তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭১৮
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ১৪ ভাদ্র (২৯ আগস্ট) :
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্ক জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।
আজ রাজধানীর ইস্কাটনস্থ বিয়াম অডিটরিয়ামে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক, কথাসাহিত্যিক ও বাংলা একাডেমির চেয়ারম্যান সেলিনা হোসেন। ‘বঙ্গবন্ধু কীভাবে শেখ মুজিবুর রহমান থেকে বঙ্গবন্ধু হলেন’ শিরোনামে আলোচনা করেন অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক সাবেক সচিব ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর মোঃ নজরুল ইসলাম খান।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের সভাপতি ড. ফারহিনা আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের মহাসচিব সায়লা ফারজানা। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ছামিয়া আক্তার। সঞ্চালনায় ছিলেন সরকারি তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সালমা বেগম এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অজন্তা শুক্লা তন্মা।
স্বাগত বক্তব্যের পর প্রদর্শিত হয় খোরশেদ বাহারের উপন্যাস অবলম্বনে নাসরীন মুস্তাফার চিত্রনাট্যে গৌতম কৈরি নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘বঙ্গমাতা’ । প্রদর্শনীর আগে বিসিএস তথ্য ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে 'বঙ্গমাতা' চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যকার চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রলায়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক, ঢাকার জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমানসহ বিসিএস এর বিভিন্ন ক্যাডারের নারী কর্মকর্তাগণ।
পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে শাহাদত বরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
#
নাসরীন/এনায়েত/সেলিম/২০২৩/২২২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭১৭
শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে আসলে শিক্ষকদের যত দাবি আছে, তার সব কিছুই পূরণ হবে
-- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ ভাদ্র (২৯ আগস্ট) :
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন। আমাদের যেতে হবে অনেক দূর। শিক্ষায় যা কিছু উন্নয়ন শেখ হাসিনার হাত ধরে হয়েছে, যতটুকু পথ হাঁটার কথা শেখ হাসিনার হাত ধরেই হাঁটতে হবে। শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন আপনারা ধৈর্য্য ধরে আছেন, আশায় আছেন, আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়ে আসলে আপনাদের যত দাবি আছে, যতদ্রুত সম্ভব তার সব কিছুই পূরণ হবে ইনশাআল্লাহ।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাচিপ) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ও স্বাধিনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাচিপ)-এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান আলম সাজু।
ডা. দীপু মনি বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাটা আমরা যেভাবে চাই, তার মূল কেন্দ্রে শিক্ষক। কাজেই শিক্ষক যদি মানসম্পন্ন না হন, শিক্ষকের মনে যদি প্রশান্তি না থাকে, তিনি যদি মন খুলে তার শিক্ষার্থীকে শেখাতে না পারেন, তাহলে আমরা যত কারিকুলামই করি, যা কিছুই করি, সেখানে ঘাটতি থেকে যাবে। কাজেই শিক্ষকরা জরুরি, প্রধানমন্ত্রী সেটা ভালো করেই বোঝেন। সেজন্য আজ পর্যন্ত যা কিছু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই হয়েছে। তাহলে আপনারা তো আস্থা রাখতে পারেন, আমাদের যতদূর পথ হাঁটার কথা শেখ হাসিনার হাত ধরেই হাঁটতে হবে।
শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের অনেক কিছু চাওয়ার আছে, এগুলো যৌক্তিক। সেই যৌক্তিক চাওয়াগুলো আমরা নিশ্চয় পূরণ করবো। কিন্তু সেটার জন্য আন্দোলন করার এই মুহূর্তে সঠিক সময় নয়। আমি মাঝে মাঝে জোক করে বলি এখন নির্বাচনের সময় আন্দোলনের মৌসুম। সেই মৌসুম ভেবে কেউ কেউ রাস্তায় নেমে যান, আবার একটু উস্কানিও থাকে। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার আবারও দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন ইনশাআল্লাহ। এবং তারপরে আপনাদের চাওয়া যা কিছু আছে সবই পূরণ হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা সরকারি আছেন তাদের একরকম দাবি, যারা এমপিওতে আছেন তাদের একরকম দাবি, যারা নন-এমপিও তাদের একরকম। পুরো জিনিসটা বুঝে গুছিয়ে, জটিলতাগুলোকে দূর করে তারপর করতে হবে। আমরা দু’টি কমিটি করে দিয়েছি, দু’দিনের একটি ওয়ার্কশপ করলাম। সবাইকে ডাকলাম। কিন্তু আমাদের নামে কদর্য কথা বলছেন, কুৎসা রাটাচ্ছেন তাদেরকেও বললাম আসেন। কিন্তু তাদের মধ্যে মেইন লোক (ওয়ার্কশপে) ছিলেন না। তাদের সহযোগিতা দেওয়ার জন্য সরকার তাদের ডেকে নিয়ে আসছে সেখানেও তারা আসতে রাজি না। তখন বিএনপি-জামায়াতের একটা সমাবেশ ছিল। তারা সেই সমাবেশে থাকবেন। তাদের নিয়ে নাচানাচি তো দরকার নেই। শিক্ষর্থীদের জিম্মি করে তারা দাবি আদায়ের মৌসুম মনে করে, বিরোধীদলের তথাকথিত আন্দোলনের পালে হাওয়া লাগাবার জন্য তারা রাস্তায় বসবে, সেটাকে প্রশ্রয় দেবার কোনো কারণ নেই।
#
খায়ের/এনায়েত/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/২২৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭১৬
সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে সংসদীয় কমিটিতে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে
-- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ ভাদ্র (২৯ আগস্ট) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আগামী ৩ সেপ্টেম্বর সংসদ অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিল যাতে এই অধিবেশনে উঠতে পারে, সে জন্যই গতকাল মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সময় যেহেতু খুবই কম, তাই আগামী জাতীয় সংসদ অধিবেশনে উত্থাপনের পর সংসদীয় কমিটিতে অংশীজনদের সঙ্গে প্রস্তাবিত এ আইন নিয়ে আলাপ-আলোচনা করা হবে।
আজ ঢাকায় সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, ‘আপনাদের (সাংবাদিক) আমি বলেছিলাম, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করব। সাইবার নিরাপত্তা আইন হওয়া সত্ত্বেও এটি কিন্তু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তে করা হয়েছে। আমরা বলি নাই, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে একদম বাদ দিয়ে সাইবার নিরাপত্তা আইন করছি। কিন্তু আদতে (কাগজপত্রে) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে রহিত করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করছি।’
আইনমন্ত্রী বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে (ওয়েবসাইটে খসড়া দেওয়ার পর) যেসব মতামত দেওয়া হয়েছে, সেগুলো একসঙ্গে করে সবকিছু সংসদীয় কমিটির কাছে উপস্থাপন করা হবে। যারা বক্তব্য জানাতে চাচ্ছেন, তাদের সংসদীয় কমিটিতে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অনিষ্পন্ন বা চলমান মামলাগুলোর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে পরিষ্কারভাবে লেখা আছে, অপরাধ করার সময় যে আইন বলবৎ ছিল, সেই আইনেই বিচারকার্য হবে এবং সেই আইনে যে সাজা ছিল, সেই সাজাই দিতে হবে। সেখানে একটি কথা আছে (৩৫ অনুচ্ছেদে), সেটি হচ্ছে যদি নতুন আইনে সাজা বেশি হয়, তাহলে সেই সাজা দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ যে আইনে অপরাধ করেছে অথবা অপরাধ করার সময়ে যে আইন বলবৎ ছিল, সেই আইনে যে সাজা, সেটা দিতে হবে। দ্বিতীয়ত আছে, কোনো ভিন্নতর সাজা দেওয়া যাবে না। তবে এবিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
প্রস্তাবিত আইন নিয়ে অনেকেই বলছেন ‘নতুন বোতলে পুরোনো মদ’ এবং ‘যে লাউ সেই কদু। এর জবাবে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১ ধারায় সাজা ছিল ১০ বছর। সেই সাজা কমিয়ে করা হয়েছে ৫ বছর। আর ২১ ধারার উপধারা-২–এ বলা ছিল, এটি যদি পুনর্বার করা হয়, তাহলে সাজা দ্বিগুণ হবে। সেটা বাদ দেওয়া হয়েছে। মানহানির জন্য সাজা ছিল তিন বছর। সেটায় কারাদণ্ড বাদ দিয়ে জরিমানা করা হয়েছে। এগুলো কি পরিবর্তন নয়? এ ছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অনেক ধারা অজামিনযোগ্য ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনে শুধু কারিগরি ধারার অপরাধকে অজামিনযোগ্য করে বাকি সব কটি জামিনযোগ্য করা হয়েছে। এগুলো কি পরিবর্তন নয়?
#
রেজাউল/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/২০৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭১৫
সমৃদ্ধ ও নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনে এ সরকারকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে
--- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ ভাদ্র (২৯ আগস্ট):
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, অগ্নিসন্ত্রাস থেকে রক্ষা পেতে, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রাখতে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগণকে কিছুটা কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে বটে। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে আগে সন্তানের জীবন ও নিরাপত্তা; তারপর হচ্ছে জীবিকা। তাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে এবং সুখী, সমৃদ্ধ ও নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনে এ সরকারকে আবার ক্ষমতায় আনতেই হবে। আমাদের অনাগত ভবিষ্যৎ আমাদেরকেই রচনা করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব (প্রধান) মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, পৃথিবীতে বহু রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডে কোথাও কোনো নারী-শিশুকে স্পর্শ করা হয়নি। এমনকি কারবালার করুণ হৃদয়বিদারক ঘটনায়ও কোনো নারী-শিশুকে হত্যা করা হয়নি। শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে খুনি ঘাতকচক্র কোনো নারী-শিশুকে রেহাই দেইনি। তাই পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্য ও নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশের জন্য নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়েছেন। শৈশব, কৈশোর ও তারুণ্য বিসর্জন দিয়েছেন এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য। এত ত্যাগ-তিতিক্ষার পরও বাঙালি নামধারী কিছু ঘাতক চক্র তাঁকে হত্যা করলো। কী অপরাধ ছিলো তাঁর?
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অসীম কুমার দে, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক চন্দন কুমার দে, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আবুবকর সিদ্দিক, কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক এ এফ এম হায়াতুল্লাহ, বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার মোঃ দাউদ মিয়া, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর এবং বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক কাজী নুরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে কবি কামাল চৌধুরীর 'টুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে' শীর্ষক কবিতা আবৃত্তি করেন অগ্নি অতুলনীয় নুর। তাছাড়া ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহিদদের স্মরণে ও আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী এর আগে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর আয়োজিত রচনা ও শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে প্রধান অতিথি হিসাবে পুরস্কার বিতরণ করেন।
#
ফয়সল/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৯৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭১৪
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর সাথে ফ্রান্সের চার্জ দ্য এফেয়ার্সের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১৪ ভাদ্র (২৯ আগস্ট) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সাথে আজ সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে বাংলাদেশে ফ্রান্সের চার্জ দ্য এফেয়ার্স গুইলোম অউড্রিন ডি কার্ড্রেল (Guillaume Audren de Kerdrel) সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাৎকালে তারা আর্থ অবজারভেটরি স্যাটেলাইট হিসেবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণসহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ ও ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও অগ্রগতি সম্পর্কে মতবিনিময় করেন।
বাংলাদেশ ও ফ্রান্স বন্ধু-প্রতিম দু’দেশের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরো সুদৃঢ় হবে বলে এ আশাবাদ ব্যক্ত করে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ফ্রান্স বাংলাদেশের অকৃত্রিম এক বন্ধু। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে বাংলাদেশে গত সাড়ে ১৪ বছরে ডিজিটাইজেশনের ধারাবাহিকতায় বিস্ময়কর অগ্রগতি হয়েছে।
মন্ত্রী টেলিযোগাযোগ খাতসহ বিভিন্ন খাতে সরকারের অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত লাভজনক একটি জায়গা। তাই সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতি কাজে লাগিয়ে টেলিযোগাযোগ খাতে ফ্রান্স বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন। এ সময় ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে স্যটেলাইট যুগে বাংলাদেশের প্রবেশে ফ্রান্সের ভূমিকারও প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সফল উৎক্ষেপণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অন্যতম অর্জন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে বিশ্ব স্যাটেলাইট ক্লাবের ৫৭তম গর্বিত সদস্যে।
এ সময় চার্জ দ্য এফেয়ার্স বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্পর্ককে আগামী দিনগুলোতে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যেতে তার প্রচেষ্টার কথা ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রগতি বিশেষ করে ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতের অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
#
শেফায়েত/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/১৯৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭১৩
অনলাইনে অবৈধ আর্থিক লেনদেন নিরসনে করণীয় নির্ধারণে
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ১৪ ভাদ্র (২৯ আগস্ট):
অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা এবং অবৈধ ও যাচাইবিহীন আর্থিক লেনদেন নিরসনে করণীয় বিষয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় বাংলাদেশে অনলাইনে সংগঠিত আর্থিক প্রতারণার ধরণ, অবৈধ আর্থিক লেনদেনের জন্য ভুয়া ফিনান্সিয়াল ওয়েবসাইট এবং অ্যাপসের ব্যবহার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্লাটফর্ম ব্যবহার করে জুয়া বা বেটিংয়ের মাধ্যমে মানুষকে প্ররোচিত করা, অনলাইনের অবৈধ আর্থিক লেনদেনের প্রক্রিয়া, ভুয়া একাউন্টধারীর নামে এমএফএস একাউন্টের ব্যবহার, অনলাইনের বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থার সংশ্লিষ্টতা, বিটিআরসির দায়িত্ব ও সংক্ষমতা, অনলাইনের মাধ্যমে সংঘটিত আর্থিক প্রতারণার সাথে সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের শনাক্তকরণের উপায় এবং অনলাইনের মাধ্যমে অবৈধ আর্থিক লেনদেন বন্ধে চ্যালেঞ্জ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিম, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বিলকিস জাহান রিমি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্তি সচিব মোঃ রুহুল আমিন, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো: কামরুজ্জামান, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: রফিকুল ইসলাম, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ হারুনুর রশীদ, জননিরাপত্তার বিভাগের যুগ্ম সচিব এ এস এম ফেরদৌস, আইসিটি বিভাগের যুগ্মসচিব মোঃ মেহেদী হাসান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. নাহিদ হোসেনসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাসিম পারভেজ অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী অনলাইনের মাধ্যমে অবৈধ আর্থিক লেনদেন ও প্রতারণা থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংককে লিড এজেন্সি করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, ডিএসএ এবং বিটিআরসিকে নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ডাক ও টেলিযোাগাযোগ বিভাগ স্মার্ট বাংলাদেশের বাহন হিসেবে ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়ক তৈরি এবং এর উন্নয়নে কাজ করছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির ক্ষেত্রটা বিশাল। ডিজিটাল নিরাপত্তার বিদ্যমান চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলার সমস্যা এবং তা প্রতিকারের লক্ষ্যে সমস্যা এবং সমাধানের উপায় চিহ্নিত করার জন্য করণীয় নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের ভূমিকা অপরিসীম। সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে নিরাপদ অনলাইন প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
সভায় অবৈধ আর্থিক লেনদেন বন্ধে এমএফএস নিবন্ধন সঠিক পদ্ধতি মেনে করা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সাধারণ মানুষকে সরকার অনুমোদিত ব্যাংকিং (অনলাইনসহ) স্কীম ব্যতীত যে কোন ধরণের লোভনীয় অফার থেকে বিরত থাকার জন্য জনসচেতনতা তৈরি, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরে স্থাপিত সিটিডিআর সিস্টেমের অ্যাপস বন্ধের লক্ষ্যে সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ, অবৈধ আর্থিক লেনদেন বন্ধে প্রয়োজনীয় আইন বা নীতিমালা প্রণয়ন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনলাইন মাধ্যমে নিয়মিত মনিটরিং এবং অনলাইনে লেনদেন বন্ধের জন্য ব্যবহৃত অবৈধ দেশি বিদেশি ওয়েব সাইট, অ্যাপস ও লিংক বন্ধের জন্য বিটিআরসিতে তালিকা প্রণয়নের সুপারিশমালা উঠে আসে।
#
শেফায়েত/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭১২
সুপ্রিম কোর্টসহ সারা দেশের বিচার ব্যবস্থায় ডিজিটাইজেশনের সুবাতাস বইছে
-- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ ভাদ্র (২৯ আগস্ট) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টসহ সারা দেশের বিচার ব্যবস্থায় ডিজিটাইজেশনের সুবাতাস বইছে গত কয়েক বছর ধরে। বছর দুয়েক আগে উদ্বোধন করা হয়েছিলো ‘আমার ভাষা’ সফটওয়্যার-যার মাধ্যমে ইতোমধ্যে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রায় বাংলা ভাষায় অনুবাদ হচ্ছে। একই বছরে চালু হয়েছিল ডিজিটাল আর্কাইভিং এবং ই-ফাইলিং; যাত্রা শুরু হয়েছিল জুডিসিয়াল ড্যাশবোর্ড, মাই কোর্ট অ্যাপ এবং অনলাইন কজলিস্ট-এর মতো প্রযুক্তির। আজ সেই ডিজিটাইজেশনের মুকুটে আরেকটি পালক যুক্ত হলো। উদ্বোধন করা হলো বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট মেডিয়েশন সেন্টার ও সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক উদ্ভাবিত ৯টি কোর্ট প্রযুক্তি।
আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে মেডিয়েশন সেন্টার ও নব উদ্ভাবিত ৯টি কোর্ট প্রযুক্তি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সকল সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর সক্রিয় নির্দেশনায় বিচার বিভাগেও বিভিন্নমুখী ডিজিটাইজেশন হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আধুনিকায়নের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়াকে আরো জনবান্ধব ও সহজীকরণ করতে তাঁর আন্তরিক ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। আমরা প্রত্যাশা করি, স্মার্ট বাংলাদেশে বিচার বিভাগও একটি স্মার্ট বিচারবিভাগ হয়ে উঠবে।
আইনমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় করোনা মহামারীকালীন মানুষের ন্যায়বিচার নিরবচ্ছিন্ন রাখতে এবং কারাগারে বন্দির সংখ্যাধিক্ষ্য বিবেচনা করে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০’ জারি করা হয় যা পরবর্তীতে সংসদে পাস হয়। এই আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল কোর্ট চালু করা হয়- যা বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশনে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সরকার বিশ্বাস করে, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারপ্রাপ্তির অধিকারকে অব্যাহত রাখতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিচার বিভাগের আধুনিকায়ন অপরিহার্য।
মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীব্যাপী বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস সব সময়েই একটি অনন্য উচ্চতায় অবস্থান করে। ডিজিটাইজেশনের কারণে সারা পৃথিবীর মানুষ এখন আদালতের কার্যক্রম সম্পর্কে আরো বেশি আগ্রহী, আরো বেশি আস্থাশীল।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি নাইমা হায়দার, অ্যাটর্নি জেনারেল এম এ আমিন উদ্দিন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সামছুল আরেফিন, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রাব্বানী এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোঃ মোমতাজ উদ্দিন ফকির বক্তব্য রাখেন।
#
রেজাউল/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/১৮৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭১১
সম্প্রতি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত দুর্নীতি সংশ্লিষ্ট অভিযোগ বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
ঢাকা, ১৪ ভাদ্র (২৯ আগস্ট) :
সংবাদ পর্যালোচনার দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করার সময় বাংলাদেশের এক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সম্প্রতি ২৪ আগস্ট ২০২৩ প্রকাশিত ‘কুতুব অধ্যায়ের পর আলোচনায় পনির, ভূমি মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রতিবেদন ভূমি মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হয়। উল্লিখিত প্রতিবেদনে যা দাবি করা হয়েছে তা সত্য নয় বলে প্রতীয়মান হয়। এজন্য, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি সমুন্নত রাখার স্বার্থে উপরোক্ত সংবাদ নিবন্ধে উল্লিখিত বিষয়বস্তুর ব্যাপারে ব্যাখ্যা দেওয়া যুক্তিসঙ্গত বলে ভূমি মন্ত্রণালয় মনে করে।
প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন এবং নলেজ ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রীধারী একজন উচ্চমানের পেশাদার প্রশিক্ষক ড. মো. জাহিদ হোসেন পনির ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভূমি মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। এ কর্মকর্তার কাজের দক্ষতা ও সুনামের কারণে তৎকালীন ভূমি সচিব তাকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাইজেশন, নলেজ ম্যানেজমেন্ট ও পারফরমেন্স (ডিকেএমপি) অনুবিভাগের দায়িত্ব প্রদান করেন। ডিকেএমপি অনুবিভাগ সরকারের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর আওতাভুক্ত ভূমিসেবা ডিজিটাইজেশন কার্যক্রম বাস্তবায়নে সরাসরি সমন্বয়ের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যথাযথ দিকনির্দেশনায় যুগ্ম সচিব ড. মোঃ জাহিদ হোসেন পনির-এর তত্ত্বাবধানে ভূমিসেবা ডিজিটাইজেশন কার্যক্রমের সার্বিক সমন্বয়ের পাশাপাশি ডিজিটাল সেবা প্রদানে সারাদেশে কর্মরত প্রায় ১০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যান্য অংশীজনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রশিক্ষণেও যুগান্তকারী ও গুণগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। ডিজিটাল ভূমিসেবা প্রদানকারী কর্মকর্তাদের ডিজিটাল ভূমিসেবা বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা এবং প্রেষণা প্রদানের লক্ষ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে সমঝোতা স¥ারকও স্বাক্ষরিত হয়েছে এ কর্মকর্তার আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে।
পরিসেবা কাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়। তবে এই প্রশিক্ষণের অংশ সেমিনার/সিম্পেজিয়াম/ওয়ার্কশপের নামে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ সংশ্লিষ্ট সংবাদে উল্লিখিত অভিযোগ পুরোপুরি অবাস্তব বলে প্রতীয়মান। কারণ ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিবালয় অংশে সেমিনার/সিম্পেজিয়াম/ওয়ার্কশপের জন্য বরাদ্দই ছিল মাত্র ২৯ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, এর মধ্যে কেবল ৬ লাখ ২৭ হাজার ৭৬০ টাকা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ খাতে ব্যয় হয়।
ভূমি মন্ত্রণালয় মনে করে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ বিষয়ের সংবাদে প্রকাশিত কথিত অভিযোগ বাস্তবতাবর্জিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এছাড়া, প্রতিবেদনে বিকৃত ছবি ব্যবহার করা এবং দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আলোচিত ব্যক্তির সাথে তুলনা করে কৃত সংবাদ শিরোনামটি সাংবাদিকতার নৈতিকতা এবং মানদণ্ডের সাথে সাংঘর্ষিক।
উপরন্তু, উল্লিখিত সংবাদ প্রকাশের পূর্বে ভূমি মন্ত্রণালয়ের তদসংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বক্তব্য গ্রহণও সমীচীন ছিল, যা করা হয়নি। এ ধরণের কোনো সংবাদ প্রকাশের ব্যাপারে উত্তম চর্চা ও পেশাদার সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী গণমাধ্যম সর্বদা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয় মর্মে ভূমি মন্ত্রণালয় বিশ্বাস করে।
#
নাহিয়ান/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৯৩৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭১০
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে ট্রেন চলাচল শুরু হলে উত্তরবঙ্গের জনগণের জীবনমান আরো এগিয়ে যাবে
--- রেলপথ মন্ত্রী
গাইবান্ধা (বোনারপাড়া স্টেশন), ১৪ ভাদ্র (২৯ আগস্ট) :
রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে ট্রেন চলাচল শুরু হলে উত্তরবঙ্গের জনগণের জীবনমানের যে উন্নয়ন হয়েছে তা আরো এগিয়ে যাবে। এছাড়া এই সেতু উত্তরবঙ্গের জনগণের যাতায়াত