Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১২ জুলাই ২০২৩

তথ্যবিবরণী ১২ জুলাই ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ৯৬

যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে কমিউনিটি ক্লিনিকে অন-লাইন চিকিৎসা চালুর আহ্বান টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর

 ঢাকা, ২৮ আষাঢ় (১২ জুলাই): 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সফলতা পেতে হলে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তিনি তামাক সেবনসহ যে সকল কারণে যক্ষ্মা রোগ হয় সে সকল বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করার পাশাপাশি দেশব্যাপী কমিউনিটি ক্লিনিকে অন লাইনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা চালুর আহ্বান জানান। এ ক্ষেত্রে উচ্চগতির ডিজিটাল সংযোগসহ প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানে তিনি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং এর উদ্যোগে বাংলাদেশে যক্ষ্মা (টিবি) রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে জাতীয় পরামর্শক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিজেকেই ভূমিকা রাখতে হবে। নিজে ও নিজের পরিবারের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। যক্ষ্মার জন্য তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য সেবন অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তামাক সেবন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা অপরিহার্য। এই আন্দোলনের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখতে পারে।

যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে ২০৩৫ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পার্লামেন্টারি ককাস গঠনমূলক যে কোনো প্রস্তাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি কমিউনিটি ক্লিনিকসমূহে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মতো যক্ষ্মা শনাক্তকরণ ও অন লাইন চিকিৎসা সেবা চালু করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।

বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান, নার্গিস রহমান ও উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম এবং স্বাস্থ্য সুখের ফাউন্ডেশনের ইডি ডা. নিজাম উদ্দিন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

#

শেফায়েত/পাশা/রফিকুল/শামীম/২০২৩/২০৫০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ৯৫

বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে জনগণ

                                  -- পানি সম্পদ উপমন্ত্রী

শরীয়তপুর, ২৮ আষাঢ় (১২ জুলাই): 

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, দেশকে অস্থিতিশীল করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বিএনপি। বিএনপি ও তাদের দোসরদের যে কোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে জনগণ প্রস্তুত রয়েছে। বিএনপি যদি আবারও ২০১৩-১৪ সালের মতো সহিংস ও জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি করে তাহলে জনগণের জান-মাল রক্ষায় জনগণকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগ রাজপথে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রয়েছে। বিএনপির এই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে জনগণ।

আজ শরীয়তপুর জেলা পরিষদে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলনের নামে প্রোপাগান্ডা অতীতে যেমন জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারেনি, তেমনি ভবিষ্যতেও পারবে না। দুঃশাসনের কথা যখন বিএনপি বলে তখন দেশের মানুষ হাঁসে। দুঃশাসন বলতে যা বুঝায় সেটা বিএনপির আমলেই বিশ্ব রেকর্ড হয়েছে। এদেশের মানুষ তা ভুলে নাই। বিএনপি নেতাদের দুঃশাসনের কথা বলার আগে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখা উচিত। দেশের মানুষ বিএনপির সেই অপশাসন ও দুঃশাসনে আর ফিরে যেতে চায় না। জনগণ এখন বুঝে গেছে বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতিই বিএনপিকে জনবিচ্ছিন্ন ও গণধিকৃত দলে পরিণত করেছে।

এনামুল হক শামীম বলেন, টানা ১৪ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও বিএনপির ওপর অত্যাচার নির্যাতন হয় নাই। আওয়ামী লীগ প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। গত ১৪ বছর ক্ষমতায় থেকেও বিএনপির ওপর কোনো অত্যাচার করেনি আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বিএনপির উত্থান হয়েছে। এদের নেতাকর্মীদের মাথায় শুধু গুম, খুন। ক্ষমতায় থাকতে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তারা আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। গ্রেনেড হামলা থেকে শুরু করে আন্দোলনের নামে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে তারা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। জাতীয় নেতাদের নামে প্লেট চুরির মামলা পর্যন্ত দিয়েছে। এদেশের জনগণ তা ভুলে নাই।

উপমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলে সারা বাংলাদেশের মতো শরীয়তপুর সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু হয়েছে। নড়িয়ায় এখন আর নদী ভাঙন নেই। সেখানে জয়বাংলা এভিনিউ ও সোনার এভিনিউ নামে পর্যটন এলাকা গড়ে তোলা হয়েছে।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ রহমান, পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল হক, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল হাদি মোহাম্মদ শাহ্ পরান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র এডভোকেট পারভেজ রহমান জন।

অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ পার্কের উদ্বোধন, বিদায়ী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হোসেনকে বিদায়ি সংবর্ধনা, মেধাবী শিক্ষার্থী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ভাষা সৈনিকদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

#

গিয়াস/পাশা/মোশারফ/রফিকুল/শামীম২০২৩/১৯৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ৯৪

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হচ্ছে

                                                            --- পরিবেশমন্ত্রী

বড়লেখা (মৌলভীবাজার), ২৮ আষাঢ় (১২ জুলাই):

          পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন করা হচ্ছে। এলক্ষ্যে শিক্ষাক্রম যুগোপযোগীকরণ এবং একাডেমিক ভবনসহ আধুনিক শিক্ষা অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা যাতে শিক্ষাগ্রহণের উপযুক্ত পরিবেশ পায় তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

          আজ মৌলভীবাজারের বড়লেখায় চান্দগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের চারতলাবিশিষ্ট একাডেমিক নতুন ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          মন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। এলক্ষ্যে নিজেদেরকে যোগ্য করে তুলতে সুশিক্ষিত হতে হবে। নিয়মিত পড়াশোনার পাশাপাশি সহপাঠ্যক্রমিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে হবে। বিদ্যালয় ও বাড়ির পরিবেশের মান উন্নয়নে কাজ করতে হবে।

          বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নজরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলাম সুন্দর এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বড়লেখা উপজেলা প্রকৌশলী প্রীতম সিকদার জয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

          এছাড়া মন্ত্রী ঈদগাহবাজার-নিজবাহাদুরপুর ভায়া সুড়িকান্দি-মাইজগ্রাম দেওয়ান শাহ (রা.) মাজার রাস্তার উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এবং বড়লেখা ৬ নম্বর সদর ইউনিয়নে বিনামূল্যে জিআর চাল বিতরণ কার্যক্রমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

#

দীপংকর/পাশা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/১৯৫০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর :  ৯৩

জিয়া-খালেদা জিয়ার বর্বরতার শিকারদের আর্তনাদ শুনুন

         -- মানবাধিকার সংস্থাদেরকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ২৮ আষাঢ় (১২ জুলাই):

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংস্থা ও বন্ধুরাষ্ট্রগুলোকে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার নির্মম বর্বরতার শিকার ও তাদের স্বজনদের কান্না ও আর্তনাদ শোনার আহ্বান জানাই। সেটি সত্যিকার অর্থে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে এবং অবশ্যই এ অপরাধের বিচার করতে সরকার বদ্ধপরিকর।’  

আজ রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে ২০১৩-১৪-১৫ সালে পেট্রোলবোমা হামলায় নিহতদের পরিবার ও আহতদের সংগঠন ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ এবং ১৯৭৭ সালে সামরিক জান্তার হাতে বিনা বিচারে নিহতদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের কান্না’ আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের নির্মমতায় ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়েছে। হাজার হাজার সেনাসদস্যকে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছে, এমনকি আগে ফাঁসি কার্যকর করে পরে রায় দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। রাতের বেলায় ঘুমন্ত অফিসারকে ধরে নিয়ে গিয়ে কোনো বিচার ছাড়াই জেলে ঢুকিয়ে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।’

‘নামের মিল থাকার কারণে একজনের পরিবর্তে আরেকজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যখন ভুল অফিসারকে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাচ্ছে, তখন সে আর্তনাদ করেছে যে, আমি নই-আমি নই, এটা আমি নই, কিন্তু কে শোনে কার কথা! ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। সেই নির্মমভাবে নিহতদের সন্তানেরা আজ ‘মায়ের কান্না’ ব্যানারে কান্নারত।’

হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘বয়োবৃদ্ধ সার্জেন্ট কামাল আজ বক্তব্য রেখেছেন, তিনি নিজেই অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার। যারা রাজনীতি জানে না, রাজনীতি বোঝে না, রাজনীতি করে না সেই নিরপরাধ সাধারণ মানুষ যারা নিতান্তই জীবিকার তাগিদে রাস্তায় বের হয়েছিল, এমন শত শত মানুষ ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে রেহাই পায়নি। বেগম খালেদা জিয়া-তারেক জিয়ার সন্ত্রাসী-পেটুয়াবাহিনী মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ এদের নেতাদের পরিচালনায়, অর্থায়নে, নির্দেশে তাদের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল।’

‘বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের মধ্যে রাতের বেলায় যে ট্রাক চলছে না, রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে, ড্রাইভার গাড়িতে শুয়ে ঘুমাচ্ছে, সেই ড্রাইভারকে বাইরে থেকে তালা দিয়ে পেট্রোলবোমা মেরে ট্রাক জ্বালিয়ে দিয়েছে, গাড়ির সাথে ড্রাইভারও পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে -এ কেমন রাজনীতি!’ প্রশ্ন রাখেন মন্ত্রী হাছান।

তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া, মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ যারা আজকে লম্বা লম্বা কথা বলে তারা সবাই এই অগ্নিসন্ত্রাসের হুকুমদাতা এবং নির্মমতার জন্য দায়ী।’

আজকে যারা মানবাধিকারের কথা বলে, প্রেসক্রিপশন দেয়, যখন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করা হয়েছিল তখন তারা কোথায় ছিল প্রশ্ন রেখে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘একজন মানুষের পিতা কিংবা আত্মীয় পরিবার পরিজনের হত্যাকাণ্ডের বিচার চাওয়ার অধিকার আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানার বিচার চাওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তখন মানবাধিকার কোথায় ছিল!’

মানববন্ধনে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর এবং বিএনপি ও জামায়াতের ইসলামীর নেতৃবৃন্দের বিচার দাবি করে বক্তব্য দেন পুত্রহারা মমতাজ বেগম, অগ্নিসন্ত্রাসে দগ্ধ সার্জেন্ট কামাল পাশা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সহ-সভাপতি এডভোকেট জেসমিন সুলতানা, ঢাবি’র ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, ‘মায়ের কান্না’র উপদেষ্টা প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া, ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদে’র আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন বাবু, ‘মায়ের কান্না’র আহ্বায়ক কামরুজ্জামান লেলিন, মানববন্ধন সমন্বয়ক রাশেদুল ইসলাম রাসেল প্রমুখ।

তথ্যমন্ত্রীর সাথে ইইউ প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ

এ দিন দুপুরে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি দলের তিন সদস্য রিকার্ডো কেলেরি (Riccardo Chelleri), দিমিত্রা আয়ানো (Dimitra Ioannou) এবং  ক্রিস্টিনা ডোস রামোস আলভেস (Cristina Dos Ramos Alves) সচিবালয়ে  তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের দপ্তরে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। আলোচনার বিষয় নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তারা দেশের গণমাধ্যম আমাদের মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। আমরা বলেছি বাংলাদেশের গণমাধ্যম মূলত বেসরকারি। বাংলাদেশ টেলিভিশন আর ৩৫টি বেসরকারি টিভি চ্যানেল এখন সম্প্রচারে আছে। সাড়ে ১২শ’ দৈনিক পত্রিকা, কয়েক হাজার অনলাইন, এফএম ও কমিউনিটি রেডিও সবই বেসরকারি, বাংলাদেশ বেতার ছাড়া।

সম্প্রচার মন্ত্রী জানান, সমসাময়িক চ্যালেঞ্জগুলো বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর ফলে অনেক সময় যে হানাহানি হয় সে জন্য সেই প্লাটফর্মের যে দায়িত্ব রয়েছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আপনারা জানেন যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ বছরের গোড়াতে আইন সংশোধন করে বলেছে, প্রত্যেক সামাজিক যোগাযোগ প্লাটফর্মকে ইউরোপে রেজিস্টার্ড হতে হবে।

আমরা ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়ার প্লাটফর্মগুলোকে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এখানে রেজিস্টার্ড হওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বলে আসছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত তা হয়নি  উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, সেখানে কোনো গুজব বা বিতর্কিত পোস্ট সরাতে বললেও তারা দেরি করে এবং যদিও সরায় তার হারটা হচ্ছে ১০ শতাংশ, ৯০ শতাংশ সরায় না। এতে রাষ্ট্রে, সমাজে যে হানাহানি তৈরি হয় সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইউরোপের দেশগুলোতে যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তারা ক্ষমতায় থেকেই নির্বাচন করে, আমাদের দেশেও আইন অনুযায়ী তাই হবে, সে বিষয়টি আমি তাদেরকে জানিয়েছি। কিন্তু নির্বাচনের সময় সরকারের রুটিন কাজ করা ছাড়া আর কোনো কাজ করার ক্ষমতা থাকে না। সরকারের সমস্ত প্রতিষ্ঠান যেগুলো নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট তাদের সবার চাকরি নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত হয়, সেটি আমি তাদের জানিয়েছি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং বিরোধী দলকে নির্বাচনে আনা প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে কি না এ প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আসলে এ নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা নাই। এটি একমাত্র বিএনপির মাথাব্যথা। আর তারা এসেছে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ব্যাপারে, বিরোধী দলকে নির্বাচনে আনার জন্য আসে নাই। তবে আমি তাদেরকে বলেছি, আমরা চাই বিএনপিসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।’

#

আকরাম/পাশা/মোশারফ/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/১৮৫০ ঘণ্টা 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর :  ৯২

 

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত

                                                          -- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

 

সিলেট, ২৮ আষাঢ় (১২ জুলাই):

 

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

 

আজ সিলেট সার্কিট হাউজে সিলেট বিভাগে কর্মরত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

এ সময় মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যয়ের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে এগিয়ে থাকতে হবে। এ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের স্মার্ট ভূমিকা রাখতে হবে, স্মার্ট অর্জন করে দেখাতে হবে। তাদের স্মার্ট লক্ষ্য রাখতে হবে এবং স্মার্ট লক্ষ্য অর্জনে উপযুক্ত পরিকল্পনা নিতে হবে। সর্বোপরি দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।

 

মন্ত্রী বলেন, দেশে প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে ও মাছের উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এসেছে। এ খাত আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ খাত থেকে খাবারের বড় একটি অংশের যোগান আসে, প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা মেটাচ্ছে এ খাত। এ খাত থেকে বিভিন্ন পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনার সুন্দর একটি দেশ। দেশের উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের সারথি হতে হবে। রাষ্ট্রের প্রয়োজনে যার যতটুকু দায়িত্ব আছে তা আন্তরিকতা ও একাগ্রতার সাথে পালন করতে হবে। সম্মিলিতভাবে দেশের উন্নয়নে সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে।

 

সিলেট জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবারক হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোঃ হেমায়েত হোসেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোঃ এমদাদুল হক তালুকদার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সিলেট বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ডা. মোঃ মারুফ হাসান, সিলেট বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন এবং সিলেট বিভাগে কর্মরত মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

ইফতেখার/পাশা/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/১৮৪০ ঘণ্টা 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ৯১

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 ঢাকা, ২৮ আষাঢ় (১২ জুলাই): 

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ। এ সময় ৬৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।          

 

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৬৩ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১০ হাজার ২৫৪ জন।

 

                                                      # 

 

রাশেদা/পাশা/মোশারফ/রফিকুল/লিখন/২০২৩/ ১৭২৬ ঘণ্টা

 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ৯০

চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ

ঢাকা, ২৮ আষাঢ় (১২ জুলাই): 

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রপ্তানির আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে সরকার। যার মধ্যে পণ্য খাতে ৬২ বিলিয়ন এবং সেবা খাতে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

          আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সম্মেলন কক্ষে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

          বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পণ্য ও সেবা মিলিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয়েছে ৫৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এবার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা গতবছরের চেয়ে ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ বাড়িয়ে ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।

          মন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জন করা সম্ভব এবং আমাদের এই বক্তব্যের সাথে ব্যবসায়ীরা একমত পোষণ করেছেন। রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গ্যাস-বিদ্যুৎ-জ্বালানিসহ অন্যান্য সুযোগসুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। আমরা তাদের কথা শুনেছি এবং তাদের দাবি পূরণে সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে।

          সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সংবিধান অনুযায়ী হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে কোনো কিছুই বন্ধ থাকবে না। অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমা, ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিকভাবেই চলবে। নির্বাচনের বছর উপলক্ষ্যে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোনো বিরুপ প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই।

          টিপু মুনশি জানান, ২০২৩ সালের শেষ পর্যায়ে দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ঘটবে বলে বিভিন্ন সংস্থা পূর্বাভাস দিয়েছে। ‍এই পূর্বাভাস ঠিক থাকলে এসময়ে বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বাণিজ্য সংস্থা এখন পর্যন্ত যেসব পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে তা বিবেচনায় নিলে চলতি বছরের মন্দা অবস্থা বছরের শেষ দিকে কাটতে শুরু করবে এবং আগামী বছরে বিশ্ব অর্থনীতি পুনরায় প্রবৃদ্ধির ধারায় ফেরত আসবে।

          বিগত অর্থবছরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্য খাতে ৫৮ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৫৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার অর্জিত হয়েছে যা, লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৫ দশমিক ৮ শতাংশ এবং পূর্ববর্তী ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ৬ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। পণ্য ও সেবা খাত মিলে ৬৭ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৬৪ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার অর্জিত হয়েছে যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৬ দশমিক ৩ শতাংশ এবং পূর্ববর্তী ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৮ শতাংশ বেশী।

          বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সঞ্চালনায় সভায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থার প্রতিনিধি এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

হায়দার/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/রবি/মাসুম/২০২৩/১৫২০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ৮৯

বিএনপির দেশবিরোধী চক্রান্ত প্রতিহত করা হবে

                                           - খাদ্যমন্ত্রী

নওগাঁ (পোরশা), ২৮ আষাঢ় (১২ জুলাই) : 

                        খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, যুবসমাজকে একত্রিত করে সামনের আন্দোলন সংগ্রামকে বেগবান করতে হব।   

আজ পোরশার সরাইগাছি হাইস্কুল প্রাঙ্গণে পোরশা উপজেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এমন কোন খাত নেই যেখানে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য-সহযোগিতা পৌঁছেনি। দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। এসময় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছাতে যুবলীগের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান মন্ত্রী।

খালেদা জিয়ার বিএনপির আমলে সারের জন্য কৃষক গুলি খেয়েছিলো। প্রাণ গিয়েছিল ১৯ জন কৃষকের। সার পাওয়া যায়নি, সেচের জন্য তেল কিংবা বিদ্যুৎ পাওয়া যায়নি। এখনকার পরিস্থিতি সেরকম নাই। কৃষকবান্ধব সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে সার ও বিদ্যুতের অভাব নেই। কৃষকের জন্য সরকার প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রাখতে হলে শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় রাখতে হবে। শেখ হাসিনা থাকলে সবখানে উন্নয়ন হয়। নওগাঁ-১ আসনে ১০ কিলোমিটার রাস্তা পাকা ছিলো না। এই সরকারের আমলে এখানে ৪০০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার পদ্মাসেতু, মেট্রোরেলের মতো মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করছে। সামনের দিনগুলোতে উন্নয়নের আরো সুবিধা জনগণ ভোগ করবে।

‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নায়ক জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার না করে তাদের পুরস্কৃত করেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয় ইনডেমনিটি আইন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করেছিলেন। বাংলাদেশের যুব সমাজকেও নষ্ট করেছিল জিয়া’ মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী।

বিএনপি দেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত। তারা নানা ষড়যন্ত্র করছে, শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। জনগণ তাদের এ আশাপূরণ হতে দেবে না। যুবলীগের নেতাকর্মীদের বিএনপির ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে প্রস্তুত           থাকতে হবে।

পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো: রবিউল ইসলাম এর সভাপতিত্বে সন্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী। সম্মেলন উদ্বোধন করেন নওগাঁ জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট খোদদাদ খান পিটু প্রমুখ। প্রধান বক্তা ছিলেন নওগাঁ জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিমান কুমার রায়।

#

কামাল/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/রবি/মাসুম/২০২৩/১৩৩০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ৮৮

 

৫০ টাকায় ডেঙ্গু পরীক্ষা 

 

ঢাকা, ২৮ আষাঢ় (১২ জুলাই) : 

 

আগামী ১ মাস সকল সরকারি হাসপাতালে ১০০ টাকার পরিবর্তে ৫০ টাকায় ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো যাবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিশেষ সতর্ক বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছে।

          ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে হবে, পরিবেশ পরিচ্ছন্নতার ওপর নজর দিতে হবে বলে পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। জ্বর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে বার্তায় বলা হয়েছে।

           ডেঙ্গুর লক্ষণ :       

  • তীব্র মাথা ব্যথা; চোখের পেছনে ব্যথা; শরীরের পেশি ও জয়েন্টে ব্যথা; বমি বমি ভাব; নাসিয়া গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া; শরীরে র‌্যাশ ওঠা; শরীরে লালচে দানা পাতলা  পায়খানা   

         

জ্বর হলে বেশি বেশি তরল খাবার খাবেন। যেমন-স্যালাইন, ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের রস, স্যুপ ইত্যাদি।

 

  • ঘরের বা অফিসের বা কর্মস্থলের জানালা সবসময় বন্ধ রাখতে হবে;
  • মশার কামড় থেকে বাঁচতে যতটা সম্ভব শরীর ঢেকে রাখতে পারে এমন পোশাক পরিধান করতে হবে;
  • দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে;
  • পরিবার, প্রতিবেশী ও কমিউনিটির মধ্যে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে হবে;
  • পরিচ্ছন্নতা অভিযানে সকলকে সরাসরি যুক্ত হওয়ার জন্য সচেষ্ট হতে হবে।

 

  • প্রজনন রোধে নিম্নলিখিত কাজগুলো করতে হবে :

 

  • ঘরে ও আশেপাশের যে কোন পাত্রে বা জায়গায় মাঠ অথবা রাস্তায় পানি জমতে দেওয়া
    যাবে না;
  • ব্যবহৃত পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে;
  • ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা বা নারিকেলের মালা, কন্টেইনার, মটকা, ব্যাটারি সেল,  ফ্রিজে জমে থাকা পানি ৩ দিনের মধ্যে ফেলে দিতে হবে;
  • ডেঙ্গু হলে নিকটস্থ স্বাস্থ
    2023-07-12-16-45-70a2130c7b8389ed7fc8cdf63faf3ed7.docx