Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১st এপ্রিল ২০১৮

তথ্যবিবরণী 30/3/2018

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর :  ১০৩৮
 
রাজশাহীর চারঘাটে আম উৎপাদন, সংরক্ষণ ও রপ্তানি বিষয়ক সেমিনার
 
চারঘাট (রাজশাহী), ১৬ চৈত্র (৩০ মার্চ) :
 
উৎকৃষ্টমানের আম উৎপাদন, সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও আন্তর্জাতিক বাজারের শর্ত পূরণের মাধ্যমে রপ্তানির চাহিদা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলায় এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আজ এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। আমচাষী, আড়তদার, কৃষি উপকরণ, সার ও কীটনাশক বিক্রেতাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহ্রিয়ার আলম বক্তৃতা করেন।
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, উৎকৃষ্টমানের আম উৎপাদন ও সংরক্ষণ করে এবং আম ও আমজাত সামগ্রী রপ্তানির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। তবে সম্ভাবনাময় এ খাতের উন্নয়নে আম চাষের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন হতে হবে। আধুনিক পদ্ধতি ও পরিচর্চার মাধ্যমে রাজশাহীসহ সমগ্র দেশের আমচাষীরা আমের ফলন বৃদ্ধি ও মান উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশে আম রপ্তানি করতে সক্ষম হবেন । তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পা দিয়েছে। বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রূপান্তর ও দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে এদেশের আম উৎপাদনের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও অবদান রাখতে সক্ষম হবেন বলে প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। 
 
চারঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে ‘এড়ড়ফ অমৎরপঁষঃঁৎধষ চৎধপঃরপব (এঅচ) ভড়ৎ ঊীঢ়ড়ৎঃ চৎড়সড়ঃরড়হ (সধরহংঃৎবধস ধহফ  বঃযহরপ সধৎশবঃ)’ শিরোনামে উপজেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসএসই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সফিকুল ইসলাম। রিসোর্সপার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এঅচ বিশেজ্ঞ ড. মোহাম্মদ সালেহ আহমেদ এবং চাপাইনবাবগঞ্জের আম গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা 
ড. মোঃ হামীম রেজা।
 
#
 
তৌহিদ/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২২০৫ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর :  ১০৩৭
 
শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতিচর্চার সমন্বয় জরুরি
-- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী
 
ঢাকা, ১৬ চৈত্র (৩০ মার্চ) :
 
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতি চর্চার সমন্বয় ঘটানো অত্যন্ত জরুরি। তবেই  ছাত্রছাত্রীদের মাঝে লুকায়িত প্রতিভার প্রকৃত বিকাশ ঘটবে। আমরা আমাদের সন্তানদের সম্ভাবনা খুঁজে দেখি না। আমাদের ইচ্ছা তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে চাই। আমাদের এ মনোবৃত্তি পরিহার করতে হবে।
 
মন্ত্রী আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ ডা. মিলন হলে এসোসিয়েশন অভ্ ফিজিশিয়ান্স অভ্ বাংলাদেশ (এপিবি) আয়োজিত এপিবি’র ২৯তম বার্ষিক সম্মেলন এবং আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক অধিবেশনের প্রি-কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
 
এপিবি’র সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোঃ আজিজুল কাহহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশন অভ্ ফিজিশিয়ান্স অভ্ বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান।
 
মন্ত্রী বলেন, কোন দেশের উন্নয়ন শুধু অর্থনৈতিক অগ্রগতি দিয়ে পরিমাপ করা হয় না, এর সাথে বিবেচনা করা হয় সামাজিক-সাংস্কৃতিক সূচকসহ অন্যান্য সূচকে অগ্রগতি। আর এজন্য প্রয়োজন সুকুমার বৃত্তির চর্চা। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নমুখী অন্তর্ভুক্তিশীল সমাজ বিনির্মাণে কাজ করছে, যেখানে সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। তিনি চিকিৎসকসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ায় একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
 
পরে চিকিৎসকদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
 
#
 
ফয়সল/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২২০০ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর :  ১০৩৬
 
 
মুক্তিযুদ্ধের শুরু আছে, শেষ নেই 
        -- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী
 
 
ঢাকা, ১৬ চৈত্র (৩০ মার্চ) :
 
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের শুরু আছে, শেষ নেই। কেননা, মানুষের মুক্তির আকাক্সক্ষা অনন্তকাল চলতে থাকবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এখন আমাদের যুদ্ধ হচ্ছে অর্থনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক মুক্তির যুদ্ধ; অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ।
 
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে সত্যেন সেন শিল্পগোষ্ঠীর একাদশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও শিল্পী-সংগ্রামী, সাহিত্যিক সত্যেন সেন এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সত্যেন সেন সম্মাননা পদক প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
 
প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি অধ্যাপক ড. হায়াৎ মামুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, বরেণ্য চিকিৎসক মেজর জেনারেল (অব.) ডা. আব্দুর রহমান খান, বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শিল্পী ফকির আলমগীর এবং কলকাতা এসটিএম সংগীত দলের দলনেতা শিল্পী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
 
মন্ত্রী বলেন, আজকে মঞ্চে যেসব বিদগ্ধ গুণিজন ও সংস্কৃতি কর্মীবৃন্দ উপস্থিত রয়েছেন, তারা সকলেই মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনা বুকে ধারণ করে নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করে চলেছেন। তারা যে পথে হাঁটছেন, এর কোনো শেষ নেই। অনন্তকাল এ পথে চলতে হবে। আর নিজেকে সংস্কৃতিকর্মী দাবি করলে ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতে হবে আরো বহুদিন। নইলে সাম্প্রদায়িক ও অপশক্তি বাংলাদেশ নামক ফুলের বাগানকে তছনছ করে দেবে।
 
প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় এ বছর আধুনিক প্রগতিশীল ও গণমনস্ক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সত্যেন সেন এর নামে প্রবর্তিত সম্মাননা পদক গ্রহণ করেন বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাট্যজন আলী যাকের।
 
#
 
ফয়সল/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০০০ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর :  ১০৩৫
 
বান্দরবানে কৃষকদের মাঝে পাওয়ার টিলার বিতরণ
 
 
বান্দরবান, ১৬ চৈত্র (৩০ মার্চ) :
 
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে আজ বান্দরবান জেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষকদের মাঝে পাওয়ার টিলার বিতরণ করা হয়। বান্দরবান রাজার মাঠ সংলগ্ন এলাকায় পাওয়ার টিলার বিতরণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক  প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ইয়াছিন আরাফাত, কুহালং ইউপি চেয়ারম্যান সানু প্রু মার্মাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি ও কৃষক সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
 
এসময়  প্রতিমন্ত্রী  বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। আর এই সরকারের আমলে কৃষকদের ভাগ্যোন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রামের  প্রতিটি এলাকায় পাওয়ার টিলার, পাওয়ার পাম্পসহ কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও যেসব এলাকার জমি ধান চাষ হবে না সেসব এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে মিশ্র ফলের বাগান করে দেয়া হচ্ছে। এসময় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে পাহাড়ের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা- সাধিত হচ্ছে। ভবিষতেও এ উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
 
অনুষ্ঠানে বান্দরবান সদর, থানছি ও আলীকদম উপজেলার ৬টি কৃষি সমিতিকে ৬টি পাওয়ার টিলার বিতরণ করা হয়।
 
#
 
জুলফিকার/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯৫০ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ১০৩৪ 
 
জাপানে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বিষয়ক সেমিনার 
 
 
টোকিও (জাপান), ৩০ মার্চ :
 
আজ জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বিষয়ক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সমস্যা, সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে বিশদ ও প্রাণবন্ত আলোচনা হয়।
 
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন জাপানের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, জাপানি ব্যবসায়ী ও গণমাধ্যমকর্মী, জাপানে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীগণ, প্রবাসী নেতৃবৃন্দ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ। সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল ও সঠিক নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে পদার্পণ করল। বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, সবগুলো সূচকে বাংলাদেশ আজ অগ্রগামী। রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে উন্নত রাষ্ট্র হিসাবে মাথা তুলে দাঁড়াবে। তিনি জাপানি ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের বাংলাদেশে অধিক হারে বিনিয়োগের আহবান জানান।
 
এছাড়া আলোচনা করেন, জাইকার মহাপরিচালক কিচিরো নাকাজাওয়া, জাপানের ল্যান্ড, ইনফ্রাস্ট্রাকচার, ট্রান্সপোর্ট ও ট্যুরিজম মন্ত্রণালয়ের (এমএলআইটি) পরিচালক আন্দো তোশিআকি এবং জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) এর সিনিয়র পরিচালক তাকাশি সুজুকি। আলোচনার পূর্বে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাইকার প্রেসিডেন্ট প্রদত্ত বাণীর ভিডিও দেখানো হয়। এছাড়া বাংলাদেশের ধারাবাহিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের উপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
 
জাপানি আলোচকগণ বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানান এবং বলেন ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে তাঁদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। জাইকার মহাপরিচালক বলেন, নারী ক্ষমতায়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও অনুকূল ব্যবসার পরিবেশ থাকায় বাংলাদেশের আজ এই অর্জন। 
#
 
শিপলু জামান/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৮/১৮৩০ ঘণ্টা  
 
 
 
 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ১০৩৩  
 
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিরই নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকা উচিত
  --সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী
 
ঢাকা, ১৬ চৈত্র (৩০ মার্চ) :
 
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেবল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিরই অংশগ্রহণের সুযোগ থাকা উচিত। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় আসবে কি আসবে না- এ নিয়ে কথা বলা ও চিন্তার সুযোগ থাকা উচিত নয়। মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের এদেশে রাজনীতি করা ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ চিরতরে বন্ধ হওয়া দরকার।
 
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র আয়োজিত “গণহত্যা-বধ্যভূমি ও গণকবর জরিপ” বিষয়ক দিনব্যাপী সেমিনার উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
 
গণহত্যা জাদুঘর ট্রাস্টের ট্রাস্টি, বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে সেমিনারের উদ্বোধন অধিবেশনে সূচনা বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন।
 
মন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতিচর্চা কখনো মুক্তিযুদ্ধ ও এর ইতিহাস বাদ দিয়ে হতে পারে না। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমরা একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আজও আদায় করতে পারিনি- এটি অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়। অন্যদিকে, রোহিঙ্গা দমন-নির্যাতন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। অথচ একাত্তরের গণহত্যা ছিল এর চেয়ে ব্যাপক, ভয়াবহ ও বীভৎস। এ গণহত্যার বিষয়টি কেবল নতুন প্রজন্মের কাছে নয়, সারাবিশ্বের কাছে আরো বিশদভাবে তুলে ধরা উচিত’।
 
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, একাত্তরের গণহত্যার এ বীভৎসতা কোনো গোপন করার বিষয় নয়। বীরাঙ্গনাদের নির্যাতন কোনো লজ্জার বিষয় হিসেবে দেখা উচিত নয়, বরং জনসম্মুখে এনে তাঁদের সাহসিকতা, নির্যাতন ও কষ্টের কথা বলার সুযোগ করে দেয়া উচিত। মন্ত্রী এসময় গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে এ ধরনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও যুগান্তকারী কাজের জন্য গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি আরো বলেন, এ ধরনের কাজগুলো মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় হওয়া দরকার। সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় যৌথভাবে করলে এটি আরো বেগবান হবে।
#
 
ফয়সল/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৮/১৮৩০ ঘণ্টা  
 
New Microsoft Office Word Document (1).docx