তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭২৬
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা রাখতে হবে
-- সমাজকল্যাণমন্ত্রী
লালমনিরহাট, ১৮ আশ্বিন (৩ অক্টোবর) :
সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের জন্য সর্বদা কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশকে সারাবিশ্বের কাছে পরিচিত করেছেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা রাখতে হবে।
আজ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা অডিটোরিয়াম হল রুমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ৮০ জন সুবিধাভোগীকে চেক বিতরণের সময় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রী ১৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়লের ভবন উদ্বোধন করেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষ যেন অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়। সে জন্য প্রত্যেককে ১৮ হাজার টাকা এককালীন অর্থ দেওয়া হয়েছে।
#
জাকির/সাহেলা/রেজুয়ান/জয়নুল/২০২১/২৩০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭২৫
জিয়া ক্ষমতায় থাকতে হাজার হাজার সেনাসদস্য হত্যা করেছেন
---তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ আশ্বিন (৩ অক্টোবর) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, 'বিএনপির জন্মটাই হয়েছে মানুষ খুন করার মধ্য দিয়ে। তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করতে হাজার হাজার অফিসার ও জওয়ানকে হত্যা করেছেন। বিমান বাহিনীর যে সদস্যদের জিয়া হত্যা করেছিলেন, তাদের পরিবার গতকাল সভা করে জিয়ার মরণোত্তর বিচার দাবি করেছে।'
আজ রাজধানীর জুরাইন রেলগেট চত্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এসোসিয়েশন অভ্ হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম আয়োজিত খাদ্যসামগ্রী বিতরণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন।
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, 'বিএনপিনেতা ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব বড় বড় কথা বলেন, গয়েশ্বর বাবু তালে-বেতালে কথা বলেন, আর তাদের বিএনপি খুনির দল। জিয়া একজন খুনি এবং তার স্বরূপ যখন আরো উন্মোচিত হবে, তখন বিএনপি নেতারা একদিন লজ্জিত হবেন।'
পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগকে মেহনতি মানুষের দল হিসেবে বর্ণনা করেন দলের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ এরশাদ সাহেবের স্যুট-কোট-টাই পরা মানুষের ড্রইংরুমের দল নয়, জিয়ার সাফারি-কোট পরা মানুষের দলও নয়। আওয়ামী লীগ গরিব মেহনতি মানুষের কথা বলে, সাধারণ মানুষের দল আর জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই সাধারণ মানুষের নেতা। সে কারণেই গত ১৩ বছরে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে।'
আয়োজক সংগঠনের কর্ণধার ড. মোঃ আওলাদ হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নাছিম মিয়া, ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত মুফতি, ঢাকা জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ আলমগীর হোসেন এবং কদমতলী থানা আওয়ামী লীগ সদস্যবৃন্দ সভায় বক্তব্য রাখেন। সভাশেষে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী।
#
আকরাম/পাশা/নাইচ/সাহেলা/রেজুয়ান/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/২০:২২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭২৪
নৈতিক শক্তির অধিকারী ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মীরাই মনোনয়ন পাবেন
-- কৃষিমন্ত্রী
ধনবাড়ী (টাঙ্গাইল), ১৮ আশ্বিন (৩ অক্টোবর) :
নৈতিক শক্তির অধিকারী, দলের আদর্শের প্রতি অনুগত ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মীরাই নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাবেন বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলছে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন। এ নৌকা অত্যন্ত গর্বের, অহংকারের ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতীক। এটি পেতে হলে প্রার্থীকে নৈতিক শক্তির অধিকারী, দলের আদর্শের প্রতি অনুগত, ত্যাগী ও দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতা-কর্মী হতে হবে। দলে হঠাৎ করে এসেই মনোনয়ন পাবেন না।
আজ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, একজন প্রার্থীর জনপ্রিয়তা, তৃণমূলের সিদ্ধান্তসহ নানান দিক বিবেচনা করেই প্রার্থী মনোনয়ন করা হবে। তারপরও কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থে দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে তাকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ড. রাজ্জাক আরো বলেন, তৃণমূলের কর্মীবাহিনী ও তাদের ঐক্যই দলের সবচেয়ে বড় শক্তি। দলের গঠনতন্ত্র ও আইন মেনে শৃঙ্খলা ও ঐক্য বজায় রাখতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, ধর্মান্ধ ও অপশক্তির বিরুদ্ধে এখনও আমাদেরকে আন্দোলন করতে হয়। এখনও তারা প্রগতিশীল আন্দোলনের মানুষ, বুদ্ধিজীবী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে হত্যা করে। নিজেদের মধ্যে ঐক্য ধরে না রাখতে পারলে এদের বিরুদ্ধে টিকে থাকা যাবে না। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, রাজাকার-আলবদর ও ধর্মান্ধরা আবার দেশ দখল করবে।
এসময় ধনবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ হীরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর ফারুক আহমাদ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সাখাওয়াত হোসেনসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
#
কামরুল/পাশা/নাইচ/সাহেলা/রেজুয়ান/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/২০০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭২৩
বিদেশি চ্যানেলের পরিবেশক-অপারেটরদের আইন মানাকে সাধুবাদ তথ্যমন্ত্রীর
ঢাকা, ১৮ আশ্বিন (৩ অক্টোবর) :
বিদেশি চ্যানেলের দেশীয় পরিবেশক-অপারেটরদের আইন মানার বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, সরকার কোনো চ্যানেল বন্ধ করেনি, দেশের আকাশ উন্মুক্ত রয়েছে।
মন্ত্রী আজ নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, প্রথমত আমরা কোনো চ্যানেল বন্ধ করিনি, বন্ধ করার জন্যও বলিনি। বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত, এখানে যে কোনো চ্যানেল সম্প্রচার করতে পারে কিন্তু সেটি দেশের আইন মেনে করতে হয়।
যেকোনো বিদেশি চ্যানেল বিজ্ঞাপনমুক্তভাবে সম্প্রচারের আইন ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, ইউরোপ, আমেরিকাসহ পৃথিবীর অন্যান্য সবদেশেই আছে এবং আইন মেনেই সেখানে বিদেশি চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করে, শুধু আমাদের দেশেই এই আইনকে বছরের পর বছর ধরে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা হচ্ছিল, বলেন ড. হাছান।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এই আইন বাস্তবায়নের কথা দু’বছর আগে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলেছিলাম এবং বেশ কয়েকবার তাগাদা দেয়া হয়েছে, নোটিশ করা হয়েছে এবং সবশেষে আগস্টে সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি যে পয়লা অক্টোবর থেকে আমরা আইন কার্যকর করবো। আমরা সেটিই করেছি, কোনো চ্যানেল বন্ধ করা হয়নি। কেউ কেউ বলছে ডিজিটালাজইড না হওয়া পর্যন্ত এ আইন শিথিল রাখার জন্য। পুরো ভারতবর্ষ তো ডিজিটাল হয় নাই, সেসব দেশেও তো আইন কার্যকর আছে, সেখানে ডিজিটাল হওয়ার আগে থেকেই আইন কার্যকর আছে। সুতরাং আমাদের দেশে আইনকে তোয়াক্কা না করে এ ধরনের অজুহাত তোলার কোনো যুক্তি নেই।’
বিদেশি বেশকিছু চ্যানেল সম্প্রচার অপারেটররা বন্ধ রেখেছে সে বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারা যেহেতু সংশ্লিষ্ট চ্যানেল থেকে ক্লিনফিড পায়নি, সেজন্য বন্ধ রেখেছে, সেটাকে আমি সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আমরা কোনোটাই বন্ধ করতে বলিনি, আগে থেকেই সময় দেয়া হয়েছিল যাতে করে তারা সংশ্লিষ্ট চ্যানেলগুলোকে ক্লিনফিড পাঠানোর জন্য বলে এবং পাশাপাশি তারাও প্রস্তুতি নেয়। যথেষ্ট অর্থাৎ দুই বছর সময় দেয়া হয়েছিল। আমি দু’বছর আগে থেকে তাদের সাথে আলোচনা শুরু করেছি। এর আগেও এ আইন বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। সবশেষে সবার সাথে বসেই আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছে, বিবিসি, সিএনএন, আলজাজিরা, এনএইচকে, ফ্রান্স ২৪, রাশিয়া টুডে’সহ প্রায় ২৪টি চ্যানেলের ক্লিনফিড আসে। কিন্তু সেগুলো অনেকে চালাচ্ছেন না, যেটি ক্যাবল অপারেটরের লাইসেন্সের শর্তভঙ্গ। কেউ শর্তভঙ্গ করলে, সেই অপরাধে অভিযুক্ত হবেন।’
ড. হাছান বলেন, ‘বিদেশি চ্যানেলগুলোর এদেশে এজেন্ট আছে, ক্লিনফিডের দায়িত্ব হচ্ছে সংশ্লিষ্ট চ্যানেলের এবং এজেন্টের। কিন্তু কোনো কোনো ক্যাবল অপারেটর এজেন্টদের পাশ কাটিয়ে সরাসরি স্যাটেলাইট থেকে এটি পাইরেসি করে ডাউনলিংক করে। অনুমতি ছাড়া ডাউনলিংক করা আইন বহির্ভূত।’
কিছু ক্যাবল অপারেটরের আন্দোলনের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের আন্দোলনের কথা বলা অযৌক্তিক। যারা দেশের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করছে এবং সংস্কৃতিকে চোখ রাঙ্গাচ্ছে, সেগুলোর পক্ষে ওকালতি করা দেশের স্বার্থবিরোধী, আইনবিরোধী। আমি আশা করবো দেশের স্বার্থবিরোধী কার্যক্রমে লিপ্ত হবেন না। সরকার কোনো চাপের কাছে নতিস্বীকার করবে না। দেশের স্বার্থ উর্ধ্বে তুলে ধরার জন্য, দেশের আইন বাস্তবায়ন করার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। অবশ্যই তারা যদি আলোচনা করতে চায়, আলোচনা হতেই পারে, তারাও এখানে আমাদের সহযোগী। তাদের সাথে অবশ্যই আলোচনা হতে পারে। তবে আলোচনার ভিত্তি হবে আইনমানা, দেশের স্বার্থসংরক্ষণ।’
ক্যাবল অপারেটরদের আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কার কথা কেউ কেউ বলছে, এটি জনগণকে ধোকা দেয়ার মতো একটি বক্তব্য বলেন মন্ত্রী। ক্যাবল অপারেটররা কি মানুষের কাছ থেকে যে চার্জ নেয় সেটি কি কমিয়ে দিয়েছে -প্রশ্ন রেখে ড. হাছান বলেন, তাদের আয় এক টাকাও কমে নাই বরং আরো টাকা সাশ্রয় হবে।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে, দেশের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে, দেশের মিডিয়াদের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে আজকে আমরা যখন এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি দেশের সমস্ত গণমাধ্যম এটিকে অভিনন্দন জানিয়েছে। গণমাধ্যমের সাথে সংশ্লিষ্ট যারা সম্প্রচার জার্নালিস্ট ফোরাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং শিল্পীরাও অভিনন্দন জানিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত আমরা গ্রহণ করেছি দেশের স্বার্থে, দেশের জনগণের স্বার্থে, দেশের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে, সাংবাদিকদের স্বার্থে, গণমাধ্যমের সাথে সংশ্লিষ্ট শিল্পী-কলাকুশলীদের স্বার্থে। আমাদের দেশে যারা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে এবং সংশ্লিষ্ট সবার স্বার্থকে যারা জলাঞ্জলি দিয়ে কথা বলে তারা দেশের পক্ষে কথা বলে না।’
#
আকরাম/পাশা/নাইচ/সাহেলা/রেজুয়ান/মোশারফ/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/১৮:১৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭২২
বিএনপি মানুষকে বিভিন্ন মুখরোচক কথা বলে বিভ্রান্ত করছে
-স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ আশ্বিন (৩ অক্টোবর ) :
বিএনপি দেশের মানুষকে বিভিন্ন মুখরোচক কথা বার্তার মাধ্যমে বিভ্রান্ত করছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
তিনি আজ রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে আয়োজিত জাতীয় স্যানিটেশন মাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি দেশের মানুষকে এখন স্বর্গের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। ক্ষমতায় থাকাকালে দেশকে তারা নরক বানিয়ে রেখেছিল। যারা দীর্ঘ ২১ বছর ক্ষমতায় থেকে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি। তারা এখন নতুনভাবে অনেক রকম মুখরোচক কথাবার্তা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। তাদের ভয়ঙ্কর শাসনামল সম্পর্কে দেশের মানুষ ভালোভাবেই অবগত আছে। তাই তাদের মিথ্যা আশ্বাসে বিভ্রান্ত না হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
মোঃ তাজুল ইসলাম আরও বলেন, পেশাগতভাবে আমাদের ভিন্নতা থাকতে পারে কিন্তু দিন শেষে সবাই এদেশের মানুষ। দেশটাকে নিয়ে অনেক সময় অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সকল অপশক্তির ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।
দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষ সুপেয় পানির আওতায় এসেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন সরকারের একটি অগ্রাধিকারমূলক খাত। সকলের জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ ও শতভাগ স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ এবং এ লক্ষ্য পূরণে কাজ চলছে। স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে প্রতি ছয় হাজার মানুষের জন্য শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছেন বলেও জানান তিনি।
মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, যে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা হোক না কেন সচেতনতামূলক কার্যক্রম থাকা উচিত। করোনা, ডেঙ্গু, স্যানিটেশনসহ সামাজিক সকল সমস্যা সমাধানে মানুষকে সচেতন করার বিকল্প নেই। সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করে মোঃ তাজুল ইসলাম আরও বলেন কমিউনিটিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক-ছাত্রসহ সকল মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
মন্ত্রী জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের দায়িত্ব নিয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই অভূতপূর্ব উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে আমরা অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও এদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারবো।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এবং বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি. Veera Mendonca বিশেষ অতিথি ছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, বতর্মানে দেশের স্যানিটেশন ব্যবস্থায় দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে। একটি দেশের উন্নতি তখনই হয় যখন দেশের সাধারণ মানুষ সচেতন হয়, দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সঠিকভাবে পরিচালিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে জনসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও স্যানিটেশন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে স্যানিটেশনকে সবসময় সরকার অগ্রাধিকার প্রদান করে আসছে। যার ফলে স্যানিটেশনে দেশের অগ্রগতি দৃশমান।
#
হায়দার/পাশা/নাইচ/সাহেলা/রেজুয়ান/মোশারফ/শামীম/২০২১/১৯৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭২১
মা ইলিশ রক্ষায় আজ মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে সমন্বিত বিশেষ অভিযান
ঢাকা, ১৮ আশ্বিন (৩ অক্টোবর ) :
চলতি বছর প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় আজ মধ্যরাত থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সমন্বিত বিশেষ অভিযান শুরু হচ্ছে। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের ৩৮টি জেলায় এ বিশেষ অভিযান পরিচালিত হবে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় মৎস্য দপ্তর, বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সমন্বিতভাবে এ অভিযান পরিচালনা করবে।
অভিযান বাস্তবায়নকালে ২০টি জেলা তথা ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ও বাগেরহাট জেলার নদ-নদী, মোহনা ও সাগরে ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। অপর ১৮টি জেলা তথা নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, জামালপুর, রাজশাহী, নাটোর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খুলনা, কুষ্টিয়া ও নড়াইল জেলার নদ-নদীতে ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।
আজ সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে এ সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ বলেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে, ইলিশ মাছকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। মৎস্য বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতেই ইলিশের সর্বোচ্চ প্রজনন সময় বিবেচনা করে এ বছর ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
সচিব আরো যোগ করেন, ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকাকালে এ বছর ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৪৪টি জেলে পরিবারের জন্য ১১ হাজার ১১৮ দশমিক ৮৮ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইলিশ ধরা বন্ধকালে যাতে পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেরা অবৈধ মৎস্য আহরণ করতে না পারে সে জন্য কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সভায় জানানো হয়, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফল করতে এ বছর ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। নৌপুলিশ এ বছর নদীতে ভাসমান ফাঁড়ি পরিচালনা করবে এবং সার্বক্ষণিক একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু রাখবে। বিমান বাহিনী আকাশপথে নজরদারি গত বছরের চেয়ে বৃদ্ধি করবে এবং রাতের বেলা টহল জোরদার করবে।
উল্লেখ্য, ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে ‘প্রটেকশন এন্ড কনজারভেশন অব ফিশ অ্যাক্ট, ১৯৫০’ এর অধীন প্রণীত ‘প্রটেকশন এন্ড কনজারভেশন অব ফিশ রুলস, ১৯৮৫’ অনুযায়ী ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করে গত ২৬ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। উল্লিখিত ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় দন্ডনীয় অপরাধ। এই আইন অমান্যকারী কমপক্ষে ১ থেকে সর্বোচ্চ ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
#
ইফতেখার/পাশা/নাইচ/সাহেলা/রেজুয়ান/মোশারফ/শামীম/২০২১/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭২০
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৮ আশ্বিন (৩ অক্টোবর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২১ হাজার ২৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬১৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৫৭ হাজার ৯৬৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জন-সহ এ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৫৭৩ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ১৮ হাজার ৭৫৪ জন।
#
ইউনুস/পাশা/নাইচ/সাহেলা/রেজুয়ান/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/১৮:২৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭১৯
২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে
-- সেতুমন্ত্রী
ঢাকা ১৮ আশ্বিন (৩ অক্টোবর) :
আগামী নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে মূল পদ্মা সেতুর কার্পেটিং এর কাজ শুরু হবে এবং ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী আজ পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে পুনর্বাসন সাইটসমূহে বরাদ্দকৃত প্লটের লিজ দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা জানান। এসময় মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি এমপি উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরো জানান, মূল সেতুর নির্মাণকাজের অগ্রগতি শতকরা প্রায় ৯৫ ভাগ, নদীশাসন কাজের অগ্রগতি শতকরা ৮৫ দশমিক ২৫ ভাগ এবং পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৮৮ ভাগ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার অবদান, পদ্মা সেতু দৃশ্যমান। এটি এখন আর কোনো স্লোগান নয়, দৃশ্যমান বাস্তবতা। তিনি আরো বলেন, পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে সাতটি পুনর্বাসন সাইট নির্মাণ করা হয়েছে। এ পুনর্বাসন সাইটগুলোয় মোট তিন হাজার এগারোটি আবাসিক প্লটের মধ্যে এ পর্যন্ত দুই হাজার নয়শ’ তেষট্টিটি প্লট বরাদ্দ করা হয়েছে। যার মধ্যে ভূমিহীনদের মাঝে আটশ’ চৌদ্দটি প্লট বিনামূল্যে বরাদ্দ করা হয়েছে। মোট একশ’টি বাণিজ্যিক প্লটের মধ্যে এ পর্যন্ত একাশিটি প্লট এবং একশ’ বিশটি বাণিজ্যিক স্পেসের মধ্যে এ পর্যন্ত বাহাত্তরটি স্পেস বরাদ্দ করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন সম্পন্নকৃত আটশ’ তেইশটি লিজ দলিলের মধ্যে আজ বিশটি লিজ দলিল ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে হস্তান্তর করা হলো। পর্যায়ক্রমে সবাই পাবে, কেউ বঞ্চিত হবে না।
সেতু বিভাগের সচিব মোঃ আবু বকর ছিদ্দীকের সভাপতিত্বে লিজ দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান সমন্বয়ক, ইএসএসটি মেজর জেনারেল এফ এম জাহিদ হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ কামরুল হাসানসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় প্রশাসনের সদস্যবৃন্দ।
#
ওয়ালিদ/পাশা/নাইচ/সাহেলা/রেজুয়ান/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/১৮২৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৭১৮
বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২১-এর বিস্তারিত কর্মসূচি
ঢাকা, ১৮ আশ্বিন (৩ অক্টোবর ) :
বাংলাদেশ সরকার প্রতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব শিশু দিবস পালন করে থাকে। এ বছর
৪ অক্টোবর সোমবার সারাদেশে পালিত হবে বিশ্ব শিশু দিবস। একই সাথে শিশুর অধিকার, সুরক্ষা এবং শিশুর উন্নয়ন ও বিকাশে সংশ্লিষ্ট সকলকে অধিকতর উদ্যোগী ও সচেতন করার লক্ষ্যে ৪ থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত পালন করা হবে শিশু অধিকার সপ্তাহ। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতি বছরের মতো এ বছরও দেশব্যাপী যথাযথ মর্যাদায় বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উদ্যাপন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বিশ্ব শিশু দিবস ২০২১ এর প্রতিপাদ্য -‘শিশুর জন্য বিনিয়োগ করি, সমৃদ্ধ বিশ্ব গড়ি’।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের জন্য সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। জাতির পিতা ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানে শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করেন। জাতিসংঘ ১৯৮৯ সালে শিশু অধিকার সনদ ঘোষণার ১৫ বৎসর পূর্বে ১৯৭৪ সালে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের অধিকার সুরক্ষার জন্য শিশু আইন প্রণয়ন করেন। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের শিক্ষা, পুষ্টি, সুরক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন আইন, নীতি ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও শিশুবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহের সাথে আগামী ৫ অক্টোবর জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উদ্যাপন করা হবে। এ বছর জাতীয় কন্যা শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য : ‘আমরা কন্যা শিশু- প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হবো, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বো’।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, ইউনিসেফ, দেশি ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শিশুদের অংশগ্রহণে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সচেতনতামূলক সভা, সুবিধাবঞ্চিত ও পথশিশুদের নিয়ে আলোচনা সভা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, “বিনিয়োগ হোক প্রারম্ভিক শৈশবেই” শীর্ষক ওয়েবিনার এবং বাংলাদেশে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে মতবিনিময় সভা। আরো আছে শিশুদের উন্নয়ন, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ, সুরক্ষা ও অধিকার বিষয়ে ক্যাম্পেইন, জাতীয় পর্যায়ে পলিসি ডায়ালগ সেশন, বিতর্ক প্রতিযোগিতা। আলোচনা এবং মতবিনিময় সভায় শিশুসংগঠক, শিশু বিশেষজ্ঞ, শিশু সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন। এসকল অনুষ্ঠান সরাসরি ও ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২১ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দেশ ও সারাবিশ্বের সকল শিশুকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিশেষ বাণী প্রদান করেছেন।
বিশ্ব শিশু দিবসের অনুষ্ঠান ও টকশো বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত হবে। বিশেষ ক্রোড়পত্র ও স্মরণিকা প্রকাশ এবং আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হবে। এছাড়া পোস্টার, পিভিসি ও ফেস্টুন-ব্যানার স্থাপনের মাধ্যমে বিভিন্ন ভবন ও ঢাকার প্রধান প্রধান সড়কদ্বীপ সজ্জিত করা হবে। দেশের সকল জেলা এবং উপজেলায় বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উদ্যাপন করা হবে।
বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উদ্যাপনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাথে সহযোগী হিসেবে থাকবে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ। আন্তর্জাতিক ও দেশীয় উন্নয়ন সংস্থার মধ্যে