তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩১৭৭
বগুড়ায় টিএমএসএসএর দখলে থাকা করতোয়া নদীর ১০ দশমিক ৭৫ একর জমি উদ্ধার
ঢাকা, ২৬ চৈত্র (৯ এপ্রিল):
বগুড়ায় করতোয়া নদীর প্রায় ১৭ একর জমি অবৈধ দখলমুক্ত করতে আজ অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। অভিযানে ১০ দশমিক ৭৫ একর একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযানে ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের (টিএমএসএস) এর দখলে থাকা ভূমির উপর গড়ে তোলা একটি গ্লাস ফ্যাক্টরি-সহ ১১টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে টিএমএসএসের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বিসিএল গ্লাস ফ্যাক্টরির কয়েকটি স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়। জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা জানান, বিসিএল গ্লাস ফ্যাক্টরির অবৈধ অংশ নদীর জমিতে গড়ে তোলা হয়েছিল। তিনি বলেন, টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাস, অক্সিজেন প্লান্ট ও শহিদ মিনারও নদীর জমিতে তৈরি করা হয়েছে। সেগুলোও ধাপে ধাপে উচ্ছেদ করা হবে।
জেলা প্রশাসক জানান, ১৯৯৪ সাল থেকে টিএমএসএস করতোয়া নদীর বিভিন্ন অংশে বর্জ্য ফেলে জমি দখল করতে থাকে। এই নিয়ে কয়েকবার ভূমি জরিপ হয়। তবে আগে কখনও জমি উদ্ধার করা যায়নি। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে জরিপে দেখা যায়, টিএমএসএস ১৬ দশমিক ৯৭ একর নদীর জমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। নদী কমিশনের জরিপেও একই তথ্য উঠে আসে।
এরপর ফেব্রুয়ারিতে টিএমএসএস-কে অবৈধ দখল ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু দখল না ছেড়ে তারা আদালতে মামলা করে এবং একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। পরবর্তীতে দো তরফা শুনানির পর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও মামলা খারিজ হলে অভিযান চালানো হয়।
জেলা প্রশাসক বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নদীর জমি কাউকে লিজ দেওয়ার অধিকার কারও নেই। নদীর জমি উদ্ধার কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।
বগুড়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহিয়ান মুন্সেফ ও আবু শাহমার নেতৃত্বে এবং যৌথ বাহিনীর সহায়তায় ঠেঙ্গামারা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। উক্ত উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগিতা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, বাংলাদেশপানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং নেসকো, বগুড়া ইত্যাদি।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
#
দীপংকর/রানা/রফিকুল/শামীম/২০২৫/২২৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩১৭৬
আসন্ন বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সাড়ে ১৭ লাখ টন ধান ও চাল কিনবে সরকার
ঢাকা, ২৬ চৈত্র (৯ এপ্রিল):
আসন্ন বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সাড়ে ১৭ লাখ টন ধান ও চাল কিনবে সরকার। এর মধ্যে সাড়ে তিন লাখ টন ধান এবং ১৪ লাখ টন চাল কেনা হবে। প্রতি কেজি ধান ৩৬ টাকা এবং প্রতি কেজি চালের সংগ্রহ মূল্য ৪৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজ সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ (এফপিএমসি) কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভাপতি অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার-সহ কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় ধান চালের পাশাপাশি ৩৬ টাকা দরে গম কেনারও সিদ্ধান্ত হয়।
আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে ধান-চাল সংগ্রহ শুরু হবে এবং আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এ সংগ্রহ অভিযান চলবে। বোরো ধান ও চালের উৎপাদন খরচ বাড়ায় গত বছরের থেকে এবার সংগ্রহ মূল্য বাড়ানো হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় যে উৎপাদন খরচ দিয়েছে তার সঙ্গে লাভ যুক্ত করে ধান ও চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
#
ইমদাদ/মাহমুদুল/রানা/রফিকুল//জয়নুল/২০২৫/২০৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩১৭৫
বাংলাদেশ থেকে আরো বেশি জনশক্তি নেওয়ার জন্য সৌদি রাষ্ট্রদূতকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান
ঢাকা, ২৬ চৈত্র (৯ এপ্রিল):
বাংলাদেশ থেকে আরো বেশি জনশক্তি নেওয়ার জন্য সৌদি রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।
উপদেষ্টার সঙ্গে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে সৌদি আরবের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত Essa Bin Yousef Bin Essa AlDuhailan সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।
সৌদি আরবে বসবাসরত বৈধ পাসপোর্টবিহীন ৬৯ হাজার বাংলাদেশি নাগরিকদের অনুকূলে পাসপোর্ট ইস্যু/রি-ইস্যু সংক্রান্ত বিষয়াদি-সহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম বৃহৎ অংশীদার। একক দেশ হিসেবে সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী কাজ করছে। বর্তমানে সৌদি আরবে ৩ দশমিক ২ মিলিয়ন বাংলাদেশি বিভিন্ন খাতে কর্মরত হয়েছে। এটিকে ৪ মিলিয়নে উন্নীত করতে তিনি রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন।
বাংলাদেশের উন্নয়নে সৌদি আরবের সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, জনশক্তি রপ্তানির পাশাপাশি দু'দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন ও সংস্কৃতি-সহ বিভিন্ন খাতে প্রভূত সহায়তা বিদ্যমান। তিনি বলেন, সৌদি আরব সবসময় বাংলাদেশের পাশে ছিলো, অদূর ভবিষ্যতেও থাকবে। তিনি আরো বলেন, করোনাকালীন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তান-সহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সৌদি আরবের ফ্লাইট বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশের সঙ্গে তা সচল ছিলো।
রাষ্ট্রদূত বলেন, রাজকীয় সৌদি সরকারের গৃহীত নীতি অনুযায়ী সেদেশে বসবাস ও চাকরি করা-সহ আইনগত সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য বৈধ পাসপোর্ট থাকা আবশ্যক। সৌদি সরকারের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশি পাসপোর্ট/ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে সেদেশে প্রবেশ করেছেন কিন্তু বর্তমানে কোনো বৈধ পাসপোর্ট নেই এমন লোকের সংখ্যা আনুমানিক ৬৯ হাজার। তিনি বলেন, সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের আলোচনায় ৬৯ হাজার ব্যক্তির পাসপোর্ট ইস্যু/নবায়নের জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ জানিয়ে আসছিলো। উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে দু'দেশের মধ্যে একটি প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়েছিলো এবং এতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মোঃ খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি-সহ স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
ফয়সল/মাহমুদুল/রানা/ফেরদৌস/রফিকুল/শামীম/২০২৫/২০৪০ঘণ্টা
Handout Number: 3174
Anti-pollution drive: 1,355 kg banned
Polythene seized, illegal brick kilns fined Tk 4.8 million
Dhaka, 9 April:
The Department of Environment (DoE) has taken a firm stance on environmental protection. Today. Multiple mobile court drives were conducted across the country to enforce environmental laws, resulting in legal actions against several violators. In Feni and Dinajpur districts, two mobile courts fined illegal air-polluting brick kilns a total of Tk 4.8 million in 11 cases. During the drives, chimneys and raw bricks of three illegal brick kilns were demolished.
In Dhaka's ECB Chattar area, a mobile court seized 1,355 kg of banned polythene from an illegal polythene production and distribution facility. The factory was sealed, and its electricity supply was disconnected. The action was taken under Section 6(a) of the Bangladesh Environment Conservation Act, 1995 (Amended 2010).
Additionally, a mobile court in Khilgaon fined Tk 15 thousand in two cases under the Air Pollution Control Rules, 2022, for causing air pollution through unmanaged construction materials.
Under the Noise Pollution (Control) Rules, 2006, mobile courts in Ramna and Magura imposed fines of Tk 14 thousand in 11 cases and confiscated 10 hydraulic horns.
According to the Department of Environment, such enforcement drives will continue regularly to ensure environmental protection.
#
Dipankar/Mahmudul/Rana/Ferdows/Rafiqul/Joynul/2025/2020 hour
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩১৭৩
দূষণবিরোধী অভিযানে ১ হাজার ৩৫৫ কেজি নিষিদ্ধ
পলিথিন জব্দ, অবৈধ ইটভাটায় ৪৮ লাখ টাকা জরিমানা
ঢাকা, ২৬ চৈত্র (৯ এপ্রিল):
পরিবেশ সংরক্ষণে কঠোর অবস্থান নিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। আজ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পরিচালিত মোবাইল কোর্ট অভিযানে পরিবেশবিধি লঙ্ঘনের দায়ে একাধিক দোষী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিন ফেনী ও দিনাজপুর জেলায় বায়ু দূষণকারী অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে পরিচালিত দুইটি মোবাইল কোর্ট ১১টি মামলায় মোট ৪৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে। অভিযানে তিনটি ইটভাটার চিমনি ও কাঁচা ইট ভেঙে ধ্বংস করা হয়।
ঢাকা মহানগরের ইসিবি চত্তর এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাত করার অপরাধে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট অভিযানে ১ হাজার ৩৫৫ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে একটি অবৈধ কারখানা সিলগালা এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ অপরাধ বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ৬(ক) ধারার লঙ্ঘন।
এছাড়া বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা-২০২২ অনুসারে নির্মাণ সামগ্রী দ্বারা বায়ু দূষণের অভিযোগে খিলগাঁও এলাকায় পরিচালিত মোবাইল কোর্ট ২টি মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে।
শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ অনুসারে রমনা ও মাগুরা এলাকায় দু’টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে মোট ১১টি মামলায় ১৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং ১০টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পরিবেশ রক্ষায় নিয়মিতভাবে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
#
দীপংকর/মাহমুদুল/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৫/২০১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩১৭২
চৈত্র সংক্রান্তির ছুটি ঘোষণা করায়
সরকারকে পার্বত্যবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান পার্বত্য উপদেষ্টা
ঢাকা, ২৬ চৈত্র (৯ এপ্রিল):
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, বিজু উৎসব চাকমা সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান আনন্দ-উৎসব। পার্বত্য এলাকার রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি বান্দরবান সর্বত্র বিজু মেলা চলছে। গিলা খেলা, বলি খেলা ও বিভিন্ন ধরনের আনন্দদায়ক খেলা চলছে সেখানে। তিনি বলেন, মেলা উপলক্ষ্যে তিন জেলায় ৬শ’ মেট্রিক টন চাল, খাদ্যশষ্য, ৪৫০ মেট্রিক টন গম দেওয়া হয়েছে।
আজ রাজধানীর বেইলি রোডে বিসিএস ফরেন সার্ভিস একাডেমি অডিটোরিয়ামে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রেস উইং আয়োজিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নববর্ষ উৎসব সংক্রান্ত প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন।
সুপ্রদীপ চাকমা আরো বলেন, পাহাড়ি-বাঙালি আমরা সবাই ভাই ভাই হিসেবে কাজ করতে চাই। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন আমাদের এক করে দিয়েছে। এ সময় তিনি চৈত্র সংক্রান্তিতে উৎসব উদ্যাপনের জন্য পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জন্য ছুটি ঘোষণা করায় বর্তমান সরকারকে পার্বত্যবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।
উপদেষ্টা বিজু উৎসব সম্পর্কে বলেন, বাংলা বছরের শেষ দুই দিন ও নববর্ষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়। এইদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই ছেলেমেয়েরা বেরিয়ে পড়ে ফুল সংগ্রহের জন্য। সংগ্রহিত ফুলের একভাগ দিয়ে বুদ্ধকে পূজা করা হয় আর অন্যভাগ জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। বাকি ফুলগুলো দিয়ে ঘরবাড়ি সাজানো হয়। চৈত্র মাসের শেষ দিন অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল পালন করা হয় মূল বিজু। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পাহাড়ে বসবাসকারী জনপদগুলো এই দিনে মেতে ওঠে ভিন্ন এক আনন্দে।
সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের সহকারী প্রেস সেক্রেটারি সুচিস্মিতা তিথি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজুয়ান/মাহমুদুল/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৫/২০৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩১৭১
হজ প্রশিক্ষণ হজের আনুষ্ঠানিকতা পালনকে সহজ করবে
- ধর্ম উপদেষ্টা
ঢাকা, ২৬ চৈত্র (৯ এপ্রিল):
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, প্রশিক্ষণ মানুষকে কুশলি করে তোলে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই কর্মে সিদ্ধিলাভ করা যায়। যত বেশি মনযোগ সহকারে হজ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা যাবে হজের আনুষ্ঠানিকতা পালন তত বেশি সহজ হবে। তিনি হজযাত্রীদেরকে মনোনিবেশ সহকারে প্রশিক্ষণ গ্রহণের অনুরোধ জানান।
আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে হজযাত্রী প্রশিক্ষণ ২০২৫ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা আরো বলেন, হজব্রত পালনে শারীরিক কষ্ট ও অর্থ ব্যয়ের প্রশ্ন জড়িত রয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিবহন সেবা নাও পাওয়া যেতে পারে। পায়ে হেঁটে মিনা-আরাফা-মুজদালিফায় যেতে হতে পারে। হাজিদেরকে কষ্ট বা ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতা থাকতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করতে হবে।
হজযাত্রীদেরকে ভাগ্যবান অভিহিত করে ড. খালিদ বলেন, হজ ভাগ্যের ব্যাপার। টাকা কিংবা বিত্তবৈভব থাকলেই হজ করা যাবে, একথা ঠিক নয়। অনেকের টাকা থাকা সত্ত্বেও আজ যাবে, কাল যাবে করে যেতে পারে না। মানুষ যখন মায়ের পেটে থাকে তখনই কে কতদিন দুনিয়ায় থাকবে, কী পরিমাণ রিজিক পাবে, সৎকর্ম করবে কি না, হজ করতে পারবে কি না-এ বিষয়গুলো নির্ধারিত হয়ে যায়।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, অসৎপথে উপার্জিত অর্থে হজ কবুল হবে না। হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, কোনো দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, সুদখোর, ঘুষখোররা যখন হারাম শরীফে গিয়ে বলে আল্লাহ আমি হাজির, তখন ফেরেশতারা সমস্বরে বলতে থাকে তোমার হাজিরা কবুল হয়নি। তিনি সকলকে সৎপথে অর্থ উপার্জনের অনুরোধ জানান।
হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মতিউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন ধর্ম সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক, হজ এজেন্সীজ এসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার, হজ অনুবিভাগের যুগ্মসচিব ড. মঞ্জুরুল হক ও হাবের মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার।
উল্লেখ্য, ঢাকা জেলার বেসরকারি মাধ্যমে হজযাত্রীদের মধ্য হতে দু’টি ব্যাচে সাত শতাধিক হজযাত্রীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে।
#
আবুবকর/মাহমুদুল/রানা/ফেরদৌস/রফিকুল/শামীম/২০২৫/১৯৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩১৭০
নৈতিকতা শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান
--- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
ঢাকা, ২৬ চৈত্র (৯ এপ্রিল):
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, নৈতিকতা শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। নৈতিকতার প্রসঙ্গটা আমাদের শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাপ্ত হওয়া প্রয়োজন। মুখস্থ করা নয় বরং বাস্তব জীবনে নৈতিকতা প্রতিফলিত হওয়া দরকার। নৈতিকতার মানে দায়িত্ববোধ, কর্তব্যবোধ, পরিবেশের প্রতি মমত্ববোধ এসব শিশু বয়সে আয়ত্ত করা প্রয়োজন। তাহলে ভবিষ্যতে শিশুরা সঠিক পথে পরিচালিত হবে।
উপদেষ্টা আজ ঢাকায় সেগুনবাগিচাস্থ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্ট আয়োজিত ‘মোরাল এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে দেশপ্রেমিক, আদর্শবান ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে দেশব্যাপী ‘মোরাল এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’ বাস্তবায়ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্ট।
বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফ মাসুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র মোঃ ফারুক হাসান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. শফিউল আজম, শিক্ষক ঐক্য জোটের নেতা জাকির হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সৈয়দ হাবিবুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রিন্সিপাল নুরে আলম তালুকদার এবং সদস্য মাসুম বিল্লাহ।
#
জাহাঙ্গীর/মাহমুদুল/রানা/ফেরদৌস/রফিকুল/জয়নুল/২০২৫/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩১৬৯
গাজীপুর সাফারি পার্কে দুর্লভ প্রাণী নিখোঁজের ঘটনায় কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে
- উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান
গাজীপুর, ২৬ চৈত্র (৯ এপ্রিল):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, গাজীপুর সাফারি পার্কের দুর্লভ প্রাণী হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। শুধু চাকরিচ্যুতি নয়, এমন শাস্তি দিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের গাফিলতি করার সাহস না পায়।
আজ গাজীপুর সাফারি পার্ক পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা জানান, পার্কে ঘুরে তার মনে হয়েছে কিছু প্রাণী প্রাকৃতিক পরিবেশের অনুরূপ পরিবেশে থাকলেও অনেক প্রাণীর জীবনমান পর্যাপ্ত নয়। কিছু হাতি ও জাগুয়ারের আচরণগত অস্বাভাবিকতা তাঁকে উদ্বিগ্ন করেছে। তিনি বলেন, এই পার্ক দর্শনার্থীদের জন্য শুধু বিনোদনের নয়, বরং প্রাণীর প্রতি ভালোবাসা ও সহমর্মিতা শেখার স্থান হওয়া উচিত।
সাম্প্রতিক প্রাণী নিখোঁজের ঘটনায় রিজওয়ানা হাসান বলেন, একটি লেমুর হারিয়ে গেলে বুঝতে হবে ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি আছে। দায়িত্বপ্রাপ্তদের সাথে কথা বলে সিসিটিভি ও নিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি চিহ্নিত করা গেছে। তিনি জানান, তদন্তে স্বচ্ছতা আনতে বন্যপ্রাণী ও অপরাধ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
বন বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে পরিবেশ উপদেষ্টা আরো বলেন, সরকারি প্রকল্প এলেই কাজ করবে- এমনটা হতে পারে না। সাফারি পার্ক একটি জাতীয় সম্পদ। এর উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে নিয়মিত বরাদ্দ ও সদিচ্ছা প্রয়োজন। তিনি জানান, হাতিদের জন্য শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড ও ভারতের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে এবং ক্যাপটিভ হাতিদের কল্যাণে নতুন একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, যারা গাজীপুরে থাকেন, তাদেরকেই প্রথম দায়িত্ব নিতে হবে এই জাতীয় সম্পদ রক্ষা করার জন্য। প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা রোধ, অবৈধ পাখি বিক্রি বন্ধ, ও নিখোঁজ প্রাণী উদ্ধারে প্রশাসনের পাশাপাশি জনসচেতনতাও জরুরি।
বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো: আমীর হোসাইন চৌধুরী, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন, পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো: যাবের সাদেক, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক সানাউল্লাহ পাটোয়ারী, সেন্ট্রাল সার্কেলের বন সংরক্ষক এ এস এম জহির উদ্দিন আকন, গাজীপুর সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পরে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান পরিদর্শন করেন এবং বন বিভাগের চম্পা সম্মেলন কক্ষে গাজীপুরস্থ বন অধিদপ্তর এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। তিনি এসময় গাজীপুর পরিবেশ ও বন সংরক্ষণে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি কর্মকর্তাদের কাছে সমস্যার কথা শোনেন এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
#
দীপংকর/মাহমুদুল/রানা/ফেরদৌস/সঞ্জীব/শামীম/২০২৫/১৯২০ঘণ্টা
Handout Number: 3168
Environment Advisor Rizwana Hasan takes firm
stance on missing animals at Gazipur Safari Park
Gazipur, 9 April:
Syeda Rizwana Hasan, Advisor to the Ministry of Environment, Forest and Climate Change, has stated that those responsible for the disappearance of rare animals from the Gazipur Safari Park will face strict punishment. “Dismissal alone is not enough. The punishment must be exemplary so that no one dares to show such negligence in the future,” she said during a press briefing today following her visit to the park.
Expressing her concern, the Advisor noted that while some animals appeared to live in conditions resembling their natural habitat, many were not enjoying an adequate quality of life. She found behavioral abnormalities in certain elephants and jaguars particularly disturbing.
“This park should not merely be a center for recreation,” she said. “It ought to be a place where people, especially children, learn empathy and care for wildlife.”
Referring to the recent disappearance of a lemur, Advisor Rizwana Hasan remarked that such an incident clearly reflects a lapse in management. After discussions with park officials, she identified gaps in CCTV coverage and security arrangements. To ensure transparency in the investigation, she announced the formation of a robust probe committee comprising experts in wildlife and environmental crime.
Addressing forest department officials, Rizwana Hasan cautioned, “Government projects are not meant to be activated only when funds are released. The Safari Park is a national asset. Its development and upkeep require regular allocations and genuine commitment.”
Rizwana Hasan also revealed that discussions are underway with experts from Sri Lanka, Thailand, and India regarding the welfare of captive elephants. A new project focused on improving their wellbeing is awaiting approval.
‘The residents of Gazipur must take the lead in protecting this national treasure,’ the Advisor emphasized. “Curbing cruelty to animals, preventing illegal bird trade, and recovering lost wildlife demand both administrative vigilance and public awareness.”
Present during the visit were Chief Conservator of Forests Md Amir Hossain Chowdhury; Gazipur Deputy Commissioner Nafisa Arefin; Superintendent of Police Dr. Chowdhury Md Zaber Sadeque; Conservator of Forests of Wildlife and Nature Conservation Circle Sanullah Patwary; Conservator of Forests of Central Circle ASM Zahir Uddin Akon; and the acting officer-in-charge of the Safari Park, along with other relevant officials.
Following the park visit, Advisor Rizwana Hasan also toured Bhawal National Park and presided over a discussion meeting with officials from the Department of Forest and the Department of Environment at the Champa Conference Room of the Forest Department in Gazipur. She directed the officials to formulate a concrete action plan for the conservation of the environment and forests in Gazipur. The Advisor also listened to the challenges faced by officials and assured them of the ministry’s full support.
#
Dipankar/Mahmudul/Rana/Ferdows/Sanjib/Joynul/2025/1900 hour
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩১৬৭
পূর্বাচলে ভূমি জরিপে স্ব উদ্যোগে কোনো তথ্য প্রদানের প্রয়োজন নেই
ঢাকা, ২৬ চৈত্র (৯ এপ্রিল):
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের অধীনে রাজউক হতে প্লট বরাদ্দপ্রাপ্ত ভূমি মালিকগণ পূর্বাচল প্রকল্প এলাকায় চলমান ভূমি জরিপে প্লট সংক্রান্ত সকল তথ্য ও প্রমাণাদি রাজউক কর্তৃক ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরকে সরবরাহ করা হবে। প্লট বরাদ্দপ্রাপ্ত ভূমি মালিকগণদের স্ব উদ্যোগে কোনো তথ্য প্রদানের প্রয়োজন নেই।
আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের ভূমি রেকর্ড শাখা হতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়েছে বিশেষ প্রয়োজনে রাজউকের পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২), উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) বা এস্টেট উইং এর হেল্পডেস্ক-এর সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। রাজউকের প্লট বরাদ্দ প্রাপ্ত ভূমি মালিকগণের নামে প্রস্তুতকৃত তসদিককৃত খতিয়ান (মাঠপর্চার) রাজউক কার্যালয় হতে সংগ্রহ করা যাবে। এছাড়া খসড়া প্রকাশনার পরে অনলাইনে (www.settelment.gov.bd) তসদিককৃত খতিয়ান সংগ্রহ করার সুযোগ থাকবে।
জরিপের প্রাথমিক পর্যায়ে রাজউক হতে প্লট বরাদ্দ প্রাপ্ত ভূমি মালিকগণকে মালিকানার তথ্য ও কাগজপত্র প্রদান বা তসদিককৃত খতিয়ান প্রাপ্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, তসদিকের পর তসদিককৃত খতিয়ান বা মাঠপর্চার বিরুদ্ধে কোন আপত্তি থাকলে সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তিগণকে প্রচলিত নিয়মে ব্যক্তিগতভাবে আপত্তি ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আপীল দাখিল করতে হবে।
কোনো প্রতারকের দ্বারা প্ররোচিত না হওয়ার জন্য সকলের সচেতনতা ও সহযোগিতা কামনা করছে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর।
#
গিয়াস/মাহমুদুল/রানা/ফেরদৌস/সঞ্জীব/শামীম/২০২৫/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩১৬৬
তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২৬ চৈত্র (৯ এপ্রিল):
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলমের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ সাক্ষাৎ করেছেন।
আজ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় পাকিস্তানের হাইকমিশনার বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও পাকিস্তান টেলিভিশন (পিটিভি) এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস অভ্ পাকিস্তান (এপিপি)-এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের আগ্রহ প্রকাশ করেন। তথ্য উপদেষ্টা পাকিস্তানে বাংলাদেশি চ্যানেল সম্প্রচারের ক্ষেত্রে পাকিস্তান সরকারের সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন।
পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফসিহ উল্লাহ ও তথ্য উপদেষ্টার একান্ত সচিব সৈয়দ এনামুল কবির এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
মামুন/মাহমুদুল/রানা/ফেরদৌস/সঞ্জীব/শামীম/২০২৫/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩১৬৫
পারস্পরিক সহযোগিতা বিমসটেক অঞ্চলের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে
- কৃষি উপদেষ্টা
ঢাকা, ২৬ চৈত্র (৯ এপ্রিল):
কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, পারস্পরিক সহযোগিতা বিমসটেক অঞ্চলের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।
উপদেষ্টা আজ বিমসটেক সদস্যদেশসমূহের কৃষি বিষয়ক মন্ত্রীদের অংশগ্রহণে নেপালের কাঠমান্ডুতে আয়োজিত তৃতীয় বিমসটেক কৃষি বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
নেপালের কৃষি ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী রামনাথ অধিকারীর সভাপতিত্বে সভায় সদস্যদেশসমূহের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীগণ যুক্ত ছিলেন।
উপদেষ্টা বলেন, সদস্যরাষ্ট্রসমূহের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নে দুই দশকেরও অধিক সময় ধরে বিমসটেক কাজ করছে। সংস্থাটি স্থাপনের উদ্দেশ্য পূরণে কাজ করতে বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ। এ অঞ্চলে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে সদস্যরাষ্ট্রসমূহের একসাথে কাজ করার অনেক সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, কৃষি, পশু ও মৎস্য সম্পদ কেবল অর্থনৈতিক খাতই নয় বরং এগুলো এ অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা, জীবনধারণ ও গ্রামীণ উন্