Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৭ এপ্রিল ২০২৫

তথ্যবিবরণী ৭ এপ্রিল ২০২৫

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর: ৩১৪২

সকলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের লক্ষ্য

                                                                       --- অধ্যাপক আলী রীয়াজ

ঢাকা, ২৪ চৈত্র (৭ এপ্রিল):

          জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, সকলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের প্রচেষ্টা; যাতে সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের দিকে মনোনিবেশ করতে পারি। কোনো বিশেষ সমাজের বা বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর কিংবা বিশেষ কোনো অংশের প্রতিনিধিত্ব নয়, এমন ঐকমত্য গড়ে তুলতে হবে তা যেন প্রকৃতপক্ষেই জাতীয় হয়ে উঠে।

          অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজ ঢাকায় সংসদ ভবনস্থ এল. ডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির আলোচনায় এসব কথা বলেন। বৈঠকে কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জুর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এ আলোচনায় অংশগ্রহণ করে।

          অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি সংস্কার বিষয়ে কীভাবে সাধারণ নাগরিকদের অংশগ্রহণের পথ উন্মুক্ত করা যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। কমিশন হতে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জনগণের মতামত গ্রহণের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তাছাড়া সর্বস্তরের মানুষের মতামত নিশ্চিত করতে একটা জরিপ শুরু করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই আপনাদের সুনির্দিষ্টভাবে এ ব্যাপারে জানানো হবে।

          এর পূর্বে আজ সকালে সংসদ ভবনস্থ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের কাছে সংস্কার প্রস্তাব সম্পর্কিত গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের শরিক দলের হয়ে নিজেদের মতামত জমা দেয় বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (এম.এল), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি), সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি।

          উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত গত ১৩ মার্চের মধ্যে জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২৯টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে এবং এ প্রেক্ষিতে ৫টি রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করেছে কমিশন।

#

পবন/মেহেদী/মাহমুদুল/ফেরদৌস/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২০০০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                   নম্বর: ৩১৪১

৮ থেকে ১৪ এপ্রিল জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালন করা হবে

                                          --- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

ঢাকা, ২৪ চৈত্র (৭ এপ্রিল):

          মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ৮ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ - ২০২৫’ পালিত হবে। তিনি বলেন, যদি জাটকা সংরক্ষণ করা যায় তাহলে ইলিশের উৎপাদন অনেক গুণে বাড়বে। উৎপাদন বাড়লে সরবরাহ বাড়বে, বাজারেও এর প্রভাব পড়বে, দামও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 

          উপদেষ্টা আজ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৫’ উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

          উপদেষ্টা বলেন, সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ইলিশকে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার কার্যকর কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ৮ থেকে ১৪ এপ্রিল পালন করা হবে। তিনি বলেন, এ বছরে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ হয়েছে ‘জাটকা ধরা বন্ধ হলে, ইলিশ উঠবে জাল ভরে’।

          উপদেষ্টা বলেন, বিগত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে ৫ লাখ ২৯ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন হয়েছে। দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনে ইলিশের অবদান প্রায় ১১ শতাংশ। দেশজ জিডিপিতে ইলিশের অবদান ১ শতাংশের বেশি। বিশ্বের মোট উৎপাদিত ইলিশের প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি আহরিত হয় এ দেশের নদ-নদী, মোহনা ও সাগর থেকে। ইলিশ উৎপাদনকারী ১১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষ স্থানে রয়েছে।

          ফরিদা আখতার বলেন, সরকার জাটকা রক্ষায় কেবল আইন প্রয়োগ করছে না বরং এই মাছ ধরা নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের জন্য ভিজিএফ খাদ্য সহায়তার পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে। জাটকা আহরণ নিষিদ্ধকালীন ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জাটকা আহরণে বিরত ৩ লাখ ৬১ হাজার ৭১ টি জেলে পরিবারকে মাসিক ৪০ কেজি হারে ৪ মাসে ২৮ হাজার ৮৮৫ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হয়েছে। ইলিশের প্রধান মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫ লাখ ৬৬ হাজার ৫৬৫টি জেলে পরিবারকে ২৫ কেজি হারে খাদ্য সহায়তা হিসেবে মোট ১৩ হাজার ৭০৭ মেট্রিক টন ভিজিএফ (চাল) দেয়া হয়েছে। ভিজিএফ সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি জেলেদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প’ এর মাধ্যমে জেলেদেরকে তাদের চাহিদানুযায়ী বকনা বাছুর-সহ নানা প্রকার উপকরণ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

          সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা-২০২৩ এর ৩(১) বিধি অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সব প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে  কোনো ধরনের মৎস্য ও ক্রাস্টাশিয়ান্স আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা ২০২৩ সংশোধন করে সামুদ্রিক মৎস্য সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতিবছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন সব প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক বঙ্গোপসাগরে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

          দেশের ইলিশ সমৃদ্ধ ২০টি জেলায় (ঢাকা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠী, চাঁদপুর, লক্ষীপুর, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, বাগেরহাট ও সিরাজগঞ্জ) 'জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৫' উদ্যাপন করা হবে। এ বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠান ৮ এপ্রিল বরিশাল বিভাগের ইলিশ সমৃদ্ধ অন্যতম জেলা বরিশাল জেলার সদর উপজেলার বেলস্ পার্কে অনুষ্ঠিত হবে এবং বরিশাল সদর উপজেলার ডিসি ঘাট সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে নৌ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে।

          মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব মোঃ ইমাম উদ্দীন কবীর, অতিরিক্ত সচিব আমেনা বেগম, অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুর রউফ সহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন ।

          উল্লেখ্য, জাটকা হচ্ছে ১০ ইঞ্চি বা ২৫ সেন্টিমিটারের ছোট আকারের ইলিশ।

#

মামুন/মেহেদী/মাহমুদুল/ফেরদৌস/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২০১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ৩১৪০

মানচিত্র বদলাচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন, বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে

      সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

ঢাকা, ২৪ চৈত্র (৭ এপ্রিল) : 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন এখন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা, ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য এক গভীর হুমকি। তিনি বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, উপকূল ধ্বংস এবং জলবায়ুজনিত বাস্তুচ্যুতির ফলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে বাংলাদেশকে তার মানচিত্র নতুনভাবে আঁকতে হতে পারে।

আজ ঢাকার ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে ‘জাতীয় নিরাপত্তার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব’ শীর্ষক এক সেশনে বক্তৃতায় পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, শতকের মাঝামাঝি এক মিটার সমুদ্রপৃষ্ঠ উচ্চতা বৃদ্ধি হলে ২১টি উপকূলীয় জেলা ডুবে যেতে পারে। কোটি মানুষ গৃহহীন হবে। কৃষি ও মাছ চাষে ব্যবহৃত নদীগুলোয় লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়বে। তিনি আরো বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মানে শুধু মিঠা পানি লবণাক্ত হয়ে যাওয়া নয়—এটা মানে আমাদের ভূখণ্ড হারানো, জনগোষ্ঠী নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া এবং সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়া।’

২১০০ সালের মধ্যে ৫২টি ছোট দ্বীপ রাষ্ট্র, যেমন মালদ্বীপ সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যেতে পারে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের অবস্থা আরো সংকটাপন্ন। দেশের ৬৫ শতাংশ মানুষ প্রোটিনের জন্য মিঠা পানির মাছের ওপর নির্ভরশীল। লবণাক্ততা এই জীবনরেখা ধ্বংস করে দিতে পারে। বাংলাদেশে প্রতিবছর বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও খরার কারণে জিডিপির ১ শতাংশ হ্রাস পাবে। ২০৫০ সালের মধ্যে এ হার দ্বিগুণ হতে পারে। ফসলহানি, পানির সংকট ও গণ-বাস্তুচ্যুতি সংঘাত সৃষ্টি করবে বলেও তিনি সতর্ক করেন।

রিজওয়ানা হাসান তেলসমৃদ্ধ দেশের কৌশলগত বিরোধিতা, কিয়োটো চুক্তির ব্যর্থতা ও প্যারিস চুক্তির দুর্বল বাস্তবায়ন নিয়েও সমালোচনা করেন। বিশ্বের ৮০ শতাংশ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করে G20 দেশগুলো। অথচ বাংলাদেশ, জলবায়ু ঝুঁকিতে সপ্তম অবস্থানে থাকা একটি দেশ, সবচেয়ে বেশি ভুগছে। তিনি জানান, ২০২৪ সাল ছিল এ যাবৎকালের সবচেয়ে উষ্ণ বছর। সমুদ্রের উষ্ণতা ও হিমবাহ গলনের হার দ্বিগুণ হয়েছে। বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ ডুবে গেলে, বাকি দুই-তৃতীয়াংশে প্রচণ্ড চাপ পড়বে। অস্থিরতা তখন স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।

উপদেষ্টা বলেন, ‘বিশ্বের নিষ্ক্রিয়তা আমাদের মতো দেশের জন্য মৃত্যুদণ্ড। সব দেশ তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করলেও তাপমাত্রা ৩ থেকে ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়বে—যা মানবজাতির জন্য সহনশীল মাত্রার অনেক বেশি।’ তিনি বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার কথা বলেন, যেখানে ১১টি জলবায়ু ‘চাপ অঞ্চল’ চিহ্নিত করা হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০৫০ সালের মধ্যে ২৩ হাজার কোটি মার্কিন ডলার প্রয়োজন। তবে তিনি বলেন, শুধু অর্থ নয়, উন্নয়নের ধরনই পাল্টাতে হবে। তিনি নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর জোর দেন। যেমন, নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি। ভবন নির্মাণেও তিনি প্রাকৃতিক বায়ুপথ ও প্রাকৃতিক আলো ব্যবহারে গুরুত্ব দেন। পরিবেশ আইন কঠোরভাবে প্রয়োগের আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘আমি অভিযান চালানোর নির্দেশ দিলে তারা বলে, সারা দেশের জন্য মাত্র ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আছেন।’ এ কারণে তিনি পরিবেশ দূষণরোধী অভিযানগুলোতে সেনাবাহিনীর সহায়তা কামনা করেন।

উপকূলীয় নারীদের লবণাক্ত পানির ক্ষত এবং কৃষকদের আশাহীনতা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, এদের দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন পরিকল্পনা প্রয়োজন। ভবিষ্যতে সেনাবাহিনীর কাজ শুধু দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নয়, বরং জলবায়ু উদ্বাস্তু ব্যবস্থাপনাও হতে পারে।

উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা শুধু গাছ বাঁচানোর লড়াই নয়—এটা দেশ বাঁচানোর লড়াই। আমরা ব্যর্থ হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এক ভিন্ন বাংলাদেশ পাবে, যা আজকের মানচিত্রে কল্পনাও করা যায় না।’ ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল চৌধুরী মোহাম্মদ আজিজুল হক হাজারী, ডেপুটি-কমান্ড্যান্ট কমোডোর মোস্তাক আহমেদ এবং চিফ ইন্সট্রাক্টর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান-সহ ২০২৫ ব্যাচের অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

#

দীপংকর/মেহেদী/মাহমুদুল/ফেরদৌস/মোশারফ/রেজাউল/২০২৫/১৮৩০ ঘণ্টা

Handout                                                                                                                                                 Number: 3139

Redrawing the map, climate change threatens Bangladesh’s national security
                                                                                          --- Syeda Rizwana Hasan

Dhaka, 7 April:

                Syeda Rizwana Hasan, Advisor to the Ministry of Environment, Forest and Climate Change, framed climate change as an existential threat to Bangladesh’s national security, territorial integrity, and social stability. She painted a dire portrait of a future where rising seas, vanishing coastlines, and climate-induced displacement could force Bangladesh to ‘redraw its map’ within decades.

                Environment Advisor said this in a lecture titled  ‘Impact of Climate Change on National Security,’ held at the Defence Services Command and Staff College (DSCSC), Dhaka today.

                Advisor warned that a one-meter sea-level rise—a plausible scenario by mid-century—would submerge 21 coastal districts, displacing millions and salinizing the rivers that sustain agriculture and fisheries. "When we speak of climate change, we are not just talking about sweet water turning salty," she declared. "We are talking about the surrender of sovereignty, the loss of national territory, and the erasure of communities." She cited projections that 52 small island nations, including the Maldives, could disappear by 2100. For Bangladesh, the stakes are even higher: 65% of the population relies on freshwater fisheries for protein, and saline intrusion threatens to collapse this lifeline. 

                Rizwana Hasan dismantled the notion of climate change as a distant environmental concern, reframing it as a multiplier of instability. Floods, cyclones, and droughts already cost Bangladesh 1% of its GDP annually—a figure set to double by 2050. But the cascading crises of crop failures, water scarcity, and mass migration, she argued, will ignite conflicts over dwindling resources. "Imagine a third of Bangladesh underwater," she challenged the military audience. "The remaining two-thirds, already overburdened, will face unprecedented pressure to feed and house millions. Instability will become the norm."

                Lambasting the "tactical opposition" of oil-producing nations, Rizwana criticized the failure of the Kyoto Protocol and the voluntary loopholes of the Paris Agreement. While G20 nations emit 80% of global greenhouse gases, Bangladesh—ranked seventh most vulnerable to climate impacts—bears the brunt. She highlighted the grim irony of 2024 being the hottest year on record, with ocean warming and glacier melt accelerating at twice the rate of previous decades. "The world’s inaction is a death sentence for nations like ours," she said, noting that even if all countries meet their climate pledges, temperatures will still rise by 3–4.5°C—far beyond the 1.5°C threshold for survival. 

                Environment Advisor outlined Bangladesh’s National Adaptation Plan, which identifies 11 climate ‘stress zones’ and demands $230 billion by 2050 for resilience projects. Yet she stressed that money alone is insufficient. "We must redesign our development model," she insisted, urging a shift from fossil fuels to regional renewable energy partnerships, like importing hydropower from Nepal. She called for architectural reforms—natural ventilation over air conditioning, daylight over electric lights—and stricter enforcement of environmental laws, admitting current measures are hobbled by corruption and understaffing. "Every time I order an enforcement raid, my team says they’ve only got six magistrates for the entire country," she confessed, appealing to the armed forces for support in regulating polluting industries. 

                The lecture crescendoed with visceral accounts of coastal women suffering skin lesions from saline water and farmers praying against untimely rains. Rizwana praised the Army’s rapid response to river erosion in Kurigram but underscored the need for long-term rehabilitation strategies. "The military’s role will evolve from disaster relief to managing climate refugees and securing water-sharing treaties," she predicted, citing tensions over Transboundary Rivers. Her closing appeal was unequivocal: ‘This is not about saving trees—it’s about saving our nation. If we fail, future generations will inherit a country unrecognizable on today’s maps.’ 

                Commandant of Defence Services Command and Staff College Major General Chowdhury Mohammad Azizul Haque Hazary, Deputy Commandant of DSCSC Commodore Mustaque Ahmed, Chief Instructor of of DSCSC Brigadier General Mohammad Mehedi Hasan were also present in the occasion among others. 

#

 Dipankar/Mehedi/Mahmudul/Ferdows/Mosharaf/Joynul/2025/1900 hour 

 

Handout                                                                                                      Number: 3138

Bangladesh expresses its strongest condemnation

of Israel's continued mass killing in Gaza

Dhaka, 7 April:

            The Government of Bangladesh expresses its strongest condemnation of the Israeli Occupying Forces’ continued mass killing and gross violations of human rights in the Gaza Strip. Israel’s ongoing military attacks since last month's unilateral breach of the ceasefire have killed scores of Palestinians, mostly women and children as well as blocked the entry of humanitarian aid into Gaza leading to a human catastrophe. Evidently, Israel has shown no regard to repeated international appeals and has instead engaged in an increasingly intense killing spree. 

            Bangladesh strongly denounces the Israeli Occupying Forces’ indiscriminate aerial bombardment of densely populated civilian areas in Gaza with the overt intention of carrying out ethnic cleansing against the defenseless Palestinian population. The Government of Bangladesh demands that Israel immediately cease all military operations, exercise maximum restraint, and abide by its duty under international humanitarian law.

            Bangladesh appeals to the international community, in particular the United Nations, to discharge its moral and legal responsibilities by adopting immediate and effective steps towards the implementation of an unconditional ceasefire and the cessation of all hostilities for the protection of lives of civilians and unobstructed passage of humanitarian relief to besieged Gaza.

            The Ministry of Foreign Affairs reaffirms the strong support of the Government of Bangladesh for all the just rights of the Palestinian people, their right to self-determination and to the establishment of an independent and sovereign State of Palestine based on pre-1967 borders, with East Jerusalem as its capital.

            The Government of Bangladesh reiterates the necessity of returning to negotiation platform for permanent peace in the Middle East, which is vital for both regional and global stability. Bangladesh also appeals to all concerned to commit themselves to the path of diplomacy and dialogue to put an end to the violence and sufferings afflicting the Palestinian people.

            Bangladesh further remains steadfast and unequivocal in its call on the global community to work towards a two state solution of the Palestinian issue based on international law, United Nations resolutions, and the Palestinian aspirations for peace, dignity, and justice.

#

Kamrul/Mehedi/Mahmudul/Mosharaf/Joynul/2025/1820 hour 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর: ৩১৩৭

উন্নয়ন কাজের লক্ষ্য অর্জনে সকলকে সম্বিলিতভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান

ঢাকা, ২৪ চৈত্র (৭ এপ্রিল): 

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ আজ ঈদুলফিতরের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে উন্নয়ন কাজের লক্ষ্য অর্জনে সকলকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

উপদেষ্টা ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরাইলী বাহিনীর বর্বরোচিত হামলায় ও নৃশংসতায় এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে যে শিশুরা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের আত্মার শান্তি ও পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানান । তিনি বলেন, গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা পৃথিবীর সব নৃশংসতার সীমা ছাড়িয়েছে; মুসলমানদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।

অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, ঈদের আনন্দঘন পরিবেশকে উজ্জীবিত করতে ঈদের আগে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় দেশের দুস্থদের সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে, এতিমদের ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ডের টাকা পৌঁছে দিয়েছে। ঈদের আনন্দঘন পরিবেশে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা- কর্মচারীদের মধ্যে সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এনডিসি উপস্থিত ছিলেন।  

#

রফিকুল/ফাতেমা/রমজান/সাঈদা/মানসুরা/২০২৫/১৩১৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর: ৩১৩৬

ভিয়েতনাম  থেকে  ১২ হাজার ৭ শত মেট্রিক টন চাল চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে

ঢাকা, ২৪ চৈত্র (৭ এপ্রিল): 

ভিয়েতনাম থেকে ১২ হাজার ৭ শত মেট্রিক টন আতপ চাল নিয়ে এমভি এমডি সি (mv MD SEA) জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।

জি টু জি চুক্তির আওতায় ভিয়েতনাম  থেকে মোট ১ লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। ইতোমধ্যে চুক্তি মোতাবেক ৬০ হাজার মেট্রিক টন চাল দেশে পৌঁছেছে।

জাহাজে  রক্ষিত চালের  নমুনা পরীক্ষা শেষ হয়েছে এবং চাল  খালাসের  কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে।

#
ইমদাদ/ফাতেমা/রমজান/সাঈদা/শফিক/২০২৫/১২৪৫ ঘন্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৪৮     

টেলিভিশন চ্যানেলে স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য

সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়া

ঢাকা, ২৪ চৈত্র (৭ এপ্রিল) : 

সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেলসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিম্নোক্ত বার্তাটি স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য অনুরোধ করা হলো :     

মূলবার্তা :

বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচুর সংখ্যক ফেসবুক পেইজ/ফেইক আইডি হতে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রলুব্ধ করে এনআইডি সংক্রান্ত সেবা প্রদানের নামে প্রতারণার ঘটনা ঘটছে; যা অনাকাঙ্ক্ষিত।

প্রকৃতপক্ষে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় কর্তৃক পরিচালিত Bangladesh Election Commission Secretariat (পেইজ লিংক http://www.facebook.com/@BangladeshECS) এবং জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ ও আইডিইএ প্রকল্প (২য় পর্যায়) কর্তৃক পরিচালিত National ID Card (পেইজ লিংক http://www.facebook.com/bd.nid) দু’টি পেইজে ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণ ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যাদি ও ভিডিও কন্টেন্ট নিয়মিত প্রকাশ করা হয়। এ দু’টি পেইজ ছাড়া অন্য কোনো ফেসবুক পেইজে এনআইডি সংক্রান্ত সেবা গ্রহণের বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ হয়ে প্রতারিত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।

#

শরিফুল/ফাতেমা/রমজান/সাঈদা/আসমা/২০২৪/১৫৪০ ঘণ্টা  

2025-04-07-16-51-2bfb3323e9dc29789182594584d7eb9e.docx