তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০৩৬
উন্নত বাংলাদেশ গড়তে এসএমই খাতের উন্নয়ন জরুরি
-- পরিকল্পনা মন্ত্রী
ঢাকা, ২ বৈশাখ (১৫ এপ্রিল) :
পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই ) ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে এ খাতের অবদান আরো বাড়াতে হবে। এ জন্য এসএমই খাতের উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে এগিয়ে আসতে হবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির হাত ধরেই দারিদ্র্যবিমোচন সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সরকার নানা অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় উন্নত বাংলাদেশ গঠনের কাজ শুরু করেছি।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় এক হোটেলে সিটি ফাউন্ডেশন আয়োজিত ১২তম সিটি মাইক্রোএন্টার প্রিনিয়ার্সশিপ এওয়ার্ড প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদ উদ্দীন মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বক্তৃতা করেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, এসএমইখাতের বিকাশে আমাদেরকে আরো উদ্যোগী হতে হবে। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। এসএমই খাতের বিকাশে প্রতিবন্ধকতাসমূহ সর্বাগ্রে চিহ্নিত করতে হবে। তিনি ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড , অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতসহ কয়েকটি দেশের জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে এসএমই খাতের অবদানের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশনে একটি স্বাধীন গবেষণা কেন্দ্র থাকা প্রয়োজন। তিনি বলেন, কাউকে বাদ দিয়ে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। অর্থনীতির মূল¯্রােতধারায় এসএমই খাতকে সম্পৃক্ত করতে হবে। সরকার এ খাতের উন্নয়নে সম্ভাব্য সব কিছু করতে বদ্ধপরিকর।
#
শেফায়েত/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০৩৫
সরকার সারের যোগান বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে
---শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ২ বৈশাখ (১৫ এপ্রিল) :
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, বর্তমান সরকার আমদানির পরিবর্তে নিজস্ব উৎপাদন থেকে সারের যোগান বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে। ৪ হাজার ৮৪৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে নির্মিত শাহজালাল সার কারখানা থেকে বছরে ৫ লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি সার উৎপাদন হচ্ছে। পাশাপাশি নরসিংদীর পলাশে বিদ্যমান পুরাতন দু’টি ইউরিয়া সার কারখানা ভেঙে এর স্থলে একই পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করে দ্বিগুণ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি অত্যাধুনিক জ্বালানি সাশ্রয়ী ইউরিয়া সার কারখানা নির্মাণ করা হবে। ভবিষ্যতে নিবরচ্ছিন্ন সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১৩টি নতুন বাফার গোডাউন নির্মাণ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন (বিএফএ)-এর ২৩তম সাধারণ সভা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী সার ডিলারদের ব্যবসাকে একটি পবিত্র ব্যবসা হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ ব্যবসার সাথে মানবসেবার বিষয়টি জড়িত। দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য সংস্থানে সার ডিলাররা পবিত্র দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামে এবং ২০১৫ সালে বিএনপি-জামাতের মাসব্যাপী আগুন সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের মধ্যেও চাষি পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন সার সরবরাহ করায় ডিলারদের ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে বিএফএ’র নেতারা জানান, বর্তমানে বিসিআইসি নিযুক্ত ৫ হাজার ৩০০ ডিলার ও ৪৫ হাজার খুচরা বিক্রেতা দেশব্যাপী সারের সুষ্ঠু সরবরাহ ও বিতরণের দায়িত্ব পালন করছে। এর ফলে দেশে বিভিন্ন ফসলের বাম্পার ফলন হচ্ছে। তারা মিল গেট ও বাফার গুদামে ইউরিয়া সারের একই মূল্য নির্ধারণ এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে শূন্য কোটা ছাড়া অংশ বিশেষের জন্য নতুন ডিলার নিয়োগ বন্ধের সিদ্ধান্ত বহাল রাখায় সরকারের প্রশংসা করেন। তারা এলাকাভিত্তিক চাহিদা অনুযায়ী মোটা ও চিকন দানার ইউরিয়া সার সরবরাহ এবং বর্তমানে চাষি পর্যায়ে সারের চাহিদা কম থাকায় মার্চ থেকে জুন, ২০১৭ পর্যন্ত সার উত্তোলন ঐচ্ছিক করার দাবি জানান।
#
আরেফিন/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৭৫৫৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০৩৪
অর্জিত জ্ঞান জাতীয় উন্নয়নে ব্যবহার করতে হবে
---শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ২ বৈশাখ (১৫ এপ্রিল) :
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষার্থীদের অর্জিত জ্ঞান জাতীয় উন্নয়নে ব্যবহার করার কৌশল আয়ত্ত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে এমন ধরনের বিষয়বস্তু অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা জাতীয় জীবনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে তা কাজে লাগাতে পারে। তিনি বলেন, জ্ঞান ও মেধার প্রয়োগে সৃজনশীলতা ও উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ। জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জনের কোন সীমা নেই। জীবনভর তা আয়ত্ত করে আরো বড় সাফল্য অর্জন সম্ভব।
শিক্ষামন্ত্রী আজ রাজধানীর সাতারকুলে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)-এর চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় একথা বলেন। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন প্রফেসর ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী। সমাবর্তনে অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান, ইউআইইউ-এর উপাচার্য প্রফেসর ড. এম রেজওয়ান খান এবং বোর্ড অভ্ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রাজা বক্তৃতা করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য সুদূরপ্রসারী। ২০২১ সালের মধ্যে অর্থাৎ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে চাই। ২০৪১ সালে আমরা উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব সমাজে স্থান পেতে চাই। দারিদ্র্য দূরীকরণ এখনও আমাদের একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দারিদ্র্য দূরীকরণে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষাক্ষেত্রে অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে। নারীশিক্ষায় আমরা সার্কভূক্ত সব দেশের চেয়ে এগিয়ে আছি। আমরা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুলগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে জেন্ডার সমতা অর্জন করেছি। প্রাথমিক পর্যায়ে ছাত্রী হার ৫১ শতাংশ ও ছাত্র হার ৪৯ শতাংশ। মাধ্যমিক পর্যায়ে ছাত্রী হার ৫৩ শতাংশ ও ছাত্র হার ৪৭ শতাংশ। আগামী ৩ বছরের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ও ৬ বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভর্তির ক্ষেত্রে জেন্ডার সমতা অর্জনে আমরা সক্ষম হবো।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশ যখন উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনি একদল স্বাধীনতাবিরোধী এ উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে ব্যাহত করার জন্য ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে এদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাস ও জঙ্গি কার্যক্রমের সাথে জড়িয়ে তাদের ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তাদের কুমন্ত্রণায় প্ররোচিত হয়ে বেশকিছু তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে বিপথগামী হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহবান জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উচ্চ শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্থিতিশীল উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বহুমাত্রিক শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে শিক্ষার্থীদেরকে সম্পৃক্ত করার যথোপযুক্ত পরিকল্পনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর থাকতে হবে। বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত ও তথ্য বিপ্লবের সুযোগ গ্রহণ করে তাঁদেরকে যুগোপযোগী মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে। তিনি দেশের বাস্তবতা এবং জনগণের আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও টিউশন ফিসহ সকল প্রকার ব্যয় একটি সীমা পর্যন্ত নির্ধারিত রাখতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি আহ্বান জানান। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নীতিমালা মেনে স্থায়ী নিজস্ব ক্যাম্পাস স্থাপন করায় তিনি ইউআইইউ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
সমাবর্তনে ১৬১০ জন শিক্ষার্থীকে ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ৬ জন শিক্ষার্থীকে পদক প্রদান করেন।
#
আফরাজ/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/ ১৭৩০ ঘণ্টা