তথ্যবিবরণী নম্বর: ২১৫
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইন্টারনেটের অভাবনীয় শক্তি কাজে লাগাতে হবে
--- জুনাইদ আহমেদ পলক
ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই):
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ডিজিটাইজেশন হচ্ছে বাংলাদেশের অগ্রগতির লাইফ লাইন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ত্বরান্বিত করতে ইন্টারনেটের অভাবনীয় শক্তিকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট প্রসারে মোবাইল ফোন অপারেটরসহ যেকোনো বেসরকারি উদ্যোগ বাস্তবায়নে সরকার সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানে বদ্ধপরিকর।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় এক হোটেলে গ্রামীণফোনের মোবাইল ব্রডব্যান্ড সেবা জিপিফাই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট নাগরিক অপরিহার্য। আমরা সোনার বাংলার জন্য সোনার মানুষ চাই। শিক্ষার্থীদের প্রতিভা কাজে লাগিয়ে তাদেরকে প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট করে গড়ে তুলতে পারলে তাদের হাতেই গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আর্কিটেক্ট অভ্ ডিজিটাল বাংলাদেশ সজীব ওয়াজেদ জয় এর পরামর্শে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত ডিজিটাল বাংলদেশ কর্মসূচির ফলে বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সুলভ মূল্যে জনগণের দোরগোড়ায় নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশে ২০০৬ সালে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ছিল ৮৫ হাজার টাকা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল ৪০ লাখ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণের জন্য ইন্টারনেট সহজলভ্য করতে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম মাত্র ৬০ টাকায় নির্ধারণ করেছেন। দেশে বর্তমানে ১৩ কোটিরও বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। তিনি আরো বলেন, ২০০৬ সালে দেশে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে ৫ হাজার দুইশত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ আমাদের সামনে অসীম সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই আধুনিক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী সাহসী সিদ্ধান্তের কারণে পঞ্চগড়ের দয়াল বর্মণ, কুষ্টিয়ার ইউটিউব গ্রাম, ৭ লাখ ফ্রিল্যান্সার ঘরে বসে আয় করতে পারছে। সাফল্যের গল্প রচনা সম্ভব হয়েছে। সম্প্রতি অপারেটরদের ইউনিফাই লাইসেন্স গাইড লাইন করায় এখন মোবাইল অপারেটররাও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দিতে পারবে। ন্যূনতম ২০ এমবিপিএস থেকে ১৫০ জিবিপিএস পর্যন্ত তারহীন ইন্টারনেট সেবা দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে জিপিফাই-এর। ‘আমরা চাই গ্রামীণফোন গ্রাহকদের সেবা বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ বৃদ্ধি করুক। কেননা আমরা চাই সুলভমূল্যে গুণগত ও মানসম্পন্ন সেবা।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ, মহাপরিচলক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
#
শেফায়েত/শফি/রানা/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২২১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২১৪
১০টি অভিযোগের শুনানিতে ৮টির নিষ্পত্তি করেছে তথ্য কমিশন
ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই):
তথ্য কমিশন বাংলাদেশে আজ তথ্য অধিকার আইনের আওতায় ১০টি অভিযোগের শুনানি করে ৮টি অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে দুটিতে জরিমানা আরোপ, অপর একটিতে বিভাগীয় মোকদ্দমার সুপারিশ করা হয়।
তথ্য কমিশন বাংলাদেশ-এর প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক এবং তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক শুনানি গ্রহণ করেন।
#
লিটন/শফি/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২২১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২১৩
২০৪১ সালের লক্ষ্য অর্জনে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে
--- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই):
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ২০৪১ সালের লক্ষ্য অর্জনে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। পরিষ্কার ও সবুজ জ্বালানি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনকে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। নবায়ণযোগ্য জ্বালানির বিভিন্ন উৎস হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চলমান ৪৭টি প্রকল্প হতে ৩৭৪৯ দশমিক ৭ মেগাওয়াট ও প্রক্রিয়াধীন ৭৯টি প্রকল্প হতে ৯৩১৮ দশমিক ১৫ মেগাওয়াট অর্থাৎ মোট ১২৬টি প্রকল্প হতে ১৩০৬৭ দশমিক ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বাংলাদেশ কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড ও ইন্দোনেশিয়ার পিটি পারতামিনা পাওয়ার ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশে ৫০০ মেগাওয়াট সোলার প্রকল্প উন্নয়নের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বর্তমানে ১১টি সৌরভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫২১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। বেসরকারি খাতে চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে ৯টি PPA-IA স্বাক্ষরিত প্রকল্পের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৬৯ দশমিক ২৭ মেগাওয়াট। বেসরকারিখাতে চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে ২৯টি LOI স্বাক্ষরিত প্রকল্পের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৬০৮ মেগাওয়াট। নবায়ণযোগ্য জ্বালানির প্রসারকে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশগুলো হতেও নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ আমদানির প্রচেষ্টা চলছে। একই সাথে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি ও জমির স্বল্পতা নিয়েও আমরা কাজ করছি।
অনুষ্ঠানে ‘কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড’ এর পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ এবং ‘পারতামিনা পাওয়ার ইন্দোনেশিয়া’র পক্ষে স্ট্র্যাটেজিক পরিচালক ফাদলি রহমান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হিরু হারতান্তো সুবুলো (Heru Hartanto Subolo) বক্তব্য রাখেন।
#
আসলাম/শফি/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২১৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২১২
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন
ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই):
সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে সুশাসন সংহতকরণ এবং দুর্নীতিবিরোধী সংস্কৃতি গড়ে তোলা ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার চর্চায় উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে সরকার প্রতিবছর জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মাহবুব হোসেনকে এই বছর জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রাপ্তিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা সভায় প্রতিমন্ত্রী সচিব মোঃ মাহবুব হোসেনকে অভিনন্দন জানান এবং একইসাথে মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভবিষ্যতে আরো ভালো করে কাজ করার নির্দেশনা দেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন তাঁর বক্তৃতায় মন্ত্রণালয়ের কর্মরত সকলকে তাঁদের দায়িত্বশীল আচরণের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান এবং ভবিষ্যতেও একইভাবে কাজের প্রতি আন্তরিক থাকতে বলেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ও ফাহমিদা আখতার, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মোঃ আবদুর রহিম খান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন-সহ মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
#
নোবেল/শফি/রানা/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২১১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২১১
বাড়ির পাশে খালি জায়গায় মসলা জাতীয় ফসল চাষের পরামর্শ গণপূর্তমন্ত্রীর
ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই):
বাড়ির পাশের খালি জায়গায় মসলা জাতীয় ফসল-হলুদ, মরিচ, পিঁয়াজ, রসুন ও আদা জাতীয় ফসলের চাষ করার পরামর্শ দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ রাজধানীর রমনাপার্কে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে চলমান বৃক্ষরোপণ সপ্তাহের অংশ হিসেবে গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, দেশের অধিকাংশ বাড়িতে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে নিজেদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য এসব ফসল চাষ করার মতো যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। কেউ ইচ্ছা করলেই স্বল্প জমিতে এসব ফসল চাষ করতে পারেন। এতে এসব পণ্য আমদানি করতে যে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয় তা সাশ্রয় হবে এবং বাজারে দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি অনেকাংশেই প্রশমিত হবে।
বৃক্ষরোপণকে একটা সামাজিক আন্দোলনের ফল হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, দেশের স্থলভাগের মোট আয়তনের ১৭ শতাংশ বনায়নের আওতাধীন রয়েছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য ন্যূনতম ২৫ শতাংশ বনভূমির লক্ষ্য অর্জনে আরো ৮ শতাংশ বনায়ন করতে হবে। এজন্য প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রয়োজনীয় বৃক্ষরোপণের জন্য তিনি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনি রমনা পার্কের ক্যাফেটেরিয়া চত্বরে একটি আম গাছের চারা রোপণ করেন।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নবীরুল ইসলাম, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমান সরকার, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুর রহমান। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
উল্লেখ্য, সারাদেশে ৫ লাখ বৃক্ষ রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ উদ্যাপন করছে। বৃক্ষরোপণের এই অভিযান আগামী ৩ আগস্ট পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে এবং এক মাসব্যাপী এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
#
রেজাউল/শফি/রানা/মোশারফ/রেজাউল/২০২৪/২১২৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২১০
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান-২০২৪
ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই):
২০২৪-২৫ অর্থবছরে সারা দেশে প্রায় ছাব্বিশ হাজার সরকারি অফিস এপিএ স্বাক্ষর করেছে। বর্তমানে এপিএ প্রণয়ন, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নের কাজটি এপিএএমএস নামক একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার ইউনিট এপিএ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগসহ সকল পর্যায়ের সরকারি অফিসকে সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছে।
প্রতি বছর প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহের এপিএ স্বাক্ষর এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়ে থাকে। আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এপিএ স্বাক্ষর এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান, ২০২৪ আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান এবং মূল্যবান দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি এবং গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কর্তৃক ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’ অর্থাৎ এপিএ প্রবর্তন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসাবে সিনিয়র সচিব ও সচিবের মধ্যে প্রতিবছর এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে থাকে। এই চুক্তিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহ, গৃহীত কার্যক্রম ও লক্ষ্যমাত্রা এবং এ সকল কার্যক্রমের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিমাপের জন্য কর্মসম্পাদন সূচক বিধৃত রয়েছে। মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বার্ষিক ও মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এপিএ’র আওতায় বিভিন্ন কার্যক্রমের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এপিএ স্বাক্ষর করছে। পরবর্তীতে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে অধীনস্ত দপ্তর, সংস্থাসমূহের এপিএ স্বাক্ষর শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিভাগীয়, আঞ্চলিক এবং জেলা পর্যায়ের অফিসসমূহকে এপিএ’র আওতায় আনা হয়। সব শেষে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে উপজেলা পর্যায়ের অফিসসমূহে এপিএ সম্প্রসারিত হয়।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে এপিএ প্রণয়নে সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার-২০২৪, রূপকল্প-২০৪১, ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-২০৩০, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০, মন্ত্রিসভা বৈঠকের সিদ্ধান্ত, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ও নির্দেশনা, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীর সভাপতিত্বে বিদ্যমান কমিটির সভা আয়োজন ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, কর বহির্ভূত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা এবং এডিপি বাস্তবায়নকে গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহের নিজস্ব পরিকল্পনা এবং Allocation of Business অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম এপিএ-তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও এ বছরের এপিএ-তে সকল সরকারি অফিসের শূন্যপদ পূরণের লক্ষ্যমাত্রা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের এপিএ স্বাক্ষরের পাশাপাশি বিগত ২০২২-২৩ অর্থবছরে এপিএ বাস্তবায়নে মোট ১১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। সেরা ১১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ যথাক্রমে ১) বিদ্যুৎ বিভাগ ২) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৩) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ৪) পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৫) কৃষি মন্ত্রণালয় ৬) সেতু বিভাগ ৭) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ৮) খাদ্য মন্ত্রণালয় ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় (যৌথভাবে) ৯) পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং ১০) অর্থ বিভাগ।
প্রতিবছর মন্ত্রণালয় ও বিভাগের এপিএ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে শুদ্ধাচার পুরস্কারও প্রদান করা হয়ে থাকে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সিনিয়র সচিব ও সচিবগণের মধ্য হতে ব্যক্তিপর্যায়ে শুদ্ধাচার চর্চার স্বীকৃতিস্বরূপ মোঃ মাহবুব হোসেন, সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়-কে ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার, ২০২৩-২৪’ প্রদান করা হয়।
এপিএ স্বাক্ষর এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রিসভার সদস্যগণ, উপদেষ্টাবৃন্দ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ও সিনিয়র সচিব ও সচিববৃন্দ, এপিএ স্বাক্ষরকারী মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহের এপিএ টিম লিডার ও ফোকাল পয়েন্টগণ এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
সুমন/শফি/রানা/মোশারফ/রফিকুল/রেজাউল/২০২৪/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৯
কোটাবিরোধী আন্দোলনকে রাষ্ট্রবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে
--পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই):
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্টকে ব্যবহার করে কোটাবিরোধী আন্দোলনকে রাষ্ট্রবিরোধী, সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। সরকার কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে দেবে না।’
আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
হাছান মাহ্মুদ বলেন, রোববার রাতে কোটা আন্দোলন থেকে রাষ্ট্রবিরোধী ধরনের স্লোগান দেওয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। সেই দেশে রাজাকারের পক্ষে স্লোগান দেওয়া রাষ্ট্রবিরোধী। একইসাথে সেখানে সরকারবিরোধী, প্রধানমন্ত্রীবিরোধী স্লোগানও দেওয়া হয়েছে। এতে স্পষ্ট যে, কোটা আন্দোলনে রাজনৈতিক অপশক্তি ঢুকেছে, বিএনপি-জামাত-সহ যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তারা ঢুকেছে এবং তাদের প্ল্যান্টেড কিছু মানুষ এর নেতৃত্ব দিচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ স্লোগান ও বক্তব্যে এটা প্রমাণিত যে এটা কোটাবিরোধী আন্দোলন নয়, এটিকে রাষ্ট্রবিরোধী, সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। কিছু নেতা, বিএনপি-জামাত ও অন্যরা সেখানে ইন্ধন দিচ্ছে।’
ড. হাছান এ বিষয়ে সরকারের স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আদালতে বিচারাধীন কোনো বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। আদালত বিষয়টি নিষ্পত্তির পর যেভাবে নির্দেশনা দেবে সরকারকে সেভাবে কাজ করতে হবে। আপনারা-সহ যারা আইন, সংবিধান জানেন, তারা সবাই এটি বোঝেন। অথচ তারপরও এই আন্দোলন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘আমাদের সরকার অনেক শক্তিশালী সরকার। কোনো রাজনৈতিক অপশক্তিকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্টকে নিয়ে খেলা করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে দেওয়া হবে না।’
এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসেফ ঈসা আল দুহাইলান মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন।
এ বিষয়ে মন্ত্রী হাছান সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে সৌদি আরবের সাথে আমাদের ফরেন অফিস কনসালটেশনের অগ্রগতি, চাকুরি নিয়ে সৌদি আরব যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদেরকে প্রতারণা থেকে রক্ষায় বাংলাদেশ-সৌদি আরবের যৌথ টাস্কফোর্স, সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের নিজ নামে ব্যবসা নিবন্ধন, চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে ৩০০ একর জমিতে সৌদি বিনিয়োগ-সহ দেশের অর্থনৈতিক খাতে সৌদি সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
#
আকরাম/শফি/রানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২৪/১৯২২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৮
মানুষের কল্যাণে ধর্ম নয় কর্মকে প্রাধান্য দেয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই):
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের সংবিধান দিয়েছেন যেটা অসাম্প্রদায়িক সংবিধান। আমরা যার যার ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে পালন করবো। এসময় মানুষের কল্যাণে নিজেদের ধর্ম নয় কর্মকে প্রাধান্য দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আজ রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণে উল্টোরথ যাত্রা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরে তিনি উল্টোরথ যাত্রার উদ্বোধন করেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকলে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশ স্বাধীন করেছ। আমাদের সকলের রক্ত লাল-মুক্তিযুদ্ধের সময় ধর্ম নিয়ে কোন বিভেদ হয়নি। তিনি বলেন, সততা ও নিষ্ঠার সাথে মনে প্রাণে প্রভূকে না ডাকলে শুধু রথের দড়ি ধরেই স্বর্গে যাওয়া যাবে না। প্রভূ জগন্নাথকে স্মরণ রাখতে হবে, আত্মীয় স্বজনের খোঁজ নিতে হবে। বিপদে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। উল্টোরথ যাত্রাকে মিলন মেলা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ মিলন মেলা যেন হারিয়ে না যায়। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ বিক্রি করেছেন, এটা করেছেন ওটা করেছেন বলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তারা। কিন্তু স্বাধীনতার সময় ভারত বাংলাদেশের জন্য যা করেছে বাঙালি জাতি হিসেবে তা স্মরণ করে যেতে হবে। প্রতিবেশী দেশের সাথে সুসম্পর্ক থাকলে উভয়ের লাভ হয় বলেও উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীরাই এখন ভারত বিরোধিতা করছে। তারাই সন্ত্রাসী ও মৌলবাদীদের হাতে দেশকে তুলে দিতে চায়। আমরা এটা হতে দিতে পারি না উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বাংলাদেশে আমরা ভালো আছি, আরো ভালো থাকতে চাই।
পরে ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে গিয়ে শেষ হয় উল্টো রথ যাত্রা।
উল্লেখ্য, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসবগুলোর অন্যতম শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। সনাতনীদের বিশ্বাস, জগন্নাথদেব হলেন জগতের নাথ বা অধীশ্বর। জগৎ হচ্ছে বিশ্ব আর নাথ হচ্ছেন ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ হচ্ছেন জগতের ঈশ্বর। এই বিশ্বাসেই প্রতি বছর পালিত হয় শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পালিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা। বর্ণিল সাজে ও বাদ্যযন্ত্রে তালে নেচে গেয়ে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরের উদ্যেশে উল্টো রথ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
#
কামাল/শফি/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৯০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৭
স্থির লক্ষ্য ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার সমন্বয় হলে সাফল্য আসবেই
-- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই):
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, স্থির লক্ষ্য ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার সমন্বয় হলে সাফল্য আসবেই। দলগত প্রচেষ্টা ও প্রতিষ্ঠানের একাগ্রতা সাফল্যের নেপথ্যে বড় অবদান রাখে। নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি সরবরাহের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কর্মকর্তাদের আরো আন্তরিক হয়ে কাজ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ২০২২-২৩ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ বিভাগ প্রথম এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ তৃতীয় হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করার পর বিষয়টি নিয়ে মন্তব্যকালে এসব কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, স্বাধীনতা পুরস্কার বা ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার অর্জন এবং শতভাগ বিদ্যুতায়ন বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে গ্রাহকদের আকাঙ্ক্ষা বেড়ে গেছে। সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ গ্রাহকদের এখন অন্যতম চাহিদা। প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা পূরণে সরকার এলএনজি আমদানির পাশাপাশি নিজস্ব উৎস থেকে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে। নতুন নতুন গ্যাস কূপ অনুসন্ধান, ওয়ার্কওভার কূপ খনন, গ্যাস উৎপাদন, এলএনজি আমদানি, জ্বালানি তেল আমদানি, গ্যাস ও তেল সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ, এলপি গ্যাসের ব্যবহার সম্প্রসারণ, আইন/বিধি/নীতিমালা প্রণয়ন ইত্যাদি লক্ষ্যমাত্রা বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কার্যক্রমের গতি ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, এপিএ বাস্তবায়নে ৫২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ ১০০-এর মধ্যে ৯৯ দশমিক ৯৬ পেয়ে প্রথম হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে দ্বিতীয় স্থান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রথম স্থান এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরেও এপিএ বাস্তবায়নে প্রথম স্থান অর্জন করেছিল। এপিএ সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিগত ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।
#
আসলাম/শফি/রানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২৪/১৮২৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৬
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই):
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী রবিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ সময় ৩৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৯৮ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৮ হাজার ৭১৯ জন।
#
দাউদ/শফি/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৭৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২০৫
প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে
--- স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই):
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, গ্রামাঞ্চলে এবং প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করাটাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আমি বিগত আটচল্লিশ ঘণ্টা উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্য সেবা বিশদভাবে পরিদর্শন করেছি। পঞ্চগড়, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী জেলা হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিক সব জায়গা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। প্রান্তিক পর্যায়ে জনগণের যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা যদি নিশ্চিত করতে না পারি, আমরা ঢাকায় বসে যতই লেকচার দেই কোনো লাভ হবে না।
আজ ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) কর্তৃক আয়োজিত ‘বিপর্যয়কর স্বাস্থ্য অভিঘাতের ফলে বাংলাদেশে দারিদ্র্য’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মানুষের উপকারে আসবে এমন প্রকল্প ও হাসপাতাল তৈরির কাজই আমরা করব। যেমন ক্যান্সার হাসপাতাল, কিডনি হাসপাতাল, হৃদরোগ হাসপাতাল ইত্যাদি। প্রত্যেকটা বিভাগীয় শহরে বার্ন ইউনিট, ক্যান্সার, কার্ডিয়াক, নেফ্রোলজির যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করাটা আমাদের লক্ষ্য। একটা দরিদ্র লো