Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১২ জুন ২০২৩

তথ্যবিবরণী ১২ জুন ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                                                     নম্বর : ২১২৯

ওয়ান হেলথ বাস্তবায়নসহ যেকোনো মহামারি মোকাবিলায় বৈশ্বিক সমন্বয় জরুরি

                                                                                --- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ঢাকা, ২৯ জ্যৈষ্ঠ (১২ জুন):

            ওয়ান হেলথ বাস্তবায়নসহ ভবিষ্যতে যেকোনো মহামারি মোকাবিলায় বৈশ্বিক সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

            আজ রাজধানীর একটি হোটেলে ১১তম ওয়ান হেলথ বাংলাদেশ কনফারেন্স ২০২৩-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে পরিবেশে, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন।

            এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, সমগ্র বিশ্ব এখন গ্লোবাল ভিলেজ। বিশ্বের একজনকেও পেছনে রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই সবাই এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। কোভিড-১৯ প্রমাণ করেছে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বিশ্ব কতটা অপ্রস্তুত ছিল। কোভিড প্রতিরোধের উপায় কারো জানা ছিল না। কিন্তু মানুষ তার সামর্থ্য দিয়ে, বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ভ্যাকসিন তৈরি করেছে, প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করেছে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কোভিডের চেয়ে অধিক বিপদজনক কিছু বা অন্য কোনো মহামারি আসবে কি না তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারবে না। এজন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। একটি শক্তিশালী বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে। যেখানে বিশ্বের জ্ঞানী ব্যক্তিরা অবদান রাখতে পারবেন।

            মন্ত্রী যোগ করেন, ওয়ান হেলথ বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধারণায় পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে করোনা সংকটে ওয়ান হেলথ এর প্রয়োজনীয়তা আমরা উপলব্ধি করেছি। এ জন্য ১১তম ওয়ান হেলথ বাংলাদেশ কনফারেন্স আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বে প্রায় ৭০ শতাংশ সংক্রামক রোগ প্রাণী থেকে উদ্ভব হয়ে মানুষের মধ্যে প্রাদুর্ভাব তৈরির ইতিহাস রয়েছে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে গবাদিপশুতে রোগের প্রাদুর্ভাব সনাক্তকরণ, প্রতিরোধ এবং প্রতিক্রিয়া জানতে একটি শক্তিশালী নজরদারি ব্যবস্থা গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে রোগের বিস্তার রোধে এর সাথে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠান সমন্বিতভাবে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই।

            প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ওয়ান হেলথ এর জন্য প্রাণীর চিকিৎসা পদ্ধতি, ঔষধ এসব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাণীর সুচিকিৎসা মানব স্বাস্থ্য সুরক্ষায়ও ভূমিকা রাখে। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জরুরি প্রাণিচিকিৎসার জন্য মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক চালু করেছে।

            মন্ত্রী আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়ান হেলথ এর বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেন। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সরকার ওয়ান হেলথ বিষয়ক একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করেছে এবং ওয়ান হেলথ সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি বলেন, ওয়ান হেলথ সচিবালয় আরো শক্তিশালী করতে হবে এবং ওয়ান হেলথ এর কার্যক্রম শুধু ঢাকা শহর বা বিভাগীয় শহরে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না বরং প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে। তা না হলে আমরা ওয়ান হেলথ এর লক্ষ্য পূরণ করতে পারবো না।

            স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোঃ খুরশীদ আলম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোঃ এমদাদুল হক তালুকদার, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমির হোসেন চৌধুরী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. বার্দান জং রানা এবং ইউনিসেফ’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ওয়ান হেলথ বাংলাদেশ’র জাতীয় সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. নীতীশ চন্দ্র দেবনাথ। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হেলথ ইমার্জেন্সি প্রোগ্রামের নির্বাহী পরিচালক ড. মাইকেল রায়ান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ওয়ান হেলথ সচিবালয়ের চেয়ারম্যান ও আইইডিসিআর’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন।

#

ইফতেখার/রাহাত/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/২০৫৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর: ২১২৮

‍‍

জনসাধারণকে ‍‍আরকাইভসের গুরুত্ব সম্পর্কে আরো সচেতন করতে হবে

                                                              -- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৯ জ্যৈষ্ঠ (১২ জুন):    

           সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে আরকাইভসের গুরুত্ব অপরিসীম। আরকাইভস বিষয়ে সার্টিফিকেট কোর্স চালুসহ আরো বেশি করে সভা, সেমিনার ও ওয়ার্কশপের আয়োজন করতে হবে এবং এগুলোর বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। যাতে সর্বস্তরের জনসাধারণের মাঝে আরকাইভসের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। জনসাধারণকে ‍‍আরকাইভসের গুরুত্ব সম্পর্কে আরো সচেতন করতে হবে।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর আগারগাঁওস্থ জাতীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক আরকাইভস সপ্তাহ ২০২৩’  উপলক্ষ্যে আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর আয়োজিত ‘International Council on Archives (ICA) এর ৭৫ বছর: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

প্রধান  অতিথি বলেন, আরকাইভস ও রেকর্ড সংরক্ষণের গুরুত্ব বিবেচনা করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে আরকাইভস ও গ্রন্থাগার পরিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করেন যা বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ অধিদপ্তরের মর্যাদা পেয়েছে। পরবর্তীতে বর্তমান আরকাইভস ভবনের নকশাও চূড়ান্ত করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার আরকাইভসের গুরুত্ব সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল। সেজন্য ‘জাতীয় আরকাইভস অধ্যাদেশ ১৯৮৩’ রহিত করে আধুনিক ও যুগোপযোগী ‘বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভস আইন ২০২১’ প্রণয়ন করেছে। তিনি বলেন, আরকাইভসের ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। সে লক্ষ্যে একটি প্রকল্পের কার্যক্রমও চলমান। কে এম খালিদ বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ সংক্রান্ত বিচার কার্যক্রমের অনেক তথ্য জাতীয় আরকাইভস থেকে সংগ্রহ করেছে। এ থেকে আরকাইভসের গুরুত্ব অনুধাবন করা যায়।

 

আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গৌতম কুমারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। 

 

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ আরকাইভস এন্ড রেকর্ডস ম্যানেজমেন্ট সোসাইটি (বারমস) এর সভাপতি ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. শরীফ উদ্দিন আহমেদ। পঠিত প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন বাংলাদেশ আরকাইভস এন্ড রেকর্ডস ম্যানেজমেন্ট সোসাইটি (বারমস) এর সেক্রেটারি ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব জালাল আহমেদ। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্মসচিব) এস এম আরশাদ ইমাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ উল ইসলাম।

#

 

ফয়সল/রাহাত/রফিকুল/লিখন/২০২৩/১৯২২ঘণ্টা

 

 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর: ২১২৭

 

হায়েনার কামড়ে হাতছিন্ন শিশু সাঈদকে দেখতে পঙ্গু হাসপাতেলে তথ্যমন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৯ জ্যৈষ্ঠ (১২ জুন):      

 

         ঢাকা চিড়িয়াখানায় হায়েনার কামড়ে হাতছিন্ন শিশু সাঈদকে দেখতে আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পঙ্গু হাসপাতালে (জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান) উপস্থিত হন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। 

 

হাসপাতালের মডেল বি ওয়ার্ডে তাঁরা চিকিৎসাধীন শিশু সাঈদকে দেখেন, তার মা-বাবাকে সমবেদনা জানিয়ে আর্থিক সহায়তা দেন এবং ডাক্তারদের সাথে আলাপের পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। 

 

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শিশু সাঈদ হাসান এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে এসেছি। ঢাকা চিড়িয়াখানায় তার যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি অত্যন্ত মর্মান্তিক, পীড়াদায়ক। আমি কাগজে দেখেছি তার বাবা আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সহায়তার হাত বাড়িয়েছি।’

 

একইসাথে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তদন্তে যাদের গাফিলতি পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে এসেছে। পাশাপাশি এ ধরণের ঘটনা যাতে না ঘটে এ জন্য শুধু কর্তৃপক্ষ সচেতন থাকলে হয় না, মা-বাবারও অবশ্যই সচেতন থাকা প্রয়োজন। তবে এখানে কর্তৃপক্ষের যদি গাফিলতি থাকে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ 

 

এ সময় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের চিকিৎসা সম্পর্কেও কথা বলেন ড. হাছান। তিনি বলেন, ‘পঙ্গু হাসপাতাল বিশেষায়িত চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ৪শ’ বেডের পঙ্গু হাসপাতাল চালু হয়। পরবর্তীতে যারা সরকারের এসেছিলো তারা মাত্র ১শ’ বেড যুক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে আরেকটি নতুন প্রকল্প নিয়ে আরো ৫শ’ বেড যুক্ত করে এটিকে ১ হাজার বেডে উন্নীত করেছেন। আজকে এই পঙ্গু হাসপাতাল সমগ্র দেশে দুর্ঘটনাসহ নানা কারণে অঙ্গহানিজনিত চিকিৎসা সেবায় সবার জন্য একটি ভরসাস্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, পঙ্গু হাসপাতালের ডাক্তাররাও ভালো কাজ করছেন। শিশু সাঈদকে তারা বিশেষ যত্ন নিচ্ছেন। ডাক্তাররা বলছেন, সে এখনও ছোট মাত্র ২ বছর ৩ মাস বয়স, বড় হলে তার কৃত্রিম হাত লাগানো সম্ভব হবে, এখন লাগালে তা ঠিক হবে না। হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল গণি মোল্লা, ডা. জাহাঙ্গীর, ডা. শবনম শায়লা প্রমুখ চিকিৎসকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

 উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার সকালে শিশু সাঈদকে নিয়ে তার বাবা সুমন ও মা শিউলি জয়দেবপুর থেকে মিরপুর চিড়িয়াখানায় যান। শিশু সাঈদ হায়েনার খাঁচার জালের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে দিলে মুহূর্তের মধ্যে হায়েনার কামড়ে তার ডান হাতটি কনুই থেকে ছিন্ন হয়ে যায়।

#

 

আকরাম/রাহাত/রফিকুল/লিখন/২০২৩/১৫০৭ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ২১২৬

 

মানব স্বাস্থ্যের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

      -- পরিবেশমন্ত্রী

ঢাকা, ২৯ জ্যৈষ্ঠ (১২ জুন) :      

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, মানব ও প্রাণী স্বাস্থ্যের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ‘ওয়ান হেলথ’ কনসেপ্টের তিনটি স্তম্ভের মধ্যে সবচেয়ে গতিশীল স্তম্ভ। সুস্থ ও ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ না থাকলে পরিবেশগত সেবা, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও জৈবিক নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধিসহ স্থিতিশীল সমাজ উপভোগ করা সম্ভব নয়।

 

আজ রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে ‘ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচ ফর ট্যাকলিং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স অ্যান্ড প্যানডেমিকস’ প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত ১১তম ওয়ান হেলথ বাংলাদেশ কনফারেন্সে উদ্বোধনী বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ‘ওয়ান হেলথ’ কর্মসূচির অন্যতম প্রধান অংশীদার হিসেবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারদের সাথে একযোগে কাজ করছে। তিনি বলেন, আমরা দেশের ‘ওয়ান হেলথ’ কার্যক্রমের সমর্থনে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা, বনজ, বন্যপ্রাণী, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে পেশাজীবীদের প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিত করতে একসাথে কাজ করছি। মন্ত্রী এসময় ভবিষ্যত কর্মকাণ্ড সফল করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ, বিশেষ করে পরিবেশগত নেটওয়ার্কগুলিতে ‘ওয়ান হেলথ’ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

 

সম্মেলনে অন্যতম উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বাংলাদেশ বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমির হোসাইন চৌধুরীসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি ও পেশাজীবীগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

দীপংকর/রাহাত/রেজাউল/২০২৩/১৭০০ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ২১২৫

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

 

ঢাকা, ২৯ জ্যৈষ্ঠ (১২ জুন) :      

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী রবিবার সকাল ৮টা থেকে আজ  সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৪০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এ সময় ২ হাজার ১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।                

 

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৫২ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৬ হাজার ৮৭০ জন।

 

#

 

সুলতানা/রাহাত/রেজাউল/২০২৩/১৬৪৫ ঘণ্টা 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ২১২৪

ক্যান্সারের আধুনিক চিকিৎসা এখন বাংলাদেশেই সম্ভব

                                              -গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী

ময়মনসিংহ, ২৯ জ্যৈষ্ঠ (১২ জুন):      

গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন, ক্যান্সারের আধুনিক চিকিৎসা এখন বাংলাদেশেই সম্ভব।

প্রতিমন্ত্রী আজ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যান্সার ও কিডনী এবং কার্ডিয়াক ইউনিট স্থাপনের উদ্দেশ্যে ১৫তলা ভবনের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ক্যান্সারের উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে প্রচুর সংখ্যক রোগী বিদেশে পাড়ি জমাতো। এতে মানুষের শ্রম, সময় ও প্রচুর অর্থের পাশাপাশি বিপুল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হতো।

বর্তমান সরকার সকল সেক্টরে উন্নয়নের পাশাপাশি চিকিৎসা ক্ষেত্রে আধুনিক ও উন্নত সেবা নিশ্চিত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে জটিল রোগের ব্যয়বহুল চিকিৎসার জন্য মানুষকে আর বিদেশে যেতে হচ্ছে না। এখন উন্নত চিকিৎসা সেবা দেশের ভেতরেই সম্ভব। দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ক্যান্সারের মতো জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জটিল রোগের চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য অবকাঠামোর উন্নয়নেও সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। দেশের আটটি বিভাগীয় সদরে অবস্থিত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যান্সার ইউনিট স্থাপিত হচ্ছে। পাশাপাশি নেফ্রোলজি ও ডায়ালাইসিস ইউনিট এবং হৃদরোগের আধুনিক চিকিৎসার উদ্দেশ্যে কার্ডিয়াক ইউনিট স্থাপিত হবে। তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

#

রেজাউল/পরীক্ষিৎ/সাঈদা/মাহামুদা/শামীম/২০২৩/১৫০৭ ঘণ্টা

 

2023-06-12-16-28-54432ee2f62aaea223bbb7bdbc4e0d48.docx