Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২nd ডিসেম্বর ২০২২

তথ্যবিবরণী ২ ডিসেম্বর ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ৪৭৭৫

 

চট্টগ্রামে স্টার সিনেপ্লেক্স উদ্বোধন করলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

 

চট্টগ্রাম, ১৭ অগ্রাহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :   

 

দেশে এক চত্বরে বহু সিনেমা হলের সুবিধাসম্পন্ন সিনেপ্লেক্স স্থাপনের প্রবর্তক স্টার সিনেপ্লেক্সের চট্টগ্রাম শাখা উদ্বোধন করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ। এটি ঢাকার বাইরে স্টার সিনেপ্লেক্সের প্রথম শাখা।

 

আজ চট্টগ্রাম বন্দরনগরীর চকবাজারে বালি আর্কেডে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি’র সভাপতিত্বে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান বালি আর্কেডের পরিচালক সোলায়মান আলম শেঠ ও আর্কেডের প্রধান নির্বাহী আফতাব আলম শেঠ।

 

স্টার সিনেপ্লেক্সের মাতৃসংস্থা শো মোশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান রুহেল স্বাগত বক্তব্য দেন।

 

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, আমাদের অনেক সিনেমা বাঙালির স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছে এবং স্বাধীনতার পর দেশ গড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। মানুষকে নির্মল আনন্দ দেয়ার পাশাপাশি দেশ গঠন, তরুণ প্রজন্মকে বিপথগামী হওয়া থেকে রক্ষার ক্ষেত্রেও সিনেমা ব্যাপক ভূমিকা রাখে।

 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সিনেমা শিল্পের উন্নয়নের জন্য, সিনেমা হল নির্মাণের জন্য, বন্ধ হয়ে যাওয়া পুরনো হল নতুনভাবে চালু করার উদ্দেশ্যে এক হাজার কোটি টাকার স্বল্প সুদে ঋণ তহবিল চালু করেছে। সিনেমার অনুদানের অর্থ বাড়িয়েছে। আগে যেখানে ৪০ লাখ টাকা সর্বোচ্চ দেয়া হতো সেটি আমরা ৭৫ লাখ টাকায় উন্নীত করেছি এবং সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। আমাদের অনেক সিনেমা বিশ্বাঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছে, বিভিন্ন নামকরা পুরস্কার লাভ করেছে। 

 

ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন,          ‘বাংলা সিনেমা অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়েছে। আমরা অনেক কঠিন সময় অতিক্রম করেছি। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের সিনেমা শিল্প অনেক দূর এগিয়েছে। আমি অবাক হয়ে দেখেছি, গত অক্টোবর মাসে কলকাতায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে ‘হাওয়া’ মুভি দেখতে টিকিটের জন্য মানুষ এক কিলোমিটার লাইন ধরেছে। দুপুর দুইটায় শো শুরু হবে, সকাল ন’টা থেকে লাইন ধরেছে। এমন দৃশ্য আমি ভাবিনি।’

 

তিনি বলেন, আমি যখন স্কুলে পড়ি তখন চট্টগ্রাম শহরে ত্রিশটির মতো সিনেমা হল ছিল। এগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। আশার কথা হচ্ছে গত এক বছরে করোনা মহামারির মধ্যেও আমাদের বন্ধ হয়ে যাওয়া দুইশ’ সিনেমা হল নতুনভাবে চালু হয়েছে। স্টার সিনেপ্লেক্সসহ আরো সিনেপ্লেক্স চালু হচ্ছে। এ সময় ঢাকায় পাঁচটি শাখার পর চট্টগ্রামে স্টার সিনেপ্লেক্সের ষষ্ঠ শাখার এবং দেশের পুরো সিনেমা শিল্পের জন্য শুভকামনা ব্যক্ত করেন অতিথিবৃন্দ।

#  

 

আকরাম/এনায়েত/মোশারফ/রফিকুল/সেলিম/২০২২/২১৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৪৭৭৪

বর্ণাঢ্য আয়োজনে পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন

ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) : 

আজ রাজধানীতে বর্ণাঢ্য উৎসবের মধ্য দিয়ে পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি উদযাপিত হলো। পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানটি সকাল ৮.৩০ টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম। এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সত্যেন্দ্র কুমার সরকার, মোঃ আমিনুল ইসলাম, যুগ্মসচিব আলেয়া আক্তার, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এনডিসি, মোঃ হুজুর আলীসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

            পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে রাজধানীর বেইলী রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে ফেস্টুন উড্ডয়ন, শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত করা হয়। এরপর কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তিন পার্বত্য জেলার মহিলা সংরক্ষিত আসনের এমপি বাসন্তী চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা এনডিসি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে প্রথমে দুইটি কাজ করেন, যা পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হওয়ার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। প্রথমত, জিয়া পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের দ্বার উন্মোচন করেন এবং বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের বিভিন্ন জেলা হতে বাঙালিদের নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে পুনর্বাসন করেন। পাহাড়ি জনগোষ্ঠী জেনারেল জিয়ার সেই সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি। ফলে পুনর্বাসিত বাঙালিদের সাথে পাহাড়িদের এক অবশ্যম্ভাবী বিরোধের সৃষ্টি হয়। এভাবেই কয়েক হাজার উপজাতি পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে উদ্বাস্তু হয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে আশ্রয় নেয়।

সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরে একটি গুলিও ফোটানো হয়নি বা কাউকে জীবন বা প্রাণও দিতে হয়নি। খুনের বিনিময়ে খুন নয়, প্রতিশোধ নয়, একটা সুন্দর পরিবেশে পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ১৯৯৭ সালের ০২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর ফলে একটি শান্ত পরিবেশ গড়ে ওঠে ও সাধারণ মানুষের মনে ফিরে আসে স্বস্তি। মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে মাঝে মধ্যে যে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও সংঘাত হয় তা আমাদের সুখ দেবে না। তিনি সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ পরিহার করে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

#

রেজুয়ান/এনায়েত/মোশারফ/লিখন/২০২২/১৬২৭ঘণ্টা  

Handout                                                                                                                             Number :4773

Shipping Minister seeks support for

Sheikh Hasina’s greener maritime industry initiative at the IMO

 

London, 2 December:

State Minister for Shipping Khalid Mahmud Chowdhury has called on International Maritime Organisation (IMO) and major maritime partners to strengthen their support for Prime Minister Sheikh Hasina's initiatives towards a greener maritime industry in Bangladesh by 2050.

“In order to transition to a greener maritime industry, Bangladesh, Landlocked Developing Countries (LLDCs) and Small Island Developing States (SIDS) require financial, technological and knowledge support from IMO and major maritime partners”, the state minister said at Bangladesh’s side event titled '50 Years of Bangladesh Maritime Industry: The Road to Decarbonization', organized by Bangladesh High Commission, London during the 128th IMO Council held in IMO headquarters, London.

In reiterating Bangladesh's commitment to ratifying the Hong Kong Convention by 2023, he said, “Bangladesh is currently partnering with the IMO in its SENSREC project phase-III for safe and environmentally responsible ship recycling; and has already contributed substantially to global decarbonization by reducing, reusing, and recycling steel as the world's leading ship recycling nation.”

Bangladesh High Commissioner to the UK and Permanent Representative of Bangladesh to the IMO Saida Muna Tasneem in her opening remarks said, “The government under the pro-climate leadership of Prime Minister Sheikh Hasina has set a vision and a mission for decarbonization of the country’s shipping sector by 2050 in line with initial IMO GHG reduction strategy.”

The Permanent Representative of Bangladesh to IMO cited some studies including a UNCTAD report which showed evidence that Bangladesh alone, as a major ship recycling country, reduces around 2000 kgs of CO2 per metric ton of steel recycled, contributing significantly to decarbonisation to the maritime industry.

She called upon the IMO to initiate pilot projects for Bangladesh’s maritime sector to introduce new technologies for greener shipping in the country’s government and private shipping sectors.

Addressing the event, IMO Secretary-General Kitack Lim commended Prime Minister Sheikh Hasina's government for improving Bangladesh's ship recycling, environmental and safety standards. He also assured IMO’s continuous support to Bangladesh in its transition to a greener shipping industry. 

Speaking on the occasion, Secretary of the Ministry of Shipping, Ports and Waterways and the Head of the Indian delegation to the IMO Council, Dr. Sanjeev Ranjan, called for the full restoration of water connectivity between Bangladesh and India, which would be a significant step forward towards decarbonisation. In his remarks, he commended Prime Minister Sheikh Hasina for the great strides she had made in restoring connectivity between the two friendly neighbours.

Page-2

 

Director-General of the Department of Shipping, Bangladesh Commodore Md Nizamul Haq presented the keynote paper on Bangladesh's roadmap to achieving a greener shipping industry.

Ambassador and Permanent Representation of Brazil to International Organizations in London Marco Farani, Alternate Permanent Representative of Japan to IMO Kohei IWAKI, Deputy High Commissioner for Sri Lanka in the UK Samantha Pathirana and Deputy Director of IMO Tian Bing Huang participated in the panel discussions.

Following the event, a lunch reception was hosted by the Bangladesh delegation where Khalid Mahmud Chowdhury announced Director General of IMSO Moin Ahmed as Bangladesh's candidate for Secretary General at the IMO elections in 2023.

#  

 

Ashequn Nabi/Siraj/Enayet/Abbas/2022/1855 Hours

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর :৪৭৭২

ঢাকায় গারো সম্প্রদায়ের ওয়ানগালা উৎসব

 

ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) : 

নতুন ফসল ঘরে তুলতে নানা উৎসবের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তাকে উৎসর্গ করে পালিত হচ্ছে গারো সম্প্রদায়ের ওয়ানগালা উৎসব বা গারো নবান্ন উৎসব। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকায় বসবাসরত গারো সম্প্রদায়ের উদ্যোগে ঢাকার লালমাটিয়ায়, লালমাটিয়া হাউজিং সোস্যাইটি স্কুল ও কলেজ মাঠে আয়োজন করা হয়েছে দুই দিনব্যাপী ঢাকা ওয়ানগালা ২০২২। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গতকাল রাতে ঢাকা ওয়ানগালার উদ্বোধন করেন।

মন্ত্রী বলেন, ওয়ানগালা গারো সম্প্রদায়ের প্রধানতম উৎসব হলেও এ ধরনের  অনুষ্ঠান সমাজে সকল মানুষের মধ্যে একটি মেলবন্ধন তৈরি করবে। প্রকৃতি ও সৃষ্টির প্রতি ভালবাসা তৈরিতে মানুষের বিবেক জাগ্রত করবে। গারোসহ সকল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার খুবই আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের সময় যেভাবে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছিল, তেমনি এখন সবাই মিলে দেশটাকে গড়ে তুলতে হবে, যাতে সারা বিশ্বে আমরা গর্বিত জাতি হিসেবে নিজেরেদরকে পরিচিত করাতে পারি। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সরকারের গৃহিত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের  ২৮টি পাড়া কেন্দ্রকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে শিশুদের জন্য ডিজিটাল পাঠশালায় রূপান্তর করা হয়েছে। তিনি  পশ্চাদপদ অন্যান্য দুর্গম অঞ্চলে শিশুদের জন্য অনুরূপ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সব ধরণের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং, বাংলাদেশে আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন. বাংলাদেশ আদিবাসি ফোরামের সাধারণ সম্প্রাদক সঞ্জিব দ্রং এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য রেমন্ড আরেং বক্তৃতা করেন।

 এর আগে মন্ত্রী প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে ঢাকা ওয়ানগালা ২০২২ এর উদ্বোধন করেন। মন্ত্রী ওয়ানগালা উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।

ওয়ানগালা উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয় রাজ্য এবং বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলে বসবাসকারী সমতলের গারো জাতির লোকদের প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব। এটি ওয়ান্না নামে ও পরিচিত। প্রতিবছর সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসে গারো পাহাড়ে এটি পালিত হয়। ফসল তোলার এই উৎসব সৃষ্টি কর্তার উদ্দেশে উৎসর্গ করা হয়।

#

শেফায়েত/সিরাজ/লিখন/২০২২/১৬২৭ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                    নম্বর : ৪৭৭১

 

খালেদা জিয়ার জনসভায় যাওয়ার চিন্তা অলীক ও উদ্ভট

                                  ---তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

 

চট্টগ্রাম, ১৭ অগ্রাহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :   

 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির জনসভায় যাওয়া না যাওয়ার আলোচনা অবাস্তব ও এটি উদ্ভট অলীক চিন্তা।

 

আজ চট্টগ্রামের নেভী কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত সরকারি হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজের পুনর্মিলনী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে বেগম জিয়ার অংশ নেয়া নিয়ে বিএনপি নেতাদের আলোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এ কথা বলেন। 

 

মন্ত্রী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া দণ্ড ও সাজাপ্রাপ্ত আসামী, আদালত থেকে কোনো জামিন পাননি। তিনি নিজের জন্মের তারিখ বদলে দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে যেদিন হত্যা করা হয় সেই দিনটিতে জন্মদিনের কেক কাটেন। এরপরও বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায় তিনি কারাগারের বাইরে আছেন। এখন যদি তারা এ রকম চিন্তা করে থাকে তাহলে সরকার তাকে কারাগারে পাঠাতে বাধ্য হবে।’

 

বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বাদ দিয়ে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চাচ্ছে কেন-এ প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত: নয়া পল্টনের সামনে বড় জোর পঞ্চাশ হাজার মানুষ ধরে। অর্থাৎ তাদের জনসভায় যে পঞ্চাশ হাজারের বেশি মানুষ হবে না এটি তারা নিশ্চিত হয়েছেন। আর দ্বিতীয়ত: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, কার্যত স্বাধীনতাই ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং সেখানেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল। বিএনপি তো পাকিস্তানের দোসর, তাদের মহাসচিব বলেছেন পাকিস্তানই ভালো ছিল। সেই কারণে এই উদ্যান তাদের পছন্দ নয়।’

 

‘কিন্তু বড় জনসভার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানই হচ্ছে উত্তম এবং তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চেয়েছিল, তাদের চাওয়া অনুযায়ী উদ্যান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে' উল্লেখ করেন মন্ত্রী। 

 

বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে কি ব্যবস্থা-এ প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি তো বিশৃঙ্খলাই করতে চায়। সে কারণেই তারা নয়াপল্টনের সামনে সমাবেশ করতে চায়। কিন্তু সেই সুযোগ তাদের দেয়া হবে না। জনগণই তাদের প্রতিহত করবে।’

 

চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার প্রস্তুতি বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষ্যে পুরো চট্টগ্রামে সাজ সাজ রব পড়ে গেছে। ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষের মাঝে যে উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে, এতে আমরা নিশ্চিত যে এটা স্মরণকালের বৃহত্তম এবং লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ হবে ইনশাআল্লাহ।’

 

এর আগে মহসিন কলেজের প্রাক্তনীদের পুনর্মিলনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, কোনো বিদ্যাপীঠের কার্যক্রম শুধুমাত্র পাঠদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সেখানে একজন ছাত্র অনেক কিছু শেখে, তার বহুমুখী প্রতিভার বিকাশ ঘটে। তিনি বলেন, আমার স্কুলই আমার জীবনের ভিত রচনা করে দিয়েছে। একইভাবে কলেজেও সুমঙ্গল মুৎসুদ্দি স্যারসহ আরো অনেক শিক্ষক ছিলেন যাদের সান্নিধ্য না পেলে আমি আজকের এই জায়গায় দাঁড়াতে পারতাম না। চট্টগ্রামের অন্যতম সেরা এই কলেজের অ্যালামনাই এসোসিয়েশন আরো সমাজহিতৈষী কর্মসূচি নেবে যেগুলো সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেবে, আশাপ্রকাশ করেন ড. হাছান।  

 

মহসিন কলেজ অ্যালামনাই এসোসিয়েশন ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন একুশে পদকপ্রাপ্ত দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক। 

 

#  

 

আকরাম/সিরাজ/আব্বাস/২০২২/১৭৫৪ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ৪৭৭০

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ১৭ অগ্রাহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :   

 

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ। এ সময় ১ হাজার ৮৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।   

 

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে একজন মৃত্যুবরণ করেছে। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৩৪ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮৫ হাজার ৯৮৯ জন।

 

#   

 

কবীর/সিরাজ/আব্বাস/২০২২/১৭১৭ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৪৬৬৯

মেহেরপুরকে আদর্শ জেলা হিসেবে গড়ে তোলা হবে

               -জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

মেহেরপুর, ১৭ অগ্রাহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :  

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বর্তমান সরকারের সময়ে মেহেরপুরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, চিকিৎসাসহ সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে। এ জেলাকে উন্নয়নের ক্ষেত্রে আদর্শ জেলা হিসেবে গড়ে             তোলা হবে।

আজ মেহেরপুরে কুষ্টিয়া থেকে মেহেরপুর পর্যন্ত ‘কুষ্টিয়া-মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ আঞ্চলিক মহাসড়কের মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকর’ শীর্ষক প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। দেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। মেহেরপুরও সেই উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে নেই। মেহেরপুরকে একটি আদর্শ জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।

কুষ্টিয়া সড়ক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

#

শিবলী/মেহেদী/জুলফিকার/রবি/মাসুম/২০২২/১৫২০ ঘণ্টা

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৪৭৬৮

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহিদ, চাঁদপুরের বীর সন্তান জিয়াউর রহমান পাটওয়ারী রাজুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী 

ঢাকা, ১৭ অগ্রাহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :  

          প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ৩ ডিসেম্বর নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহিদ, চাঁদপুরের বীর সন্তান জিয়াউর রহমান পাটওয়ারী রাজুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মারকগ্রন্থ ‘সাহসিক’ প্রকাশ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহিদ, চাঁদপুরের বীর সন্তান জিয়াউর রহমান পাটওয়ারী রাজুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মারকগ্রন্থ ‘সাহসিক’ প্রকাশ করার উদ্যোগ নেওয়ায় ‘শহিদ রাজু স্মৃতি সংসদ’-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি আন্তরিক অভিবাদন ও ধন্যবাদ জানাই।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। পাকিস্তানি শোষকদের জেল-জুলুম-নির্যাতন তাঁকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথ থেকে সরাতে পারেনি। তাঁর অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ৩০ লক্ষ শহিদের আত্মত্যাগ এবং ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। তিনি বাঙালি জাতির জন্য একটি স্বতন্ত্র পরিচয় সৃষ্টি করেছেন এবং মাত্র সাড়ে তিন বছরেই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন করে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করেছিলেন।

অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়, ’৭৫-এর ১৫ই আগষ্ট স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করে সাধারণ মানুষের স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার কেড়ে নেয়। স্বৈরশাসকেরা তাদের বুট এবং বেয়নেটের খোঁচায় এদেশের মানুষের ভাগ্য লিখতে শুরু করে। আমাদের মহান মুক্তি সংগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস বিকৃত করে। আমি এবং আমার বোন বিদেশে অবস্থান করায় আমাদেরকে হত্যা করতে পারেনি। দীর্ঘ ছয় বছর আমাদের রিফিউজি হিসেবে বিদেশে অবস্থান করতে হয়েছে।  

আমি ১৯৮১ সালের ১৭ই মে দেশে ফিরে এসেই এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য লড়াই-সংগ্রাম শুরু করি। দেশে স্বৈরতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেই। গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কত তাঁজা প্রাণ ঝরে পড়েছে হিসেব নেই। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার-বিরোধী তুমুল আন্দোলন গড়ে ওঠে। এ আন্দোলনে অংশ নিয়েও বহু মানুষ প্রাণ বিসর্জন দেয় এবং স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটে। চাঁদপুর সরকারি কলেজের দ্বাদশ বাণিজ্য বিভাগের মেধাবী ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা জিয়াউর রহমান পাটোয়ারী রাজুও এ আন্দোলনে শহিদ হন। আমি শহিদ রাজুসহ বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহিদগণকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করি।

আমি বিশ্বাস করি, শহিদ জিয়াউর রহমান পাটওয়ারী রাজু স্মরণে প্রকাশিত গ্রন্থ ‘সাহসিক’ দেশে গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠায় আত্মত্যাগের উজ্জ্বল দলিল হিসেবে যুগে যুগে নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। আমি শহিদ জিয়াউর রহমান পাটোয়ারী রাজুর ৩২তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

#

ইমরুল/মেহেদী/জুলফিকার/রবি/মাসুম/২০২২/১১০০ ঘণ্টা

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                                                    নম্বর : ৪৭৬৭

আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী 

ঢাকা, ১৭ অগ্রাহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :

            প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ৩ ডিসেম্বর ‘৩১তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৪তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ৩১তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৪তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস-২০২২ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। দিবসটি উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই ।

এবারের আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘Transformative solutions for inclusive development: the role of innovation in fuelling an accessible and equitable world', অর্থাৎ 'অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য পরিবর্তনমুখী পদক্ষেপ: প্রবেশগম্য ও সমতাভিত্তিক বিশ্ব বিনির্মাণে উদ্ভাবনের ভূমিকা'- অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৯ (১) নম্বর অনুচ্ছেদে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ দেশের সকল নাগরিকের সুযোগের সমতা নিশ্চিত করেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারেও প্রতিবন্ধী জনগণের জীবনমান উন্নয়নের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাদের বাদ দিয়ে রাষ্ট্রের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই তাদেরকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে আমাদের সরকার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ বহুবিধ উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলেছে। দেশের প্রতিবন্ধী ও অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের ওয়ানস্টপ সার্ভিস প্রদানের লক্ষ্যে আমরা দেশের ৬৪টি জেলা ও ৩৯টি উপজেলায় মোট ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র চালু করেছি। প্রত্যন্ত এলাকার প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় থেরাপি- সংক্রান্ত সেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যে ৪৫টি ভ্রাম্যমাণ মোবাইল রিহ্যাবিলিটেশন থেরাপি ভ্যানের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করছি। প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার পথ অবারিত করতে সারাদেশে ৭৪টি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও ১২টি স্পেশাল স্কুল ফর চিলড্রেন উইথ অটিজম পরিচালনা করছি। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ক্ষমতায়নের প্রতীক হিসেবে ঢাকার মিরপুরে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫- তলাবিশিষ্ট মাল্টিপারপাস প্রতিবন্ধী কমপ্লেক্স ( সুবর্ণ ভবন) নির্মাণ করেছি। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত করতে প্রায় ৪৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা জেলার অদূরে সাভারে একটি আন্তর্জাতিক মানের ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়ন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতে বদ্ধপরিকর। আমার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে। আগামীর বিশ্বকে আমরা প্রতিবন্ধী/বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য কল্যাণকর বিশ্ব হিসেবে গড়ে তুলবো, যেখানে নিত্য নতুন প্রযুক্তি-জ্ঞান উদ্ভাবনের মাধ্যমে এ ধরনের মানুষের জীবনযাত্রা সহজতর হবে। আমরা ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে আমাদের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি। সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনকালে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। আমরা জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করছি। আমাদের সরকারের গৃহীত সকল উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের ফলে ২০৪১ সালের বাংলাদেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত হবে ইনশাল্লাহ।

প্রতিবন্ধী মানুষের সার্বিক উন্নয়নে আমি সরকারের পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের জনগণ, সংশ্লিষ্ট সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহবান জানাচ্ছি। আমি আশা করি, সকলের সম্মিলিত কর্মপ্রয়াসে সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে এদেশকে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত অসম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করব।

আমি ৩১তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৪তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস- ২০২২ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

ইমরুল/মেহেদী/জুলফিকার/রবি/মাসুম/২০২২/১১০০ ঘণ্টা

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ৪৭৬৬

আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) : 

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ৩ ডিসেম্বর ‘৩১তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৪তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৩১তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৪তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ দিনে আমি দেশের সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তাঁদে<

2022-12-02-15-58-279a3b07b0f2f4d896bc09c3dd230823.docx