তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৩৭
আইসিটি বিভাগের আয়োজন ‘এ্যাক্ট কোভিড-১৯ অনলাইন হ্যাকাথন’
দেশের তরুণদের অংশগ্রহণের আহ্বান আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর
ঢাকা, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল)
দেশের তরুণদের সহযোগিতায় করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ‘এ্যাক্ট কোভিড-১৯ অনলাইন হ্যাকাথন’ এর আয়োজন করা হয়েছে।
বর্তমান ও ভবিষ্যতের জাতীয় সংকট মোকাবিলার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে তৈরি “কলফরনেশন” প্লাটফর্মের প্রথম কার্যক্রম হিসেবে এই হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক প্রতিভাবান তরুণ আছে। নভেল করোনা ভাইরাসের ফলে যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, আমার বিশ্বাস, আমাদের তরুণদের উদ্ভাবন ও নেতৃত্ব দিয়েই এই পরিস্থিতির মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। এ কারণে এই প্লাটফর্মে আমি তাদের সকলকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। দেশকে কিছু দেওয়ার, এটাই তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ সুযোগ।’
উদ্ভূত পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে অনলাইন হ্যাকাথনে ৬টি বিষয় নিয়ে কাজ করা যাবে। এই বিষয়গুলো হচ্ছে স্যোসিও ইকোনোমিক্যালি ডিজএ্যাডভানটেজ পিপল, বিজনেস অপারেশন এন্ড প্রোডাকশন, হেলথ কেয়ার ইকুইপমেন্ট এন্ড ট্রিটমেন্ট, এ্যাকসেস টু ইনফরমেশন, মেন্টাল হেলথ এবং অন্যান্য। এর মধ্যে ‘অন্যান্য’ ক্যাটাগরিটিতে বর্তমান পরিস্থিতিতে সৃষ্ট হওয়া যে কোনো সমস্যা নিয়ে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
প্রতিযোগিতায় এই সকল সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের তরুণদের কাছ থেকে উদ্ভাবনীমূলক আইডিয়া, প্রকল্প, পরিকল্পনা প্রভৃতি চাওয়া হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নির্বাচিত ১০টি উদ্ভাবনকে আর্থিক সহযোগিতার জন্য সিড ফান্ড, কাঁচামালের যোগান ও উদ্যোগগুলোকে জাতীয় পর্যায়ে পরিচিত করার সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, https://callfornation.com/ লিংক থেকে হ্যাকাথনের বিস্তারিত নিয়ম কানুন জানা ও নিবন্ধন করা যাবে। অংশগ্রহণকারী এককভাবে বা দলগত ভাবেও হ্যাকাথনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। আগ্রহীদেরকে অবশ্যই উদ্ভাবনের প্রোটোটাইপ-সহ ২০ এপ্রিল এর মধ্যে প্রস্তাবিত প্রকল্প জমা দিতে হবে।
#
শহিদুল/রাহাত/সাবিনা/সেলিম/২০২০/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৩৬
আখাউড়ায় আইনমন্ত্রীর খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
ঢাকা, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল) :
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের ব্যক্তিগত অর্থায়নে তাঁর নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় দ্বিতীয় পর্যায়ে ৮০০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ শুরু হয়েছে। রোববার রাত থেকে আখাউড়া আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সহায়তায় ৮০০ পরিবারের মাঝে এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়।
খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে প্রতি পরিবারের জন্য ১০ কেজি চাল, এক লিটার তেল, দুই কেজি আলু, মসুর ডাল দুই কেজি, লবণ এক কেজি ও একটি সাবান। এসব খাদ্যসামগ্রী তিনদিনের মধ্যে রিকশা, অটো রিকশা ও ঠেলাগাড়ি চালক, ফেরিওয়ালা, ভিক্ষুক, ভবঘুরে, ফুটপাতের দোকানী, গৃহকর্মী, নৈশ প্রহরী ও শ্রমিক সহ দরিদ্র-অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেওয়া হবে। এজন্য আখাউড়ার ৫টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার ৫৪টি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং ওয়ার্ড ভিত্তিক ৮০০ পরিবারের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে প্রথম পর্যায়ে আখাউড়ার ৪০০ পরিবারের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
#
রেজাউল/রাহাত/সাবিনা/সেলিম/২০২০/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৩৫
দেশে বর্তমানে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইউরিয়া সার মজুদ আছে
ঢাকা, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল) :
দেশে বর্তমানে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইউরিয়া সার মজুদ আছে। সে সঙ্গে বিসিআইসি'র নিয়ন্ত্রণাধীন সকল সার কারখানাগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে উৎপাদন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ডিলারদের মাধ্যমে কৃষকদের নিকট এ সার পৌঁছে দিতে সহযোগিতার জন্য জেলা প্রশাসকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি)-এর সর্বশেষ তথ্য অনুসারে কর্পোরেশনের সার কারখানা ও গোডাউনসমূহে মোট ৯ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার মজুদ রয়েছে। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ইউরিয়ার মোট চাহিদা ২৫ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন এবং প্রায় ২২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন সার ইতোমধ্যে কৃষকদের নিকট সরবরাহ করা হয়েছে।
কাফকো-সহ বিসিআইসি'র নিয়ন্ত্রণাধীন কারখানাগুলোতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ জন্য পর্যাপ্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ব্লিচিং, মাস্ক এবং প্রয়োজনীয় পিপিই প্রদান করা হয়েছে বলে বিসিআইসি'র সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, ইউরিয়া সার পরিবহন, ডিলারের অনুকূলে বরাদ্দকৃত ইউরিয়া সার যথাসময় উত্তোলন করে সারাদেশে কৃষকদের নিকট পোঁছানোর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। বিসিআইসি'র সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে এ বছরের এপ্রিল মাসের ইউরিয়া সারের বরাদ্দ জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে প্রেরণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে মে ও জুন/২০২০ মাসের বরাদ্দও প্রেরণ করা হবে। তবে, যে সকল ডিলার এখন পর্যন্ত এ বছরের মার্চ মাসের বরাদ্দ মোতাবেক নির্ধারিত পরিমাণ ইউরিয়া সার উত্তোলন করেননি তাদের দ্রুত সার উত্তোলনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ৯ এপ্রিল পরিবহন কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীদের জরুরি সেবার অন্তর্ভুক্ত করে আদেশ জারি করেছে।
উল্লেখ্য, কৃষি উৎপাদনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ইউরিয়া সার শিল্প মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে বিসিআইসি সারাদেশে ২৯টি বিক্রয় কেন্দ্র থেকে প্রায় ৫ হাজার ৬০০ ডিলারের মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করে থাকে।
#
মাসুম/রাহাত/সাবিনা/সেলিম/২০২০/১৯৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৩৪
প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে কার্যকর সুপারিশমালা প্রণয়নের নির্দেশ শিল্পমন্ত্রীর
ঢাকা, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল)
করোনা মহামারির ফলে সৃষ্ট শিল্পখাতের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি কার্যকর সুপারিশমালা প্রণয়নের জন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে অতিক্ষুদ্র, কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাত কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সে বিষয়ে এখনই একটি কার্যকর নীতিমালা ও সুপারিশ প্রণয়ন করতে হবে। এ লক্ষ্যে তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিসিক, এসএমই ফাউন্ডেশন, এফবিসিসিআই, বিসিআই, নাসিব এবং ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেন।
শিল্পমন্ত্রী আজ তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের যথাযথ ব্যবহার, মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করণীয় বিষয়ে এক অডিও বার্তায় এ দিকনির্দেশনা দেন।
অডিও বার্তায় শিল্পমন্ত্রী বলেন, করোনার প্রভাবে তৃণমূল পর্যায়ে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প-কারখানার সঠিক তালিকা প্রণয়ন করতে হবে। প্রণোদনার অর্থের যাতে কোনো ধরনের অপব্যবহার না হয় এবং প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থরা যাতে এর সুফল পায়, সেজন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেন তিনি।
বার্তায় শিল্পমন্ত্রী বর্তমান পরিস্হিতিতে এসএমই উদ্যোক্তারা যাতে ই-কমার্স এর মাধ্যমে তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারেন, এসএমই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সে ধরনের উদ্যোগ নিতে ফাউন্ডেশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবজনিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিসিক শিল্পনগরীসমূহে পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্টস, স্যানিটাইজার, মাস্ক ও ঔষধ সামগ্রী, মেডিক্যাল অক্সিজেন, স্যালাইনের প্যাকেট-সহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় উপকরণের প্যাকেট এবং ওষুধ উৎপাদন অব্যাহত রাখতে বিসিক কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
#
জলিল/রাহাত/সাবিনা/সেলিম/২০২০/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৩৩
জেদ্দায় দুর্দশাগ্রস্ত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহায়তায় বাংলাদেশ মিশন
ঢাকা, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল)
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষিতে সৌদি আরবের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হওয়ায় জেদ্দা ও পশ্চিমাঞ্চলে যে সকল প্রবাসী বাংলাদেশি খাদ্য সংকটে পড়েছেন; বিশেষ করে কর্মহীন হয়ে পড়ায় যারা প্রচন্ড আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তাদের মাঝে জেদ্দাস্থ কনস্যুলেট জেনারেল বিশেষ সহায়তা কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সৌদি আরবে লকডাউন এবং কারফিউ জারি করা হয়েছে। এ অবস্থায় সৌদি সরকারের বিশেষ অনুমতি নিয়ে আজ থেকে জেদ্দায় বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ফয়সল আহমেদ এবং তাঁর সহকর্মীবৃন্দ বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেবার কার্যক্রম শুরু করেছেন। এ সময় প্রবাসীদের নিজ বাড়িতে অবস্থান করারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ইতোমধ্যে জেদ্দাস্থ কনস্যুলেট জেনারেল জেদ্দা ও পশ্চিমাঞ্চলে দুর্দশাগ্রস্ত প্রবাসী বাংলাদেশিদের তথ্য কনস্যুলেটকে সরবরাহ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এ প্রেক্ষিতে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী সাহায্যের জন্য আবেদন করেছেন। বিপদগ্রস্ত যেসব প্রবাসী এখনো আবেদন করেননি তাদের অবিলম্বে আবেদন করার আহ্বান জানিয়েছেন জেদ্দায় বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল।
#
তৌহিদুল/রাহাত/সাবিনা/সেলিম/২০২০/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৩২
গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজার খোলা স্থানে স্থানান্তরের নির্দেশ স্থানীয় সরকার বিভাগের
ঢাকা, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল)
দেশের অধিকাংশ গ্রামীণ হাট-বাজারগুলো সংকীর্ণ স্থানে অবস্থিত হওয়ায় সেগুলোকে খোলামেলা স্থানে স্থানান্তর করার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রশাসন-১ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত জিও জারি করা হয়। উল্লিখিত পত্রটি দেশের সব জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌরসভা মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে দেওয়া হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, দেশের গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ হাট-বাজার সংকীর্ণ স্থানে অবস্থিত। ফলে হাট-বাজারে অবস্থানরত ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়। বাজারগুলো তুলনামূলকভাবে খোলা স্থানে স্থানান্তর করা হলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
আদেশে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্রয়-বিক্রয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গ্রামীণ হাট-বাজার, কাঁচা বাজারগুলো পাশের স্কুলের মাঠ, খেলার মাঠ, খোলা জায়গায় স্থানান্তরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়।
#
হাসান/রাহাত/সাবিনা/সেলিম/২০২০/১৮৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৩১
চাল কালোবাজারিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ খাদ্যমন্ত্রীর
ঢাকা, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল)
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে খেটে খাওয়া ও কর্মহীন মানুষের জন্য প্রদত্ত ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল নিয়ে কোনো ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, ওএমএসের চাল কালোবাজারির সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। পাশাপাশি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও হুঁশিয়ারি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ওএমএসের চাল বিতরণ কার্যক্রমে অনিয়ম ও দুর্নীতি করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে বরখাস্ত ও ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় হতে এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর মিন্টো রোডে তাঁর সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ওএমএসের চাল কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করা-সহ তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের এ ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ-সহ প্রতিবেদন তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশও করোনা ভাইরাসজনিত প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলা করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা মোতাবেক আমরা সবাই একযোগে কাজ করছি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই দুর্যোগের ক্ষয়-ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
#
সুমন/রাহাত/সাবিনা/সেলিম/২০২০/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩২৯
বিদেশি লবিইস্টদের পেছনে অর্থব্যয় আর ঘরে বসে দোষ খোঁজা বাদ দিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়ান
-- বিএনপি'কে তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল)
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বিএনপি'র উদ্দেশে বলেছেন, 'বিদেশি লবিইস্টদের পেছনে অর্থব্যয় আর ঘরে বসে দোষ খোঁজা বাদ দিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়ান।'
আজ রাজধানীর মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবন থেকে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
এ সময় আক্ষেপ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'তাদের সিনিয়র নেতারা ক'দিন ধরে নানা বক্তব্য দিচ্ছেন। কিন্তু তারা (বিএনপি) জনগণের পাশে কোথায়! শহরে-গ্রামে কোথাও তাদের নেতা-কর্মীরা জনগণের পাশে নেই৷ তারা শুধু ঢাকা শহরে কয়েকটা লোক দেখানো ফটোসেশনে ব্যস্ত আর সেই ফটোসেশন করতে গিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা ছাড়া আর কিছু নেই।'
ত্রাণে অনিয়মের বিচার তৎক্ষনাৎ মোবাইল কোর্টে করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের কথা স্মরণ করিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'হাতে গোণা ত্রাণে অনিয়মের কয়েকটি ঘটনা নিয়ে বিএনপি যে কথা বলছে, তাতে তাদেরকে নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখতে বলবো। তারা ২০০১ সালে ক্ষমতায় গিয়ে পরপর পাঁচবার দেশকে দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছিল, যে কারণে তাদেরকে অনেকে 'বিশ্বচোর' বলেন। তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মামলা ঠেকাতে বিদেশি লবিইস্টদের পেছনে লাখ লাখ ডলার খরচ করেছে। জনগণের অনেকের ভাষায় যারা 'বিশ্বচোর', তাদের উদ্দেশে বলবো, বিদেশি লবিইস্টদের পেছনে লাখ লাখ ডলার খরচ না করে সেই টাকা জনগণের জন্য খরচ করুন।'
'আর ত্রাণে অনিয়ম সরকারের পুলিশই উদঘাটন করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে, বেসরকারি পুলিশ নয়' উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে সিটি কর্পোরেশন- জেলা- উপজেলা- ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায় পর্যন্ত সব মিলে ৭২ হাজারের মতো স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি রয়েছে। এর মধ্যে ৪৫টি মামলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার ১ জন চেয়ারম্যান ও ২ জন মেম্বারকে বরখাস্ত করেছে, যা আনুপাতিক হারে ২ হাজারের মধ্যে একটি ঘটনা, যদিও একটি ঘটনাও কাম্য নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গতকাল বলেছেন, এ ধরণের অনিয়মের সাথে জড়িতদের আগে মোবাইল কোর্টে বিচার হবে, পরে নিয়মিত মামলা।
বেগম জিয়ার মুক্তি কভার করতে যাওয়া গণমাধ্যমকর্মীর করোনায় আক্রান্তের খবরের প্রতিক্রিয়ায় ড. হাছান উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, 'করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় যেখানে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদ্যাপনের জনসমাগম অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে, সেখানে বেগম জিয়ার মুক্তিকালে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল-সহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের জমায়েত করে বিএনপি যে চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে, তার দায়ভার তাদেরই বহন করতে হবে।'
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর অন্তর্ভুক্ত বিশাল জনগোষ্ঠীর বাইরেও যারা খেটে খাওয়া মানুষ, তাদের জন্য এ করোনা পরিস্থিতিতে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত ৬৬ হাজার মেট্রিক টন চাল, ২৫ কোটি টাকা নগদ ও শিশুখাদ্যের জন্য পৃথক ২ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, জানান তথ্যমন্ত্রী।
ড. হাছান বলেন, এছাড়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ৫০ লাখ পরিবার অর্থাৎ আড়াই কোটি মানুষ বছরে ৭ মাস খাদ্য সহায়তা পেয়ে থাকে, যা বৃদ্ধির কথা ভাবছে সরকার। একইসঙ্গে ওএমএসের চালের দাম ৩০ টাকা থেকে ১০ টাকায় নামিয়ে এনে সারা দেশে ৬৮৯টি কেন্দ্রে মার্চ ও এপ্রিলে ৩৫ হাজার ৮২৮ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করছে সরকার। এছাড়া হাওরের কৃষকদের জন্য আলাদাভাবে ১০ টাকা কেজির ওএমএস চালু করেছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি সমাজকল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে যে সকল পদক্ষেপ নিয়েছেন, তার মধ্যে চলতি অর্থ বছরে ১৭ লাখ বিধবার জন্য বছরব্যাপী ১ হাজার ২০ কোটি টাকা, ৪৪ লাখ বয়স্ক মানুষের জন্য ২ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা বয়স্কভাতা, দুস্থ ১৬ লাখ মানুষের জন্য ১ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা, ভিজিডি-তে ১ হাজার ১৮২ কোটি টাকা, ভিজিএফ হিসেবে ২০ হাজারের বেশি মেট্রিক টন চাল দেয়া হচ্ছে, তুলে ধরেন তথ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, এভাবে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ১৪৪ উদ্যোগে ও করোনার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ত্রাণ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন, ব্যক্তি উদ্যোগ, জেলা প্রশাসন-সহ সরকারি দল, পুলিশের দেশব্যাপী নানান উদ্যোগে দেশের এক-তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ সরকারের সহায়তার আওতায় রয়েছে।
মন্ত্রী হাছান মাহ্মুদ বলেন, 'বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় দেশের এক-তৃতীয়াংশের বেশি মানুষকে যখন সরকার সহায়তা দিচ্ছে, তখন বিএনপি ঘরে বসে এ সকল কাজের দোষ খোঁজায় ব্যস্ত। চিরাচরিত এ অভ্যাস থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারেনি।'
#
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৩০
সাংবাদিকদের করোনা পরীক্ষায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ ব্যবস্থা
ঢাকা, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল)
সাংবাদিকদের কারো করোনা সংক্রান্ত পরীক্ষার প্রয়োজন হলে তাদেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ রাজধানীতে তাঁর সরকারি বাসভবনে সীমিতসংখ্যক সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ড. হাছান বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যদি কোনো সাংবাদিকের এ সংক্রান্ত পরীক্ষার প্রয়োজন হয়, তারা যোগাযোগ করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবেন।
হাছান মাহ্মুদ বলেন, জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে সাংবাদিকরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। সেই সঙ্গে সকল গণমাধ্যম কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সামগ্রী সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্যও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।
#
আকরাম/রাহাত/সাবিনা/সেলিম/২০২০/১৯১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩২৮
শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন ১৬ এপ্রিলের মধ্যেই পরিশোধের নির্দেশ শ্রম প্রতিমন্ত্রীর
ঢাকা, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল)
সকল শিল্প কলকারখানার শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন ১৬ এপ্রিলের মধ্যেই পরিশোধের জন্য মালিকদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। তিনি বলেন, এ নির্দেশ না মানলে বা উক্ত তারিখের মধ্যে বেতন প্রদানে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আজ এক বিবৃতিতে শ্রম প্রতিমন্ত্রী কারখানা মালিকদের প্রতি এ নির্দেশনা প্রদান করেন।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতার কথা মাথায় রেখে সরকারি নির্দেশনা মেনে শ্রমিকদের ঘরে থাকার আহ্বান জানান ।
#
আকতারুল/রাহাত/সাবিনা/সেলিম/২০২০/১৮২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩২৭
সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান শিল্প প্রতিমন্ত্রীর
ঢাকা, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল)
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সবাইকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থানের আহ্বান জানিয়েছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। তিনি বলেন, প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করছে। তাদেরকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা জনগণের দায়িত্ব।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকার মিরপুরের ইব্রাহীমপুর আদর্শ পল্লীতে দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য ও স্বাস্থ্য-সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণকালে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনাজনিত ক্রান্তিলগ্নে যারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তাদের জন্য খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করা হবে। তিনি এ সময় করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় গরিব-অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষদের কল্যাণে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
করোনা পরিস্থিতিতে আয়-রোজগারহীন নিম্নআয়ের মানুষদের সাহায্যার্থে শিল্প প্রতিমন্ত্রীর পক্ষ হতে আজ দু' হাজার পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হয়। এ সময় প্রত্যেক পরিবারের মাঝে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ১টি সাবান ও ১টি হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়।
#
মাসুম/রাহাত/সাবিনা/সেলিম/২০২০/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩২৬
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল)
রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর তথ্যানুযায়ী আজ দেশে নতুন করে আরো ১৮২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮০৩ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জন-সহ এ পর্যন্ত এ রোগে ৩৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৫শত ৭০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এদিকে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৬৪টি জেলায় ৯ এপ্রিল পর্যন্ত শিশু খাদ্য-সহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ২৮ কোটি ৪৫ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা জিআর (ক্যাশ) নগদ এবং ৬৫ হাজার ৯ শত ৬৭ মেট্রিক টন জিআর চাল জেলা প্রশাসকের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত এ সাহায্য দেশের সকল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে।
#
তাসমীন/রাহাত/সাবিনা/সেলিম/২০২০/১৮১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩২৪
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বাংলা নববর্ষ ১৪২৭ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“আজ পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ ১৪২৭। বাঙালির মহামিলনের আনন্দ-উজ্জ্বল দিন। আনন্দঘন এ দিনে আমি দেশে-বিদেশে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
চির নতুনের বার্তা নিয়ে আমাদের জীবনে বেজে উঠে বৈশাখের আগমনি গান। ফসলি সন হিসেবে মোঘল আমলে যে বর্ষগণনার সূচনা হয়েছিল, সময়ের পরিক্রমায় তা আজ সমগ্র বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে। বাঙালি জাতির অসাম্প্রদায়িক চেতনায় চিড় ধরাতে ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানি সামরিক সরকার বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনসহ সকল গণমুখী সংস্কৃতির অনুশীলন সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ ধর্মীয় ও গোষ্ঠীগত ভেদাভেদ ভুলে নববর্ষ উদ্যাপনে এক কাতারে শামিল হন। স্বাধীন বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে আয়োজিত বৈশাখী মঙ্গল শোভাযাত্রা বাঙালির এই মহামিলনে নতুন মাত্রা যুক্ত করে। মঙ্গল শোভাযাত্রা মানবসভ্