Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৫ ডিসেম্বর ২০২১

তথ্যবিবরণী ৫ ডিসেম্বর ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ৫৭৪১

রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ডকে ভূমিকা রাখার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর

ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৫ ডিসেম্বর) :

          খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, থাইল্যান্ড বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র। থাইল্যান্ডের সাথে সুদীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও সাংস্কৃতিক যোগসূত্র রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে থাইল্যান্ড বাংলাদেশেকে সহযোগিতা করে আসছে। এসময় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির জন্য দু’দেশের সম্পর্ক আরো জোরদারের সুযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

          আজ বাংলাদেশে নিযুক্ত থাই রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে থাইল্যান্ডের ৯৪তম জাতীয় দিবস ও থাইল্যান্ডের রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদে এর জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

          মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ এ বছর এলডিসি গ্রাজুয়েশনের মাইলফলক অর্জন করেছে। আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত দেশে রূপান্তর করা।

          করোনা মহামারিকালীন থাই সরকারের সহায়তার কথা স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, সমন্বিত উদ্যোগ করোনার মত মহামারিকে পরাজিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বৈশ্বিক মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশের সফলতা এশিয়ার দেশগুলোর জন্য অনুকরণীয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

          বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ  প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ডকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা  সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে তা এ অঞ্চলের শান্তি ও প্রগতির পথে অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে।

          বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং থাইল্যান্ডের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য থাই সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে উন্নত রেল, সড়ক, সামুদ্রিক ও বিমান যোগাযোগ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে আরও অবদান রাখবে। এসময় তিনি দুদেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নের ওপর জোর দেন এবং থাইল্যান্ডের জনগণকে জাতীয় দিবসে শুভেচ্ছা জানান।

          বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিটমোর শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশ দুটি রাষ্ট্রই নিজেদের জনগণের কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যে বিগত পাঁচ দশক ধরে উভয়ের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করে আসছে। ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।

#

কামাল/পাশা/নাইচ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২৩০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ৫৭৪০

স্বল্পতম সময়ে স্বাস্থ্যখাতে লোক নিয়োগ

ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৫ ডিসেম্বর) :

          কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলা করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে দুইটি ধাপে ১১, ১২, ১৩, ১৬ ও ২০ তম গ্রেডের বিভিন্ন পদে ৪১ জন লোক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি চলমান অবস্থায় স্বল্পতম সময়ে লিখিত, ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ ও চূড়ান্ত ফলাফল প্রদান করায় পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

          উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি দুইটি শীর্ষ পত্রিকায় বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে মোট ৪১টি পদের বিপরীতে লোক নিয়োগ বিজ্ঞাপন দেয়া হলে সেখানে ২২ হাজার ৪৩২ জন প্রার্থী আবেদন করে। এর মধ্যে গত ১৯ নভেম্বর প্রথম ধাপে লিখিত পরীক্ষায় ২ হাজার ১৪৯ জন প্রার্থী অংশ নেয়। এরপর ২৪ নভেম্বর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ব্যবহারিক ও একই দিনে ভাইভা পরীক্ষা নেয়া হয়। ২৪ নভেম্বর সব পরীক্ষা গ্রহণ শেষে একই দিনে মোট ২০ জনকে চূড়ান্ত করে উপস্থিত প্রার্থী ও অভিভাবকদের সামনেই চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হলে সেখানে উপস্থিত প্রার্থীগণ করতালির মাধ্যমে এই নিয়োগের প্রশংসা করেন।

          অন্যদিকে ২য় ধাপে, গত ৩ ডিসেম্বর একই নিয়োগের ২০তম গ্রেডের আরো ৩ হাজার ২৪৮ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়। একই দিনে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এরপর ৪ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ শেষে একই দিনে মোট ২১ জন প্রার্থীকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়।

          স্বল্পতম সময়ে এই নিয়োগ কার্যক্রম সুচারুভাবে সম্পন্ন করায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশংসা করে এই নিয়োগ কার্যক্রমকে একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এই নিয়োগ প্রসঙ্গে জানান, এত অল্প সময়ে এবং কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন এরকম একটি নিয়োগ দেয়া ছিল একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। এই কার্যক্রমকে আমাদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে মনে রাখতে হবে।

#

মাইদুল/পাশা/নাইচ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২১৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ৫৭৩৯

আইসিটি বিভাগের ২০২১-২২ অর্থবছরের এডিপি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৫ ডিসেম্বর) :

          তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ২০২১-২২ অর্থবছরের নভেম্বর মাসের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন পর্যালোচনা সভা আজ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উক্ত সভায় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।

          তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরসহ বিভাগের অধীন বিভিন্ন সংস্থা প্রধানগণ এবং বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালকগণ অনলাইনে যুক্ত হন।

          সভায় আইসিটি বিভাগের চলতি অর্থবছরে গৃহীত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন পরিকল্পনা, মাসভিত্তিক বাস্তব ও আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ এবং জনবল নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

          সভায় জেলা পর্যায়ে আইটি/হাই-টেক পার্ক স্থাপন প্রকল্প, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি-২ এর সহায়ক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প, জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন, ইনফো সরকার-৩ প্রকল্প, দুর্গম এলাকায় তথ্যপ্রযুক্তি নেটওয়ার্ক স্থাপন শীর্ষক প্রকল্প, এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রাম, লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (২য় সংশোধিত), শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক রাজশাহী  (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, কালিয়াকৈর হাইটেক-পার্কসহ অন্যান্য হাইটেক পার্ক উন্নয়ন (৩য় সংশোধিত) প্রকল্প, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন, বিজিডি ই-গভ সার্ট এর সক্ষমতা বৃদ্ধি শীর্ষক প্রকল্প, লিভারেজিং আইসিটি ফর এমপ্লয়মেন্ট এন্ড গ্রোথ অফ দ্য আইটি-আইটি ইএস ইন্ডাস্ট্রি প্রকল্প, জাপানিজ আইটি সেক্টরের উপযোগী করে আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প,  মোবাইল গেইম অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন এর দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প, উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প, বাংলাদেশ সরকারের জন্য নিরাপদ ইমেইল ও ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার স্থাপন প্রকল্প, কানেক্টেড বাংলাদেশ শীর্ষক প্রকল্প, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি স্থাপন ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পসহ অন্যান্য সকল প্রকল্পের আর্থিক ও বাস্তব অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সংস্থা প্রধান ও প্রকল্প পরিচালকগণ নিজ নিজ প্রকল্পের বাস্তবায়ন পরিকল্পনা ও সর্বশেষ অগ্রগতি সভায় তুলে ধরেন।

          উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরে আইসিটি বিভাগের অধীন ২৩টি উন্নয়ন, ৩টি কারিগরি ও ১টি নিজস্ব প্রকল্পসহ মোট ২৭টি প্রকল্পের জন্য নিজস্ব অর্থায়নসহ বরাদ্দ ১ হাজর ৪৫২ কোটি ৭১ লাখ টাকা।

          সভায় জানানো হয়, আইসিটি বিভাগের প্রকল্পসমূহের নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত আর্থিক অগ্রগতি ১৯ দশমিক ২৭ শতাংশ।

          প্রতিমন্ত্রী কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী গুণগতমান বজায় রেখে দ্রুত প্রকল্পসমূহের  অগ্রগতি শতভাগ নিশ্চিত এবং যথাসময়ে কাজ শেষ করতে প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন। প্রকল্প পরিচালকগনণ প্রকল্পসমূহের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

#

শহিদুল/পাশা/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/২০২০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                               নম্বর: ৫৭৩৮

 

বিশ্বব্যাংককে অর্থমন্ত্রীর বাজেট সাপোর্টের আওতায় প্রকল্প ঋণ দেওয়ার আহ্বান

 

ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৫ ডিসেম্বর) :

            আজ ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ও বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শ্যেফার এর নেতৃত্বে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলের মাঝে এক দ্বিপাক্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

            সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসাবে অর্থমন্ত্রী, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। অন্যদিকে, বিশ্ব ব্যাংক পক্ষে হার্টউইগ শ্যেফার, বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন, বিশ্বব্যাংকের আঞ্চলিক পরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া) যৌবিদা খেরুস আলাউয়া, সেশিলে ফ্রুমান, দক্ষিণ এশিয় আঞ্চলিক সংযুক্তি ও  সহযোগিতা  বিষয়ক কর্মকর্তা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

            অর্থমন্ত্রী ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শ্যেফারকে বাংলাদেশ সফরের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বাংলাদেশের  সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সভায় অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির গতিধারা ব্যাখ্যা করে তুলে ধরেন। তিনি জানান, আমাদের রপ্তানি আয় ২৪ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে; বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৫-৪৬ বিলিয়ন ডলার; ঋণ-জিডিপি’র অনুপাত এখনও ৪০ শতাংশের নিচে রয়েছে; মূল্যস্ফীতি বিশ্বের অন্য সকল দেশের মতো বাংলাদেশে বাড়লেও এখনও ৬ শতাংশের নিচে রয়েছে; রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে প্রায় ১৭ শতাংশ; খেলাপি ঋণ ৮ দশমিক ১ শতাংশে নেমে এসেছে; চলতি অর্থবছরের প্রথম কোয়ার্টারে ঋণস্থিতি বেড়েছে প্রায় ৯ দশমিক ৫ শতাংশ; ২০২১ সালের প্রথম ছয় মাসের সাময়িক হিসাবে নীট প্রফিট করেছে; ব্যাংকের ঋণের সুদের হার ৭ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থমন্ত্রী অভিমত প্রকাশ করেন যে, দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি’র ভিত যথেষ্ট মজবুত রয়েছে এবং করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে এমন অর্থনৈতিক সক্ষমতা ধরে রাখা বিরল।

            অর্থমন্ত্রী বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ করেন যাতে বাজেট সাপোর্ট আকারে প্রকল্প ঋণ দেওয়া হয়, তাহলে সরকার অগ্রাধিকারভিত্তিতে যেসব প্রকল্প প্রস্তুত আছে সেসব প্রকল্পের জন্য অর্থ ছাড় করা সম্ভব হবে এবং প্রকল্পের গতি ত্বরান্বিত হবে।

            বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস-প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শ্যেফার কোভিড-১৯ থেকে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো করছে এবং কোভিড মোকাবিলা করে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

            অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ঋণ সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে IDA ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে জনসংখ্যাধিক্যের দিক দিয়ে ৩য় স্হানে থাকা বাংলাদেশের জন্য জনসংখ্যার ভিত্তিতে নায্যতার সঙ্গে দ্রুত ঋণ মঞ্জুরের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য হার্টউইগ শ্যেফার এর সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের ক্ষেত্রে সরকার ও বিশ্বব্যাংকের  ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ওপর গুরুত্বরোপ করেন। তিনি  ভবিষ্যতে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বিশ্বব্যাংকের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য আহ্বান জানান।

 

#

তৌহিদুল/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৯৫৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ৫৭৩৭
জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা শিগগিরই মন্ত্রিপরিষদে উত্থাপন করা হবে
                                                                           -- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৫ ডিসেম্বর) :
  দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং তা খুব শিগগিরই মন্ত্রিপরিষদে উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
আজ রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস-২০২১ উপলক্ষে ইউএন ভলান্টিয়ার বাংলাদেশ, ইউএনএফপিএ, ওয়াটার এইড আয়োজিত 'বাংলাদেশের কমিউনিটির উন্নয়নে স্বেচ্ছাসেবার অবদান' শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ ভলান্টিয়ার-এর একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিলে তারা জানান, বাংলাদেশে কোনো স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা নেই। সংস্থাটির পক্ষ থেকে একটি জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা প্রণয়নের অনুরোধ জানালে তিনি পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনা করে তাঁর সম্মতি নিয়ে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু করেন। ইতোমধ্যে নীতিমালা প্রণয়নে ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করে অনেকগুলো সভা এবং তৃণমূল ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে এই নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। খুব শিগগিরই মন্ত্রিপরিষদে উত্থাপন করে স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।
মোঃ তাজুল ইসলাম আরো বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যমান স্বেচ্ছাসেবার এই মহৎ কাজকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া ও স্বেচ্ছাসেবা প্রদানকারী ব্যক্তিদেরকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে অন্যদেরকে উৎসাহিত করা যাতে সৃজনশীল ও পরকল্যাণমূলক জাতি হিসেবে বাংলাদেশ তার মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করতে পারে। 
দেশের বিভিন্ন দূর্যোগ মোকাবেলার জন্য স্বেচ্ছাসেবায় জনসাধারণের প্রবেশ ও স্বেচ্ছাসেবার চর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, গ্রাম বাংলা ও শহরের যে কোন জলবায়ু, মহামারি, সামাজিক বা অন্য যে কোন বিপর্যয় থেকে টেকসই উন্নয়ন সম্ভবপর হবে। এই পদক্ষেপ নগর ও গ্রামের মানুষের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন, মহামারি, সামাজিক ও অন্যান্য যেকোন সংকট মোকাবেলায় সক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। 
মন্ত্রী বলেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মহামারি আতঙ্কের মধ্যেও সিটি করপোরেশন, জেলা ও উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদেও জনপ্রতিনিধিরা, ছাত্র-শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, এনজিও কর্মী এবং সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ অনেকেই স্বেচ্ছাসেবী কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণ করেছেন। 
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আখতার হোসেন, ইউএনভি এশিয়া ও প্যাসিফিকের রিজিওনাল ম্যানেজার সেলিনা মিয়া (ভার্চ্যুয়াল), ইউএনএফপিএ'র রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. একো নারিতা, বাংলাদেশ নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক তুয়োমো পৌতিয়াইনেন।
এছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্মসচিব মোঃ নুরে আলম সিদ্দিকী, ইউএনভি বাংলাদেশের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মোঃ আকতার উদ্দিন, ভিএসও বাংলাদেশ বিসনেস পারস্যুইট লিড সালাউদ্দিন আহমেদ এবং ওয়াটার এইড বাংলাদেশের পলিসি ও অ্যডভোকেসি ডিরেকটর পার্থ হেফাজ শাইখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সরকারি নানা সংস্থা এবং এনজিও’র প্রতিনিধিগণ, স্বেচ্ছাসেবক ও সামাজিক সংস্থাসমূহ, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অন্যান্য অংশের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
স্বেচ্ছাসেবক দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য- 'ভলান্টিয়ার নাউ ফর আওয়ার কমন ফিউচার'।
উল্লেখ্য, কমিউনিটির উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় আইভিডি বাংলাদেশ ভলান্টিয়ার এওয়ার্ড-২১ ইউএনডিপি এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাথে যৌথভাবে এ বছর প্রথমবারের মতো ইউএনভি বাংলাদেশ ২০ জন ইউএন ভলান্টিয়ারকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
#
হায়দার/পাশা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২০০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর: ৫৭৩৬

 

কেরাণীগঞ্জের দোলেশ্বর হানাফিয়া জামে মসজিদ পেল ইউনেস্কো পুরস্কার

 

ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৫ ডিসেম্বর) :

 

        গত ১ ডিসেম্বর ২০২১ কেরাণীগঞ্জস্থ দোলেশ্বর হানাফিয়া জামে মসজিদ পেয়েছে ইউনেস্কো পুরস্কার। এই মসজিদটি ‘UNESCO Asia Pacific Awards 2021 Cycle for Cultural Heritage Conservation’ পুরস্কার অর্জন করেছে। মসজিদটি সংস্কার ও সংরক্ষণের জন্য স্থপতি সাঈদ মোস্তাক আহমেদ The Award of Merit পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

 

          বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের পূর্ব পুরুষদের হাত ধরে বাংলা ১২৭৫ সনে ইংরেজি ১৮৬৮ সনে ও হিজরী ১২২৮ সনে মসজিদটি নির্মিত হয়। কালের পরিক্রমায় ইংরেজি ১৯৬৮ সনে নসরুল হামিদের পিতা অধ্যাপক হামিদুর রহমান মিনারসহ মসজিদটির বর্ধিতাংশ নির্মাণ করেন। ততদিনে এলাকার লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলে মসল্লিদের জায়গার সংকুলান হচ্ছিল না। কেউ কেউ মসজিদটি ভেঙ্গে বড় করার প্রস্তাব রাখে, কেউ কেউ নতুন স্থানে নতুন করে মসজিদ তৈরি করতে অনুরোধ করেন।

 

          এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঐতিহ্য ধরে রেখে আধুনিকায়ন করা প্রয়োজন। ঐতিহ্য ও আধুনিকায়নকে পাশে রেখে মসজিদটি সংস্কারের জন্য স্থপতি সাঈদ মোস্তাক আহমেদকে দায়িত্ব দেয়া হয়। দেড়শো বছরের পুরাতন মসজিদকে ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে সংস্কার করে স্বরূপে রেখে পাশে একটি অত্যাধুনিক মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে।

#

আসলাম/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৯১৩ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ৩৭৩৫

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত

আগামীকাল ৬ ডিসেম্বর থেকে পবিত্র জমাদিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু

ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৫ ডিসেম্বর) :

          বাংলাদেশের আকাশে আজ ১৪৪৩ হিজরি সনের পবিত্র জমাদিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে। ফলে আগামীকাল ৬ ডিসেম্বর সোমবার থেকে পবিত্র জমাদিউল আউয়াল মাস গণনা করা হবে।

          আজ ঢাকায় বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুঃ আঃ আউয়াল হাওলাদার।

          সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মুনিম হাসান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মোঃ মুশফিকুর রহমান (অতিরিক্ত সচিব), বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসক আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ (অতিরিক্ত সচিব), প্রধান তথ্য অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ শাহেনুর মিয়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের পিএসও আবু মোহাম্মদ, ঢাকা জেলার এডিসি মোঃ ইলিয়াস মেহেদী, বাংলাদেশ টেলিভিশনের কন্ট্রোলার জুলফিকার রহমান কোরাইশী, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ আজিজুর রহমান, সরকারী মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মোঃ আলমগীর রহমান, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান ও চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

#

শায়লা/পাশা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/১৯০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর: ৫৭৩৪

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে আজিয়াটা গ্রুপ

ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৫ ডিসেম্বর) :

          আসন্ন ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড গ্রুপ সিইও দাতো’ ইজ্জাদ্দিন ইদ্রিস ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পের সফল বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ।

          আজ রবি’র চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম আজিয়াটা গ্রুপ সিইও’র পক্ষ থেকে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের কাছে তার আগারগাঁও এর আইসিটি টাওয়ারস্থ কার্যালয়ে অভিনন্দনপত্রটি হস্তান্তর করেন। অভিনন্দন পত্রে আজিয়াটা গ্রুপ সিইও ইজ্জাদ্দিন আইসিটি প্রতিমন্ত্রীকে তার তরুণ এবং উদ্যমী নেতৃত্বের জন্য প্রশংসা করেন। এছাড়া তিনি আইসিটি বিভাগের অধীন এটুআই-প্রকল্পের সহযোগিতায় ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টার, ৩৩৩ স্থাপন এবং বিডিঅ্যাপসকে ন্যাশনাল অ্যাপস্টোর হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য আইসিটি প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

          দেশজুড়ে হাই-টেক পার্ক স্থাপন, স্টার্ট আপ-ভিত্তিক বিভিন্ন উদ্যোগ তৈরিতে স্টার্ট আপ বাংলাদেশের অবদান, সহজ ডিজিটাল সল্যুশনের মাধমে করোনা মহামারি মোকাবিলা, বিশ্বব্যাপী আইসিটি খাতের জন্য শীর্ষস্থানীয় আউটসোর্সিংয়ের গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশকে তুলে ধরা, ই-কমার্স খাতের সম্প্রসারণ এবং শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের মাধ্যমে দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের আইসিটির সাথে যুক্ত করার জন্য আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন তিনি। প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড গ্রুপ সিইও, বাংলাদেশের আইটি খাতে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

          আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আজিয়াটা গ্রুপকে এই উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানান। দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের পাশাপাশি একই বছর ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পের সফল বাস্তবায়ন করতে পারায় তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন । প্রতিমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার জন্য রবিকে ধন্যবাদ জানান ।

        #

শহিদুল/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৮৫৭ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                          নম্বর: ৫৭৩৩

লবণাক্ত, হাওর ও পাহাড়ি জমিতে ফসল উৎপাদনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে

                                                                                                           --- কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৫ ডিসেম্বর) :

 

দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উপকূলের লবণাক্ত, হাওর, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ প্রতিকূল পরিবেশে ও জমিতে ফসল উৎপাদনে সরকার এখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের আমলে দেশে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জিত হয়েছে। সরকার এখন সকল মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করছে। কিন্তু ক্রমহ্রাসমান চাষযোগ্য জমি, বিপরীতে ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠী ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই বা ধরে রাখা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

আজ ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উপলক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত সেমিনার, শোকেসিং, সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড ও মৃত্তিকা দিবস পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন, ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম।

               এবারের বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসের প্রতিপাদ্য হলো 'লবণাক্ততা রোধ করি, মাটির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করি'। কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে লবণাক্ততা একটি বড় সমস্যা। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে লবণাক্ত জমির পরিমাণ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায়, খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা স্থিতিশীল ও টেকসই রাখতে হলে উপকূলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে চাষযোগ্য জাত এবং উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ছড়িয়ে দিতে হবে। সেজন্য, সরকার অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা  অনেক ফসলের লবণাক্ততাসহিষ্ণু উন্নত জাত উদ্ভাবনে করতে সক্ষম হয়েছে। এসব জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি চাষিদের মধ্যে দ্রুত সম্প্রসারণের জন্য কাজ চলছে।

পরে কৃষিমন্ত্রী মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট প্রকাশিত 'সয়েল অ্যাটলাস অব বাংলাদেশ' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন ও মৃত্তিকার ওপর শোকেসিং ঘুরে দেখেন। সেমিনারে জানান হয়, বাংলাদেশের প্রায় ২৫ শতাংশ এলাকা হচ্ছে উপকূলীয় এলাকা। উপকূলীয় ১৮ টি জেলার ৯৩টিরও বেশী উপজেলার ১০ লাখ হেক্টরেরও বেশি জমি বিভিন্ন মাত্রায় লবণাক্ততায় আক্রান্ত, যা এই এলাকার ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধির প্রধান অন্তরায় হিসেবে বিবেচিত।

            পরিবেশ মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, লবণাক্ততাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের নানাবিধ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য এর ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ে মানুষের সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই। দেশের লবণাক্ত এলাকায় কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে বিজ্ঞানভিত্তিক টেকসই কৃষি অনুশীলন এবং প্রযুক্তিগত ইনোভেশন আনতে হবে। এলক্ষ্যে মাটির অবক্ষয় রোধে বিনিয়োগ ও গবেষণা বাড়াতে হবে।

            পরিবেশমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য সীমিত জমি থেকে অধিক ফসল উৎপাদনের জন্যও মাটির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হবে। ক্রমাগত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ঔষধ ব্যবহারের কারণে দেশের নদী-নালা ও জলাশয়ে মাছসহ নানা জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে, মানুষসহ উদ্ভিদের ওপরও এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। মাটির লবণাক্ততা মোকাবিলা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণকে সম্পৃক্ত করে মাটির স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে।

পরে বিকালে কারিগরি সেশনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২১, সয়েল অলিম্পিয়াড এবং মৃত্তিকা দিবসের পুরস্কার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিধান কুমার ভান্ডারের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোঃ বখতিয়ার, এফএওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল।

#

কামরুল/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৮৩৪ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ৫৭৩২

২০২১ সালের আলিম পরীক্ষার সময়সূচির পরিবর্তন

ঢাকা, ২০ অগ্রহায়ণ (৫ ডিসেম্বর) :

          বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীন চলমান আলিম পরীক্ষা-২০২১ এর ঘোষিত সময়সূচি মোতাবেক ৬ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখের হাদিস ও উসূলুল হাদিস পরীক্ষা আগামী ২১

2021-12-05-16-58-572121dda6364e0638d70dbb198b6ddf.doc