাংলা নগর প্রশাসনিক এলাকায় বহুতল সরকারি অফিস ভবন নির্মাণ” প্রকল্প, “ঢাকাস্থ তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ১২৩টি ফ্ল্যাট নির্মাণ” এবং “চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন” প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ৭টি প্রকল্প যথাক্রমে “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর অর্থনৈতিক অঞ্চলের সাথে লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও ফেনী জেলার সংযোগকারী সড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ” প্রকল্প, “ইলিয়টগঞ্জ-মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর (জেড-১০৪২) জেলা মহাসড়কটি যথাযথ মানে ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ” প্রকল্প, “রাজউক পূর্বাচল ৩০০ ফুট মহাসড়ক হতে মাদানী এভিনিউ-সিলেট মহাসড়ক পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ” প্রকল্প, “সাতক্ষীরা-সখিপুর-কালীগঞ্জ (জেড-৭৬০২) মহাসড়ক এবং কালীগঞ্জ-শ্যামনগর-ভেটখালী (জেড-৭৬১৭) মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ” প্রকল্প,“৪-লেনে উন্নীত ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক (এন-১) (দাউদকান্দি-চট্টগ্রাম অংশ) এর ৪ (চার) বছরের জন্য পারফরম্যান্স বেইজড অপারেশন ও দৃঢ়করণ” প্রকল্প, “ভাঙ্গা-যশোর-বেনাপোল মহাসড়ককে ৪-লেনে উন্নীতকরণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর” প্রকল্প এবং “ফেনী-পরশুরাম-বিলোনিয়া সড়ক উন্নয়ন” প্রকল্প, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ১১ টি প্রকল্প যথাক্রমে “গাবতলী সিটি পল্লীতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ক্লিনারবাসীদের জন্য বহুতলাবিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ” প্রকল্প, “ঢাকা পানি সরবরাহ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন” প্রকল্প, “বর্ধিত ঢাকা পানি সরবরাহ রেজিলিয়েন্স” প্রকল্প, “ঢাকা স্যানিটেশন ইমপ্রুভমেন্ট” প্রকল্প, “বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিভিন্ন রাস্তা উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন” প্রকল্প, “Improvement of Urban Public Health Preventive Services” প্রকল্প, “পার্বত্য চট্টগ্রাম পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন” প্রকল্প, “মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন” প্রকল্প, “রংপুর বিভাগের ৯টি পৌরসভার ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন” প্রকল্প, “সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সম্প্রসারিত এলাকাসহ মহানগরীর সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন” প্রকল্প এবং “বৃহত্তর পাবনা ও বগুড়া জেলার নগর অবকাঠামো উন্নয়ন” প্রকল্প; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প যথাক্রমে “বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন” প্রকল্প এবং “ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণে বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম ক্রয়” প্রকল্প; যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের “ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অধিকতর উন্নয়ন” প্রকল্প; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প যথাক্রমে “রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (আরএমইউ) স্থাপন” প্রকল্প এবং “মুগদা মেডিকেল কলেজের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ এবং আনুষঙ্গিক সুবিধা সম্প্রসারণ” প্রকল্প;  মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের “Supporting Implementation of the mother and Child Benefit Programme (SIMCBP)” প্রকল্প; শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প যথাক্রমে “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ এর জন্য ভূমি অধিগ্ৰহণ, উন্নয়ন এবং আনুষঙ্গিক কাজ বাস্তবায়ন” প্রকল্প এবং “আইসিটি শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণের লক্ষ্যে নেকটার-এর ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ” প্রকল্প; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের “উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ” প্রকল্প; অর্থ মন্ত্রণালয়ের “যমুনা নদী টেকসই ব্যবস্থাপনা প্রকল্প-১ দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থায়ন (কম্পোনেন্ট-৩)” প্রকল্প; প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ২টি প্রকল্প যথাক্রমে “মহেশখালি অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩(ধলঘাটা) এর গ্যাস, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ” প্রকল্প এবং “যশোর রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা” প্রকল্প; পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্প যথাক্রমে “সুগন্ধা নদীর ভাঙন হতে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলা ও নলছিটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা রক্ষা” প্রকল্প, “হাওর এলাকায় বন্যা ব্যবস্থাপনা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন (বাপাউবো অংশ)” প্রকল্প এবং “মেঘনা নদীর ভাঙন হতে ভোলা সদর উপজেলা রক্ষা” প্রকল্প; ভূমি মন্ত্রণালয়ের “সমগ্র দেশে শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ (২য় পর্ব)” প্রকল্প; মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের “প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন (এলডিডিপি)” প্রকল্প; খাদ্য মন্ত্রণালয়ের “আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ (২য় সংশোধিত)” প্রকল্প; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, মৌলভীবাজার (১ম পর্যায়)” প্রকল্প; কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প যথাক্রমে “মেহেরপুর সদরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন ও দেশের মধ্য পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশ-প্রতিবেশ উপযোগী গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণ” প্রকল্প; “বঙ্গবন্ধু-পিয়ারে এলিয়ট ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র (বিপি-এপিসি) স্থাপন এবং বাংলাদেশের কৃষি গবেষণায় সক্ষমতা বৃদ্ধি” প্রকল্প; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের “বাংলাদেশে শোভন কাজের অগ্রগতি” প্রকল্প এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের “বিসিক প্লাস্টিক শিল্পনগরী” প্রকল্প।

 

 পরিকল্পনা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান; কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক; তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ; স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম; শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; পরিবেশমন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এবং ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

 

সভায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজি’র মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সিনিয়র সচিব ও সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।     

 

#

 

শাহেদুর/সঞ্জীব/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/২০২০ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ১৬২৮

 

বিএনপির জনসমর্থনহীন কর্মসূচি ঘোষণাতেই সীমাবদ্ধ

                                   -- পানি সম্পদ উপমন্ত্রী

 

শরীয়তপুর, ২৪ কার্তিক, (৯ নভেম্বর):  

 

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, বিএনপি বাংলাদেশে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, লুটপাটের মতো বিভিন্ন অপকর্মের ফলে ২০০৯ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনসমর্থন হারিয়ে ভরাডুবি হওয়ার পর থেকে বিএনপি সংগঠনটি এবং এর নেতাকর্মীরা এখন সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি জঙ্গিবাদ, মানুষ হত্যা, অগ্নিসন্ত্রাসের কারণে বিএনপির জনবিচ্ছিন্নতা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। যার ফলে ইদানিং বিএনপি ঘোষিত অবরোধ কর্মসূচি অতীতের ন্যায় কোনো সাড়া পাচ্ছে না।

 

আজ শরীয়তপুরের নড়িয়ায় দলীয় কার্যালয়ে পৌরসভা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

উপমন্ত্রী বলেন, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের নামে জ্বালাও-পোড়াও এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পর বিএনপি একের পর এক হরতাল এবং অবরোধ কর্মসূচি দিলেও জনসমর্থনের অভাবে তা কার্যকর হচ্ছে না। বিএনপি ঘোষিত হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি তাদের ঘোষণার মধ্যেই এখন সীমাবদ্ধ থেকে যাচ্ছে বাস্তবে তার প্রয়োগ হচ্ছে না এবং ভবিষ্যতেও হবে না। জনসমর্থনহীন কোন কর্মসূচিই এই গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে কখনো সফল হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবে না।

 

উপমন্ত্রী আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে  আওয়ামী লীগের এই তিন মেয়াদে জনগণ উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছে যে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা তথা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে আওয়ামী লীগ সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা অনস্বীকার্য। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণ, উন্নয়ন ও মুক্তির পথ ও পাথেয় হয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। প্রমাণ করলেন বাংলাদেশের গণতন্ত্র বিকাশে তার কোনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার সততা, নিষ্ঠা, দৃঢ় মনোবল, প্রজ্ঞা ও অসাধারণ নেতৃত্ব বাংলাদেশকে বিশ্ব পরিমণ্ডলে অন্যরকম উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং তিনি বিশ্বনন্দিত নেত্রী হিসেবে পেয়েছেন স্বীকৃতি।

 

এনামুল হক শামীম বলেন, জনসমর্থনহীন এবং জনবিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপির অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি অতীতের ন্যায় কোনো ধরনের সাড়া পাচ্ছে না বলে তা শুধু ঘোষণাতেই সীমাবদ্ধ থেকে যাচ্ছে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় এনে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবে জনগণ।

 

নড়িয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাফর শেখের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মাল, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন, সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ী, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান জাকির বেপারী, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান নাজমা মোস্তফা প্রমুখ।

#

 

গিয়াস/সঞ্জীব/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/১৯৪৫ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ১৬২৭

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ২৪ কার্তিক (৯ নভেম্বর) : 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য  দশমিক ৮২ শতাংশ। এ সময় ৭৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।   

           গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৭৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৩ হাজার ৬৭২ জন।

#

 সুলতানা/সঞ্জীব/রফিকুল/শামীম/২০২৩/১৯৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ১৬২৬

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী বাংলাদেশিদের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর অভিনন্দন

ঢাকা, ২৪ কার্তিক (৯ নভেম্বর) :

          যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী বাংলাদেশিদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

           সৌদি আরব সফররত পররাষ্ট্র মন্ত্রী আজ এক অভিনন্দন বার্তায় বলেন, সিনেটর, কাউন্সিল অ্যাট লার্জ ও কাউন্সিল পদে বাংলাদেশিদের বিপুল বিজয় প্রমাণ করে যে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে বাংলাদেশি অভিবাসীরা একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছেন। বিজয়ী জনপ্রতিনিধিগণ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের পাশাপাশি বাংলাদেশের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

          উল্লেখ্য, ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত স্টেট পার্লামেন্ট নির্বাচনে ১ জন সিনেটরসহ কাউন্সিলর পদে বহু বাংলাদেশি বিজয় লাভ করেছেন। নির্বাচনে ভার্জিনিয়া স্টেটের সিনেটর হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন সাদ্দাম সেলিম। ফিলাডেলফিয়া সিটির কাউন্সিল অ্যাট লার্জ (মেয়রের সমপর্যায়ের) পদে বিজয়ী হয়েছেন ড. নীনা আহমেদ। নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে কাউন্সিলর হিসেবে পুনরায় জয়ী হয়েছেন শাহানা হানিফ। মিলবোর্ন সিটির নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে আবারো জয়ী হয়েছেন নুরুল হাসান এবং সালাহউদ্দিন মিয়া।

          এছাড়া হাডসন সিটি কাউন্সিলে বিজয়ী হয়েছেন কাউন্সিলর শেরশাহ মিজান, দেওয়ান সারওয়ার এবং রনি ইসলাম ও ওয়ার্ড সুপারভাইজার আবদুস মিয়া। মিশিগান স্টেটের হ্যামট্রমিক সিটির প্রো-টেম মেয়র হিসেবে কামরুল হাসান টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হয়েছেন এবং প্রথমবারের মতো কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হয়েছেন মোহতাসিন সাদমান।

          উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন গত বছর নিউ ইয়র্কের একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের নির্বাচনে বিজয়ী প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্মান জানান।

#

মাসুম বিল্লাহ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৯৩০ঘণ্টা

Handout                                                                                                          Number : 1625

Foreign Secretary Masud Bin Momen meets Jordanian counterpart

 Dhaka, 9 November 2023 :

            Foreign Secretary Ambassador Masud Bin Momen had a bilateral meeting with his Jordanian counterpart Ambassador Majed Alqatarneh in Amman on 08 November 2023 Wednesday.

            During the meeting Foreign Secretary reiterated Bangladesh’s unwavering support to the legitimate aspirations of the Palestinian people through the establishment of an independent and sovereign Palestinian State. He said, Prime Minister Sheikh Hasina strongly raised the Palestinian issue in all her recent engagements at bilateral and multilateral forums. Prime Minister Sheikh Hasina called for the unity of the Ummah at the recently held International Conference on Women in Islam held in Jeddah and meeting with the OIC Ambassadors based in Dhaka, Ambassador Masud Bin Momen added.

            Foreign Secretary highlighted the development of Bangladesh under the leadership of Prime Minister Sheikh Hasina and invited Jordanian businesses to take opportunities created by it.

            Jordanian Foreign Secretary thanked Bangladesh for sheltering over 1 million Rohingyas from Myanmar. He also mentioned that the people of Jordan are proud of the recent economic development of Bangladesh. He briefed about the various initiatives taken by Jordan for a ceasefire in the occupied Palestine and for finding a permanent and just solution for the people of Palestine.

            They also discussed tapping the full potential of bilateral trade, employment of more skilled manpower in Jordan, establishment of direct air connectivity, increasing tourism cooperation and cooperation at multilateral forums. They put emphasis on concluding a number of pending bilateral instruments for diversified engagements between the two brotherly countries. Ambassador Masud Bin Momen invited the Jordanian Foreign Secretary to visit Dhaka early 2024 for the next meeting.

            The two sides highlighted holding foreign office consultations on a regular basis. The discussion continued over lunch hosted by the Jordanian counterpart in honor of the Foreign Secretary.

            Earlier, in the morning, Foreign Secretary Masud Bin Momen paid a courtesy call on Prince Hassan bin Talal at the Royal Court of Jordan. Prince Hassan briefed Foreign Secretary on the Gaza situation and its root causes.

#

Masum Billah/Sanjib/Joynul/2023/1915 hour

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ১৬২৪

রপ্তানি বাড়াতে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দূর করতে হবে

                                                        --- বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ২৪ কার্তিক (৯ নভেম্বর) :

          বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও রপ্তানি আয় বাড়াতে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দূর করতে হবে। লাল ‘ফিতার দৌরাত্ম্য’ এই শব্দ দুটি ভুলে যেতে হবে।

          আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আয়োজিত ‘রপ্তানি উন্নয়ন ভবন’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

          মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বে ডেনিমে  প্রথম এবং তৈরিপোশাক শিল্পে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এটি আমাদের মতো দেশের জন্য কত যে গৌরব ও অহংকারের তা সবাই বুঝি। সেবা নিশ্চিত করতে হলে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দূর করতে হবে। এই শব্দ আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত। সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে হয়রানি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। দায়িত্বে অবহেলা করে টেবিলে কাজ ফেলে রাখা উচিত নয়। যেদিনের কাজ সেদিনেই করতে হবে। আজকের কাজ আগামীকালের জন্য ফেলে রাখা যাবে না।

          মন্ত্রী জানান, দেশে রপ্তানিযোগ্য বৈচিত্র্যময় নানা পণ্যের সমাহার রয়েছে। এগুলো কাজে লাগানোর জন্য দরকার সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত। এছাড়া নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধান করার ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, ২০৩০ এবং ২০৪১ সালের যে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

          বাণিজ্যমন্ত্রী আরো জানান, ১২ হাজার ডলার দিয়ে রপ্তানির যাত্রা শুরু। তা এখন প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ভিয়েতনাম আমাদের দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা নিয়ে যদি ২৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করতে পারে তাহলে আমরা কেন ৬০ বা ৭০ বিলিয়ন ডলারে পড়ে থাকব। এজন্য সবাইকে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে হবে।

          মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি না দিয়ে গরিব অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তখন দেশ ও দেশের বাইরে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।

          এসময় ‘রপ্তানি উন্নয়ন ভবন’ নামের পরিবর্তে ‘রপ্তানি ভবন’ রাখার ব্যাপারে অভিমত ব্যক্ত করেন টিপু মুনশি।

          রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম।

#

হায়দার/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৯১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর : ১৬২৩

মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

                                               - নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

মাতারবাড়ি (কক্সবাজার), ২৪ কার্তিক (৯ নভেম্বর) : 

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশকে সারাবিশ্বে পরিচয় করে দিয়েছেন। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর এখন দৃশ্যমান।

প্রতিমন্ত্রী আজ কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১১ নভেম্বর মাতারবাড়ি গভীরসমুদ্র বন্দর চ্যানেল উদ্বোধন এবং প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, প্রকল্প পরিচালক মোঃ জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমিন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ  এশিয়ার সিঙ্গাপুর হবে মাতারবাড়ি। এখানে সড়ক যোগাযোগ আছে। ভবিষ্যতে রেল যোগাযোগ হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। শেখ হাসিনার  মতো নেতৃত্ব থাকলে দেশ সংকটে পড়বে না। মাতারবাড়িকে সিঙ্গাপুরের মতো করতে গেলে যা যা দরকার সবই করা হবে। তিনি থাকলে সবকিছু সম্ভব।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলার মাতারবাড়িতে শুরু হয়েছে দেশের প্রথম গভীরসমুদ্র বন্দর টার্মিনালের নির্মাণ কাজ। দেশের প্রথম ও একমাত্র গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপনের জন্য ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। মাতারবাড়ি টার্মিনাল বাস্তবায়িত হলে ১৬ মিটার বা ততোধিক গভীরতা সম্পন্ন বাণিজ্যিক জাহাজ গমনাগমন করতে সক্ষম হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে মাইলস্টোন হিসেবে কাজ করবে। এখানে বড় ধরনের ফিডার ভেসেল আসবে। অর্থ ও সময় বাঁচবে এবং অর্থনীতিতে সুপ্রভাব ফেলবে।

#

জাহাঙ্গীর/জামান/রবি/রাসেল/কলি/মাসুম/২০২৩/১৫৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ১৬২২

টিসিবির স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু

জবাবদিহিতা নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি অসামঞ্জস্যতা দূর হবে

                                                            -বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ২৪ কার্তিক (৯ নভেম্বর) :

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, টিসিবি’র এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রুপান্তরিত করায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি অসামঞ্জস্যতা দূর হবে। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সারাদেশে বিনামূল্যে এই স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে। তিনি কার্ড পেতে কার্ডধারীদের আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন।

মন্ত্রী আজ রাজধানীর মালিবাগে পিডব্লিউডি কলোনি অডিটোরিয়ামে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি আয়োজিত টিসিবির এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রুপান্তরিত করে বিনামূল্যে বিতরণ এবং কার্ডধারীদের নিকট চালসহ টিসিবির পণ্য সাশ্রয় মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

টিপু মুনশি বলেন, শেখ হাসিনা গরিব-দুখী, অসহায় মানুষের কথা বিবেচনা করে এককোটি ফ্যামিলি কার্ড অর্থাৎ ৫ কোটি মানুষকে কমমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বাংলাদেশে যে পরিমাণ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে তার চেয়েও বেশি মানুষকে সরকার ভরতুকি মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় করছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ডিম এবং আলু আমদানি শুরু হওয়ায় বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ডিমের একটি চালান দেশে আসার পর সরকার থেকে যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে তার চেয়ে কম মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। আগামী মাসের মাঝামাঝি আলু পিঁয়াজসহ অন্যান্য শাক-সবজির বাজার স্বাভাবিক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ডিম আমদানির অনুমতি দেয়ার পরেও চালান আসতে দেরি হওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ডিম আমদানির ক্ষেত্রে বেশ কয়কটি শর্ত দেয়া হয়েছিল, বিশেষ করে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা সনদ নিতে হবে। এসব শর্ত পূরণে কিছু আইনি জটিলতা থাকায় দেশে  চালান আসতে দেরি হয়েছে। বৈশ্বিক কারণে মূল্যস্ফীতি নিয়ে ভীষণ দুঃসময় পার করতে হচ্ছে। এরমধ্যেই বাড়তি সুবিধা নিচ্ছে অসাধু চক্র। রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এসময় টিসিবির চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোঃ আরিফুল হাসান পিএসসি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মামুন রশিদ শুভ্র অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

#

হায়দার/জামান/রবি/রাসেল/আসমা/২০২৩/১৫৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৬২১

ভোটের মাধ্যমেই জনসমর্থন প্রমাণ হবে

                                  - খাদ্যমন্ত্রী

নওগাঁ (নিয়ামতপুর), ২৪ কার্তিক (৯ নভেম্বর) :

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেছেন, অস্ত্র আর সন্ত্রাসের মাধ্যমে জনগণকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। ভোটের মাধ্যমেই জনসমর্থন প্রমাণ হবে।

মন্ত্রী আজ নওগাঁর শিবপুরে হাজীনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতাভুক্ত জনগণের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, উন্নয়নের কারণে গ্রাম এখন শহর হয়েছে, বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট হয়েছে। মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এখন ভাতের অভাব নেই, কেউ না খেয়ে থাকে না, ভবিষ্যতে আমরা বিদেশে খাদ্য রপ্তানি করবো। তিনি আরো বলেন, বৃদ্ধ মানুষের পাশে ভাতা নিয়ে দাড়ি

2023-11-09-15-09-82fc1a1cbbdc3ea7b890151a609bba76.docx