তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪১৪
তৈরিপোশাক শিল্পের উন্নয়নে মালিক-শ্রমিক সুসম্পর্ক প্রয়োজন
-- শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ই শ্রাবণ (৩১শে জুলাই):
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, তৈরি পোশাক শিল্পের উন্নয়নে মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক আরো বাড়াতে হবে। এ বিষয়ে বেশি বেশি গবেষণা আরো ভালা ফল দিতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীতে সিরডাপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ-এআইবিএস আয়োজিত বাংলাদেশের তৈরিপোশাক শিল্প; ব্যবসা, শিল্প সম্পর্ক এবং শ্রমিক অধিকার শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনা পরবর্তী সময়ে সরকার কারখানা ভবনের নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ নিরাপত্তা, অগ্নি নিরাপত্তা এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণে মালিক-শ্রমিক আইএলও, বিভিন্ন দাতা সংস্থা এবং একর্ড-অ্যালায়েন্স এর সহযোগিতা নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, রানা প্লাজা পরবর্তী সময়ে সরকার শ্রম আইন সংশোধন করেছে, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন সহজীকরণ করেছে এবং প্রতিটি কারখানায় নিরাপত্তা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক কারখানায় নিয়োজিত শ্রমিকদের কল্যাণে সরকার শ্রমিক কল্যাণ তহবিল গঠন করেছে। শতভাগ রপ্তানিমুখী তৈরিপোশাক কারখানা হতে মোট রপ্তানি আয়ের ০.০৩ ভাগ সরাসরি এখাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয়ের জন্য তহবিলে জমা করা হচ্ছে। গত ০১ জুলাই হতে ব্যাংকের মাধ্যমে সরাসরি অর্থ জমা হচ্ছে। এ তহবিল থেকে শ্রমিকদের কল্যাণে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া শ্রমিকদের কল্যাণে সরকার প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তৈরিপোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যত বাধাই আসুক রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে তৈরিপোশাক শিল্প আরো এগিয়ে যাবে এবং ২০২১ সালের মধ্যম আয়ের দেশ গঠনে বড় ভূমিকা রাখবে।
সেমিনারে এআইবিএস এর প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. গোলাম এম মাতবর এর সভাপতিত্বে এআইবিএস এর উপদেষ্টা ড. এ এস এম আতিকুর রহমান এবং এআইবিএস এর আবাসিক ফেলো সুদীপ্ত রায় বক্তৃতা করেন। সেমিনারে নিউয়ার্ক ব্রুকলিন ল-স্কুলের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শামতলী হক, সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের সমাজ কর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন এবং রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন একর্ড-অ্যালায়েন্স এর সুবিধা-অসুবিধা, তৈরিপোশাক শিল্পে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী এবং তৈরিপোশাক শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের অংশগ্রণে আমাদের অবস্থান কোথায়, এসব বিষয়ে তিনটি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
#
আকতারুল/আফরাজ/মোশাররফ/জয়নুল/২০১৬/ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪১৩
পাটকাঠি থেকে চারকোল উৎপাদন বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা
ঢাকা, ১৬ই শ্রাবণ (৩১শে জুলাই) :
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, পাটকাঠি থেকে অ্যাকটিভেটেড চারকোল উৎপাদন বাংলাদেশে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। এতে কৃষকরা পাট উৎপাদনে আরো বেশি আগ্রহী হবে। এতে সোনালী আঁশের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
আজ চারকোল উৎপাদন বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ কাদের সরকার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. মতিউর রহমান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় চারকোলের বিষয়ে জানানো হয়, দেশে প্রথম ২০১২ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে পাটকাঠি থেকে অ্যাকটিভেটেড চারকোল উৎপাদন শুরু হয়। ওই বছরই সর্বপ্রথম চীনে এ পণ্য রপ্তানি করা হয়। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর চাহিদা রয়েছে। দেশে এ পণ্য উৎপাদনের ব্যাপ্তি বাড়লে আগামীতে জাপান, ব্রাজিল, তুর্কিস্থান, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, কানাডা, মেক্সিকোসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চারকোল রপ্তানি সম্ভব হবে ।
বর্তমানে বিদেশে চারকোল দিয়ে ফেস ওয়াশ, ফটোকপিয়ারের কালি, পানির ফিল্টার, বিষ ধ্বংসকারী ওষুধ, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, দাঁত পরিষ্কার করার ঔষধ। বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনে এ কার্বন ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ১০ থেকে ১২টি চারকোল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো হল- সানবিম কর্পোরেশন, মাহফুজা এন্ড আহান এন্টারপ্রাইজ, জামালপুর চারকোল লিমিটেড ও রিগারো প্রাইভেট লিমিটেড। বর্তমানে জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে বাণিজ্যিকভাবে চারকোল উৎপাদন শুরু হয়েছে ।
আজ চারকোল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকদের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সভায় চারকোলের এ অবারিত সম্ভাবনার কথা উপস্থাপন করা হয়। এ সভায় আরো জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর প্রায় ৩০ লাখ টন পাটকাঠি উৎপাদিত হয় । এর মধ্যে যদি ৫০ ভাগ পাটকাঠি চারকোল উৎপাদনে সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়, তবে প্রতিবছর প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টন চারকোল উৎপাদন সম্ভব হবে। যা বিদেশে রপ্তানি করে প্রতিবছর প্রায় ২ হাজার ৫’শ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। ফলে দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।
চারকোল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এ শিল্পকে একটি উদীয়মান শিল্প হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও পাটজাত পণ্য হিসেবে ২০ ভাগ ক্যাশ ইনসেনটিভ দেয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এ শিল্প বিকাশে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত বা সহযোগী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের সুযোগ দিতে হবে। এ শিল্পের জন্য দ্রুত পৃথক নীতিমালা তৈরি করতে হবে। এছাড়া এ শিল্পের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা ও ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
#
সৈকত/আফরাজ/মোশাররফ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৬/২০৪৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪১২
পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভা
ঢাকা, ১৬ই শ্রাবণ (৩১শে জুলাই):
আজ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জুলাই ২০১৬ এর মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের জন্য ভিডিও ক্লিপিংস ও স্থিরচিত্রসহ পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে প্রতিটি সভায় উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে অন্যান্য প্রকল্পের সাথে পানি ও পানীয় জল ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বাস্তবভিত্তিক প্রকল্প গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে প্রকল্পের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। প্রকল্পসমূহ যথাযথ বাস্তবায়নে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কামাল উদ্দিন তালুকদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান তরুণ কান্তি ঘোষ, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ প্রতিনিধি, পার্বত্য এলাকায় চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালক এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
জুলফিকার/আফরাজ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/২০১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪১১
দুদকের কৌশলগত পরিকল্পনা নিয়ে এনআইএস ফোকাল কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়
ঢাকা, ১৬ই শ্রাবণ (৩১শে জুলাই) :
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলপত্র (এনআইএস) ফোকাল কর্মকর্তাদের (বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা) সাথে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) খসড়া কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা ২০১৬-২০২১ এর ওপর এক মতবিনিময়সভা আজ কমিশনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
মতবিনিময়সভায় সভাপতির বক্তব্যে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি পরিসেবা পৌঁছে দেয়া প্রতিটি সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। জনসাধারণও ঘরে বসেই সরকারি পরিসেবা পেতে চান। কিন্তুু সরকারি সেবাগ্রহীতাদের সেবা পেতে নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। যেমন : দেশে হাজার হাজার চিকিৎসক থাকলেও অনেকেই কর্মস্থলে থাকেন না। দেশে শিক্ষা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। কিন্তু শ্রেনিকক্ষে কী পড়ানো হচ্ছে সে বিষয়ে আলোচনা কম। আমাদের শিক্ষকগণ আমাদের সন্তানদের কী পড়াচ্ছেন তা নিয়ে সকলের আগ্রহ বাড়ছে। দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের অনেক শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে আসেন না। এগুলোও দুর্নীতি। তিনি বলেন, আমার মতে বিবেকের বাইরে যা কিছু করা হয় তাই দুর্নীতি।
তিনি বলেন, দুর্নীতি শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়, এটি এখন বৈশ্বিক সমস্যা। তাই সহ¯্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রায় দুর্নীতির বিষয়টি না থাকলেও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি) দুর্নীতির বিষয়টি গুরুত্বসহকারে এসেছে।
এনআইএস ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিটি মন্ত্রণালয় বা বিভাগে দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করা আপনাদের দায়িত্ব। তাই আপনারা প্রকল্পের দিকে লক্ষ্য রাখবেন। যদি বুঝতে পারেন প্রকল্প বা অন্য ক্ষেত্রে দুর্নীতি হচ্ছে তাহলে কমিশনকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের কোন ঘাটতি বা দুর্বলতা নেই।
মতবিনিময়সভায় কমিশনের পক্ষে স্বাগত বক্তব্য দেন কমিশনের কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, আলোচনা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কমিশনার ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা বেগম, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরিচালক রওশন আর জামান, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এস এম মাহবুবুল আলম, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আমিনুল ইসলাম খান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. মোস্তফা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব শফিক আহমেদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শায়লা ফারজানা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ওহাব খান।
#
প্রণব/আফরাজ/মোশাররফ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৬/২০২২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪১০
মাউশি’র ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে হবে
---শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ই শ্রাবণ (৩১শে জুলাই) :
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে নিবেদিতপ্রাণে দায়িত¦ পালনের জন্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় মাউশি প্রধান কার্যালয় শিক্ষাভবন চত্বরে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তকরণ, শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলিতে দুর্নীতি নিয়ে পত্রপত্রিকাসহ গণমাধ্যমে নানা খবর প্রচারিত হয়। মাউশি’র মতো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে গুরুত¦পূর্ণ দেশব্যাপী বিস্তৃত একটি অধিদপ্তরের এ ধরনের দুর্নাম মেনে নেয়া যায় না।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দুর্নীতি করে কেউ রেহাই পাবে না। কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয় শীর্ষক এ মতবিনিময়ভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. অরুণা বিশ্বাস ও ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন এবং প্রকল্প পরিচালক শ্যামা প্রসাদ ব্যাপারীও বক্তব্য রাখেন। মাউশি’র মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
#
সাইফুল্লাহ/আফরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৬/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪০৯
বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৬ই শ্রাবণ (৩১শে জুলাই):
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দেশে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো অন্য যে কোনো বিকল্প খাদ্য খাওয়ানোর তুলনায় পরিবেশগতভাবে একটি টেকসই ও অন্যতম পদ্ধতি। মায়ের দুধ শিশুর পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। শিশুর স্বাস্থ্য, উন্নয়ন ও বেঁচে থাকার মাঝে সংযোগ সাধন করে। পূর্ণ শিক্ষাগত সম্ভাবনা ও অর্থনৈতিক উৎপাদনশীলতা অর্জন নিশ্চিত করে। এ প্রেক্ষিতে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০১৬ এর প্রতিপাদ্য ‘ইৎবধংঃভববফরহম : অ শবু ঃড় ঝঁংঃধরহধনষব উবাবষড়ঢ়সবহঃ!’ অর্থাৎ ‘শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো : টেকসই উন্নয়নের অন্যতম চাবি-কাঠি!’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
আমাদের সরকার মাতৃ ও শিশু পুষ্টি উন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে গত সাড়ে সাত বছরে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। আমরা মাতৃত্বকালীন ছুটি বেতনসহ ৬ মাসে উন্নীত করেছি। সরকারি-বেসরকারি অফিসে ব্রেস্টফিডিং কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল থেকে কর্মজীবী মায়েদের ভাতা দেয়া হচ্ছে। মাতৃদুগ্ধ ও ঘরের তৈরি পরিপূরক খাবার কার্যক্রমকে জোরদার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করছি। দেশের প্রতিটি হাসপাতালে একজন করে পুষ্টিবিদ নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। আমরা মাতৃদুগ্ধ বিকল্প শিশুখাদ্য এবং বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও এর ব্যবহারের সরঞ্জামাদি (বিপণন নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেছি। নতুন পুরাতন মিলিয়ে ৫৯৪টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে শিশুবান্ধব হাসপাতালে পরিণত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা হয়েছে।
শিশুকে মায়ের দুধ ও ঘরে তৈরি খাবার খাওয়ানোর হার বৃদ্ধি এবং এ সংক্রান্ত প্রচার আরো জোরদার করতে আমি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান, জাতীয় পুষ্টি সেবা ও বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনসহ সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে আরো এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। এ সংক্রান্ত আইনের সঠিক ও কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলে আরো ভূমিকা রাখবে - এটাই আমার প্রত্যাশা।
আমি বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০১৬ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
নূর এলাহি/আফরাজ/মোশাররফ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৬/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪০৮
আত্মহত্যা রোধে জনমত গড়ে তুলতে হবে
----তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ই শ্রাবণ (৩১শে জুলাই) :
হত্যা ও আত্মহত্যা রোধে জনমত গড়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। সেইসাথে এ দু’অপরাধকে জঙ্গিদের আশ্রয় বলেও বর্ণনা করেন তিনি।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমির নাট্যশালা ভবন সভাকক্ষে আসাদ সরকার নির্মিত ‘স্টপ সুইসাইড’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রথম প্রদর্শনী উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, হত্যা ও আত্মহত্যা উভয়ই মহাপাপ। জঙ্গিরাও এ দু’অপরাধের আশ্রয় নেয়। এ ধরনের ধ্বংসাত্মক প্রবণতা অবশ্যই বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। তিনি এসময় চলচ্চিত্র নির্মাতা আসাদ সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, আত্মহত্যা ও হত্যারোধে ব্যাপক জনমত গড়ে তোলার জন্য সরকারের পাশাপাশি কবি, সাহিত্যিক, চলচ্চিত্রকার ও শিল্পীদের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে।
তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা আসাদ সরকারের সভাপতিত্বে প্রদর্শনীপূর্ব সভায় শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এধরনের চলচ্চিত্র নির্মাণকে উৎসাহিত করে বলেন, শিল্প-সাহিত্যের চর্চা মানুষকে সুন্দরভাবে বাঁচতে প্রেরণা যোগায়। তাই শিল্প-সাহিত্য চর্চাকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিশেষ গুরুত্বদান অব্যাহত রাখতে হবে।
সভাশেষে কুড়ি মিনিটের ‘স্টপ সুইসাইড’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রথম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
#
আকরাম/আফরাজ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/১৯১৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪০৭
দক্ষ মানবসম্পদই টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি
-- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ই শ্রাবণ (৩১শে জুলাই):
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দক্ত মানবসম্পদই টেকসই উন্নয়নে কার্যকরী অবদান রাখবে। দক্ষ ও যোগ্য জনসম্পদ ছাড়া সরাসরি জনগণের কাক্সিক্ষত সেবা প্রদান করা সম্ভব নয়। সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণে রেখে উপযুক্ত করে গড়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আজ বিদ্যুৎভবনে আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস ডে-২০১৬ উপলক্ষে আয়োজিত গ্রাহকসেবার মানোন্নয়নে প্রি-পেইড মিটার শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। পেশাদারী মনোভাব নিয়ে কাজ করতে পারলে দ্রুতই বাংলাদেশ উন্নত থেকে উন্নততর হবে। তিনি বলেন, যোগ্য নেতৃত্বে সময়োপযোগী সিদ্ধান্তই ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ইসতিয়াক আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর ২৩ জুন আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস ডে পালিত হয়। এ দিবসকে সামনে রেখে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের একটি সেবা সহজীকরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রি-পেইড মিটার ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ সাশ্রয়, বিদ্যুতের অপচয় এবং গ্রাহক ভোগান্তি কমবে। আগামী ৫ বছরে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা
১ কোটি ৩২ লাখ ৩৫ হাজার ৭৩৪টি যা মোট গ্রাহকের শতকরা ৬২ ভাগ।
#
আসলাম/আফরাজ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৯৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর :২৪০৬
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে
-- বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ই শ্রাবণ (৩১শে জুলাই):
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, সরকার বিমান এবং বিমানবন্দরের সেফটি এবং সিকিউরিটি শতভাগ নিশ্চিতকল্পে সবকিছু করতে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ। ইতোমধ্যেই বিমান বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উন্নত প্রশিক্ষণসহ বিমানবন্দরে আধুনিক নিরাপত্তা সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়েছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বিমান সদরদপ্তর বলাকায় বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও নিরাপত্তায় করণীয় সম্পর্কিত সভায় এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে বিমান কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশকে যাতে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ক্ষেত্র বানাতে না পারে সেজন্য জঙ্গিবাদ নির্মূলে সরকারের পাশাপাশি প্রতিটি ব্যক্তির সামাজিক ও নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। সবাইকে এ দায়িত্ব পালনে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে।
বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) ইনামুল বারীর সভাপতিত্বে সভায় বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন সচিব এস এম গোলাম ফারুক, জেনারেল ম্যানেজার (নিরাপত্তা) মেজর (অব.) মো. আলী মোস্তফা মামুন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার দেবব্রত বণিক, বিমান ফ্লাইং এশোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান ও বিমান সিবিএ সভাপতি মািশকুর রহমান বক্তব্য রাখেন।
বৈঠকে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সরঞ্জামাদি ক্রয়, এপিবিএন, ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের সাথে সমন্বয়, সিকিউরিটি কনসালটেন্ট কোম্পানি রেড লাইনের কার্যক্রম, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং, কার্গো কমপ্লেক্সসহ আসন্ন হজ্জ ফ্লাইট সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনা সংক্রান্ত আলোচনা হয়।
#
তুহিন/আফরাজ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৯২৭ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪০৫
ত্রাণসামগ্রী বিতরণে অনিয়ম হলে কোন ক্ষমা নেই
---- ত্রাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ই শ্রাবণ (৩১শে জুলাই) :
বন্যা দুর্গতদের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে অনিয়ম করলে কোন ধরনের ক্ষমা নেই বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম।
আজ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে উদ্ভাবনী মেলা ২০১৬ এর উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে প্রচুর খাদ্য মজুত আছে, এখান থেকে বন্যার্তদের জন্য যত প্রয়োজন খাদ্য বিতরণ করা হবে। দেশের বিপদগ্রস্ত মানুষদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়াই সরকারের মূল লক্ষ্য বলে জানান মন্ত্রী। এ ক্ষেত্রে ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম বা সময় মতো ত্রাণ বিতরণ করা না হলে শাস্তি পেতে হবে। জেলা হেডকোয়ার্টার ছেড়ে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মন্ত্রী কর্মকর্তাদের আহবান জানান।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, কেবল আওয়ামী লীগ সরকারই বিপদগ্রস্ত বন্যার্তদের এখন পর্যন্ত সহযোগিতা করেছে এবং এটা অব্যাহত আছে। অন্য কোন রাজনৈতিক দল এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোন উদ্যোগ নেয়নি। দেশে হাজার হাজার বিত্তবান মানুষ আছে। কিন্তু দুর্গত মানুষের পাশে কেউ দাঁড়ায়নি। সরকারের পাশাপাশি দেশের সকল মানুষকে বন্যার্তদের সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসার আহবান জানান মন্ত্রী।
এ সময় মন্ত্রী জানান তিনি, মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মহাপরিচালক আগামীকাল থেকে তিনদিনের জন্য বন্যা প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন। এর আগে তিনি মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও জামালপুর সফর করেন। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিবদের নিয়ে গঠিত মনিটরিং টিম প্রত্যেক জেলার ত্রাণকার্য চালানোর জন্য দুর্গত এলাকায় রওয়ানা হয়েছেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. শাহ্ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ সম্ভু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ প্রমুখ।
উদ্ভাবনী মেলায় দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কর্মকর্তারা অংশ নেন এবং এ সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
পরে মন্ত্রী দুর্যোগের বিভিন্ন সতর্কবার্তা সংবলিত গম্ভীরা গান উপভোগ করেন। এরপর তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রযুক্তির উপস্থাপনার স্টল ঘুরে দেখেন। মেলায় বিভিন্ন উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা শতাধিক স্টলে তাদের নিজস্ব উদ্ভাবনী প্রযুক্তি প্রদর্শন করেন।
#
ওমর/আফরাজ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/১৯১২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪০৪
জঙ্গিবাদে অর্থায়ন ঠেকাতে সমবায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর সতর্ক দৃষ্টি প্রয়োজন
-- এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ই শ্রাবণ (৩১শে জুলাই):
এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো হতে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের মতো অপতৎপরতায় অর্থায়ন যাতে না হয় সেজন্য সর্বস্তরের সমবায়ী ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সতর্ক দৃষ্টি রাখা অপরিহার্য। শিগগিরই সমবায় খাতের বেহাত সম্পত্তি উদ্ধারে বিশেষ অভিযান শুরু করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বিসিআইসি মিলনায়তনে বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ২৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা ২০১৬ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মো. নজরুল ইসলাম বাবু, সমবায় নিবন্ধক মো. মফিজুল ইসলাম, পল্লি সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. মিহির কান্তি মজুমদার, সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নূরে আলম সিদ্দিকী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে বেসরকারি খাতে ব্যাপক শিল্পায়নের ফলে বিমা কোম্পানিসমূহের কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে। সমবায়ীদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে চারদশক ধরে বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সফলতার সাথে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে। এ অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে প্রতিষ্ঠানের সদস্য, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে সেবাধর্মী মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। তিনি সমবায় অঙ্গনের দূরবস্থা অবসানের ঘোষণা দিয়ে বলেন, সড়ক পরিবহণ সমিতি ও মিল্কভিটাকে কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্সের সেবার আওতায় আনা হবে।
বিভিন্ন জেলায় বাংলাদেশ কোÑঅপারেটিভ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ৮০৩টি সমবায় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এতে করে প্রত্যক্ষভাবে লক্ষাধিক সমবায়ী উপকৃত হচ্ছেন।
#
আহসান/আফরাজ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৬/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪০৩
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়া হয়েছে
-- বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ই শ্রাবণ (৩১শে জুলাই) :
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিদেশি ব্যবসায়ী ও কূটনীতিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। সরকারের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে পরিস্থিতি এখন প্রায় স্বাভাবিক। আশা করা হচ্ছে আগামীতে এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা আর ঘটবে না। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দেশবাসী এখন ঐক্যবদ্ধ। ধর্মের নামে যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করছে, সে বিষয়ে দেশের আলেম সমাজ বিবৃতি দিয়েছে, মসজিদে মসজিদে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বয়ান হচ্ছে। বাংলাদেশে বিদেশিদের উদ্বিগ্ন হবার কারণ নেই।
মন্ত্রী আজ ঢাক