তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৬
পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির মৃত্যুতে স্পিকারের শোক
ঢাকা, ২৯ মাঘ (১১ ফেব্রুয়ারি):
রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোতাহারুল ইসলাম বাবলু (৬২) গত ৮ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসার জন্য ভারতের মুম্বাই থেকে কলকাতা ফিরে আসার পথে রাত সাড়ে ১১টায় মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি..........রাজিউন)। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আজ এক শোকবার্তায় স্পিকার বলেন, মরহুম মো. মোতাহারুল ইসলাম বাবলু ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। একজন সম্ভাবনাময় রাজনীতিবিদ। তাঁর মৃত্যুতে একটি সম্ভাবনার মৃত্যু হয়েছে।
স্পিকার তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
#
হুদা/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৫
যথাসময়ে নির্বাচন হবে
-- ত্রাণ মন্ত্রী
চাঁদপুর, ২৯ মাঘ (১১ ফেব্রম্নয়ারি):
দুর্যোগ ব্যবস'াপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, যথাসময়ে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যুবলীগকে এখন থেকেই নির্বাচনের প্রস'তি গ্রহণ করতে হবে।
তিনি আজ চাঁদপুরের হাসান আলী হাইস্কুল মাঠে যুবলীগের এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
যুবলীগের চাঁদপুর জেলা সভাপতি মিজানুর রহমান কালু ভূইয়ার সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর এমপি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওসমান পাটোয়ারী, আওয়ামী লীগের চাঁদপুর জেলা সভাপতি ও চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বলেন, এবার যে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সকল দলের মতামত নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে, তা স্বাধীনতা উত্তরকালে সবচেয়ে নিরপেড়্গ বলে জনগণ স্বাগত জানিয়েছে। কিন' জনমতকে উপেড়্গা করে একটি দল এ কমিশনকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করছে, বরাবরের মতো না না করছে। তিনি বলেন এ দলটি মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের কলঙ্কিত করে যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসিত, প্রতিষ্ঠিত ও পতাকা দান করেছে। বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম তাদের চিরকালের মতো ত্যাগ করেছে বলে তিনি মনত্মব্য করেন।
#
দেওয়ান/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৪
সমবায় হবে উন্নয়নের হাতিয়ার
-- এলজিআরডি মন্ত্রী
বগুড়া, ২৯ মাঘ (১১ ফেব্রম্নয়ারি):
স'ানীয় সরকার, পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সমবায় আন্দোলনকে বেগবান করার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের কাজে লাগতে হবে। বাংলাদেশের উন্নয়নে সমবায়কে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
মন্ত্রী আজ বগুড়ায় বাংলাদেশ পলস্নী উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে পলস্নী উন্নয়ন একাডেমী মিলনায়তনে বগুড়া জেলা প্রতিনিধি সমাবেশ ২০১৭ তে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ পলস্নী উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. আব্দুল কাইমের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. হাবিবর রহমান, সমবায় বিভাগের সচিব ড. প্রশানত্ম কুমার রায়, আরডিএ’র মহাপরিচালক এমএ মতিন এবং বার্ডের মহাপরিচালক মো. মাসুদুর রহমান সফদার উপসি'ত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পলস্নী উন্নয়ন বোর্ড ও সমবায় সমিতির মাধ্যমে দেশের জিডিপিতে ২ শতাংশ হারে অবদান রাখছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের যে সোপানে এসে দাঁড়িয়েছে তাতে সমবায় সমিতির ভূমিকা রয়েছে।
তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে সমবায়ীদের সক্ষমতা বাড়ানো হবে। এ খাতে বরাদ্দ দ্বিগুণ করা হবে। দেশের উন্নয়নে সমবায়ীদের আরো জোরালোভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
#
জাকির/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪২৩
বেআইনিভাবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনাকারীদের বিরম্নদ্ধে ব্যবস'া নেয়া হবে
-- শিড়্গামন্ত্রী
ঢাকা, ২৯ মাঘ (১১ ফেব্রম্নয়ারি) :
শিড়্গামন্ত্রী নুরম্নল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, যে সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখনো তাদের ন্যূনতম শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, যারা নিজস্ব ক্যাম্পাসে পাঠদান কার্যক্রম স'ানানত্মর করেনি, যারা সঠিকভাবে আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছেন না, তাদের বিরম্নদ্ধে নতুন শিড়্গার্থী ভর্তি বন্ধসহ আইনানুগ ব্যবস'া নেয়া হবে।
শিড়্গামন্ত্রী আজ ঢাকায় উত্তরায় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) এর ১৭তম সমার্বতন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান এবং এআইইউবি’র উপাচার্য উৎ. ঈধৎসবহ ত. খধসধমহধ এবং বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবধর্ণ শ্রিংলা (ঐধৎংয ঠধৎফযধহ ঝযৎরহমষধ) বক্তব্য রাখেন।
শিড়্গামন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় শিড়্গানীতি ২০১০’ এর ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০’ প্রণয়নের ফলে শিড়্গা ব্যবস'ায় শৃঙ্খলা এবং জনগণের আর্থসামাজিক অবস'া বিবেচনা করে শিড়্গার্থীদের ভর্তি ও টিউশন ফিসহ সকল প্রকার ব্যয় একটি সীমা পর্যনত্ম নির্ধারিত রাখার জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপড়্গের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, সরকার উচ্চ শিড়্গার চহিদা পূরণের লড়্গ্যে অনেকগুলো সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স'াপনের অনুমতি দিয়েছে এবং এগুলোর মান অর্জনের জন্যও প্রয়োজনীয় পদড়্গেপ গ্রহণ করেছে। মন্ত্রী বলেন, নারী শিড়্গায় আমাদের অর্জন যুগানত্মকারী এবং এড়্গেত্রে আমরা সার্কভুক্ত সকল দেশের চেয়ে এগিয়ে আছি। বাংলাদেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির ড়্গেত্রে জেন্ডার সমতা, অর্র্জিত হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী ৩ বছরের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে এবং ৬ বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভর্তিড়্গেত্রে জেন্ডার সমতা অর্জনে আমরা সড়্গম হবো।
#
আফরাজ/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৭৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২২
এমআইটি ও আইসিটি ডিভিশন অভিনব প্রযুক্তিতে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী
-- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৯ মাঘ (১১ ফেব্রম্নয়ারি):
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, এমআইটি বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল বিপস্নব ও গবেষণায় অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, ডিপ লার্নিং, বিগ ডেটা, ইন্টারনেট অভ্ থিংসসহ অভিনব প্রযুক্তিতে এমআইটি’র দারম্নণ সব গবেষণা কার্যক্রম পুরো পৃথিবীর চিত্র বদলে দিচ্ছে। আমাদের সরকারও ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ বিনির্মাণে অন্যান্য সব প্রযুক্তির সমাবেশ ঘটাতে চায়। তাই, আমাদের অভিনব প্রযুক্তিতে কাজ করতে হবে এবং আমরা এমআইটি’র সাথে কার্যকর ও টেকসই অংশীদারিত্বে মাধ্যমে যৌথ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে আগ্রহী।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে আয়োজিত ‘ইনোভেশন এন্ড অন্ট্রাপ্রেনিওরশিপ ইন ডিজিটাল এজ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় বিগত ৮ বছরে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন কার্যক্রম উলেস্নখপূর্বক আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, উদ্ভাবনে সফলতা আনয়ন, উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে আমাদেরে সরকার ইনোভেশন ডিজাইন এন্ড অন্ট্রাপ্রেনিওরশিপ একাডেমি (আইডিয়া) শীর্ষক এক অন্যান্য প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্প গবেষণা ও উদ্ভাবনে শিল্প-শিড়্গার্থী-শিড়্গক-সরকারের সাথে সমন্বয়ের পাশাপাশি উদ্ভাবনী কার্যক্রমী প্রণোদনা সৃষ্টি করবে এবং দেশে একটি বৈশ্বিক স্টার্ট-আপ কালচার সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত সচিব হারম্ননুর রশিদ, পার্থ প্রতিম দেব, সুশানত্ম কুমার সাহা এবং আইসিটি ডিভিশনের চিফ স্ট্রাটেজিক অফিসার জামিল আজহারসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত সংশিস্নষ্ট ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ এ সময় উপসি'ত ছিলেন।
#
নাছের/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৭৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২১
পলস্নী উন্নয়ন একাডেমীসমূহের কার্যক্রমের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর হবে
-- এলজিআরডি মন্ত্রী
বগুড়া, ২৯ মাঘ (১১ ফেব্রম্নয়ারি):
স'ানীয় সরকার, পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, পলস্নী উন্নয়ন একাডেমীসমূহের মাধ্যমে গবেষণা ও প্রশিড়্গণ প্রদান করলে গ্রামীণ জনপদের দারিদ্র্যবিমোচন হবে এবং তা দেশের উন্নয়নে জোরালো ভূমিকা রাখবে।
মন্ত্রী আজ বগুড়ায় পলস্নী উন্নয়ন একাডেমী, বগুড়ার ৪৪তম বোর্ড সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. হাবিবুর রহমান, পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব ড. প্রশানত্ম কুমার রায়, পলস্নী উন্নয়ন একাডেমী, বগুড়ার মহাপরিচালক এম এ মতিনসহ বোর্ডের অন্য সদস্যগণ উপসি'ত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানকে উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশের পলস্নী জনপদের উন্নয়নে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। পলস্নী অর্থনীতিকে বেগবান ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে একাডেমীকে যুগোপযোগী গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে তার প্রয়োগ নিশ্চিত ও গুণগত প্রশিড়্গণ প্রদান করতে নির্দেশনা প্রদান করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পলস্নী উন্নয়ন একাডেমী, কুমিলস্নার আদলে প্রতিষ্ঠিত পলস্নী উন্নয়ন একাডেমীসমূহ সমন্বিতভাবে কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ভিশন ২০২১ ও ভিশন ২০৪১ বাসত্মবায়নে ভূমিকা রাখবে।
সভায় ভূ-পৃষ্ঠের পানির ব্যবহার বাড়ানোর জন্য প্রযুক্তির উদ্ভাবন, পুকুর খনন ও তা সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। তিনি আরডিএ, বগুড়া কর্তৃক উদ্ভাবিত কমিউনিটি বায়োগ্যাস পস্নান্ট প্রকল্প আকারে সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার বিষয়ে সকলকে আশ্বসত্ম করেন। মন্ত্রী পলস্নী দারিদ্র্যবিমোচনে একটি বাড়ি একটি খামার, সমবায় অধিদপ্তর, বিআরডিবি ও পলস্নী উন্নয়ন একাডেমীসমূহকে সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
উলেস্নখ্য, প্রতিষ্ঠানসমূহের গতিশীলতা বৃদ্ধিতে বোর্ড সভাসমূহ নিয়মিতভাবে নিজস্ব ভেন্যুতে অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক এ সভাটি আরডিএ, বগুড়াতে অনুষ্ঠিত হয়।
#
জাকির/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৭১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৮
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৯ মাঘ (১১ ফেব্রুয়ারি) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩৭তম জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে আমি এ বাহিনীর সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
১৯৪৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আনসার বাহিনী প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ১৯৫২-এর মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকেই আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর অবদান দেশের ইতিহাসকে মহিমান্বিত করেছে।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জননিরাপত্তা বিধানে এ বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। রাজধানী শহর ঢাকা থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ বাহিনীর সদস্যরা ছড়িয়ে রয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তাকারী হিসেবে আনসার ভিডিপি’র সদস্যগণ প্রথম এগিয়ে আসেন। সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন কলকারখানা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় মোতায়েন থেকে এ বাহিনীর সদস্যরা দক্ষতার সাথে সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। অপরাধ দমনে বাংলাদেশ পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীকে সহায়তা প্রদান, জাতীয় নির্বাচন ও বৃহৎ জনসমাবেশে নিরাপত্তা প্রদানসহ সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নে এ বাহিনীর কার্যক্রম প্রশংসনীয়।
জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করে দেশের অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল করতে আমাদের আরো এগিয়ে যেতে হবে। সামাজিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, নেতৃত্ব ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর আরো কাজ করার সুযোগ রয়েছে বলে আমি মনে করি। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে আনসার ভিডিপির সদস্যদের উজ্জ্বল বিচরণসহ জাতীয় অনুষ্ঠানে এ বাহিনীর চৌকস ব্যান্ড ও অর্কেস্ট্রাদলের বর্ণাঢ্য বাদ্য সবার নজর কেড়েছে। আমি আশা করি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য জতিগঠনে অব্যাহত প্রয়াস চালাবে।
আমি আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জাতীয় সমাবেশ-২০১৭ এর সার্বিক সফলতা এবং এ বাহিনীর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
হাসান/সেলিম/সঞ্জীব/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৭০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪১৯
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৯ মাঘ (১১ ফেব্রুয়ারি) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে আমি এই বাহিনীর সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত আনসার বাহিনীর রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ বাহিনী ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আনসার সদস্যগণ মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে অস্ত্রাগারের চল্লিশ হাজার রাইফেল মুক্তিযোদ্ধাদের বিতরণ করেন। ’৭১-এর ১৭ই এপ্রিল মেহেরপুরের আ¤্রকাননে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার প্রধানকে ১২ জন আনসার সদস্য গার্ড অভ্ অনার প্রদান করেন। ৬৭০ জন আনসার সদস্য মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হন। তাঁদের আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। স্মরণ করছি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের এ মাসে ভাষা শহীদ আনসার কমান্ডার আব্দুল জব্বারকে।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের জনগণের এবং সম্পদের নিরাপত্তা বিধানে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে এ বাহিনীর সদস্যরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। নির্বাচন, ঈদ, পূজা-পার্বণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা রক্ষাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দক্ষতার সাথে কর্তব্য পালন করছে এ বাহিনী। আয় বৃদ্ধিমূলক কারিগরি প্রশিক্ষণ ও ঋণ প্রদানের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে এই বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বাহিনীর হতাহত সদস্য এবং তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি জানাচ্ছি আমার আন্তরিক সমবেদনা।
আমি আশা করি, সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
আমি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী এবং জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
নজরুল/সেলিম/সঞ্জীব/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৭১৮ ঘণ্টা