তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৪৫
রাজশাহী বিভাগে সরকারের করোনাকালীন নগদ সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল) :
রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলায় সরকারের করোনাকালীন মানবিক সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধকল্পে চলমান বিধিনিষেধকালে বিভিন্ন সরকারের ত্রাণ কার্যক্রমের আওতায় রাজশাহী জেলায় এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯২ হাজার ৪০০ জনকে নগদ ২ কোটি ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। নওগাঁ জেলায় নগদ ১৫ হাজার ৫০০ জনকে ১৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া বগুড়া জেলায় ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৮৪ জনকে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ৫ লাখ ৫৫ হাজার ১২ জনকে ১ কোটি ২১ হাজার ৫০ হাজার টাকা, নাটোর জেলায় নগদ ১ লাখ ১৪ হাজার ৪০০ জনকে ১৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা, জয়পুরহাট জেলায় ১০ হাজার জনকে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
জেলাসমূহের জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
#
সুফী/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২২২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৪৪
চট্টগ্রাম বিভাগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা প্রদান
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল) :
চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাসমূহে করোনা দুর্গত ও অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় আজ সরকারি ত্রাণ বিতরণ করা হয়। বিভাগের ৫৩ হাজার ৭০টি দরিদ্র পরিবারের মাঝে ২ কোটি ১০ লাখ ৪১ হাজার ৮০০ টাকা নগদ অর্থ সহায়তা হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া, ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৫টি দরিদ্র পরিবারের মাঝে ৭৪ লাখ ৬৫ হাজার ৩৮০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
#
ফয়সল/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২১২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৪৩
খুলনা বিভাগে হতদরিদ্রদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল) :
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধকল্পে আরোপিত বিধিনিষেধের ফলে কর্মহীন হয়ে পড়া খুলনা বিভাগে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকারের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসন মহামারিকালে স্থানীয় তহবিল হতে আজ পর্যন্ত প্রায় ১০০ মেট্রিক টন চাল ও অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করেছে। পরিবহন শ্রমিক, ঋষি সম্প্রদায়, হিজড়া, শিল্পী, সাংবাদিকসহ অন্যান্য অসহায় জনগোষ্ঠীর প্রায় ছয় হাজার জনের বেশি মানুষকে এ খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। খাদ্য সহায়তার মধ্যে ছিল ১৫ কেজি চাল, ডাল, তেল, আলু ও পেঁয়াজ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে প্রাপ্ত ২০ লাখ টাকার এবং ত্রাণ ও ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত ১২ লাখ টাকা নগদ অর্থ সহায়তা জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে বিতরণ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় আজ ১৩০ জন অসহায় নরসুন্দর ও দুঃস্থ শিল্পীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসময় প্রত্যেককে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি মসুর ডাল, ২ কেজি আলু ও ১ কেজি পেঁয়াজ, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি চিনি, ১ প্যাকেট সেমাই প্রদান করা হয়।
মাগুরা জেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহায়তাসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে সর্বমোট ১ কোটি ১৩ লাখ টাকার নগদ অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছে, যার মধ্যে দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তার আওতায় মাগুরা জেলায় এক কোটি ৬৪ লাখ ৮৮ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এছাড়া জেলা প্রশাসকের নিজস্ব বরাদ্দ হতে তিনশত পঞ্চাশ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। মোট প্রাপ্ত জিআর ক্যাশ থেকে উপজেলা ও পৌরসভাভিত্তিক ৯৪ লাখ টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার বিতরণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলায় রমজান উপলক্ষে দেশের দরিদ্র ও দুঃস্থ পরিবারের সাহায্যার্থে বিতরণের জন্য মোট এক কোটি ৯৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সাতক্ষীরা জেলায় মোট ১২ কোটি ৯৩ লাখ ৩ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে, গতকাল খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ২৫ জন নারীর মাঝে সেলাই মেশিন ও ১০ জন শ্রমিকের মাঝে ভ্যানগাড়ি বিতরণ করা হয়।
#
দীপংকর/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২১২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৪২
নাটোর, বরিশাল ও জামালপুর জেলায় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা প্রদান
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল) :
নাটোরে করোনা দুর্গত ও অসচ্ছল পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল নাটোর শংকর গোবিন্দ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৩০০টি পরিবারকে এই মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা প্রদান কার্যক্রমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল। জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজের সভাপতিত্বে এ সময় পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, পৌর মেয়র উমা চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাদিম সারোয়ারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
একই দিনে বরিশাল জেলা প্রশাসন করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে হিজড়া জনগোষ্ঠীসহ অসহায় দরিদ্র ও ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করে। এ সময় ৫০ জন হিজড়া জনগোষ্ঠীর প্রত্যেক পরিবারকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়। এছাড়া ১ হাজার দরিদ্র পরিবারের প্রত্যেককে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি তেল, ১ কেজি আলু, ১ কেজি পেঁয়াজ, ১ প্যাকেট আইভি স্যালাইন এবং ১০টি করে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়। এদিন ১ শত জনের প্রত্যেককে ১টি সাবান ও ১টি করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়। বিভাগীয় তথ্য অফিস, বরিশাল এ তথ্য জানিয়েছে।
জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আজ করোনা ভাইরাস মহামারির প্রেক্ষিতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ৯৪৪টি পরিবারের মাঝে ৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকার নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। জেলার ৩ হাজার ৭৭৬ জন এ ত্রাণের আওতায় আসে। মানবিক সহায়তা হিসেবে জামালপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা হতে উপকারভোগীদের মাঝে নগদ এ অর্থ দেওয়া হয়। জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে আজ এ তথ্য জানা যায়।
#
মারুফ/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৪১
কোভিড-১৯ মহামারিতে ঢাকা বিভাগের
বিভিন্ন জেলায় দরিদ্রদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল) :
করোনা ভাইরাস মহামারির প্রেক্ষিতে মানবিক সহায়তা হিসেবে সরকারের পক্ষ হতে দেশব্যাপী ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ২৯ এপ্রিল ২০২১ তারিখে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় মানবিক সহায়তা প্রদান করা হযেছে। ঢাকা জেলায় ৪৬৪টি পরিবার এবং রাজবাড়ি জেলার ১১ হাজার ৬৭৮টি পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। টাঙ্গাইল জেলায় ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৫০০ টাকা এবং নরসিংদী জেলায় ২৫ হাজার ৪০৬ টাকা নগদ সহায়তা হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে।
শরীয়তপুর জেলায় ৫০০ দরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। মুন্সিগঞ্জ জেলায় ৩০০ পরিবারের প্রত্যেককে ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ১ কেজি করে তেল, চিনি, লবণ সেমাই ইত্যাদি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলায় ৯ হাজার ১৯০ জনকে ২ লাখ ৬৫ হাজার ৬০০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। গাজীপুর জেলায় ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা হিসেবে ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৮৮ টাকা এবং মানিকগঞ্জ জেলায় ১৮ হাজার ৩০০ টাকা নগদ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা তথ্য অফিসসমূহ ঢাকা বিভাগীয় তথ্য অফিসের মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছে।
#
আনোয়ার/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৪০
মানুষকে আতঙ্কিত করতেই বিএনপি খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে
-- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বিরল (দিনাজপুর), ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল) :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের মানুষকে আতঙ্কিত করতেই বিএনপি খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তিনি বলেন, সরকারের তৎপরতায় করোনা পরিস্থিতি যখন নিয়ন্ত্রণে আসছে, তখন আমরা দেখতে পাচ্ছি, কিছু মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সরকারের বিরুদ্ধে যাচ্ছেতাই সমালোচনা করছে। টেলিভিশনের সামনে যাচ্ছেতাই বলছে। তাদের কোনো দায়িত্ব নেই। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়া। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষকে আতঙ্কিত করা। এজন্য তারা এমন পথ অবলম্বন করেছে যে, বেগম জিয়াকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছে মানুষ যেন আতঙ্কিত হয়ে যায়।
দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।
করোনার এ সময়ে বিএনপি নানা রকম অপপ্রচার ছড়াচ্ছে দাবি করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মহাসচিব বলছেন- লকডাউনের নামে এটা ক্র্যাকডাউন হয়ে গেছে নাকি। আমিতো বলি, লকডাউনের নামে ক্র্যাকডাউন না; বিএনপিই ক্র্যাকডাউন হয়ে গেছে, খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেয়ার মধ্য দিয়ে। বিএনপির উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, যতই স্যালাইন দেন, ওষুধ দেন, ক্ষমতায় থাকতে যত অন্যায়-অবিচার করেছেন, এই বিএনপিকে আর সুস্থ করে তোলা সম্ভব নয়।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের কাছে কোনোদিন ভরসা পায় না। দিনশেষে বিএনপিসহ সারাদেশের ১৬ কোটি মানুষের ভরসা তৈরি হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর।
করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফলতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মানসিকভাবে শক্তিশালী রেখেছেন। এ ধরনের অনুপ্রেরণাদায়ী নেতৃত্ব আমরা দ্বিতীয়টি পাইনি। তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলায় আমরা দেশে দেশে রাষ্ট্রপ্রধানদের দেখেছি আত্মসমর্পণ করতে, চোখের পানি ফেলতে, সরকারের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করতেও দেখেছি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণকে নিয়ে বিশাল চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেন, সরকারের যথাযথ পরিকল্পনায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে। এখন দেশে করোনা আক্রান্তের হার কমে আসছে। মৃত্যুর হার প্রতিদিন ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল এতোদিন। সেটা কমে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছে, আগামী দু’একদিনে পরিস্থিতি আরো স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সৌভাগ্যবান শেখ হাসিনার মতো সরকারপ্রধান পেয়েছি। এত অভিজ্ঞ সরকারপ্রধান এই মুহূর্তে পৃথিবীতে বিরল। ৪০ বছর যাবত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা জন্মলগ্ন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাঁর থেকে বেশি সময় দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতা কোনো নারী নেতৃত্বের নাই। তিনি ইন্দিরা গান্ধী ও মার্গারেট থ্যাচারকে ছাড়িয়ে গেছেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চলতি বছরে ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে এ ১০ দিন প্রধানমন্ত্রীকে অন্যভাবে দেখেছি আমরা। শেখ হাসিনা কোন পর্যায়ে গেছেন। তাবৎ দুনিয়ার সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানগণ বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে এক হয়ে গেলেন। এ ১০ দিন সমগ্র পৃথিবীতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এটা হয়েছে শুধু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কারণে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিরল পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সবুজার সিদ্দিক সাগর। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিনাত রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায়, বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নাসিম উপস্থিত ছিলেন। এর আগে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বিরল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
#
জাহাঙ্গীর/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৩৯
রংপুর বিভাগে কোভিড ১৯ এর প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল) :
রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে কোভিড ১৯ এর প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে আজ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে।
দিনাজপুর শহরের মহারাজা স্কুল মাঠে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৫০০ জন পরিবহন শ্রমিকের প্রত্যেকের মাঝে ৫ কেজি চাল, আধা কেজি ডাল ও এক কেজি আলু বিতরণ করা হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।
এদিকে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও শহীদ মোহাম্মদ আলী স্টেডিয়ামে ৪০০ জন দরিদ্র ব্যক্তির মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করেছে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন। বিতরণকৃত ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে প্রত্যেকের জন্য চিকন চাল ১০ কেজি, দেশি মসুর ডাল ১ কেজি, আয়োডিনযুক্ত লবণ ১ কেজি, চিনি ১ কেজি, চিড়া ২ কেজি, ইনস্ট্যান্ট নুডুলস আধা কেজি ও সয়াবিন তেল ১ লিটার।
জেলা তথ্য অফিস, রংপুর জানিয়েছে, আজ নগরীর জেলা স্কুল মাঠে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় হতে ১০০ জন খিলি (ক্ষুদ্র) পান ও সুপারি দোকানদারের প্রত্যেককে নগদ ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
জেলা তথ্য অফিস, লালমনিরহাট জানিয়েছে, আজ জেলা প্রশাসন ৬৮৪ জনকে জনপ্রতি ৮১০ টাকা মূল্যমানের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে।
#
রেজাউল/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৩৮
আগামীকাল মহান মে দিবস
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল) :
‘মালিক-শ্রমিক নির্বিশেষ, মুজিববর্ষে গড়বো দেশ’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশে আগামীকাল পালিত হবে মহান মে দিবস।
১৮৮৬ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে শ্রমের মর্যাদা, শ্রমের মূল্য এবং দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলনে শ্রমিকেরা যে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন, তাদের সে আত্মত্যাগের সম্মানে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বব্যাপী দিবসটি শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে পহেলা মে’কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মে দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেন এবং সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন।
করোনা মহামারির কারণে এ বছর জনসমাগম সংশ্লিষ্ট সকল বহিরাঙ্গন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী প্রদান করেছেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকাগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দ্বীপসমূহ সুসজ্জ্বিত করা হয়েছে। দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে ।
দিবসের প্রাক্কালে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে মহান মে দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
#
আকতারুল/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৩৭
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২১ হাজার ৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২ হাজার ১৭৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭ লাখ ৫৯ হাজার ১৩২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৭ জন-সহ এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৪৫০ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৮১ হাজার ৪২৬ জন।
#
দলিল/মাসুম/মোশারফ/রেজুয়ান/সেলিম/২০২১/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৩৬
হজে গমনেচ্ছুদের প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আহ্বান
অসাধু চক্র থেকে সাবধান থাকুন
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল) :
চলতি বছর পবিত্র হজ পালনে গমনেচ্ছুদের অন্তর্ভুক্ত করবেন বলে একটি অসাধু চক্রের অর্থগ্রহণ সংক্রান্ত প্রতারণার ঘটনা ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নজরে এসেছে। বিষয়টি অনভিপ্রেত এবং সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ বলে মনে করে মন্ত্রণালয়।
২০২১ সালের সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে আগ্রহী প্রাকনিবন্ধিত ও নিবন্ধিত ব্যক্তিবর্গকে এই চক্রের প্রতারণা থেকে সাবধান থাকার জন্য ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুরোধ জানিয়েছে। পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ২০২১ সালের হজের বিষয়ে কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সম্প্রতি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
#
কাশেম/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২০৩৫
মহান মে দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল মহান মে দিবস ২০২১ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“মহান মে দিবস বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের ঐক্য ও সংহতির প্রতীক। এই ঐতিহাসিক দিনে আমি বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সকল মেহনতি মানুষকে শুভেচ্ছা জানাই। ১৮৮৬ সালের আমেরিকার শিকাগো শহরে রক্তাক্ত আন্দোলনে শ্রমিকের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আত্মহুতি দেওয়া বীর শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
এবারের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক নির্বিশেষ, মুজিব বর্ষে গড়বো দেশ’ অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শোষিত, বঞ্চিত ও মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে তিনি ১৯৭২ সালে শ্রমনীতি প্রণয়ন করেন। তিনি পরিত্যক্ত কল-কারখানা জাতীয়করণ করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবন-মান উন্নয়ন ও কল্যণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে নিরাপদ কর্মপরিবেশ, সামাজিক নিরাপত্তা ও শ্রমিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রম আইন যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন খাতে কর্মরত শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে ‘বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল’ গঠন করা হয়েছে। এই তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক যেকোন খাতে নিয়োজিত কোন শ্রমিক কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনাজনিত কারণে স্থায়ীভাবে অক্ষম হলে অথবা মৃত্যুবরণ করলে, জরুরি চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ ও দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসার জন্য এবং শ্রমিকদের সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্যেও আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন। আমরা রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের সার্বিক কল্যাণে আর্থিক সহায়তা প্রদানে একটি কেন্দ্রীয় তহবিল গঠন করেছি এবং সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি।
শ্রমকল্যাণ নিশ্চিতকরণে ‘জাতীয় শ্রমনীতি, ২০১২’ ও ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা, ২০১৩’ এবং ‘জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি, ২০১১’ প্রণয়ন করেছি। পাশাপাশি, মানবসম্পদ উন্নয়নে ‘জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কাউন্সিল’ গঠন করা হয়েছে। শিল্প-কারখানায় কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে উন্নীত করা হয়েছে। শ্রমিক ও তাদের পরিবারের কল্যাণে বিভিন্ন সেবার সম্প্রসারণ ও জোরদারকরণে আমরা শ্রম পরিদপ্তরকে সম্প্রতি অধিদপ্তরে রুপান্তরিত করেছি।
আমাদের সরকার সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। এতে এক কোটির বেশি লোকের কর্মসংস্থান হবে। দেশি-বিদেশি সকল বিনিয়োগকারী যত্রতত্র শিল্প স্থাপন না করে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার সুযোগ পাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী শ্রমিককের জন্য শ্রমজীবী মহিলা হোস্টেল নির্মাণ করা হচ্ছে।
বিশ্বব্যপী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়াল পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সরকার শ্রমজীবী মানুষের পাশে থেকে ত্রাণ বিতরণসহ সর্বাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সরকার সংকট মোকাবিলায় শ্রমিকদের বেতনের জন্য ৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। রপ্তনিমুখী তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা শিল্পে কর্মহীন হয়ে পড়া ও দুঃস্থ শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন নীতিমালা, ২০২০ বাস্তবায়নের জন্য শ্রম অধিদপ্তরের অনুকূলে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করেছে। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কল-কারখানা চালু রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিশ্চিত
করতে হবে।
মুজিববর্ষে মহান মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রণিত হয়ে করোনা মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের অগ্রযাত্রায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে সকলে ভূমিকা রাখি- মহান মে দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
আমরা শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ ও দেশের সার্বিক উন্নয়নের মধ্য নিয়ে জাতির পিতার স্বপ্বের সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলবো, ইনশাআল্লাহ।
আমি মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
ইমরুল/কামাল/রেজ্জাকুল/আরিফ/২০২০/১৪৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৩৪
মহান মে দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ‘মহান মে দিবস ২০২১’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শ্রমজীবী মানুষকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক নির্বিশেষ, মুজিব বর্ষে গড়বো দেশ’ অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি ছিলেন শ্রমজীবী মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু। স্বাধীনতার অব্যবহিত পর ১৯৭২ সালে জাতির পিতার উদ্যোগ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে এবং আইএলও-র ৬টি কোর কনভেনশনসহ ২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করে। এটি শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের অধিকার রক্ষায় এক অনন্য মাইলফলক। ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ শীর্ষ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “বিশ্ব আজ দুই ভাগে বিভক্ত, একদিকে শোষক আর অন্যদিকে শোষিত-আমি শোষিতের পক্ষে।” তিনি রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণে শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে সকলকে দলমত নির্বিশেষে একাত্ম হতে হবে। এই অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে শ্রমিক-মালিক সম্প্রীতি দেশের উন্নয়নের পথকে তরান্বিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ জনিত মহামারিতে বিশ্ব আজ বিপর্যস্ত। বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়াল থাবা আঘাত হেনেছে। ফলে গভীর সংকটে পড়েছে শিল্প-প্রতিষ্ঠানসহ দেশের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ। এ পরিস্থিতিতে সরকার জনগণের পাশে থেকে ত্রাণকাজ পরিচালনাসহ সর্বাত্মক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে সরকার বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। তাই কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমি সরকারের পাশাপাশি শিল্প-প্রতিষ্ঠানের মালিকগণকেও শ্রমজীবী মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ ও সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি। মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পারস্পরিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে শ্রমিক ও মালিকের উৎপাদন বৃদ্ধিতে