তথ্যববিরণী নম্বর : ২২৭২
নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ভুটানের অভিনন্দন
ভুটান, ২৪ পৌষ (৮ জানুয়ারি) :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে ভুটান। এ উপলক্ষ্যে ভুটানের চতুর্থ রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর একটি ‘অভিনন্দন পত্র’ প্রেরণ করেছেন।
পত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য উষ্ণ অভিবাদন জ্ঞাপন করে ভুটানের চতুর্থ রাজা উল্লেখ করেন যে, প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নতি সাধিত হয়েছে এবং ঘনিষ্ঠবন্ধু হিসেবে ভুটান এ অনন্যসাধারণ অর্জনে বাংলাদেশের জনগণের আনন্দে একাত্মতা প্রকাশ করছে।
ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার নৈকট্যপূর্ণ এবং বিশেষ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে বলে অভিনন্দন-পত্রে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ভুটানের চতুর্থ রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক।
উল্লেখ্য, ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিবনাথ রায়ের মাধ্যমে ভুটানের চতুর্থ রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক ‘অভিনন্দন পত্র’টি প্রেরণ করেছেন।
#
সুজন দেবনাথ/পাশা/শফি/মোশারফ/জয়নুল/২০২৩/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ২২৭১
রাঙ্গুনিয়ায় ভোট উৎসব, ভোট প্রদানের হার প্রায় ৭০ শতাংশ
চট্টগ্রাম, ২৪ পৌষ (৮ জানুয়ারি) :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম ৭ (রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী আংশিক) আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে এই আসন থেকে টানা চতুর্থবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্টের এডভোকেট ইকবাল হাছান মোমবাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ৭৬৭ ভোট। ভোটের দিন সকাল থেকেই ভোটারের উপস্থিতির পাশাপাশি কেন্দ্রে কেন্দ্রে ছিলো উৎসবের আমেজ। এই আসনে ভোট প্রদানের হার ৬৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং নৌকা মার্কার প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের ৯৫ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন।
রোববার সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত চট্টগ্রাম-৭ আসনের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ৯৫ ও বোয়ালখালী উপজেলার ৮টি ভোটকেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে টানা ভোটগ্রহণ চলে। রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী উপজেলার কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ১০৩টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে।
প্রায় সব কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট ও সমর্থকদের সরব উপস্থিতি পাওয়া যায় এবং কেন্দ্রের বাইরে ছিলো ভোটারদের দীর্ঘলাইন। এমন কি শারীরিকভাবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগী, শারীরিক প্রতিবন্ধি, অন্ধ ব্যক্তি এবং অনেক বৃদ্ধ নারী-পুরুষকেও অন্যের সাহায্যে কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে দেখা গেছে।
জানা যায়, চট্টগ্রাম-৭ আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের সাথে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন ইসলামী ফ্রন্ট, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, ইসলামিক ফ্রন্ট, সুপ্রিম পার্টির মনোনীত ৫ প্রার্থী।
প্রচারণার শুরু থেকেই একের পর এক চমক দেখিয়েছেন ড. হাছান মাহমুদ, যা দেশব্যাপী আলোচিত হয়েছিলো। ১৯৫৪ সালে বঙ্গবন্ধু সাইকেল চালিয়ে নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করেছিলেন। প্রতীক পাওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর অনুকরণে নৌকাযোগে নদী পেরিয়ে সড়কে সাইকেল চালিয়ে প্রচারণা শুরু করেছিলেন ড. হাছান মাহমুদ। পরের দিন তিন শতাধিক যানবাহন নিয়ে ১০ কিলোমিটার সড়কজুড়ে ব্যতিক্রমী র্যালিও দেশে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে।
এরপর পাঁচটি জনসভা, প্রতিটি ইউনিয়নে পথসভা করে নৌকার প্রার্থী ড. হাছান মাহমুদ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চেয়েছেন। তাঁর কর্মী-সমর্থকরাও বাড়ি বাড়ি গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, মিছিল-মিটিংসহ নানাভাবে বিরামহীন ভোটের প্রচারণা করেছেন। অভিজ্ঞজনেরা বলছেন, এ সব কারণেই কেন্দ্রে এতো বেশি ভোটার উপস্থিতি হয়েছে এবং ভোট প্রদানের হার এতো বেশি হয়েছে। ভোটারদের প্রায় সবাই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন এবং নৌকা মার্কার প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের ৯৫ শতাংশের বেশি পেয়েছেন।
ভোটের দিন সকাল থেকে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে চলেছিলো নির্বাচনি উৎসব। প্রতিটি উৎসব তখনই সার্থক হয়ে ওঠে যখন তাতে সব ধরনের লোকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। আর এমনই উৎসব দেখা গেছে রাঙ্গুনিয়ার ভোট কেন্দ্রগুলোতে।
কেন্দ্রের ভেতর সব প্রার্থীর এজেন্ট, বাইরে দীর্ঘলাইন, নির্দিষ্ট দূরত্বে রাস্তায় দাঁড়িয়ে সবশ্রেণির মানুষ উপভোগ করছেন ভোট উৎসব। শীতের সকালে প্রথম দিকে লাইন না থাকলেও সাধারণ মানুষ বিচ্ছিন্নভাবে এসে কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন।
কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে প্রতিটি কেন্দ্রে দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে দেখা গেছে। এ দিন সকাল ১০টার দিকে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মধ্য নোয়াগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দেখা গেছে, মোট ২৮৯০ ভোটের মধ্যে ৪০০ ভোট সংগৃহীত হয়েছে। বিকাল ৩টার দিকেও কেন্দ্রটিতে দীর্ঘলাইন ছিলো। ভোট গ্রহণ শেষে কেন্দ্রটিতে ৭০ শতাংশ ভোট সংগৃহীত হয়েছে বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। বেলা ১১টার দিকে পৌরসভার মুরাদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও একই চিত্র দেখা গেছে। এ সময় দেখা যায় পেলেন বড়ুয়া নামে ৬২ বছর বয়সী পক্ষাঘাতগ্রস্ত এক ব্যক্তিকে দু'জন কোলে চড়িয়ে ভোট দেয়ার জন্য নিয়ে এসেছেন। নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ শেষে যাওয়ার পথে কেমন লাগছে জিজ্ঞেস করতেই অঝোর ধারায় কাঁদলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘তিন বছর ধরে শয্যাশায়ী ছিলাম। ভেবেছিলাম জীবনে আর ভোট দেয়া হবে না। কিন্তু এলাকার ভাই-ভাতিজাদের সহযোগিতায় ভোট দিতে পেরেছি এবং ভোটটা নৌকা মার্কায় আমাদের সন্তানকে দিয়েছি। সম্ভবত এটাই আমার জীবনের শেষ ভোট।’
চলমান পাতা - ২
--- ২ ---
কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা বদিউল খায়ের লিটন চৌধুরী বলেন, ‘ভোর সকাল থেকেই কেন্দ্রে ভোটাররা এসেছেন। দিনব্যাপী সুশৃঙ্খল এবং উৎসবমুখর পরিবেশে চলেছে ভোটগ্রহণ। এলাকাবাসী কোনো গুজবে কান না দিয়ে ভোটকেন্দ্রে এসে হাসিমুখে ভোট দিতে পেরেছেন। শুধু পেলেন বড়ুয়াই নয়, এই কেন্দ্রটিতে অন্ধ বৃদ্ধাসহ শারীরিকভাবে অক্ষম অনেকেই ভোট দিয়েছেন।’
চন্দ্রঘোনা আদর্শ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, বেলা ১২টার দিকে সাধারণ মানুষ লাইন ধরে ভোট দিচ্ছে। কেন্দ্রের বাইরে শত শত নেতা-কর্মী, উৎসুক মানুষ জড়ো হয়েছেন। এ সময় দেখা যায় ১১৫ বছর বয়সী ছালেহ আহমদ নামের এক বৃদ্ধ পাশের আধুরপাড়া গ্রাম থেকে কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছেন। গাড়ি থেকে নাতির কোলে চড়ে ভোট প্রদান শেষে বের হয়ে নিজের ভোট পছন্দের প্রার্থীকে দিতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন। দিন শেষে এই কেন্দ্রে ৭৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানান আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহের এবং অধিকাংশ ভোট নৌকা প্রতীকে সাধারণ মানুষ স্বপ্রণোদিত হয়ে দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
সরফভাটায় কেন্দ্রে ভোট দিতে দেখা গেছে মানসিক প্রতিবন্ধি মোঃ মুছাকেও। সারা বছর তথ্যমন্ত্রী রাঙ্গুনিয়া এলে, তাকে দেখেই গাড়ি থামিয়ে টাকা সাহায্য করতেন, প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, কথা বলার জন্য একটা মোবাইলের আবদার করলে তাও কিনে দিয়েছেন। তাই তাকে বিজয়ী করতে কেন্দ্রে গিয়ে নৌকায় ভোট দিয়েছেন বলে জানান।
তথ্যমন্ত্রীর নিজ ইউনিয়ন পদুয়ার প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। ঢাকা-চট্টগ্রামে বসবাস করা অনেকেই নিজ গ্রামে ভোট উৎসবে সামিল হতে এসেছেন বলে জানান। বিভিন্ন সম্প্রদায় অধ্যুষিত এই ইউনিয়নে শতবর্ষী বৌদ্ধ ভিক্ষু থেকে শুরু করে তরুণ ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। এই ইউনিয়নে প্রায় ৮০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি ছিলো এবং প্রায় ৯৮ শতাংশ মানুষ নৌকা প্রতীকে ঘরের সন্তানকে ভোট দিয়েছেন বলে জানান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বদি।
এই ইউনিয়নের সুখবিলাস উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোট দিয়েছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এরপর পদুয়া, শিলক, সরফভাটা, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভাসহ উত্তর রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘুরে ঘুরে ভোটারদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা গেছে তাকে।
বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কথা হয় লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মুছা আহমেদ রানার সাথে। তিনি জানান, এজেন্ট বসতে কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেনি। সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট চলছে। এই ভোটে তিনি পরাজিত হলেও মেনে নেবেন বলে জানান। ভোট গ্রহণ শেষে জানতে চাইলে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী খোরশেদ আলম জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হয়েছে। ড. হাছান মাহমুদের উন্নয়ন আর জনপ্রিয়তার কাছে হেরেছেন তিনি।
নৌকা প্রতীকের একচেটিয়া ভোট প্রাপ্তি এবং শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রে বিপুল ভোটার উপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার জানান, বিগত ১৫ বছরে পিছিয়ে পড়া এই জনপদকে আধুনিক রাঙ্গুনিয়ায় পরিণত করতে প্রায় দশ হাজার কোটি টাকারও বেশি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করেছেন। পাঁচ হাজারের অধিক যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। দেশের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের ব্যস্ততম মন্ত্রী এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও প্রতি সপ্তাহে তিনি নিজ নির্বাচনি এলাকায় আসতেন এবং দল-মত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের জন্য সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত সময় দিয়েছেন।
গত ১৫ বছর ধরে এভাবে তিনি সবার জন্য তাঁর দরজাটি খুলে রেখেছেন। প্রচারণাকালে ড. হাছান মাহমুদ সবাইকে একটা দিন তার জন্য দরজা খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাই সাধারণ মানুষ দল-মত নির্বিশেষে সবাই তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন এবং সবাই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে বেশিরভাগ ভোট তাঁকে দিয়ে বিজয়ী করেছেন।
উল্লেখ্য বিজয়ী এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়াও জাতীয় পার্টির মুছা আহমেদ রানা (লাঙ্গল) ২ হাজার ৩০৮ ভোট, তৃণমূল বিএনপির খোরশেদ আলম (সোনালী আঁশ) ১ হাজার ৩৩১ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্টের আহমদ রেজা (চেয়ার) প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৩৯০ ভোট, সুপ্রিম পার্টির মোরশেদ আলম (একতারা) প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ১৩০ ভোট। ১০৩ কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ লাখ ১৩ হাজার ৯১। এর মধ্যে ভোট পড়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৪৩৬, মোট ৬৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ ভোট সংগৃহীত হয়েছে। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাঙ্গুনিয়ার ইউএনও রায়হান মেহেবুব এসব কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন।
#
আকরাম/পাশা/শফি/মোশারফ/জয়নুল/২০২৩/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৭০
সরকারের মূল লক্ষ্য হবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ
---খাদ্যমন্ত্রী
সাপাহার (নওগাঁ), ২৪ পৌষ (৮ জানুয়ারি):
নতুন সরকারের মূল লক্ষ্য হবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, উদ্যোক্তা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করা বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আজ নিজ নির্বাচনি এলাকার সরাইগাছী ও সাপাহারে নির্বাচন পরবর্তী সাধারণ মানুষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী গ্রামাঞ্চলে সকল সুযোগ সুবিধা বাড়াতে বেশি নজর দেবে সরকার। যাতে মানুষ উন্নত জীবনযাপন করতে পারে। শিল্প কলকারখানা স্থাপন, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার ঘটানোর মধ্য দিয়ে গ্রামে বসবাসকারী মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে সরকার।
এ সময় নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করায় ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোফাজ্জল হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী, সাপাহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ শামসুল আলম শাহ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুদ রেজা সারোয়ার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাহজাহান হোসেন এবং নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফরিদ আহম্মেদ উপস্থিত ছিলেন।
#
কামারল/পাশা/মোশারফ/আব্বাস/২০২৪/২০০১ ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ২২৬৯
চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন গোলাম দস্তগীর গাজী
ঢাকা, ২৪ পৌষ (৮ জানুয়ারি) :
নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসন থেকে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী। ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহজাহান ভুইয়া কেটলি প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৫ ভোট।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক রূপগঞ্জের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এ বিজয় রূপগঞ্জের সাধারণ জনগণের বিজয়। আমাকে যেভাবে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছেন ঠিক সেভাবেই আমি আগামী দিনগুলোতে মানুষের পাশে থেকে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করে যাব। উন্নয়ন দেখেই বিপুল পরিমাণ ভোটের ব্যবধানে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে চতুর্থবারের মতো আমাকে বিজয়ী করেছেন।
আজ রূপগঞ্জের রূপসীর গাজী ভবনে সর্বস্তরের জনগণ তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে এলে গোলাম দস্তগীর গাজী একথা বলেন।
সদ্য ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চতুর্থবারের মতো নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসন থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন গোলাম দস্তগীর গাজী। এর আগে ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি একই আসন থেকে জনরায় নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে টানা চার মেয়াদে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য হলেন গোলাম দস্তগীর গাজী।
গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি ৯ম জাতীয় সংসদের অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, ১০ম জাতীয় সংসদে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি এবং একই সংসদে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালনকালে গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক বস্ত্র ও পাটখাতকে আধুনিকায়ন ও সমৃদ্ধ করার জন্য বহুমুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছেন। ফলে দ্রুত সম্প্রসারিত এ দুটি শিল্পখাত দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। বর্তমানে দেশের মোট রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ অর্জিত হয় বস্ত্র ও পাটখাত থেকে। দেশের বহু লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাটখাতের ওপর নির্ভরশীল; পাশাপাশি বর্তমানে বস্ত্রখাতে প্রায় অর্ধকোটি লোক কর্মরত রয়েছে। বস্ত্র ও পাটশিল্পকে শক্তিশালী, নিরাপদ ও প্রতিযোগিতাসক্ষম করার মাধ্যমে উন্নত-সমৃদ্ধ-স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়কে নেতৃত্ব দিচ্ছেন গোলাম দস্তগীর গাজী।
#
সৈকত/পাশা/শফি/মোশারফ/জয়নুল/২০২৩/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ২২৬৮
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত র্সবশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২৪ পৌষ (৮ জানুয়ারি) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী রোবরার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা র্পযন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমকি ২১ শতাংশ। এ সময় ২১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ র্পযন্ত ২৯ হাজার ৪৭৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন র্পযন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৩ হাজার ৯৮০ জন।
#
দাউদ/পাশা/শফি/মোশারফ/জয়নুল/২০২৩/১৭৪০ ঘণ্টা