তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৫
পাট ও বৈচিত্র্যকৃত পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে ভরতুকি দেওয়া হবে
-- বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ আষাঢ় (৩ জুলাই):
পাট ও বৈচিত্র্যকৃত পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে ভরতুকি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ ব্যাংক বৈচিত্র্যকৃত পাট পণ্য রপ্তানিতে ভরতুকির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সংক্রান্ত চিঠি মন্ত্রণালয়ে এসেছে। এতে পাটের উৎপাদন এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি বাড়বে।
মন্ত্রী আজ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে একথা বলেন। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল আউয়ালের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল পাটের উন্নয়ন সংক্রান্ত তাঁদের কার্যক্রম সম্পর্কে মন্ত্রীকে অবহিত করেন। এসময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ-সহ মন্ত্রণালয় ও পাট অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের যে কোনো মূল্যে পাটের উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমরা তার জন্য চেষ্টা করছি। উৎপাদনের ক্ষেত্র বাড়ানোর চেষ্টা করছি। তিনি এ সময় জানান, সম্প্রতি পাট পাতা থেকে চা উৎপাদন করা হচ্ছে। যা রপ্তানির বড় সম্ভবনা আছে। পাট পাতা দিয়ে তৈরি ‘রোজেলা’ ও ‘পাট পাতার চা’ ব্রান্ডের চা শীঘ্রই বাজারজাত করা হবে।
নানক বলেন, পাট থেকে পরিবেশবান্ধব সোনালি ব্যাগ উৎপাদনে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। শীঘ্রই তা বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করা সম্ভব হবে। তখন আমরা সারাদেশে ছেয়ে যাওয়া পলিথিন থেকে অনেকটা মুক্তি পাব। এই ব্যাগের দাম যেন সকলের সাধ্যের মধ্যে থাকে সেটা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
ভারত ও ব্রাজিলের এন্টি ডাম্পিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের নির্বাচন শেষ হয়েছে। আমরা এখন এন্টি ডাম্পিং দিয়ে ভারতের সঙ্গে কাজ করব। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী কিছু দিন পরে ব্রাজিল যাবেন। সে সময় তাদের সঙ্গে এন্টি ডাম্পিং তুলে নেওয়ার বিষয়ে কথা বলা হবে। আমি আশা করি এন্টি ডাম্পিং নিয়ে খুব শীঘ্রই আনুষ্ঠানিক আলোচনায় যেতে পারবো।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি আমলে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া হলেও আওয়ামী লীগ অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়। তিনি বলেন, সংসদ সদস্যরা সম্পদের হিসাব দেয়। এক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদেরও জবাবদিহিতা থাকতে হবে। তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুধু মুখে নয়, কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।
#
মাহমুদুল/সায়েম/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২৩২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৪
মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের এনআইডি কার্যক্রম বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
কুয়ালালামপুর (মালয়েশিয়া), ৩ জুলাই:
মালয়েশিয়ায় বহুল প্রতীক্ষিত জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্যক্রম বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ কুয়ালালামপুরের সাউথগেট কমার্শিয়াল সেন্টারে অবস্থিত আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লি. এর অফিসে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় অনেকে এনআইডি করতে পারেননি। এনআইডি না থাকায় তারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হন। মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিদের কথা বিবেচনা করে মালয়েশিয়ায় এনআইডি কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিশ্বের ৪০টি দেশে জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম পরিচালনা করার পরিকল্পনা আছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের। এর ধারাবাহিকতায় মালয়েশিয়ায় এনআইডি কার্যক্রম শুরু হল।
সভাপতির বক্তৃতায় হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়ে বিশ্বের বুকে জাতি হিসেবে আমাদের মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এনআইডি সে মর্যাদার পরিচয় বহন করে। এনআইডি কার্যক্রম মালয়েশিয়ায় শুরু করার জন্য হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
মতবিনিময় সভায় ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর, এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, প্রবাসী সাংবাদিক, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের প্রতিনিধিদল এবং হাইকমিশন ও এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লি. এর কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
মারুফ/সায়েম/শফি/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৩
সুনীল অর্থনীতিকে মূল অর্থনীতিতে কাজে লাগাতে গবেষণায় সাপোর্ট দিতে হবে
-- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ আষাঢ় (৩ জুলাই):
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমাদের সামনে বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। সুনীল অর্থনীতিতে অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা অনেকটা পিছিয়ে আছি। সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা ‘শূন্য’ ছিল। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা ইত্যাদির অভাবের মধ্যেও বঙ্গবন্ধু ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটার্স এন্ড মেরিটাইম জোনস এক্ট’ প্রণয়ন করেন। ’৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সে এক্ট বা অন্যসব ক্ষেত্রে দেশ এগোতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা মিয়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা নিষ্পত্তি করেন। প্রধানমন্ত্রী সুনীল অর্থনীতির খসড়া অনুমোদন দিয়েছেন। আমরা সুনীল অর্থনীতি নিয়ে কাজ করব। সুনীল অর্থনীতিকে বাংলাদেশের মূল অর্থনীতিতে কাজে লাগানোর লক্ষ্যে গবেষণায় সাপোর্ট দিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিশ্ব মহাসাগর দিবস’ উপলক্ষ্যে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ‘বায়োডাইভারসিটি এন্ড মেরিন রিসোর্সেস’ শিরোনামে ব্রেকআউট সেশনে চেয়ারপারসনের বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গবেষকদের জন্য দেশ এগিয়ে যেতে পারছে। আমরা ইকোসিস্টেম, পরিবেশ সম্পর্কে কথা বলছি। কিন্তু পরিবেশবান্ধব আমাদের সোনালী আঁশ পাটকে রক্ষা করতে পারেনি। যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে হারিয়ে গেছে। যোগ্য নেতৃত্ব বঙ্গবন্ধুর পরে পাই নাই। আমাদের সৌভাগ্য স্বল্পসময়ে যোগ্য নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে পেয়েছি। তিনি ছোট্ট ভূখণ্ডকে উন্নয়নের কোথায় নিয়ে গেছেন। সময়টাকে কাজে লাগাতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি। আন্তর্জাতিক নৌসংস্থায় ‘সি’ ক্যাটেগরিতে আমরা সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। এর মূল কাজ সমুদ্র পরিবহন পরিবেশ সম্মত এবং ফ্রেন্ডলি হওয়া। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। বাংলাদেশ একটি মানবিক দেশ। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সমুদ্রে অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। এটাকে কাজে লাগিয়ে সুনীল অর্থনীতিতে এগিয়ে নিতে পারি-তাহলে সার্থকতা খুঁজে পাব।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর সহায়তায় পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ ‘ওসান প্রোসপারিটি : ক্যাটিলাইজিং ব্লু ইকনোমি ইন বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) ড. মোঃ এমদাদ উল্লাহ মিয়া, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ফিলিপাইনের সহকারী অধ্যাপক জন ভার্ডিন, চীনের প্রফেসর উইডং ইউ, থাইল্যান্ডের প্রফেসর সুরিয়ান টুংকিজিয়ানুকিজ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোঃ আমিনুর রহমান।
#
জাহাঙ্গীর/সায়েম/শফি/রানা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২০৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩২
দুর্নীতি নিয়ে বিএনপির বক্তৃতাই বড় কৌতুক
-- পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ আষাঢ় (৩ জুলাই):
‘দুর্নীতি নিয়ে বিএনপির বক্তৃতাই সবচেয়ে বড় কৌতুক’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
বাংলাদেশ-সৌদি আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে ‘পলিটিক্যাল কনসালটেশন’ শেষে আজ রিয়াদ থেকে দেশে ফিরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘ফরেন সার্ভিস একাডেমি জার্নাল’ প্রকাশনা ও স্মার্ট লাইব্রেরি উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
এ সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবস্থান নিয়ে বিএনপি'র মন্তব্য বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপিনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উভয়েই দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত এবং বিএনপির শাসনামলে দেশ দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সুতরাং তাদের মুখে দুর্নীতি নিয়ে বক্তৃতা বা দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবস্থান নিয়ে কথা বলা -এটিই সবচেয়ে বড় কৌতুক।
ফরেন সার্ভিস একাডেমি জার্নাল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পরে তিনি একাডেমির স্মার্ট লাইব্রেরি উদ্বোধন করেন। এ সময় একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামসের সভাপতিত্বে পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সৌদি বিনিয়োগ ও শ্রমশক্তি রপ্তানি
সৌদি আরবের সাথে সম্পর্ক ও বিনিয়োগ নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের সাথে শ্রমশক্তি রপ্তানির সম্পর্ক বহু আগেই উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, বিনিয়োগসহ বহুমাত্রিক রূপ নিয়েছে। দেশে সৌদি বিনিয়োগ আছে এবং তারা আরো বিনিয়োগ করতে চায়। সৌদি আরব বাংলাদেশে এক হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করবে, চট্টগ্রাম বন্দরে তাদের বিনিয়োগ আছে, বে-টার্মিনালেও তারা বিনিয়োগ করতে চায়, পাশাপাশি অনাবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশিদের জন্য উন্মুক্ত অফশোর ব্যাংকিংসহ আমাদের এখানে 'ফিন্যান্সিয়াল উইন্ডো' যেগুলো রয়েছে সেসব ক্ষেত্রেও তাদের বিনিয়োগের বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।
সৌদি আরবকে আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি এবং তারা ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শনও করেছে, জানান হাছান মাহ্মুদ।
মন্ত্রী এ সময় শ্রমশক্তি রপ্তানির তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। তিনি জানান, সৌদি আরবে এখন প্রায় ৩১ লাখ ৩৭ হাজার বাংলাদেশি প্রবাসী বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত। এই শ্রমজীবীদের সাথে দু’দেশের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যাতে প্রতারণা না করতে পারে সে জন্য আমাদের উভয়পক্ষের প্রস্তাব ও সম্মতিতে যৌথ টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সেইসাথে সেখানে বাংলাদেশিদের নিজেদের নামে ব্যবসা রেজিস্ট্রেশন না থাকায় তারা রেমিটেন্স পাঠাতে পারে না। সেই অসুবিধা দূর করতে আমরা বাংলাদেশিদেরকে ব্যবসা রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি, তারা এটা বিবেচনায় নিয়েছে, জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর
আগামী ৮ থেকে ১১ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ দেশের কূটনীতির মূলমন্ত্র ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়’ উল্লেখ করে বলেন, আপনারা জানেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। সেখানে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের কথাও হয়েছে। চীন আমাদের বড় উন্নয়ন অংশীদার। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সফরটিও আমাদের উন্নয়নকে বেগবান করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
#
আকরাম/সায়েম/শফি/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২০৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩১
সুনীল অর্থনীতির আওতায় সমুদ্র সম্পদ আহরণে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ অপরিহার্য
---বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ আষাঢ় (৩ জুলাই):
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সুনীল অর্থনীতির আওতায় সমুদ্র সম্পদ আহরণে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ অপরিহার্য। সরকারি-বেসরকারি সংস্থাসমূহের মধ্যে সমন্বয় করে সকল সম্ভাবনাকে সফলভাবে কাজে লাগাতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিশ্ব মহাসাগর দিবস’ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় ÔOcean Prosperity: Catalyzing Blue Economy in BangladeshÕ শীর্ষক প্রতিপাদ্য সম্মেলনের Blue Economy Infrastructure শিরোনামের Breakout Session এ সভাপতিত্বকালে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ও পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের পিএসসিসমূহকে বিবেচনায় নিয়ে এবং বাংলাদেশের স্বার্থকে সর্বাগ্রে অক্ষুন্ন রেখে বাংলাদেশে অফশোর মডেল পিএসসি-২০২৩ প্রণয়ন করা হয়েছে। উক্ত অফশোর মডেল পিএসসি’র আওতায় বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড-২০২৪ গত ১০ই মার্চ, ২০২৪ তারিখে ঘোষণা করা হয়। বিড দাখিলের সর্বশেষ তারিখ ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক উপকূলীয় এলাকায় ও দ্বীপাঞ্চলে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সমুদ্র শক্তি কাজে লাগিয়ে ২০৫০ সালের মধ্যে ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এডিবির সহায়তায় ২২টি সম্ভাবনাময় স্থানে অফসোর উইন্ড থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবতা যাচাই করা হয়েছে। অফসোর উইন্ড থেকে ৫শ’ বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাথমিক অনুমোদন দেয়া হয়েছে। নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে প্রযুক্তির উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহকে গবেষণার কাজে উৎসাহিত করা এবং তার প্রয়োগের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্যেও মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এছাড়া টাইডাল বেস পাওয়ার প্ল্যান্ট করার বিষয়ে মন্ত্রণালয় চিন্তা ভাবনা করছে। সমুদ্রে গ্যাস হাইড্রেট খোঁজার বিষয়েও কাজ করা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর রিয়াল এডমিরাল মোঃ খালেদ ইকবালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আলী হোসেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম বিষয়ক ইউনিটের সচিব রিয়াল এডমিরাল (অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম; এডিবির কোস্টাল, রিভার ও পোর্ট এক্সপার্ট বিষয়ক ইউনিটের মহাপরিচালক জেন হেনরি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. এসএম নাফিস শামস।
#
আসলাম/সায়েম/শফি/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২১০৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩০
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সমুদ্র সম্পদের যথোপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে
-- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ আষাঢ় (৩ জুলাই):
২০৪১ সালের মধ্যে আধুনিক, উন্নত, মেধাবী ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য সমুদ্র সম্পদের যথোপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান।
আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, বাংলাদেশ-এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত ওশান প্রস্পারিটি-ক্যাটালাইজিং দ্য ব্লু ইকোনমি ইন বাংলাদেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সাসটেইনেবল ব্লু প্রোডাকশন বিষয়ে ব্রেক আউট সেশনে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সামুদ্রিক সম্পদের টেকসই উৎপাদন ও আহরণের উপায় খুঁজে বের করে সমুদ্রের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধন করা।
মন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে শুধু বিদেশি সাহায্য, অনুদান বা সহযোগিতার ওপর নির্ভর করে আমরা এগোতে পারব না। আমাদের নিজস্ব সম্পদকে সমৃদ্ধ করতে হবে। আমাদের অর্থনীতিকে একটা দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে হবে। আর এটি করতে হলে আমাদের সামুদ্রিক অর্থনীতিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। সুনীল অর্থনীতির অপার সম্ভাবনার যে বিশাল সমুদ্রসীমা আমাদের রয়েছে সেটিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে আমাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করা সম্ভবতো বটেই, আমাদের নিজস্ব অর্থনীতির ভিতও মজবুত করা সম্ভব হবে বলে মন্ত্রী এসময় বলেন।
সমুদ্র সম্পদ উন্নয়নের নানাবিধ ক্ষেত্র রয়েছে উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, সমুদ্রকেন্দ্রিক বাস্তবিক ও প্রায়োগিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে সে অনুযায়ী কাজ করা হলে আমাদের অর্থনীতিতে তা অনেক বড় অবদান রাখতে পারবে।
ব্লু ইকোনমির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটা দেশ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সমুদ্রে অফুরন্ত সম্ভাবনার প্রধান উৎস মাছের বাইরেও রয়েছে জৈবপ্রযুক্তি বা বায়োটেকনোলজি, জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজভাঙা শিল্প, সামুদ্রিক জলজ প্রাণীর চাষাবাদ, লবণ উৎপাদন, সামুদ্রিক নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার, তেল-গ্যাস ও অন্যান্য সামুদ্রিক খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান, সমুদ্রবন্দর ও সমুদ্র পর্যটন। তিনি বলেন, এই ক্ষেত্র বা উপাদানগুলোকে আমাদের উন্নয়ন করতে হবে। মাছ ব্লু ইকোনোমির বড় ক্ষেত্র। সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদকে বড় সম্পদে তখনই পরিণত করা যাবে যখন আমরা এই সম্পদকে যথোপযুক্ত আহরণ ও ব্যবহার করতে পারব।
মন্ত্রী বলেন, সামুদ্রিক মাছ আহরণের ক্ষেত্রে আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সমুদ্রে মাছের অবস্থান, গতিবিধি, মাছের স্টক এসব বিষয় নিয়ে গবেষণা জোরদার করতে হবে। এছাড়া সমুদ্রে মাছের পরিমাণ বা অবস্থান জানার উদ্দেশ্যে জরিপ কাজ চালানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন থেকে অনুসন্ধানী জাহাজ আনার প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছেন বলে জানান মন্ত্রী। এসব জাহাজ শীঘ্রই দেশে আসবে বলেও মন্ত্রী এসময় জানান। এর ফলে সমুদ্রে মাছের অবস্থান, মাছের সংরক্ষণ এবং মৎস্য সম্পদকে কাজে লাগিয়ে আমাদের অর্থনীতিকে মজবুত করা সম্ভব হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
যারা সামুদ্রিক সম্পদ নিয়ে গবেষণা করেন, সম্ভাবনার পথ উন্মুক্ত করেন তাদেরকে আশ্বস্ত করে মন্ত্রী বলেন, এসব বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় রাজনৈতিকভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। ব্লু ইকোনমির উন্নয়নের ক্ষেত্রে উদাহরণ তৈরি করে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা হবে বলে মন্ত্রী এসময় মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংসদ সদস্য মোঃ নাসের শাহরিয়ার জাহেদী এবং গেস্ট অভ্ অনার হিসেবে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও গ্রামীণ প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) আব্দুল বাকী উপস্থিত ছিলেন।
#
নাজমুল/সায়েম/শফি/রানা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২০৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৯
টেকসই উন্নয়নের জন্য সামুদ্রিক সম্পদকে কাজে লাগাতে হবে
--- অর্থ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ আষাঢ় (৩ জুলাই):
অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য বিপুল সামুদ্রিক সম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। ব্লু ফাইন্যান্স শুধু অর্থ মন্ত্রণলায়ের বিষয় নয়, এর সাথে অনেক মন্ত্রণলায় ও বিভাগের অংশীদারিত্ব রয়েছে। ইন্টারনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন বিশ্বে বিভিন্ন দেশে ব্লু বন্ড ও ব্লু লোন ইস্যু করছে, বাংলদেশও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং আইএফসি দেশে ব্লু বন্ড চালু করার লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক আয়োজিত ÔOcean Prosperity: Catalyzing Blue Economy in BangladeshÕ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ব্লু ফাইন্যান্স ব্রেকআউট সেশনে চেয়ারপার্সন হিসেবে বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ও ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের জন্য ব্লু ইকোনমি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে বিনিয়োগ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে বঙ্গোপসাগরের সামুদ্রিক সম্পদের ওপর বাংলাদেশের মানুষের সার্বভৌমত্ব ও সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণের নিমিত্ত ÔTerritorial Waters and Maritime Zones Act, 1974Õ প্রণয়ন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে জয়ী হয়ে বিশাল সামুদ্রিক অঞ্চল এবং সম্পদের ওপর দেশের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুনীল অর্থনীতিতে বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য উদ্ভাবনী অর্থায়ন মডেল অপরিহার্য। সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ ও এর যথাযথ ব্যবহারের গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকার চলতি অর্থবছরে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য একশত কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। আমাদের ব্লু ইকোনমি সেল সামুদ্রিক খনিজ এবং অন্যান্য সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য ২০ টি মন্ত্রণলায়ের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছে।
ব্লু ফাইন্যান্স বিষয়ে ব্রেকআউট সেশনে কিনোট স্পিকার ছিলেন প্রফেসর ড. লেইলা চৌকরুন (Dr. Leila Choukorne), ইউনিভার্সিটি অফ পোর্টসমাউথ, যুক্তরাজ্য; প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তারেক, সদস্য, সিএমএসএফ; ড. হাসান ইমাম, প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট এসোশিয়েশনেল এবং আমিনুল আরেফিন, প্রজেক্ট ম্যানেজার, ইউএনডিপি। সেশনটি সঞ্চালনায় ছিলেন ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, চেয়ারম্যান, র্যাপিড।
এ সেশনে সম্মানিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ নজিবুর রহমান, চেয়ারম্যান, ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মোঃ হাবিবুর রহমান।
#
আলমগীর/শফি/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২১০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৮
দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে দক্ষতার সাথে কাজ নিষ্পন্ন করতে হবে
- বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ আষাঢ় (৩ জুলাই):
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা গ্রহণ করে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন সংস্থার সেবাসমূহ জনগণের কাছে সহজে পৌঁছে দিতে হবে। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে দক্ষতার সাথে কাজ নিষ্পন্ন করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে আন্তরিকতা ও সততার সাথে কাজ করতে হবে।
আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সরকারের কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অধীন দপ্তর ও সংস্থার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকারি কাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, গতিশীলতা বৃদ্ধি এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে প্রত্যেকটি দপ্তর ও সংস্থা চুক্তিতে উল্লিখিত কাজ গুণগত মান বজায় রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পাদনের ক্ষেত্রে সরকারের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি আশা করব প্রতিটি দপ্তর এই প্রতিশ্রুতি পালনে আন্তরিকতা ও সততার সাথে কাজ করবে।
ফারুক খান বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে সারা বছর এই চুক্তিতে উল্লিখিত কাজ কতটা সম্পাদিত হলো তা কঠোরভাবে মনিটর করা হবে। সময়ে সময়ে অগ্রগতি পর্যালোচনা সাপেক্ষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে তাগিদ প্রদান করা হবে। তারপরও যারা সঠিকভাবে ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার কমডোর সাদিকুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম ভূঞা এবং বাংলাদেশ সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেনের সঙ্গে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
#
তানভীর/সায়েম/শফি/রানা/রফিকুল/শামীম/২০২৪/১৭৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৭
প্রতিদিনই পরিবেশ দিবস বিবেচনায় বছরব্যাপী চালাতে হবে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম
--- পরিবেশমন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ আষাঢ় (৩ জুলাই):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, পরিবেশ সুরক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদ্যাপন করা হয়, তাই প্রতিদিনই পরিবেশ দিবস বিবেচনা করে বছরব্যাপী চালাতে হবে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম। একটি বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করতে হলে অনতিবিলম্বে সরকারের পাশাপাশি সবাইকে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করতে হবে।
আজ পরিবেশ অধিদপ্তরে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা’র সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান