স্ক্রল নম্বর: ৪৪
টেলিভিশন চ্যানেলে স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য
সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়া
ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ):
সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেলসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিম্নোক্ত বার্তাটি স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য অনুরোধ করা হলো:
মূলবার্তা :
‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ২৬ মার্চ ভোর ৩টা হতে সকাল ৮টা পর্যন্ত গাবতলী-আমিন বাজার-সাভার-নবীনগর সড়কে সাধারণ যান চলাচল বন্ধ থাকবে। এসময়ে গাবতলী হতে ঢাকা বহিঃগমনকারী যানবাহনসমূহ বিকল্প রুট হিসেবে মিরপুর মাজার হয়ে বেড়িবাঁধ দিয়ে ধউর-আশুলিয়া-বাইপাইল রুট এবং উত্তরা-আব্দুল্লাহপুর-টঙ্গী-গাজীপুর চন্দ্রা রুট ব্যবহার করবে-পুলিশ সুপার, ডিএসবি, ঢাকা।’
#
আনিসুজ্জামান/মেহেদী/ফেরদৌস/সঞ্জীব/শামীম/২০২৫/১৯১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩০৬৪
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ সংক্রান্ত ওয়েবসাইট
গণমাধ্যমে গণঅভ্যুত্থান এর উদ্বোধন করলেন তথ্য উপদেষ্টা
ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ):
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ সংক্রান্ত ওয়েবসাইট গণমাধ্যমে গণঅভ্যুত্থান এর উদ্বোধন করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলম। আজ সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরে (পিআইডি) এই ওয়েবসাইটের (inauguration.julyuprising.com) উদ্বোধন করা হয়। তথ্য অধিদফতরের উদ্যোগে ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, সংবাদপত্রে প্রকাশিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ সময়ানুক্রমিকভাবে এই ওয়েবসাইটে উপস্থাপিত হয়েছে। ওয়েবসাইট তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তথ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এই ওয়েবসাইট থেকে গণঅভ্যুত্থানে গণমাধ্যমের ভূমিকা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। এর পাশাপাশি গবেষণার ক্ষেত্রেও ওয়েবসাইটটি কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। উপদেষ্টা গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের সংবাদ, আন্দোলন-সম্পর্কিত সম্পাদকীয় এবং ভিডিয়ো কনটেন্ট ক্যাটেগরি অনুযায়ী ওয়েবসাইটে আপলোড করার জন্য তথ্য অধিদফতরকে পরামর্শ দেন।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ সংক্রান্ত ওয়েবসাইট তৈরি একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস জানতে পারবে। সচিব ওয়েবসাইটটিকে আরো তথ্যসমৃদ্ধ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভাপতির বক্তৃতায় প্রধান তথ্য অফিসার মো. নিজামূল কবীর বলেন, তথ্য অধিদফতর গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার নির্দেশনার আলোকে তথ্য অধিদফতর খুব স্বল্প সময়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ সংক্রান্ত গণমাধ্যমে গণঅভ্যুত্থান ওয়েবসাইটটি তৈরি করেছে। ওয়েবসাইট সমৃদ্ধকরণেও বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই ওয়েবসাইট ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে।
উল্লেখ্য, এই ওয়েবসাইটে চারটি ক্যাটেগরিতে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত তথ্য আপলোড করা হয়েছে। ‘স্ক্যান নিউজপেপার’ ক্যাটেগরিতে গণঅভ্যুত্থানকালীন পত্রিকাসমূহের সম্পূর্ণ স্ক্যান কপি আপলোড করা হয়েছে। ‘নিউজ ক্লিপিং’ ক্যাটেগরিতে রয়েছে গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ক্লিপিং। 'ফটো অ্যালবাম' ক্যাটেগরিতে পত্রিকায় প্রকাশিত এবং বিভিন্ন উৎস থেকে সংগৃহীত আন্দোলন সংক্রান্ত স্থিরচিত্র আপলোড করা হয়েছে। এছাড়া ‘রিজিওনাল নিউজপেপার’ ক্যটোগরিতে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের পত্রিকার সম্পূর্ণ স্ক্যান কপি আপলোড করা হয়েছে।
#
মামুন/মেহেদী/ফেরদৌস/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৫/২০১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩০৬৩
দূষণবিরোধী অভিযানে ২৩ কোটি টাকা জরিমানা, ৬২৮
ইটভাটা বন্ধ, ১ লাখ ৬৪ হাজার কেজি পলিথিন জব্দ
ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ উদ্যোগে পরিবেশ অধিদপ্তর সারা দেশে পরিবেশ দূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তর চলতি বছরের ২ জানুয়ারি থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত ৭৩৯টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে। এসব অভিযানে ১ হাজার ৫৯১টি মামলার মাধ্যমে ২৩ কোটি ১২ লাখ ২৪ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
অভিযানে ৪২৪টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা হয়। ২০৪টি ইটভাটা বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং ১১৮টি ইটভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৬ ট্রাক ব্যাটারি রিসাইক্লিং যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গত ৩ নভেম্বর ২০২৪ হতে এ পর্যন্ত সমগ্র বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাত বন্ধে ৩৬২টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এতে ৬৭৯টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ৫৪ লাখ ৯৩ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। প্রায় ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৬ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয় এবং ১২টি কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সিলগালা করা হয়।
এছাড়া, রংপুর, নীলফামারী, বরগুনা, মেহেরপুর, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে ৮টি মোবাইল কোর্ট অভিযানে ২৩টি মামলার মাধ্যমে ৮৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ৯টি ইটভাটার কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করা হয়।
আজ লালবাগ, পটুয়াখালী ও সুনামগঞ্জে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন ও বিক্রয়ের দায়ে ৩টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১০টি মামলার মাধ্যমে ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ৩২ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়।
ঢাকা মহানগরে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে ২টি মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। যশোরে শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ৪টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা করে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ২টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয়।
সুনামগঞ্জে পাথর ক্রাশিংয়ের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে ৪টি এক্সকেভেটর ও ২০টি শ্যালো মেশিন জব্দ করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে পরিবেশ দূষণবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
#
দীপংকর/মেহেদী/ফেরদৌস/সঞ্জীব/শামীম/২০২৫/১৭৫৫ঘণ্টা
Handout Number: 3062
BDT 231 million fines imposed, 628 brick kilns shut
down, and 1 lakh 64 thousand kg of polythene seized in anti-pollution drive
Dhaka, 25 March:
As part of a special initiative by the Ministry of Environment, Forest, and Climate Change, the Department of Environment (DoE) has conducted 739 mobile court operations across the country from January 2 to March 23, 2025, to combat environmental pollution. These operations resulted in 1,591 cases, leading to the collection of BDT 231.2 million in fines.
During the operations, 424 illegal brick kilns were shut down, 204 were ordered to cease operations, and raw bricks from 118 kilns were destroyed. Additionally, six truckloads of battery recycling equipment were seized from five factories, and the factories were closed.
Since November 3, 2024, a total of 362 mobile court operations have been conducted to curb the production and sale of banned polythene across Bangladesh. These efforts led to actions against 679 establishments, collecting BDT 5.49 million in fines. Approximately 1 lakh 64 thousand 86 kg of banned polythene was seized, and 12 polythene-producing factories had their utility connections severed and were sealed off.
Furthermore, eight mobile court operations were carried out in Rangpur, Nilphamari, Barguna, Meherpur, Narayanganj, and Chattogram, resulting in 23 cases and fines amounting to BDT 8.5 million. Nine brick kilns were completely shut down.
Today three mobile court operations were conducted in Lalbagh, Patuakhali, and Sunamganj against illegal polythene production and sale. These led to 10 cases, BDT 22 thousand in fines, and the seizure of 32 kg of banned polythene.
Additionally, two mobile court operations in Dhaka imposed BDT 35 thousand in fines for air pollution violations. In Jashore, four vehicles were penalized for noise pollution, resulting in BDT 7 thousand in fines and the confiscation of two hydraulic horns.
In Sunamganj, an operation against unauthorized stone crushing led to the seizure of four excavators and 20 shallow machines.
The Department of Environment has affirmed that anti-pollution operations will continue.
#
Dipankar/Mehedi/Ferdows/Sanjib/Joynul/2025/1845 hour
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩০৬১
জনগণ যাতে উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদযাপন করতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার
--- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ):
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, সাধারণ জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে ও উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদ্যাপন করতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। ঈদে যাতে নিñিদ্র্র নিরাপত্তা ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ৮ম সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আজকের সভায় মূলত সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে আগামীকাল স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে থাকে সে বিষয় করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। তিনি বলেন, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত এবং দেশবিরোধী ও ধ্বংসাত্মক আন্দোলন-সমাবেশে উসকানিদাতাদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধকল্পে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি, টহল জোরদার এবং গোয়েন্দা নজরদারি আরো বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাছাড়া ঈদ নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসানো এবং বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও বস্তিতে অভিযান বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঈদে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক একগুচ্ছ নির্দেশমালা জারি করা হয়েছে। সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কন্ট্রোলরুম স্থাপন করেছে। সকল কন্ট্রোল রুম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় Joint Operation Center (০১৩২০০০১২২৩) এর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করবে।
ঈদের সময় ট্রাফিক ও যানজট নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, যমুনা সেতু, পদ্মা সেতু এবং ফ্লাইওভারসহ টোলপ্লাজাসমূহে যানজট নিরসনে ইটিসি-সহ (Electronic Toll Collection)দ্রুত টোল আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহনকারী বা যাত্রীবাহী যানবাহন ব্যতীত স্থলবন্দর ও নৌবন্দরসহ যে কোনো জায়গা থেকে ছেড়ে আসা নির্মাণসামগ্রী বহনকারী ও লম্বা যানবাহনসমূহ ঈদের পূর্বের তিন দিন এবং পরের তিন দিন যেন মহাসড়কে চলাচল করতে না পারে বা নৌ-রুটে ফেরি পারাপার করতে না পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে যাত্রী পরিবহন নির্বিঘ্ন করার জন্য সড়ক, নৌ ও রেলপথে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই না করা হয় ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করা হয় সে লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগ/দপ্তর/সংস্থাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং যাত্রী সাধারণকে সচেতন থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কর্মকাণ্ড তথা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েন, বিশেষ বিশেষ রাস্তায় ও মোড়ে চেকপোস্ট স্থাপন, টাকা স্থানান্তরে মানি এস্কর্ট প্রদান, জাল টাকার বিস্তার রোধ ও শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ঈদের ছুটির পূর্বেই গার্মেন্টস/শিল্পকারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিল্প কারখানা-সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী ও ইন্ধনদাতা মালিক, শ্রমিক এবং বহিরাগতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উপদেষ্টা জানান।
#
ফয়সল/মেহেদী/ফেরদৌস/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৫/১৯০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩০৬০
চীনের সাথে মোংলা বন্দরের সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের কমার্শিয়াল এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত
ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ):
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়নাধীন ‘মোংলা বন্দরের সুবিধাদির সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে জিটুজি ভিত্তিক সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) কার্য ও পণ্য কার্যক্রম সম্পাদনের লক্ষ্যে চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) এবং মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে কমার্শিয়াল এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আজ ঢাকায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা বলেন, মোংলা বন্দরকে আঞ্চলিক বাণিজ্যিক কেন্দ্রতে পরিণত করার লক্ষ্যে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এ ধারাবাহিকতায় আজ চীনের চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি)’র সাথে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের মোংলা বন্দরের সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের কমার্শিয়াল এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর সম্পন্ন হলো। নিঃসন্দেহে এ প্রকল্পটি মোংলা বন্দরের সার্বিক উন্নয়নের জন্য এক অনন্য মাইলফলক। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে মোংলা বন্দর একটি আধুনিক, স্বয়ংক্রিয় (অটোমেশন) ও গ্রিন পোর্টে রূপান্তরিত হবে। মোংলা বন্দরকে কোল্ড পোর্টেও রুপান্তরের আশা প্রকাশ করেন তিনি।
উপদেষ্টা দ্রুততম সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি এ প্রকল্পের সাথে জড়িত সকলকে বিশেষ করে অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টাদ্বয়ের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মোংলা বন্দর ব্যবহার করে অত্যন্ত সহজভাবে বাংলাদেশ থেকে আম-সহ বিভিন্ন ফল-মূল, সবজি ও চিংড়ি মাছ-সহ অন্যান্য মাছ আমদানির জন্য চীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
চীনা রাষ্ট্রদূত উপদেষ্টার এ আহ্বানকে স্বাগত জানিয়ে আসন্ন আমের মৌসুমে মোংলা বন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে চীনে আম ও আমজাত দ্রব্য আমদানি করা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন। চীনা রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার চীনে আসন্ন সফরকে ঐতিহাসিক ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, নিঃসন্দেহে বন্ধু প্রতীম দুই দেশের জন্য এটি এক ঐতিহাসিক ঘটনা। এটি দুই দেশের মধ্যেকার বিদ্যমান বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক। গুরুত্বপূর্ণ এ সফরের মধ্য দিয়ে উভয় দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন চীনা রাষ্ট্রদূত।
চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশনের পক্ষে কে চেংলিএং এবং মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষে মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান কমার্শিয়াল এগ্রিমেন্টে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফসহ মন্ত্রণালয় এবং চীনা দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
বিল্লাহ/মেহেদী/ফেরদৌস/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৫/১৬৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩০৫৯
জাপানের সাথে ৫৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি স্বাক্ষর
ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ):
বাংলাদেশ ও জাপান সরকারের মধ্যে প্রায় ৫৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোঃ শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত SAIDA Shinichi ও জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ICHIGUCHI Tomohide এ ঋণচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। জাপানের ৪৫তম ওডিএ লোন প্যাকেজের ২য় ব্যাচের আওতায় ‘Food Safety Testing Capacity Development Project’ ও ‘Matarbari Ultra Super Critical Coal-Fired Power Project (VIII)’ প্রকল্পের জন্য এসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের খাদ্য নিরাপত্তা পরীক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঢাকায় ১টি রেফারেন্স ল্যাবরেটরি, অফিস, প্রশিক্ষণ ভবন এবং চট্টগ্রাম ও খুলনায় ২টি বিভাগীয় পরীক্ষাগারসহ অফিস ভবন নির্মাণের উদ্দেশ্যে ‘Food Safety Testing Capacity Development Project’ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ২৪০৯.৭০ কোটি টাকা (জিওবি ৩৯০.৭৮ কোটি টাকা ও জাইকার প্রকল্প ঋণ ২০১৮.৯২ কোটি টাকা)। বাস্তবায়নকাল জানুয়ারি ২০২৫ হতে ডিসেম্বর ২০৩৪ পর্যন্ত। ৪৫তম ওডিএ লোন প্যাকেজ (২য় ব্যাচ) এর আওতায় প্রকল্পটির জন্য ২৮,৬৯৯ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েন (আনুমানিক ১৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) প্রদান করা হবে। অগ্রাধিকারমূলকভাবে প্রকল্পটির ঋণের সুদের হার ১.৮৫%, পরামর্শকের জন্য ০.৫৫%, Front End Fee (এককালীন) ০.২০% । ঋণ পরিশোধকাল ৩০ বছর (১০ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ)।
বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে কক্সবাজার জেলার মহেশখালি উপজেলার মাতারবাড়ী এলাকায় ‘Matarbari Ultra Super Critical Coal-Fired Power Project’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৫৬,৬৯৩.৯০ কোটি টাকা (জিওবি ৭,২২১.১৯ কোটি, জাইকার প্রকল্প ঋণ ৪৭,৯৪৫.০৩ কোটি, সিপিজিসিবিএল ১,৫২৭.৬৮ কোটি)। প্রকল্পের মেয়াদকাল জুলাই ২০১৪ হতে ডিসেম্বর ২০২৬। ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সময় পর্যন্ত প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি ৯২ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৮৬ শতাংশ। জাইকা পর্যায়ক্রমে ঋণ সহায়তা প্রদান করছে। ইতঃপূর্বে ৭টি পর্যায়ে মোট ৬৫৫,৩১০ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েনের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ৪৫তম ওডিএ লোন প্যাকেজ (২য় ব্যাচ) এর আওতায় ৮ম পর্যায়ে জাপান সরকার ৫৭,১২০ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েন (আনুমানিক ৩৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ঋণ সহায়তা প্রদান করবে। স্বাক্ষরিত ঋণের বাৎসরিক সুদের হার নির্মাণ কাজের জন্য ১.৯৫%, পরামর্শক সেবার জন্য ০.৫৫%, Front End Fee (এককালীন) ০.২%। এ ঋণ ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য।
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকারের সাথে সামঞ্জস্য বজায় রেখে অবকাঠামো উন্নয়ন, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন, পল্লী উন্নয়ন, পরিবেশ উন্নয়ন এবং মানব সম্পদ উন্নয়নসহ অন্যান্য খাতের প্রকল্পে ঋণ ও বিভিন্ন প্রকার অনুদান সহায়তা হিসেবে এ পর্যন্ত জাপান সরকার ৩২ দশমিক ৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছে।
#
মাকসুদ/তৌহিদ/শাহিদা/ফাতেমা/আলী/আসমা/২০২৫/১৪৫০ ঘণ্টা
Handout Number : 3058
Japan Provides 582 million USD Loan to Bangladesh
Dhaka, 25 March:
Japan provides 582 million USD Loan to Bangladesh under ‘Exchange of Notes’ and ‘Loan Agreements’ for ‘Food Safety Testing Capacity Development Project’ and ‘Matarbari Ultra Super Critical Coal-Fired Power Project (VIII)’ under 45th Japanese ODA Loan Package (2nd batch). Md. Shahriar Kader Siddiky, Secretary, Economic Relations Division, Ministry of Finance has signed the ‘Exchange of Notes’ and the ‘Loan Agreements’ on behalf the Bangladesh Government. SAIDA Shinichi, the Ambassador of Japan in Bangladesh has signed the ‘Exchange of Notes’ and ICHIGUCHI Tomohide, Chief Representative, JICA Bangladesh Office, Dhaka has signed the ‘Loan Agreements’ on behalf of the Government of Japan. The signing ceremony was held at NEC-2 Conference Room of Economic Relations Division, Sher-E-Bangla Nagar, Dhaka.
To increase food safety testing capacity of Bangladesh Food Safety Authority, one reference laboratory, office and training center in Dhaka and two divisional laboratory in Chattogram and Khulna will be constructed under 'Food Safety Testing Capacity Development Project'. Total cost of the project is 2409.70 Cr. Taka (GoB 390.78 Cr. Taka, JICA Loan 2018.92 Cr. Taka). Implementation period is January 2025 to December 2034. Under this Japanese ODA loan package (2nd Batch), Government of Japan will provide 28,699 million Japanese Yen (approximately USD 194 million) for the project. The rate of interest of this loan will be in preferential term 1.85% for construction, 0.55% for consultancy services, Front End Fee (at a time) 0.20% and repayment period will be 30 years which includes 10 years grace period.
To meet growing electricity demand and to improve the stable power supply of the country ‘Matarbari Ultra Super Critical Coal-Fired Power Project’ is being implemented at Matarbari Area of Maheshkhali Upazila under Cox’s Bazar district. Total cost of project is 56,693.90 Crore (GOB 7,221.19 cr., JICA Loan 47,945.03 cr., CPGCBL 1,527.68 cr.) Taka. Project implementation period is July 2014 to December 2026. Up to February 2025, physical progress of the project is 92% and financial progress is 86%. JICA is providing assistance for this project in different phases. JICA has already provided 655,310 million JPY in 7 tranches. Under this 8th tranche of 45th Japanese ODA loan Package (2nd batch), JICA will provide 57,120 million JPY (approximately USD 388 million). The rate of interest of this loan will be 1.95% for construction, 0.55% for consultancy services, Front End Fee (at a time) 0.20% and repayment period will be 30 years which includes 10 years grace period.
#
Maksud/Tohidul/Sahida/Fatema/Ali/Asma/2025/1440 hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৫৭
গণহত্যা দিবসকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে বললেন ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
হ্যানয় (ভিয়েতনাম) :
ভবিষ্যতে শান্তির বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবং বিশ্বে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে গণহত্যা দিবসকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান। তিনি আজ ভিয়েতনামের হ্যানয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে গণহ্ত্যা দিবস পালন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত এসময় গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন ২৫ মার্চ কালরাতের নৃশংস হত্যাকাণ্ডসহ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মম গণহত্যার শিকার সকল শহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থকসহ দেশের জনগনকে, যাঁদের অসামান্য অবদান আর আত্নত্যাগের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি লাল সবুজ পতাকা। ২৫ মার্চ গণহত্যায় হানাদার বাহিনীর নৃশংসতার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসরদের দ্বারা ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কালরাতে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যা বিশ্বের নৃশংস ও নারকীয় গণহত্যাগুলোর অন্যতম।
অনুষ্ঠানে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে নিহত সকল শহিদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন, মোমবাতি প্রজ্বলন এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এছাড়া, দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করে শোনানো হয় ।
#
মিশন হ্যানয়/তৌহিদ/শাহিদা/ফাতেমা/আলী/আসমা/২০২৫/১২৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩০৫৬
২৬ মার্চ ভোর ৩টা হতে সকাল ৮টা পর্যন্ত গাবতলী-নবীনগর সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকবে
ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ):
আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ভিভিআইপিগণের নিরাপত্তা ও চলাচল নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে ভোর ৩টা হতে সকাল ৮টা পর্যন্ত গাবতলী-আমিন বাজার-সাভার-নবীনগর সড়কে সাধারণ যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
এসময়ে গাবতলী হতে ঢাকা বহিঃগমনকারী যানবাহনসমূহ বিকল্প রুট হিসেবে মিরপুর মাজার হয়ে বেড়িবাঁধ দিয়ে ধউর-আশুলিয়া-বাইপাইল রুট এবং উত্তরা-আব্দুল্লাহপুর-টঙ্গী-গাজীপুর চন্দ্রা রুট ব্যবহার করবে।
ঢাকা-আরিচা ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ব্যবহারকারী ঢাকা অভিমুখী ও ঢাকা হতে ছেড়ে যাওয়া সকল প্রকার যানবাহনকে আগামী ২৬ মার্চ ভোর ৩টা হতে সকাল ৮টা পর্যন্ত বিকল্প গমনাগমন পথ ব্যবহার করার জন্য ইতঃমধ্যে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা গাবতলী-আমিন বাজার-সাভার হয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রত্যুষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে একই পথে ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করবেন।
#
আনিসুজ্জামান/তৌহিদ/শাহিদা/ফাতেমা/রমজান/সাঈদা/আলী/আসমা/২০২৫/১০০০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩০৫৫
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ):
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বাণী প্রদান করেছেন:
“আজ ২৬ মার্চ। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। এ উপলক্ষ্যে আমি দেশে ও প্রবাসে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। এরপর দীর্ঘ ন’মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। আমি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের, যাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা।
স্বাধীনতার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি পরমতসহিষ্ণুতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন সুসংহত করতে হবে। রাষ্ট্র ও সমাজের সকল ক্ষেত্রে সাম্য, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে তরুণ প্রজন্ম আমাদের স্বাধীনতার অপূর্ণ স্বপ্নগুলো পূরণে আবারো বুকের তাজা রক্ত দিয়ে গেছে। নতুন প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা আমাদের পবিত্র কর্তব্য।
তাই আসুন, স্বাধীনতার লক্ষ্য বাস্তবায়নে একটি বৈষম্য ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরো বেশি অবদান রাখি। দেশ ও জাতিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে আরো এগিয়ে নিয়ে যাই, বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াক এক নতুন বাংলাদেশ-মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে এই আমার প্রত্যাশা।”
#
আজম/তৌহিদ/শাহিদা/রমজান/সাঈদা/আলী/মাসুম/২০২৫/৯০০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
Not to publish before 5 PM
Handout Number: 3054
Chief Adviser’s Message on the great Independence and National Day
Dhaka, 25 March :
Chief Adviser Professor Muhammad Yunus has given the following Message on the occasion of the great Independence and National Day :
“Today is the great Independence and National Day. On this occasion, I extend my sincere greetings and congratulations to all Bangladeshis living in the country and abroad.
Achieving independence was the final stage of a long struggle to protect our dignity and existence and to gain our rights. The bloody War of Independence, through which Bangladesh emerged as an independent nation in the world, officially began on this day. I remember with reverence the valiant martyrs who sacrificed their lives in the War of Independence, whose supreme sacrifices brought us our desired freedom.
For the past 16 years, the people of the country have not been able to enjoy the benefits of this freedom. The dictatorship oppressed the people and took away their freedom and all their basic rights. The successful uprising of student-workers and the masses has liberated the people of the country from the tyranny of dictatorship.
The interim government is fully committed to further developing and strengthening the country and delivering the full benefits of independence to the people. We are working to establish good governance and justice to ensure people-or