তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১২৩
শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণেই দেশের মেগা প্রকল্পগুলো দৃশ্যমান
-- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী
খাগড়াছড়ি, ১৬ আশ্বিন (১ অক্টোবর) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃষিবান্ধব সরকার দেশের কৃষকদের ভাগোন্নয়নে বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষকদের জীবন ও মান বাঁচিয়ে রাখতে সরকার কষিখাতে ভর্তুকি প্রদান করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বের মর্যাদার আসনে স্থান করে নিতে দেশের উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণেই দেশের প্রতিটি সেক্টরসহ মেগা প্রকল্পগুলোর অভূতপূর্ব দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে।
আজ খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে স্ট্রেনদেনিং ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ইন চিটাগাং হিল ট্রাক্টস এসআইডি-সিএইচটি শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এডিপিতে বরাদ্দকৃত জিওবি’র অর্থায়নে কৃষকদের মাঝে কৃষি যন্ত্রপাতি ও বিভিন্ন কর্মসূচিতে অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
পার্বত্যমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য জেলার কৃষকরা বর্তমানে ধান কাটার মেশিন, পাওয়ার টিলার মেশিন, ধান মাড়াই মেশিন, পাওয়ার ফুট স্প্র্রে মেশিন, পানির পাম্প মেশিন অনায়াসে ব্যবহার করতে পারছে। এখানকার কৃষকরা এখন আধুনিক মেশিনগুলো চালানোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগসহ সব সেক্টরের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নিজে যুগোপযোগী কর্মপরিকল্পনা করছেন এবং তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করে দেশকে আজ স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কর্ফোস চেয়ারম্যান প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ বাসন্তী চাকমা, খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোহতাশিম হায়দার চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা, খাগড়াছড়ি মংসার্কেল রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শানে আলম বক্তব্য রাখেন।
পার্বত্যমন্ত্রী খাগড়াছড়ির কৃষকদের মাঝে কৃষি যন্ত্রপাতি ও সুবিধাভোগীদের বিভিন্ন অনুদানের চেক তুলে দেন। মন্ত্রী খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ হতে আপৎকালীন ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচিতে ১৪৬ জনকে ৫৭ লাখ টাকা, বিভিন্ন কর্মসূচিতে ৩৯১ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি টাকা এবং কৃষকদের মাঝে ৪ কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতি তুলে দেন।
এসময় খাগড়াছড়ি জেলা ডিজিএফআই শাখার ডেট কমান্ডার কর্ণেল আ স ম বদিউল আলম, খাগড়াছড়ি সদর জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল মো. আবুল হাসনাত, খাগড়াছড়ি এএসইউ কমান্ডার কর্ণেল ইশতিয়াক আহমেদ, খাগড়াছড়ি এনএসআই যুগ্ম পরিচালক ফিরোজ রাব্বানী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সকল উপজেলা চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, হেডম্যান-কারবারি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক, এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজুয়ান/পাশা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/২২৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১২২
সমন্বয় ও সক্ষমতা তৈরি ছাড়া সাইবার জগৎকে নিরাপদ করা যাবে না
--- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ আশ্বিন (১ অক্টোবর):
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সমন্বয় ও সক্ষমতা তৈরি ছাড়া আমাদের সাইবার জগৎকে নিরাপদ করা যাবে না। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে ডেটা শুধু পিপল, ডিভাইস, ওয়েব, বা অ্যাপের সাথেই নয় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং ইন্টারনেট অভ্ থিংস এর সাথেও যুক্ত হয়েছে, ফলে ঝুঁকির পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় এম আই এস টি মিলনায়তনে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও মিলিটারি ইনস্টিটিউট অভ্ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) এর যৌথ উদ্যোগে ÔMeasures and Preparedness for Emerging Cyber ThreatsÕ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতা এসব কথা বলেন।
পলক বলেন, সারা বিশ্বে প্রায় দশ ট্রিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সাইবার অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। আমাদের সবারই ইন্টারনেটে, ডিজিটাল ডিভাইস বা সাইবার ওয়ার্ল্ডের সাথে কোনোভাবে সংযোগ আছে। তিনি বলেন, পৃথিবীতে দুই ধরনের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছে, একদল জানে যে তারা সাইবার হামলার শিকার হয়েছে, আরেক দল জানেও না যে তারা সাইবার হামলার শিকার হয়েছেন। এসব ঝুঁকি থেকে বাঁচতে হলে আমাদের নিজেদের সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। যাতে এআই, মেশিন লার্নিং, ডেটা অ্যানালিটিক্সের ওপর আমরা এত বেশি পারদর্শী হই যাতে এইটার কোনো নেগেটিভ ইউজ আমাদের বিরুদ্ধে কেউ না করতে পারে। সেজন্য ইন্ডাস্ট্রি, অ্যাকাডেমিয়া এবং গভর্নমেন্ট একসাথে কাজ করতে হবে।
পলক বলেন, চারটি বিষয়ে আমাদের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে; এআই, রোবোটিক্স, মাইক্রোচিপ ডিজাইনিং এবং সাইবার সিকিউরিটি। এ বিষয়গুলোতে যদি আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দক্ষ এবং যোগ্য করে তুলতে পারি তাহলে আমরা ২০৪১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব’।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মেজর জেনারেল সাইদুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম ও বেসিসের সভাপতি রাসেলটি আহমেদ।
#
শহিদুল/পাশা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/২২০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১২১
সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার হার বেড়েছে
--- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ আশ্বিন (১ অক্টোবর):
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের আমলে দেশে সংস্কৃতি ক্ষেত্রে জাগরণ ঘটেছে। সে কারণে বর্তমান সময়ে সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার হারও আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের বাংলা সাহিত্য বিষয়ে পড়াশোনা করতে দেখা যেত। বর্তমান সরকারের উদ্যোগের কারণে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিষয়ের পাশাপাশি সংগীত, নাট্যকলা, চারুকলা, নৃত্যকলা, প্রত্নতত্ত্ব সহ সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার আগ্রহ বেড়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘নগর উপাখ্যান- পারসিভ’ আয়োজিত ‘World Heritage Voluntary (WHV) Program’ শীর্ষক দশ দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশে গেজেটভুক্ত ৫১৭টি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা রয়েছে। এসব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংস্কার-সংরক্ষণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতকাল জাতীয় জাদুঘরে আমাদের বিমূর্ত বা অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অনলাইন জাতীয় ইনভেন্টরির উদ্বোধন হয়েছে। এর মাধ্যমে আমাদের আরো বেশ কিছু সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ইউনেস্কো'র স্বীকৃতির অর্জন করবে এবং আমাদের প্রত্নতাত্ত্বিক সংস্কার-সংরক্ষণ কাজ আরো বেগবান হবে মর্মে আমার বিশ্বাস। কে এম খালিদ বলেন, সংস্কৃতিবান, সংস্কৃতি সচেতন মানুষসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে এগিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, তাঁরা হৃদয় দিয়ে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণ ও প্রসারে কাজ করে যাচ্ছেন, কোনো অর্থের মোহে নয়। সেজন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের সাধুবাদ জানাই।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোঃ ইমরুল চৌধুরী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম শাহনেওয়াজ। সম্মানিত অতিথি বক্তৃতা করেন ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের অফিসার-ইন-চার্জ সুজান ভাইজ। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বুলবুল আহমেদ। প্যারিস থেকে অনলাইনে বক্তব্য দেন Global Coordination World Heritage Volunteers Initiative এর পরিচালক Francesco VOLPINI. আলোচনা করেন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের Deakin University-এর অধ্যাপক মিজানুর রশিদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন 'নগর উপাখ্যান- পারসিভ' এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ফাতিহা পলিন।
উল্লেখ্য, ‘পারসিভ’ এর নগর উপাখ্যান বিভাগ দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করেছে World Heritage Voluntary (WHV) Program । এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো-‘ Interpretation of the terracotta plaque of the Buddhist Vihara at Paharpur, Bangladesh.’ উল্লেখ্য, এ ভলেন্টিয়ার প্রোগ্রাম আজ থেকে শুরু হয়ে আগামী ১০ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে এবং এ প্রোগ্রামে ভলেন্টিয়ার হিসাবে দেশ-বিদেশের স্থাপত্য, প্রত্নতত্ত্ব ও বিশ্ব ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করা শিক্ষক, গবেষক, লেখক এবং শিক্ষার্থীগণ অংশগ্রহণ করছেন।
প্রতিমন্ত্রী পরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বাউলকুঞ্জে একাডেমি আয়োজিত ১২ দিনব্যাপী (১-১২ অক্টোবর) ‘গণজাগরণের পালাগান উৎসব ২০২৩’ এর উদ্বোধন করেন।
#
ফয়সল/পাশা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১২০
নাগরিকদের অংশগ্রহণ ও সচেতনতা ডেঙ্গু প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ
---স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ আশ্বিন (১ অক্টোবর) :
ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব এ বছর বেশি কারণ আমাদের এখানে থেমে থেমে যে বৃষ্টি হয় তাতে এডিস মশার বংশবৃদ্ধিতে সহায়ক উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, শুধু সিটি কর্পোরেশন বা সরকারি সংস্থা দিয়ে এডিস মশাকে নির্মূল করা কঠিন কারণ এই মশাকে এলিট মশা বলা হয় যা পরিষ্কার পানিতে জন্ম নেয়। এডিস মশা নর্দমা কিংবা নালা বা খালবিল ও বনজঙ্গলে জন্ম নেয় না। এডিস মশার বংশবৃদ্ধি বাসা বাড়ি, ছাদবাগান, প্লাস্টিকের পরিত্যক্ত জিনিস, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ারে জমাটবদ্ধ পানি থেকে হতে পারে। এমনকি বাসার বাথরুমের কমোড দীর্ঘদিন ফ্লাশ না করলে তাতেও এডিস মশা জন্মানোর উপযুক্ত জায়গা। তাই যখনই থেমে থেমে বৃষ্টি হয় এবং তারপরে গরম পড়ে এ ধরনের আবহাওয়ায় আমাদের নাগরিকদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করা জরুরি। আমাদের সচেতনতাই ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব হ্রাস করতে সহায়তা করবে।
মন্ত্রী আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সারা দেশে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশন ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট অংশীজনের কার্যক্রম পর্যালোচনার লক্ষ্যে "ডেঙ্গু সহ মশাবাহিত অন্যান্য রূপ প্রতিরোধ বিষয়ক জাতীয় কমিটি" এর সভায় সভাপতিত্বকালে একথা বলেন। সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়ের মোঃ আতিকুল ইসলামসহ জাতীয় কমিটির অন্য সদস্যগণ।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় আমাদের নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে বলেন, তবে শুধু ব্যক্তির সচেতন হলে হবে না, সমাজের সবাইকে সচেতন হতে হবে। দশজন সচেতন হলেও একজন অসচেতন থাকলে সবার ডেঙ্গুর ভয়াবহতার মোকাবিলা করতে হতে পারে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় নাগরিক আন্দোলন জরুরি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সভায় জাতীয় কমিটির সদস্যদের ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা শোনেন। সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে নিজ উদ্যোগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান জোরদার করার ওপর সভায় গুরুত্ব আরোপ করা হয়। সভায় জানানো হয়, কেউ পূর্বে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে তাকে সাথে সাথে হাসপাতালে ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে। দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর অবস্থা খুব দ্রুত অবনতি হয় জানিয়ে এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে এবং এর চিকিৎসার বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে মিডিয়ার ভূমিকার ওপর সভায় গুরুত্ব আরোপ করা হয়। মসজিদ মন্দিরের দৈনন্দিন ও সাপ্তাহিক প্রার্থনার পরে ইমাম বা ধর্মীয় নেতাদের ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ওপর আলোচনার গুরুত্ব দেওয়া হয়। এছাড়া মোবাইলে বিটিসিএল এর মাধ্যমে সচেতনতামূলক মেসেজ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন কার্যক্রমে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে এতে কোনরকম গাফিলতি সহ্য করা হবে না বলেও উল্লেখ করা হয়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক ডেঙ্গুর মতো রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়বে উল্লেখ করে বলেন, এ পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সামাজিক আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।
#
হেমায়েত/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/২০১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১১৯
বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে অর্থায়নের সাথে সাথে প্রযুক্তি সহায়তা প্রয়োজন
-বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ আশ্বিন (১ অক্টোবর):
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে অর্থায়নের সাথে সাথে প্রযুক্তি সহায়তা প্রয়োজন। নিরাপদ, পরিষ্কার ও সাশ্রয়ীমূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহে সরকার কাজ করছে। ২০৪১ সাল নাগাদ জ্বালানি মিক্সে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত পরিষ্কার জ্বালানির অবদান থাকবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক পেটেরিস উসতাবস্ (Peteris Ustubs)-এর নেতৃত্বে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধির সাথে সভায় বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বর্তমানে নবায়নযোগ্য উৎস হতে প্রায় ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যৎ উৎপাদন করা হচ্ছে এবং ১০০টি প্রকল্পের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য উৎস হতে আরও প্রায় ১০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রক্রিয়া চলমান। নবায়নযোগ্য উৎস হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৯০ ভাগই বেসরকারি খাত থেকে হচ্ছে।
বায়ু বিদ্যুৎ ও অফসোর বায়ু বিদ্যুৎ নিয়েও সরকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করতে আগ্রহী। এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের সহযোগিতায় বিদ্যুৎ বিভাগ অফসোর বায়ুর সম্ভাব্যতা যাচাই নিয়ে কাজ করছে। ইউরোপের কয়েকটি দেশ অফসোর বায়ু বিদ্যুৎ নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এ নিয়ে কাজ করতে পারে। নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সঞ্চালন ও সাব-স্টেশন স্থাপনেও আমরা একসাথে কাজ করতে পারি। প্রতিমন্ত্রী এ সময় বলেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চূড়ান্ত অনুমোদন না করায় প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ চলে গেছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে এ বিনিয়োগ আসা উচিত। বাংলাদেশে রুফটপ সোলার দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পরিচালক পেটেরিস উসতাবস্ বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে ই-ইউ আগ্রহী। বাংলাদেশের নবায়ণযোগ্য জ্বালানির উন্নয়নে টেকনিক্যাল এসিসট্যান্স এবং ইনভেস্টমেন্ট গ্রান্ড-এর আওতায় ৭০ কোটি ৬০ লাখ ইউরো রয়েছে। বাংলাদেশ, ভূটান, ইন্ডিয়া, নেপাল এবং শ্রীলংকায় সমন্বিত নবায়নযোগ্য জ্বালানি, গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস, জ্বালানি নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নে ‘Energy Connectivity in South Asia’ শীর্ষক প্রকল্প নিয়ে ইইউ কাজ করছে। তাছাড়া ‘Partnership for Green Energy Transition in Bangladesh’ প্রকল্প স্রেডার মাধ্যমে NDC টার্গেট পূরণে সহায়তা করছে।
এ সময় Regional Electricity Market, EU Market, গ্রিডের উন্নয়ন, আঞ্চলিক সহযোগিতা, নেপাল হতে বাংলাদেশে ডেডিকেটেড সঞ্চালন লাইন, সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশে গ্রিন এনার্জি পরিবর্তনের অগ্রাধিকার, সহযোগিতা এবং বিনিয়োগের সুযোগের পাশাপাশি আঞ্চলিক জ্বালানি সংযোগের বিষয়ও আলোচনায় স্থান পায়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ এর রাষ্ট্রদূত চার্লস্ হুইটলি (Charles Whitely), হেড অব সেক্টর ফর সাউথ এশিয়া অড্রেই মাইলট (Audrey Maillot) ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
#
আসলাম/পাশা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৯৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১১৮
যুবসমাজই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মূল কারিগর
--- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ আশ্বিন (১ অক্টোবর):
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন তা বাস্তবায়নে যুবসমাজের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, আজকের যুব সমাজই ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। স্মার্ট নাগরিক ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করা যাবে না। নাগরিকদের স্মার্ট হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সকল ক্ষেত্রে আমাদের স্মার্ট হতে হবে। এই পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিবে কে দেবে প্রশ্ন রেখে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, আজকের যুবসমাজ ও ছাত্রছাত্রীরাই জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে নেতৃত্ব দেবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এ ড. আনোয়ারুল আবেদিন লেকচার সিরিজে ‘স্মার্ট বাংলাদেশের পথে যাত্রা : বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ’ শীর্ষক আলোচনায় মূল বক্তা হিসেবে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এআইইউবি এর ভাইস চ্যান্সেলর ডঃ কারমেন জেড. লামাগনা, আইবিএ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডঃ এর ফেরহাত আনোয়ার, জয়তুন বিজনেস সলিউশনের চেয়ারম্যান মোঃ আরফান আলী, বাংলালিংকের কর্পোরেট এবং রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স এর চিফ তাইমুর রহমান, এআইইউবি এর প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডঃ মোঃ আব্দুর রহমান।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ১৯৭১ সালে আমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। তাঁর আজীবনের আকাক্সক্ষা ছিল দেশের আপামর জনসাধারণের ভাগ্যের পরিবর্তন করা। ঘাতকের নির্মম বুলেট জাতির পিতাকে সেই স্বপ্ন পূরণ করতে না দিলেও তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলেছে। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ আর আমাদের স্বপ্ন নয়, তা বাস্তবায়িত হয়েছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সারা দেশে গ্রামীণ অবকাঠামো, রাস্তাঘাট উন্নয়ন, স্বাস্থ্যকর পানীয় জল সরবরাহ করে থাকে। এই খাতে বিগত পনেরো বছরের উন্নয়নের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন। আমাদের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা, ২১০০ সালের মধ্যে ডেলটা প্ল্যান বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে। এসবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ফলে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ২০০৯ সালে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তখন অনেকেই পিছনে এর সমালোচনা করেছিল কিন্তু উনি তা বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। আজকে স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্ন তিনি আমাদের দেখিয়েছেন তা বাস্তবায়নে শিক্ষক শিক্ষার্থীর সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রয়াস নিতে হবে। সেজন্য জ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যায় আমাদেরকে পারদর্শী হতে হবে। কারণ এ দেশটা আমাদের সবার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলার স্বপ্ন তখনই সত্যি হবে যখন আমরা একটি উন্নত, সমৃদ্ধিশালী এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।
#
হেমায়েত/পাশা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৯১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১১৭
তথ্যমন্ত্রীর সাথে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১৬ আশ্বিন (১ অক্টোবর):
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদের সাথে সাক্ষাত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি (Iwama Kiminori)।
আজ সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর দপ্তরে তাদের বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ‘গত ৫২ বছরে বাংলাদেশের পথচলায় জাপান অর্থনৈতিকভাবে, অবকাঠামোগতভাবে আমাদের যেভাবে সহায়তা করেছে সে নিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। দেশের উন্নয়নে ভবিষ্যতে যেনো আমরা আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারি সে জন্য তার সাথে আলোচনা করেছি।’
হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘তিনি আগামী নির্বাচন নিয়ে প্রসঙ্গ টেনেছেন, অবশ্যই আমি তাকে জানিয়েছি আগামী নির্বাচন ফ্রি, ফেয়ার এন্ড ট্রান্সপারেন্ট হবে এবং ইলেকশন অনুষ্ঠান করা সেটি নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। এবং ক্রমাগতভাবে নির্বাচন বর্জন করা যে, কখনো কারো জন্য সমীচীন নয়, সেটি আমি তাকে বলেছি। একইসাথে দেশে যাতে কোনো রাজনৈতিক ভায়েলেন্স না হয় যেটি ২০১৩-১৪-১৫ সালে হয়েছে এবং সময়ে সময়ে বিএনপি করে এবং এখনো করার চেষ্টা করছে, উস্কানি দিচ্ছে এ বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি আগামী নির্বাচন জনগণ এবং অনেক রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, সুন্দর সর্বমহলে কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে, সেটি আমি তার সাথে আলোচনায় বলেছি।’
‘সহিংসতা বরদাশত নয়’
এ সময় সাংবাদিকরা বিএনপির আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন করলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘দেশে কেউ সহিংসতা করুক সেটি কখনো বরদাশত করবো না। যে কেউ রাজনৈতিকভাবে আন্দোলন করতে পারে, সরকারের পদত্যাগও চাইতে পারে। কিন্তু সেটি বলে দিনক্ষণ ঠিক করে “সরকারকে টেনে নামিয়ে ফেলবে” সেটি বলা সমীচীন নয়, সেটি রাজনীতির ভাষা নয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘যে ভাষায় বিএনপি কথা বলছে, সেই ভাষা ইঙ্গিত দেয় তারা দেশে একটি সহিংসতা, নাশকতা করতে চায়। সেটি করতে কাউকে দেওয়া হবে না। আমি আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে বলছি, আওয়ামী লীগ রাজপথের দল, রাজপথে কীভাবে কাকে মোকাবিলা করতে হয় সেটি আমরা জানি।’
#
আকরাম/পাশা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৭৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১১৬
‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ ১৩ অক্টোবর শুভমুক্তি ঘোষণা,
ট্রেলার ও পোস্টার উদ্বোধন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর
ঢাকা, ১৬ আশ্বিন (১ অক্টোবর) :
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ আগামী ১৩ অক্টোবর শুভ মুক্তি ঘোষণা এবং ট্রেলার ও পোস্টার উদ্বোধন করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ রাজধানীর মিন্টো রোডে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল বলরুমে এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতার শেষাংশে চলচ্চিত্রটির মুক্তির তারিখ ঘোষণা লগ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এত খুশি যে, চার বছরের পথ পরিক্রমায় আজকে আমরা
‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি মুক্তি দিতে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ ১৩ই অক্টোবর এই ছবি সমগ্র বাংলাদেশে মুক্তি পেতে যাচ্ছে।’
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক, চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, বায়োপিক লাইন ডিরেক্টর সতীশ শর্মা অনুষ্ঠানে তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন ও শিল্পীদের নিয়ে মন্ত্রীর সাথে পোস্টার উন্মোচনে অংশ নেন। চলচ্চিত্র অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বিদেশ থেকে এ উপলক্ষ্যে পরিচালক শ্যাম বেনেগাল এবং বঙ্গবন্ধুর চরিত্রাভিনেতা আরিফিন শুভ’র পাঠানো ভিডিও বার্তা ও সিনেমাটির ট্রেলার দর্শকদের ছুঁয়ে যায়।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, ‘এই ছবি শুধুমাত্র একটি সিনেমা নয়, এটি বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক। ‘মুজিব : দ্য মেকিং অভ আ নেশন’, ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ ছবিতে বাংলাদেশের ইতিহাস, অভ্যুদয়ের ইতিহাস আছে কারণ এই বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র গঠিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে।’
হাছান বলেন, ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রটি জাতির জন্য একটি দলিল। এটি শুধু সিনেমা নয়, এই ছবিটি জাতির জন্য ইতিহাসের একটি দলিল। বঙ্গবন্ধু কীভাবে একটি জাতির রূপকার হলেন, সেটিই এই ছবিতে চিত্রায়িত হয়েছে।
সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে বহু নেতা স্বাধীনতার জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছে কিন্তু স্বাধীনতা আসেনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই প্রথম বাঙালি নেতা যার হাত ধরে স্বাধীনতা এসেছে। যিনি হ্যামিলনের বংশীবাদকের মতো মানুষকে এমনভাবে উদ্দীপ্ত করেছিলেন যে, মানুষ জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে হাজারে হাজারে নয়, লাখে লাখে মানুষ যুদ্ধে গেছে, দেশমাতৃকার তরে জীবন দিয়েছে, লাল সূর্য খচিত সবুজ পতাকা ছিনিয়ে এনেছে, তিনি শেখ মুজিব, বঙ্গবন্ধু মুজিব, জাতির পিতা মুজিব সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।’
চলমান পাতা-২
পাতা-২
হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘জাতির জন্য তার যে সংগ্রাম, তার যে ত্যাগ, তার যে দৃঢ়তা, ফাঁসির মুখোমুখি দাঁড়িয়েও তিনি কীভাবে অবিচল ছিলেন, সেগুলো এই ছবিতে উঠে এসেছে। সবচেয়ে বড় কথা যেটি সেটি হচ্ছে, ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক ঘটনার কথা আমরা জানি, কিন্তু সেই ঘটনা কোন জায়গায় কখনো চিত্রায়িত হয়নি, শুধু এই ছবিতে চিত্রায়িত হয়েছে এবং সেই ঘটনা দিয়েই এই ছবির সমাপ্তি ঘটেছে।’
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘এই ছবিটি আমি তিন চারবার দেখেছি এবং এই ছবি প্রথম জনসম্মুখে প্রদর্শিত হয় টরেন্টো ফিল্ম ফ্যাস্টিভ্যালে। সেখানে বাঙালির বাইরেও বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন। ২ ঘণ্টা ৫৮ মিনিট অর্থাৎ ৩ ঘণ্টার এ ছবি চলাকালে একটি মানুষ ১ মিনিটের জন্য নড়েনি এবং সেখানে কোনো বিরতি ছিল না। হলে ৩ ঘণ্টার এ ছবিতে বিরতি থাকবে। এতেই প্রমাণিত হয় যে,